❤বসন্তর ছোঁয়া❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ১৮
,
,
রাজ একটা লোককে ইশারা করতে ই লোকটা একটা চেয়ার দিয়ে গেল।
কিছু না বলে সারাকে কোলে বসিয়ে ঠোঁটে ইচ্ছা মতো কিস করছে সারা শকড কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না।অনিক ঃ রাজ একদম সারাকে ছুবি না বলে দিলাম ওকে আমি ভালোবাসি ছেড়ে দে বলছি।
,
সারাঃ রাজ কি করছো টা কি দাদা ভাই কে এই ভাবে কেন বেঁধে রেখেছো কেন? আর মেহেরিমাকে কেনই বা এই ভাবে বেঁধে রেখেছো।
,
রাজঃ আজ সব প্রশ্নের উত্তর তুমি পাবে আজকে ( থাপ্পড় দিয়ে) কি ভেবেছিস তুই আমি কিছু জানতে পারবো না? সারাকে ভালোবাসিস তাই না খুন করে ফেলবো আমি তোকে।
,
অনিকঃ হ্যা ভালোবাসি খুব ভালোবাসি আমি ওকে আর তোর রিপোর্ট ভুল বানিয়ে আমিই বলেছি তোর ব্লাড ক্যানসার আর সত্যি তুই বোকা দুই বছর আগে বলেছিলাম আর তুই হা হা হা।
,
সারাঃ দাদা ভাই কি বলছো তুমি এসব?
,
অনিকঃ হ্যা সারা তোকে আমি খুব ভালোবাসি সেই প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিন চোখ টা আটকে যায় ঠিক করে নিয়েছি যেভাবেই হোক তোকে আমার চাই কিন্ত রাজের জন্য আমি পারছিলাম না ও বেঁচে থাকতে তোকে আমার হতে দিবে না তাই তো।
,
রাজ এক ঘুষি দিয়ে ফ্লোরে ফেলে ইচ্ছা মতো মারতে থাকে সারা পারছে না রাজকে আটকাতে।
,
সারাঃ রাজ কি করছো মরে যাবে তো প্লিজ স্টপ প্লিজ।
,
রাজঃ কি বললে শুনলে না আমার ভুল রিপোর্ট ও নিজে ইচ্ছা করে ভুল বানিয়েছে আর বল সেদিন সারাকে রেপ করার প্ল্যান তুই বলেছিস তাই না।( রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে)
,
অনিকঃ( শয়তানি হাসি দিয়ে) হ্যা তোর থেকে সারাকে আলাদা করার এটাই একমাত্র উপায় ছিল আর আমি এটাই করেছি তুই সারার সাথে রেপ করার অভিনয় করবি আর আমি সারাকে বিয়ের প্রস্তাব দিব আমি একশত পারসেন্ট সিওর ছিলাম সারা রাজি হবে বাট হয়নি ও নাকি রাজকে নিজের থেকেও বেশি ভালো বাসে আহহ ভালোবাসা।
,
সারাঃ ছিহ দাদা ভাই তুমি এতটা খারাপ ( শার্টের কলার ধরে) কেন করলে এমনটা আমি তোমাকে নিজের ভাইয়ের মতো মনে করতাম আর তুমি ছিহ আমাকে নিজের জীবন সঙ্গীনী হিসেবে ভাবতে এতটা নিচু মন মানসিকতা তোমার আমার লজ্জা লাগছে তোমাকে দাদা ভাই বলে এত দিন বিশ্বাস করেছি। তোমার জন্য আমি রাজের গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছি শুধুমাত্র তোমার জন্য আমার ভালোবাসা এত ঠুনকো নই কি ভেবেছিলে আমি রাজকে ভুলে যাবো তোমায় বিয়ে করবো তোমার সাজানো বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হবো ভাবলে কি করে আজ থেকে জানবো আমার কোনো ভাই নেই যে ছিল সে মারা গেছে।
,
অনিকঃ সারা তুই আমার কথাটা শোন রাজ এমন কোনো মেয়ে নেই যে তার সাথে রাত না খাঁটিয়েছে ও ভালো না তোকে ও ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিবে ওর সব কিছু অভিনয় আমার কথা শোন রাজের কাছ থেকে সরে আয় আমার হাতের বাঁধন খুলে দে আমি সত্যি বলছি রাজ তোর সাথে গেইম খেলছে কারণ তোর নামে ওর সব সম্পত্তি যেদিন নিজের নামে করতে পারবে সেদিন তোকে ছুড়ে ফেলে দিবে।
,
রাজ চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকিয়ে রাগটাকে কন্ট্রোল করছে সারার জন্য কিছু করতে ও পারছে না মন চাইছে জ্যান্ত মাটি দিয়ে দিতে।
,
অনিকঃ সারা আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি আজ পর্যন্ত কোন মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায়নি শুধুমাত্র তুই সেই নারী যার দিকে আমি দ্বিতীয় বার ফিরে তাকিয়ে ছিলাম আমি খুব ভালোবাসি সারা রাজ তোকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিবে ওর এখন সব কিছু অভিনয়।
,
রাজঃ তাই বুঝি আজ সারার জন্য তুই বেঁচে গেলি নয়তো আজকেই তোর শেষ দিন ছিল।
,
সারাঃ আপনার ড্রামা শেষ আপনার খেলাও শেষ বাকিটুকু কারাগারে গিয়ে করবেন কেমন।
,
রাজ মারা মারি না করে সোজা অনিক আর মেহেরিমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
,
,
,
সেদিনের পর থেকে সারা খুব চুপচাপ রাজের সাথে খুব একটা কথা বলে না। নিজেকে একলা ঘরে বন্ধি করে রাখে রাজ কাছে আসতে চাইলে দূরে ঠেলে দেয় কিছু তেই কেন জানি রাজকে মেনে নিতে পারছে না।
,
রাজঃ সারা দেখো যা হয়েছে সেটা একটা মিস আন্ডারস্টেন্ডিং আমি ভুলক্রমে ও জানতে পারিনি অনিক আমার সাথে এই ভাবে গেইম খেলবে প্লিজ তুমি আমায় মাফ করে দাও আমি নিজেকে তোমার কাছ থেকে দূরে সেটা।
,
সারাঃ( কথা থামিয়ে দিয়ে) সেটা কি রাজ আমায় রেপ করবে তাই না সেদিন তো করতে পারনি আজ করবে তাইতো আমি তোমাকে কেন জানি না মেনে নিতে পারছি না প্লিজ একা ছেড়ে দাও।
,
রাজঃ সারা প্লিজ আমার কথাটা শোন।
,
সারাঃ লিভ মি এলন।
,
রাজঃ ওকে।
,
মন খারাপ করে ছাঁদে গিয়ে বেতের মোড়ায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
সারাঃ আমার কথায় কষ্ট পেয়েছো?
,
রাজঃ একদম না( চোখ মুছে)
,
সারাঃ সত্যি বলতে আমি কেন জানি না তোমায় মেনে নিতে পারছি না কয়েকটা দিন সময় দাও প্লিজ।
,
রাজঃ টেক ইউর টাইম।( অন্য দিকে ফিরে)
,
সারাঃ( কোলে বসে) প্লিজ রাগ কর না।
,
রাজঃ হুম।
,
সারাঃ আমি কিছু বলেছি?
,
রাজঃ শুনেছি।
,
সারাঃ আচ্ছা আমি যদি বেবী গিফট করি তুমি খুশি হবে।
,
রাজঃ( খুশিতে আত্ম হারা হয়ে) সত্যি।
,
সারাঃ নয় বছর পর।
,
রাজঃ কিহহহহ।
,
সারাঃ এত অবাক হওয়ার কি আছে বলেছি শুধুমাত্র নয় বছর ভুল কি বলেছি হ্যা।
,
রাজঃ তোমার মাথা খারাপ নয় বছর আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো আচ্ছা নয় বছর কেন বললে?
,
সারাঃ তুমি আমায় তিনটা বছর কষ্ট দিয়েছো মানে বিয়ের এক বছর আর আগের দুই বছর তাই সুদে আসলে দাঁড়ায় নয় বছর।
,
রাজঃ টুনটুনির মা এবার কিন্ত বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে জানো কি করবো?
,
সারাঃ কি করবে শুনি?
,
রাজঃ অন্য কিছু ( দুষ্টু দুষ্টুভাব নিয়ে)
,
সারাঃ জোর জবরদস্তি?
,
রাজঃ দরকার হলে সেটাই করবো আমার টুনটুনির আম্মু ( ঠোঁটে স্লাইড করে)
,
সারাঃ চেষ্টা করে দেখো পারো কি না?
,
রাজঃ সত্যি তো দেখো কাঁদবে না কিন্ত বলে দিলাম।
,
সারাঃ একবার আমার শরীরে টাচ করে দেখো না টুনটুনির আব্বু।
,
রাজঃ ঠি আছে।
,
সারার কাছে যেতে না যেতেই রাজকে হিল দিয়ে পায়ে আঘাত করে এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিল।
,
রাজঃ( হাঁপাতে হাঁপাতে) টুনটুনির আম্মু দরজা টা খোল প্লিজ আমি ভিতরে আসলে কিন্ত যেটা এতদিন করিনি সেটা করে ছাড়বো।
,
সারাঃ আসতে পারলে তো আমি ঘুমায় কেমন টাটা গো টুনটুনির আব্বু কালকে দেখা হবে।
,
রাজঃ সারা ভালো হচ্ছে না কিন্ত দরজাটা খোল প্লিজ নয়তো ভেঙে ফেলবো।
,
সারাঃ তোমার ইচ্ছা।
,
রাজ দরজা টা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে সারা এক দৌড়ে পালাতে নিলে হাতে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
চলবে……………. ❤❤❤❤❤❤