বড্ড ভালোবাসি পর্ব ৭+৮

গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ০৭
লেখা :- Labiba Islam Roja
:
:
:
কিরে রোজ কোথায় হারিয়ে গেলি। রিহান ভাইয়া কিছু জিজ্ঞেস করছেন তার কথার উওর দে।
.
হুমম….জ্বী এখন ভালো।(খাডাশটার কথা জিজ্ঞেস করমু নাকি করমু না।জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে।না থাক আবার না জিজ্ঞেস করলে কি খারাপ দেখাবে।(ধুর কি যে করি)
.
তিশাঃআচ্ছা ভাইয়া রোজ তো ঠিক আছে।এবার আপনি বলুন আপনি ঠিক আছেন তো?(মুচকি হেসে)
.
যাক বাবা বাঁচা গেলো আমার কাজটা তিশাই করে দিলো।তিশার কথা শুনে সবাই মুখ চেপে হাসছে এমনকি রাক্ষুসটাও।ছিঃছিঃ এই মেয়ে এটা জিজ্ঞেস না করলেও তো পারতি।নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে কোথাকার।
রিহান ভাইয়া বললেন___
.
জানো তো তিশা কিছু কিছু জিনিসে খারাপ লাগা নয় ভালো লাগাও কাজ করে।আর এরকম জিনিসে মানুষ দুঃখের চেয়ে হয়তো সুখটাই বেশি পায়।
কিছু কষ্টের মধ্যেও অনেক সুখ পাওয়া যায়।যা কেবল সেই বুঝে যে পেয়েছে।আর যে দিয়েছে সে হয়তো কিছুই বুঝতে পারে না।কেউ চেয়েও পায় না কিন্তু অনেকেই না চাইতেও পেয়ে যায় তার কাঙ্ক্ষিত সুখ।
.
ও বাবা রাক্ষুটা এসব কি বলল মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।এসব কথার অর্থ কি? কি বুঝালো ধ্যাৎ এমনি কি আর ভাইয়া বলে তোর মোটা মাথায় সহজ কথাও ধরে না।আজ সত্যি তার প্রমাণ পেলাম।
.
সবাই রাক্ষসটার কথা শুনে হা হয়ে গেছে।তিশা বলল ভাইয়া আপনার কথার আগা মাথা কিছুই আমি বুঝলাম না।আচ্ছা তোমরা কেউ কি কিছু বুঝলে?
.
সবাই মাথা নাড়ালো যে কেউ কিছু বুঝতে পারে নি।এবার তিশা বলল ভাইয়া একটু বুঝিয়ে বলবেন?
.
তখনি আবির ভাইয়া বলে উঠলেন এসব বুঝা তোমাদের কম্ম নয়। এত ভাবাভাবি না করে ক্লাসে যাও।
.
আমি আর তিশা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি আর ভাবছি উনি তখন কি বুঝাতে চাইলেন।
.
আচ্ছা তিশা তুই কি কিছু বুঝতে পারলি।কই না তো আমি কিছু বুঝিনি(হাসি আটকিয়ে)।এবার চল ক্লাসে যাওয়া যাক।
.
হুম চল।
.
.
.
.
বাড়ি ফিরে এসে চিপস খাচ্ছি আর টিভি দেখছি। ভাইয়াও অফিস থেকে বাসায় ফিরেছে।বাবাও কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।আচমকা কেউ আমার রিমোট ধরে টান দিলো আর টিভিটা অফ হয়ে গেলো।কাজটা কার বুঝতে আমার এক মিনিটও দেরি হলো না।তাই রাগী লুক নিয়ে বললাম ভাইয়া আমার রিমোট দাও।
.
না দিব না সারাক্ষণ শুধু টিভি দেখিস কেন তুই।জানিস না এসব দেখা ঠিক না।গুনাহ হবে আর এসব দেখিস না লক্ষী বোন আমার।
.
ভাইয়া আমি জানি কিন্তু বাড়িতে একা একা ভালো লাগে না।আম্মু রান্না ঘরে আব্বু আর তুমি থাকো অফিসে তাহলে একা একা আমি কি করবো বল।
.
তাই বলে টিভি দেখবি আর দেখিস না।একা লাগলে ইসলামিক বই পড়বি কুরআন তেলাওয়াত করবি।তাহলে টাইম তাড়াতাড়ি চলে যাবে।
.
এসব তো আমি করি কিন্তু তবুও টাইম যায় না।আচ্ছা ভাইয়া আমি আর টিভি দেখব না।কিন্তু একটা শর্তে….
.
কি শর্ত বল।আমি রাজি
.
আমার একটা সঙ্গী চাই।যার সাথে আমি গল্প করবো, ঝগড়া করবো,রাগ করবো,তারপর ভাবও করব।একদম তোমার সাথে যেমন করি তেমন।
.
এমন কাউকে কোথায় পাব পরী(করুণ চোখেঁ)আইডিয়া তোর বেস্ট ফ্রেন্ড তিশা ও তো তোকে খুব বোঝে আর তিশার সাথে ঝগড়া না করলে তো তোর পেটের ভাত হজম হয় না। ওকে কালকেই আমি আঙ্কেল আন্টিকে বুঝিয়ে ওকে কিছুদিনের জন্য আমাদের বাড়িতে আসতে বলব।এবার হ্যাপি
.
নাহহহহ….আমি আমার ফ্রেন্ডের কথা বলছি না।আমার ফ্রেন্ড চাই না আমার ভাবি চাই ভাবিইইই।
.
অহহ এই ব্যাপার এ আর এমন কি কালকেই তোর ভা…
.
কি হলো বলো কথা আটকে গেলো নাকি।আমার ভাবি চাইই চাই।পেছন থেকে আব্বুও বলে উঠলেন আমারও একটা বৌমা চাই হুমম।
.
বাবা তুমিও পরীর সাথে সাথে শুরু করলে।
.
হুমম।এখনও যদি বৌমা না দেখি তাহলে কি মরে ভূত হয়ে দেখবো।আমিও তোকে কথাটা বলতে চাইছিলাম এখন যখন রোজ বলে দিয়েছে তখন আমি আর দেরী করতে চাই না।
.
না বাবা এখনও উপযুক্ত সময় হয়নি।পরে যখন সময় আসবে তখন আমি নিজে রোজের সঙ্গী এনে দেব।
.
নাহ বাবা আমি তোমার কথা মানতে পারছি না।এবার রাহাতের মাও যোগ দিলেন।তিনিও একমত।
.
এবার রোজ বলল ভাইয়া এবার আর কোথায় পালাবে।আমরা সবাই যখন চাইছি তখন তোমাকে মানতেই হবে।
.
রোজজ (ধমক দিয়ে) চুপ করবি আমি না বলছি তো।আর বাবা তুমিও বাচ্চাদের মতো কথা বলো না।তুমি কি এখনকার দিনের মেয়েদের জানো না।সবাই শ্বশুর বাড়িকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারে না।যদি তেমন কেউ হয় আর রোজকে আমার কাছ থেকে আলাদা করে দেয়।সরি বাবা আমি পারব না রোজকে ছাড়া থাকতে।
.
কিন্তু বাবা মেয়েটা যে এমন হবে তার তো কোনো গ্যারান্টি নেই।ভালোও তো হতে পারে।
.
না বাবা তবুও আমি রিস্ক নিতে চাই না।আর এ নিয়ে কোন কথা বলতে চাইছি না।এ বাড়িতে যেন এ নিয়ে আর কোন কথা না হয় বলেই রুমে চলে গেল।
.
ভাইয়া কথাটা তো শুনো ভাইয়া ভাইয়াা। ঠাসস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।ভাইয়া আমার জন্য এসব করছে।সত্যি আমি ভাগ্যবতী।আচ্ছা আমি কি ভাইয়ার ভালোবাসার দাম দিতে পারবো।
.
.
.
আজ দুদিন হয়ে গেল কলেজ যাচ্ছি না।বাড়িতে থেকে বোর হচ্ছি।তিশা অবশ্য বার বার জানতে চেয়েছে কেন যাব না।এমনিতেই ভালো লাগছিলো না তাই যাইনি।কিন্তু বাড়িতে থেকেও আর ভালো লাগছে না তাই আজ কলেজ যাব বলে মনস্তির করেছি।তিশাকেও বলে দিয়েছি আমাকে নিয়ে যেতে।
.
.
.
কলেজ যেতে যেতে তিশা বলল এই দুদিন তুই কলেজ আসিস নি।তাই কলেজে কি হয়েছে জানিসও না।এরইমধ্যে কলেজেও এসে পড়েছি।
.
অতি আগ্রহের সাথে তিশাকে জিজ্ঞেস করলাম__ এই দুদিনে কি হয়েছে রে?
.
.
চলবে….
গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ০৮
লেখা :- Labiba Islam Roja
:
:
:
সামনেই নবীন বরণ অনুষ্ঠান যার দায়িত্বে আছে লাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্টরা।আর তাদের লিডার হলেন রিহান ভাইয়া আসলে উনি খুব রেসপন্সিবল। যেই দায়িত্বটা নেন সেটার কোনো ফাঁক থাকে না।সবদিক বিবেচনা করে সুষ্ঠভাবে কাজটা সম্পন্ন করেন।আর উনার কাজে কেউ কোনো অভিযোগও করতে পারে না।এই কারণে সব টিচাররা তাকে খুব ভালোবাসেন।তিনিও সবাইকে মান্য করে চলেন।কোনো টিচার তো দূরে থাক স্টুডেন্টদের সাথেওও কখনও খারাপ আচরণ করেন না।
.
অহহ এই কাহিনী আমি আরো ভাবলাম কি না কি।সত্যি বাবা তুই পারিসও।উফফ আমি চিন্তায় পড়ে গেসিলাম।তুই সব সময় উনার এত গুণগান করিস কোনো বইন।ভালো টালো বাসিস নাকি হুম(ভ্রু নাচিয়ে)
.
যাক বাবা ভালোরে ভালো কমু না তো খারাপ কমু নাকি।আমি বাপু তোর মতো না।আর উনার মতো একজনকে পেলে আমি কেন যেকোনো মেয়ের জিবন ধন্য হয়ে যেত (বুকে হাত দিয়ে)।কিন্তু…..
.
কিন্তু কি থামলি কেনো।কি সিট বুকিং হয়ে গেছে বুঝি(যদিও জানি ও সিঙ্গেল)

.
হা হা সত্যি কি যে বলিস সিট বুকিং না খালি সেটা আমার থেকে তোর বেশি জানা উচিৎ।
.
আমার হা হা তোর খবর জানমু আমি।তুই তো আমাকে ছাড়া এই কলেজে দুবছর ছিলি তখন নিশ্চয়ই প্রেম টেম কসেছিস।
.
ওই মাইয়া তোর কি আমার পিছে লাগা ছাড়া কোনো কাম নাই।যত্তসব আবুল তাবুল কথা।
.
চেৎছিস কেন বইন।তাইলে কি আমি হাছা কথা কইতাছি(মুচকি হেসে)
.
শয়তান মাইয়া আর তোর সাথে কথাই কমু না।
.
এত হাইপার হচ্ছিস কেন?
.
তুই যা নয় তাই কইবি আর আমি হাইপার হমু না।

.
ওকে ওকে বি কুল আর এসব কমু না।তুই আগে কি যেন বলছিলি ওই রাক্ষুটার মতো অর্গানাইজার নাকি আর কেউ নাই।ধ্যাৎ ওই রাম ছাগল মার্কা টিম নিয়ে রাক্ষুস করবে আয়োজন হুহ।তুই সেই আশায় থাক।অনুষ্ঠানটার বারোটা বাজাবে দেখিস।আর এই কলেজের স্যারেদেরও বলি হারি বাপু আর লোক পেলো না দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।
.
.
ওই ছেমরি তুই কি কস তুই জানস___
এ পর্যন্ত অনেকের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সবাই কিছু না কিছু ভুল করেছে।কিন্তু গত চার বছর ধরে রিহান ভাইয়াই একমাএ ব্যাক্তি যে পার্ফেক্টলি কাজটা করে যাচ্ছে।আর তুই বলছিস উনার থেকে ভালো কাউকে দায়িত্ব দিতে।এই দায়িত্ব টা নেওয়ার জন্য কে আছে এই কলেজে কই আমার তো তারে চোখেঁ পরে না।
.
.
ওরে গাধি তুই কি কানা হয়ে গেলি।আমাকে চোখেঁ পরে না।আমি ছাড়া এই কাজটা কে করবে শুনি(বেশ ভাব নিয়ে)।আমিই তো সেই যে উনার থেকে হাজার গুণ ভালোভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারি।
.
.
কথাটা বলেই থ হয়ে গেলাম।ওরে আল্লাহ আমারে বাচাঁও।আর কোনোদিন এমন কথা কমু না।শালা বলদ আমি তোর কথা কইলেই কোথা থেকে চলে আসিস।এবার আমার আর রক্ষা নাই।আমি শেষ তিশা তুই আমার বইন আমারে বাচাঁ রাক্ষুস টার হাত থাইক্কা।
.
.
তো মিস পেত্নী আপনি এতো ভালো অর্গানাইজার সেটা তো জানতাম না।আচ্ছা তিশা তুমিও তো কিছু বললে না।এটা তোমার ঠিক হয়নি।আমরা তো এমন একজন অর্গানাইজারকেই খুজঁচ্ছি।
.
তিশাঃনা ভাইয়া ও সেভাবে কিছু বলে নি।আসলে টুকটাক পারে আর কি।
.
না তিশা তোমার কথা আমি আর শুনছি না। আমি যখন ওর কথা জানতাম না তখন একরকম ছিলো।কিন্তু এখন জেনে গেছি এবার যদি উনাকে না নিয়ে কাজ করি তাহলে উনার মতো লোককে অপমান করা হবে।আর আমি সেটা হতে দিতে পারি না।বিশ্বাস করো পেত্নী আমি যদি আগে জানতাম তাহলে কাজটা কখনও নিতাম না।

কিন্তু চিন্তা করো না আমি যখন জেনে গেছি তখন তোমার ইন্সট্রাকশন মতো আমরা কাজ করবো চলো।
.
আ..আস..সলে ভা..ই..ই..য়া আমি বলছিলাম যে
.
না আমি তোমার কোনো কথা শুনছি না চলো ওদিকে অনুষ্ঠানের সব প্ল্যানিং হচ্ছে চলো চলো।তিশা তুমিও আসো
.
.
আসো বাচাধন আজকে তোমায় আমি মজা দেখাবো।একে তো দু দুটো দিন কলেজ আসনি তার উপর আমাকে ইনসাল্ট করা। এবার মজা টের পাবে।
.
কি হলো তোমাদের কথা কানে যাচ্ছে না।চলো(চিৎকার করে)
.
ফেঁসে গেলাম কেন যে এসব কথা বলতে গেলাম।ওই তিশা কিছু একটা কর আমারে বাচাঁ।
.
এখন চুপ কর কথা বলার সময় মনে ছিলো না।খুব তো বড় বড় কথা বলছিলি এবার বুঝ।
.
ওই তুই আমার সাথে কোন জন্মের শত্রুতার শোধ তুলছিস।
.
চুপ যা বলছে শোন।চল ওদিকে যাই পরে আবির ভাইয়াকে বলে ম্যানেজ করে নেব।একে এখন কিছু বলে কোনো লাভ নেই।
.
ঠিক বললছিস তো
.
হুম চল।
.
.
.
হাটঁতে হাটঁতে চলে এলাম সেখানে।এবার খাটাশটা সবার উদ্দেশ্যে বলল__
সো গাইজ আমাদের আর চিন্তার কোনো কারণ নাই।আমাদের অনুষ্ঠানের সব প্ল্যানিং করবে মিস রোজ।আর আমরা তার ইন্সট্রাকশন মতো কাজ করবো।
.
.
রাতুল ভাইয়া বলল তুই কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি রে।এ করবে অনুষ্ঠনের বন্দোবস্ত বলেই সবাই অট্রহাসিতে ফেটে পরলো।
.
সাইলেন্ট গাইজ সাইলেন্ট তোরা কেউ জানিস না উনি কত বড় মাপের মানুষ।আমাদের মতো রাম ছাগল মার্কা টিম কি আর করবে।আমাদের থেকে উনি শত গুণ ভালোভাবে করতে পারবেন।
.
এবার সবাই চুপ রিহানের কথায় কেউ আপওি করলো না।কারণ সবাই জানে রিহান সব সহ্য করলেও নিজের বন্ধুদের অপমান সহ্য করবে না সে যেই হোক।
.
এবার বুঝলাম রাক্ষুসটা সব শুনে ফেলেছে।এবার আর আমার রক্ষা নাই।তিশা বলল ভাইয়া একটু শুনুন না।
.
হুম শুনবো তো।এবার তোমরা বলবে আর আমরা শুনবো।দাড়াঁও শুনছি আগে তোমাদের বসার ব্যবস্থা করি।এই রাতুল ম্যাডামকে একটা চেয়ার দে।
.
সাথে সাথে চেয়ার হাজির তিশা আর আমাকে বসতে বলল।আমি কিছু বললেই কথা ঘুরিয়ে নেয়।কি করব এখন আমি এখানে তেমন কাউকে চিনিও না।আবির ভাইয়ের দিকে অসহায়ভাবে তাকালাম কিন্তু উনি মাথা নিচু করলেন যার অর্থ উনিও কিচ্ছু করতে পারবেন না।
.
কি হলো এদিক ওদিক তাকিয়ে কোনো লাভ নেই(রাগে চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। রাগে শিরা ফুলে উঠেছে)।চুপচাপ এখানে বস আর বলো কি কি করতে হবে।
.
উনার দিকে তাকিয়েই আমি রীতিমতো ভয়ে কাপাঁকাপি করছি।এত রাগতে এই প্রথম দেখলাম।কি ভয়ংকর চোখঁ দেখেই ভিতরটা শুকিয়ে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে রাগে চোখ থেকে আগুনে ফুলকি ঝরছে। ভয়ে ভয়ে বসতে যাব তখনি বুঝতে পারলাম চেয়ারটা আর নেই।আর কে সরিয়েছে তা বুঝতেও বেগ পেতে হয়নি ভয়ে চোখঁ বন্ধ করে নিলাম কিন্তু একি আমি মাটিতে পড়লাম না কোন?আস্তে আস্তে চোখঁ খুলে তাকিয়েই আমি অবাকের শেষ পর্যায়ে।
.
হ্যাঁ রিাহান ভাইয়া আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে তাই নিচে পরতে পরতেও বেচেঁ গেছি।
.
আমাকে সোজা করে দাড়ঁ করিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে উনি বললেন অন্যদের কি মনে করো?আগে নিজের ব্যালেন্স রাখতে শিখ তারপর কাজ করতে এস। তুমি নিজেকে কি মনে করো একা তুমিই সব পারো সব জানো আর কেউ কিচ্ছু জানে না।এই মেয়ে তোমার প্রবলেমটা কি মানুষকে মানুষ বলে গন্য করতে পারো না ? কি বলছিলে রাম ছাগল মার্কা টিম।ছিঃ তুমি এত লো ম্যান্টালিটির মানুষ আমার ভাবতেও অবাক লাগছে।আমি কি না সেই তোমাকেই বলেই পাশের দেয়ালে একটা গুশি মারলেন।
.
.
উনার কথাগুলো শোনে চোখঁ থেকে আপনা আপনি পানি পরছে।আমি সত্যি নিজের অজান্তে উনাকে এতটা হার্ট করে ফেললাম।আমি তো ফান করে বলেছিলাম আর উনি কিনা সিরিয়াসলি বুঝলেন।এতগুলো কথা শুনিয়ে দিলেন আমাকে।এবার নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে।
.
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here