“ভাইয়ার সাথে রিলেশনে আছিস কতদিন হলো? একবারও বললি না তো।”
ফোন টিপতে টিপতে স্বাভাবিক ভাবেই কথাটা বললো রুমকি। হটাৎ রুমকির মুখে এমন কথা শুনে ক্ষনিকটা চমকালো আরশি। ভ্রু-কুচকে রুমকির দিকে চেয়েকিছুটা কঠোর ভাবে বলে,
“কষিয়ে এক চ’র খাবি এসব নিয়ে ফাজলামো করলে।”
বিনিময়ে ক্ষনিকটা হাসলো রুমকি। হাসি চেপে পুনরায় বলে,
“দু’জন ডুবে ডুবে খাও, আর দেখে মনে হয় ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানো না। বল না, তুই আর ভাইয়া রিলেশনশীপে আছিস তাই না? বিশ্বাস কর, তোদের দুজনকে কিন্তু দারুন মানাবে।”
আরশি এবার ক্ষনিকটা বিরক্তি ভাব নিয়ে বলে,
“হুম, আমার তো খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই, তোর ভাইয়ের সাথে,,,,,। তোকে এসব ফা>লতু কথা কে বলেছে?”
রুমকি এখনো মুখে হাস্যজ্জল ভাব রেখে বলে,
“নিজের চোখে দেখলে কারো থেকে শোনার প্রয়োজন হয়না রে ভাবি। অন্তত আমার কাছে অভিনয় না করে স্বীকার করে নাও। ট্রাস মি. সব গোপন থাকবে।”
আরশি এবার কিছুটা সিরিয়াস ভাবে রুমকির দিকে চেয়ে বলে,
“এমন কি দেখেছিস, যার কারণে মনে হলো আমরা রিলেশনে আছি?”
রুমি এবার ক্ষনিকটা নড়েচড়ে বসে বলে,
“জানিস ভাইয়া তোকে নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে।”
ফান ভেবে আরশি ঠোঁটের কোনে কিছুটা তাচ্ছিল্যময় হাসির রেখা টেনে বলে,
“তোর ভাই আর কবিতা! তাও আবার আমাকে নিয়ে! এটাও বিশ্বাস করতে হবে আমার?”
রুমকি চোখে-মুখে ক্ষনিকটা সিরিয়াস ভাব রেখে বলে,
“সত্যি বলছি। গতকাল রাতে একটা সূত্র বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল দেখে ভাইয়ার কাছে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি টেবিলে পড়েই ঘুমাচ্ছে সে। পাশে একটা খোলা ডায়রি রাখা ছিল। হয়তো লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সেখানে তার আরু পাখিকে সম্মোধন করে চমৎকার সব কবিতা লেখা। ভাইয়া তো তোকে মাঝে মাঝে আরু বলে ডাকে তাই না?”
সবটা শুনে ক্ষনিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো আরশি। কিছুক্ষণ অবচেতন দৃষ্টি এদিক ওদিক করে রুমকির দিকে চেয়ে বলে,
“লিখতেই পারে। আরু বলতেই যে সেটা আমি এমন তো কোনো কথা না। এমন অনেক মেয়ের নামই থাকতে পারে। আর তোর ভাই যে আমাকে নিয়ে কবিতা লিখে, প্রমান আছে তোর কাছে?”
রুমকি কিছুটা হতাশার ভাব ফুটিয়ে বলে,
“ইশ,,, সকালে ভাইয়ার রুম গোছাতে গিয়ে সারা রুম খুঁজেও ডায়রিটা আর পাইনি। কিন্তু আমি রাতে দেখেছিলাম, এ ব্যাপারে নিশ্চিত।”
আরশি এবার স্বস্থির নিশ্বাস ছেড়ে বলে,
“তাহলে তুই রাতে পড়তে পড়তে ঘুমের ঘোরে আবোল-তাবোল দেখেছিলি।”
বলেই ক্লান্ত ভঙ্গিতে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো আরশি। পাশ থেকে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো রুমকি। মায়ের ডাক পড়েছে। আলোচনার মাঝখানে ডাক পড়ায় আসছি বলে ক্ষনিকটা বিরক্তি নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো সে।
চোখ মেলে তাকালো আরশি। রুমকির বলা কথা গুলো এখন মনের অলিগলিতে নানান প্রশ্ন হয়ে উঁকি দিচ্ছে। রুমকির কথার সত্যতা কতটুকু? সত্যিই কি এমন কিছু হয়েছে? নাকি সে ঘুমের ঘোরে এসব উল্টা-পাল্টা দেখেছে? নাকি ফান করছে?
হটাৎ’ই পেছন থেকে মাথায় চাটি পড়তেই ধ্যান ভাঙে আরশির। আচমকাই কেউ মাথায় চাটি মারায় ক্ষনিকটা বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠে চেহারায়। অতঃপর সেই ব্যক্তিটাকে চোখে পড়তেই বিরক্তির ছাপ গায়েব হয়ে গেলো মুহুর্তেই।
রিদ মুখে হাস্যজ্জল ভাব রেখে খাটের এক পাশে বসে বলে,
“কিরে পিচ্চি, কখন এলি?”
আরশি ঠিক হয়ে বসে এক হাতে চুল ঠিক করে বলে,
“কিছুক্ষণ আগে।”
“আসলি অথচ আমার একটুও খোঁজ না নিয়ে এখানে বসে আছিস। দিন দিন খুব পাষাণ হয়ে যাচ্ছিস দেখছি।”
কথার পিঠে কথা বলার মতো করে আরশিও বলে দেয়,
“কে বলেছে? আমি এসেই আপনাকে খুঁজেছিলাম। মামি বললো বাইরে গেছেন।”
রিদ এবার তীব্র কৌতুহলে আরশির কাছাকাছি এসে স্বাভাবিক হাসি রেখে বলে,
“এসেই আমাকে খুঁজেছিলি! সত্যিই পিচ্চি?”
হটাৎ রিদের এমন ভাব ভঙ্গি দেখে আরশির অবচেতন দৃষ্টি এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে আমতা আমতা করে বলে,
“মানে, এসে বাড়ির সবাইকে দেখলাম, আপনাকে দেখিনি। তাই মামনীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় গেছেন, এতটুকুই।”
একটা মৃদু হাসি দিয়ে সোজা হয়ে বসে রিদ। রুমকি চা হাতে রুমে ঢুকে হেসে বলে,
“আরশি আসার পর থেকেই তোমাকে খুঁজছে ভাইয়া। এমনকি তোমার রুমে গিয়েও উঁকি মেরে দেখে এসেছিল।”
রুমকির এমন চমৎকার মিথ্যা কথায় আরশি অবাক হয়ে আচমকাই প্রতিবাদী কণ্ঠে বলে,
“মিথ্যা কথা। আমি এমন কিছু করিনি।”
আরশি পিচ্চিটা মোটমুটি লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরেছে তা ভালোই বুঝতে পারলো রিদ। তাই চায়ের কাপ হাতে নিয়ে প্রসঙ্গ চেঞ্জ করে বলে,
“রুহি কোথায়?”
রুমকি ট্রে টা এক পাশে রেখে আরশির দিকে এক কাপ বাড়িয়ে দিয়ে ভাইয়ের দিকে চেয়ে বলে,
“ঘুমাচ্ছে। গতকাল নাকি বিয়ের টেনশনে ঘুম হয়নি সারা রাত।”
রিদ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে,
“পাত্র পক্ষ কখন আসবে? বাবা অথবা কাকা বলেছে কিছু?”
“হুম, বাবাকে বলতে শুনেছি। সন্ধার দিকে বা তার কিছুটা পরে আসবে।”
রিদ ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখে বিকেল পাঁচ টা। সন্ধা হতে এখনো প্রায় দু’ঘন্টা বাকি।
রুহি রিদের চাচাতো বোন। দুজনই সমবয়সী। রুহির একটা জমজ ভাই আছে। তার নাম রোহান। রোহান-রুহি দুজনই রিদের থেকে এক মাসের ছোট। তাই সমবয়সী হিসেবেই বড়ো হয়েছে তিনজন। রিদের ছোট বোন রুমকি। আর আজ চাচাতো বোন রুহিকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসার কথা।
—————————-
পাত্রপক্ষ এসেছে সন্ধার পর। ছেলে, তার বাবা-মা ও তার ছোট ভাই সাথে একজন মুরুব্বি। গাড়ি থেকে নামলে রিদ ও রোহান মিলে ভেতরে নিয়ে আসলো তাদের। পরিচয় সূত্রে জানলো, পাত্রের নাম ফাহিম আর তার ছোট ভাইয়ের নাম ফারুক। ফাহিম কিছুটা ভদ্র প্রকৃতির হলেও ফারুক অনেকটাই স্টাইলিশ। পরিবারের বড়ো ও ছোট ছেলেদের মাঝে বেশির ভাগ এমনই হয়ে থাকে।
রুহি রুমে বসে আছে চুপচাপ। আরশি ও রুমকি মিলে পাত্রের সামনে নেওয়ার জন্য রেডি করেছে এতক্ষণ ধরে। পরক্ষণে রুমকি একটু উঁকি দিয়ে দেখে এসেই প্রবল উত্তেজনা নিয়ে বলে,
“আপু, তোর বর কিন্তু দেখতে হেবি জোস। অবশ্য ওখানে দুইটা ছেলের মাঝে বর কোনটা ওটা চিনতে পারিনি। তবে যেই বর হোক, দুজনই জোস। তোর জায়গায় আমি হলে তো আজকেই বিয়েটা করে নিতাম রে আপুউউ,,,।
রুহি চুপচাপ মাথা নিচু করলো। হয়তো লজ্জা পেয়েছে ক্ষনিকটা। পাশ থেকে রুমকির দিকে চেয়ে আরশি বলে,
“আজ সারাদিন তুই’ই বেশি লাফাচ্ছিস। দেখবো, তোকে যখন দেখতে আসবে তখন এই তিড়িংবিড়িং কোথায় যায়।”
রুমকি কিছুটা ভাব নিয়ে বলে,
“আমি বাচ্চা মেয়ে, আমার টা এখনো অনে……ক দেরি, হুহ্।”
এর মাঝেই খবর আসলো রুহিকে নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আরশি ও রুমকি দুজন ঘোমটা দিয়ে ওড়নাটা ভালো ভাবে পেঁচিয়ে ভদ্র মেয়ের রুপ নিয়ে রুহি আপুকে নিয়ে গেলো তাদের সামনে।
ফারুক তার ভাইয়ের পাশে বসে ছিল চুপচাপ। সিড়ি দিয়ে নেমে আসা তিনটা মেয়েকে চোখে পড়লো তার। দেখেই বুঝতে পারলো মাথা নিচু করে নেমে আসা বড়ো মেয়েটাই তার হবু ভাবি। তবে ভাবিকে দেখায় খুব বেশি মনোযোগী হতে পারলো না সে। আচমকাই তার দৃষ্টি আটকে গেলো ডান পাশের ফ্রেশ কালারের জামা পরা মেয়েটার দিকে।
রিদের বাবা রুদ্র চৌধুরী তাদের পরিচয় করিয়ে দিল, এটা আমার মেয়ে রুমকি। আর এটা আমার বোনের ছোট মেয়ে আরশি। ফারুক চুপচাপ চোখ বুঁজে নিল। নিজের মাঝে বিড়বিড় করে বলে,
“অপরুপা মেয়েটার নাম তাহলে আরশি।”
রুহিকে পছন্দ হলো তাদের। আংটি বদলও হয়ে গেলো উপস্থিতিতে। এমনটাই কথা হয়েছিল। দু’পক্ষের পছন্দ হলেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়ে যাবে।
মারুফ ও রুহি দুজনকে নিয়ে যাওয়া হলো আলাদা কথা বলে নিজেদের মাঝে কিছুটা ফ্রি হওয়ার জন্য। তাদেরকে একা রেখে চলে গেলো রুমকি ও আরশি দুজনই।
পাশ থেকে বেয়াইন সম্মোধন করে তাদের পাশে এসে দাড়ালো ফারুক। মা তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে দেখে আরশি ও ফারুকের দিকে চেয়ে সৌজন্যমূলক হেসে একটু আসছি বলে চলে গেলো রুমকি। এতে ফারুক অনেকটা খুশি হলেও বিরক্তিবোধ করলো আরশি। তবুও মেহমান দেখেই সৌজন্য মূলক কথা বলতে দাড়াতে হলো তাকে।
নিরবতা ভেঙে ফারুক কিছুটা হস্যজ্জল মুখে বলে,
“কেমন আছেন বেয়াঈন।”
আরশি জোর পূর্বক হেসে বলে,
“জ্বি, ভালো।”
ফারুক চার পাশে একবার চেয়ে বলে,
“ভেবেছিলাম ভাইয়ের হবু শশুর বাড়ির আশ পাশ টা একটু ঘুরে দেখবো। একা একা কেমন দেখায়। আপনি পাশে থাকলে কিন্তু মন্দ হয় না। একদম না করবেন না কিন্তু বেয়াঈন। ধরে নিন, বেয়াই হিসেবে এটা একটা আবদার।”
আরশি যেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেলো। তবুও মুখে সৌজন্যমূলক হাসি রেখেই বলে,
“সত্যি বলতে বেয়াই, আমি নিজেও এই বাড়ির মেহমান। এত বড়ো বাড়ি। আশে পাশের কিছুই চিনিনা। আপনাকে কিভাবে বাড়ি ঘুড়িয়ে দেখাবো বলেন? তাও এই সন্ধা বেলায়।”
ফারুক একটা হাসি দিয়ে বলে,
“আরে ভয় পাচ্ছেন কেন বেয়াইন? একটা বাড়িতে হারিয়ে তো আর যাবেন না। আর এমনিতেও তো কয়দিন পর আমরা আত্মিয় হবো। সো আমরা আমরাই তো।”
যদিও বাড়ির আনাচে-কানাচে সবই আরশির চেনা। তবুও এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই এমনটা বলেছিল সে। কিন্তু এই ব্যাটা দেখি নাছোড়বান্দা।
কি ভেবে যেন ফারুক পুনরায় বলে,
“ওহ্ বেয়াইন। পরিচয়টাই তো হলো না। আমি ফারুক। আপনার হবু দুলাভাইয়ের এক মাত্র ছোট ভাই। এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।”
বলেই হাত মেলানোর জন্য হাস্যজ্জল মুখে আরশির দিকে হাত বাড়ালো ফারুক। তখনি পাশ থেকে কেউ একজন এসে বাধা দেওয়ার মতো করে ফারুকের সাথে হাত মিলিয়ে বলে,
“সে আরশি। বাবা নিশ্চই তখন পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল? আর আমি রিদ। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শিগ্রই পিএইচডি’র জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমাবো। আমার পাশে যাকে দেখছেন সে আমার একমাত্র চাচাতো ভাই রোহান। বর্তমানে বাবা ও চাচার সাথে বিজনেস সামলাচ্ছে। এখন সবার সাথেই পরিচিত হলেন। আশা করি, রোহানের সাথে খুব ভালো করেই এই সন্ধা বেলায় বাড়ির আশপাশ ঘুরে দেখতে পারবেন। বাড়ির মেয়েদের আর প্রয়োজন হবে না।”
ফারুকের দিকে চেয়ে এক টানা হাসি মুখে কথা গুলো বললেও আরশির দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রিদ। মাথা নিচু করে নিল আরশি। যেন রিদের এই শান্ত দৃষ্টিতেও তীব্র রাগ প্রকাশ পাচ্ছে। রিদ শান্ত গলায় বলে,
“ফুপি খুঁজছে তোকে, ভেতরে যা।”
চুপচাপ চলে গেলো আরশি। ঘরে আসতেই রুমকি তার হাত ধরে এক পাশে টেনে নিয়ে মুচকি হেসে বলে,
“আমার অনুমানে তো সত্যতার ইঙ্গিত পাচ্ছি।”
আরশি কিছুটা ভ্রু-কুচকে গেলো,
“মানে! কিসের অনুমান?”
রুমকি রিদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে,
“একটু ভালো করে ভাইয়ার দিকে তাকা। এতক্ষণ কত হাসিখুশি ছিল। আর এখন দেখে মনে হচ্ছে চোখে-মুখে রাগ জমে আছে। দেখছিস ভাইয়া তোকে নিয়ে কত জেলাস?”
আরশি আবারও লজ্জা জনক পরিস্থিতির শিকার হয়ে বলে,
“ধ্যাৎ। ফালতু বকবি না, চুপ থাক।”
বলেই দ্রুত পায়ে সেখান থেকে হাটা ধরে আরশি। যেন এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেলেই বাঁচে। রুমকি তার চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে বলে,
“ইশ,, ভাইয়ার ভালোবাসা বুঝলি না রে ভাবি। সারা দেশ খুঁজেও আমার ভাইয়ের মতো আরেকটা পাবি না। পস্তবি কিন্তু।”
পেছন ফিরে তাকালো না আরশি। হটাৎ বৃষ্টির ন্যায় এই অসহ্যকর লজ্জা জনক পরিস্থিতিতে থাকা সম্ভব না। একদমই না।
To be continue………….
#বৃষ্টি_শেষে_রোদ (পর্ব ১)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ
~ আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভালোবাসার মানুষগন। অনেক দিন পর বড়ো গল্প নিয়ে ফিরলাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু।