#বিকেলে_ভোরের_ফুল
#পর্ব_২২
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
বাড়ির সকলে উদ্দিগ্ন হয়ে আছে। এখন কি ঘটতে পারে তা সকলেরই অজানা। ফুল চুপ করে বসে আছে। এখন ওর একটুও ভয় লাগছে না কারণ এখন ওর পাশে সবাই আছে। বিশেষ করে স্পর্শ তাই ফুল চুপ করে আছে।স্পর্শ ফুলের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–“কি ব্যাপার আপনি এখানে কেন??”
ফুলের বাবা কিছু বলার আগেই পুলিশ অফিসার বলে উঠলো,
–“আপনার নামে এ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে। আমরা আপনাকে গ্রেফতার করতে এসেছি।”
স্পর্শ দুপকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
–“কারণটা জানতে পারি??”
–“আপনি আজমল চৌধুরীর মেয়েকে তুলে এনেছেন তাই।”
একথা শুনে স্পর্শ হেসে দিলো। হাসতে হাসতে বলল,
–“কি?? উনি বললেন আর আপনারা বিশ্বাস করলেন?? আচ্ছা আমি যদি সত্যি ওনার মেয়েকে তুলে আনি তাহলে ওনার মেয়েকে তো এতক্ষন রুমে আটকে থাকার কথা। কিন্তু ফুল তো সবার সাথেই বসে আছে। আর ওকে দেখেও মনে হয় না যে আমি ওকে জোর জবরদস্তি করে এখানে এনেছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো ফুল নিজে। ওকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।”
ফুল তখনই বলে উঠলো,
–“আমি পালিয়ে এসেছি।কেউ আমাকে জোর করে এখানে আনেনি। আমি স্বইচ্ছায় এখানে এসেছি।এতে এবাড়ির কারো কোন হাত নেই।”
আজমল চৌধুরী কর্কশ গলায় বলল,
–“ওরা হয়তো আমার মেয়েকে কোনরকম ভয় দেখিয়েছে তাই হয়তো ফুল মিথ্যে বলছে।”
–“না বাবা আমি কোন মিথ্যা কথা বলছি না।আর আমি কি বাচ্চা নাকি??যে ভয় দেখালেই ভয় পেয়ে যাব। আমি তো বলছি আমি পালিয়ে এখানে এসেছি। তুমি তো বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজে সব দেখেছো।দেখেও না দেখার ভান করছো কেন?? অনেক তো মানুষের ক্ষতি করেছো এখন দয়া করে একটু শান্ত হও।”
আজমল চৌধুরী কিছু বললেন না। পুলিশ অফিসার বলল,
–“দেখুন চৌধুরী সাহেব আপনার মেয়ে এখানে প্রধান সাক্ষী। আপনার মেয়েই তো সবটা বলে দিলো। এখানে আমাদের আর কিছু করার নেই।”
–“কিন্তু আমি তো আমার মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যেতে পারি??”
–“হ্যা সেটা অবশ্যই পারেন।”
আজমল চৌধুরী ফুলের দিকে এগিয়ে এসে বলল,
–“ফুল চলো বাড়িতে চলো।”
–“আমি যাব না।”
–“তোমাকে যেতেই হবে। এখানে কেউ তোমার আপনজন নয়।”
–“ওহ আচ্ছা তাহলে তুমি কি আমার আপনজন??”
–“আমি তোমার বাবা।”
–“তুমি তো সেই বাবা যে তার মেয়েকে হত্যা করেছে, তুমি সেই বাবা যে নিজের স্বার্থের জন্য কাছের মানুষদের ঠকিয়েছে, তুমি সেই বাবা যে তার মেয়েকে ঘরবন্দি করে রেখে তার জিবনের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে,মেয়েকে মায়ের ভালোবাসা থেকে বন্ঞ্চিত করেছে।”
ফুল হাতজোড় করে বলল,
–“প্লিজ বাবা এবার তো আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দাও। অনেক হয়েছে আমি আর পারছি না। তুমি তোমার মতো থাকো আর আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।”
ফুলের কথা আজমল চৌধুরী মানলো না।ওর হাত ধরে বলল,
–“না তুমি আমার সাথে যাবে।এই বাড়িতে তোমাকে আমি কিছুতেই থাকতে দেব না।”
–“কিন্তু বাবা,,,”
–“আমি তোমার কোন কথা শুনছি না।চলো এখান থেকে।”
ফুলকে নিয়ে যেতে নিলে স্পর্শ ফুলের আরেকহাত ধরে ফেলল। আজমল চৌধুরী রাগন্বিত স্বরে বলল,
–“তোমার সাহস তো কম নয়। তুমি আবার আমার পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছ??”
স্পর্শ ফুলকে কাছে টেনে এনে বলল,
–“আপনার সাহসও তো কম নয়।”
–“মানে কি বলতে চাইছো তুমি??”
–“মানে এটা আপনার সিলেট নয় ঢাকা শহর। এখানে আপনি আপনার কোন ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন না।”
–“আমি কোন ক্ষমতা দেখাতে চাইও না। আমি শুধু আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাই।”
–“আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে যেতেই পারেন। কিন্তু আমি আমার ওয়াইফকে তো যেতে দিতে পারি না।”
স্পর্শের কথায় উপস্থিত সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। ফুল স্পর্শের ওয়াইফ মানে??কবে হলো বিয়ে??কারো মাথায় কিছু ঢুকছে না। আজমল চৌধুরী অবাক হয়ে বলল,
–“তোমার ওয়াইফ মানে??”
–“হুমম।যদি প্রমান চান তো দিতে পারি।”
–“কি প্রমান আছে তোমার কাছে??”
–“ওয়েট।”
স্পর্শ স্পন্দনের দিকে ইশারা করতেই ও রুমে চলে গেল। ফুল তো অবাক হয়ে স্পর্শর দিকে তাকিয়ে আছে। ওর বিয়ে হয়ে গেছে অথচ ওই জানে না।আর বিয়েটাই বা হলো কখন।
স্পন্দন রুম থেকে বেরিয়ে এলো হাতে একটা পেপার নিয়ে।স্পন্দন পেপারটা আজমল চৌধুরীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
–“এটা হলো স্পর্শ আর ফুলের রেজিস্ট্রি পেপার।”
আজমল চৌধুরী ধরার আগেই ফুল পেপারটা নিয়ে চোখ বুলায়। নিজের সাইন দেখে ফুল চমকে যায়। ও এখানে সাইন করলো কখন মনে তো পরছে না।স্পন্দন ফুলের হাত থেকে পেপার নিয়ে আজমল চৌধুরীর হাতে দিলো।রেজিস্ট্রি পেপার দেখে ফুলের বাবা চুপসে যায়। আর পুলিশ নিয়ে চলে যায়। আজমল চৌধুরী চলে যাওয়ার পর সবাই স্পর্শকে জেঁকে ধরে। ফুল তো রেগে ফায়ার। ফুল স্পর্শকে জিজ্ঞেস করল,
–“আমি কখন আপনাকে বিয়ে করলাম। আর এই রেজিস্ট্রি পেপার কি সত্যি নাকি নকল।”
স্পর্শ মাথা চুলকে বলল,
–“সত্যি।”
–“কি???”
স্পর্শের বাবা এগিয়ে এসে বলল,
–“এক থাপ্পড় মেরে সব দাঁত ফেলে দেব। বেয়াদব ছেলে।এই শিখিয়েছি তোমাকে??”
ফুল রেগে বলল,
–“বলছেন কেন আঙ্কেল কানের গোড়ায় দিন না একটা ঠাঁটিয়ে চড় মেরে।”
স্পর্শর মা এসে বলল,
–“এসব কি স্পর্শ। আমাদের সবাইকে না জানিয়ে তুই এতবড় কাজ করে ফেললি??”
সবাই স্পর্শকে বকাবকি করতেছে।কেউ ওকে ছাড় দিচ্ছে না। ফুল তো মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে পড়েছে।স্পর্শ স্পন্দনের পিছনে লুকিয়ে বলল,
–“ভাইয়া আমাকে এযাত্রায় রক্ষা করো।”
স্পন্দন হাত উঠিয়ে সবাইকে থামিয়ে বলল,
–“সবাই একটু চুপ থাকো আমাকে বলতে দাও।”
সবাই চুপ করে গেল।স্পন্দন আবার বলতে লাগলো,
–“আমি জানতাম এই বিয়ের কথা। স্পর্শ জানতো যে ফুলের বাবা এরকম একটা কান্ড করবে তাই হসপিটালে থেকে আমি স্পর্শ আর আকাশ মিলে রেজিস্ট্রি টা করিয়ে ফেলি।যাতে ফুলের বাবা ওকে এখান থেকে না নিয়ে যেতে পারে।”
ফুল উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
–“তার মানে তখন আমি যেই সাইনটা করেছিলাম ওটা রেজিস্ট্রি পেপার ছিলো।আর তোমরা আমাকে মিথ্যে বলে সাইন করিয়েছিলে।”
–“হ্যা।”
স্পর্শের বাবা বলল,
–“আমাদের তো একবার জানাতে পারতি??”
–“বাবা তখন পরিস্থিতি সেরকম ছিল না তাই বলিনি। কিন্তু এখন তো সবটাই জানলে সবাই।প্লিজ এটা নিয়ে আর কিছু বলো না।”
ফুল এগিয়ে এসে বলল,
–“কিছু বলব না মানে কি হা??সেই প্রথম থেকে আমাকে মিথ্যা বলা হয়েছে। আমাকে কি সত্যিটা বলা যেত না??”
স্পর্শ ফুলের সামনে এসে বলল,
–“তুই অসুস্থ ছিলি তাই তোকে বলিনি।”
–“তো কি হয়েছে?? আপনি প্রথম থেকেই আমাকে মিথ্যা বলে এসেছেন।আমি তো এসব মানব না। আপনি সত্যি খুব খারাপ। আমি বাবার সাথে চলে গেলেই ভালো হতো।বাবা আর যাই করুক আমাকে কখনো মিথ্যা বলতো না।এতে আমি কষ্ট পাই আর না পাই। আপনার থেকে এমনটা আমি আশা করিনি।”
বলেই ফুল বড়বড় পা ফেলে রুমে চলে গেল।স্পর্শ বলল,
–“যা বাবা,যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর।”
দিয়া বলে উঠলো,
–“হুমমমম,তা চোর মশাই তাড়াতাড়ি গিয়ে রাগ ভাঙাও না হলে কিন্তু কপালে তোমার দুঃখ আছে।”
স্পর্শ দৌড়ে ফুলের রুমে চলে গেল। ফুল রুমের মধ্যে পায়চারি করছে আর হাত কচলাচ্ছে।স্পর্শ স্লো পায়ে রুমে ঢুকল। ফুল স্পর্শকে দেখেই বলল,
–“কি চাই এখানে??কেন এসেছেন??”
–“তুই কি খুব রাগ করেছিস??”
–“না তো আমি রাগ করব কেন?? আমার তো খুব ভালো লাগছে।”
ফুলের এই কথাই জানান দিচ্ছে যে ও কতটা রেগে আছে।স্পর্শ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।স্পর্শ ফুলের হাত ধরে টেনে কাছে এনে বলল,
–“দেখ তুই কি চাস আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে??”
ফুল কোন জবাব দিলো না।স্পর্শ বলল,
–“আমি যদি এটা না করতাম তাহলে তোকে তোর বাবা যেকোন উপায়ে এখান থেকে নিয়ে যেতো। আমি আবার তোকে হারিয়ে ফেলতাম।তাই তোকে না জানিয়ে কাজটা করে ফেলেছি।”
–“কেন করলেন সেটা বলুন। আমাকে অন্য জায়গায় লুকিয়ে রাখতেও তো পারতেন।”
স্পর্শ ফুলের মাথায় গাট্টা মেরে বলল,
–“গাধি একটা,জানিস না এটা আমি কেন করলাম??”
–“না।”
–“উফফ পড়লাম তো মহা মুশকিলে। তুই কি সত্যি জানিস না যে তোকে আমি………”
ফুল চোখ ছোট ছোট করে বলল,
–“আমাকে কি???”
স্পর্শ ফুলকে নিজের বাহুতে আঁকড়ে ধরে বলল,
–“ভালোবাসি, খুব খুব খুব ভালোবাসি।আর তুই??”
ফুল এতক্ষণ স্পর্শের দিকে তাকিয়ে ছিল।স্পর্শের মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনে চোখ নামিয়ে নিল।স্পর্শ মুচকি হেসে বলল,
–“বল না??দেখ আমি জানি তুই ও আমাকে ভালোবাসিস। কিন্তু আমি তোর মুখ থেকে শুনতে চাই। কখনো তো বলিসনি আজকে বল।”
তখনই দিয়া এসে হাজির। রুমে ঢুকেই বলল,
–“কি বলবে দেবরজ্বি??”
স্পর্শ সাথে সাথে ফুলকে ছেড়ে দেয়। ফুল দূরে সরে গিয়ে দাঁড়ায়।দিয়া বলল,
–“ওপপস সরি। তোমাদের মুমেন্টটা নষ্ট করে দিলাম। তবে আমার কোন উপায় নেই। ফুল চলো আমার সাথে।”
–“কোথায়??”
–“আরে চলো।গেলেই দেখতে পাবে।”
দিয়া ফুলকে টানতে টানতে নিয়ে যায়।স্পর্শ মুড অফ করে দাঁড়িয়ে রইল।বলল,
–“দিলো তো ভাবি সবকিছু ভেস্তে।”
দিয়া ফুলকে নিয়ে ওর শ্বাশুড়ির রুমে গেল।স্পর্শের মা তখন আলমারি থেকে শাড়ি বের করছিল। ওদের রুমে দেখেই তিনি মুচকি হেসে বললেন,
–“তোমরা এখানে আসো।”
স্পর্শের মা ফুলের হাত ধরে টেনে নিয়ে খাটের উপর বসালো। তারপর বলল,
–“এই শাড়িগুলো তোর।”
–“আমার মানে??আমি এই শাড়ি দিয়ে কি করবো??”
দিয়া ফুলের পাশে বসে বলল,
–“ওমা জানো না কি করবে??এই শাড়িগুলো তুমি পরবে। তুমি তো আজ থেকে এবাড়ির বউ।”
ফুল চুপ করে গেল। কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে ওর। দিয়া ফুলের হাত ধরে বলল,
–“ওমা এখনই লজ্জা পেলে হবে নাকি?? এখনও যে অনেক কিছু বাকি!!”
–“অনেক কিছু বাকি মানে??”
–“শপিং বাকি বিয়ের অনুষ্ঠান বাকি আর,,,”
–“আর কি??”
–“কিছু না চলো এখন আমার সাথে।”
দিয়া ফুলকে টেনে ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায়।স্পন্দন সোফায় দিশামনিকে নিয়ে বসে গল্প করতেছে।দিয়া ফুলকে নিয়ে স্পন্দনের পাশে বসিয়ে দিয়ে বলল,
–“এই যে,দুলহানকে আপনার দায়িত্বে রেখে গেলাম। আপনার ভাই যেন ওর আশেপাশে ঘেঁষতে না পারে।”
–“কেন??স্পর্শ আবার কি করলো??”
–“ঘোড়ার ডিম করেছে।যা বলছি তাই করেন। আর বিকেলে শপিং করতে যাচ্ছি রেডি থাইকেন কেমন।”
–“আমার যেতে হবে কেন?? তোমরাই যাও না।”
–“জ্বি না। আপনাকেই যেতে হবে।”
বলেই দিয়া রান্না ঘরে চলে যায়।স্পন্দন দিশা আর ফুল মিলে গল্প করতে লাগলো।স্পর্শ এসে চান্সই পেল না।এদিক ওদিক পায়চারি করে বাইরে চলে যায়। খুব অসহ্য লাগছে ওর সবকিছু।
বিকেলে দিয়া রেডি হয়ে স্পর্শের রুমে গিয়ে বলল,
–“স্পর্শ পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে আসো তাড়াতাড়ি।”
–“কেন ভাবি??”
–“কেন মানে শপিং করতে যাব।”
–“কিসের শপিং??”
–“কিসের আবার তোমার বিয়ের।ওহ সরি তোমার তো বিয়ে হয়েই গেছে। তবুও আচার অনুষ্ঠান তো বাকি আছে।”
–“অনুষ্ঠান কবে?? আর আমাকে জানালে না কেন??”
–“বা রে তুমি বিয়ে করার সময় আমাদের জানিয়েছিলে?? তোমার ভাইয়া বাবা আর মামা মিলে ঠিক করেছেন যে সবকিছু তাড়াতাড়ি করতে। ফুলের বাবার সাথে আর কোন ঝামেলা ওনারা চায় না।তাই সবকিছু জলদি জলদি হচ্ছে।এতে তোমার তো খুশি হওয়ার কথা। তাড়াতাড়ি আসো না হলে দেরি হয়ে যাবে।”
স্পর্শ আর কথা না বাড়িয়ে রেডি হয়ে নিলো।
স্পর্শ,ফুল,স্পন্দন,দিয়া আর দিশা মিলে শপিং মলে যায়। ফুলের জন্য একটা শাড়ি কেনে লাল রঙের। গয়নাগাটি, কসমেটিক্স ইত্যাদী ইত্যাদী।স্পন্দন পুরো হাঁপিয়ে গেছে তা দেখে দিয়া আর ফুল মিটমিট করে হাসতেছে।বাড়ি ফেরার সময় ওরা খেয়াল করলো যে স্পর্শ নেই। দিয়া বলল,
–“একি স্পর্শ কোথায় গেল??”
স্পন্দন চারিদিকে তাকিয়ে বলল,
–“একটু আগেই তো আমাদের সাথে ছিল।”
–“হুম মনে হয় বউয়ের জন্য স্পেশাল গিফট কিনতে গিয়েছে।চলো আমরা বাড়ি ফিরে যাই স্পর্শ পরে আসবে।”
ওরা সবাই বাড়িতে চলে আসে।
_____________
আজকে ঘরোয়া ভাবে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।স্পর্শের বাবা ওনার পরিচিত কয়েকজন কে ইনভাইট করেছে। আকাশ ও উপস্থিত হয়েছে।সবাই এসে গেছে কিন্তু স্পর্শ এখনও আসতেছে না। অনেকক্ষণ হয়ে গেছে স্পর্শ বেরিয়েছে এখনো আসেনি।ফুলকেও সাজানো হয়েছে। সবাই খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্পর্শকে নিয়ে।ফোনটাও রিসিভ করছে না। কোন বিপদ হলো না তো??আকাশকে জিজ্ঞেস করলে ও বলল জানে না।এতে সবাই আরো চিন্তায় পড়ে গেছে।সবাই ভাবছে আজমল চৌধুরী স্পর্শের কোন ক্ষতি করলো না তো???
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,
আজকের পর্বটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল।