প্রেমের বৃষ্টি পর্ব ২+৩

#প্রেমের_বৃষ্টি💦
#পার্ট_(২+৩)

গেটের বাইরে আসতেই কান্না আর থামছে না আশেপাশের লোকজন তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কিন্তু সেদিন আমার নজর নেই। এলোমেলো পায়ে হেঁটে যাচ্ছি আর মনে করছি যেদিন স্পর্শ আমাকে প্রথম ভালোবাসি বলে।

আমার নাম সিনথিয়া সারা। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি। বাবা একজন স্কুল টিচার। মা গৃহিণী। আমরা চার বোন। বড় বোন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পরে তার বিয়ে হয়েছে। ছোট বোন সিনহা ক্লাস এইটে পরে আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। একদম ছোট সে সেভেনে পরে। বড় বোন সাজি। ছোট বোন সানজিদা।
কিছু দিন পর আমার ফাইনাল এক্সাম। এই নিয়ে দিন রাত এক করে পরছি। জীবনে লেখাপড়া কে আমি সবার আগে প্ররোটি দিয়েছি এবং দিচ্ছি। বাবা অনেক কষ্টে আমাদের বড় করেছে।তার ছেলে নেয় এজন্য লোক সমাজে অনেক কথাই শুনতে হয়। কারণ মেয়ে সবাই পছন্দ করে না এমনি আমার বাবা ও একেক সময় তার মেয়ে বলে আফসোস করে। তার শেষ বয়সে দেখার মতো কেউ নেই।

এগুলো দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যায় তাই আমি চাই জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বাবার কষ্ট লাঘব করতে।
এজন্য কখনো প্রেম নামক সম্পর্কে নিজেকে জরাইনি‌ চেয়েছি ভালো লেখা পড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। ভার্সিটিতে যেদিন ভর্তি হলাম খুব খুশি ছিলাম আমি কারন পাবলিকে ভর্তি হ‌ওয়ার জন্য খুব পরিশ্রম করেছি অবশেষে আমার কষ্টের ফল সরোপ চান্জ পেয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। আনন্দে আত্মহারা হয়ে ভার্সিটিতে এসেছি। বাবা খুশি হয়ে আমাকে একটা ব‌ই গিফট করেছিল আমি ব‌ই পরতে ভালোবাসি এজন্য গিফট হিসেবে ব‌ই দেয় আমাকে কারন সব কিছুর থেকে এটা দিলে আমি বেশি খুশি হবো। কিন্তু বাবা আমাকে একটা চশমা ও দিয়েছিলো আমি আবার সব সময় চশমা পরি। আগে ছিলো সেটাও বাবা এস এস সি পরিক্ষার পর দিয়েছিলো গোল্ডেন পেয়েছিলাম বলে।
দু’বছর পর নতুন।

ভার্সিটিতে ভর্তি পর আমার কোন বেস্ট ফ্রেন্ড হয় নি আসলে আমি তেমন কারো সাথে মিশতে পারি না পড়া নিয়েছি বেশি দেখেছি। এজন্য সবাই আড্ডা দেয় আমি পড়ি এজন্য সবাই আমাকে নিয়ে কতো যে আলোচনা সমালোচনা করেছে।
একদিন তো একটা মেয়ে বলেই ফেলল।

-তা তুমি এমন টা দেখাও যেন তুমিই এই ভার্সিটির ফাস্ট গাল আর আমরা কিছুই না। শুন এতো পড়া দেখাই ও না বুঝছো এমন কতো পড়ি কিন্তু সবাইকে দেখিয়ে বেরাইনা বাসায় পড়ি আর তুমি বাসায় কি করৈ হ্যা যে এখানে এসে ব‌ই ছেড়ে উঠতেই চাও না।

আমি নিরব হয়ে তার কথা শুনছি তারপর আবার পরায় মনোযোগ দিয়েছি।
মেয়েটা আমার পাত্রা না পেয়ে ভেংচি কেটে চলে যায়।
আমি বাসায় পরার সুযোগ কম পাই কারণ বাসায় গিয়ে দু বোন কে পরাতে হয়। আবার একটা টিউশনি করি যাতে বাবার একটু খরচ কম হয়।‌ এতো বড় সংসার চালানো তো কম না।
আস্তে আস্তে ইনকোর্স পরিক্ষা আসে আর খুঁব মনোযোগ দিয়ে পরিক্ষা দেয় আর সফল ও হয় ক্লাসে ফাস্ট ইয়। সবাই তো বড় বড় চোখ করে তাকালো আমার দিকে। এর পর সবাই আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আসে আমি সবাইকে এলিয়ে যায়। কিন্তু একটা নতুন মেয়ে আসে যে একদম ই খারাপ ছাত্রী তাকে তো কেউ দেখতে পারেনা নাম নিপা ওর সাথে আমি বন্ধুত্ব করি। একা মেয়ে গোমরা মুখ করে থাকে এজন্য।

এর মাঝে আমার কানে আসে স্পর্শের কথা তার উপর চরম লেভেলের ক্রাশ খেয়েছে নিপা ও প্রতিদিন এসে তার নামে গুনগান গাইতো।আমি আগেও শুনেছি স্পর্বকে নিয়ে কথা সবাই তাকে নিয়ে আলোচনা করে মোটকথা সবার ক্রাশ সে কিন্তু আমার তাকে দেখার বিন্দু মাত্র আগ্ৰহ জন্মায় নি।
এভাবে সেদিন আমাদের ভার্সিটি ক্যাম্পাসের বসে পারছিলাম আমি আর পাশে ছিলো নিপা। হঠাৎ নিপা চিৎকার করে ওঠে।
বিরক্ত হয়ে তাকায় ওর দিকে।

-সারা দেখো কে আসছে স্পর্শ আমাদের দিকে আসছে।

-স্পর্শ সেটা আবার কে? আসলে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।

-আরে তুমি ভুলে গেছ স্পর্শ ভার্সিটির সবার ক্রাশ।ওই দেখো আমাদের কাছে আসছে উফফ কি সুন্দর হাসি দেখো ওর গিলে টোল পরে ওফ মন চায় চুমু খাই‌। কি অ্যাটিডিউট দেখো কয়রি কালারের শার্ট পরেছে কি না লাগছে। আমি পাগল হয়ে যাব।

-ছিঃ নিপা কি অশ্লীল কথা বার্তা।

-তুমি তো দেখো নি স্পর্শ একবার দেখো তুমি ও এইসব‌ই বলবো।

নিপা দিকে বিরক্ত হয়ে তাকালাম। নিপা আবার সামনে তাকিয়ে হা কারণ সামনে স্পর্শ দাঁড়িয়ে আছে।ওর হাত করা মুখের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকালাম একটা অতি সুন্দর ছেলে দাড়িয়ে আছে। ছেলেটার মুখে হাসি
যে কোন মেয়েকে তার এই হাসি দিয়ে গায়ের করতে সক্ষম উনি। এই কি স্পর্শ সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর।
গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি গায়ে রং ধবধবে ফর্সা চোখের মনি নীল রঙের।শার্টের হাতা কুন‌ই পর্যন্ত গুটিয়ে রেখেছে বাম হাতে ঘড়ি গান হাতে সানগ্লাস হয়তোবা চোখে ছিলো খুলে নিয়েছে বুকের পাশে দুটো বোতাম খুলে রাখা যাতে তার ফর্সা বুক হালকা দেখা যাচ্ছে। কপালে কিছু চুল পরে আছে যা একটু পর পর হাত দিয়ে ঠিক করছে। আমি হাঁ করে তার দিকে তাকিয়ে আছি আট মাস যাবত ভার্সিটিতে আছি এই ছেলেটাকে কখনো দেখি। আমি অবশ্য সব সময় মাথা নিচু করে ক্লাস রুমে ঢুকি আর বের হ‌ই। আশেপাশে থাকলেও খেয়াল করি নি‌।

-হাই আই এ্যাম স্পর্শ। ইউ,

উনার কথায় তারাতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলাম তা দেখে উনি বাঁকা হাসলো কি সুন্দর সেই হাসি আর তাকাবো না মনে মনে ভেবে নিলাম।

-আমি নিপা আর ও সারা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।

হাসিমুখে উওর দিলো নিপা। নিপা পারলে তো চোখ দিয়েই গিলে খাবে হা করে তাকিয়ে আছে। ছিঃ ওকে বকছি কেন আমি ও তো কেমন নির্লজ্জের মত তাকিয়ে ছিলাম লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।

-ওফ সারা নাইস নেম। সারা মাই জান তোমাকে কিছু ইম্পর্টেন্ট কথা বলার ছিলো।

মাই জান শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকালাম সে তার বিখ্যাত হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

-আই লাভ ইউ।

আচমকা এমন লাভ ইউ শুনে আমার চোখ দুটো মার্বেলের মতো বড় বড় হয়ে গেল।স্তব্ধ হয়ে গেছি সাথে নিপা ও।
আমি আর নিপা দুজনে চোখাচোখি করে নিলাম। দুজনে পাথর হয়ে আছি কোন কথা বলতে পারছি না। আমি তারাতাড়ি উঠে ক্লাসে চলে এলাম।একবার ও ঘুরে তাকায়নি।এমন কিছুর জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
এমনিতেই ক্লাস থেকে বের হ‌ই না তার উপর এসব সেদিন আর বের হলাম না আর ক্লাসেও মনোযোগ দিতৈ পারলাম। ক্লাস শেষে স্পর্শ আমার পিছু নেয় সারা রাস্তা ভালোবাসি ভালোবাসি বলে পাগল করে খায় আমি ইগনোর করি সাথে হতদম্ব। ভার্সিটির ক্রাশ কিনা আমার পেছনে এভাবে ঘুরছে ব্যাপারটা ঠিক ভালো লাগল না।
আচমকা হাতে টান ও চিৎকার শুনে বাস্তবে আসলাম তাকিয়ে দেখি আমি রাস্তায় মাঝখানে।একটা গাড়ি আসছে হঠাৎ একটা ছেলে এসে আমাকে নিয়ে রাস্তায় সাইটে নিয়ে যায়।
আর চিৎকার করে বলে ওঠে।

-আপনি পাগল এভাবে রাস্তায় মাঝখানে দিয়ে কেউ হাটে কতো সময় ধরে ডাকছি কথা তো আপনার কানেই যায় না। আর একটু হলে কি হতো কোন ধারণা আছে আপনার।
#চলবে
লেখা:- Sinthiya Sara

[ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।আর গল্পটা কেমন লাগছে যথার্থ মতামত দিবেন।]

#প্রেমের_বৃষ্টি💦
#পার্ট_(৩)

চোখ বুজে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। মাথাটা ব্যাথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না ছেলেটা এখন ও আমার হাত ধরে আছে আমি তার দিকে তাকালাম ছেলেটা মুখে রাগ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ অন্ধকার হয়ে আসছে বাম হাত মাথায় চেপে ধরে তাকিয়ে থাকতে চাইছি কিন্তু পারছি না। ওইভাবেই ছেলের মুখটা দেখলাম গোল ফর্সা মুখ ঠোঁটের ঠিক ওপরে একটা তিল আছে। গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি দেখতে অনেকটা স্পর্শের মতো ওই রকম সুন্দর চেহারাটা। কিন্তু স্পর্শ তিল নেই। আর কিছু ভাবার আগেই লুকিয়ে পরলাম কিন্তু নিচে পরতে পারলাম না ছেলেটা আমাকে ধরে ফেলেছে। এখন আমি তার বুকে আছি আর সে হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন কিছুর সমোক্ষীন হবে ভাবেনি ছেলেটা এখন আমাকে নিয়ে করবেটা কি ভাবছে? মনে মনে চরম বিরক্ত নিয়ে আছে বাঁচাতে এসে এ কোন ঝামেলায় ফেঁসে গেল ভাবছে।

-স্যার মেয়েটা বেহুঁশ হয়ে গেছে বোধহয় এখন কি করবেন?

পেছনে থেকে ছেলেটার ড্রাইবার কথাটা বলে উঠলো ছেলেটা ঘাড় বাঁকিয়ে তার দিকে এক নজর দিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করলো তারপর বললো।

-গাড়ি এদিকে নিয়ে আস।

-কেন স্যার মেয়েটাকে কি এখানে ফেলেই চলে যাবে। এমনটা করবেন না স্যার মেয়েটাকে….

-স্টপ ইডিয়েট, তোকে যা করতে চলেছি তাই কর‌।বেশি কথা না বলে।

ক্ষেপা বাঘের ন্যায় করে তাকিয়ে চিৎকার করে বলল। এক চিৎকারে ড্রাইভার জুয়েল ভয়ে চুপসে গেল আর তারাতাড়ি গাড়ি আনতে গেল।
ছেলেটার নাম মুগ্ধ চৌধুরী। চৌধুরী গ্ৰুপ এ্যান্ড ইন্ডাস্টির আহান চৌধুরীর ছেলে।তার এক ছেলে ও এক মেয়ে।মেয়ে মান্সুরান সাদিকা। মুগ্ধ বিদেশে থেকে লেখাপড়া শেষ করে এসেছে তিনমাস যাবত তারপর থেকে বাবার অফিসে বসেছে‌। রাগী জেদি অনেক কিন্তু মনটা খুব ভালো।
মুগ্ধ আজকে লেট করে বেরিছে সকালে উঠতে ওর লেট হয়ে গেছে। রাস্তা থেকে খেয়াল করে আমাকে আর তখন পেছনে থেকে অনেক বার ডাকে কিন্তু আমি বেশির ভাগ‌ই অন্য মনস্ক ছিলাম তাই সে রেগে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে টেনে সাইটে নিয়ে আসে।

ড্রাইবার গাড়ি এনে হর্ণ দিলে মুগ্ধ আমাকে পাঁজকোলে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। তারপর পানির বোতল নিয়ে আমার মুখে ছিটিয়ে দেয়।
পিটপিট করে চোখ মেলে তাকালাম আমি। চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি আমার খুব কাছে একটা ফর্সা গোল মুখের অতিরিক্ত সুন্দর ছেলে বসে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আচমকা একটা ছেলেকে এতো কাছে দেখে আমি হকচকিয়ে যায়।সীটকে তার বাহুডোরে থেকে নিজেকে সরিয়ে চারপাশে তাকায় আর বুঝতে চেষ্টা করি কোথায় আছি‌।
আমি একটা মাইক্রো গাড়িতে বসে আছি আমার পাশে একটা ছেলে বসা মে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।আর সামনে আছে ড্রাইবার।

-আপনারা কারা? আমি এখানে কি করছি?

একটু আগের কথা আমার স্মরন নাই। বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। সামনে তাকিয়ে ছিলাম সেদিকে থেকে চোখ সরিয়ে পেছনের ছেলেটা যে আমার পাশে বসে আছে তার দিকে তাকালাম।
তার দিকে তাকাতেই আমার চোখ তার তিলে গিয়ে পরলো আর সাথে সাথে আমার একটু আগের সব ঘটনা মনে পড়ে গেল।

– আপনার প্রবলেম কি বলুন তো আপনি মরতে গিয়েছিলেন কেন? আপনাকে বাঁচতে গিয়ে কতো সময় নষ্ট হয়েছে জানেন। বাঁচিয়ে ক্ষান্ত না আবার জ্ঞান হারালেন। যতসব ফালতু ঝামেলা।

আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।আমার জন্য তার প্রবলেম হয়েছে জেনে কষ্ট লাগল।

-সরি আমার জন্য আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হলো।আর আমি মরতে গিয়েছিলাম না একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছিলাম। এতোটা সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

একনজর ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম।
পেছনে থেকে আবার ডেকে উঠলো আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম।

-তা মরতে তিন নাই তো রাস্তার মাঝখানে কেন গিয়েছিলেন।

-বললাম তো অন্য মনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম।

-প্রেমে ছ্যাকা খেয়েছেন নাকি। আপনাকে দেখে আমার তেমনি লাগছে।

-আপনার ধারনাটা সত্যি।

বলে মৃদু হাসলাম। আমার হাসি দেখে সে আবার বলল।
-রিয়েলি তো হাসছেন কেন? ছ্যাঁকা খেয়ে আপনাকেই ফাস্ট হাসতে দেখলাম।

-তাই। এখন আপনার লেট হচ্ছে না।

-হচ্ছে কিন্তু রাগ লাগছে না। তখন আপনার উপর আমার রাগ হচ্ছিল।

-কেন?

-এই যে আমাকে ঝামেলায় ফেলে অজ্ঞান হলেন তাই‌।

-ওফ তার জন্য সরি ।

-আচ্ছা তা ঘটনা কি বলা যাবে।

-পারর্সোনাল বিষয়ে কথা বলতে কন্টিবল ফিল করি না। আসি আমার ও দেরি হচ্ছে। বাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

-ওকে বাই।তার আগে নামটা বলে যান।

-সিনথিয়া…

-আরে সরে দাঁড়ান গাড়ি আসছে।

আর টুকু না বলেই আমি সরে এলাম।আসলে আমি রাস্তা গাড়ির সাইটে নেমেছিলাম। এজন্যই প্রবলেম হয়েছে।

-আচ্ছা সিনথিয়া শুনেছি না এবার যাই আবার কখনো দেখা হলে কারণটা জেনেই ছারবো‌।

শো করে গাড়িটা চলে গেল আমার দৃষ্টির বাইরে। মন খারাপ নেসটা কমে গেছে তারপর গাড়ি নিয়ে আমি ও বাসায় চলে গেলাম।
আমাকে এমন বিষন্ন দেখে মা জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে? কিছু না বলে রুমে চলে এলাম।
ওয়াশরুমে গিয়ে কান্না করতে লাগলাম এমন একটা জিনিস আমি প্রথমে ই ভেবেছিলাম স্পর্শর মতো ছেলে কখনও আমাকে ভালো ভাসতে পারছ না। তবুও কালকে স্পর্শের পাগলামো দেখে এক মূহুর্তের জন্য আমি ভেবেছিলাম ও আমাকে সত্যি ভালোবাসে। কিন্তু এসব যে মিথ্যা। আমার একটুও কাল স্পর্শের কথা গুলো মিথ্যা মনে হয় নাই ওর চোখে আমার জন্য আমি ভালোবাসা দেখেছিলাম।সব কি মিথ্যা অভিনয়।

স্পর্শকে আমি ভালোবাসিনি।ওর করা পাগলামো দেখে মায়া হয়েছিল আর ভেবেছিলাম যে আমার জন্য মরতেও দ্বিধা বোধ করে না তাকে আমি ভালোবাসবো‌‌।
ওর ভালোবাসা অভিনয় এজন্য কষ্ট হচ্ছে না কষ্ট হচ্ছে আমি ভুল মানুষকে বিশ্বাস করলাম কি করে। আর কোন দিন ও স্পর্শের সামনে যাব না কখনো না।
একটু দূবল হয়েছি সেটা আস্তে আস্তে চলে যাবে।

দুইদিন ভার্সিটিতে গেলাম না এই নিয়ে মা – বাবা চিন্তিত কেন হয়েছে। কিন্তু আমার যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না কিছু করতে ও ভালো লাগছে না ভাবছি মন ভালো হলে যাব কিন্তু অদ্ভুত মন ভালো হচ্ছে না।
সাথে আরেকটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে ইদানিং স্পর্শের কথা আর ও বেশি মনে পরছে। সব সময় ওকে দেখতে মন চাইছে কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে।বলতে ইচ্ছে হচ্ছে কেন এলো আমার জীবন আর এলে যেহেতু চলে কেন গেল।
এখন আমার মন হচ্ছে আমি স্পর্শের উপর একটু না অনেক টা দূর্বল হয়েছি আচ্ছা ভালোবেসে ফেলি নিতো।

নানানা ওকে আমি ভালোবাসতে পারি না ও একটা ঠকবাজ। দুইদিনে একজন কি করে এতোটা ভালোবাসলাম। পরায় মন বসাতে পারছি না আর দেরি মাস আছে পরিক্ষার কি করবো আমি নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। গাল ভরা জল পরছে কিছু ভালো লাগছে না। এই দুইদিন কতোটা ভেবেছি স্পর্শকে সৈ শুধু আমি জানি।ওর সামনে যাব কি করে। নির্লজ্জের মত ওর কাছে ভালোবাসা চাইতে ইচ্ছে করছে।
#চলবে
লেখা:- #Sinthiya_Sara

[গল্পটা কেমন লাগছে যথার্থ কমেন্ট করুন। নাইস, নেক্সট না লিখে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here