#প্রমত্ত_অঙ্গনা
#লেখিকা_আরোহী_নুর
(৪৬)
আঁখি আদৃতের জ্ঞান ফিরালে আদৃত হকচকিয়ে উঠে আঁখিকে জিজ্ঞেস করে।
″আঁখি তুমি ঠিক আছো তো?আদ্রিশ তোমাকে কিছু করে নিত?″
″আরে না আমি ঠিক আছি,উঠুন আপনি।″
আঁখি আদৃতকে হয়ে যাওয়া সবকিছু বলে যায় শুধু নিজের দিক পরে।অতঃপর আদৃতকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
হাসপাতালের বিছানায় পরে আছে রিদিকা,গুলির ক্ষত এখনও সারে নি,সুস্থ হলে পুলিশ জেলে নিয়ে যাবে,এদিকে না তো কিছু বলতে পারছে আর না তো হাত পা ভালো করে নাড়াতে,জিসান বেশ কয়েকবার তাকে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করে কিন্তু বলতে চাইলেও বলতে পারে না রিদিকা।এমনকি লিখতে চাইলে তাও পারে না।ডাক্তার বলেছেন ওর শরীরের কর্মক্ষমতা নেই বললেই চলে,ও কখনও আর কথা বলতে পারবে না,আর না তো ভালো করে চলতে পারবে,হাত পা অক্ষম হয়ে গেছে তার,ও বেঁচে থাকবে এটাই অনেক তাছাড়া আর কিছু করতে পারবে না,এখন ওর বাঁচা ম*রা সব কিছুতেই পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে তাকে।ইন্সপেক্টর জিসান পরলেন বড্ড দুশ্চিন্তায়।
″স্যার,কি ভাবছেন?আমরা নকল প্রমত্ত অঙ্গনাকে তো পেয়ে গেলাম,কিন্তু আসল জনের কাছে কিভাবে পৌঁছাব?আপনি তো বললেন নকল জন অব্দি পৌঁছালে আসল জনকে পাওয়া যেতে পারে।″
″না সুমন আমার মনে হয় না ওই আসল জনকে আর পাওয়া যাবে বলে।″
″কেন স্যার?″
″কারণ প্রমত্ত অঙ্গনা যেই হোক না কেন,খুব চালাক,আমি কেন আমার থেকেও সাকসেসফুল অনেক ইন্সপেক্টরও বৃথা গেছেন প্রমত্ত অঙ্গনার পিছন পরে।তবে একদিক থেকে আমার তাকে সমর্থন করতে ইচ্ছে করে,এমন অনেক কেস আসে যা আমরা চাইলেও সমাধান করি না,অনেকেই ক্ষমতার বলে উচ্চ স্থর থেকে ওর্ডার আনিয়ে ছাড়া পায় আমাদের হাত থেকে,পুলিশ হয়েও আমরা কিছু দূর্নীতিবাজ আর ক্ষমতা সম্পন্ন লোকের হাতের ধুলা হয়ে থেকে যাই,এমন জায়গায় বেআইনিভাবে হলেও একজন তো ওইসব অপরাধীদের সাজা দিতে মরিয়া হয়ে আছে।তাই আমি তাকে সমর্থন করি,আসল প্রমত্ত অঙ্গনা যেই হোক না কেন সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীদের দূর করছে,আর আমি চাই বাঘিনী রূপে সে এক ন্যায়ের প্রতিক ও অপরাধীদের জন্য অ*ভি*শা*প হয়ে সমাজের প্রতিটি মানুষের মনে বেঁচে থাকুক।তাই আমিও কেসটা ছেড়ে দিব।নকল জনকে ধরতে পেরেছি এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া,তবে আসল জনকে খোঁজে পাওয়া দূরুহই না অসম্ভব ব্যাপার আমার জন্য,বাকিটা উপরের স্থর যেভাবে পারেন তার খোঁজ নিবেন,আমার মনে হয় না কেউ সফল হবেন বলে,আর চাইও না কেউ সফল হোক।প্রমত্ত অঙ্গনা অনেক ভালো মনের কেউ একজন আর যথেষ্ট ক্ষমতাসম্পন্ন, কারণ ও শুধু অপরাধীদের মৃ*ত্যু দান করে না বরং অসহায়দের সহায় হয়।ইন্সপেক্টর ইশতিয়াককে মে*রে ফেললেও তার স্ত্রীকে সেই জব পাইয়ে দিয়েছে।মনে আছে ইশতিয়াকের স্ত্রী আমাদের বলেছিলেন উনি যেখানে জব পেয়েছিলেন সেখানের প্রতিষ্ঠান তাকে নিজে থেকে জব অফার করেছিল,সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনারা আলাদা কিছুই জানালেন না,শুধু এটুকুই বললেন সেখানের বসের সাথে ইন্সপেক্টর ইশতিয়াকের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাই তার মৃ*ত্যু*র পর তার স্ত্রীকে তারা জব অফার করে,কিন্তু আমার এই কথার একটুও সত্য বলে মনে হয় নি,আমার যতটুকু মনে হয় প্রমত্ত অঙ্গনাই তাকে জব পাইয়ে দিয়েছিল।হয়ত যেকোনো ভাবে।তবে যেভাবেই হোক প্রমত্ত অঙ্গনা যাই করছে ভালোই করছে।এমন একজন প্রমত্ত অঙ্গনা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে থাকলে দেশটার রূপ পাল্টে যেত।″
″রাগ না করলে একটা কথা বলব স্যার?″
″বলো?″
″আপনি প্রমত্ত অঙ্গনার প্রেমে পরলেন না কি?″
″বউ বাচ্চা আছে তাই তা ভাবতেও পারব না,নয়ত কোনো একদিন আমারও লা*শ পাওয়া যাবে আর পাশে লিখা থাকবে।″
স্ত্রী সন্তানকে ধোকা দান কারির বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।
প্রমত্ত অঙ্গনা…
অতঃপর জিসান সহিত সবাই হেসে উঠল।
__________
দেখতে দেখতে আঁখি আদৃতের বিয়ের দিন চলে আসল।
রাত প্রায় সাড়ে ১১ টা,ছোট্ট এক নদীর জলে ভাসছে এক সাজানো নৌকা,আদৃত শুয়ে আছে তাতে তার বুকে মাথা রেখে শুয়েছে আঁখি,আঁখির মেহেদী রাঙানো হাত হাতে নিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখে যাচ্ছে আদৃত।আজকে চাঁদ জোৎস্নায় ভরিয়ে দিয়েছে ধরণী,সেই জোৎস্নার আলোতে প্রেমে বিভোর হয়েছে দুটি মন।
″পা*গ*ল হলেন আপনি?রাত পোহালেই তো আমাদের বিয়ের ক্ষণ শুরু,মধ্যরাতে এভাবে নদীর ভ্রমণ করার সখ জাগল কেন হঠাৎ?″
″হুম,কারণ আজকের এই রাত প্রেমিক প্রেমিকা হিসেবে আমাদের শেষ রাত,কাল থেকে আমরা স্বামী স্ত্রী হয়ে যাব,মিশে যাব একে ওপরের অস্তিত্বে,তুমি আমি মিলে জন্ম নিবে আমাদের এক নতুন অস্তিত্ব,তাই বিয়ের আগের এই সুন্দর ক্ষণটাও উপভোগ করতে চাই আমি তোমার সাথে।″
″একটা কথার জবাব দিবেন?আজকাল তো যে কেউ,জীবন থেকে কারো চলে যাওয়ার পরপরই অন্যকে নিয়ে আসছে,সেখানে আমার ফিরে আসার কোনো আশা না থাকা সত্ত্বেও আপনি আমারই পথ চেয়ে রইলেন!″
″তুমি আছো তো এই জীবনে সুখ আছে আঁখি,তুমি ছাড়া যে আমি জীবন্ত লাশ,প্রাণহীন কেউ জীবনে রং কি করে ভরবে?″
″আপনি আমাকে এতো ভালোবাসেন কেন?আমি কি খুব জরুরি আপনার জীবনে?″
বাধন হারা মনটা আমার,
শাসন বারণ মানে না।
তোমার প্রেমে পাগল পরাণ,
আর কিছু তো জানে না।
চোখের স্বপন তুমি,বুকের কাঁপন তুমি
কতো আপন তুমি,জানা নাই,নাই…
তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই,
আর কিছু জীবনে পাই বা না পাই।
″আপনি সত্যিই একটা পা*গ*ল।″
″হুম তোমার পা*গ*ল।″
″আচ্ছা ডা.সাহেব,কখনও যদি আমার খুব বড় কোনো সত্য আপনার সামনে আসে,আমি যদি আপনার কাছ থেকে বড় কিছু লুকিয়ে যাই,আপনি কি আমায় ভুল বুঝবেন?ছেড়ে চলে যাবেন আমায়?″
আদৃত এবার উঠে বসে আঁখিকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিল শক্ত করে।
″যে বিষয় তুমি আমার থেকে লুকাবে নিশ্চিত কোনো কারণ থাকবে,আর আমি তোমার লুকানো সত্য কখনও জানতে যাব না,আমি ততটুকুই জানব যতটুকু তুমি আমায় বলবে আর কিছু মন দিয়ে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব,আর যদিও বড় কোনো সত্য কখনও সামনে আসে যা আমাকে তোমার থেকে দূর করবে তাকে আমি মিথ্যে বলে অদেখা করে দিব।কারণ আমার শুধু তোমাকে চাই।″
″আই লাভ ইউ ডা.সাহেব।″
″লাভ ইউ মোর আমার ডা.সাহেবা।জানো আজকে তোমাকে কেমন জানি আলাদা লাগছে,তুমি তো এমনিতেই মোহনীয়,কিন্তু আজকের মোহনীয় ভাবটা বেশি।″
″আর এমনটা কেন লাগছে জানতে পারি?″
″কারণ তুমি মিস থেকে আমার মিসেস হতে চলেছ,দিনটা শুরু হয়ে গেছে।″
আদৃত আঁখিকে তার হাতের ঘড়িতে দেখালো তখন রাত ১২ টা বাজে,আঁখি তা দেখে হেসে আবারও আদৃতকে জড়িয়ে ধরল।
″আচ্ছা ডা.আদৃত, আমি যে মা হতে পারব না তাতেও কি আপনার কোনো অসুবিধে নেই?″
″এমন কথা আবারও শুনতে চাই না আমি আঁখি,আমার শুধু তুমি হলেই চলবে,আর ডাক্তার হয়ে এমন কথা আর যাকেই হোক তোমার মুখে মানায় না,তোমার জায়গায় যদি আমি বাবা হতে অক্ষম হতাম তখন কি তুমি আমায় বিয়ে করতে না? এসব কথা আর মাথায়ও আনবে না বলে দিলাম।″
″ঠিক আছে″
আঁখি আদৃতের বুকে মাথা রেখে রহস্যময়ী একটা হাসি দিয়ে বলল।
___________
আঁখির বিয়ের তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে,বিয়ের লেহেঙ্গাতে আঁখিকে দেখে চোখ ভরে এলো তার বাবা মায়ের।আঁখি এগিয়ে গিয়ে তাদের সালাম করল।
″এই তো সেদিন নার্স হাতে রেখে বলেছিল,স্যার আপনার একটা ফুটফুটে রাজকন্যা হয়েছে,সেদিন কোলে নিয়ে কতো আদর করেছিলাম তা শুধু আমি জানি,আমার সেই পা*গ*লি প্রমত্ত অঙ্গনা যে আজ কত বড় হয়ে গেছে বিশ্বাস হচ্ছে না নিজের চোখে।″
″আজ তোর বাবা আর ভাইয়ের জন্য তোর থেকে তিনটে বছর দূরে থাকলাম।অবশেষে তোকে পাশে পেলাম তো অন্যরা নিজেদের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জেদ করছে তোকে,ইচ্ছে করছে তোকে বুকে লুকিয়ে নেই।″
″বাবা,মাম্মাম,তোমরা এমনটা করলে আমি কিন্তু যাব না,পরে ডা.আদৃত আবার সুইসাইড করতে নিলে দায়ভার কিন্তু তোমাদের, এমনিই কাঁদিয়ে আমার এতো টাকার মেকআপ নষ্ট করছ।″
আঁখির কথায় সবাই হেঁসে ফেলে,আহিল ওর কান মুড়ো দিয়ে বলল।
″ওই বা*ট*পা*র ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ করিয়ে ডং করছিস।বাবা মনে আছে তোমার ডাক্তার যখন ওকে এনে তোমার কোলে দিয়েছিল তখন ও সাথে সাথে হিসু করে দিয়েছিল।″
″ভাইয়া আমি তোকে ছাড়ব না।″
″মাম্মাম বাঁচাও আমায়,নিজের বিয়ের দিনও শেওলা গাছের পে*ত্নী পরেছে গেছে আমার পিছন,বাঁচাও আমায়।″
″দাঁড়া এখনই তোর ঘার ম*ট*কা*ব।″
″ওরে থাম তোরা,এই পা*গ*ল মেয়েটা আমার কখনও শুধরাবে না।″হাসতে হাসতে বললেন আঁখির মাম্মাম।
সবাই হাসতে লাগল।বিয়েটা একটা কনভেনশন হলে রাখা হয়েছে।
বরের সাজে আদৃতকে দেখে তার বাবা মায়ের মন জুরিয়ে গেল।আদৃত বাবা মাকে সালাম করে নিল।দু’জনই দোয়া করলেন তাকে।
″জলদি করে চল,আঁখি মাকে ঘরের লক্ষি করে ঘরে নিয়ে আসি।″
″হয়েছে আর ডং করতে হবে না তোমায়,যা করেছ।আমার ছেলেটাকে মারতে বসেছিলে আর এখন ডং করা হচ্ছে, অভিনয় করা বন্ধ করো আরিয়ান,আমার আঁখি মা আমার জন্য আসছে এখানে,তোমার কিছুই হয় না ও।″
″শায়েলা আমার কথাটা তো শুনো।″
″আদৃত চলে আয় জলদি,আমি দেখি কোনোদিকে কিছু কম পরেছে কি না।″
″দেখলি তো তোর মা কিভাবে চলে গেল।ভুল করে গেছি,ক্ষমা করা কি যায় না?″
″চিন্তা করো না বাবা,আমি মায়ের সাথে কথা বলব।″
″হ্যাঁ বাবা চলো,আমিও কথা বলব মায়ের সাথে।″
″সিয়াম তুমি মিহির কে নিয়ে আসো,আমি নিশিকে নিয়ে যাই।″
আদৃত বরের গাড়িতে উঠবে তখনই কোথাও হতে ছোটে এলো রিংকি,আদৃতকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তার আগে আদৃত সরে দাঁড়ালো,শায়েলা বেগম তার দিকে এগিয়ে যেতে নিলে উনাকে আটকালো আদৃত।
″মা,আমি দেখছি।″
″কি ব্যাপার?এখানে কি করছ তুমি রিংকি।″
″তুমি প্লিজ আঁখিকে বিয়ে করো না,আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আদৃত।″
″দেখো রিংকি আমি তোমার ভালোবাসার সম্মান করি,কিন্তু আমি তার প্রতিদান দিতে পারব না,আমি আঁখিকে খুব ভালোবাসি,তুমি আমার কাছে যে ভালোবাসা চাও তা তোমাকে তো কি কাউকেই দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না,আমার ভালোবাসায় শুধু আঁখির রাজত্ব। আশা করি বুঝবে তুমি,তুমি যথেষ্ট ম্যাচিওর,এছাড়াও এডাল্ট, আমার থেকেও ভালো কেউ পেয়ে যাবে তুমি দোয়া করি আল্লাহর কাছে।চলি।″
আদৃত গাড়িতে উঠে চলে গেল।রিংকি ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল তার যাওয়ার পানে।
আঁখি কনভেনশন হলের সামনে নামবে তখনই তার সামনে প্রকট হলো আদ্রিশ।কাকুতি ভরা স্বরে বলল।
″আঁখি শেষবারের জন্য ক্ষমা চাইছি ক্ষমা করে দাও আমায়,চলে আসো আমার জীবনে,আমি আমার ভাগের সাজা পেয়ে গেছি কিন্তু আর সইতে পারব না তোমার দূরত্ব,আমি পা*গ*ল হয়ে যাব আঁখি তোমাকে ছাড়া,আর সাজা দিও না আমায়,সেই ভুল আর আমি করব না আবার,ফিরে আসো আমার জীবনে।″
আজ আঁখি একদম শান্ত গলায় জবাব দিলো।
″জানো আদ্রিশ যে যা করবে প্রতিদানস্বরুপ তাই পায়,আজ তুমি আমার কাছে নিজের জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ চেয়ে নিচ্ছ,চেয়ে নিচ্ছ ভালোবাসার ভিক্ষে,কিন্তু তুমি তো আমাকে সেই সুযোগটাই দাও নি একবার,সোজাই জীবনে নিয়ে আসলে কাউকে,অনায়াসে জীবনে নতুন রং ভরে নিলে,আমাকে সোফায় বসিয়ে রেখে অন্যের সাথে রাত কাটানোর সুবিধায় কক্ষের দরজা বন্ধ করলে আমার চোখের সামনে,রঙিন রাত পার করলে,অন্যের দেওয়া ভালোবাসার চিহ্ন শরীরে নিয়ে আমার সামনে এলে।কখনও কি ভেবেছ,সেই মুহুর্তে তোমার শরীরে রিদিকার ভালোবাসার দেওয়া দাঁগগুলো কতটা পীড়া দান করেছিল আমার মনে?আজ যখন আমি অন্যের হতে যাচ্ছি তবে তা বড্ড পেরেশান করছে তোমায়,ভেবেছ কখনও আমি কিভাবে তোমাকে অন্যের সাথে মেনে নিয়েছি?তবুও তোমাকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ভাবা যেত কিন্তু এখন তার কোনো সুযোগই নেই,তুমি আমার জীবন থেকে আমার ভালোবাসা কেড়ে নিয়েছ,যে ভালোবাসা সহিত আমি তোমার সাথে ছিলাম তা ছিল শুধু এক মিথ্যে,ডা.আদৃতের ভালোবাসার অংশ মিথ্যে দিয়ে ঢেকে তুমি নিজের করে নিয়েছিলে।কিন্তু আজ তা আবারও সত্য মানুষের নিকট পৌঁছে গেল।আমি ডা.আদৃতকে ভালোবেসেছিলাম,বাসি আর আজীবন ভালোবাসব,মাঝখান থেকে তুমি ছিলে শুধুই একটা ভুল মাত্র।″
″আজ আমাদের বিয়ের দিন আদ্রিশ তাই আমিও তোমার উপর হাত তুলতে চাইছি না,যতই হোক তোমার জন্য আমি ওকে হারিয়ে গেলেও তোমার জন্যই আবার ফিরে পেয়েছি,আমাদের জন্য দোয়া করতে না পারলেও দূরে থাকবে আশা করি।কারণ পাশে আসার চেষ্টা করলেও আঁখিকে পাবে না।ও এখন শুধুই আমার।″
আদৃত বরের বেশে বেড়িয়ে এসে আঁখির হাতধরে কথাগুলো আদ্রিশের উদ্দেশ্যে বলে আঁখিকে নিয়ে চলে যায় ভিতরে,আদ্রিশ অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকল বাহিরে।
চলবে…