বড্ড ভালোবাসি পর্ব ৫+৬

গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ০৫ এবং ০৬
লেখা :- Labiba Islam Roja
:
:
:
দৌড়ে গিয়ে ক্লাসে ঢুকলাম।যাক বাবা এখন আর রাক্ষুসটা আমার কিছু করতে পারবে না।উফফ জোর বাচাঁন বেচেঁ গেছি।
.
তিশাঃতুই কি কাজটা ঠিক করলি
.
কোন কাজটা
.
তিশাঃতুই যে রিহান ভাইয়াকে কামড়ে দিলি সেটা।আর উনাকে এভাবে বোকা বানানো কি ঠিক হলো।জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে।
.
কাজটা ঠিক করেছি কিনা আমি জানি না।তবে ওই মুহূর্তে নিজেকে সেইভ করার জন্য আমার কাছে এর থেকে ভালো কোনো উপায় ছিলো না।তুই তো দেখলি কিভাবে ওরা আমাকে ঘিরে রেখে ছিলো।ওখান থেকে পালানো আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিলো তাই এটা করতে হলো।না করলে এখন আমাকে ওই ব্যাটা রাক্ষসের পা টিপতে হতো।
.
তিশাঃআচ্ছা এবার কি করবি।তোর কি মনে হয় এসবের পর উনি তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবেন।আমার তো মনে হয় না।তার উপর ওই লিনা তো আছেই।না জানি তোর সাথে কি করবে এসব ভেবেই আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
.
ভয় যে আমিও পাচ্ছি না তা কিন্তু নয়।যেভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো মনে হচ্ছিলো ধরতে পারলেই আমাকে আস্ত গিলে খেত।সত্যি এবার কি হবে।(ওরে রোজ তোর কি হলো রে তুই তো কখনও এত ভয় পাস না তাহলে আজ এত ভয় পাচ্ছিস কেন।তুই তো খুব সাহসী। একদম ভয় পাবি না।হুম আমি ভয় পাব না।)
.
আচ্ছা রোজ তুই শেষ পর্যন্ত বাচ্চাদের মতো কামড়ে দিলি।ভাবলেই হাসি পায়।ইসস না জানি কতটা লেগেছে।যেভাবে চিৎকার করে উঠে ছিলো আমার তো মনে হয় খুব লেগেছে।সবকিছু ঠিক হলেও এটা তুই ঠিক করিস নি।ভারী অন্যায় করেছিস।
.
এবার নিজেরই লজ্জা লাগছে আসলেই আমি এটা কি করলাম শেষ পর্যন্ত একটা ছেলেকে কামড়ে দিলাম ছিঃছিঃ।এবার নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে।কি করে করলাম এটা।মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে।কেন যে এই কলেজে এডমিট হয়েছিলাম।ধ্যাৎ ভাল্লাগেনা।
.
আমি একটা কথা বলি শোন রিহান ভাইয়া অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ।মেয়েদের খুব সম্মান করন।উনার মতো মানুষ হয় না।এসব কথা বলার জন্য তুই আমাকে উনার চামচা বল বা আর যাই বল না কেন।তবুও আমি বলবো।শুধু আমি না এই কলেজের সবাই এক কথা বলবে।তাই তুই যা করেছিস তার জন্য উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে সব মিটিয়ে নে।
.
ক্ষমা ইমপসিবল।আমি পারবো না।
.
প্লিজ রোজ না করিস না প্লিজ প্লিজ।আমার দিকে তাকিয়ে ঝামেলাটা এখানেই শেষ করে দে প্লিজ।
.
আমি বুঝতে পারছি কাজটা ঠিক করিনি।কিন্তু ওকে ভেবে দেখি।
.
.
.
কলেজ ছুটি হয়ে গেলো।কিছুতেই ক্লাসে মন বসাতে পারছিলাম না।আবার রাক্ষসটার ভয়ে বেরোতেও পারছিলাম না।বাধ্য হয়েই কোন মতে ক্লাসগুলো শেষ করে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরোচ্ছি আর মনে হাজারটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।কখন রাক্ষসটা সামনে চলে আসে।এসব ভেবে মনে মনে দোয়া দুরূদ পড়ছি আর চারপাশটা আড়চোখে দেখছি।হঠাৎ আবির ভাইয়া আর রিহানকে দেখলাম আমাদের দিকে আসছে।উনাদের দেখে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।অন্যদিকে আবির ভাইয়া মুখ চেপে হাসছে আর কিসব বলছে।ব্যাপারটা মোটেও বোধগম্য নয়।আমার পা দুটো যেন আর চলছে না। মনে হচ্ছে পায়ে কেউ শিকল পরিয়ে দিয়েছে।তিশাও আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আস্তে আস্তে উনারা আমাদের সামনে এসে থামলেন আমি পাশ কাটিয়ে যেতে যাব ঠিক তখনই আমার হাতে হেচকা টান দিয়ে দোয়ালের সাথে চেপে ধরেন।___
.
.
নিজেকে ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করছি কিন্তু রাক্ষুসের সাথে কি আর আমার মতো মেয়ে পেরে উঠে।তাই আমিও ব্যর্থ হলাম।
.
এই মেয়ে চুপ একদম নড়াচড়া করবে না।(হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরে)আমি না চাইলে তুমি এক পাও সরতে পারবে না।ভেবো না সকালের মতো ফাঁকি দেবে।(চোখ,মুখ শক্ত করে)কি ভেবেছিলে তোমাকে আমি ছেড়ে দিব।নো মিস রোজ আমি কিছুতেই তোমাকে ছাড়ছি না কথাটা মাথায় ডুকিয়ে নাও।(বাকাঁ হাসি দিয়ে)
.
(ভয়ে হাত পা কাঁপছে।ওরে রোজ কেন কামড়টা দিতে গেলি রে।এবার তুই শেষ।বজ্জাত,পচাঁ ডিম,টিকটিকি এবার তোকে শেষ করে দিবে।)আমার হাতে লাগছে ছাড়ুন আমি বাসায় যাবো।
.
লাগুক (আরো জোরে চেপে ধরে)আমার কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যেতে পারবে না।বুঝতে পারছো। তোমাকে আগে পেত্নী ডাকতাম কিন্তু এখন দেখছি আমি সম্পূর্ণ ভুল তুমি পেত্নী নও আস্ত রাক্ষসী।কীভাবে আমাকে কামড়ে দিলে(দাতঁ কটমট করে)এখন তো আমি কনফিউজড তুমি সত্যি পেত্নী নাকি রাক্ষসী।
.
লজ্জায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।কিছু বলতে পারছি না।তবুও বললাম __
কি বললেন আপনি আমি রাক্ষসী। আমি মোটেও না রাক্ষসী না।আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন এটা করতে।
.
আমি (অবাক হয়ে)
.
হুম আপনি। তখন নিজেকে বাচাঁনোর জন্য আমার কাছে এর থেকে কোনো ভালো উপায় ছিলো না।তাই যা করেছি বেশ করেছি।
.
অহহ রিয়েলি।(আমার কথা শুনে আরো রেগে গেলেন।এবার মনে হচ্ছে হাতটা ভেঙে যাবে।উনার সব ররাগ যে হাতের উপর পরছে তা বুঝতে পারছি।ছিলে যাওয়া জায়গা থেকে হয়তো রক্ত পরছে)
.
এবার আর সহ্য করতে পারছি না।চোখঁ থেকে টুপ করে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো।
.
হাতে ঠান্ডা কিছু একটা অনুভব করায়।নিচের দিকে তাকালাম।দেখলাম ওর হাত থেকে রক্ত পরছে।ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো রেগে এ কি করলাম।কি করে পারলাম ওকে এতটা কষ্ট দিতে।তাড়াতাড়ি হাতটা ছেড়ে দিলাম।রোজের চোখ থেকে পানি ঝরছে আর চোঁখ বন্ধ করে দাড়িঁয়ে আছে।
.
আবির ফাস্ট এইড বক্স তাড়াতাড়ি নিয়ে আয় তো।
.
উনার কথা শুনে চোঁখ খুলে তাকালাম।হাতটা যন্ত্রণায় ছিড়ে যাচ্ছে।চল তিশা বাড়ি যাবো।
.
রোজ শুনো একটু দাড়িয়ে যাবে।(করুণ সুরে)
.
উনার মুখে এই প্রথম নিজের নামটা শুনে কেঁপে উঠলাম।উনার ডাক কে উপেক্ষাও করতে পারছি না আর দাড়িয়ে থাকতেও পারছি না।কিন্তু তবুও না চাইতেও দাড়িঁয়ে গেলাম।
.
এরই মাঝে আবির ভাইয়া
ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে হাজির।
.
রোজ হাতটা দেখি
.
না লাগবে না। আমি আসছি।
.
একদম চুপ।আমাকে রাগিও না। রাগলে এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।জোর করে হাতে ঔষধ লাগাচ্ছি।সরি রোজ আমি বুঝতে পারি নি খুব লাগছে তাই না।
.
আমি চোঁখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।একটা লোক কীভাবে এত সহজে সব ভুলে যেতে পারে।সিল্কি চুলগুলো বাতাসের সাথে কপালে এসে পড়ছে। আবারও রাক্ষসের উপর ক্রাশ খেলাম।
.
কি হলো কথা বলছো না কেন?
.
না ঠিক আছে।আমি বাড়ি যাবো।
.
ওকে ব্যান্ডেজ করা শেষ যেতে পারো।তোমার হাতের এই অবস্থা সাথে আজ আমাকে যেই কামড় দিয়েছো তাতে এইখানটায়(বুকের বা পাশটা দেখিয়ে) প্রচন্ড ব্যাথা করছে তাই আজকে ছেড়ে দিচ্ছি।কিন্তু কালকের জন্য রেডি থেকো খুকি। আগামীকাল তোমার সাথে কি কি হয়।এই আআবুর চল বলেই আমাকে ছেড়ে দিয়ে হন হন করে চলে গেলেন।
.
আমি উনার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছি।আর ভাবছি কালকে কি হবে।
:
:
পর্ব :- ০৬
:
:
রিহান বাড়িতে গিয়েই শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আয়নার সামনে দাড়াঁতেই তার বুকে নজর গেল।
সাথে সাথে মনে পড়ে গেল সকালের কথা।পুরোটা লাল হয়ে কিছুটা ফুলে গেছে।এটা দেখে হাসতে লাগলো আর বলল তুমি কি আমায় পাগল বানাতে চাও।জানো তোমার ছোঁয়ায় আমি কতটা পাগল হয়ে গেছিলাম।তাই তো নিজেকে আটকাতে তোমার উপর রাগ দেখালাম।রেড রোজ তুমিও না আর জায়গা পেলে না যেখানে তোমার বসবাস সেখানেই আঘাত করলে(মুখ ফুলিয়ে)।
.
পরক্ষণে আবার বলে উঠলো তুমি দেখতে একদম বাচ্চা টাইপের আর আর আচরনেও তা স্পষ্ট।এবার একটু বাচ্চামো বাদ দিয়ে এডাল্ট হও।শেষমেষ বাচ্চাদের মতো কামড়ে দিবে আমি ভাবতেও পারিনি কথাগুলো ভাবছে আর আনমনেই হেসে চলেছে।
.
.
অন্যদিকে রাত অনেক হয়েছে কিন্তু চোঁখে ঘুমের চিটে ফোঁটাও নেই।কি একটা অস্বস্তি হচ্ছে।চোখের সামনে বার বার রাক্ষুসটার মুখটা ভেসে উঠছে।কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।আচ্ছা আজকের এই ঘটনার পর তো আমার শয়তানটার উপর রাগ করে দশ বারোটা কথা শুনানো উচিৎ ছিলো।তাহলে আমি তা করলাম না কেন।রাগই বা হচ্ছে না কেন?আমি তো এমন না তাহলে কেন এমন হচ্ছে কেন কেন কেন?(মাথায় হাত দিয়ে)
.
তার কথা এত ভাবছিই বা কেন উফফ আর ভাল্লাগছেনা ।এপাশ ওপাশ করেই যাচ্ছি কিন্তু কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না।মনে হচ্ছে
রাক্ষুসটার সাথে সাথে ঘুমও আমার সাথে রাগ করেছে।আচ্ছা আমি কি সত্যিই খুব বেশি করে ফেলেছি কে জানে হয়তো ঠিক হয়তো না।কিন্তু এবার আমার কি করা উচিৎ।আর কাল কি ঘটবে আমার সাথে।যেই বদমেজাজি একমাএ আল্লাই ভালো জানেন কি হবে আমার সাথে….!!(আল্লাহ এই বারের মতো আমারে বাচাঁইয়া দেও আর কখনও বজ্জাতটার সাথে লাগমু না)
.
না এই ভাবে আর শুয়ে থাকা যায় না।আমার এখন আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করছে।আর সেটা একজনই খাওয়াতে পারে।তো রোজ দেরি কিসের তাড়াতাড়ি চল তার কাছে যাওয়া যাক।
.
এহহ এ তো মেঘ না চাইতেই জল ভাইয়া জেগে আছে।ল্যাবটপে কি করছে। ভাইয়া আসবো।
.
হুম।আরে আমার পরী যে ঘুমাস নি এখনও।
.
নাহ ঘুম আসছে না।পেট শুধু আইসক্রিম আইসক্রিম করছে।
.
অহহ বাবা তাই নাকি।এখন পেটের এই বায়না মিটাতে এখন কি করা যায় বলতো।
.
কি আর করার আইসক্রিম খাওয়া যায়।
.
তাহলে আর দেরি কেন?এক্ষুণি চল।
.
হুমম
চলো।এই একটা জায়গা যেখানে অনায়াসে সব বলা যায় আর অসম্ভব হলেও সেটা পাওয়ার আশা করা যায়।
.
আচ্ছা ভাইয়া এত রাতে তোমাকে ঘুমাতে না দিয়ে আইসক্রিম খেতে নিয়ে এলাম তোমার খারাপ লাগলো না।
.
হঠাৎ এরকম ভাবে কথা বলছিস কেন পরী।
.
এমনি জানতে ইচ্ছে হলো।বলোনা ভাইয়া প্লিজ।
.
নাহ খারাপ লাগলো না।বরং যদি পরীকে না নিয়ে আসতাম তাহলে খারাপ লাগতো।আমার পরী আমার কাছে কিছু চেয়েছে আর আমি দেইনি তা কখনও হয়েছে।শুধু আইসক্রিমই তো চেয়েছিস।
ঐ যে চাঁদটাকে দেখছিস যদি ওটাও চাইতিস জানি এনে দিতে পারবো না তাও তোকে এনে দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
.
ঠিক আছে আমার চাঁদ চাই না।এখন তাড়াতাড়ি চলো আমাদের দেরি হচ্ছে।(দাতঁ কেলিয়ে)
.
হুম চল।ফাকাঁ রাস্তা লোকজন তেমন নেই।ভাইয়া আমাকে আইসক্রিম কিনে দিলো।ভাইয়াকে বললাম খেতে কিন্তু সে এই রাতের বেলা আইসক্রিম খাবে না।আর আমি দুইটা খাচ্ছি আর দুইটা ভাইয়াকে রাখতে দিয়েছি।
.
রোজ আমি কিন্তু তোর একটা আইসক্রিম খেয়ে নিচ্ছি।(দুষ্টুমি করে)
.
একদম না তুমি আমার আইসক্রিম খাবে না।তখন তো বললাম নিতে কিন্তু নিলে না।তাহলে এখন কেন দেবো।
.
ঠিক আছে ঠিক আছে খাবো না।এবার চল বাড়ি যাওয়া যাক।বাড়িতে এসে ভাইয়া আমাকে বলল_
_
.
চল আমি তোকে ঘুম পাড়িয়ে দেই।আমি তো মহাখুশি।এরপর ভাইয়া পরম আদরে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আমি চোখঁ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছি।আসলে আমি বড় সৌভাগ্যবান এমন একজন ভাইয়ের বোন হতে পেরে।কত জ্বালাতন করি কিন্তু কোনো কিছুতেই তার বিরক্তি নেই।আসলে বড় ভাইগুলো মনে হয় এমনই হয়।এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পাই নি।…..
.
.
ঘুম থেকে উঠে দেখি কলেজের টাইম হয়ে যাচ্ছে।ফ্রেশ হয়ে বসে বসে চিন্তা করছি কলেজ যাব কি যাব না।এমন সময় তিশা এসে বলল কিরে কলেজ যাবি না।
.
কিছু একটা ভেবে হুম তুই বস আমি রেডি হয়ে নিচ্ছি।
.
ওকে তাড়াতাড়ি।
.
তিশা আর আমি পাশাপাশি হাঁটছি।কি হবে আজ কলেজে।না আর এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না।আজ এর একটা বিহিত করতে হবে।
.
কলেজে ঢুকে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি।আমার চোখঁ দুটো এখন একজনকেই খুঁজে চলেছে।কিন্তু যাকে খুঁজচ্ছি তার দেখা নাই।তিশা বলল সে নাকি ক্যান্টিনে যাবে।ক্যান্টিনে ঢুকেই টাস্কি খেলাম।যাকে আমি পুরো কলেজ খুঁজচ্ছি সে এখানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারছে ভাবা যায়।
.
আবির ভাইয়া বলে উঠলেন আরে রোজ কেমন আছো?
.
আবিরের কথায় পেছন ফিরে তাকালাম।নেভি ব্লু ড্রেসে মেয়েটাকে সত্যি অসাধারণ লাগছে।চোখঁ সরাতেই পারছি না।রোজের কথায় ধ্যান ভাঙলো।
.
জ্বী ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো।আপনি কেমন আছেন?
.
হুম আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমিও ভালো আছি।
.
রাক্ষুসটারে কি করে যে সরি বলি।উফফ কি করব।আর সাত পাঁচ ভেবে লাভ নাই।
.
রাক্ষসের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রাক্ষস কে বললাম ভাইয়া আপনাকে আমার কিছু বলার ছিলো___
.
পেত্নীর কথায় চোঁখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি…..তা পেত্নী আমাকে আবার তোমার কি বলার আছে।এখানেই বলবে নাকি অন্য কোথায়ও। অন্য কোথাও হলে আমি যাব না।আমি আবার তোমাকে কিছুটা ভয় পাই কাল যেভাবে কামড়ে দিলে আজকে একা পেয়ে যদি ঘাড় মটকে দাও।না বাবা রিস্ক নিয়ে লাভ নেই।উনার কথায় সবাই হেসে দিলো।
.
আর আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।কি লজ্জা কি লজ্জা!আমাকে এভাবে লজ্জায় না ফেললে কি উনার খুব বড় ক্ষতি হয়ে যেত।
.
এবার উনি বললেন। কি হলো যা বলার তাড়াতাড়ি বলো।
.
নিরবতা ভেঙে বললাম __
ভাইয়া I’m Sorry….আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
.
আমাকে থামিয়ে মুচকি হেসে বললেন__
ইটস ওকে আর কিছু বলতে হবে না।আসলে সরি বললে কেউ কখনও ছোট হয় না।নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে অনেক বড় মহত্ব লুকিয়ে থাকে।আর এটা সবার মধ্যে থাকে না।ওকে বাদ দাও তোমার হাতের অবস্থা কেমন?
.
উনার দিকে তাকিয়ে মনযোগ সহকারে কথাগুলো শুনছি আর ভাবছি।কি সুন্দর কথা বলার স্টাইল।একটা সরি বলায় সব বাদ।আসলে তিশার কথাই ঠিক।উনি খুব ভালো মনের একজন মানুষ।
.
তিশার কথায় ধ্যান ভাঙলো___
.
.
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here