#প্রেমময়নেশা💚(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-১৩
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
জানুয়ারী মাস শীতের রেশ এখনো কমেনি বললে চলে।।কিন্তু আকাশে আজ মিস্টি রোদ এর জায়গা দখল করেছে এক টুকরো কালো মেঘ।হয়তো চৌধুরী বাড়িতেও সে এক টুকরো কালো মেঘ এর প্রবেশ ঘটেছে। যা হয়তো এখনো কেউ বুঝতে পারছেনা। বারান্দের গ্রিল এর উপর হাত রেখে আমি আনমনে কিছু ভাবছি হয়তো কারো অপেক্ষার প্রহরও গুনছি।শুনেছি সকাল সকাল উনি পায়েল আপুকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গিয়েছেন উনি প্রতিদিন সকালে আমাকে দেখে যেতেন কিন্তু আজ তার ব্যতিক্রম ঘটেছে।আমি জানি উনি ব্যস্ত তাই হয়তো ভুলে গিয়েছেন কিন্তু তাও যেনো উনার প্রতি এক আলাদা অভিমান এর পাল্লা তৈরি হচ্ছে কেন হচ্ছে? জানিনা আমি আচ্ছা শুনেছি মানুষ নাকি আপনজন এর সাথেই শুধু অভিমান করে তার মানে কি আমিও উনাকে নিজের আপনজন ভাবতে শুরু করলাম?ভাবতেই অবাক লাগে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছি কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাঁকালাম আমি।সানা আপু।(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
সানা আপু আমার দিকে ঘুরে বলে উঠে–
ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছো?বুঝি?
মনের কথা লুকিয়ে আমি বলে উঠলাম–উনার জন্য অপেক্ষা করবো কেন?এমনি বারান্দা দিয়ে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।সানা আপুর যে আমার কথায় বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হয়নি তা তার চোখমুখেই পরিষ্কার। তাও সে বলে উঠে–
ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে কিছুক্ষন এর মধ্যেই ভাইয়া আসছে এই বলে আমাকে কিছু না বলতে দিয়ে সানা আপু চলে গেলো। যাহ বাবাহ কিন্তু খবরটা তো পেলাম। তখনি শু শু করে বাড়ির গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ করলো। প্রথমে গার্ড বের হলো তারপর অয়ন। অয়ন ফ্রন্ট সিট থেকে পিছনের সিট এর পায়েল কাছে যায়।
অয়নঃ চলো পায়েল আমরা চলে এসেছি।।
পায়েল অসহায় মুখ করে ন্যাকমির সুরে বলে–
অয়ন আমি হাটতে পারছিনা ভালো করে।।
অয়ন ভ্রু কুচকে বলে–ডক্টর এর অইখানে তো হাটতে পারছিলে
পায়েলঃ এখন পারছিনা তো
অয়ম পরেছে জ্বালায় অগত্যা তাকেই পায়েলের হাত ধরে আস্তে আস্তে করে বাড়িতে নিয়ে যেতে লাগলো। এদিকে আমি সব-ই বারান্দা থেকে দেখছি পায়েল আপু উনার অনাক কাছে। পায়েল রিমিকে দেখে আরো ঘেসেঘেসে দাঁড়াচ্ছে অয়নের যা রিমির চোখ এড়ায়নি।। আমি আর দাঁড়াতে পারলাম নাহ ঘরে চলে এলাম।।
পায়েলকে আসতে দেখে মিসেস কলি তাড়াতাড়ি করে অয়নের কাছে আসে।অয়নকে কিছু বলবে তার আগেই অয়ন মিসেস কলিকে বলে–
মাহ তোমাকে সব বলবো আগে পায়েলকে ঘরে দিয়ে আসি
মিসেস কলি মাথা দিয়ে হ্যা জানায়। পায়েলকে হাত ধরে অয়ন পায়েল এর ঘরে নিয়ে যায়। আমিও চলে আসি ততক্ষনে নিচে ওদের যাওয়ার আমি তাঁকিয়ে রইলাম। আমাকে আসতে দেখে ভালোমা বলে উঠল-কিরে তোর কিছু লাগবে??
রিমিঃ নাহ ভালোমা!!
ভালোনাঃ আচ্ছা
আচ্ছা উনি কোথায়? গেলেন আমি তাই দেখতে গেলাম
অয়ন পায়েলকে বসিয়ে দিবো তখনি পায়েল বলে উঠে–
অয়ন আমার না চোখে কি যেনো পড়েছে
অয়নও পায়েল এর দিকে অনেক টায় ঝুকে পড়লো চোখে দেখতে লাগলো এদিকে আমি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছি আমার পাশ থেকে যে কেউ দেখলে মনে করবে অয়ন পায়েল আপুর অনেকটায় কাছে।।হয়তো অনেকটায় ঘনিষ্ঠভাবে অজান্তেই আমার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম নাহ দৌড়ে চলে আসলাম।এদিকে পায়েল সবার অগোচরে শয়তানি হাঁসি দেয়।
।।।।।।।।।
হঠাৎ দরজায় নক পড়ায় আমি তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াই–দরজা খুলে দেখি পায়েল আপু
আমি অবাক হয়ে বললাম
পায়েল আপু তুমি??
পায়েলঃ আমাকে বসতে বলবেনা।
আমি কিছু না বলে চুপচাপ দরজায় এসে দাঁড়ালাম
পায়েল আপু আমার কাছে এসে বলে উঠে–
তা তুমি নাকি অয়নের হবু বউ
রিমিঃ সবাই সেইটা জানে
পায়েল ঃ শুনেছি অয়ন তোমাকে জোর করে এখানে আটকে রেখেছে।তাহলে তুমি ওকে ভালোবাসো নাহ
পায়েল আপুর কথা শুনে আমি কিছু বলতে পারলাম নাহ।
পায়েল আপু খানিক্টা হেঁসে বলে– নিরবতা সম্মতির লক্ষন।।
দেখো রিমি অয়ন যেমন আমাকে অনেক ভালোবাসতো আমিও অয়নকে অনেক ভালোবাসতাম কিন্তু সাময়িক মোহে পড়ে সেই ভালোবাসা বুঝতে পারেনি কিন্তু এখন বুঝতে পারলাম আমি ওকে কতটা ভালোবাসি।পায়েল আপুর কথা আমার কাছে বিষের মতো লাগছে পায়েল আপু আবারও বলে উঠ্র–আমার মনে হয় অয়ন আমাকে এখনো ভালোবাসে যতই বলুক মানবতার খাতিরে করছে নাহলে আমার জন্য রাতদিন ডক্টর – হসপিটাল করছে আমি এতো কিছু করলাম তাও আমাকে সুস্হ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। আমি শক্ত কন্ঠে বলে উঠলাম পায়েল আপু আপনি আমাকে এইসব বলছেন কেন??
পায়েল আপু কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো– তোমাকে আমি নিজের ছোট বোনের মতো মনে করি তাই কিছু শেয়ার করলাম।তুমি বোধহয় বিরক্ত ফিল করছো আমি এখন চলে যাই এই বলে পায়েল আপু চলে যেতে নিলে আবারও বলে উঠে–আজ কিছ ভুলবুঝাবুজি এবং কিছু তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশে হয়তো আমরা আলাদা।। এই বলে পায়েল আপু চলে যায় আমি ঠেসস দিয়ে বসে পড়ি আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই অই সাইকো লোকটাকে হারানোর বড্ড ভয় হচ্ছে।।
।।।।।
আমি উনাকে ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু পাচ্ছিনা আগে তো উনিই সারাদিন আমাকে ফোন করতো কিন্তু এখন এতোও বিজি হয়ে গেলেন
।।।।।।।।।।।।।।।
মিসেস কলি চশমা ঠিক করে সুমাইয়া কে বসতে বললেন।
সুমাইয়া ও ঠিকঠাক করে বসে পড়লো
সুমাইয়া ঃ আপনি তো সব শুনলেন-ই
বাবা প্রায় অসুস্হ হয়ে পড়েছে মা শুধু কান্না করছে
মিসেস কলিঃ হ্যা আমি বুঝতে পারছি। রিমি তো উনাদের ছোট মেয়ে উনাদেরও তো দেখতে ইচ্ছা হয় কিন্তু অয়ন যা ছেলে
তখনি আমি সিড়ি থেকে নামতে নামতে বলে উঠি–
আমি ভাবছি কয়দিন অই বাসায় থেকে আসবো আমারও বাবা-মা কে দেখতে ইচ্ছা করছে
মিসেস কলি ঃ কিন্তু অয়ন জানলে কেলেংকারি হয়ে যাবে ও এখন হসপিটালে গিয়েছে।এসে শুনলে
প্রচন্ড রেগে যাবে
আমি তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠলাম–এখন আমি থাকলাম বা না থাকলাম তাতে কি আসে যায় উনি এখন পায়েল আপুকে নিয়ে ব্যস্ত। এমন হবে আমি এই বাড়িতে আছি কিনা সেইটাই উনি জানার প্রয়োজন মনে করবেন।
রিমির কথা শুনে মিসেস কলি মুচকি হাঁসলেন তিনি বেশ বুঝতে পেরেছেন রিমি কতটা অভিমান থেকে কথাটা বলছে তার মানে এই মেয়েটাও পাগলটাকে ভালোবেসে ফেলল।।
মিসেস কলিঃ যা ভালো বুঝিস কর।।
সুমাইয়া ও রিমি বাড়ির গাড়ি করেই যাচ্ছে মিসেস কলি কিছুতেই তাদের একা ছাড়বেনা
কিছুক্ষন এর মধ্যেই সন্ধ্যা হবে
সুমাইয়া ঃ আচ্ছা তুই কি সত্যিই অই ছেলেটাকে ভালোবাসিস??
সুমুর কথা শুনে আমি
জানালার দিকে তাঁকিয়ে রইলাম
কালো মেঘ জমেছে হঠাৎ ই একটু একটু বৃস্টি পড়তে রইলো
আমার চোখে ভেঁসে উঠলো পায়েল আপু আর উনার কাছে আসার মুহুর্ত চোখ থেকে অটোমেটিক পানি পড়তে রইলো
।।।আমাদের গাড়ি জেমে পড়েছে।
সুমাইয়া ঃ উফফ এই ঢাকা শহরের জেম ও হয়েছে একটা
আমার সেদিকে খেয়াল নেই আমার চোখ থেকে টুপটাপ করে পানি পড়ছে
এদিকে অয়নও আজ জেমে পড়েছে
তখনি কেউ জানালায় টুকা দেয়
অয়ন জানালাটা খুলে একটা বাচ্ছা মেয়ে হাতে অনেক লাল গোলাপ ফুল
বাচ্ছাঃ সাহেব এই ফুলগুলো নিবেন
অয়নের মনে পড়ে গেলো রিমির ফুল অনেক পছন্দ তাই সে বলে উঠলো
সবগুলোর দাম কত??
বাচ্ছাটা একটা সুন্দর হাঁসি উপহার দিয়ে বলল–
৬০ টাহা।
অয়ন ১ হাজার টাকার নোট বের করে বলল-+
এই নাও
বাচ্ছাঃ মাফ করবেন সাহেব আমরা গরীব হইবার পারি ভিক্ষুক নাহ
অয়ন মুচকি হেঁসে বলল-
নাহ নাহ তুমি যে আমাকে এত্তো সুন্দর হাঁসি উপহার দিলে এইটা তার জন্য। আর আমার হবু বউ বোধহয় আমার উপর রেগে আছে কিন্তু এই ফুল নিয়ে গেলে সে রাগ গলে যাবে তাই আমি খুশি হয়ে এই টাকাগুলো দিচ্ছি
বাচ্ছাটাও খুশি হয়ে সব ফুল অয়নকে দিলো।।
।।।।।।।।।
এদিকে গাড়িতে স্লো মোশনে বেজে যাচ্ছে–গান আমি চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলাম–
🥀 Pass aaye dooriyaan phir bhi kam naaa hui🥀
🥀ek adhuri si hamari kahani rahi 🥀
Asmaan ko zameen ye zaroori nehi jaa mile 🥀
Jaaa mile 🥀
Ispq saccha wahi🥀jisko milti nahi manzilein
Manzilein🌺
Rang thhe noor tha jab kareeb tu tha🥀ek jannat sa tha yeh jahaaan🥀
(এদিকে অয়ন ফুলগুলো নিয়ে রিমির জন্য নিয়ে নিলো মেয়েটা বড্ড গোলাপ ফুল ভালোবাসে)
(এদিকে চোখ বন্ধ করতেই ভেসে উঠলো অয়নের মুখ আমার চোখজোড়ায় অশ্রুপাত হচ্ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই আমি গানের প্রতিটি লাইন অনুভব করছি)
🥀🥀Waqt ki Ret pe
Kuch mere naam sa likh le chhod gaya tu kahhaaan🥀🥀
Hamari adhuri kahani 🥺
💔Hamari aduri kahani
Hamari adhuri kahani
Hamari aduri kahani💔💔
.
।
।#প্রেমময়নেশা❤️(The story of a psycho lover)
#পর্ব-১৪
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
অয়ন গাড়িটা পার্কিং জোন এ রাখে। গাড়ির চাবিটা হাতে নিয়ে ঘুড়াতে ঘুড়াতে বাড়ির গেটে প্রবেশ করে দাঁড়োয়ান অয়নকে দেখে তাড়াতাড়ি সড়ে দাঁড়ায়–অয়নও হাঁসিমুখে বাড়িতে ঢুকে ড্রইং রুমে সানা টিভি দেখছিলো অয়নকে দেখে তাড়াতাড়ি টিভি অফ করে দেয় ভয়ে তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এখন কী হবে কে জানে??সানাকে ভয় পেতে দেখে অয়ন সানার কাছে গেলো অয়ন অবাক হয়ে বলল– এই তোর কি হয়েছে?মনে হচ্ছে আমি বাঘ নাহ ভাল্লুক।।
সানা ঃ একটু পর এর থেকেও ভয়ংকর রুপ ধারন করবে তুমি(মনে মনে)
কোনোরকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলে– আসলে ভাইয়া–হয়েছে কি এখন আমাকে পড়তে যেতে হবে
অয়নঃ তো যাহ না টিভি দেখছিস কেন??
সানাঃ হ্যা হ্যা যাচ্ছি যাচ্ছি এই বলে সানা যেতে লাগলে অয়ন পুনরায় তাকে ডেকে উঠে–
সানাঃ জ্বী ভাইয়া বলো!!
অয়ন ঃ আচ্ছা রিমিপরী কোথায়? ওকে একটু ডেকে দেনা
সানা একটা ঢুক গিলল–
সানাঃ এইরে এইবার আমি শেষ আমি কি উত্তর দিবো(মনে মনে)
সানাকে এই বিপদ থেকে বাঁচালো মিসেস কলি তিনি দ্রুত পায়ে হাটতে হাটতে অয়নের কাছে আসেন এবং বলে উঠে–আমি বলছি!! অয়ন ছোট ছোট চোখ করে বলে উঠে–
এতো বলাবলির কি আছে আমিই গেলাম রিমিপরীর ঘরে
এই বলে অয়ন রিমির ঘরের দিকে যেতে নিলে মিসেস কলি বাধা দেন–
অয়নঃ কি হলো মা??
মিসেস কলি কোনোরকম সংকোচ ছাড়াই বলে উঠলেন–
রিমি বাসায় নেই—
।।।।।।।।।
আমি বাসায় আসার সাথে সাথেই বাবা মা দৌড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে বাবা আমার মাথায় হাত-বুলিয়ে দিচ্ছে মা আর আমি কেঁদেই যাচ্ছি বাবার চোখ ও পানি এই পানি যে অনেকদিন পর নিজের সন্তান কে কাছে পাওয়ার সুখের কান্না এদিকে আমিও মা-বাবাকে এতোদিন পরে দেখে
নিজের ইমোশন সাম্লাতে পারছিনা। সুমুর চোখে ও জল এসে পড়লো। সুমু পরিবেশটা সুন্দর করার জন্য বলে উঠলো-
ছোট মেয়েকে পেয়ে সবাই বড় মেয়েকে ভুলেই গেলো বুঝেছি বুঝেছি এখন বড় মেয়ের কোনো কদর নেই..
আমরা হেঁসে ফেললাম।বাবা গিয়ে সুমুকে নিয়ে আসলো আর বলল-
আমরা আমাদের বড় মেয়েকেও অনেক ভালোবাসি।।
আমি ঠাট্টার সুরে বলে উঠলাম–
সুমু সত্যিই তুই অনেক হিংসুটে
এতোদিন যে নিজে অনেক আদর পেয়েছিস তার বেলায়।
সুমুঃ তোহ? বড় মেয়েকে বেশিই আদর দিতে হয় বুঝেছিস
রিমিঃ ইসস এইসব একদম হবেনা সুমুর আর আমার কথার শুনে আম্মু-আব্বু হেঁসে দিলো!!
বাবাঃ এতোদিন পর আমার বাড়িটা ভরে উঠলো!
মাঃ হ্যা গো তা যা বলেছো আজ বাড়িটা পুরিপুর্ন লাগছে
বাবাঃ আরে মা অই বাড়িতে তোকে জোড় করে আটকে রেখেছে তাইনা?
আমি কিছু বললাম নাহ
বাবা এইবার খানিক্টা গম্ভীর হয়ে বলে উঠেন–এইবার তোকে আর অই বাড়িতে যেতে দিবো নাহ ওই ছেলের কাছে তো নাহ ই
বাবার কথা শুনে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো!!
মাঃ হ্যা ঠিক বলেছো!!
আমাদের মেয়েকে আমরা আর কোথাও যেতে দিবো নাহ
বাবা এইবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলো–হ্যা রে মা অই বাড়িতে তোকে অনেক অত্যাচার করেছে তাইনা
আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম–নাহ নাহ এইসব কি বলছো?? অইখানে আমাকে কেউ কিচ্ছু করতো নাহ ভালোমা
আমাকে অনেক ভালোবাসতো।।
।।।।।।।।।।।।।।।
অয়ন পুরো ড্রইংরুম ভাজ্ঞচুড় করছে কারো কথা শুনছেনা
তার মাথা এখন রক্ত চরে বসেছে
মিসেস কলি বার বার আটকানোর চেস্টা করছেন কিন্তু তিনি ব্যার্থ। পায়েলও অবাক।।
পায়েলঃ এইসব কি হচ্ছে??
অয়নকে এতোটা রেগে যেতে আমি কখনোও দেখিনি
রুশনিঃ এইটা শুধু ট্রেইলার এই ছেলে অই মেয়ের জন্য কতটা ডেস্পারেট হতে পারে তা শুধু আমরাই দেখিছি
পায়েল শকড হয়ে গেছে সে কখনো ভাবি নি রিমির জন্য অয়ন এতোটা পাগল..
মিসেস কলিঃ তুই শান্ত হো
অয়নঃ কি শান্ত হবো মা??
বলো তুমি আমাকে??আমি জাস্ট অবাক হয়ে যাচ্ছি আমার পারমিশন ছাড়া রিমিকে এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পারমিশন কে দিয়েছে??এন্সার মি(চিল্লিয়ে)
অয়নের চিৎকারে পুরো চৌধুরী বাড়ি কেঁপে উঠে–
অয়ন জোড়ে জোড়ে চিল্লিয়ে গার্ডসদের ডাকতে থাকে–
সবাই অয়নের চিৎকার শুনে এসে পড়ে–
অয়নঃ আমার পারমিশন ছাড়া রিমিকে এই বাড়ি থেকে যেতে দিয়েছো কেন??(চিৎকার করে)
সব গার্ডসরা মাথা নিচু করে উত্তর দেয়–আসলে বড় ম্যাডাম আমাদের পারমিশন দিয়েছিলো
অয়নঃ মাহ তুমি??
মিসেস কলিঃ দেখ বাবাহ আসলে ওর বাবা-মা ওকে দেখতে চেয়েছিলো। তাই আর কি
অয়নঃ তাই বলে তুমি ওকে যেতে দিবে বাহ( হাতে তালি দিয়ে)
পায়েল এইবার বলে উঠে–
আচ্ছা অয়ন তুমি এতো হাইপ্যার হচ্ছো কেন?
অয়নঃ প্লিয পায়েল তুমি বাইরের লোক বাইরের লোকের মতোও থাকো এই ব্যাপারে তোমাকে কথা বলতে হবেনা।।
পায়েলঃ আমি বাইরের লোক?(কাঁদু কাঁদু সুরে)
অয়ন আর কিছু না বলে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেলো সবাই বুঝতে পারছেনা আসলে অয়ন চাইছে টা কি??
সবাই কে অবাক করে দিয়ে অয়ন নিজের রিভলবার বের করে নিচে নেমে আসলো। সবাই হতভম্ব।। মিসেস কলি অয়নের কাছে গিয়ে বলে উঠে–
তুই রিভলবার বের করেছিস কেন??
অয়নঃ মাহ এখন আমাকে আটকিয়ো নাহ আমাকে যেতে দাও বয়েস ফলো মি!!
মিসেস কলিকে কিছু বলতে না দিয়ে অয়ন গার্ডসদের নিয়ে চলে যায়।।।
।।।।।।।।।।।।
নিজের ঘরে বসে আছি
তখনি বাইরে ফায়ার শব্দে আমি জানালা দিয়ে তাঁকায়–!!এই আলাহ এ আমি কাকে দেখছি উনি এসেছেন তাও রিভলবার নিয়ে অনেক গার্ডসও আছে।।
ফায়ার এর শব্দে বাবা-মা ও সুমুও চলে আসে
বাবাঃ তুই দেখেছিস?
মাঃ অই অয়ন ছেলেটা এসেছে
বাবাঃ সত্যি ছেলেটা একেবারে গুন্ডা অই ছেলের কাছে কিছুতেই আমি আমার মেয়েকে দিবো নাহ(রেগে)
তখনি মাইকের শব্দ আসে অয়ন মাইক নিয়ে এসেছে অয়ন মাইকের মাধ্যমে বলে উঠে–
আমি আর ৩ গুনবো এর মধ্যে
রিমিপরী তুমি আমার সাথে যাবে নাহলে কি হবে আমি নিজেও জানিনা
আমি ভয়ে জড়োসরো হয়ে আছি আমি কিছু বলবো তার আগেই বাবা জানালা দিয়ে বলে উঠে–তুমি যা ইচ্ছে করো কিন্তু রিমি যাবেনা!! অন্তত তোমার মতো গুন্ডার সাথে তো নাহ ই
অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠলো–
রিমি আমার সাথে যাবেই নাহলে
বাবাঃ নাহলে কী?
অয়ন নিজের রিভলবার বের করে নিজের মাথায় ঠেকালো!!
সবাই অবাক। আমি উদ্নীগ্ন হয়ে বললাম–
এইসব কি করছেন কি?
অয়নঃ আমার রিমিপরী আজ যদি তুমি আমার সাথে না যাও তাহলে আমি নিজেকেই শুট করবো।।(বাঁকা হেঁসে)
সুমুঃ সত্যিই উনি সাইকো লাভার…
।।
।।
।।
।।।
।।।
।।
#প্রথম_অধ্যায়
বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে কি?
(পরের পর্বে সারপ্রাইজ আছে)
।
।
।#