#প্রেম_পায়রা (২)
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব____২৪ [কপি নিষিদ্ধ]
ঝপাৎ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো তিথি। এত অস্থির লাগছে কেন? সম্পদের উপস্থিতি বার বার অস্বস্তিতে ভরপুর ভালোলাগার সমুদ্রে কেন নিক্ষেপ করছে? এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকলে সে নিশ্চিত পাগল হয়ে যাবে। মুখে বালিশ চেপে সে চোখ বন্ধ করলো। মনের আকাশে রঙ বেরঙের ফানুস উড়ছে। মুক্ত ফানুস। প্রথম প্রেমের মতো এত আনন্দ কেন হচ্ছে?
ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে তিথি সটান উঠে দাঁড়ালো। নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য কুঁচকে যাওয়া বেডশিট পুনরায় টান টান করলো। বালিশ পূর্বের জায়গা রেখে একপাশে জড়সড় হয়ে দাঁড়ালো।
সম্পদ ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে। তিথি তা স্পষ্ট টের পেল। তবুও তার দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পেল না। রোবটের মতো এক জায়গা দাঁড়িয়ে হাতের নখ খুঁটা শুরু করলো। হুট করে রুমের তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে গেছে যেন! তিথি ভেতরে ভেতরে তীব্র শীতলতা অনুভব করছে। সম্পদ ভেজা চুল ঝেরে তিথির পেছনে এসে দাঁড়ালো। শীতল স্বরে বলল,
‘হালকা শীত পড়েছে না?’
তিথি ভয়ানক চমকে গেল। দু পা সরে গিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। অহেতুক ঘন ঘন মাথা নাড়লো। ছাড়া ছাড়া ভাবে বলল,
‘হুঁঁ! কাছাকাছি কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে হয়তো।’
‘তোমার শীত করছে না?’
তিথি ঠোঁট কামড়ে ধরলো। সম্পদের প্রশ্নের যথোপযুক্ত উত্তর মস্তিষ্কে সাজাতে পারলো না। একটুপর গোছগাছ করে রাখা বিছানা নির্দেশ করে বলল,
‘আপনি এক কাজ করুন। ঘুমিয়ে পড়ুন। এতদূর জার্নি করে এসেছেন।’
‘তা ঠিক বলেছো। কিছুটা ক্লান্ত।’
‘এতরাতে আসতে গেলেন কেন? পরে সময় করে আসলেই হতো।’
তিথির কথায় সম্পদ মুচকি হাসলো। চুপচাপ বিছানার একপাশে বসে বলল,
‘আমার সমস্ত অস্তিত্ব, হৃদয়, মস্তিষ্ক, সচেতন-অবচেতন মন যা-ই বলো সবকিছু তোমার মধ্যে। আমি শুধু ক্ষুদ্র দেহটা বয়ে বেড়াচ্ছি। পদার্থবিদ্যায় আছে, বৃহত্তর বস্তু সর্বদা ক্ষুদ্রতর বস্তুুকে কাছে টানে। সে হিসেবে বৃহৎ তুমিটার ডাকে, তোমার টানে ছুটে না এসে সাধ্য আছে আমার?’
চকিতে সম্পদের দিকে চোখ তুলে তাকালো তিথি। কয়েক সেকেন্ড সম্পদের মুখের দিকে চেয়ে রইলো। চক্ষুযুগল নিচের দিকে নামতে সম্পদের উন্মুক্ত দেহটা নজরে এলো। খালি গায়ের লুঙ্গি পরিহিত সম্পদকে অদ্ভুত দেখাচ্ছে তার চোখে। সম্পদের আবেগমাখা কথা ভুলে ফিক করে হেসে দিল তিথি। সম্পদ বিস্মিত কন্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
‘হাসছো কেন তিথি?’
এক হাতে মুখ চেপে হাসি থামানোর চেষ্টা করছে তিথি। কিছুক্ষণ নিজের সাথে স্নায়ুযুদ্ধ করে স্বশব্দে হেসে উঠলো। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো উত্তাল সে হাসি। ঝর্ণার মতো গড়িয়ে পড়ছে যেন। সম্পদ কিছু মুহূর্তের জন্য বিমূর্ত হয়ে গেল। মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলো তিথির দিকে। এতগুলো দিন একসাথে থাকার পরো তিথিকে কখনো প্রাণখুলে হাসতে দেখেনি সে। আজ প্রথম বারের মতো মনে হলো, তিথির পুরনো ক্ষত সে মুছতে পেরেছে। তার দুঃখ গুলো দূর করতে পেরেছে। তার ধ্বংসস্তুপে নতুন করে অনুভূতির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সম্পদের ঠোঁটের কোণে হাসির রেশ দেখা দিল। তিথির সাথে তাল মিলিয়ে হেসে ফেলল।
আচমকা তিথির হাসি থেমে গেল। চোখে মুখে লজ্জার আভা ছড়িয়ে পড়লো। সম্পদ বুঝতে পেরে স্বাভাবিক গলায় বলল,
‘এর আগে লুঙ্গি পরা কাউকে দেখোনি?’
‘হু দেখেছি! কিন্তু আপনাকে কেমন অন্যরকম লাগছে।’
বলে তিথি আবার হেসে ফেলল। সত্যি বলতে এত তুচ্ছ একটা কারণে সে কেন হাসছে তা অজানা। কিন্তু কিছুতেই হাসি থামছে না। তার হাসির কলোরবে বদ্ধ রুমের চারপাশ মুখরিত হয়ে গেল। সম্পদ মিথ্যে রাগ দেখিয়ে বলল,
‘এই আমাকে নিয়ে একদম হাসাহাসি করবে না। অনেক হয়েছে!’
‘হাসি পেলে আমি কি করবো?’
বলে তিথি মুখ চেপে হাসতে লাগলো। সম্পদ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করারও পর যখন দেখলো তিথির হাসি থামছে না সে উঠে দাঁড়ালো। আধভেজা নতুন গামছাটা বিছানায় নামিয়ে রেখে বলল,
‘হাসতে বারণ করেছি কিন্তু।’
তিথি যেন বাচ্চাদের মতো হাসির খেলায় মেতেছে। কিছুতেই হাসি থামছে না। এতদিন জমিয়ে রাখা কালো ধোঁয়া সরে গিয়ে স্বচ্ছতায় পরিপূর্ণ হচ্ছে। তিথির হাস্যরত মুখের দিকে চেয়ে সম্পদ ঝড়ের বেগে এগিয়ে গেল। কারো উপস্থিতি টের পেলে শামুক যেমন নিজেকে খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নেয়, তিথি তেমন গুটিয়ে নিল নিজেকে। হাসি থেমে গেল। সম্পদ শীতল হাত দিয়ে তার হাত স্পর্শ করে বলল,
‘সত্যি করে বলো তো! কেমন আছো?’
তিথি লাজুক হাসলো। মাথা নিচু রেখে কিছুক্ষণ ইতস্তত করলো। তারপর গাঢ় স্বরে বলল,
‘কেন জানি ভীষণ খুশি খুশি লাগছে। এর আগে কখনো এমন হয়নি। আপনি যতগুলো দিন কাছে ছিলেন না, পাশে ছিলেন না, সবগুলো দিন আপনাকে মিস করেছি। প্রতিটা মুহূর্ত আপনার কথা মনে পড়েছে। আপনার কন্ঠ শুনতে না পেয়ে কেমন পাগল পাগল লাগতো। পুরনো দুঃখ গুলো ভুলে সব সময় আপনাকে কাছে না পাওয়ার দুঃখে ভাসতাম। আপনার ছেলেমানুষী কথাগুলো শুনতে না পারার আক্ষেপ হতো। প্রচন্ড আক্ষেপ হতো আপনাকে বুঝি ধরে রাখতে পারলাম না। কাছে রাখতে পারলাম না। জানেন, কিছু রাত হলো ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। আমার প্রতিটা স্বপ্ন আপনাকে হারিয়ে শেষ হয়। আপনাকে ছুঁতে পারি না। কোথায় যেন…… ‘
তিথির গলা ধরে এলো। বুক মুচড়ে কান্নাটা ছিটকে এলো গলায়। অসমাপ্ত বাক্য শেষ না করে ঝরঝর করে কেঁদে দিল। সম্পদের চোখে মুখে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো নারী তার জন্য চোখের জলের মতো দামী বস্তু বিসর্জন দিচ্ছে তা বিশ্বাস করতে হচ্ছে না। সেই নারী টা যদি তার প্রাণের অধিক প্রিয় কেউ হয় তাহলে তো কথাই নেই! তিথির ফুঁপানির শব্দে সম্পদের ঘোর কাটলো। সে জানে, তিথির এ জল মিথ্যে নয়। এ জলের উপর সম্পূর্ণ অধিকার তার। এতগুলো দিন একসাথে থাকার পর এই প্রথম মেয়েটা তার জন্য চোখের জল ফেলছে। বিনিময়ে সে মেয়েটিকে কি দিবে?
সে দু হাতে আগলে নিল তিথিকে। খুব সহজে তিথি তার উন্মুক্ত বুকে মাথা রাখলো। এত সহজে পানিতেও ঢেউ খেলে না বুঝি! সম্পদের চোখ দুটো সিক্ত হয়ে এলো। অবশেষে বহু অপেক্ষা, তীব্র প্রতীক্ষার অবসান হলো। তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে সে বলল,
‘কান্না করে না! একদম না।’
তিথির কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেল। ঠিক এরকম একটা প্রশস্ত বুকের অপেক্ষায় ছিল সে। এরকম একটা নিরাপদ আশ্রয়ে মুখ গুঁজার জন্যই যেন এত পথ পাড়ি দেওয়া। উদ্ভ্রান্তের মতো এত ছুটোছুটি করা। এরকম একটা ভরসার স্থানে জমিয়ে রাখা নিজের সমস্ত দুঃখ, কষ্ট, ক্ষোভ ঝেরে ফেলার জন্যই এতদিন গুমড়ে গুমড়ে মরা৷ আজ চোখের জল ঝরিয়ে অতীতের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে চায় সে। চিরমুক্তি! সম্পদের বুকে আরো গভীর ভাবে মুখ লুকালো। সে বুঝে গেছে সম্পদ তার নিজের মানুষ। শুধু নিজের মানুষ নয়। তার একান্ত ব্যক্তিগত সম্পদ। যার উপর শুধুমাত্র তার অধিকার। শুধুমাত্র তার!
টিনের চালে ঝমঝম বৃষ্টির শব্দে ধ্যান ভাঙলো তিথির। কান্না থেমে গেছে অনেক আগে। চোখ খুলতে সম্পদের উন্মুক্ত বুক নজরে এলো। লজ্জায় মিইয়ে গেল সে। সরে আসার জন্য উসখুস করলো। কিন্তু সম্পদের শক্তপোক্ত বাহুডোর থেকে নড়তে পারলো না। সে মিনমিন করে বলল,
‘বৃষ্টি পড়ছে!’
সম্পদ নড়েচড়ে হাতের বাঁধন আরো দৃঢ় করলো। কন্ঠে ভালোবাসা নিবেদন করে বলল,
‘তিথি, আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। চিরকৃতজ্ঞ! এই যে তুমি তোমার অনুভূতির সাথে সৎ হয়েছ, মনের কথা শুনে আমায় মেসেজ করেছ, তোমার গোপন কুঠুরিতে জমিয়ে রাখা কথাগুলো সাহস করে বলেছ এ সবকিছুর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কাউকে মিস করলে, ভালোবাসলে, কাউকে খুব করে কাছে পেতে চাইলে সেই মানুষটাকে নিজের অনুভূতি জানাতে হয় তিথি। না হলে অপরপক্ষের মানুষটি কখনো জানতে পারে না। নিজের অনুভূতির সাথে কখনো বেইমানি করতে হয় না। সময় থাকতে বলে দিতে হয়।’
‘আপনি আমায় মিস করেননি?’
‘তুমি কল্পনা করতে পারবে না, ঠিক কতটা অভাববোধ করেছি তোমার! এতগুলো দিন তোমায় দূরে রেখে, তোমায় না দেখে আমি যে পাগল হয়ে যাইনি এটাই মিরাকল।’
‘তাহলে কখনো বলেননি কেন?’
সম্পদ হাতের বাঁধন ঢিলে করলো। তিথি জড়তা নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। সম্পদ আলতো স্পর্শে তার গাল মুছে দিল। মাথার এলোমেলো চুল গুলো ঠিক করে দিল। নরম গলায় বলল,
‘আমি তোমার মুখ থেকে প্রথম শুনতে চেয়েছিলাম। তোমার অনুভূতি গুলো বোঝার জন্য সময় দিয়েছিলাম। আমি দূরে না গেলে, তোমার থেকে আলাদা না থাকলে এতদ্রুত নিজের অনুভূতি বুঝতে পারতে না। তুমি আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝাতে পারবো না। তুমি আমার অন্ধকার তিথি নয়। রৌদ্রজ্জ্বল তিথি। যে তিথি না হলে আমার চলবে না। একদমই চলবে না!’
তিথির আরেক প্রস্থ অশ্রু উপচে নামলো। সম্পদের থেকে জল লুকানোর জন্য দ্রুত খোলা জানালার দিকে এগিয়ে গেল। বৃষ্টির পানি ছিঁটে জানালার অনেকখানি ভিজে গেছে। বাইরে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। প্রচন্ড বাতাসে জানালার স্টিলের পাল্লা গুলো শব্দ সৃষ্টি করছে। তিথি টেনে সেগুলো লাগানোর চেষ্টা করলো৷ কিন্তু বাতাসের সাথে পেরে উঠছিল না। এদিকে ভিজে একাকার! আরো কিছু সময় চেষ্টা করতে সম্পদ পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে দিল। তার সুদীর্ঘ, শক্তপোক্ত হাত দিয়ে খুব সহজে জানালার পাল্লা লাগিয়ে দিল। জানালা লাগানোর পরও সম্পদ পেছন থেকে সরলো না। বৃষ্টির ঝাপটায় তিথির শরীর অনেকখানি ভিজে গেছে। বাতাসে মাথার চুল খুলে গেছে৷ শরীর কাঁপছে থরথর করে। হুট করে সম্পদ পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে নিল। সম্পদের উদাম দেহের উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করতে তিথির কাঁপুনি দ্বিগুণ হলো। ছুটে পালানোর জন্য ছটফট শুরু করলো। কম্পিত কন্ঠে বলল,
‘মি. প্রোপার্টি, ছাড়ুন! ভিজে যাবেন আপনি।’
‘সত্যি সত্যি ভিজতে চাই আমি।’
সম্পদের ঘোর লাগা কন্ঠ শুনে তিথির গলা শুকিয়ে এলো। দমবন্ধ হয়ে আসছে। সম্পদ তার কাঁধে মাথা রাখতে শরীরের প্রতিটি লোমকূপ কেঁপে উঠলো। ঠোঁট কামড়ে টেনে টেনে বলল,
‘ভে-ভেজা কাপড় পাল্টাতে হবে। আ-মার শীত লাগছে।’
সম্পদ কোনো প্রতিত্তর করলো না। তিথির অর্ধভেজা চুল একহাতে সরিয়ে উন্মুক্ত কাঁধে পর পর চুমু খেল। তিথির শ্বাস দ্রুততর হয়ে এলো। সম্পদের বাহু আঁকড়ে ধরে হুট করে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
‘আমি যদি কখনো মা হতে না পারি?’
‘তাহলে আমিও কখনো বাবা হবো না। সিম্পল! তিথি, শুধু এই তুমিটা বুকের উপর পেলে আর কিচ্ছু চাই না আমি। বলেছি না? ভালোবাসি তো!’
সম্পদের প্রগাঢ় কন্ঠস্বর কানে যেতে তিথি ঘুরে দাঁড়ালো। মুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলো মুখের দিকে। সম্পদ বেশিক্ষণ তিথির চাহনি সহ্য করতে পারলো না। মুখটা নিচু করে তিথির ঠোঁট স্পর্শ করলো।
কাছে কোথাও বজ্রপাত হলো। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে গিয়ে সমস্ত গ্রাম অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো। বজ্রপাতের তীব্র শব্দ তিথির কানে ঢুকলো না। বন্ধ চোখজোড়া থেকে কয়েক ফোঁটা আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়লো। ভাগ্যিস অন্ধকার বলে সম্পদ টের পেল না। ছেলেটা তাকে সম্পূর্ণরূপে মেনে নিয়েছে। নিজের সর্বস্ব দিয়ে তাকে ভালোবেসেছে। এর চেয়ে সুখকর কিছু হয়? সে জানে, আজ সম্পদের স্পর্শে তার দেহ পবিত্রতা অর্জন করবে। এই চোখ দিয়ে এখন শুধু আনন্দাশ্রু নির্গত হবে। অন্ধকারে তিথি চোখ খুলে সম্পদের মুখ দেখার চেষ্টা করলো। আচমকা থেমে গেল সম্পদ। কিছু বলার চেষ্টা করতে তিথি বাঁধা দিল। এক পা এগিয়ে নিজে থেকে সম্পদের গলা জড়িয়ে ধরলো।
টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝমানি শব্দ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তীব্র বাতাসে গাছপালা ভেঙে পড়ার উপক্রম। বাইরের প্রকৃতি বৃষ্টিতে মাতাল। সেই মাতাল প্রকৃতির সাথে মিশে যাচ্ছে দুজন কপোত-কপোতী।
(চলবে)
[