❤বসন্তের ছোঁয়া❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ১৪/১৫
,
,
সারাঃ( রাজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে) তোমার সাহস কি করে হয় আমায় কিস করার হ্যা।
,
রাজঃ স্যরি আসলে প্রচুর ঝাঁল লেগেছিল তাই।
,
সারাঃ তাই কি হ্যা আমি তোমায় টাচ করতে পারব বাট তুমি না ভুলে গেলে নাকি।
,
রাজঃ তুমি তো আমায় জোর করে কিস কর আর আমি করলেই দোষ বাহ বাহ।
,
সারাঃ তুমি আমায় স্ত্রী হিসেবে মানো না তাই টাচ করতে পারবে না আমায় বুঝলে আজকের পর যাতে এরকম ভুল না হয়।
,
রাজঃ হুম।
,
সারাঃ অনেক রাত হয়েছে এবার ঘুমাও।
,
রাজঃ হুম।
,
সারাঃ হুম কি?
,
রাজ উল্টো পাশে শুয়ে ঘুম সারাও পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল আজকে আর জরিয়ে ধরে নি।
,
,
সকালে
দুজন ই রেডি হয়ে নিল অফিসে যাবে বলে অফিসে এসে কাজে লেগে গেল কালকে রাতের কথাটা বার বার ভাবাচ্ছে রাজকে।
,
এনামুলঃ আসব ভাইয়া।
,
রাজঃ হুম আসো তুমি কেমন আছো?
,
এনামুলঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু কথা বলতে এসেছি যদি অনুমতি দিতেন।
,
রাজঃ আমি জানি তুমি কি বলবে আচ্ছা ঠিক আছে বলো শুনছি।
,
এনামুলঃ আর কত দিন এই নাটক করবেন আপনিও কষ্ট পাচ্ছেন আর সারাও প্লিজ আপাতত এসব বন্ধ করুন সারাকে সত্যি টা বলে দিন তাহলে ই তো হয়।
,
রাজঃ এই অভিনয় ততদিন ই চলবে যতদিন না আমি এই পৃথিবী ত্যাগ করছি ( চোখ মুছে)
,
এনামুলঃ( হাতে ধরে) প্লিজ ভাইয়া সারার সাথে এই নাটক টা না করলে হতো না শুধু শুধু কষ্ট পাচ্ছে প্লিজ আমার রিকুয়েস্ট আপনি সত্যি টা বলে দিন আপনি চেয়েছিলেন সারা অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী হোক কিন্ত সেটা কি হয়েছে ও আপনাকে ছাড়া কাউকে মেনে নিবে না।
,
রাজঃ না এ হতে পারে না আমার অল্প কয়েক দিন জীবনের সাথে ওকে জরাতে চাইনা কিন্ত তুমি আমায় একবার ও বললে না ফুপি যেই মেয়েটার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে সেটা আর কেউ নয় সারা।
,
এনামুলঃ আমি কি করব একদিক দিয়ে আপনি অন্য দিক দিয়ে সারা ও মানা করেছে বলতে তাই বলিনি প্লিজ ভাইয়া এসব নাটক বন্ধ করুন আর সব সত্যি টা বলে দিন নয়তো আমি আজকে সব বলে দিব সারাকে।
,
রাজঃ এনামুল প্লিজ পাগলামো কর না সারা আসল সত্যি টা জানলে আমায় কোনো দিন ছেড়ে যাবে না আমি ওর সামনে যতটা খারাপ হওয়ার প্রয়োজন ততটাই হচ্ছি কিন্ত ওর মায়া ভালোবাসার কাছে হেরে যায় বারবার আমার সময় খুব কম এনামুল প্লিজ এটা আমার রিকুয়েস্ট তুমি ওকে সত্যি কথাটা বলবে না।
,
এনামুলঃ কি ভাগ্য আপনার আর সারার দুজন দুজন কে ভালোবাসেন কিন্ত একটা রিপোর্টের জন্য আজকে দুজন আলাদা তবেই যায় হোক না কেন সারা আপনাকে ছাড়া কাউকে মেনে নিবে না।
,
রাজঃ হ্যা আমি জানতাম না আমার ব্লাড ক্যানসার হয়েছে যদি জানতাম তাহলে সারাকে কোনো দিন ভালোবাসলেও মুখে স্বীকার করতাম না আর ওকে ধর্ষন করার নাটক টা ও করতাম না আমি আমার ভালোবাসা কে অপবিত্র করিনি হ্যা করিনি কিন্ত পরিস্থিতির চাপে পড়ে করতে হয়েছে এনামুল তুমি এবার যাও আমার অনেক কাজ আছে।
,
এনামুলঃ ওকে ভাইয়া।
,
হ্যা এটাই সত্যি রাজ সারাকে রেপ করেনি ও অনেক ভালোবাসে সারাকে ওদের রিলেশনে থাকতেই রাজ জানতে পারে ওর ব্লাড ক্যানসার হয়েছে তাই সারার নতুন জীবনপর জন্য বলে বিয়ে করে নিতে কিন্ত সারা রাজি হয়নি এভাবে তো ওকে নিজের জীবন থেকে সরানো সম্ভব না তাই রুম ডেটের অফার দেয় সারা রাজি হয়নি উল্টো রাজকে আবারও বুঝাতে শুরু পিছু ছাড়েনি তাই বাধ্য হয়ে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিনয় করতে হয়েছে সেদিনের পর থেকে সারা রাজকে শুরু ঘৃণা করে ভালোবাসে না রাজ খুব খুশি হয় অতপর অনিকে বলে বিয়ের প্রস্তাব দিতে কিন্ত সারা রাজি হয়নি পালিয়ে আসে নিজের নানুর বাড়িতে রাজ আবার ফিরে যায় আগের জীবনে সারা কে ভালোবাসার ওর পতিতালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল ড্রিংক খুব কম করত কিন্ত আবার সব কিছু শুরু করে সারাকে ভুলার জন্য। চেয়ারে হেলান বসে বসে এসবই ভাবছিল তখনই
,
সারাঃ( হুড়মুড় করে কেবিনে ঢুকে কোলে বসে) কলিজার টুকরা কি ভাবছিলে গো আমায় খুব মিস করছিলে তাই না আমি এসে গেছি।
,
রাজঃ লজ্জা করে না তোমার বার বার আমায় বিরক্ত করতে হ্যা বেয়াদব মেয়ে ( কথাটা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাও বলতে হবে কেননা ওর ক্ষণ স্থায়ী জীবনে জরাতে চায় না সারাকে)
,
সারাঃ কি দিয়া মন কাড়িলা ও বন্ধুরে অন্তরে লাগাইয়া প্রমেরই আগুণ ( ঠোঁটে চুমু দিয়ে) তা বললে কি হয় আমি তো তোমায় ছাড়ব না কোনো দিন কলিজার টুকরা এর শেষ দেখে ছাড়ব তোমার ফোন কালকে ভেঙেছি এই নাও আই ফোন মেহেরিমার সাথে কথা বলো কেমন।
,
সারা নিজের কেবিনে গেছে রাজ হাসছে ওর পাগলামো দেখে মেহেরিমা একটা চরিত্র হীনা মেয়ে এটা জেনেও সারাকে দেখানোর জন্য অভিনয় করে যাতে ওকে ছেড়ে চলে যায়, সেদিন দীঘি তে মেহেরিমা যখন ফেলে দিয়েছিল সারাকে রাজের কলিজায় আঘাত লেগেছিল কিন্তু ঐ যে একটা রিপোর্ট এটার জন্য ই তো এতকিছু এর আগেই অনিক কে ফোন দিয়ে বলল যাতে দ্রুত এসে সারাকে বাঁচায় কালকে রাতে ইচ্ছা করে মরিচ খেয়েছে সারাকে কিস করবে বলে।
,
রাজঃ এত মায়া কেন তোমার আমি তোমার সাথে কত খারাপ ব্যবহার করি কিন্ত আমায় এত ভালোবাসো সারা আমিও তোমায় ভালোবাসি কিন্ত বলতে পারছি না শুধুমাত্র পরিস্থিতির শিকার আমি থাকব না বেশি দিন কেন এলে আমার ছোট্ট জীবন বসন্ত হয়ে তুমি এসে শিখিয়ে দিয়েছো ভালোবাসা কাকে বলে কেন এলে তুমি আবার ফিরে আমি খুব খারাপ কিন্ত তোমার ভালোর জন্য ই তো এত কিছু করছি না ভেঙে পড়লে চলবে না আমাকে অভিনয় করতেই হবে। ( চোখের পানি মুছে) হ্যালো মেহের ডারলিং কি করছো।
,
সারা নক করতেই রাজ হেসে হেসে কথা বলছে দেখিয়ে দেখিয়ে সারা এক দৌড়ে বেরিয়ে এসে সোজা বাড়িতে চলে আসে রাজ উঁকি দিয়ে দেখল আটকাতে যেয়ও পারেনি।
,
,
রাত বারটা
সারা ওর বাবার কবরের পাশে বসে আছে বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর কিন্ত এতে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই রেহেনা এসে জোর করেছে যায় নি ওর ফুপিও এসেছে এক চুল ও নড়েনি রাজ কাঁদছে রুমে বসে আর সারা বাহিরে।
,
রাজে ফুপিঃ রাজ দেখ না মেয়ে টা বৃষ্টিতে ভিজছে তুই যা ওকে নিয়ে আয় বাহিরে একটু পরপর বজ্রপাত হচ্ছে মানা করিস না।
,
রাজঃ( সারার কাছে গিয়ে) সারা রুমে চলো এভাবে এখানে বৃষ্টি তে কেন ভিজছো ঠান্ডা লাগবে রুমে চলো।
,
সারাঃ,,,,,,,,,।
,
রাজঃ প্লিজ পাগলামো কর না রুমে চলো অনেক রাত হয়েছে এভাবে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে।
,
সারাঃ( জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদেঁ) আমি কি খুব খারাপ রাজ কপন আমায় কি ভালোবাসা যায় না কেন অভিনয় করলে আমার, ভালো যদি নাই বাসতে অভিনয় করার কি প্রয়োজন ছিল, আমার দেহের প্রয়োজন ছিল আগে বলতে স্ব ইচ্ছায় দিয়ে দিতাম অভিনয় কেন করলে রাজ আমি সহ্য করতে পারছি না। দুই টা বছর একটা রাতে ও ঘুমাতে পারিনি তোমার ফেইস তোমার হাসি তোমার কথা সব আমায় কুড়ে কুড়ে খেয়েছে আমি খুব ভালোবাসি তোমায় খুব খুব আমি মাফ করে দিয়েছি তোমায় প্লিজ মেনে নেও না আর কত কষ্ট দিবে আমায় তোমার প্রপারটির কোনো নিজের নামে করার কোনো ইচ্ছা ছিল না আমার শুধুমাত্র তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য এমনটা করলাম।
,
সারার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না আজকে মনে হচ্ছে রাজের কলিজা ছেদ করছে ও নিজেও কাঁদছে নীরবে বৃষ্টির পানির সাথে চোখের পানি টাও মুছে যাচ্ছে পুরুষ মানুষের কান্না ভিতরে থাকে সেটা বাহিরে আসে না এটাই সত্য।
,
সারাঃ তোমার ইচ্ছা আমি চলে যায় তোমার জীবন থেকে তাই না চলে যাব কালকেই হ্যা কালকেই অনেক দূরে।
,
রাজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে এক দৌড়ে রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে শাওয়ারের নিচে বসে বিলাপ করছে। রাজ ধপ করে মাটিতে বসে হাঁটু গেড়ে বসে কাঁদছে বিয়ের পরের দিন সকালে সারাকে দেখে খুব খুশি হয়েছিল কিন্ত পরক্ষনেই মনে পড়ল ও এই দুনিয়ায় বেশি দিন অবস্থান করবে না।
,
রাতটা এভাবেই কেটে গেল
সকালে সারা এয়ারপোর্টে গেছে কাগজ পত্র নিয়ে ও চলে যাবে লন্ডনে মামা মামির কাছে রাজকে আর জ্বালাবে না।
,
সারার মামাঃ মামনি তুমি টেনশন নিও না আমি দ্রুত ভিসা লাগিয়ে দিচ্ছি কেমন।
,
সারাঃ ওকে মামা মামি কেমন আছে আর হে তাড়াতাড়ি চেষ্টা করবে কেমন
,
সারার মামাঃ আচ্ছা মামনি তোমাকে তো অনেক আগেই বলেছিাম শুনলে না তো কথা।
,
সারাঃ( চোখ মুছে) ভুল হয়েছে স্যরি।
,
সারার মামাঃ নিজের খেয়াল রেখো আমি একটু পরে ফোন দিব কেমন।
,
সারাঃ ওকে মামা।
,
রাজ শুনেও কিছু বলেনি ও তো এটাই চাই সারা চলে যাক ওর জীবন থেকে রুম টা পুরো চেঞ্জ দুইটা বেড দুই দিকে সারার জিনিস পত্র একসাইডে রাজের জিনিস পত্র আরেক সাইডে। সারার লন্ডনে যেতে ছয় মাস সময় লাগবে তাই আপাতত এখানেই থাকবে সময় হলে রাজকে তার প্রপারটি ফিরিয়ে দিয়ে চলে যাবে নতুন জীবনের উদ্দেশ্য।
চলবে…………..।
❤বসন্তের ছোঁয়া❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ১৫
,
,
আজকে একটা পার্টি আছে সারা যাবে না রাজ এটেন্ড করেছে কালো প্যান্ট, কালো শার্ট, উপরে হলুদ কালার একটা ব্লেজার পড়ে রওনা দিল পার্টির উদ্দেশ্য।
সারা বসে আছে আর তিন দিন পর ওর ফ্লাইট বাবার কবরের পাশে কতক্ষণ বসে পুরো বাড়ি টা একবার ঘুরে দেখল বাগানের ফুলগুলো একবার ছুঁয়ে দিল।বাড়ির প্রতিটা কোণায় কোণায় ওর স্মৃতি জরিয়ে আছে আর মাত্র ৭২ ঘন্টা সময় রাজের ফুপি রেহেনা মানা করেনি কারণ এভাবে তো আর জীবন চলবে না। সারার জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হোক সেটা ওরাও চায়।
সারা আলমারি তে রাজের জামা কাপড় গুলো ভাজ করে রাখতে গিয়ে একটা ডায়েরি পায়। কৌতুহল বশত ডায়েরি টা খুলে উপরে হাত দিয়ে ময়লা গুলো ঝেড়ে ফেলে দিয়ে বেডে বসে। ডায়েরি টা খুললো।
,
প্রথমে লিখা
ছেলে হিসেবে আমি যথেষ্ট স্মার্ট বড়লো বাবার একমাত্র ছেলে মেয়েদের টিজ করা আর প্রেমের অভিনয় করে তাদের বিছানা অব্দি নিয়ে ব্যবহার করে টিস্যুর মতো ছুঁড়ে ফেলে দেয়াই আমার কাজ।
আমি রাজ রাজ চৌধুরী কোনো সময় বা আজ পর্যন্ত আমি আমার লাইফের কথা ডায়েরি তে লেখিনি বাট আজকে লিখতেই হচ্ছে।
আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট আজকে একটা মেয়েকে দেখে চোখ আটকে গেছে পরনে আকাশী কালার থ্রী পিছ,, পায়ে এক জোড়া স্লিপার, চোখে কাজল, ঠোঁটে হালকা লিবস্টিক প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে গেলাম হ্যা আর কেউ নয় সারা নাম জানতে পেরেছি সামিনা ইয়াসমিন সারা।
,
,
এক পৃষ্ঠায় এতটুকু ই লিখা সারা পরের পৃষ্ঠা উল্টাল
হাতে ধরতে না ধরতেই ঠাস করে দিয়েছে এটা মেয়ে না অন্য কিছু ভাবতে অবাক লাগছে রাজ চৌধুরী কে থাপ্পড় দিয়েছে তাও সামান্য একটি মেয়ে বাজি ধরেছি বন্ধুদের সাথে ওকে যেভাবেই হোক পটিয়ে বিছানা অব্দি নিব কিন্ত এটা শুধু মুখের কথা সত্যি বলতে আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি কালকে পতিতালয়ে যায়নি সারা রাত ওর কথা ভেবে কাটিয়ে দিয়েছি।
,
,
পরের পৃষ্ঠায়
আজ আমার জীবনের সব চেয়ে বড় আনন্দের দিন সারা আমায় বলেছে ভালো বাসে কক্সবাজার গিয়েছিলাম আজকই ফিরলাম শুরু হলো আমার জীবনের নতুন একটি অধ্যায়।
,
,
কয়েক টা পাতায় কিছু লিখা নেই
এর পর আবার লিখা
সারাকে খুব ভালোবাসি আমি কালকে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায় মেডিকেল নিয়ে নাকি ভর্তি করিয়েছে আমার বন্ধুরা সেন্স ফিরে জানতে পারি সিটি স্কেন রিপোর্টে এসেছে আমার ব্লাড ক্যানসার।
,
সারাঃ কিহহহ রাজের ব্লাড ক্যানসার।
,
,
সারাকে সরাতে হবে আমার জীবন থেকে বলেছি কিন্ত রাজি হয়নি আমিও খুব ভালোবাসি ওকে ছেড়ে থাকা সম্ভব না কিন্ত আমার ছোট্ট জীবনের সাথে জরাতে চাই না তাই বাধ্য হয়ে একটা ঘৃণ্যতম কাজ করতে যাচ্ছি হ্যা সারাকে রেপ করার অভিনয় করব আমি আর অনিকে বলে দিয়েছি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে আর আমি দুজনের সুখের সংসার দেখব যদি সারা জানেও সেদিন অনেক লেট হয়ে যাবে তখন ও অনিক ওর সন্তান ছেড়ে কোনো দিন আমার কাছে আসবে না।
,
,
সারাঃ রাজ আমায় রেপ করেনি সবকিছু অভিনয় ছিল আর দাদা ভাই এই জন্য ই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।
,
,
খুব কষ্ট লেগেছিল যখন সারা বলছিল আমায় ছেড়ে দাও কিন্ত আমি শয়তানি হাসি দিয়ে ওর কাছে গিয়ে স্প্রে করতেই সেন্স হারিয়ে ফেলে খুব কাঁদি পাশে বসে অতপর ওর জামা কাপড় গুলো এলোমেলো করে দেয় শরীরে কতগুলো নখের আচড় ইচ্ছে করে দেয় কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়েছিলাম আজকেই প্রথম আমি আমার ভালোবাসা কে অপবিত্র করিনি আমার পবিত্র যদি ও আজকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অভিনয় করতে হয়েছে ভালো থেকো সারা খুব ভালোবাসি তোমায় আমার প্রতি ঘৃণা নিয়েই সারা জীবন বেঁচে থেকো আমি জানি তুমি সুইসাইড করবে না।
,
,
সারাঃ(হাউমাউ করে কাঁদছে) রাজ আমায় রেপ করেনি কিন্ত মেডিকেল রিপোর্টে তো ঠিকই এসেছিল আমি ধর্ষিতা এটা কি করে সম্ভব তাহলে।
,
,
পরের পৃষ্ঠায়
মেডিকেল রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে সারা রেইপড খুব শান্তি লাগছে আমার অনিক কে বলে আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিলাম আমি ও জানতেই পারবে না ও ধর্ষিতা নয়। নকল একটা ভিডিও এনে ফ্রেন্ডদেরকে দেখিয়ে দিলাম খুব কষ্ট লাগছিল যখন সবাই বলছিল সারা ধর্ষিতা।
,
,
২ বছর পর
আবারও আগের জীবনে চলে গেলাম আজকে সকালে সারাকে চোখের সামনে দেখব ভাবতে পারিনি কি যে ভালো লাগছিল তখনই মনে হলো আমি তো বেশি দিন থাকব না ও প্রতিশোধ নয় আমায় ভালোবাসবে আমি জানি তাই তে এত অভিনয় মেহেরিমার ক্যারেক্টারে প্রবলেমে সমস্যা আছে সেটা আমিও জানি এই মেয়ের মতো চরিত্র হীনা মেয়ে জগতে খুব কম আছে তাই তো ইচ্ছে করে বিয়ে করিনি সারার সাথে অভিনয় করতে খুব কষ্ট লাগে তবুও তো করতে হবে।
,
,
পরের পৃষ্ঠায় লিখা
আজ আমি আমার ভালোবাসার মানুষ টিকে খুব কষ্ট দিয়েছি।
,
,
সারা ডায়েরি টা বন্ধ করে এক দৌড়ে কার নিয়ে বেরিয়ে গেল পার্টির উদ্দেশ্য।
,
রাজঃ Ladies and gentleman
Welcome to my Party, Iam glad that a people came to join me here.
,
চোখ গেল গেইটের কাছে মেহেরিমা এসেছে একটা পাতলা শাড়ি পড়ে পেট নাভি সব দেখা যাচ্ছে চোখে এমন ভাবে কাজল দিয়েছে রাক্ষসী রাণী কটকটির মতো লাগছে সবাই মেহেরিমাকে দেখে বলল ওয়াও পাশে এসে রাজের এক হাত জরিয়ে ধরে দাঁড়াল আফজাল দেখছে বাট কিছু বলছে না অনিক এনামুল সেইম অবস্থা সারা এখনো এসে পৌঁছায় নি।
,
রাজঃ Meet my wife Meherima sultana.
,
সবাই একেএকে এসে কংগ্রেস জানাচ্ছে মেহেরিমার খুশি দেখে কে সারা কার টা কোনো রকম পার্কিং প্লেসে রেখে এক দৌড়ে যা দেখল রাজ মেহেরিমাকে জরিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে তবে এগুলো যে অভিনয় সেটা সারা জেনে গেছে।
,
রাজঃ( সারার দিকে তাকিয়ে সারা আসবে ভাবতে পারেনি) Okay guys let’s have a couple dance to celebrate the moment….
,
সারাঃ রাজ।
বলতেই সিউরিটি সারাকে টেনে বাহিরে বের করে দিল সারা চিল্লাচিল্লি করছে বাট কেউ গেইটটা খুললো না রাজের অর্ডার।
,
রাজঃCan you dance with me( মেহেরিমার দিকে হাত বাড়িয়ে)
,
মেহেরিমাঃ Yes, I can.
,
মিউজিকে গান বাজছে “”” Monba lage o monba lage lage re soyabere “””
,
লাইট অফ সকলে কাপল ডান্স করছে আফজাল অনিক এনামুল তিনজন একসাথে বসে আছে হঠাৎ একটা গুলির আওয়াজ হলো।
লাইট অন করতেই দেখল রাজের দেহটা ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েছে ব্লাড বের হচ্ছে প্রচুর গুলিটা কাঁধে লেগেছে উপস্থিত সকলেই অবাক এটা কি করে হলো কে গুলি করলো রাজকে। সারা গেইট খুলে ছুটে এসে একটা চিৎকার দিল।
,
সারাঃ রা,,,জ।
চলবে…………❤❤❤❤❤