#প্রতিশোধ
#পর্বঃ ০১+২
লেখাঃ Mst Liza
তোর বুকের কাপড় ফ্যাল।বলেই একটানে মিরার বুক থেকে শাড়ির আচঁলটি টেনে খুলে ফেলে সোহাগ মির্জা।মিরার গলায় আর বুকে পাগলের মতোন কিস
করতে থাকে। তারপর একটা একটা করে ব্লাউজের সবগুলো হুক খুলে ফেলে।মিরাঃ এসব কি করছেন আপনি?
ঠাসসস করে একটা চর বসিয়ে দেই মিরার গালে।আয় আমার সাথে আয়।খুব সক তোর আমার বউ হবি তাই না? আজ তোর সব স্বাদ আমি মিটিয়ে ছাড়ব!! শাড়ির আচঁলটা উঠিয়ে মিরার বুকের সাথে চেপে ধরে, সিঁরি থেকে ঘেষতে ঘেষতে টেনে ঘড়ে নিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে বিছানায় ছুড়ে মারে মিরাকে।সার্টের বোতামগুলো একটান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে সার্টটি খুলে মিরার মুখের কাছে ছুড়ে মারে।তারপর মিরার বুকের উপর গিয়ে ঝাপিয়ে পরে।সোহাগ তার হাত দিয়ে মিরার হাতদুটি শক্ত করে চেপে ধরে আছে বিছানার সাথে।মিরার হাতের কাচের চুরিগুলো ভেঙে রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে বিছানার চাদর।মিরাঃদেখুন আমার খুব লাগছে।ছাড়ুন বলছি।আহহহ করে মিরা চিৎকার করেই চলেছে কিন্তু সোহাগের তাতে কিচ্ছু যাই আসে না।মিরার গলাই জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে দেই।একদম পৈচাশিক নিয়মে নিজের খেলায় মেতে উঠেছে সোহাগ মির্জা,,,,,
।
কিছুক্ষণ পর,,বিছানায় এলোমেলো ভাবে বসে আছে মিরা।পুরো শরীরের ব্যাথায় কুকড়ে আছে।বিছানার চাদরটি শরীরের সাথে পেচিয়ে ওয়াশরুমের দিকে আগাচ্ছে।এক পা এক পা করে ওয়াসরুমে ঢুকেই দরজাটা বন্ধ করে পানি ছেড়ে দিয়ে বসে আছে মিরা।তারপর কাঁদতে কাঁদতে মিরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
।
জ্ঞান ফিরলে মিরা নিজেকে আবিষ্কার করে সোহাগের ঘড়ের সোফায়।খেয়াল করে তার পড়নে স্যালোয়ার কামিজ।সে ভেবে দেখে তার শরীরে তো চাদর প্যাচানো ছিল তাহলে এই পোশাক কোথা থেকে আসলো! কিছু বুঝতে পারছে না সে। বিছানা থেকে যেই উঠতে যাবে তখনই খেয়াল হলো তার সারা শরীরে এক অসহনীয় ব্যাথা।তখন তার কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল।কতটা হিংস্র এই লোকটা।যে তার নিজের বউয়ের সামনে পর নারীর সাথে রাত্রী যাপন করে।বিয়ের পর থেকে কখনও নিজের বউকে কাছে টানে নি।যদিও কোনও দিন কোনও মেয়েকে রাতে নিজের সাথে না আনতে পেরেছে তখনও তাকে সোফায় সুতে বলে দিব্যি নিজের বিছানায় ঘুমিয়েছে।কিন্তু কাল কি করল সে এটা? কি দোষ ছিল মিরার? সে একবার শুধু নিজের অধিকার দাবি করাই এইভাবে হিংস্র রূপ ধারণ করল সোহাগ মির্জা?!
।
অন্যদিকে হসপিতালের বেডে সুয়ে থাকা মেয়েটির হাত ধরে অঝোরে কেঁদেই চলেছে সোহাগ মির্জা।যেই সোহাগ মির্জার সামান্য চোখ রাঙানোতেও মানুষ ভয়ে গুটিয়ে পড়ে।আজ তার চোখে পানি।-যানিস ছুটকি আজ তোর জন্মদিন! একদিন এই দিনটাই তুই বাইনা ধরেছিলি বাবার কাছে, আমাদের নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার যেতে হবে।আমি, তুই, মা-বাবা আমরা গিয়েছিলামও।তারপর ফিরে আসার পথে একদল লোক ছিনতায়কারীর বেশে আমাদের চলতি গাড়িটি থামিয়ে আটক করে।তোর আর আমার গলার কাছে ধাড়ারো চাকু ধরায় বাবা-মার কাছে যা টাকা, পয়সা আর গহনা ছিল সব দিয়েছিল।কিন্তু তাতেও তারা খুশি হয়নি।তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল শিশু পাচার করা।যখন কথাটি বাবা-মা যানতে পারে তখন বাবার সাথে লোকগুলোর দস্তাদস্তি হয়।আর সেই সুযোগে মা আমাদের একটা গাড়ির মধ্যে বসিয়ে দেই।অতঃপর বাবার কাছে ফিরে যাই।লোকগুলোর আমাদের দুইজনকে দেখতে না পেরে খুবই তীক্ষ্ণ দৃস্টিতে বাবার দিকে তাকায়।-বস আমাদের বলেই দিয়েছে, দুইটা শিশু কম পরেছে। আজকের রাতের মধ্যেই যেভাবেই হোক দুইটা শিশু বসের কাছে নিয়ে যেতেই হবে।কাল সকালেই বিদেশে পাচার করা হবে।তোদের জন্য আমরা আমাদের শিকার হারিয়েছে।এখান থেকে তোরা তোদের প্রাণ নিয়ে বেচেঁ ফিরতে পারবি না।এই তোরা ধর তো ওদের।তারপর বাবা-মায়ের বুকে বন্দুকের গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝাজড়া করে দিয়ে ওরা চলে যেতে লাগলে তুই গাড়ির ভেতরের কাচের ফাঁক থেকে ঐ দৃশ্যটা দেখে চিৎকার দিতে যাচ্ছিলি।তখন আমি তোর মুখটা সঙ্গে সঙ্গে জোড়ে টিপে ধরি। লোকগুলো চলে গেলে আমরা বাবা-মায়ের কাছে যায়।বাবা ততোক্ষণে আর বেচেঁ ছিল না।মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে বলেছিল তোকে দেখে রাখতে।সবসময় তোর খেয়াল রাখতে।আমি মাকে কথাও দিয়েছিলাম।কিন্তু মাকে দেওয়া সেই কথা আমি রাখতে পারি নি রে বোন।তবে আমি চেস্টা করেছিলাম জানিস।খুব চেস্টা করেছিলাম। তখন থেকেই তো আমি তোর বাবা এবং মা দুটোই হয়ে যায়।তোকে খাইয়ে দেওয়া, চুল বেধেঁ দেওয়া, ঘুমানোর সময় ঘুমপারানি গান গাওয়া সবই করেছি আমি।সব কি ভুলে গেলি তুই বোন? তুই আমার কথা একবারের জন্যও ভাবলি না? দুই দিনের ঐ ছেলেটার জন্য নিজের ভাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলি? -কি রে পাগলি তোর চোখে পানি কেন? তুই কিচ্ছু ভাবিস না যে তোর এই অবস্থার জন্য দায়ী তাকে আমি ছাড়বো না।সে সহ তার কাছের প্রত্যেকটা মানুষকে আমি ছারখার করে দেব।তিল তিল করে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অতিস্ট করে দেব তাদের জীবন।এটা তোর কাছে আমার ওয়াদা।
।
সোহাগের পি.এ হাসান।হাসান হঠাৎ কেবিনের দরজার সামনে এসে সোহাগকে কাদঁতে দেখলো।-এই আমি কি দেখছি, স্যার কাদঁছে?
সোহাগের চোখ দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকা হাসানের দিকে গেল।-এখানে কি করছো? তোমাকে না বলেছিলাম বাইরে দাড়িয়ে থাকতে? দেখছো না আমি আমার বোনের সাথে সময় কাটাচ্ছি?? -কিন্তু স্যার ইমপটেন্ট একটা মিটিং ছিল আজ।এক্ষুণী ফোন আসলো, না গেলে যে ২কোটি টাকা লস হয়ে যাবে। সোহাগ রক্ত চুক্ষু দিয়ে হাসানের দিকে তাকিয়ে বলল ২ কোটি কেন ২০০ কোটি টাকারও যদি লস হয়।আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আজ আমার বোনের জন্মদিন। আজ সারাদিন আমি আমার বোনের সাথে কাটাবো।
-কিন্তু স্যার।
-আর একটাও কথা না! এই সোহাগ মির্জা একবার যা বলে দেই সেটাই শেষ কথা।চোখদুটো বড় বড় করে বলল।হাসান সোহাগের দিকে তাকিয়ে দেখে সোহাগের চোখদুটো রাগে গজগজ করছে।ভয়ে আর কোনও কথা না বলেই হাসান চলে যায়।
বাইরে এসে হাসান নিজেই নিজেকে বলছে একজন অসর, কোমা যাওয়া রোগীর জন্য যত্তসব আদিক্ষেতা।এত্তো ইমপরটেন্ট একটা মিটিং এ নাকি যেতে পারবে না…
চলবে…..
গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ০২
লেখাঃ #Mst_Liza
,
এদিকে ডা.সাহারা এসে মিরার ক্ষত স্থানগুলোতে মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছে।
,
ডা.সাহারাঃ এত্তো কেয়ার লেস কেন আপনার হাজবেন্ড।ওনার মতোন একজন এতো বড় বিজনেন্সম্যান এমনটা করবে আমি কখনই ভাবতে পারি নি!! নিজের ওয়াইফকে শেষ পর্যন্ত ছিঃ
যেই ঔষুধগুলো দিচ্ছি নিয়মিত ক্ষতস্থানে লাগাবেন।আর এই টেবলেটগুলো খাবেন।আমি এখন আসি।
মিরাঃ ডা. একটা কথা জিজ্ঞাসা করব আপনার কাছে?
ডা.সাহারাঃ হ্যা, বলুন?
মিরাঃ আপনাকে কে এখানে আসতে বলল!
ডা.সাহারাঃ আপনার হাজবেন্ড আমাকে সকালে ফোন করে ছিল।
মিরা মনে মনে ভাবছে নিজেই অত্যাচার করবে আবার নিজেই ডা. কে ফোন করবে।কি চাই ওই লোকটা!আর কেন এমন করছে?বুঝেছি!! আমাকে সারিয়ে তুলে একটু একটু করে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিতে চাই।কিন্তু আমি করেছিটা কি? তাকে ভালোবেসে! তার মিথ্যা অভিনয় বিশ্বাস করে তাকে বিয়ে করেছি এটাই কি আমার দোষ? তাহলে কেন সে আমাকে সুখের স্বপ্ন দেখাতো।এখন তো ভেবেছে আমার সামনেই পরকিয়া করে বেড়াবে আর আমি তাকে বাধা দিব না।না তা আমি হতে দেব না।নস্ট করে দিল লোকটা আমার জীবন।এখন আমিও দেখবো কিভাবে পরকিয়া করে।
,
মিরা আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠার চেস্টা করে রান্নাঘড়ে আসল।বিয়ের পরই সোহাগ মির্জা বাড়ির সবগুলো কাজের লোককে ছুটিটে পাঠিয়ে দিয়েছে।মিরাকেই সব কাজ করতে হয়।এখন যদি দুপুরে রান্না করে না পাঠানো হয় তাহলে তো রাতে এসে আবার বড় কোনও শাস্তি মিরাকে দিয়ে দিবে।এই ভয়ে রান্নাঘড়ে গিয়ে আস্তে আস্তে রান্না করতে থাকে।রান্নার শেষে কেউ একজন আসলে খাবারটা টিফিনে করে পাঠিয়ে দেয়।
,
,
ঘড়ির কাটায় রাত ১টা ছুঁই ছুঁই,
,,
,,
কলিংবেলের আওয়াজে মিরার ঘুম ভেঙে যায়।অসুস্থ শরীরটা নিয়ে দরজাটা খুলতে একটু লেট হয়।দরজা খুলেই দেখে সোহাগ মির্জা একটি মেয়েকে বুকের সাথে মিশিয়ে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে আছে।তাকে দেখেও ছাড়ার নাম নেই।মিরাকে এড়িয়ে বাড়ির ভেতর যেই যেতে যাবে।ঠিক তখনই মিরা মেয়েটার হাত টান দিয়ে তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে এক ধাক্কায় নিচে ফেলে দেই।
সোহাগ মির্জাঃ তোর সাহশ তো কম নয়! তোকে তো আমি!
যেই মিরাকে চর দিতে যাবে তখন মিরা নিজের চোখদুটো বন্ধ করে ফেলে।আর সোহাগের চোখের সামনে মিরার শরীরের ক্ষতগুলো ভেসে আসে।কিছু একটা ভেবে মেয়েটাকে উঠিয়ে তার রুমের দিকে যেতে যাবে।মিরা চোখ খুলে পিঁছন থেকে মেয়েটার হাত আবার ধরে।
মিরাঃ দেখুন এই মেয়েটাকে আমি আপনার সাথে কিছুতেই যেতে দেব না!
সোহাগঃ ভালো ভাবে বলছি সরে যা আমাদের রাস্তা থেকে!
মিরাঃ আমি আপনার স্ত্রী! আমি বেচেঁ থাকতে ওই মেয়েকে নিয়ে আপনি আর এক পাও আগাতে পারবেন না।যদি ওই মেয়েটাকে নিয়ে আপনার থাকতেই হয় তাহলে আগে আমাকে মেরে ফেলুন।তাই ওকে নিয়ে আপনার ঘড়ে যান।
সোহাগঃ তোর দেখি আজ আবার স্ত্রী হবার সক যেগেছে! কালকের কথা ভুলে গেলি? ঠিক আছে আজ তাহলে কালকের মতো…
সোহাগ হাতের ইশারাই মেয়েটিকে চলে যেতে বলে।মেয়েটি চলে যায়।তারপর সোহাগ বাকাঁ দৃস্টিতে মিরার দিকে তাকায়।এবার সোহাগ একটু একটু করে মিরার দিকে আগাতে থাকে..সোহাগ যত আগাচ্ছে মিরা ততো পিছাচ্ছে।আস্তে আস্তে মিরা দেয়ালের সাথে গিয়ে বেধেঁ যাই।সোহাগ মিরার দুই হাত শক্ত করে দেয়েলের সাথে চেপে ধরে।সোহাগের নিশ্বাস গিয়ে মিরার মুখে পরছে।মিরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেই।
মিরাঃ দেখুন আমাকে ছেড়ে দিন!
সোহাগঃ কেন আমার বউ হবি না?
মিরা দুকরে কেদেঁ উঠল,
মিরাঃ কালরাতে আপনি যেটা করেছেন তারপর আমার পক্ষে আপনাকে স্বামী হিসেবে মেতে নিতেও ঘৃণা হয়।
সোহাগঃ তাহলে মেয়েটাকে তারালি কেন?
মিরাঃ আমি যানি না কেন আমি এমনটা করলাম আমাকে প্লিজ যেতে দিন! আমার সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা করছে আজ আর আমার সাথে কিছু করবেন না প্লিজ!
সোহাগঃ তুই বললেই কি তোর কথা আমি শুনবো নাকি?
মিরাঃ আজকের দিনটা আমাকে আপনি রেহাই দিন। কাল থেকে আপনি যা বলবেন আমি আপনার সব কথা শুনবো।
সোহাগঃ কি শুনবি তুই?
মিরা আর কিছু ভেবে না পেয়ে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার নাটক করে। যেই পরতে যাবে সোহাগ মিরাকে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই।এই মিরা ওঠ! ওঠ বলছি।মিরার কোনও সারা না পেয়ে মিরাকে কোলে করে রুমে নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুইয়ে দেয়।
মিরার মুখের দিকে এক মায়া ভরা দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে সোহাগ।আমি যানি না মিরা আমি ঠিক করছি কিনা।কিন্তু তোমাকে যে আমার শাস্তি দেওয়াই লাগবে।প্রতিশোধ নিতে হবে আমাকে! প্রতিশোধ! বলেই সোহাগ মিরা পাশে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরে।আর মিরা সোহাগের কথাটি শুনে চমকে যাই।চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সোহাগ উল্টোদিকে মুখ করে শুয়ে আছে।মিরা তখন ভাবতে থাকে কোন প্রতিশোধের কথা বলছে সোহাগ?! না আমাকে যানতেই হবে!!
চলবে….