ভার্সিটির প্রথম দিন ক্লাস করে বাড়িতে গিয়ে শুনে বাবার কাছে মেয়ের নামে ছেলেদের ইভটিজিং করার অপ’রাধে মা’মলা দায়ের করেছে পাশের বাসার ছেলে।এতদিন শুনে এসেছে পাশের বাসার ছেলে মানে ক্রাশ। আর এখন কিনা পাশের বাসার ছেলেই দিলো ক্রাশ নামের বাঁশ?
জান্নাত বাড়িতে ঢুকতেই দেখে ড্রয়িংরুমে তার বাবা জুনায়েদ আজমী সোফায় বসে টিভিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিউজ দেখছে।আর তার মা রাহেলা কিচেনে কাজ করছে খুঁটিনাটি। জান্নাত সবার দিকে একবার তাকিয়ে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াতেই পিছন থেকে বাবার ডাকে দাঁড়িয়ে যায়।পিছন তাকিয়ে আবার বাবার সামনে এসে বলে,
—কিছু বলবে আব্বু ?
জান্নাতের জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টি কে তার বাবা উপেক্ষা করে টিভি বন্ধ করে আবার জান্নাতের দিকে তাকায়।জান্নাত এখনো আগের মুখভঙ্গি তেই বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।জুনায়েদ আজমী ইশারায় জান্নাত কে বসতে বললো। জান্নাত ও বাবার কথামতো গিয়ে বসে পড়ে।
জুনায়েদ আজমী দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেলে মেয়ের দিকে তাকিয়ে সুধায়,
—আম্মাজান আপনার সাথে আমার অনেক বড় একটা কথা বলার আছে।
জান্নাত ও বাবার মতো করেই মাথায় দু’ষ্টামি চেপে বলে,
—জি আব্বাজান, বলেন।আপনার গুরুত্বপূর্ণ কথাটা পেশ করুণ আমার দরবারে।
—আপনার নামে ইভটিজিং এর মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।
বাবার কথায় জান্নাত লাফ মে’রে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গিয়ে বলে,
—লা হাওলা কু আতা ইল্লা-বিল্লাহ।ভুক্তভোগী কে আব্বু?কে আমার নামে এই চরম মিথ্যে মা’মলা দায়ের করেছে।
জুনায়েদ আজমী কিছু বলবে তার আগেই কিচেন থেকে রাহেলা হাতে খুন্তি নিয়ে ড্রয়িংরুম এ প্রবেশ করে খুন্তি নাড়িয়ে বলে,
—আমার বাপ দাদার চৌদ্দ গুষ্টি কখনো শুনছে মেয়ে হয়ে ছেলেদের ইভটিজিং করতে?অথচ এই মেয়ে আজ ফাস্ট দিন ভার্সিটি তে গিয়ে ছেলেদের ইভটিজিং করে বাড়ি ফিরেছে।মানুষ এসে ওর নামে বিচার ও দিয়ে গেছে।এসব কেমন কথা?
রাহেলার কথায় জান্নাতের তেমন কোনো ভাবান্তর হলো না।জান্নাত রাহেলা কে উদ্দেশ্য করে বলে,
—আম্মু,তুমি তোমার বাপ দাদার জন্মে কখনো শুনো নাই।এই নিয়ে নিশ্চয় তোমার মনে দুঃখ ছিলো। কিন্তু দেখো তোমার দুঃখ নির্বাসন হয়ে গেছে। তোমার মেয়ের জন্মে তুমি সেটা শুনে ফেলছো।আহা!কি ভালোবাসা তোমার জন্য আমার।
জান্নাতের কথায় রাহেলা তেঁতে উঠে জুনায়েদ আজমী কে বলে,
—মেয়েকে কি তুমি কিছুই বলবে না?মেয়েটা দিন দিন অধঃপতন হচ্ছে।তুমি কি এভাবে চুপ করে থাকবে? সপাটে একটা থা’প্পড় মে’রে দাও ওকে।
—আহ!রাহেলা তুমি তোমার কাজে যাও।আমি কথা বলছি আমার মেয়ের সাথে।মে’রে ধরে বললেই যে সন্তান সঠিক পথে আসে সেটা তোমাকে কে বললো। বরং সুন্দর করে বুঝালেই সন্তান বুঝে।
—যা ইচ্ছা করো তোমরা বাবা মেয়ে।আমি আর কিচ্ছু বলবো না।কোনো দাম নেই এই সংসারে আমার।
বলতে বলতে রাহেলা আবার রান্না ঘরে চলে গেলো। জুনায়েদ আজমী মেয়েকে নিজের কাছে ডাকলো।জান্নাত বাবার কাছে গিয়ে বসে বাবার বুকে মাথা রাখতেই বাবা মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়ে শান্ত কণ্ঠে বলে,
—আম্মু আজকে একজন এসে বলে গেছে তুমি নাকি ভার্সিটি তে ছেলেদের দেখলে গান গাও।ইভটিজিং করো এটা কি সত্যি আম্মু?
—আব্বু আমি তোমাকে মিথ্যে বলবো না।কিন্তু আমি কোনো ছেলেকে দেখে গান গায়নি।আমরা তো ফ্রেন্ডরা গানের কলি খেলছিলাম। সেটা যদি কোনো ছেলে শুনে মনে করে ইভটিজিং করা হয়েছে তাকে।তাতে তো আমার দোষ নেই।নিশ্চয় তার কানের এবং চোখের দোষ।
—তা আমার আম্মু কি এমন গান গাইছিলো যে, একটা ছেলে শুনে ভেবে নিয়েছে তাকেই উদ্দেশ্য করে গাওয়া হয়েছে?
—আব্বু এটা তোমাকে বলা যাবে না।বাই দ্যা রাস্তা আব্বু তোমাকে এসে বললো কে আমি ছেলেদের ইভটিজিং করেছি।আর আমি যে এই বাসায় থাকি জানলো কি ভাবে?
—সকালে তোমাকে নাকি বাসা থেকে বের হতে দেখেছে।আর ছেলেটা আমাদের পাশের বাসার ছেলে।প্রান্তিক ছেলেটার নাম।আমাকে এসে বললো যে ভার্সিটি তে তুমি নাকি ওকে উদ্দেশ্য করে ফ্রেন্ড দের নিয়ে গান গেয়েছিলে। সেটাকে ইভটিজিং হিসেবে ধরা হয়েছে।তাই এসে আমাকে বলেছে।যাই হোক,আর কিন্তু কোথাও কোনো গান গাইবে না ঠিক আছে আম্মু?
—আচ্ছা আব্বু।জুরাইন কোথায়?
—আসেনি এখনো স্কুল থেকে। জুরাইন এর নতুন টিউটর রেখেছি আজ থেকে।
—নতুন টিউটর? কে আব্বু?
—আপনার ইভটিজিং এর স্বীকার ভুক্তভোগী প্রান্তিক জুরাইন এর টিউটর।
—আব্বু আমি ইভটিজিং করিনি।
—আচ্ছা। আমি তো মজা করেছি।যাও ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে এসো।একসাথে খেতে বসবো।
জুনায়েদ আজমীর কথা মতো জান্নাত নিজের ঘরের দিকে অগ্রসর হলো।আর মাথায় চলছে ভাবনা।নিজ মনেই বলতে থাকে,
—এই পাশের বাসার ক্রাশ কিভাবে দিতে পারলো আমায় বাঁশ।যদিও এখনো দেখিনি তাকে।তবুও বান্ধুবি দের মুখে শুনেছি পাশের বাসার ছেলেরা নাকি ক্রাশ খাওয়ার মতো হয়।
ভাবনার সমাপ্তি ঘটিয়ে শাওয়ার নিয়ে নামাজ পড়ে নিচে চলে গেলো খাবার খেতে।রাহেলা এখনো জুনায়েদ আজমী আর জান্নাত এর উপর রে’গে আছে।উনার ভাষ্যমতে জান্নাত কে কেন কড়া কথা শুনাইনি জুনায়েদ আজমী?
🌸🌸
সন্ধ্যায় প্রান্তিক এসেছে জুরাইন কে পড়াতে।জুরাইন এর ঘরের দিকে যাওয়ার পথে জান্নাত এর সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে দেখা হয়ে যায়।প্রান্তিক জান্নাত কে দেখে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে।যেন পৃথিবীর সব থেকে নিকৃষ্ট তম মানুষ টা জান্নাত যে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
জান্নাত কে ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রান্তিক বলে,
—এইযে,ইভটিজার পথ ছাড়েন। আমার সময় নেই।
ইভটিজার বলাই জান্নাতের পায়ের র’ক্ত মাথায় উঠে গিয়েছে যেনো।তীব্র বিরোধিতা করে জানায়,
—আপনি কাকে ইভটিজার বলছেন? আমি মোটেও ইভটিজিং করিনি।মুখ সামলে কথা বলতে শিখুন মিষ্টার টিউটর।
—রাস্তায় একটা ছেলেকে দেখে ছিহঃ মার্কা গান গাওয়া ইভটিজিং এর আওয়াতা ভুক্ত।
—আমি কোনো আপনাকে দেখে গান গাই নাই।আমরা ফ্রেন্ডরা গানের কলি খেলছিলাম।
—যেটা গাইছিলেন সেটা কে গান বলে?
—শিল্পী দের সম্মান করতে শিখুন। যে গানটা গেয়েছিলো।সে ও একজন শিল্পী।আর গানটা খারাপ কি?অসাধারণ গান,আরেকবার গায়।আপনি ও শুনেন।
🎶তোমার ও বউ নাই আমার ও জামাই নাই,
চলো দুইজন সংসার কইরা খায়।🎶
চাপা..
আর বলার আগেই প্রান্তিক দ্রুত হেটে জুরাইন এর রুমের দিকে চলে যায়।আর জান্নাত সেই দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে।মিষ্টার ভুক্তভোগী টিউটর কে জ’ব্দ করতে পেরেছে। সেই ভেবে জান্নাত বিশ্বজয়ের হাসি দিয়ে নিজের রুমে চলে যায় আবার।
🌸🌸
জুরাইন এর রুমে প্রবেশ করে প্রান্তিক এর চক্ষুচড়ক গাছ।তার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া স্টুডেন্ট জানালার কাছে দাঁড়িয়ে পাশের বাসার মেয়েকে ফ্লাইং কিস দিচ্ছে।
প্রান্তিক টু শব্দ না করে জুরাইন এর পিছনে দাঁড়িয়ে পাশের বাসার দিকে তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে। আর জুরাইন সেই দিকে তাকিয়ে হাসছে আর ফ্লাইং কিস ছুড়ছে।
এসব দেখে তো প্রান্তিক এর মাথায় হাত।এই পিচ্ছি বয়সের এই ছেলে এত তাড়াতাড়ি পেকে গেছে?এই বয়সে কিস কি সেটাও আমরা জানতাম না।আর এই ছেলে ফ্লাইং কিস দিচ্ছে এই বয়সে?কেয়ামত এর আর বেশি দেরি নাই।আস্তাগফিরুল্লা।
প্রান্তিক গিয়ে চেয়ারে বসে জুরাইন কে ডাক দিতেই জুরাইন পিছনে তাকায়।দেখে তার নতুর টিউটর এসে গেছে।এর আগে তিন জন টিউটর কে ভাগিয়েছে পড়া রেখে উল্টা পালটা কথা বলে।বাবা আজ আবার নতুন টিউটর ধরে এনেছে।এই যেন জুরাইন এর কাছে এক প্যারা। তবুও কোনো চিন্তা নেই।একেও ভাগিয়ে দিবে।সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে জুরাইন প্রান্তিক এর সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,
—আসসালামু আলাইকুম স্যার।
—ওয়ালায়কুম সালাম।আমাকে ভাইয়া বলে ঢেকো। স্যার বলার দরকার নেই।বসো তুমি।
প্রান্তিক এর অনুমতি তে জুরাইন অন্য একটা চেয়ারে বসে বলে,
—জ্বি আচ্ছা।ভাইয়া আপনার নাম কি?
—শাহরিয়ার প্রান্তিক। তোমার নাম কি?
—জুরাইন আজমী। ভাইয়া আপনি কিসে পড়েন?
—সে সব তোমার জানার দরকার নেই বই নাও তুমি।
প্রান্তিক এর এমন কথায় জুরাইন এর মুখভঙ্গি বদলে গেলো। বুঝা যাচ্ছে প্রান্তিক এর এই কথা তার পছন্দ হয়নি।তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বই নিয়ে পড়া শুরু করে।আর প্রান্তিক বুঝিয়ে দিচ্ছে পড়া।
প্রান্তিক জুরাইন এর একটা খাতা নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছিলো।হঠাৎ একটা পাতায় চোখ আটকে যায়।প্রান্তিক একবার খাতার দিকে আরেকবার তার সামনে বসা পড়তে থাকা জুরাইন এর দিকে তাকাচ্ছে।
প্রান্তিক নিজেকে ধাতস্থ করে জুরাইন এর খাতায় লেখা চিঠির দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকে,
প্রিয় পাখি,🥰
তোমাকে খুব ভালোবাসি।তুমি কতটা সুন্দর তুমি জানো?উঁহু জানো না।কারণ আমি বলিনি আজ পর্যন্ত তোমাকে। তোমাকে যখন প্রতিদিন তোমার অজান্তে ফ্লাইং কিস দিই তখন যেনো আমার কল্পনায় ভাসে তুমি লজ্জায় লাল হয়ে গেছো। আর আমার সেই সময় ইচ্ছা করে তোমার লাল হওয়া গালে তিব্বত পাওডার মেখে দিয়ে আসি।
পাখি কি জানে না তার জুরাইন তাকে ভালোবাসে।নাহ জানে না কারণ জুরাইন তাকে বলেনি। সমস্যা নেই।আমি গতকাল আমার এক ফ্রেন্ড এর থেকে শুনছি সে নাকি মোবাইলে একটা মুভি তে দেখেছে,ছেলে মেয়েকে গোলাপ ফুল দিয়ে কত গুলো মানুষের সামনে ভালোবাসার কথা বলে।এই যে তোমাকে যে ফ্লাইং কিস দিই।এটার কথাও আমার ফ্রেন্ড আমাকে বলেছে।সে মুভিতে দেখেছে।আমিও কতগুলো মানুষের সামনে তোমাকে ভালোবাসার কথা বলবো।
ইতি
জুরাইন ❤️
পুরো লেখা পড়ে প্রান্তিক পুরো তাজ্জব বনে গেলো যেন। এই জন্যই বলে এই বয়সে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দেওয়ার দরকার নেই।বাচ্চারা কি দেখে টিভি মোবাইলে সেই দিকে নজর দেওয়া।বন্ধু দের থেকে কি শিখে বন্ধুরা কেমন তা যাচাই করা।নাহলে অল্প বয়সে অধঃপতন। যার জ’লন্ত প্রমাণ জুরাইন।
প্রান্তিক এবার কিছুটা মজার ছলে জুরাইন কে ঢেকে চিঠিটা দেখিয়ে বলে,
—এটা কি জুরাইন?
—এটা প্রেম পত্র ভাইয়া। আমি পাখিকে ভালোবাসি।
প্রান্তিক আরো এক ধাপে অ’বাক হলো জুরাইন এর কথা শুনে। কি সুন্দর অনর্গল ভাবে কথা টা বলা যাচ্ছে।এখানেই শেষ নাকি বলার সময় আবার মেয়েদের মতো ব্লাশিং করছে।
প্রান্তিক জুরাইন এর কাঁধ চাপড়ে বলে,
—তুই তো দেখছি ইমরান হাসমি কে ফেল করিয়ে দিলি।ইমরান হাসমি এর আগেই তুই ফাস্ট।
জুরাইন এই মাথায় আসছে না ইমরান হাসমি কে?তাই বেশি না ভেবে প্রান্তিক এর দিকে প্রশ্ন ছু’ড়ে দেয়,
—ইমরান হাসমি কে ভাইয়া?
এবার প্রান্তিক পড়েছে বিপাকীয় অবস্থায়। একে এবার কিভাবে বুঝাবে ইমরান হাসমি কে?তবুও কিছুতো বলা লাগবে।
—ইমরান হাসমি হলো তোদের মতো পিচ্ছি যেই বাচ্চা গুলো অল্প বয়সে ভালোবাসি বলে তাদের আইডল।নারী জাগরণ এর অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। আর তোদের মতো পিচ্ছি বাচ্চাদের অগ্রদূত ইমরান হাসমি।
—ও আচ্ছা।
জুরাইন আর কোনো কথা বলেনি।প্রান্তিক ও আর কিছু বলেনি।আপাতত একটা বলে তো চুপ করানো গেছে।
🌸🌸
জুরাইন কে পড়া শেষ করে প্রান্তিক নিজেদের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছে।এমন সময় জুরাইন দৌড়ে আসে জান্নাত এর কাছে।জুনায়েদ আজমী ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসা।জগ থেকে পানি ঢালছে গ্লাসে পান করারা জন্য।
জুরাইন জান্নাত কে বলে,
—আপু বলতো পিচ্ছি বাচ্চাদের জাগরণ এর অগ্রদূত কে?
জুরাইন এর কথা শুনে জান্নাত অ’বাক। আর প্রান্তিক বিস্ময় আর ভ’য় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এখন না আন্টি আংকেল এর সামনে ইমরান হাসমি নামটা বলে মান সম্মান ফালুদা বানাই দেয়।
—জানি না তুই বল।
জান্নাতের কথার পৃষ্ঠে জুরাইন হেসে দেয়।আর প্রান্তিক দূরে দাঁড়িয়ে কপাল চাপড়াচ্ছে। তার আক্কল হয়ে গেছে এই ছেলের সাথে এইসব বলে।জুরাইন এক গাল হেসে বলে,
—ইমরান হাসমি।
সাথে সাথেই ঘর ময় কাশির শব্দে রঞ্জিত হতে শুরু হয়ে গেছে।জুনায়েদ আজমী পানি পান করতে গিয়ে বিষম লেগে কাশি উঠে গেছে জুরাইন এর কথা শুনে। জান্নাত কাশতে কাশতে ঘরে চলে গেছে।যাওয়ার আগে প্রান্তিক এর দিকে চোখ রা’ঙানি দিয়ে তাকিয়ে গেছে।বাবা মায়ের সামনে ভাই উ’দ্ভুত একটা কথা বলে কি অপ’দস্থ না-ই করলো। প্রান্তিক ও লজ্জায় বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে।
আর জুরাইন সবার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে মনের সুখে নিজের ঘরে চলে যাচ্ছে।আর মনে মনে বলছে,
—আই আ’ম শিউর কালকে থেকে এই টিউটর ও আসবে না।আজকে লজ্জা পেয়ে গেছে।পড়া নামক প্যা’রা কে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে।যতগুলো টিউটর আনা হবে সব গুলোকেই ভাগিয়ে দিবো।
একটা পিচ্ছি বাচ্চার মাথায় কতটা দু’ষ্টামি বুদ্ধি থাকতে পারে তা হয়তো জুরাইন কে না দেখলে বিশ্বাস হতো না কারো।টিউটর কে ভাগানোর জন্য সবার সামনে লজ্জাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি।
#চলবে কী??
#প্রেমের_হাতেখড়ি
#পর্ব:০১
#ফাতেমা_জান্নাত (লেখনীতে)
নতুন গল্প নিয়ে আবারো আল্লাহর রহমতে ফিরে আসা।প্রথম পর্ব কেমন হচ্ছে জানাবেন? আশানুরূপ রেসপন্স এর আশা করছি।রেসপন্স এর উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় পর্ব আসবে ইনশাল্লাহ।