বাতাসা ❣️ পর্ব -২২+২৩

বাতাসা (২২)
ঈশানুর তাসমিয়া মীরা

বাইরে তুষারপাত হচ্ছে। আকাশ থেকে কিভাবে পড়ছে বরফগুলো! ক্ষণিকের জন্য বিষাদ মুহুর্তগুলো ভুলে গিয়ে মুগ্ধ নয়নে সেদিকে চেয়ে রইলো দিশা। কাঁচের জানালায় আলতো করে হাত ছোঁয়াতেই কেঁপে উঠলো ক্ষীণ। কি নিদারুণ ঠান্ডা কাঁচ! শরীরের লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেছে। সরব জেনের হাঁচির শব্দে সম্বিৎ ফিরলো তার। পাশ ফিরে তাকালো। অতিরিক্ত ফর্সা হওয়ায় জেনের নাক, কান, গাল রক্তিম হয়ে আছে। লাল শেরওয়ানিতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে।
জেন আয়নায় নিজের চুল ঠিক করতে করতে দিশার পানে তাকালো। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো,
—“কি হয়েছে দিইইসা? এভাবে কি দেখছ? আমাকে কি বেশি সুন্দর লাগছে?”

বলে ঠোঁটের কোণে কুটিল হাসি ফুটিয়ে এগিয়ে এলো সে। দিশার পাশে এসে দাঁড়াতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলল দিশা। হতাশ নয়নে চাইলো,
—“তুমি এমন নির্লিপ্ত কিভাবে আছো জেন? এভাবে বিয়ে করাটা আমাদের একদম ঠিক হয় নি।”

জেনের মুখশ্রী গম্ভীর হয়ে উঠল নিমিষেই। গমগমে স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
—“কেন ঠিক হয় নি?”
—“তুমি জানো না কেন? তোমার মা আমাকে কখনোই মানবেন না।”
গাম্ভীর্যে ভরপুর হয়ে সে বললো,
—“না মানুক। আমি তোমাকে ছাড়তে পারবো না। পরীক্ষা শেষ হলেই ব্যাংলাডেসে ফিরবো আমরা।”
—“আমার মা,বাবা যদি আমাদের না মানেন, তখন?”

জেন দাম্ভিক হাসলো। কিছু না বলে দিশার বাহু টেনে নিজেদের মাঝের দূরত্ব কমিয়ে আনলো। অধর কপালে ছোঁয়ানো মাত্রই দিশা আবার জিজ্ঞেস করলো,
—“উত্তর দিচ্ছ না কেন জেন? বলো, তখন কি করবে?”
জেন আগের মতোই হেসে উত্তর দিলো,
—“তখন ব্যাংলাডেসেই যাবো না আর। না তোমাকে কখনো যেতে দেব।”

দিশা চমকে উঠলো। গলা উঁচিয়ে বললো,
—“জেন, তুমি এটা করতে পারো না।”
—“আমি এটা করতে পারি দিইইসা। প্রয়োজন হলে এর চেয়েও বেশি খারাপ হতে পারি। কিন্তু আপাতত খারাপ হচ্ছি না। কারণ এমন কোনো কিছু হবে না ইনশাল্লাহ।”
—“তুমি সব জানো? আমার মনে হয় বাবা মানবে না।”
—“এতটাও কাঁচা খেলোয়াড় ভেবো না আমাকে দিইইসা। আঙ্কেল আমাদের ব্যাপারটা প্রথম থেকেই জানেন। আর মেনেও নিয়েছেন। নয়তো নিজের প্রাণপ্রিয় মেয়েকে এতদূর, ভীনদেশে পাঠাতেন নাকি?”

দিশা বিস্ময়ে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারে না। মিনমিনিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে,
—“বাবাকে আমাদের ব্যাপারে কে বলেছে? ভাইয়া?”

জেন মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। বিস্তর হেসে চেয়ে রয় নির্নিমেষ। দিশা লজ্জা পেল। গাল ভারী হতে শুরু করলো। নিশ্বাসের গতি বাড়ছে! জেন হঠাৎ অদ্ভুদ প্রশ্ন করে উঠল,
—“আমি ব্যাংলাডেসি মুভিতে দেখেছি, তারা হ্যাজবেন্ডকে দুই ভাবে ডাকে। একটা ‘ওহগো শুনচো’ আরেকটা ‘ওহগো শুনচেহন’। তুমি আমাকে কি বলে ডাকবে দিইইসা?”
দিশার হাসি পেল খুব। বললো,
—“তুমি বাংলা মুভিও দেখো?”
—“ইয়েস! আমি ব্যাংলা শিখার চেষ্টা করছি। এবার তাড়াতাড়ি বলো আমাকে কি বলে ডাকবে?”

দিশা লাজ ভুলে জেনের নেত্রে সরাসরি তাকালো। উত্তর দিলো,
—“ওগো শুনছেন বাতাসা হ্যান্ডসাম?”
জেনের হাসি আরও চওড়া হলো। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিলো সে,
—“শুনচি।”
পরক্ষণেই দিশার মুখপানে ঝুঁকে এলো জেন। স্পর্শের গভীরতা বেড়ে গেল।

________________

ইলিনা এন্ডারসন অত্যাধিক বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছেন জেনের দিকে। মাঝে মাঝে ক্রুদ্ধ চাহনি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন দিশাকে। দিশা মাথা নিচু করে আছে।
রাশভারি কণ্ঠে ইলিনা এন্ডারসন চেঁচিয়ে উঠলেন,
—“তোমার মাথা ঠিক আছে? রিলেশন পর্যন্ত তো ঠিক ছিল। কিন্তু একটা থার্ড ওয়াল্ডের থার্ডক্লাস মেয়েকে কিভাবে বিয়ে করতে পারলে তুমি? তাছাড়া তোমাদের বিয়ে খ্রিষ্টান নিয়ম অনুসারে হয়নি। এ বিয়ে মানি না আমি।”
—“আমি এখন মুসলিম মম। আমার জন্য বিয়ের নিয়মটা একদম সঠিক ও সুষ্ঠু। তুমি না মানলে আমি কি করতে পারি বলতে পারো?”

ইলিনা যেন আরও তেঁতে উঠলেন। বার দুয়েক আবারও চেঁচালেন। এগিয়ে এসে ব্যস্ত ভঙ্গিতে হাত ছোঁয়ালেন ছেলের গালে, কপালে। কণ্ঠ নমনীয় করার চেষ্টা করে বললেন,
—“তুমি ভুল করছো এন্ডারসন। এখনও সময় আছে। ভুল শুধরে নাও। নিশ্চই ঈশ্বর তোমাকে ক্ষমা করবেন। এই মেয়েটা তোমাকে নিজের মায়ায় ফাঁসাচ্ছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের কাছে আসো মাই বয়।”

জেন বিরক্ত হলো খুব। পাশে থাকা ফুলদানি সজোড়ে আছড়ে ফেলল মেঝেতে। উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলো,
—“তুমি কি চাও আমি এখান থেকে চলে যাই?”
—“নো মাই সান।”
—“তাহলে এমন ব্যবহার করছো কেন? অসহ্য লাগছে তোমাকে।”
ইলিনা আবারও বোঝানোর চেষ্টা করলেন,
—“তুমি ভুল করছো এন্ডারসন।”
—“করছি না।”
—“এই মেয়ে এখানে থাকতে পারবে না।”
—“তবে আমিও থাকবো না।”

ইলিনা রাগান্বিত চোখে একপলক তাকালেন দিশার মুখপানে। কিছু না বলে হিলজুতোর দপদপ আওয়াজে চলে গেলেন সেখান থেকে।
জেন দীর্ঘশ্বাস ফেললো। দিশার হাত টেনে বললো,
—“চলো, তোমাকে আমাদের রুম দেখাবো।”

দিশা মলিন হাসলো। তাকে খুশি দেখালো না। ক্ষীণ স্বরে সে আওড়ালো,
—“আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না জেন।”
হাতের বাঁধন শক্ত করে জেন আশ্বস্ত করলো তাকে। কোমলস্বরে শুধালো,
—“সব ঠিক হয়ে যাবে দিইইসা। বিশ্বাস রাখো।”
বাতাসা (২৩)
ঈশানুর তাসমিয়া মীরা

জেনের পিতা রবার্ট এন্ডারসন। বেশ থমথমে মুখশ্রী নিয়ে একবার দিশা তো একবার নিজ ছেলের দিকে তাকাচ্ছেন তিনি। অভিব্যক্তি বেশ স্বাভাবিক। দৃষ্টি গাঢ় শান্ত। স্ত্রী ইলিনা এন্ডারসনের দিকে একবার চেয়ে তিনি শীতল কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন,
—“তোমার মম যা বলছে তা কি সত্য এন্ডারসন? তুমি কি সত্যিই এই মেয়েকে বিয়ে করেছ?”

রবার্ট এন্ডারসনের কথায় ক্ষীণ আড়ষ্ট হয়ে দাঁড়ালো দিশা। ভয়ে মুখ পাংশুটে হয়ে আছে তার। আড়চোখে বারবার জেনকে দেখছে সে।
জেন নিজ বাবার ন্যায়ই হিম শীতল কণ্ঠে বললো,
—“তুমি যা শুনেছ তা সবই সত্য।”
—“কি দেখে এই মেয়ের প্রেমে পড়লে, আমাকে একটু বলবে?”
—“তুমি যা দেখে মমের প্রেমে পরেছিলে।”

জেনের অকপটে বলা কথাটি শুনে আচমকা হো হো শব্দে হেসে উঠলেন রবার্ট এন্ডারসন। ঠাট্টার সুরে বললেন,
—“তাহলে তো বিশাল বড় ভুল করে ফেলেছ। তোমার মমের প্রেমে পরে আজ পর্যন্ত ভুগছি আমি। তুমিও কি ভুগতে চাইছো? এখনো সময় আছে কিন্তু। ভেবে নাও।”

এমতাবস্থায় বাবা-ছেলে দু’জনই একসাথে হেসে উঠলো। ইলিনা তেঁতে উঠলেন আরও। কোথায় ভেবেছিলেন তার স্বামী দিশাকে অপদস্ত করবে, জেনকে বুঝাবে, কিন্তু তা কই? উলটো ছেলের সঙ্গে ঠাট্টা করতে লেগে পরেছেন তিনি। এই বয়সে এত হাসি-মজা আসে কোথা থেকে এই লোকের?
ইলিনা চোখ রাঙিয়ে রবার্টকে বললেন,
—“কি বলছ তুমি এসব? ওকে বোঝাচ্ছো না কেন?”
রবার্ট হালকা হাসলেন। বললেন,
—“জেন এখন বড় হয়েছে ইলিনা। সঠিক, ভুল সব সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে। ওর ওপর জোড় খাটানো ঠিক হবে না। তুমি খাটিও না।”
ইলিনা বিরক্ত হলেন। দিরুক্তি করে বললেন,
—“তোমার ছেলে যে ধর্ম ছাড়লো? এ নিয়েও কিছু বলবে না?”
—“সেটা ওর ব্যাপার। আমি কি বলব?”

চরম বিরক্তিতে স্বামী হতে মুখ ফিরিতে নিলেন ইলিনা। দিশার দিকে একবার ক্ষুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালেন। মেয়েটাকে তার একদমই পছন্দ নয়। কোথায় রিচা আর কোথায় এই মেয়ে। কত আশা নিয়ে নিজের বেস্টফ্রেন্ডের মেয়ের সঙ্গে জেনের বিয়ে দিতে চাইছিলেন তিনি, কিন্তু…

রবার্ট এন্ডারসন নীরবতা ভাঙ্গলেন। জিজ্ঞেস করলেন,
—“বিয়ে তো করেছোই। তারপরের প্লেন কি?”
—“পরীক্ষা শেষে ব্যাংলাডেশে যাবো। ওখানে কয়েকমাস থাকার ইচ্ছে আছে। কাইন্ড অফ হানিমুন বলা চলে।”

রবার্ট হাসলেন। দিশাকে জিজ্ঞেস করলেন,
—“তোমার নাম কি মেয়ে?”
দিশা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেঁজালো। এমনিতেও বাবা-ছেলের কথায় লজ্জায়, আড়ষ্টতায় পিষে যাচ্ছে সে। ক্ষাণিত কাঁপা গলায় জবাব দিলো,
—“রী-তিয়া রহমান দিশা।”
—“রিহটিয়া? সুন্দর নাম। তুমি খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। কেমন লাগছে এখানে? আমাকে নিজের ড্যাডের মতোই ভাববে। কিছু লাগলে জানাবে, ঠিকাছে?”

দিশার অল্প হাসলো। রবার্ট এন্ডারসনের প্রতি শ্রদ্ধা জেগে উঠলো মনে মনে।

____________________

দিশার ঘুম ভাঙলো বেশ সকালে। রুমে হিটার চালু করা। লেপের নিচে জেনের সঙ্গে একদম লেপ্টে শুয়ে আছে সে। মস্তক উন্মুক্ত বক্ষের সঙ্গে মিশে একাকার। দিশা আড়মোড়া ভেঙ্গে একদফা জেনের দিকে তাকালো। সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কালো আর লালচে রঙের সংমিশ্রণে তৈরি চুলগুলো এলোমেলো ভাবে পরে আছে কপালে। হাত এগিয়ে তা পেছনের দিকে ঠেলে দিলো দিশা। গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে আলতো হাত বোলালো। ক্ষীণ স্বরে জানালো,
—“শুভ সকাল মাই হ্যান্ডসাম বাতাসা।”

তাকে চমকে দিয়ে চোখ মেলে তাকালো জেন। দিশাকে নিজের অতি নিকটে আবিষ্কার করতেই দূর্বোধ্য হাসলো। ঠোঁটজোড়া খানিক গোল আকৃতি করে প্রতিউত্তর করলো,
—“সুহভো সক্যাল মাই কুইন।”
অনভ্যস্ত কিংবা এবড়োখেবড়ো বাংলা শুনে হেসে দিলো দিশা। জিজ্ঞেস করলো,
—“তুমি ঘুমাও নি?”
—“ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে জাগিয়ে দিয়েছ দিইইসা। এখন আমি আরেকটু ঘুমাবো। একটুও নড়বে না।”
দিশা চেঁচালো,
—“এখন কোনো ঘুমানো চলবে না। দেড়ি হচ্ছে। একটুপর ক্লাস শুরু হবে, সে খেয়াল আছে? উঠো, দ্রুত!”
—“সাট আপ দিইইসা। আমি কিন্তু রেগে যাচ্ছি।”
—“রেগে যাও। তবুও এখন ঘুমানো যাবে না। উঠো, জলদি উঠো। উঠছো না কেন? জেন!”

গলা হতে মুখ উঠিয়ে দিশার দিকে অসহায় চোখে তাকালো জেন। তীব্র ক্ষোপ নিয়ে বললো,
—“ইউ আর ভেরি ব্যাড দিইইসা। আমাকে একটুও ভয় পাও না তুমি।”
—“ঠিক বলেছ। এখন উঠো।”

জেন ফ্যাকাশে, পাংশুটে মুখ নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। আরও একবার অসন্তুষ্ট চাহনিতে চেয়ে রইলো দিশার মুখপানে।

_____________

লিও, রিক আর লিয়া অদ্ভুদ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে দিশার দিকে। জেন আর তার বিয়ের কথা পুরো ভার্সিটিতে ছড়িয়ে পরেছে। মূলত সে জন্যই তারা গোলগোল আঁখির তীর্যক চাহনি এঁটে রেখেছে দিশার মুখ জুড়ে। লিয়া এবার অবিশ্বাস্য কণ্ঠে বলে উঠলো,
—“জেন আর তোমার সত্যিই বিয়ে হয়েছে দিশা? কিভাবে সম্ভব?”
রিক বললো,
—“আমারও বিশ্বাস হচ্ছে না দিশা। তোমার মুখ থেকেই শুনতে চাচ্ছি কথাটা। তোমাদের বিয়ে হয়েছে?”
দিশা নত মস্তকে মৃদু মাথা দোলাল। লিও এতক্ষণ চুপচাপ, নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল। দিশা মাথা দোলাতেই তৎক্ষণাৎ উঠে চলে গেল সে। সেদিকে তাকিয়ে রিক অবাক হয়ে বললো,
—“কোথায় যাচ্ছো লিও? কি হয়েছে?”

লিও যেন শুনে না। গটগট পায়ে হেঁটে চলে যায়। রিক লিও-র পিছু নিতে চাইলে তার ধরে থামিয়ে দেয় লিয়া। আফসোসের সুরে বলে,
—“ওর হার্টব্রোক হয়েছে রিক। ও ওর মতো একটু একা থাকুক। ডেকো না ওকে।”

রিক আর গেল না এবার। দিশার কেন যেন খারাপ লাগলো খুব। লিও-র যাওয়ার পথে চেয়ে থেকে ধীর কণ্ঠে বললো,
—“আমি এমনটা চাইনি লিয়া। ওর প্রতি আমার কোনো অনুভূতিই নেই। আমি জেনকে ভালোবাসি।”
—“আমি বুঝতে পেরেছি দিইইছা। তুমি মন খারাপ করো না।”

রিকও তাল মেলালো। কথা ঘুরিয়ে বললো,
—“তুমি তো মুজলিম দিইছা। জেন অন্য ধর্মের। তবে তোমাদের বিয়ে হলো কিভাবে?”
—“জেন ধর্ম পাল্টেছে। ও মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে।”
লিয়া ফিস্ফোরিত নয়নে তাকালো,
—“রেইলি? জেনের পরিবার তোমাদের কিছু বলেনি?”

দিশা এ পর্যায়ে কিছু বললো না। চুপ রইলো। লিয়া আবার বললো,
—“আমার খুব খুশি খুশি লাগছে দিইইসা। ফাইনালি তোমাদের পেচ-আপ হলো!”

দিশা মলিন হাসলো। কিছু বলবে, ওমনি পাশ থেকে জেনের ডাক শোনা গেল। দিশা তাকাতেই সে বললো,
—“চলো।”
লিয়া আর রিকের দিকে একবার তাকালো দিশা। বিনা বাক্যব্যয়ে ব্যাগ নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। জেন ওদের বললো,
—“কেমন আছো তোমরা?”
—“ভালো ব্রাদার। তুমি কেমন আছো?”
—“খুব ভালো।”

দিশার হাতে হাত রেখে ক্যান্টিনের দিকে এগোতে লাগলো জেন। প্রশ্ন ছুঁড়লো,
—“ক্ষুধা লেগেছে দিইইসা?”
—“না।”
উত্তর শুনে খুশি হলো না জেন। গম্ভীর হয়ে থমথমে গলায় বললো,
—“তুমি আসলেই খুব খারাপ দিইইসা। আমাকে আবারও মিথ্যে বলছো!”

__________________

চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here