বৈধ সম্পর্ক সিজন ২ পর্ব ১

#বৈধ_সম্পর্ক
#সিজন_২
#পর্ব_১
#Saji_Afroz
.
.
.
একটা বছর….!
১সংখ্যাটি শুনতে ক্ষুদ্র মনে হলেও ১২ টা মাস আশায় বুক বেধে কাটিয়ে দিয়েছে মুনিরা । এই ১বছরে না পেয়েছে আফরানের ভালোবাসা না পেয়েছে তার বন্ধুত্ব । তবুও যেনো বুকে শত আশা মুনিরার। কিসের উপর ভিত্তি করে? বৈধ সম্পর্কের উপর নাকি ভালোবাসার উপর? হুম, আফরান চাইলেও অস্বীকার করতে পারেনা মুনিরা তার বিয়ে করা স্ত্রী। বৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ আছে তারা। আর ভালোবাসা? সম্পর্কের টানেও ভালোবাসা যায় নিজে এই পরিস্থিতিতে না পড়লে কখনো হয়তো বুঝতোই না সে। নাহলে এতো কিছু ঘটে যাবার পর বিশেষ করে আফরান তাকে ভালোবাসে না জেনেও এই বাড়িতে পড়ে থাকার কোনো মানে হয়!
সায়নী তো বলেছিলো আফরান তাকেও ঠিক ভালোবাসবে একদিন। মুনিরার ভালোবাসা তো মিথ্যে নয়, তার সম্পর্কের বাঁধনও মিথ্যে নয়। তাহলে কেনো এতো দুরুত্ব তাদের মাঝে! শুধুমাত্র সায়নীর জন্য? আফরানের কাছে সে সায়নীর জায়গা কখনো চায়নি বা চায়বেনা। আফরান কি পারেনা তার জন্য একটি জায়গার বন্দবস্ত করতে তার মনের গহীনে?
নিজের মনে এসব কথা ভেবে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললো মুনিরা। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে হয়তো সারাজীবন এভাবে ভেবেই আশায় কাটাতে হবে দিন তার। তবুও সে আফরান কে ছেড়ে যেতে রাজী নয়। কেনোই বা যাবে! যেভাবেই হোক বিয়েটা তাদের হয়েছে। আফরানের দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও স্ত্রী সে!
এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনটা বেজে উঠলো মুনিরার। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো মায়ের ফোন এসেছে। চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রুবিন্দু মুছে নিয়ে ফোনটা রিসিভ করলো সে-
হ্যালো আম্মা আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া আলাইকুমুসসালাম।
-ভালো আছো?
-মেয়ের অশান্তি দেখে নিজে কেমনে ভালো থাকি বল?
-আমার কিসের অশান্তি!
-স্বামীর ভালোবাসা ছাড়া কোনো স্ত্রী শান্তিতে থাকতে পারেনা মুনিরা।
-উনি আমায় ভালোবাসেন মা।
-আচ্ছা তাই! তাহলে এখনো তোর গলা এমন ভেজা ভেজা কেনো?
.
মায়েদের কাছ থেকে বুঝি কিছু লুকানো যায়না সহজে! যেদিন থেকে তার মা শুনেছেন, সে এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদিন থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্তের সাথে সহমত নয়। পৃথিবীর কোনো মেয়ে যেটা মানতে পারবেনা সেটা নিজের মা-ই বা কি করে মানতে পারবে!
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে
মুনিরা বললো-
তুমি আমাকে নিয়ে এতোটা চিন্তায় থাকো কেনো আমি বুঝিনা!
-চিন্তায় কি সাধে থাকি রে মা!
যাক যেটা বলতে ফোন দিছি তোকে, তোর বাবা তোর জন্য এবার আফরানের চেয়েও সুন্দর ছেলের প্রস্তাব আনছে।
-উনার সৌন্দর্য্য বা অর্থের জন্য আমি এখানে পড়ে থাকিনি আর কতোবার বলতে হবে তোমাদের!
-আরে শুন! আমাদের পাশের গ্রামের চেয়ারম্যান এর ছোট ছেলেরে তুই চিনিস না? বেচারার বউ তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তোদের বিয়ে হলে একজন অপরজনকে ঠিক বুঝবি। এবার আর অমত করিস না মা। ওই মায়া জাল থেকে বের হয়ে আয়।
-চুলোয় রান্না বসিয়েছিলাম। গেলাম আমি। পরে কথা হবে।
.
ফোনের লাইন কেটে বিছানার উপরে বসে পড়লো মুনিরা।
এতোক্ষণ চোখের কোণে পানি আসলেও তা এখন গাল বেয়ে বেয়ে পড়ছে তার। নিজের মা যদি তাকে না বুঝে কাকে বোঝাতে যাবে এই দুঃখ সে!
অবশ্য তারই বা দোষ কোথায়?
নিজের মেয়েকে কে অনিশ্চিত জীবনের মুখে ঠেলে দিতে চায়!
.
.
.
ওপাশ থেকে মুনিরা ফোন কেটে দিয়েছে দেখে হতাশ হয়ে ফ্যাকাসে মুখ নিয়ে সোফার উপরে বসে পড়লেন সেনোয়ারা বেগম।
সায়নীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যাবার পরেই তারা তাদের বিয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছিলো মুনিরার কাছে। সায়নীকে আগেই পছন্দ ছিলোনা সেনোয়ারা বেগমের। তার কার্যকলাপ তার খুব একটা ভালো লাগতো না। কিন্তু তার ধারণের বাইরেও যে তারা এতো বড় একটা কান্ড আগে থেকে ঘটিয়ে রেখেছে জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান তিনি। সায়নী আফরানের স্ত্রী কথাটি মানতে তিনি যত না অবাক হয়েছেন তার চেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে নিজের মেয়ে মুনিরার জন্য। প্রথমে বিয়ের দিনই হবু বর ইন্তেকাল করলো আর পরে যাকে বিয়ে করলো তার নাকি আগেই বিয়ে হয়েছে একবার এবং সে স্ত্রী একই ঘরে থাকে তারই সাথে। এতোবড় ধোঁকা! কই! আফরান কে তারা জোর করেনি মুনিরাকে বিয়ে করতে। তাহলে সে কেনো এই বিয়েটা করেছে? বিয়ে মানে তো আর ছেলেখেলা নয়!
যেদিন থেকেই আফরান আর সায়নীর ব্যাপারে সবটা জানতে পেরেছেন তিনি সেদিন থেকেই মুনিরাকে বুঝিয়ে চলেছেন এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। পৃথিবীতে কি ছেলের অভাব পড়েছে! কেনো এই ছেলের জন্য নিজের জীবনটা খারাপ করবে সে! তার কোনো কথা মুনিরা শুনেনি। বরং সায়নীর কথা মাথায় রেখেছে। সায়নী তাকে বলেছে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। এই মিথ্যে আশায় মুনিরা একটা বছর পার করে দিলো কিন্তু ফলাফল শূন্য! তার মেয়েটা কি কখনো সুখের দেখা পাবেনা?
.
রুমের ভেতর প্রবেশ করে স্ত্রীর মুখ দেখতে পেয়ে মুনিরার বাবা নুরুল আলমের আর বুঝতে বাকি রইলো না কি হয়েছে।
-নিশ্চয় মুনিরা এই প্রস্তাবেও রাজি হয়নাই?
.
তার দিকে না তাকিয়ে সেনোয়ারা বেগম জবাব দিলেন-
মেয়েটা নিজের পায়ে নিজেই কুড়োল মারছে।
-আফজালের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে। সে যদি বোঝায় তাহলে হয়তো মুনিরা বুঝতে পারে। তোমার কি মনেহয়?
-তুমি যা ভালো মনেহয় করো। আমি শুধু আমার মেয়েটারে সংসারী দেখতে চাই, সুখী দেখতে চাই।
-মানুষ এক জীবনে সব পায়না সেনোয়ারা। তোমার মেয়ের খুশি আফরানের বাড়িতেই তার ভালোবাসা না পেলেও।
.
স্বামীর কথা শুনে নিশ্চুপ হয়ে নিজের মনে ভাবতে থাকলেন সেনোয়ারা বেগম-
তাহলে এমন কিছু কি করতে হবে? যাতে আফরান তার প্রাপ্য সুখ দিতে বাধ্য হয় মুনিরাকে?
.
.
.
আফজাল খানের শরীরটা প্রায় খারাপ থাকে ইদানিং। কোমর ব্যথা, পিঠে ব্যথা, হাঁটতে অসুবিধা, শরীরটা মেষ মেষ করা এসব যেনো প্রতিদিনের সঙ্গী তার। তবুও যে বড় ধরনের কোনো অসুবিধে হচ্ছেনা এটাও কম কি! অবশ্য সারাক্ষণ সেবার উপরেই থাকছেন তিনি।
-বাবা আসবো?
.
মুনিরার ডাকে সাই দিয়ে আফজাল খান বললেন-
হ্যাঁ আসো।
.
এক কাপ গরম চা টেবিলের উপর রেখে তার পাশে বসে মুনিরা বললো-
আজকের চা টা আমি বানানোর সৌর্ভাগ্য অর্জন করলাম।
.
তার কথায় মুচকি হেসে আফজাল খান বললেন-
হাসপাতাল থেকে কোনো খবর এসেছে?
-না এখনো আসেনি।
-আফরানকে একটা ফোন দিয়ে দেখতে পারো। সে হয়তো ওখানেই থাকবে।
-জ্বী আমি রুমে গিয়ে দিচ্ছি। ফোনটা ওখানেই।
-আচ্ছা।
.
.
নিজের রুমে এসে ফোন হাতে নিলো মুনিরা। হাসির মায়ের শরীরটা হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে গেলো। হাসির একার পক্ষে ডাক্তার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা সম্ভব নয় বলেই আফজাল খানের কথামতো আফরান তার দায়িত্ব নেয়।
আফরানের ফোন নাম্বার ডায়েল করে মুনিরা কল দিলো।
একবার রিং হতেই আফরান রিসিভ করে বললো-
হ্যাঁ বলো মুনিরা?
-ভালো আছেন?
-উহু! দৌড়াদৌড়ির উপর আছি।
-খালার শরীরটা কেমন?
-ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
-বলেন কি! সিরিয়াস কিছু?
-তেমন কিছুনা। স্যালাইন দেয়া হয়েছে তাকে। শরীরটা দূর্বল।
– আমি আসবো আপনাদের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে?
-না থাক। রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে খেয়ে নিবো।
-আমি থাকতে রেস্টুরেন্ট কেনো! বাইরের খাবার তো…
-হুম জানি। বাইরের খাবার সে একদমই খেতে পছন্দ করেনা। ঠিক আছে আমি আসবো।
খাবার রেডি করে রেখো। হাসপাতালে আমি নিয়ে আসবো খাবার চিন্তা করোনা। তোমার বাবার কাছে থাকা উচিত।
-আমি খালাকে দেখবো না?
-নিশ্চয় দেখবে। কাল এসো তুমি।
-ঠিক আছে।
.
ফোন রাখার পরে মুনিরা আবারো ছুটে গেলো আফজাল খানের রুমের দিকে।
.
.
-বাবা? খালাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। আর উনি দুপুরের খাবার নিতে আসবেন বাসায়।
-আচ্ছা। তুমি তৈরী করে নাও।
.
আফজাল খানের রুমের দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল ১১টা বাজতে আর ১০মিনিট বাকি। দ্রুতবেগে মুনিরা রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেলো।
.
.
.
যোহরের আযান দিয়ে দিলো। কিন্তু মুনিরা এখনো রান্নাঘরের কাজেই ব্যস্ত।
ঝটাপট হটপটে খাবার ঢুকিয়ে নিলো মুনিরা। একবার ভাবলো গোসলটা সেরে নিবে। আবার ভাবলো আরেকটু অপেক্ষা করলেই হয়, আফরান যদি চলে আসে! ভাবতে ভাবতেই কলিং বেল এর শব্দ বেজে উঠলো। মুনিরা ছুটে এসে দরজা খুলে দেখা পেলো আফরানের।
ইশ! বেচারা ঘেমে গিয়ে একাকার হয়ে গিয়েছে।
তার অবস্থা দেখে মুনিরা বললো-
এ কি! এই অবস্থা কেনো আপনার?
.
ভেতরে প্রবেশ করতে করতে আফরান জবাব দিলো-
বলেছিলাম দৌড়াদৌড়ির উপরে আছি।
-হুম।
-খাবার তৈরী আছে?
-হ্যাঁ সব তৈরী।
-আমি গোসল সেরে নামাজ আদায় করে আসছি।
.
আফরান নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যেতেই মুনিরা রান্নাদিকের দিকে ছুটলো আফরানের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে।
.
.
নামাজ সেরে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এসেই ডাইনিং রুমে টেবিল সাজানো দেখতে পেয়ে চেয়ারে বসা মুনিরাকে জিজ্ঞাসা করলো আফরান-
আমার জন্য এসব?
-হু।
-আমি চেয়েছিলাম ওখানে খাবো।
-এসেছেন যখন এখানে খেয়ে নিলেই হয়।
.
কিছুক্ষণ চুপ থেকে চেয়ার টেনে বসে পড়লো আফরান। একটা প্লেট নিয়ে এক চামচ ভুনাখিচুড়ি ও মুরগির একটা পিচ নিয়ে খেতে লাগলো সে। তা দেখে মুনিরা বললো-
এতো কম খাবার?
-আবার খাবো ওখানে।
বাবাকে দিয়েছো?
-হ্যাঁ দিয়ে এসেছি।
-তুমি খেয়েছো?
-না আমি গোসলই সারতে পারিনি।
-ওহ।
.
মুনিরা আশা করেছিলো আফরান নিজের সাথে তাকে খেতে বলবে। কিন্তু এমন কিছুই আফরান বললো না। খাওয়া শেষ করে সে মুনিরার উদ্দেশ্যে বললো-
খাবার গুলি ডাইনিং টেবিলে এনে রাখো। আমি বাবার সাথে দেখা করে এসেই বেরিয়ে যাবো।
-হু।
-আর শুনো?
-হুম?
-তুমিও খেয়ে নিও।
.
.
.
-হ্যালো ওল্ড ম্যান!
.
আফরানের ডাকে শোয়া থেকে উঠে বসলেন আফজাল খান। তিনি হেসে বললেন-
হাই ইয়াং ম্যান! কি অবস্থা তোর? একা এসেছিস?
-হ্যাঁ।
-হুম হাসির মায়ের পাশে থাকাটা দরকার। বিশ্বস্ত মহিলা সে। নিজের সংসারের মতো এই সংসারটাও আগলে রেখেছিলো। নিজের বোনের জায়গা দিয়েছি তাকে।
-তাহলে তাকে ফুফু ডাকা উচিত খালা না ডেকে।
.
বলেই হো হো শব্দে হেসে উঠলো আফরান। আফজাল খান মৃদু হেসে বললেন-
খাবার নিতে এসেছিস না? যা এখন, দেরী হয়ে যাচ্ছে।
-হু যাচ্ছি।
.
.
.
বাসার কাজ, গোসল ও নামাজ সেরে নিতে মুনিরার দুপুর ৩টা বেজে গেলো।
খেতে ইচ্ছে না করলেও আফরানের বলা কথাটি তার মনে পড়লো।
“তুমিও খেয়ে নিও।”
এমন ছোট ছোট কথাগুলোও যেনো আফরানের মুখ থেকে শুনতে ভালো লাগে মুনিরার।
এটাই কি তবে ভালোবাসা?
ভীষণভাবে মিস করছে সে আফরানকে। আফরান অফিস থাকাকালীন তাকে মিস করলে তার রুমে গিয়ে হেঁটে আসে মুনিরা। আজও তার ব্যতিক্রম হলোনা। আফরানের রুমে থাকার অধিকার না পেলেও হেঁটে আসার অধিকার সে ঠিকই পেয়েছে!
.
আফরানের রুমে প্রবেশ করতেই বিছানার উপরে তার শার্ট টা দেখতে পেলো মুনিরা। এই শার্ট পরেই সে সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলো। এখন তা বদলে আরেকটি পরেছে।
বিছানার উপর থেকে শার্ট টা নিয়ে তাতে নাক ডুবালো মুনিরা। আফরানের শরীরের ঘ্রাণ নেয়ার চেষ্টায় মগ্ন সে। এই কাজ টা যে এই প্রথম করছে এমন নয় কিন্তু! প্রায় করে সে এমন তবে লুকিয়ে।
কিছুক্ষণ এভাবে কাটানোর পর সে ভাবলো শার্ট টা গোসলের আগে দেখলে ধুয়ে দিতে পারতো।
আবার ভাবলো, গোসল করেছে তাতে কি! স্বামীর কাজ সবসময় করা যায়। এখন ধোয়া যেতেই পারে, পরে না হয় খেয়ে নিবে।
আর না ভেবে মুনিরা এগিয়ে গেলো ওয়াশরুমের দিকে।
.
.
.
বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যে এসে গেলো।
একবার কি ফোন দিকে দেখবে ওদিকের কি অবস্থা? ভাবতে ভাবতেই কলিং বেলের শব্দ কানে এলো মুনিরার।
দরজার পাশে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দিয়ে দেখা পেলো প্রিয় মানুষের।
মুখে হাসি ফুটিয়ে মুনিরা বললো-
এসেছো তুমি!
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here