#প্রণয়ের_জলসাঘরে
#পর্ব_২২ #লেখিকা_রেহানা_পুতুল
আলিশা আমার সাথে বাইরে একটু দেখা করবে? তোমার সময় সুযোগ মতেই আমিও সময় করে নিব। ইনডোর নাকি আউটডোর? কিভাবে দেখা করতে চাও জানাও।
আলিশা হকচকিয়ে গেল। এতসময়ের আবেশে বিবশ হয়ে লেপ্টে থাকা অনুভূতিরা দফ করেই নিভে গেল তেল ফুরিয়ে আসা প্রদ্বীপের ন্যায়। ইনডোর আউটডোরের মিনিং আমি যেটা বুঝি। সেটাই কি স্যার মিন করলো? ভেবেই আলিশা চুপ মেরে আছে। কি রিপ্লাই দিবে ভেবে পাচ্ছেনা।
আবার মেসেজ এলো শুভর আইডি থেকে।
” কি ঘাবড়ে গেলে? ”
” হুম ” এক শব্দের জবাব দিল আলিশা ।
শুভ অট্রহাসির ইমুজি আর লাভ ইমুজি যোগে রিপ্লাই দিল,
” ইনডোর বলতে মিন করেছি কোন কফিশপ বা ক্যাফেটেরিয়া এ জাতীয় কিছু। যদি তোমাকে আমার সাথে বাইরে কেউ দেখে যায় তাই। আর তাতে আমার নয় সমস্যা তোমারই হবে বেশী। বুঝলে। আর আউটডোর বলতে মিন করেছি কোন লেকের পাড় বা ফুটপাতে চায়ের দোকানে। অর্থাৎ খোলা আকাশের নিচে৷ হাঃহাঃহাঃ ”
” আপনি একটা ইমপসিবল ম্যান। যা ভয় পাইয়ে দিয়েছেন আমাকে। রাখি। শুভরাত্রি। বাই।”
শুভ রোমাঞ্চিত হাসি দিয়ে অফ লাইন হয়ে গেল। আলিশাও। দুজন দু’প্রান্তে দুজনকে ভেবে বিভোর৷ উম্মাদ। অমোঘ সুখে ধরাশায়ী শুভ ও আলিশা নামের দুটো হৃদয়।
গতরাতেও পিয়াসা শ্বাশুড়ির সাথে ঘুমিয়েছে পায়ের ব্যথার অজুহাত দেখিয়ে। সকালে পা টিপে টিপে সন্তপর্ণে নিজেদের রুমে ঢুকল। সূর্যের মিষ্টি তেজ হামলে পড়ল জানালার ফাঁক গলিয়ে। পর্দা আরেকটু সরিয়ে দিল পিয়াসা। পিয়াসার কানে গানের আওয়াজ এলো।
” ডুবে ডুবে ভালোবাসি
তুমি না বাসলে ও আমি বাসি।”
মাথা উঁচিয়ে দেখল আয়মান কাত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। মোবাইলে তার পাশে গানটা বেজেই চলছে।
পিয়াসা আয়মানের পিঠের উপর দিয়ে হালকা ঝুঁকে গান বন্ধ করে দিল।
দাঁত খিঁচিয়ে বলল,
ইসসস! বইয়ের ভাঁজে এই লিখা পেল বলে আমাকে মারল। আর এখন নিজেই শুনছে। লাগবেনা শোনা৷ নাকি নতুন কেশবতীর দেখা মিলেছে।
আয়মান চোখ বন্ধ রেখেই এক হাত মেলে পিয়াসাকে ভিড়িয়ে নিল নিজের শরীরের সাথে।
পিয়াসা চমক খেল। ওরে আল্লাহ! আপনি না ঘুমাচ্ছেন?
হ ঘুমাচ্ছিতো। কেশবতীর কেশের গন্ধ আমাকে জাগিয়ে দিল। বলল উঠ প্রেমিক। এসেছে তোমার প্রণয়ীনি। বন্দী করো তাকে। মেটাও তোমার সকল পিয়াসা।
আলসেমি ভঙ্গিতে হাই দিতে দিতে বলল আয়মান। পিয়াসাকে নিজের পাশে শুইয়ে দিল। তার গায়ের উপর এক পা উঠিয়ে দিল। নাকের সাথে নাক ঠেস দিয়ে ধরে বলল, তুমিই আমার কেশবতী। যার প্রেমে আমি বারবার নতুন করে মোহাবিষ্ট হয়ে উঠি। মোহাচ্ছন্ন হয়ে যায় আমার সমস্ত ইন্দ্রিয়।
ছাড়ুন না। আমার কাজ আছে রান্নাঘরে। কি করছেন এসব? গদগদ সুরে বলল পিয়াসা।
কিছুই করিনি এখনো। সবি যে বাকির খাতায় পড়ে রইলো কামাঙ্গিনী আমার । বলে পিয়াসার ঘাড়ে চুলের ভিতর নাক মুখ ডুবিয়ে দিল। পিয়াসা বিডালের মতো লাল আদুরে পিটপিট চোখে আয়মানের চোখে চাইলো । জোর খাটিয়েও আয়মানের বলিষ্ঠ বাহু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছেনা।
আয়মান তার হাত পায়ের বন্ধন আরো দৃঢ় করলো।
পিয়াসা আলতো করে কামড়ে ধরলো আয়মানের বুড়ো আঙুলের নখের উপরে। আয়মান পুলক অনুভব করলো এতে। একে একে বাকি চার আঙুলের মাথার অংশ পিয়াসার দাঁতের ফাঁকে ঢুকিয়ে দিল। বলল, মজা পেয়েছি এভাবে কামড় দিতে থাক দেবী।
পিয়াসা কপাল খিঁচিয়ে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করল,ব্যথা না পেয়ে মজা পায় কেউ এতে?
দেখাচ্ছি ব্যথা না মজা। বলে পিয়াসার পাঁচ আঙ্গুল একটা একটা করে নিজের মুখের ভিতর নিয়ে হালকা চুষে নিল। পিয়াসার অনুভূতি উপলব্ধি করার জন্য অবিকল চেয়ে রইলো আঁখিপানে। পিয়াসা নড়েচড়ে উঠছে বারবার। বলছে ছাড়ুন দরজা খোলা। নিলজ্জ্ব কামুক পুরুষ কোথাকার।
আয়মান ছেড়ে দিল পিয়াসাকে। বলল। যাও পাখি। উড়াল দাও। পিয়াসা চাপা হাসি বিলিয়ে দিল আয়মানের মুখের উপর। বিছানা থেকে নেমে গেল। পিছন দিয়েই আয়মান পিয়াসার শাড়ির আঁচল ধরে টান দিল৷ পিয়াসার বুকের উপর থেকে শাড়ি খসে পড়ল মাটিতে।
আপনি এত ফাজিল কেন? এমনিতেই আমার পা এখনো পুরোপুরি সেরে উঠেনি।
আয়মান পিয়াসার বুকে এক পলক তাকালো চোরা চোখে। বলল, ওরে পা রে পা। এক পা দেখিয়ে আর কত ফাঁকি দিবে? আচ্ছা নাকি তুমি ইচ্ছে করে সেদিন ওয়াশরুমে পড়ে গেলে?
কিইই? আমি এমন?
নাহ। আছেনা কিছু মানুষ এমন। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার তালে৷ তুমি এমন কিনা কে জানে?
আপনার সাথে আড়ি আড়ি আড়ি।
আচ্ছা নিও আড়ি। তবে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও। দেখি পার কিনা তুমি।
শুনছি বলেন। বুকের উপর আঁচল প্রসারিত করে দিতে দিতে বলল পিয়াসা।
এমন কোন তরল খাদ্য দ্রব্য রয়েছে তার ভিতরেই পাঁচটি উপাদান বিদ্যমান? ইংরেজিতে আনসার ডিক্লাইন হবে। আমরা বাঙালি। সুতরাং বাংলায় উত্তর দিতে হবে।
পিয়াসা কটমট দৃষ্টিতে বলল,
এমন উওর দিতে আমি অপারগ। নেটের হেল্প নেন।
এটা আমি জানিনা? তোমার শিখিয়ে দিতে হবে?
আমার থেকে শুনে কি লাভ আপনার?
নাহ। মনে হলো এই ভিটামিনগুলো আমার পান করা অতিব জরুরী।
তো আমার কাছে কি? ফ্রিজে আছে। জ্বাল দিয়ে দিব। যত ইচ্ছে পান করবেন। পিয়াসা তিন লাফে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
আয়মান পিয়াসাকে ছুঁতে গিয়েও পারলোনা। অভুক্ত প্রাণীর মতো পড়ে রইলো বিছানার বুকে৷ গোপন কামুকতা থেকে বের হয়ে এলো আয়মান। ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার নিল। নাস্তা খেয়ে কলেজে চলে গেল।
পিয়াসা শাশুড়ীর সাথে আজ রাতেও ঘুমাতে গেল। তিনি কিঞ্চিৎ মনঃক্ষুন্ন হলেন পিয়াসার উপরে।
মোটা গলায় বললেন,
আমার সাথে ঘুমানো লাগবেনা। তোমার যায়গায় গিয়ে ঘুমাও৷ হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
স্বামী স্ত্রী অকারণে আলাদা বিছানায় রাত্রি যাপন করা গুনাহ। এতে রাতভর স্ত্রীলোককে সত্তর হাজার ফেরেশতা নালত দিতে থাকে।
বিয়েটা কি মাটির খেলনা নাকি? মন চাইলো খেলবে। মন চাইলো ভেঙ্গে ফেলবে। এমন হেয়ালামো করবেনা আর দাম্পত্য জীবন নিয়ে। কিছুদিন পর আমি দিদা হতে চাই।
পিয়াসা লজ্জায় পালিয়ে এলো শাশুড়ীর সামনে থেকে। শ্বাশুড়িও এক হাত দিতে পেরেছে বলে আপন মনে হেসে ফেলল।
আলিশার রুমের দরজায় টান পড়তেই,
কে? ভাবি? এসো?এনি সমস্যা?
তোমার সাথে ঘুমাব আজ।
তুমি না আম্মুর সাথে ঘুমাও এই কয়দিন? আজ কি হলো?
মা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বলছে তোমার সাথে ঘুমাতে।
সিরিয়াসলি বেইবি? আম্মুকে গিয়ে আস্ক করিই?
নাহ প্লিজ।
তাহলে তোমার বরাদ্দকৃত স্থানে যাও৷ আমার প্রেমলীলায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে দুশমন হয়োনা।
তোমার লীলা তুমি করো। আমি একপাশে ঘুমিয়ে থাকব।
না ভাবি প্লিজ। বিরক্ত করোনা।
ন্যাকামি। যত্তসব। আমি হলে কোলেই বসে থাকতাম স্বামীর। আর মাখামাখি করতাম। উহু! আহ! যাওতো। নয়তো তোমার পেয়ারের লাভার এসে তোমাকে কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে যাবে।
পিয়াসা গাল ভেংচি দিয়ে চলে গেল। আস্তে করে দরজা ঠেলে ভিতরে গেল। আয়মান পিয়াসার নিঃশব্দ গতি আঁচ করতে পারল। ঘুমের ভান করে মরার মতো বিছানার মাঝ বরাবর পড়ে আছে।
পিয়াসা নিরবে বিছানার উপরে উঠে একপাশ হয়ে শুয়ে রইলো। ভিতরে শংকা কাজ করছে৷ আয়মান চোখ বন্ধ করে পিয়াসার পায়ের সাথে নিজের পা লাগিয়ে নিল। পিয়াসা পাতলা কম্বলের ভিতরে হাত দিয়ে নিজের শাড়ি টেনে দিচ্ছে পায়ের পাতার দিকে। আয়মান গুনগুনিয়ে গাইলো,
” আইজ পাশা খেলবোরে সাম…
/একেলা পাইয়াছি হেথা/পালাইয়া যাবে কোথা এই নির্জন রাতেএএ…?”
পিয়াসা নিজের ফোনের নোটপ্যাডে কিছু একটা লিখল। আয়মানের হাতে দিল। ”
পিরিয়ড চলছে। সো বুঝেন কিন্তু।
কতদিন হলো? আয়মান মুখে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো।
পিয়াসা মুখ নামিয়ে বলল আজ শুরু। চলবে সপ্তাহব্যাপী।
এটা কি পিরিয়ড মেলা নাকি। সপ্তাহব্যাপী চলবে? আমার বিলিভ হয়না। লাইভ দেখতে চাই। আয়মান পিয়াসার কাপড়ের কুচিতে হাত দিতে গেলেই পিয়াসা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। আয়মান নারভাস হয়ে অন্যদিকে ফিরে ঘুমিয়ে যায়।
শীত বিদায় নিচ্ছে। প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী বার্তা। উদাম বৃক্ষ শাখায় নব পল্লব গজিয়ে উঠার অকুন্ঠ আশীর্বাদ। ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে।
একটি নিরিবিলি কফিশপে গিয়ে ঢুকলো শুভ। হাতে এক গুচ্ছ রক্ত গোলাপ৷ একটু পর আলিশাও এলো। বসল শুভর পাশে মিষ্টি চাহনি দিয়ে ফুলের সুরভীর মতো । ভিতরে ভিতরে নুয়েও যাচ্ছে লজ্জাবতী পাতার মতো।
শুভ আলিশার হাতের দিকে গোলাপ গুচ্ছটি বাড়িয়ে ধরলো। মুখে বলল ভালোবাসি আলিশামনিকে। আলিশা গোলাপগুলোকে ছোট্ট হাঁসের ছানার মতো যত্ন করে ধরলো। ফুলের কোমল পাপড়িতে নিজের গালের আদুরে স্পর্শ দিল। মুখে কিছুই বলছেনা।
শুভ দুটো কফির অর্ডার করলো। নিবেদিত চোখে আলিশার মুখপানে চাইল। জিজ্ঞেস করলো অন্যকিছু খাবে?
স্তিমিত কন্ঠে আলিশা জানাল, নাহ।
শুভ বলল, অবশ্য এসব কফিশপে জোড়ায় জোড়ায় কপোত কপোতিরা আসে প্রেম আর আলিঙ্গনের জন্যই। কিছু অর্ডার করতে হয়। তাই করা। এক গ্লাস কফি খায় তিরিশ মিনিট ধরে। নয়তো শেষ হয়ে গেলে বয়রা এসে বলবে, স্যার মেম আরেকটা কফি দিব?
।
বাব্বাহ! আপনি তলে তলে এত কিছু জানেন স্যার?
আবার জিগায় বালিকা। প্রেম নিজে না করলে কি হবে। বন্ধুদের করতে দেখেছি না?
দুটো কফি চলে এলো। তারা দুজন একটু খেয়ে কফি গ্লাস চেঞ্জ করলো দুজন দুজনের টা। আলিশার কপালে ঝুঁকে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিল আয়মান বলল,
শুন সামনে তোমার ইন্টার ফাইনাল পরিক্ষা। সো ফোকাস হবে বেশী প্রণয়ে নয় স্টাডিতে। লেখিকা রেহানা পুতুল।
বাসায় লিখে লিখে বোবার মতো এতকিছু বলা যায়ন। তাই তোমাকে ঢেকে আনলাম বাইরে। আমি ছিলাম। আমি আছি। আমি রবো। সো নো চিন্তা ডু ফূর্তি।
কফি খাওয়া শেষ হলে শুভ এদিক এদিক চেয়ে, চুপিচুপি আলিশার মিলানো দুই ঠোঁটের উপর নিজের তপ্ত দুঠোঁট বসিয়ে দিলো। গাঢ় চুমুতে ভরিয়ে দিল আলিশার সরু গোলাপি আভার অধরযুগল। আলিশা অবোধ শিশুর ন্যায় চুপটি হয়ে রইলো। তার সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল। শুভর এই স্পর্শর জন্য সে পাগল হয়েছিল এতদিন। এই অপার্থিব সুখ সে এই মুহুর্তে আরো চায়। শুভর হাত খামচি দিয়ে ধরল। শুভ টের পেয়ে নিজের ঠোঁট আলগা করে নিল। তার পর উঠে যায় দুজনে। একটি রিকসায় করে দুজনে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে।
সারাক্ষণ রিকসায় পাশে বসা থেকে আলিশা শুভর এক হাত পেঁচিয়ে ধরে রাখে নিজের শরীরের দিকে টেনে। আলিশাকে পছন্দের এটা ওটা খাওয়াল শুভ। দুজন দুজন থেকে বিদায় নিল। শুভ আলিশার গালে মৃদু টোকা দিয়ে,
আবেগকে একটু সামলাতে শিখ প্লিজ। এতে তুমিই উপকৃত হবে আদুরী আমার।
আলিশা ঠোঁটের বারান্দায় পুলকিত হাসি ছড়িয়ে দিল। মাথা নামিয়ে আচ্ছা বলে বাসায় চলে এলো উড়ুউড়ু মন নিয়ে।
আয়মান গুনে গুনে সাতদিন অপেক্ষা করলো। তার পরে এক রাতে একান্তে পেতে চাইলে,
পিয়াসা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করালো। বলল আরো একমাস পর। প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হলে।
আয়মান খুব রেগে গেল। উত্তেজিত গলায় পিয়াসাকে বলল,
নিজেকে আর কত সংরক্ষিত আসনের কৌটায় করে রাখবে?
আর কখনোই চাইবনা তোমাকে। নেভার এভার। আমার সাথে ঘুমাতে হবেনা। চলে যাও বলছি।
পিয়াসা আলিশার রুমে চলে গেল।
সকালে আয়মানের মা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ছেলের রুমে এলো।
আম্মু কি হয়েছে? কোন দুঃসংবাদ আমাদের কারোর?
বাবা আমরা সবাই গ্রামে যেতে হবে এক্ষুনি। কলেজে ফোন দিয়ে দুইদিনের ছুটি নিয়ে নে।
চলবেঃ ২২