বড্ড ভালোবাসি পর্ব ৯+১০

গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ০৯ এবং ১০
Writer :- Labiba Islam Roja
:
:
:
আমি পাথরের মতো দাড়িঁয়ে আছি।কি বলবো বুঝতে পারছি না।কিছু বলার মতো শারীরিক বা মানসিক অবস্থা কোনোটাই নেই। আজকের মতো অপমান কোনো দিনও হতে হয়নি।সামান্য একটা বিষয় নিয়ে এত বড় প্রবলেম ক্রিয়েট হবে জানলে এসব বলতামও না।
.
এবার মনে হচ্ছে ষোল কলা পূর্ণ হলো সবার সাথে লিনাও যোগ দিলো আর যা নয় তাই বলে যাচ্ছে।রিহান ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল__
.
লিনাঃ তুই কেন যে এসব লো ক্লাসের মেয়েদের কথা কানে নিতে যাস কে জানে।ও কি বলল না বলল তাতে কি আসে যায়।আর সেদিন যদি এত ইজিলি ছেড়ে না দিতি তাহলে আজ তোকে অপমান করার সাহস পেতো না।
.
আবিরঃলিনা চুপ কর তুই আর রিহানের তালে তাল মিলাস না।রিহানেরর কাছে গিয়ে ফিসফিস করে কি যেন বলছেন।
.
এবার তিশা আর চুপ থাকতে পারলো না।রিহান ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল…..
.
ভাইয়া অনেকক্ষণ ধরে আপনাদের সব কথা সহ্য করছি কিন্তু আর পারছি না।আপনি যেমন আপনার বন্ধুদের অপমান সহ্য করতে পারেন না তেমনি আমিও বিনা দোষে রোজের অপমান মেনে নেব না।মেয়েটাকে দেখছেন কোনো অন্যায় না করেও মাথা নিচু করে পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে।আর আপনি কতটুকু চিনেন ওকে যে ওর সমন্ধে এভাবে কথা বলছেন।কি যেন বলছিলেন ও নাকি মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না।ঠিক কোন যুক্তিতে কথাগুলো বললেন আমায় বলবেন।আর আমি আর রোজ কখন কোথায় কি কথা বলছি সেটা আপনি শুনতে যান কেন।আমরা দুজন এমনি অনেক কথা বলি জাস্ট মজা করার জন্য কাউকে হার্ট করার জন্য নয়।আড়িপেতে কথা শোনা উচিৎ না সেটা আপনি জানেন না।আর আপনি আড়িপেতে আমাদের কথাগুলো শুনে আবার তার জন্য আমাদের কথা শোনাচ্ছেন।শেইম অন ইউ ভাইয়া।আপনাকে অন্তত আমি অন্যরকম ভাবতাম কিন্তু আফসোস আপনিও সেই এ…..
.
.
এতক্ষণ মাথা নিচু করে চোঁখের নোনা জলগুলো ফেলছিলাম।ওদের কথা বার্তা শুনে মাথা ভো ভো করছে।এখানে আর দাড়াঁতে ইচ্ছা করছে না।তাই বললাম তিশা থাম প্লিজ তোর কাছে হাত জোর করছি প্লিজ এবার থাম।(কান্না করতে করতে)।
.
তিশা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল__রোজ তুই ঠিক আছিস তো।আমার জন্য সব হয়েছে।আমি যদি এই টপিকটা না তুলতাম তাহলে কিছুই হতো না।চল তোকে বাসায় নিয়ে যাই।দু মিনিট দাড়াঁবি।সে হ্যাঁ সূচক মাাথা নাড়ালো।
.
.
আজ হাঁটার শক্তিটুকুও নেই কিন্তু তবুও ধীর পায়ে রিহান ভাইয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।উনার দিকে তাকাতে পর্যন্ত ইচ্ছে করছে না।তবে এইটুকু বুঝতে পারছি উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।সাথে আবির ভাইয়া আর লিনাও রিহানের পাশ ঘেষে আছে।
.
কথা বলতে পারছি না গলায় আটকে যাচ্ছে তবুও জোর করেই কথা বলার চেষ্টা করছি____
.
জানেন ভাইয়া এই হাসি মজা এসবই আমার জীবনের অংশ।কখনও সিরিয়াসলি চিন্তা ভাবনা করতে পারি না।তাই তিশার সাথে মজার ছলে ওসব বলে ফেলেছিলাম।কিন্তু দেখুন আমি বুঝতে পারিনি আমার এতটুকু হাসি তামাশার জন্য আপনার এত খারাপ লাগবে।তবে মানুষ হিসাবে যতটা খারাপই হই না কেন অন্যকে কখনও ছোট করে দেখিনি তবে আজকে বুঝলাম সেটাও আমার দ্বারা পসিবল(মলিন হাসি দিয়ে)।ফান করে হোক বা সিরিয়াসলি, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যে করেই হোক আপনাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য স.স.রি।পারলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।আমি আপনার কথাগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো ।( কথাগুলো বার বার জড়িয়ে যাচ্ছে)
.
আর লিনা আপু লো স্টান্ডার্ড বা হাই স্টান্ডার্ড সেটা কারো গায়ে লেখা থাকে তাই উনি আমাকে দেখে বুঝতে পারেন নি।আসলে আমার মনে রাখা উচিৎ ছিলো যে বই পড়লেই শুধু মানুষ হওয়া যায় না।মানুষ যদি নিজের মন মানসিকতা না বদলায় তাহলে সে বড় বড় ডিগ্রী নিয়েও মানুষ হতে পারে না।
ওকে সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।আমার জন্য আপনাদের অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেল।সরি এ্যাগেইন আসছি বলে চলে গেলো……!!
.
.
আর রিহান রোজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটা হাঁটতে পর্যন্ত পারছে না।তিশা ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।যাওয়ার সময় একবারও রিহানের দিকে তাকায় নি।তাকালে হয়তো রিহানের ছলছল চোঁখগুলো দেখতে পেতো। এতক্ষণ রিহান এক মনে রোজের কথাগুলো শুনছিলো।আর ভাবছে রোজের সাথে কি অন্যায় করলো।
.
রিহানঃলিনা তুই রোজের সাথে এমন ব্যবহার করলি কেন?তুই জানিস ও কে?আরে স্টান্ডার্ডের কথা যদি বলিস তাহলে ওর সামনে দাড়ানোর ক্ষমতা তোর নেই।
.
লিনাঃরিহান তুই এই মেয়ের জন্য আমাকে এতবড় অপমান করলি।আর ওই মেয়েও আমাকে কথা শুনিয়ে গেলো।আমি ছাড়ব না ওকে কিছুতেই ছাড়ব না।
.
.
চুপ কর আরর কান খুলে শুনে রাখ লিনা যদি ওর গায়ে একটা ফুলের টোকাও লাগে আমি তোকে ছাড়ব না।মাইন্ড ইট
.
আবিরঃরিহান ওর কথা ছাড় চল আমার সাথে।বলে আবির আর রিহানকে নিয়ে চলে গেলো।
.
পুকুর পাড়ে বসে আছে রিহান আর আবির।নীরবতা ভেঙে আবির বলল____
তুই আজ যা করেছিস তা কি ঠিক করেছিস।কেন মেয়েটাকে এত কষ্ট দিস।দেখেছিস ওর মুখটা স্তব্ধ হয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলো।আর তিশার কথাও তো ঠিক ওরা দুই বান্ধবী কতকিছু নিয়ে কথা বলবে হাসাহাসি করবে সেটা তুই শুনতে যাস কেন।আর যদিও শুনেছিস তুই তো জানিস ও বাচ্চা মেয়ে সব সময় দুষ্টুমিতে মেতে থাকে তাহলে এত রিয়েক্ট করলি কেন?
.
.
একটা দীর্শ্বাস ছেড়ে বলল সত্যি বলছি দোস্ত আমি চাই নি ওকে কষ্ট দিতে।আমি শুধু মজা করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু শেষমেশ নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।এই দুদিন কলেজ আসে নি তাই তার শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এটা যে এত ভয়ঙ্কর হবে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি।বিশ্বাস কর আমি কখনও চাই না ও কষ্ট পাক।কিন্তু দেখ আজ আমিই ওর কষ্টের কারণ হয়ে গেলাম।
.
.
#Part :- 10
:
:
সে দিনের ঘটনার পর রোজ আর রিহানের মুখোমুখী হয় নি।আগের থেকে বেশ চুপচাপ থাকে।প্রতিদিনই কলেজ আসে ক্লাস করে বাড়ি চলে যায় এটাই তার নিত্য দিনের রুটিন।তিশা আর ভুল করেও রোজের সামনে রিহানের কথা তুলে না।আবির মাঝে মাঝে রোজের খবর নেয় ভালো মন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তবে আবির চেষ্টা করে সে দিনের কথা তুলতে কিন্তু রোজ তা এবোড করে চলে। এ কদিনে রোজের কয়েকটা ফ্রেন্ডও হয়ে গেছে।তার মধ্যে একটা ছেলে ফ্রেন্ড আছে নাম শাওন।প্রতিদিন কলেজে ঢুকলেই রোজের মনে হয় কেউ তাকে দেখছে।কিন্তু এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে দেখে না।
.
.
তৃতীয় পিরিয়ডের টিচার না আসায় আজ তাদের ক্লাস হচ্ছে না।তিশা বলছে বাইরে বসে আড্ডা দিবে কিন্তু রোজ যাবে না।কারণ গেলেই হয়ত রিহানের সাথে দেখা হয়ে যাবে সেটা সে মোটেও চায় না।সবাই এক রকম জোর করেই রোজকে নিয়ে গেলো।এদিকে শাওন সবার জন্য কুল ড্রিংকস নিয়ে এসেছে।সবাই হাঁটছে আর খাচ্ছে।রোজের খাওয়া শেষ হলে ও বোতল নিচে ফেলে পা দিয়ে একটা শট দেয়।এটা রোজের ছোট বেলাকার অভ্যাস বোতল দেখলেই তাতে শট দিতেই হবে না দিলে কেমন জানি অপরাধী লাগে।শট দিয়েই রোজ হা হয়ে যায়।কারণ রিহান আর আবির তখন এদিকে আসছে যার কারনে বোতলটা সোজা রিহানের গায়ে গিয়ে পরলো।
.
.
রিহানের উষ্ক শুষ্ক চুল।চেহারাটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।চোঁখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।আগের মতো ড্যাশিং লাগছে না।রোজ একবার তাকিয়েই চোঁখ নামিয়ে মাথা নিচু করে নিলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বলল__যার সামনে গুনাক্ষরেও যেতে চাই না সেই নাই চাইতেও আমার সামনে দাড়িঁয়ে আর এবারও ভুইটা আমার।এখন নিশ্চয় বকা শুরু হয়ে যাবে।কি আর করার আমি বোধহয় উনার বকা সহ্য করার জন্যই কলেজ আসি।
.
.
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি আবির ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন ____জানিস আবির এই কলেজে দুষ্টু মেয়ের উৎপাত বেড়ে যাচ্ছে।আমার মনে হচ্ছে এর টিম লিডার রোজকে বানানো উচিৎ।একটা কম্পিটিশন দিলে মন্দ হবে না ফার্স্ট প্রাইজ রোজই পাবে কি বলো রোজ।
.
আমি বুঝতে পারছি উনি আমার সাথে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু আমি চাই না উনার সাথে কথা বলতে।তাই চুপ করে আছি একটুও ভুলিনি সেদিনের কথা।শাওন বলে উঠলো ভাইয়া সরি ওর হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি।
.
আবির ভাইয়া বলল শাওন তোমাকে ক্ষমা টমা চাইতে হবে না। একটা বোতলই তো আর ফেলেছে কে রোজ আর তো কেউ নয় এটা রিহান ঠিক সহ্য করতে পারবে।কি রে রিহান ঠিক বললাম তো মুচকি হেসে (ভ্রু নাচিয়ে)
.
শালা চল সব সময় ফাজলামো।আমি এখন সেভাবে ঠায় দাড়িঁয়ে আছি।উনি আমার কাছে এসে ফিসফিস করে হাসি হাসি মুখ করে বললেন সবসময় এমন গোমড়া মুখ করে থাকো কেন।তোমাকে চুপচাপ দেখতে ভালো লাগে না আগের মতো হয়ে যাও না প্লিজ বলেই আবির ভাইকে নিয়ে চলে গেলেন।
.
রিহান যখন রোজের সাথে হেসে কথা বলছিলো তখন কেউ একজন আড়াল থেকে দেখছিলো আর রাগে ফুসছিলো।
.
আমি বিশ্বাস করতে পারছি না রাক্ষুস আমাকে এসব বলে গেলো।কি হলো আজ আর উনার চোঁখ মুখের এই অবস্থাই বা কেন ?
.
তিশাঃআজকের ওই শয়তানটার ব্যবহার কেমন জানি লাগলো।হ্যাঁ রে রোজ তোকে কি বলে গেলো।
.
কি জানি বুঝতে পারিনি।আমাকে আজ এত সহজে ছেড়ে দিলো কিচ্ছু বলল না মানতে পারছি না।নিশ্চয়ই রাক্ষুসটার অন্য কোনো প্ল্যান আছে।
.
আচ্ছা বাদ দে তো চল ওদিকটায় বসি।
.
তিশা তোরা বস আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি।
.
তিশাঃ আমি আসবো?আমি না বলে চলে গেলাম।
.
.
ওয়াশরুম থেকে বেড়োতোই লিনা বলল ___রোজ তুমি এখানে আর আমি তোমাকে পুরো কলেজ খুঁজচ্ছি।আবির আমাকে পাঠিয়েছে বলল তোমার সাথে নাকি খুব জরুরী কথা আছে।
.
আমার সাথে আবার আবির ভাইয়ার কি কথা থাকতে পারে।(সকালের ঘটনার জন্য হয়তো)কোথায় উনি?
.
ওই পাশের বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার কর্নারের রুমে আছে যাও।
.
ওকে।
.
.
রুমে ঢুকেই দেখি ধুলো ময়লা জমে আছে।পুরো অন্ধকার দরজা জানলার অবস্থা খারাপ কোনো বেঞ্চ নেই দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে অনেকদিন কোনো ক্লাস হয় না।খালিই পড়ে থাকে।কিন্তু প্রশ্ন হলো এরকম একটা রুমে আবির আমাকে আসতে বলল কেন?আর সেই বা কোথা। ভিতরটা এমন দেখেই ভয়ে ঢোক গিলছি বেশ ভয় লাগছে।কারন অন্ধকার এমনি ভয় পাই তার উপর রুমের এরকম অবস্থা।এসব ভাবছি হঠাৎ ঠাস শব্দে পেছনে তাকাতেই দেখি দরজা লাগানো।দৌড়ে গিয়ে ধাক্কা দিতে লাগলাম।দরজা খুলো দরজা খুলো
.
কি হলো দরজা খুলুন আমি ভিতরে আটকে আছি।তখনি কারো গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
.
তুমি আটকে যাও নি রোজ তোমাকে আটকে রাখা হয়েছে।সেদিন আমাকে সবার সামনে খুব অপমান করেছিলে তাই না আর আজ রিহানের সাথে কি গল্পটাই না করছিলে এবার বোঝ মজা।এই লিনার সাথে অভদ্রতা করার ফল তো তোমাকে পেতেই হবে।
.
প্লিজ আপু আমাকে এখান থেকে বের করো।আমি অন্ধকার খুব ভয় পাই প্লিজ আপু প্লিজ।
.
সরি রোজ কালকে কলেজ ছুটি আর এদিকে কেউ আসবেও না তাই এই দুদিন এখানে পঁচে গলে মরো।তোমাকে শাস্তি দেওয়ার এর থেকে ভালো সুযোগ আমি পাব না।আসি রোজ তুমি থাকো।”All the best”
.
আপু আমার কথাটা শুনো আমি খুব ভয় পাচ্ছি।কিন্তু কারো কোনো সাড়া নেই তার মানে আপু চলে গেছে।ভয়ে ভিতর শুকিয়ে গেছে অনবরত চোঁখের পানি পরছে।
.
তিশা আর তাদের ফ্রেন্ড চতুর্থ ক্লাস শেষ করে এসেও রোজের দেখা পাচ্ছে না।প্রথমে ভেবেছিলো ওর লেইট হচ্ছে একটু পর ক্লাসে আসবে কিন্তু ক্লাস শেষ তার দেখা নাই।পুরো কলেজ খুঁজেও রোজকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।এদিকে নিজের ফোনটাও এখানে রেখে গেছে।এবার তিশা চিন্তায় পরে গেলো।আর পরক্ষণেই রিহানের কাছে ছুটে গেলো…!!
.
রিহান বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।তিশা এসে ধমকের সুরে রিহানকে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া রোজ কোথায়?
.
রিহান আর ওর বন্ধুরা অবাক হয়ে গেলো।রিহান বলল রোজ কোথায় সেটা আমি কি করে জানবো।
.
নাটক করবেন না ভাইয়া আজ সকালে ওই একটা তুচ্ছ ঘটনার জন্য ওকে হাপিস করে দিলেন।তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো আপনি আজ এত সহজে ছেড়ে দিলেন কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এর জন্য তখন ভালো মানুষের মত আচরণ করেছিলেন।
.
স্টপ তিশা যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছ।আরে রোজকে আমি কেন হাপিস করবো।হ্যাঁ আমি ওর সাথে মিস বিহেভ করেছি তবে এই কাজটা আমি করিনি।আর আমি তো এতক্ষণত ধরে এখানে আছি তাহলে কাজটা করব কখন।তুমি আমাকে বলো রোজের কি হয়েছে আর তোমার এরকম কেন মনে হচ্ছে আমি ওকে কিডন্যাপ করেছি।
.
আবিরও বলল __তিশা কুল ডাউন।এতক্ষণ ধরে রিহান আমাদের সাথে রয়েছে রিহানকে বিশ্বাস নাই করতে পারো কিন্তু আমাকে তো বিশ্বাস করো।
.
তিশা এবার বলল তাহলে ও গেলো কোথায়?
.
তিশা চুপ করে থেকো না বল রোজের কি হয়েছে।স্পিক আপ ডেমেড
.
তিশা সবটা খুলে বলল আর রোজের ব্যাগ মোবাইল সব ওর কাছে এই অবস্থায় বাড়িতে যাবে না আর রোজ মোটেও ইরেসপন্সিবল নয় যথেষ্ট সেনসিটিভ।তাহলে রোজের হলোটা কি।
.
কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা নামবে সারাদিন ধরে রিহান তিশা আর ওদের বন্ধুরা পাগলের মতো পুরো কলেজ তন্ন তন্ন করে খুঁজছে কিন্তু কোথাও রোজকে পাওয়া যাচ্ছে না।এদিকে রিহান কলেজের সিসি টিভির ফুটেজও চেক করেছে কিন্তু রোজকে কলেজ থেকে বেরোতে দেখা যায়নি।এবার রিহানের মাথা কাজ করছে না।কলেজের ভিতরে আছে নিশ্চিত কিন্তু কোথায় আছে আমার রোজ।ওর কোনো বিপদ হলো না তো।
.
অন্যদিকে রোজ বাড়িতে না ফেরায় রোজের মা রাহাতকে ফোন করে বলে।রাহাত কন্টিনিউয়াসলি রোজকে কল করছে কিন্তু বেজে যাচ্ছে ধরছে না।তাই বাধ্য হয়ে তিশার ফোনে কল দিলো।তিশা ভয়ে ভয়ে কলটা রিসিভ করে কাঁদতে লাগলো।
রাহাতঃতিশা কাঁদছো কেন?রোজের কি কিছু হয়েছে রোজ কোথায়
.
তিশাঃভাইয়া আসলে বলে সব কথা খুলে বলল।
রাহাতঃকি তুমি এত ইরেসপন্সিবল কি করে হতে পারো দুপুর থেকে রোজকে পাওয়া যাচ্ছে না আর তুমি আমাকে এখন বলছো।ইডিয়ট
তিশাঃস…টিট টিট টিট কলটা কেটে গেলো।
.
রাহাতের বাবাকে জানালে তিনি চিন্তা করবেন তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে বেড়িয়ে পড়লো।গন্তব্য রোজের কলেজ।
.
.
চলবে….
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here