#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_৫১
___________________________
–‘তোর মনে হয় না তুই একটু বেশি বেশিই বলে ফেলেছিস?
মিসেস আফিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন প্রণয়কে।গতরাতের পর থেকে সূচনা আর প্রণয়ের সামনে আসেনি।তার বলা কথাই মানছে,এত বার বলার পর ও রুম থেকে বের হয়নি সে।দরজা খুলেনি একবারের জন্য ও।প্রণয় অবশ্য তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না,রোজকার মতো সকালে অফিসে গিয়েছে,সন্ধ্যায় ফিরেছে।সূচনার কথা ও জিজ্ঞেস করেনি।ফ্রেশ হয়ে রুমে ঘাপটি মেরে বসেছিল প্রণয়।তখনই মিসেস আফিয়া রুমে আসলেন।বেডে বসেছিল প্রণয়,পা জোড়া ফ্লোরে পড়েছে।মিসেস আফিয়া এসেই উক্ত প্রশ্ন খানা ছুড়ে দিলেন প্রণয়ের দিকে।প্রণয় উত্তর করলোনা,মিসেস আফিয়া আবারও প্রশ্ন ছুড়লেন-
–‘কী দরকার ছিল অমন ব্যবহার করার?তার দোষ ছিল না,আর যদি বলিস তার দোষ ছিল তাহলে বলব আমার বেশি দোষ।কারণ সূচনা আমাকে জিজ্ঞেস করেই নিয়েছিল,আমি বলার পর ই সে এগিয়েছে।মেয়েটা তো জানেও না কিছু।আর বেশি কিছু তো করেনি,শুধু একটা কেক ই বানিয়েছিল আর উইশ করেছে। তাতে এত রা গ দেখাতে হবে?
–‘মামী আমি আমার বার্থডে সেলিব্রেট করি না আর কেন করিনা তা ও আপনি জানেন।
–‘কিন্তু সূচনা তো জানে না।
–‘যেহেতু সে জানে না সেহেতু সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো ও তার উচিত হয়নি।
–‘আমি তো জানতাম,তা ও অনুমতি দিয়েছি তাহলে আমিও দোষী।তুই ঔ মেয়েটাকে যেহেতু শাস্তি দিচ্ছিস তাহলে আমিও তো তার প্রাপ্য।
–‘আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে চাইছি না মামী। সময় বুঝে ঠিক করে নিব।
–‘কবে ঠিক করবি? বড় কিছু হয়ে গেলে?সেই বিকেলে বাবার বাড়ি যাবে বলে বেড়িয়েছে এখনও আসেনি।আপাকে কল করে জিজ্ঞেস করেছি বললো- ‘সূচনা নাকি যায় ই নি বাসায়।’তাহলে কোথায় গেল?বল।খুজে নিয়ে আয়।
মিসেস আফিয়ার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লো প্রণয়।সারাদিনে তো খোজ ও নেয়নি সে,বাসায় ই থাকবে, আর কোথায় যাবে?বুক ধুকপুক করছে তার।কাপা কাপা কণ্ঠে মিসেস আফিয়া কে পাল্টা প্রশ্ন করলো-
–‘মা,,মী আপনি কি মজা করছেন?
–‘প্রণয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর?মজা করছি আমি?মজা করার বিষয় এটা?
প্রণয় ভাবতে পারল না আর কিছু।কাপা কাপা হাতে বেড সাইড টেবিল থেকে ফোনটা নিয়ে দরজার দিকে এগোতে নিলেই মিসেস আফিয়া বলে উঠলেন-
–‘কোথায় যাচ্ছিস?
প্রণয় পা জোড়া থামালো না,হড়বড়ানো কণ্ঠে বললো-
–‘ খুজতে যাচ্ছি।
মিসেস আফিয়া রুদ্ধ কণ্ঠে জবাব বললেন –
–‘তার প্রয়োজন নেই।
পা থামলো প্রণয়ের,পেছনে ঘুরে প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকালো মিসেস আফিয়ার দিক।জিজ্ঞেস করলো-
–‘প্রয়োজন নেই মানে?
–‘চল আমার সাথে।
____________________________
জ্ঞান ফিরতেই ফিনাইল আর মেডিসিন এর তীব্র গন্ধ নাকে ঢুকতেই গা গুলিয়ে উঠলো সূচনার। ধীরে ধীরে চোখ খুললো কিন্তু ঠিক বুঝতে পারল না নিজের অবস্থান।মাথার ওপর সিলিং ফ্যানটা স্থির হয়ে আছে,বেডে সোজা হয়ে শুয়ে আছে একদম।হাত নাড়াতেই ব্যথায় কুকিয়ে উঠলো সূচনা।তাকিয়ে থাকতে না পেরে আবারও চোখ বুজে নিল,তাকাতে সমস্যা হচ্ছে কেন বুঝে উঠতে পারল না।এদিকে অস্থির হয়ে উঠলো মন জানার জন্য -কোথায় সে?রাস্তায় ছিল সে কিন্তু এখন কোথায়?আর কীভাবে আসলো এখানে?সাত পাচ ভাবনার মাঝেই মাথায় কারো ছোয়া পেল,হুট করেই তাকাতে পারল না।কিন্তু নাকে পরিচিত একটা গন্ধ বারি খেল যেন,জানান দিল মানুষটার উপস্থিতি,আস্তে আস্তে চোখ খুলে সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষ টাকেই চোখে পড়লো।চোখ থেকে উপচে আসতে চাইলো কান্নারা,কিন্তু ঠোটে ঠোঁট চেপে চোখ ঘুরিয়ে নিল।প্রণয় ব্যথিত দৃষ্টিতে তাকালো,মাথা থেকে হাত সরালো না।মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো-
–‘প্রণয়ী রা গ করেছো ভালো কথা। আমিই তো বলেছিলাম আমার জন্য রা গবে,অভিমান করবে।আমিই রাগ ভাঙাব,অভিমান কমাবো।কিন্তু আমাকে সেই সময় টা ও দিলেনা?আমাকে কষ্ট দিতে এমন টা করলে,না করলে হত না?শাস্তি তো আমার প্রাপ্য ছিল, তোমার না।তাহলে?
সূচনা কিছু বললো না,চুপ মে রে রইলো।প্রণয় আবারও বললো-
–‘চুপ করে ই থাকবে?রা গ করো সমস্যা নেই, শাস্তি দাও তা ও সমস্যা নেই কিন্তু কথা বলো।
প্রণয়ের কণ্ঠ কা পছে,তা ঢেড় বুঝতে পারলো সূচনা।সে মুখ খুলল এবার,মুখ ফিরিয়ে রেখে অভিমানী গলায় বললো-
–‘আপনার কথাই তো মানছিলাম,আপনার সামনে আসতে নিষেধ করেছেন তাই আসিনি।আপনি আমার সামনে কেন এসেছেন?আমাকে দেখলে আবার আপনার রা গ উঠে যায়।
ঠোট কামড়ে ধরলো প্রণয়,এত অভিমান হয়েছে,এত কষ্ট পেয়েছে তার প্রণয়ীর,তা ও শুধু মাত্র তার জন্য।প্রণয় কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেবিনের দরজা ঠেলে মিসেস আফিয়া, মিহু আর তিথি প্রবেশ করলো।প্রণয় নড়লো না,সড়লো ও না,সূচনার পাশেই টুল নিয়ে বসে রইলো। মিসেস আফিয়া অন্য পাশের টুলে বসলো।সূচনা উঠতে নিলে আটকে দিলেন মিসেস আফিয়া। বললেন –
–‘উঠতে হবে না মা, রেস্ট নেয় তুই।
সূচনা মিনমিন করে বললো-
–‘শরীর ব্যথা হয়ে গেছে শুয়ে থেকে, একটু বসবো।
–‘আচ্ছা।
মিসেস আফিয়া শোয়া থেকে পেছনে বালিশ রাখলেন,হেলান দিয়ে বসলো সূচনা।
–‘ভাই..
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল প্রণয়,মিহুর ডাক কানে আসতেই মিহুর দিকে তাকালো।তাকে তাকাতে দেখে মিহু ছোট্ট করে বললো-
–‘বাইরে আসো একটু।
প্রণয় এক পলক সূচনার দিকে তাকিয়ে পা বাড়ালো।
____________________________
–‘সূচির শরীর দুর্বল একদম,সম্ভবত কালকে রাতের পর থেকে আর কিছু খায়নি।তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে তিথি বলেছে সব।সূচির আমার সাথে দেখা করতে আসার কথা ছিল,সেজন্য ই বিকেলে বেরিয়েছিল বাসা থেকে।আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটা ক্যাফে আছে না যেটাতে তুমি আমি আর তন্ময় দেখা করি,সেটাতে।রিকশা দিয়ে আসছিল সে,একসাথে ভেতরে যাব ভেবে আমি ক্যাফের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।হঠাৎ সামনে চেচামেচি শুনে এগিয়ে যাই,ভিড় ঠেলে ঢুকে দেখি রাস্তায় পড়ে আছে সূচি।প্যানিক এট্যাক এসেছিল ওর,সাথে শরীর দুর্বল থাকায় ব্যালেন্স রাখতে পারেনি,চলন্ত রিকশা থেকে ই পড়ে গেছে বিধায় মাথায় চো ট পেয়েছে।তারপর হসপিটালে নিয়ে এসেছি আমি,আর মামীকে কল করে বলেছি। আঙ্কেল আন্টি কাউকে বলিনি,বলবে কী বলবে না সেটা বুঝে বলো।
মিহু এক নাগারে কথাগুলো বলে ক্লান্ত নিঃশ্বাস ছাড়লো।প্রণয় হতবিহ্বল এর ন্যায় দাড়িয়ে রইলো,এত কিছু হয়ে গেল,এতটুকু সময়ে? কতটা কষ্ট পেয়েছে সূচনা,সে গতরাতে ঔভাবে না বললে তো এমন কিছু ই হত না।সব দোষ তো তারই।কী করবে সে এখন?
–‘ভাইয়া..
মিহুর ডাক শুনে প্রণয় চমকে উঠে জবাব দিল-
–‘হ,,হ্যা।
–‘কীভাবে মানাবে সেটাই ভাবছো তাই না?
প্রণয় বড় শ্বাস নিল, ছোট্ট করে বললো-
–‘হু।
–‘ভাইয়া সূচি না এমন একটা মেয়ে,যাকে শুধু সাধারণ বললেও ঠিক হবে না কারণ ও সাধারণ হতেও অতি সাধারণ।ওর কাছের মানুষ গুলোর কাছ থেকে অল্প একটু সুখ পেলেই ও এমন করবে যেন দুনিয়ার সব থেকে সুখী সে।আবার তাদের কাছ থেকে ই অল্প হতে অল্প একটু কষ্ট পেলেই এমন ভাবে ভেঙে পড়বে যে…
–‘দেখতে পারছি যেমন তেমন হয়।
–‘হ্যা।
–‘ এই সাধারণ মেয়েটাই আমার কাছে অসাধারণ, আর তাতেই খুশি আমি।সমস্যা নেই আমি ঠিক করে নিব সব।
–‘আই নো তুমি পারবে,তুমি পারবে না তো কে পারবে?শুধু একটু খেয়াল রেখো আর যেন এমন না হয়।
–‘হুম।
__________________________
মাঝে কে টে গেছে তিনদিন।সূচনা একটু সুস্থ হয়েছে আগের দিন হতে।হসপিটাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে আজকে বিকেলে।তিনরাত হসপিটালে প্রণয়ই ছিল।সূচনা প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেনি প্রণয়ের সাথে, প্রণয় ও চেষ্টা করেনি।সূচনাকে বাসায় দিয়ে বেড়িয়ে গেছে আবার।হসপিটালে এই তিনদিন প্রণয় মানানোর চেষ্টা করেনি তাকে,ভেবেছিল বাসায় এসে বুঝি করবে।কিন্তু বাসায় রেখেই চলে গেল!রা গে গা পিত্তি জ্ব লে যাচ্ছে তার, আচ্ছা করে ক’টা কতা শুনিয়ে দিতে পারলেও একটু শান্তি পেত কিন্তু সামনেই তো নেই।বেডে বসে বসে তা ই ভাবছিল সূচনা।সন্ধ্যা নেমেছে বহু আগেই,সূচনার মনটা ও খারাপ হ’য়ে গেছে এসব ভাবতে ভাবতে।মাথা নিচু করে,কম্ফোর্টার টা ভালো করে শরীরের সাথে জড়িয়ে পা গুটিয়ে হাটুতে মুখ গুজে বসে রইলো বেডে।আজকাল একটু আধটু জিনিসেই কান্না চলে আসে।উহুম সব ব্যাপারে না,কাছের কেউ কষ্ট দিলেই। সবসময় গুরুত্ব দিয়ে আসা মানুষটার হঠাৎ অবহেলা বড্ড কাদায়,কারণ থাকুক আর না থাকুক কিন্তু অসহ্য যন্ত্রণা দেয়।
–‘তোমার কান্নাকাটি কবে শেষ হবে?
আচানক কণ্ঠ শুনে চমকে উঠলো সূচনা।তড়িৎ গতিতে সামনে তাকালো সে।এলোমেলো চুল,এক হাত দিয়ে শার্টের বোতাম খুলছে আর অন্য হাতে পড়নের কালো রঙের জ্যাকেটটা। শার্টের বোতাম খোলা স্থগিত হলো,দরজা লক করলো,জ্যাকেট টা ছুড়ে মা রলো সোফার দিকে।এলোমেলো চুল গুলো তে দুহাত বুলিয়ে ঠিক করলো না কি আরও এলোমেলো করলো বুঝল না সূচনা।সামনে এগোতে এগোতে সূচনার একদম সামনে চলে আসলো প্রণয়।গোটানো শরীরটা আরও গুটিয়ে নিল সূচনা।প্রণয়কে ভ য় পেল সে?প্রণয় ও হালকা হাসলো।সূচনার কাছে নিষ্প্রাণ লাগলো সেই হাসি।প্রণয় সূচনার ঠিক বরাবর বসলো।জিজ্ঞেস করলো-
–‘আমাকে ভ য় পাচ্ছ?
সূচনা তড়িৎ গতিতে মাথা নাড়ালো দুই দিকে।যার মানে ‘না’ সে ভ য় পাচ্ছে না।
–‘তাহলে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছ কেন?
নিশ্চুপ রইলো সূচনা।মাথা নিচু হতে আরও নিচু হলো তার। প্রণয় কাপা গলায় বললো-
–‘আ’ম সরি প্রণয়ী,অনেক কষ্ট দিয়েছি।এতটুকু সময়ে এতকিছু হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি।আমি যদি ঔ কথা টা না বলতাম তাহলে এত কিছু হতোই না।বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছে করে এমন বিহেভ করিনি।যখন বুঝেছি তখন সরি বলার সময় টুকুও পাইনি।তার আগেই…মামী যখন বলছিল তুমি বিকেলে বেরিয়েছ আর বাসায় আসোনি তখন ভেবেছিলাম আমার ওপর রা গ করে চলে গেছ।তুমি চলে গেলে আমার কী হত?আর তুমি এতটা কেয়ারলেস কেন? তোমার এক্সিডেন্ট হয়েছিল,একা কেন গিয়েছিলে?আর হঠাৎ প্যানিক এট্যাক ই আসলো কেন?যদি বেশি কিছু হয়ে যেত?তোমার কিছু হলে আমি এমনি শেষ হয়ে যেতাম।হসপিটালে ছিলে বিধায় এই তিনদিন চুপ ছিলাম,আর তুমি ভেবেছো আমি অবহেলা করছি।তুমি জানোনা প্রণয়ীকে অবহেলা আর উপেক্ষা করার মতো দুঃসাহসিক কাজ করার দুঃসাহস প্রণয়ের নেই।আমি যেমনই হই না কেন আমার কাছে আমার পরিবার আগে।তাদের সামনে আমি বড্ড দুর্বল হয়ে পড়ি।এই যে কত সহজভাবে কথাগুলো বলছি,কাদতে ও বাধা নেই,সংকোচ ও নেই।তোমার কাছ থেকে আমার কিছু চাইনা শুধু আমাদের একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক ছাড়া।প্লিজ!
সূচনার নিজেকে নিজের কাছে দুর্বল লাগছে খুব,গলা শুকিয়ে আসছে,যেন কথাই বলতে পারবেনা আর।কান্না চেপে রাখতে পারলনা,ডুকরে উঠলো।প্রণয় ততক্ষণে বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিল তাকে।প্রণয়ের বু কে মাথা রেখে অশ্রু ঝরাতে লাগলো সূচনা।প্রণয়ের নিজের চোখ জোড়া ও ভিজে উঠেছে। সূচনার চুলের ফাঁকে সন্তপর্ণে বিচরণ করছে প্রণয়ের বাম হাতের আঙুল গুলো।সূচনা নাক টেনে টেনে কাদছে,অন্য কোনো কিছু ই বোধগম্য হচ্ছে না তার যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ কার্য সাধন করছে কান্না করে।এই যে এরমধ্যে প্রণয় সূচনার মাথায়, কপালে আর হাতে মিলিয়ে চার পাচটা চুমু খেয়েছে অথচ সূচনার খেয়ালই নেই।হলে লজ্জায় রাঙা হয়ে ওঠায় কথা না!
প্রণয় বোধহয় সূচনার কান্না আর সহ্য করতে পারল না তাই হালকা ধমকের স্বরে বললো-
–‘এবার কান্না থামাও প্রণয়ী।
সূচনা বারণ শুনলো,কথা কানেই পোঁছালো না।কান্না অব্যাহত রাখলো।প্রণয় গলার স্বর আগের থেকে একটু উচু রেখে বললো-
–‘কান্না থামাও কাপ কেক।
এবার কান্নার স্বর নিচু হলো সূচনার।প্রণয় ডান হাতটা সূচনার মুখের ওপর রেখে বললো-
–‘আর কাদবে না।
মাথা ওপর নিচ করলো সূচনা।প্রণয় মিহি হেসে বললো-
–‘দেট’স লাইক আ গুড গার্ল।
বিনিময়ে সূচনাও জোরপূর্বক হাসলো।সূচনা হটাৎ প্রণয়কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, ক্লান্ত গলায় বললো-
–‘আমার কেমন যেন লাগছে প্রণয়।
সূচনাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে মাথার দু-পাশে হাত রেখে প্রণয় ব্যস্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো-
–‘কেমন লাগছে? মাথা ব্যথা করছে?দেখি..
সূচনার মাথার ডান পাশে হাতের দিকে তাকিয়ে ই প্রণয় চমকে উঠলো।
#চলবে