প্রণয়ের সূচনা পর্ব -৩৩

#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_৩৩
___________________________
–‘এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেন?আমাকে দেখে কি এলি/য়েন মনে হচ্ছে?

চোখ বড় বড় করে প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল সূচনা।মূলত বুঝতে সে কি আদৌ আছে নাকি আবারও কল্পনা করছে।তার এমন চাহনি দেখেই কথাটুকু বলা হয়েছে তাকে। কল্পনাই হবে, তার মাথা যে গেছে একেবারে।এবার আর সত্যি ভাববে না।অনেকটা ভাব নিয়ে দুইহাত কোমরে রেখে সূচনা বললো-

–‘ দেখুন আমি জানি, আপনি আবারও আমাকে জ্বালাতে এসেছেন কিন্তু বাস্তবে আসেননি।আমার হেলুসিনেশন হচ্ছে আবার।তবে এবার আর বো/কা হবনা।কি সমস্যা আপনার বলেন তো?জ্বালা/চ্ছেন কেন এভাবে? যান তো।

প্রণয় ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো-

–‘মাথা কী গেছে? কী সব বলছো? হেলুসিনেশন মানে আর কোথায় যাব?মাত্রই তো আসলাম।

–‘আচ্ছা কোথা থেকে এসেছেন শুনি?

–‘কোথায়,গিয়েছিলাম আমি?চট্টগ্রাম তো ফিরব তো সেখান থেকেই।

–‘মোটেও না হতেই পারে না। আপনি যান তো,, মেজা/জ খা/রাপ হয়ে যাচ্ছে।সাত সকালে শুরু হয়ে গেছে জ্বা/লাতন।

–‘ঠিক আছে গেলাম।

–‘আপনি দরজা দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?

সূচনার সামনে থেকে সরে ব্যালকনির দরজার দিকে পা বাড়াতে নিলেই বলে উঠল সূচনা।প্রণয়ের এবার ভ্রু জোড়া আরও কু/চকে এলো বির/ক্তি আর অবাক হওয়ার কারণে। ঘুরে তাকালো সূচনার দিক।কিছু টা বির/ক্তি মাখা কণ্ঠে ই বললো-

–‘দরজা দিয়ে কোথায় যাচ্ছি মানে?দরজা ছাড়া রুমে যাব কিভাবে?

–‘কেন?হুটহাট আমার কল্পনায় চলে আসেন কিভাবে?দরজা কেন লাগবে?ঠা/স করে চলে যাবেন চোখের পল/কে।

এবার প্রণয় বিড়ম্বনায় পড়ল,সূচনা কি মজা করছে?নাকি সত্যি ই সে এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলছে?প্রণয় বলেই ফেললো –

–‘ তুমি দেখি সত্যি ই পা/গল হয়ে গেছ।তোমার বর এতদূর থেকে এসেছে কোথায় তার হাত পা টি/পে দিবে,মাথার চুল টে/নে দিবে তা না করে উল্টাপাল্টা ব/কথা আরও মাথা খাচ্ছো।ধূর।

ধুপ/ধাপ পা ফেলে ব্যালকনি থেকে রুমে আসলো প্রণয়।সে আসার পরে সূচনা ও চলে আসলো।রুমে এসে দেখল ফা/কা রুম, তাই সত্যি ভেবেই নিয়েছিল আবারও প্রণয়….কিন্তু ভাবনা ও তার পূরণ হলো না।তার আগেই চোখে পড়ল সোফার ওপর রাখা ব্যাগটায়।এটা নিয়েই তো প্রণয় গিয়েছিল সেদিন।তার মানে..তার মানে প্রণয় সত্যি ই এসেছে আর সে কিনা এতক্ষণ।ইশশশশ!কী এক বা/জে অবস্থা।সূচনা স্থির হয়ে গেল যেন।কি সব উল্টা পাল্টা ব/কেছে সে।প্রণয় জেনে গেল সব,কোথায় সেদিনের ব্যবহারের জন্য প্রণয় তার অভিমান ভা/ঙাবে সে জায়গায় এমন বো/কার মতো এক কাজ করে বসলো।’তার হাত ঘা/ড়ে স্পর্শ করেছিল,তখনই তো বোঝার কথা,বুঝবি কিভাবে মাথা মো/টা একটা।এসব তোর দ্বারাই সম্ভব সূচি।’নিজেই নিজেকে বললো সূচনা।কী করবে সে ভেবে কুল কি/নারা পাচ্ছে না।তবে মস্তিষ্ক ক/ড়া ভাবে জানান দিচ্ছে-এখন তার সামনে না থাকাটাই উত্তম, পরেরটা পরে দেখা যাবেনি।কিন্তু মন বলছে- থাক না কী হবে?এতদিন যার অপেক্ষায় ছিলাম,যাকে দেখার তৃষ্ণা জেগেছিল চোখ জোড়ায়,যার জন্য ছট/ফট করছিল মন তাকে না দেখার ভাবনা আঁট/ছিস।এতটা বো/কা তুই?উফফ,,মন মস্তি/ষ্কের এই মত বি/রোধের খেলায় অসহায় মুখে দাড়িয়ে রইলো সেখানেই।ততক্ষণে প্রণয়ের পদার্পণ ঘটেছে।সূচনা খেয়াল করেনি, হয়তো এখনও ভাবছে সে যাবে না থাকবে?তার মুখাবয়ব দেখে প্রণয় আন্দাজ করতে পেরেছে সে ভাবনায় মত্ত।কোনোরকম কথা বার্তা ছাড়াই আ/চমকা সূচনার হাত ধরে ফেলল প্রণয়।আত/কে উঠল সূচনা।প্রণয়কে সামনে দেখতে পারল তাও তার হাত তার হাতে বন্দি।কেমন যেন অনুভূত হলো।শ/ক্ত করে হাত ধরেছে প্রণয়।ছাড়ানোর চেষ্টা করার আগেই প্রণয় টা/নতে টা/নতে বিছানার সামনে নিয়ে গেল।ধা/ক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল সূচনাকে।সূচনা অবাকের ওপর চর/ম অবাক।কী করছে প্রণয় যেন সব মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।প্রণয়ও ধপ করে শুয়ে পড়ল তার পাশে, একেবারে তার গায়ে/র সাথে গা মি’লিয়ে।কে/পে উঠল সূচনা।প্রণয়ের গা গর/ম প্রচন্ড রকমের।সব দ্বিধা, লাজ -লজ্জা ভুলে চিন্তিত গলায় বললো-

–‘ আপনার গা অনেক গর/ম,জ্বর এসেছে।

–‘হু।

অস্ফুটস্বরে প্রণয় জবাব দিল।পূর্বের ব্যায় চিন্তিত ঘাব/ড়ে যাওয়া কণ্ঠে ই সূচনা বললো-

–‘কী হু?শরীর পু/ড়ে যাচ্ছে। কবে থকে জ্বর?মেডিসিন নিয়েছেন কোনো?

–‘আসার সময় বৃষ্টি তে ভিজেছিলাম, আমার গা/য়ে বৃষ্টি সহ্য হয় না,জ্বর উঠে যায়।

–‘আশ্চর্য,, আপনি জানেন তাহলে কেন ভিজলেন বৃষ্টি তে?

–‘কিছু জিনিস মনে পড়ছিল,খুব করে।মেঘ জমেছিল
বু/কে। বৃষ্টি দেখে মনে হলো বু/কে জমা মেঘগুলোও পরিষ্কার হয়ে যাবে বৃষ্টি তে ভিজলে তাই ভিজেছি।

চোখ বন্ধ রেখে কথাগুলো বললো প্রণয়।কথাগুলো বলার সময় তার স্বর কাপ/ছিল সূচনা টের পেল। কিছু বললো না আর।শব্দহীন ভাবে বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেল।জগে করে পানি এনে সাইড টেবিলে রাখল।একটা সুতি কাপর মতো পানিতে ভিজিয়ে কপালে চে/পে ধরলো প্রণয়ের।কপালে স্পর্শ পেতেই চোখ পিটপিটিয়ে চাইলো প্রণয়।তার দৃষ্টিতে দৃষ্টি পড়তেই সূচনা বিব্রত বোধ করলো একটু।তার দিকে তাকিয়েই প্রণয় আলতো স্বরে বললো –

–‘এত কষ্ট করতে হবেনা, একটু ঠিক মতো ঘুমালে ই ঠিক হয়ে যাব।

–‘জলপট্টি দিচ্ছি, বড় কোনো কাজ করছিনা।চুপ করে শুয়ে থাকুন।

তার কথার পিঠে প্রণয় কিছু বললোনা।সূচনাও চুপ রইলো।মিনিট বিশেক পার হলো কিন্তু জ্বর কমলো না, বরং বাড়লো।কুঁকড়ে শুয়ে আছে প্রণয়,সূচনা উঠে যেয়ে কাবার্ড থেকে একটা কম্ফোর্টার এনে গায়ে জড়িয়ে দিল তার।আলতো স্বরে ডা/কলো-

–‘শুনুন।

উত্তর এলোনা কোনো।আবারও ডাক দিল-

–‘শুনছেন?

জবাব না পেয়ে ভাবল প্রণয় ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয়। আর ডাকলো না।থাক ঘুমাক কিন্তু মেডিসিন না নিলে তো জ্বর কমবেনা।ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে মেডিসিন বক্স।সেটা বের করে জ্বরের মেডিসিন খুজে নিল সূচনা ।সারারাত জার্নি করে এসেছে, সকালে এসেও তো কিছু খায়নি।খালি পেটে তো মেডিসিন দেয়া যাবেনা।
কী করবে?একটু ভেবে ঠিক করল স্যুপ বানিয়ে দিলে কেমন হয়? হাতের বক্সটা রেখে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল সূচনা। একটু বাদে হাতে স্যুপের বাটি নিয়ে ফিরল।তার যখন জ্বর হত তখন নাকি একমাত্র স্যুপটাই খেত।তাই এটাই মাথায় এসেছে।স্যুপের বাটিটা টেবিলের ওপর রেখে পাশে বসল প্রণয়ের। প্রণয়ের দিকে তাকাতেই বু/কটা যেন ভারি হয়ে গেল।কান্না পাচ্ছে তার? কিন্তু কান্নার কি আছে? সামান্য জ্বরই তো হয়েছে। সিজন চেন্জ হয়েছে এখন প্রায় সব ঘরেই জ্বরের অবস্থান। গতকাল দিনাকে ফোন দিয়েছিল সে ও তো বলল -জাওয়াদের জ্বর হয়েছে।যদিও সূচনার মনে হয়েছে দিনা অনেকটা চিন্তিত, তার গলার স্বর তাই বলছিল।সে উল্টো ভাবছিল -এতটুকু তেই কেমন চিন্তিত হয়ে গেছে দিনা। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে কারণ সে নিজেও একই অবস্থায় আছে। প্রণয়কে ডেকে তুললো,অর্ধেক টা স্যুপ খায়িয়ে দিয়ে মেডিসিন দিতেই আবারও শুয়ে পরল প্রণয়।স্যুপের বাটিটা রান্নাঘরে রেখে আবারও রুমে আসলো সূচনা।কী করবে সে?কেউ তো ঘুম থেকে উঠেইনি।তিথি উঠেছে শুধু। সে রান্নাঘরে যাওয়ার সময় ই তিথিকে দেখেছিল ড্রয়িং রুমে হাটাহাটি করতে।সূচনা কিছু বলার আগেই জিজ্ঞেস করে বসলো-

–‘ভাবি ভাইয়া কি ঘুমাচ্ছে?

সূচনা অবাক হয়ে তাকিয়েছিল। তার চাহনি দেখে তিথি বললো –

–‘ওহ আমি জানি,ভাইয়া চলে এসেছে। ভাইয়া এসে ইরাপুকে কল দিয়েছিল কিন্তু আপুর ফোন অফ দেখে আমাকে কল দেয় পরে আমিই সদর দরজা খুলে দিয়েছিলাম। ভাইয়া কি ঘুমাচ্ছে? স্যুপ কার জন্য বানিয়েছিলে এত সকালে?

–‘আসলে তোমার ভাইয়ার জ্বর হয়েছে।

প্রণয়ের জ্বরের কথা শুনে তিথি অস্থির হয়ে গেলেও সূচনা আশ্বাস দিয়েছে।তিথিকে চা বানিয়ে রুমে দিয়ে এসেছে।সে পড়ছে আর এখন তার সামনে বসে থাকা মানে তার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটানো।অগ্যতা রুমে এসে পড়েছে।বড় কথা প্রণয়কে একা রেখে যাওয়ার কথাটা মাথায় ই আসেনি তার।প্রণয়ের পাশে বসেই এসব ভাবছে সূচনা।তার দৃষ্টি প্রণয়ে নিবদ্ধ। সে ভাবছে- পরিস্থিতি কীভাবে কীভাবে বদলে যায়। কিছুদিন আগেও তার জ্বর হত আর তার মা শিয়রে বসে থাকত তার,মাথায় হাত বুলিয়ে দিত।আর আজকে সে বসে আছে।মিসেস দিশা প্রায় ই তাকে বলতেন-

–‘শোন সূচি,পরিস্থিতি কিন্তু সবসময় একরকম থাকেনা।এখন যেমন আছিস সবসময় তেমন থাকবিনা। একদিন তোরও বিয়ে হবে, সংসার হবে। পরিস্থিতি অবুঝকেও বুঝদার করে গড়ে তোলে।যে মানুষটা একসময় অন্যের ওপর নির্ভর করে বাঁচত একটা সময় সে মানুষটাকে ঘিরেই একটা পরিবার গড়ে ওঠব।সবই পরিস্থিতির খেলা।’

আসলেই ঠিকই তো বলতেন। পরিস্থিতির খেলা সব।প্রণয়ের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে দেয়াল ঘড়িতে সময় পরখ করে নিল।পৌনে সাতটার মতো বাজে।প্রণয়ের চুলে বিচরণ করা হাতটা হঠাৎ থেমে গেল সূচনার।সে থামায়নি,প্রণয় ধরেছে তার হাত।দেয়াল ঘড়ি থকে দৃষ্টি এসে ঠেকল প্রণয়ের পানে।প্রণয় বারকয়েক পলক ফেলতে ফেলতে সূচনাকে দেখছে।তার দিকে তাকিয়ে থেকে হালকা হেসে বললো-

–‘তোমার হাতে জাদু আছে,,মাথাটা হালকা লাগছে এখন।

সূচনা খুশি হয়ে গেল বোধহয়, ঠোট এলিয়ে হাসলো। কিন্তু সেই হাসি ক্ষণিকেই বিস্ম/য়ে পরিণত হলো।প্রণয় একহাতে তার কোমর আ/কড়ে ধরে মুখ গুঁ/জল তার পে/টে। মৃদু স্বরে বললো-

–‘ ঘুম পেয়েছে জান। তুমি সাথে না শুলে ঘুমাব না।

সূচনার কিংক/র্তব্যবিমুঢ় হয়ে গেছে। প্রণয় আবার তার কথাটুকু আওড়ালো।সূচনা কোনো রকম উত্তর দিল-

–‘আ,,আপনি ঘুমান,আমি ঘুমাব না।

–‘তোমাকে ঘুমাতে বলেছে কে?ঘুমাব তো আমি।

–‘তাহলে আমি শুতে যাব কেন?ছাড়ুন।

–‘বেশি কথা বলো তুমি,,জ্বর এসেছে তাই বলে যে দুর্বল হয়ে গেছি ভেবোনা। এটুকু জ্বরে মিয়িয়ে যাব না আমি। শোও,,না হয়।

প্রণয় সরে গেল সূচনা কে ছেড়ে দিয়ে। প্রণয়ের পাশে ই কিঞ্চিৎ দূরত্ব রেখে শুয়ে পরল সূচনা।প্রণয় এক হাত দিয়ে সূচনাকে কম্ফোর্টার সহ টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল।ফিচেল কণ্ঠে বললো –

–‘আমার ঠান্ডা লাগছে।

প্রণয়ের সংস্পর্শে আসতেই যেন সূচনার ভেতরটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে একদম।নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে কম্পন রত কণ্ঠে বললো –

–‘আ,,আমাকে ছা,ছাড়ুন,আ,,আমি আরেকটা ক,কম্ফোর্টার এনে দিচ্ছি।

–‘আমার কম্ফোর্টার লাগবে না, তোমাকে লাগবে।এই ঠান্ডা কম্ফোর্টারে না তোমার নরম কায়ার উষ্ণ আলি/ঙ্গনে কমবে।ডোন্ট মুভ জান,আই নিড ইউ,আই নিড ইউর আর্মস।

ব্যস এটুকুই যথেষ্ট ছিল,,সূচনা জমে যেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। নড়া/চড়া বন্ধ হয়ে গেছে তার।একদম গুটিশুটি মে/রে শুয়ে রইলো।প্রণয় দুহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো সূচনাকে। গালে ঠোঁ/ট ছুয়িয়ে বললো-

–‘ আই ফিল পিস নাও।
____________________________
সকাল দশটা।ড্রয়িং রুমে বসে টিভি দেখছেন ইসহাক সাহেব। টিভিতে নিউজ চলছে, কোনো এক অফিসারকে সাসপেন্ড করে দেয়া হয়েছে,বহু বছর ধরে সে জনসেবার নামে ঘুষ খেয়ে যাচ্ছিল।তার নিচে দিয়ে ই হেডলাইন দেখা গেল। **** হসপিটালের মালিকের মৃত্যু হয়েছে বারো তলা থেকে পড়ে।সেটা সুই/সাইড ভাবছে পুলিশরা কিন্তু খতি’য়ে দেখবেন সত্যি টা আদৌ কি।ইসহাক সাহেব টিভ অফ করে দিলেন। আফসোসের স্বরে বললেন-

–‘জনগনের নিরাপত্তা দেয়া হয় পুলিশদের হাতে আর তারা ই সেই নিরাপত্তা হরণ করে।

–‘সবাই তো এক না মামা,,এসব অফিসারদের ভিড়ে কিছু সৎ অফিসার ও আছে।না থাকলে তো এই অফিসারের সত্যি টা বের করতে পারত না।

সোফায় বসতে বসতে ইসহাক সাহেব কে বললো প্রণয়।তাকে দেখে ইসহাক সাহেব বললেন –

–‘সেটা ঠিক বলেছিস,,সত্যি ই সে বাহাদুর বলতে হয়।কিন্তু এমন একজন দুইজন ফ্রড অফিসারদের জন্য সবাইকেই খা/রাপ বানিয়ে ফেলে।যাক সেসব তোর জ্বর কমেছে?

–‘হ্যা ঠিক আছি এখন।ঔই অফিসারটা কিন্তু আমার বন্ধু মামা।

–‘কী বলিস?

–‘হ্যা।

–‘তাহলে তো দেখা করতে হয়।

–‘হবে, সে এখানেই জয়েন হয়েছে।

–‘আচ্ছা,,নাম কী তার?

–‘মুগ্ধ।
_________________________
–‘কন্গরেচুলেশন মি.মুগ্ধ। ডিউটিতে জয়েন হয়েই এত বড় একটা কাজ করেছেন আপনি। ওয়েল ডান।

উপরোক্ত কথা শুনে মুগ্ধ ঠোট এলিয়ে হাসলো।কৃতজ্ঞতার সহিত বললো-

–‘শুকরিয়া স্যার। দোয়া আর বিশ্বাস রাখবেন যেন সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারি।

–‘অবশ্যই।রেগুলার হয়ে জয়েন হবে কবে?

–‘যবে আপনি বলবেন।

–‘আমি তো বলব কালকেই হতে। তোমার মতো ডেডিকেটেড অফিসার কে শীঘ্রই চাই আমাদের ডিপার্টমেন্টে।

–‘ঠিক আছে তাহলে।

পুলিশ স্টেশন থেকে বেড়িয়ে আসলো মুগ্ধ। বাইরে ফোন বের করে কল লাগালো কাউকে।ফোন ওপাশ থেকে রিসিভ হলে মুগ্ধ হাসিমুখে বললো-

–‘ভাই কাজ হয়ে গেছে,তোর প্ল্যান কাজ করে গেছে।এবার তো শান্তি পাবি তুই।

ওপাশ থেকে…

–‘হ্যা,,,তোর ক্রেডিট।

–‘মজা নিসনা,, প্ল্যান তোর ক্রেডিট ও তোর আমি তো একটু অভিনয় করেছিলাম।

–‘ হুম। মামা আপনার কাজে মুগ্ধ হয়ে গেছেন মি.মুগ্ধ। দেখা করতে চায় বলছেন।

–‘কী বলিস?সত্যি?

–‘ হ্যা।

–‘আচ্ছা দেখা তো অবশ্যই করব তাকেও তো প/টাতে মানে মুগ্ধ করতে হবে। কারণ তোর মামা তো আমারও মামা হেহেহে।

–‘রাখ,,বাসায় যা,,ঘুমা।

–‘হুম।

ফোন কে/টে বু/কে হাত দিয়ে লম্বা শ্বাস নিল মুগ্ধ। কি বলতে কি বলে ফেলছিল।আর একটু হলেই শেষ।তবে খুশি খুশি লাগছে তার অনেক।মে/জাজ একেবারে ফুর/ফুরে।
_________________________
–‘আমি একটু ছাদে যাব,,বৃষ্টি তে ভিজতে দিবেন আজকে?

–‘অসময়ের বৃষ্টি তে ভিজলে জ্বর উঠবে।

–‘বেশি না একটু।প্লিজ।

–‘ঠিক আছে তবে আমিও যাব।

–‘কে,,কেন?

–‘তুমি বৃষ্টি তে ভিজবে আমি দেখব তোমাকে।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here