প্রেম পায়রা ২ পর্ব ১১

#প্রেম_পায়রা (২)
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব_____১১

শূন্য বাটিটা তিথি টেবিলের উপর রেখে বলল,

‘ড্রেস চেঞ্জ করবেন না? আমি সাহায্য করছি।’

ভয়ানক চমকে গেল সম্পদ। মুখে লজ্জামিশ্রিত অন্য রকমের দীপ্তি ফুটে উঠলো। কৌতূহলের এক শিহরণ নিয়ে সে তিথির দিকে তাকালো। তিথি ততক্ষণে হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্পদ অতিসত্বর নিজের কলার চেপে ধরলো। মাথাটা পিছিয়ে ঝটপট বলল,

‘কি করছো? পিছিয়ে যাও বলছি!’

‘অদ্ভুদ! এমন করছেন কেন? নোংরা পোশাক পাল্টাবেন না?’

‘আমি নিজে পাল্টাতে পারি। তুমি চলে যাও।’

‘আপনি পারবেন না। আপনি অসুস্থ, ভুলে গেছেন?’

‘ভুলিনি। আমি পারবো!’

তিথির মেজাজ চটে গেল। বিরক্তি নিয়ে বলল,

‘চাইল্ডিশের মতো কথাবার্তা বলবেন না তো।’

‘তুমি কিভাবে কথা বলছো? হুঁ? ভাবখানা এমন যেন আমার থেকে তুমি বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। বেশি বয়স সম্পন্ন। আমি চাইল্ডিশ আর তুমি ওল্ডিশ? এটা প্রমাণ করতে চাচ্ছো?’

তিথি ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো। সম্পদের ছেলেমানুষী কথাবার্তা শুনে হতাশ না হয়ে পারলো না। আফসোসের সুরে বলল,

‘এক্সিডেন্টের সাথে সাথে কি মাথার দু একটা নিউরন ছিঁড়ে গেছে? আমি কি বলছি আর আপনি কি উত্তর দিচ্ছেন? হাত সরান। আমি জামা খুলে দিচ্ছি!’

‘শুধু খুলে দিচ্ছি, খুলে দিচ্ছি করছো কেন? খোলার পরে কি গায়ে দিবো?’

তাই তো! সম্পদের আর কোনো কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করলো না সে। ধীরপায়ে বেলকনির ডানপাশের দেয়ালের দিকে এগিয়ে গেল। আলমারি খুলে ঢিলেঢালা ফতুয়া আর ট্রাউজার বের করলো। কাপড় বের করার এক ফাঁকে সে সম্পদের সম্পূর্ণ রুমে নজর বুলালো। অনেক বেশি সুন্দর রুমটা। ছিমছাম, সবকিছু গোছানো। মুগ্ধ না হয়ে পারলো না তিথি।

বেলকনিতে নজর বুলিয়ে চোখদুটো সম্পদের উপর ন্যস্ত হলো। দেখলো সম্পদ এখনো শার্টের কলার চেপে ধরে আছে। সে রোবটের মতো এগিয়ে গেল। সম্পদ আর অপেক্ষা করলো না। তাকে দেখে নিজেই শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো। তিথি চোখ সরিয়ে নিল।

আচমকা সম্পদ অস্ফুট আর্তনাদ করতে তার টনক নড়লো। কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখলো পরণের শার্টটা কাঁধের উপর ঝুলে আছে। প্রায় খুলে ফেলেছে। কিন্তু হাতের কনুই দিয়ে টেনে নামাতে পারছে না। সে সম্পদের বাহু স্পর্শ করলো। সম্ডদ যন্ত্রণা ক্লিষ্ট মুখে তাকালো। কিন্তু বাধ সাধলো না। তিথি হাত উঁচু করে আস্তে আস্তে হাতা গলিয়ে শার্টটা বের করলো৷ কনুই পরীক্ষা করে দেখলো অনেকখানি জায়গা চামড়া ছিঁড়ে গেছে। জখমের উপর বিন্দু বিন্দু রক্ত জমে শুকিয়ে গেছে। প্রচন্ড দুঃখ পেল সে। তবে নিজেকে দূর্বল হতে দিল না। সম্পদ গায়ের স্যান্ডো গেঞ্জিটা নিজেই খুলে ফেলল। তিথি মাথা নিচু করে ফেলল। হাতের ড্রেস সরিয়ে রাখতে সম্পদ কপাল কুঁচকে বলল,

‘তিথি! তুমি সত্যি সত্যি আমাকে খালি গায়ে রাখতে চাও?’

‘শুকনো কাপড় ভিজিয়ে আনছি। শরীরটা একটু মুছে নিন। কতদিন বা শাওয়ার নিতে পারবেন না কে জানে!’

সম্পদ আর প্রতিবাদ করলো না। তিথি বেলকনিতে ঝুলে থাকা টাওয়াল হাতে ওয়াশরুমে ঢুকলো। সম্পদ অস্থির চোখে ওয়াশরুমের দিকে চেয়ে রইলো। তিথি বের হলো মিনিট দুয়েক পর। ভেজা টাওয়ালটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

‘মুছে ফেলুন।’

সম্পদ টাওয়ালটা একপ্রকার ছিনিয়ে নিল। চোখ-মুখ আর শরীরের ক্ষত বাঁচিয়ে সে আস্তে ধীরে মুছতে লাগলো। না চাইতেও তিথির দৃষ্টি সম্পদের উন্মুক্ত দেহে বিচরণ করলো৷ সেই সাথে আঁতকে উঠলো সে। সম্পদের শরীরের অনেক জায়গা কাঁটাছেড়ার দাগ। সে এগিয়ে গিয়ে সম্পদের হাত থেকে টাওয়ালটা কেড়ে নিল। সম্পদ বাঁধা দেওয়ার ফুরসত পেল না।

তিথি যত্ন সহকারে সম্পদের পিঠের দিকটা মুছে দিল। ঘুরেফিরে চোখ দুটো তার সম্পদের ক্ষতগুলোর দিকে পড়লো। ভীষণ আহত হলো সে। কতটা কষ্ট পেয়েছে মানুষটা। এখনো পাচ্ছে! সে হাত-পা মুছে দিয়ে ফতুয়া এগিয়ে দিল। ফতুয়া হাতে নিয়ে সম্পদ কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে গেল। তিথি তার শরীর মুছে দিল কিন্তু নিজের স্পর্শ বাঁচিয়ে। এক সেকেন্ডের জন্যও তার দেহে স্পর্শ লাগেনি। মনঃক্ষুণ্ন হলো তার। তার অবচেতন মনের কোনো একটা অংশ চাচ্ছিল তিথির ছিঁটেফোঁটা স্পর্শ পেতে। মুখটা তবলার মতো করে ফতুয়াটা গায়ে দিল সে। প্যান্টের দিকে তাকালো। প্যান্ট খোলা সম্ভব নয়। হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে পা ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে ডক্টর।

তিথি পায়ের অবস্থা দেখে বুঝতে পারলো। হাতের ট্রাউজারটা সরিয়ে রেখে দিল। ভেজা টাওয়ালটা ওয়াশরুমে গিয়ে ফের ধুয়ে নিল। তারপর বেলকনিকে ঢুকলো শুকাতে দেওয়ার জন্য।

বেলকনিতে দৃশ্যমান নারীদেহের প্রতি কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো সম্পদ।সেদিকে চেয়ে থাকতে থাকতে শরীর নেতিয়ে এলো তার। প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছে। এত কর্মঠ শরীরও দূর্বল মনে হচ্ছে। বুঝতে পারলো দেহের ক্ষতের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়। কবে যে আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হবে! দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিছানায় শুয়ে পড়লো সে। তিথি বেলকনির কাচ টেনে দিয়ে রুমে ঢুকলো। বিছানার দিকে এগিয়ে এসে পায়ের নিচ থেকে ব্লাঙ্কেট টা উঠিয়ে সম্পদের গায়ে জড়িয়ে দিল।

বন্ধ চোখজোড়া আবার খুলল সম্পদ। শরীর অসুস্থতার সাথে সাথে তার মন অসুস্থ হয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে। ঘুরেফিরে চোখ দুটো তিথির উপর গিয়ে আটকে যাচ্ছে বারংবার। এটাতে অবশ্য স্বস্তি যে এসব তিথির চোখে পড়ছে না। কারণ তিথি পুরোটা সময় এদিক ওদিক বা দৃষ্টি নত করে রয়েছে। খুব কদাচিৎ সে তার মুখের দিকে তাকাচ্ছে। ফলে তার চোরা চোখের দৃষ্টি তিথির নজরে পড়ছে না। নজরে পড়লে ভয়ানক লজ্জায় পড়ে যেতে সে।

তার চাহনিরত অবস্থায় তিথি রুমের লাইট বন্ধ করে দিল। তৎক্ষনাৎ রুম আবছা অন্ধকারে ঢেকে গেল। বাহিরে সূর্য অস্তমিত হওয়ার সময় হয়ে গেছে। ধরণীর বুকে রাত ক্রমশমান। সেই সাথে সম্পদের বুকে ক্রমশমান নতুন ভালো লাগার জোয়ারের। নতুন স্পর্শ অনুভূতি, ছোঁয়ার!

তিথি এগিয়ে এসে সম্পদের বিছানা ঘেঁষে দাঁড়ালো। বলল,

‘চোখ বন্ধ করে এবার ঘুমানোর চেষ্টা করুন তো।’

‘হুঁ!’

তিথির কথামতো সম্পদ অতিশয় দ্রুত চোখ বন্ধ করলো। অপেক্ষা করলো তার প্রত্যাগমনের। কিন্তু বন্ধ চোখেই অনুভব করলো তিথি রুম থেকে যায় নি। তার শরীর থেকে সেই চির পরিচিত মেয়েলি গন্ধটা নাকে কড়া ভাবে লাগছে। সম্পদ চোখ খিঁচে বন্ধ করে রইলো। কিছুক্ষণ পর কপালে উষ্ণ একটা স্পর্শ পেল। কেঁপে উঠলো সে। তিথির হাত এত গরম কেন? হাত মুঠ করে করে তব্দা মেরে পড়ে রইলো সে।

তিথি কপাল থেকে হাত সরিয়ে নিল। আনমনে বলল,

‘জ্বর নেই।’

সম্পদ কোনো প্রতিত্তর করলো না। এমনকি নিঃশ্বাসও ফেলল না। তিথি শ্বাস ফেলে রুম ত্যাগ করলো। দরজা ভিড়িয়ে দেওয়ার শব্দ হতে সম্পদ ধপ করে চোখ খুলল। শ্বাস দ্রুততর হয়ে গেল। ডান হাতটা আপনা-আপনি কপাল স্পর্শ করলো৷ যে জায়গাটাতে নরম হাতের স্নিগ্ধ এক স্পর্শ পেয়েছে। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো তার। আচমকা ব্লাঙ্কেট দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে ফেলল সে।

১৪.

মাঝরাতে সম্পদের মৃদু স্বরের আর্তনাদের শব্দে তিথি ধড়ফড় করে উঠে পড়লো। সবেমাত্র চোখ দুটো লেগে এসেছিল তার। কিন্তু কান সজাগ ছিল। সম্পদের মৃদু স্বরও ঠিক কানে পৌঁছাল। দ্রুত উঠে গিয়ে সুইচ টিপে রুমের বাল্ব জ্বালালো। ঘুমজড়ানো চোখ মেলে দেখলো সম্পদ কেমন হাঁসফাঁস করছে। তার চোখ মুখ কালো হয়ে এসেছে। দ্রুত এগিয়ে গেল সে। চিন্তিত স্বরে ডাকলো,

‘শুনছেন? এমন করছেন কেন? চোখ খুলুন।’

সম্পদ চোখ খুলল না। ছটফট করতে লাগলো। মুহুর্তে তীব্র ভয় এসে তিথিকে জেঁকে ধরলো। এইজন্য সে গ্রামে ফোন করে সম্পদের এক্সিডেন্টের কথা জানাতে চেয়েছিল। কিন্তু সম্পদ রাজি হয়নি। এত রাতে যদি মানুষটা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে? কি করবে সে? চিন্তায় গলা শুকিয়ে এলো তার। ভয়ে ভয়ে সম্পদের কুঁচকানো কপাল স্পর্শ করলো। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে হাত সরিয়ে নিল। সম্পদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক। জ্বরে গা পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। ত্বকের উপর আগুন ঝড়ছে যেন। সে মুখটা নিচু করে ঘনঘন ডাক দিল,

‘শুনছেন? চোখ খুলুন। দেখি, তাকান তো। শুনছেন?’

সম্পদ নির্বিকার রইলো৷ তিথি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো সম্পদের বন্ধ চোখের কার্নিশ বেয়ে জলের ধারা। নিঃশব্দে কেঁদে যাচ্ছে ছেলেটা। বুকের ভেতর পুড়ে উঠলো তার। না জানি কতটা কষ্ট পাচ্ছে। সে আর অপেক্ষা করলো না। জ্বর কমাতে হবে! বুকের ওড়নাটা কোমড়ে পেঁচিয়ে সে ছুটোছুটি করতে লাগলো।

দীর্ঘক্ষণ নিরলস পরিশ্রম করে তিথি সম্পদের জ্বর কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হলো৷ সম্পদের ছটফটানি ভাব কিছুটা কমেছে। আপাতত নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে। এতক্ষণ মুখের উপর যে কালো ছায়াটা ছিল সেটা সরে গেছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সে। কি ভয়টাই না পেয়েছিল! এসব কখনো ফেস করতে হয়নি তাকে। একাকী বাসায় সম্পদের অসুস্থতা বেড়ে গেল কি করতো সে? ভাবতেই মাথা খারাপ অবস্থা।

সম্পদের কপালের ডান পাশে ব্যান্ডেজ লাগানো। তিথি জ্বর মাপার জন্য গলায় হাত রাখলো। অনেকটা কমে গেছে। হাতের ভেজা কাপড়ের টুকরোটি তবুও কপালের একপাশে চেপে ধরে রাখলো। রুমে এখনো বাল্ব জ্বলছে। ধবধবে সাদা রঙের আলোতে ভেসে যাচ্ছে সম্পূর্ণ রুম। তিথি সম্পদের মুখের দিকে তাকালো। আনমনে হাতটা সম্পদের মাথায় চলে গেছে। মানুষটার ঘন চুলে তার আঙুল গুলো বিচরণ করছে। হুট করে হাত থেমে গেল তার। আবিষ্কার করলো, সে যে এভাবে সম্পদকে স্পর্শ করছে তাতে তার বিন্দুমাত্র অসহ্য অনুভূতি হচ্ছে না। অথচ এতদিন ভাবতো যে আর কোনো পুরুষের ছোঁয়া সে সহ্য করতে পারবে না। আগুনের উত্তাপের মতো জীবন যন্ত্রণা হবে পুরুষ স্পর্শে! কিন্তু তার ধারণা ভুল!

সম্পদের চুলের ফাঁকে থেমে থাকা হাতটা আবার নড়াচড়া করা শুরু করলো। তিথি সম্পদের থেকে অনেকখানি দূরত্ব রেখে মাথাটা খাটের সাথে এলিয়ে দিল। একটু সময় বিশ্রাম নেয়া যাক! তার ঘুমানোর জন্য ফ্লোরে বিছানা করা হয়েছে। শুরুতে সম্পদ যদিও তাকে এ রুমে থাকতে দিতে রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু সে শত বারণ শোনেনি। বিছানা পত্র নিয়ে এ রুমে চলে আসার পর সম্পদ নতুন বাহানা শুরু করে। তাকে ফ্লোরে শোয়া যাবে না। একপর্যায়ে আমতা আমতা করে বলেছিল, তুমি চাইলে আমার পাশে শুয়ে পড়তে পারো।

তিথি নিজেই রাজি হয়নি। সম্পদের সাথে এক বিছানায় ঘুমানো জাস্ট ইম্পসিবল। তাছাড়া তার ঘুমানোর ঠিক ঠিকানা নেই। দেখা গেল, সম্পদের ভাঙা পায়ের উপর পা উঠিয়ে দিয়েছে! সে আর রিস্ক নেয়নি। ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে পড়েছিল।

ঘুমের মধ্যে সম্পদ হালকা করে নড়ে উঠলো। তিথি দ্রুত সোজা হয়ে বসলো। সম্পদ খাটের মাঝামাঝি শুয়ে আছে। সেজন্য কপালে জলপট্টি দেওয়ার জন্য তাকে বিছানায় উঠে বসতে হয়েছে। সম্পদ হালকা নড়ে আবার স্থির হয়ে এলো৷ তিথি কয়েক মিনিট সোজা হয়ে বসে রইলো। কিছুক্ষণ পর লম্বা মতো হাই তুলে আবার খাটে হেলান দিল।

১৫.

ভোরবেলা সম্পদ নড়েচড়ে উঠলো প্রাকৃতিক ডাকে। ওয়াশরুমে যেতে হবে তাকে। চোখ ডলে সামনে তাকালো। মাথার উপরের চুনকাম করা ছাদ নজরে এলো। ভেতরে কেমন বিস্বাদ লাগছে। মুখের ভেতর তেঁতো একটা ভাব। আস্তে করে মাথাটা ঘুরিয়ে সে বাম পাশে তাকালো। সঙ্গে সঙ্গে পিলে চমকে উঠলো তার। তিথি বিছানায়? তার পাশে শুয়ে আছে? এটা কিভাবে সম্ভব? এক হাতে চোখ ডলে ফের তাকালো সে।

(চলবে)

আসসালামু আলাইকুম। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছি। (পড়াশোনা নিয়ে) গল্প লেখার সময় পাচ্ছি না। এই মাসের শেষ কিছুদিন ব্যস্ততা থাকবে। তারপর ইনশাআল্লাহ নিয়মিত হবো। কাল ‘অনুভবের প্রহর’ আগে দিবো।🧡

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here