প্রতিশোধ পর্ব ১১+১২

গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ১১+১২
লেখাঃ #Mst_Liza
,
মিরাঃ আপনার মতো পুরুষের সাথে সংসার করা যায়? আমার জীবনটায় শেষ করে দিলেন।ইচ্ছা তো করছে আপনাকে.. দাঁতেদাঁত চেপে মিরা এদিকে, ওদিকে তাকাতে থাকে..

সোহাগ এক ঝাটকায় টেনে মিরাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।

সোহাগ মির্জাঃ বেশি পকপক করছো কিন্তু তুমি।

মিরাঃ আমি পকপক করছি? ছাড়ুন আমাকে! আপনার সাথে আমি আর এক মুহূর্তও থাকবো না।

সোহাগ মির্জাঃ এভাবে থামবে না তুমি! তোমাকে আমি?

মিরাঃ কি করবেন মারবেন? মারুন। শুধু তো ওইটাই করতে পারেন।

সোহাগ মির্জাঃ না তোমাকে আর মারা যাবে না।অন্যরকম শাস্তি দিতে হবে।

মিরাঃ অন্যরকম শাস্তি?

সোহাগ মির্জাঃ হুমম। দিয়ে দেখায়?

মিরাঃ দেখুন আপনি যদি এখন উল্টা পাল্টা কিছু করেন তাহলে ভালো হবে না বলে দিলাম।

মিরা আর কিছু বলার আগেই সোহাগ মিরার মুখটা উঁচু করে মিরার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নেয়। মিরার মাথাটা এমন ভাবে চেপে ধরে রাখে, যে চাইলেও মিরা সোহাগের থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারে না।মিরা অনেক দাপাঁদাপিঁ ঝাপাঁঝাপিঁ করতে থাকে। সোহাগের তাতে কোনো হুশ নেয়।সে এবার মিরার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে কপালে, গালে, গলায়, মুখে কিস করতে ব্যস্ত।

মিরা হাতদুটো দিয়ে সোহাগের বুকে আর পিঠে ইচ্ছামত নখের আচর দেয়।সোহাগ আহ্ করে ওঠে। মিরাকে ছেড়ে দিয়ে মিরার মুখের দিকে তাকায়।মিরা সোহাগকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরাতে চাই।আর সোহাগ মিরার হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরে।

সোহাগ মির্জাঃ কি হচ্ছে তোমার? আমাকে ভালো লাগছে না?

মিরাঃ ছাড়ুন আমায়! আপনি আমাকে স্পর্শ করবেন না!

সোহাগ মির্জাঃ তাই নাকি? তোমাকে আমি..

সোহাগ আবার মিরার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট জোড়া বসিয়ে দেয়।অনেকক্ষণ এভাবে থাকার পর
সোহাগ মিরাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গিয়ে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে থাকে।

মিরা সোহাগকে টেনে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়।রাগী দৃষ্টিতে সোহাগের দিকে তাকায়।

মিরাঃ এটা কি করলেন আপনি?

সোহাগ একটু মুচকি হেসে মিরার গালটা আকড়ে ধরে।

সোহাগ মির্জাঃ কি করলাম দেখতে পাও নি? আমার বউটাকে আদর করেছি।

মিরাঃ কেন করলেন?

সোহাগ মির্জাঃ আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই!

মিরাঃ ইচ্ছা হয়েছে বলেই আমার কাছে আসবেন? আমায় জোড় করে আদর করবেন?
সোহাগের শার্টের কলারটা মিরা টেনে ধরে,
যখন আপনার ইচ্ছা হবে আমার প্রতি অত্যাচার করবেন।ইচ্ছা হলেই চোখের সামনে অন্য মেয়ে নিয়ে বেড রুমে চলে যাবেন।এই, আর কত অপমান করবেন আমাকে বলতে পারেন?

সোহাগ মির্জাঃ আমি তোমাকে অপমান করেছি?

মিরাঃ এটা অপমান ছাড়া আর কি? এখন তো আপনার কোথাকার কোন বউকে বাড়িতে এনে রেখেছেন।আপনার বেড রুমে তো এখন থেকে সেই থাকবে। আমার কোনও মান-সম্মাণ কি আছে আপনার কাছে? বিয়ের পর থেকে চোখের সামনে প্রতিনিয়ত আপনার পরকিয়া দেখতে হয়েছে।এরপরও আপনার সাথে কিভাবে থাকি বলুন তো?

সোহাগ রেগে যায়।মিরার গালটা জোড়ে চেপে ধরে।

সোহাগ মির্জাঃ সমস্যাটা কি তোমার? একটা কথা একবার বললে কি বোঝ না?

মিরার চোখে পানি চলে আসে।

মিরাঃ আজ যদি আপনি আমায় মেরে ফেলেন তবুও বলবো আপনি একজন দুশ্চরিত্র, খারাপ, নোংরা মানুষ!

সোহাগ মির্জাঃ মিরা আমাকে রাগীও না কিন্তু।

মিরাঃ আমি আপনাকে রাগাছি? আমি তো আপনাকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম।আর আপনি কি করলেন? আসলে আমারই ভুল। আমার বোঝা উচিৎ ছিল আপনি কখনও শুধরাবেন না।

সোহাগ মিরাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে যায়।মিরার উল্টো দিকে মুখ করে দাড়িয়ে থাকে।

সোহাগ মির্জাঃ সরি!

মিরাঃ সরি! সরি বললেন আর সব ঠিক হয়ে গেল?

সোহাগ মির্জাঃ কেন এমন করছো তুমি?

মিরাঃ বুঝতে পারছেন না? আমার উপর যেভাবে নিজের অধিকার বোধটা খাটান, এতে আমার অসহ্য লাগে।

সোহাগ মির্জাঃ ঠিক আছে! এরপর থেকে তুমি না চাইলে আমি আর তোমার কাছে আসবো না।

মিরাঃ তা কেন আসবেন এখন তো নতুন শরীর পেয়ে গেছেন।

সোহাগ মির্জাঃ কি চাউ তুমি বল তো? আমি কি এই বাড়ি থেকে চলে যাব? এতো অশান্তি আমি আর নিতে পারছি না!

মিরাঃ অশান্তি কি আমি করি?

সোহাগ মির্জাঃ আমি কি সেটা বলেছি?

মিরাঃ আপনার বলা আর না বলায় কি যায় আসে সতিন তো ঢুকিয়ে ফেলেছেন আমার জীবনে।

সোহাগ ঘুরে মিরার সামনে আসে।

সোহাগ মির্জাঃ তোমাকে আমি কিভাবে বললে বুঝবে বল তো?

মিরাঃ আমার যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে।আমি আর আপনার সাথে থাকতে চাই না।

সোহাগ মির্জাঃ কি চাউ তুমি?

মিরাঃ ডিভোর্স!

সোহাগ মির্জাঃ এই মিরা মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে তোমার? কি বলছো ভেবে বলছো? বিশ্বাস কর! ঐ মেয়েটিকে আমি চিনি না।

এমন সময় জড়িনা ড্যাং,ড্যাং করে লাফিয়ে সিঁড়ি থেকে গান গাইতে গাইতে নামে।

ঝুঁঠ বোলে কাউয়া কাটে…
কালি কাউয়ে ছে ডারিও..
মে মাইকে চালি যাউংগি..
তুম দেখতে রাহিও
মে মাইকে চালি যাউংগি..
তুম দেখতে রাহিও

জড়িনা গান গাইতে গাইতে সোহাগ আর মিরার চারপাশে হাততালি বাজিয়ে বাজিয়ে ঘুরছে।

মিরাঃ এই মেয়ে, এইভাবে লাফাচ্ছো কেন?

জড়িনাঃ মনে সুখ জাগছে তো তাই।আচ্ছা, সতীন আফা! আপনে কি আজই চইলা যাইবেন? আমি কি আপনের ব্যাগ পত্র সব গুছাইয়া দিবু? ভালোই হইবে! আমারও ইচ্ছা করে না সতীনের ঘড় করতে।

মিরা সোহাগের দিকে তাকায়,

মিরাঃ শুনেছেন? এরপরও আপনার সাথে থাকা যায়?

চলবে…..

গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ১২
লেখাঃ #Mst_Liza
,
সব অশান্তির মূলে তুই।আই আমার সাথে,, সোহাগ জড়িনার হাত ধরে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়।জড়িনাকে বের করে দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে একটা স্বস্থির নিশ্বাস ছাড়ে।তারপর মিরার সামনে এসে দাড়ায়।

সোহাগ মির্জাঃ এবার খুশি হয়েছো তো তুমি?

মিরাঃ ,,,,,

সোহাগ মির্জাঃ কি হলো কথা বল?

মিরাঃ কি বলব?

সোহাগ মির্জাঃ মেয়েটিকে বের করে দিয়েছি।দেখতে পেয়েছো?

মিরাঃ আমাকে দেখানোর জন্য কি বের করেছেন?

সোহাগ মির্জাঃ নাহ

মিরাঃ তাহলে আমাকে কেন বলছেন?

সোহাগ চুপ করে থাকে।কারণ সে ভালো করেই যানে, এখন কিছু বললেই মিরা আবার ঝগড়া শুরু করে দেবে।মিরা একটু আড় চোখে সোহাগের দিকে তাকিয়ে পাশ কেটে চলে যায়।
সোহাগ বুঝতে পারে মিরা তার উপর ভীষণ রেগে আছে।তাই দুশ্চিন্তায় পরে থাকে।সোহাগ অফিসে না গিয়ে বসে বসে ভাবে কিভাবে মিরার রাগ ভাঙাবে! ওদিকে মিরাও মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।সোহাগ আর মিরার কাছে আসছে না দেখে।

দুপুরে সোহাগ রান্না করছে হঠাৎ দেখে মিরাকে কিচেনের বাইরে থেকে উঁকি ঝুঁকি দিতে। সোহাগ মিরাকে টেনে এনে পাশে দাড় করিয়ে রান্না করতে থাকে।রান্না করতে করতে সোহাগ মিরার সাথে অনেক কথা বলে কিন্তু মিরা সোহাগের সাথে একটাও কথা বলে না। সোহাগ রেগে মিরাকে কিছু বলতে গেলেই মিরা তখনও ঝগড়া শুরু করে দেয়।
রাইশা খাবার টেবিলে বসে তার শাশুড়ী মায়ের সাথে ফোনালাপ করছিল।ভাইয়া, ভাবীর ঝগড়া শুনে ফোনটা রেখে দৌড়ে এসে দেখে ভাইয়ার মাথার উপর ময়দার কৌটা।আস্তে করে ময়দার কৌটা’টা মাথা থেকে তুলতেই ভাইয়ার সারা শরীরে ময়দার গুড়া লেগে ভুতের মতো দেখতে লাগছে।আর ভাবী হাসছে।

সোহাগ মির্জাঃ এটা কি করলে?

মিরাঃ বেশ করেছি! আমার উপর চিল্লাচ্ছিলেন কেন?

সোহাগ মির্জাঃ আমি তোমার উপর চিল্লাচ্ছিলাম?

মিরাঃ হুমম।সব সময় নিজের অধিকার খাটাবেন সেটা হবে না।

সোহাগ মির্জাঃ তাই নাকি?
সোহাগ মিরাকে ময়দা মাখা অবস্থায় জড়িয়ে ধরে।দুজনের খুনসুটি মূলক রোমাঞ্চ দেখে রাইশার মনটা খারাপ হয়ে যায়।রাইশা রাইসূলের কথা ভাবতে ভাবতে সেখান থেকে চলে আসে। আর তো মাত্র কটাদিন! তারপর রাইসূলও এমন ভাবেই রাইশার কাছে থাকবে!

-ঠাসসসস
-আপু
-একটা কাজ দিয়েছিলাম সেটাও করতে পারলি না?
– আমি আবার যাব আপু!
-আবার যাবি? কি করতে যাবি?
-সরি আপু!
– তুই না চলচ্চিত্রের একজন ভালো অভিনেত্রী? কেমন অভিনয় করলি যে একটা ঘন্টাও সোহাগ মির্জার বাড়িতে থাকতে পারলি না?
-আমাকে আর একটাবার লাস্ট সুযোগ দাও আপু।আমি ঠিকমতই অভিনয়টা করছিলাম কিন্তু এমন ভাবে বের করে দেবে সেটা বুঝতে পারি নি।
-বের করে দিলেই চলে আসতে হবে?
-আমি অনেক বার কলিং বেল বাজিয়ে ছিলাম।কিন্তু কেউ দরজাটা খুলছিল না!
-তাই চলে আসবি? তুই অপেক্ষা করতিস? যানিস না সোহাগ মির্জা আমাদের সাথে কি কি করেছে?
-সব যানি আপু! তুমি আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও।
-তোকে যেটা বলেছিলাম করেছিস?
-হ্যা আপু, আমি সোহাগ মির্জার বাড়ির নানা জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে এসেছি।
-গুড।একটা কাজ অন্তত করেছিস।চল গিয়ে দেখি কি করছে!

মির্জা প্যালেস,,,,
দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ।এটোঁ থালা-বাসন পরিষ্কার করে সোহাগ মিরাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যায়।

মিরাঃ কি হলো? এখানে নিয়ে আসলেন কেন?

সোহাগ মির্জাঃ কাল কি বলেছিলে মনে নেই?

মিরাঃ কি বলেছিলাম?

সোহাগ মির্জাঃ মনে পরছে না?

মিরাঃ নাহ

সোহাগ মির্জাঃ বলেছিলে,,,,সকালে ঘুম থেকে উঠেই রাইশা আর আমার জন্য চা করে দিবেন।তারপর সকালের নাস্তা বানিয়ে আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করে অফিসে যাবেন।দুপুরে জাস্ট বারোটা বাজলেই বাড়িতে চলে আসতে হবে।নিজের হাতে রান্না করে আমাদের সাথে লান্স করবেন।তারপর এঁটো থালা-বাসন পরিষ্কার করে দু’ঘন্টা আমার শরীরের যেখানে যেখানে এতোদিন আঘাত করেছেন সেখানে সেখানে ম্যাসার্চ করে দিবেন।

মিরাঃ আপনি কি এখানে আমার শরীরের ম্যাসার্চ করতে এনেছেন?

সোহাগ মির্জাঃ বুঝেছো তাহলে?

মিরাঃ যান করা লাগবে না।আপনার এই শাস্তিটা মওকুফ করে দিলাম।

সোহাগ মির্জাঃ তা বললে তো আমি শুনছি না।সারাদিন ধরে এতো খাটা-খাটনি করে সংসারের সব কাজ করেছি।আর তুমি কি ভাবো এখন এটুকু কাজ করতে পারবো না? সোহাগ মিরাকে নিয়ে বিছানায় উঠিয়ে বসায়।এবার বলো তো তোমার শরীরের কোথায় কোথায় আঘাত করেছি আমি! কি হলো তারাতাড়ি দেখাও। তুমি যদি না দেখাও আমি ম্যাসার্চ করা কখন শুরু করব?

মিরা বিছানার থেকে উঠে যায়।

মিরাঃ আপনার এসব ন্যাকামো দেখতে আমার ভালো লাগছে না।

সোহাগ মির্জাঃ তাই নাকি? বেশি কথা না বলে চুপচাপ বিছানায় আসো।

মিরাঃ নাহ

সোহাগ আবার মিরাকে বিছানায় বসিয়ে দেয়।মিরা আবার উঠে যায়।সোহাগ আবার বসিয়ে দেয়।মিরা আবার উঠে যায়।তারপর সোহাগ নিজেই উঠে দাড়ায়।

সোহাগ মির্জাঃ বসবে না তো?? ঠিক আছে!!
সোহাগ মিরাকে একটানে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।হাত দুটো মিরার কোমড়ে গুজে থুতনিটা মিরার মাথার সিঁতিতে ঠেকায়।আস্তে আস্তে মিরার চুলের কাছে নাকটি নিয়ে আসে।তারপর মিরার চুলে নাক ডুবিয়ে কিছুক্ষণ পর ঠোঁটের পরস দিতে মিরার গলাতে এসে থেমে যায়।মিরার পিঠে সোহাগের হাত পরতেই মিরা আহ্ করে ওঠে। তখন সোহাগ মিরাকে ছেড়ে দিতে চাই কিন্তু মিরা সোহাগকে শক্ত করে ধরে রাখে তাই সোহাগ আবার মিরাকে কাছে টেনে নিয়ে পিঠে আলতো ভাবে হাত বুলায়।

সোহাগ মির্জাঃ মিরা?

মিরাঃ উমম

সোহাগ মির্জাঃ আমি তোমার প্রতি খুব অন্যায় করেছি তাই না?

মিরাঃ হুমম

সোহাগ মির্জাঃ আর করবো না দেখো! এখন থেকে প্রচুর আদর দেব। তোমাকে আমি সবসময় ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখব।

হঠাৎ সোহাগের ফোনটা বেজে ওঠে।সোহাগ তাকিয়ে দেখে আন-নন নাম্বার। ফোনটা কাটতে যাবে মিরা বলে আজ অফিসে যান নি ইমপ্রোটেন্ট ফোনকল হয়তো।রিসিভ করন।সোহাগ রিসিভ করতেই,

ওপাশ থেকেঃকি সোহাগ মির্জা বউকে আদর করা হচ্ছে?

সোহাগ মিরাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেয়।কন্ঠস্বরটা খুবই পরিচিত লাগছে।

সোহাগ মির্জাঃ কে বলছেন?

ওপাশ থেকেঃ আমাকে আপনি খুব ভালো করেই চেনেন। আপনাকে বলেছিলাম না? প্রতিশোধটা তোলা থাকলো।ধরে নিন আজ থেকেই শুরু।

সোহাগ মির্জাঃ মানে???

ওপাশ থেকেঃ মানেটা সময় হলেই বুঝতে পারবেন।আজ এটুকুই যেনে রাখুন “আমি আসছি সোহাগ মির্জা খুব শিগগিরই আসছি।”

সোহাগ মির্জাঃ হ্যালো হ্যাল….

টুট টুট টুট……

কলটা কেটে যায়।সোহাগের আর বুঝতে বাকি থাকে না কলটা কে করেছিল! তাই দেরী না করেই ওয়াশরুমে গিয়ে খুব দ্রুত রেডী হয়ে বেরিয়ে আসে।

মিরাঃ একি?? কোথাও যাচ্ছেন?

সোহাগ মির্জাঃ,,,,,

মিরাঃ কি হলো কথা বলুন?

সোহাগ মির্জাঃ এখন আমি তোমাকে কিছু বলতে পারছি না।ফিরে এসে সব বুঝিয়ে বলব।

মিরাঃ কখন ফিরবেন?

সোহাগ মির্জাঃ রাতে।

মিরাঃ বেশি রাত করবেন না কিন্তু।

সোহাগ মির্জাঃ ঠিক আছে। রাইশা আর তুমি সাবধানে থেকো।কলিং বেল বাজলেই দরজা খুলে দিও না।আমি আসলে ফোন করব তখন খুলো।

মিরাঃ কেন খুললে কি হবে? এমন ভাবে বলছেন যেন ডাকাত আস….

সোহাগ মির্জাঃ উসসসস!
বড্ড বেশি কথা বল তুমি! যা বলেছি তাই করো।মনে থাকবে?

মিরাঃ হুমম

মিরার কপালে একটা চুমু এঁকে দিয়ে বেরিয়ে যায় সোহাগ।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here