বৈধ সম্পর্ক সিজন ২ পর্ব ২২

#বৈধ_সম্পর্ক
#সিজন_২
#পর্ব_২২
#Saji_Afroz
.
.
.
আজ আফরানের ছেলে আরাফ এর বিয়ে।
পুরো বাড়িটা জমকালো ভাবে সাজানো হয়েছে। এই বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা!
.
দেওয়ালে টাঙানো আফজাল খানের ছবির দিকে তাকিয়ে আফরান শান্ত গলায় বললো-
বাবা আজ তোমার নাতির বিয়ে। এই দিনটায় তোমায় খুব বেশি মনে পড়ছে। আর মনে পড়ছে…
-আব্বু?
.
ছেলের ডাকে পেছনে ফিরলো আফরান। বরের সাজে তার ছেলেকে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে দেখে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটলো আফরানের।
.
আফরানের পাশে এসে আরাফ তাকে জড়িয়ে ধরে বললো-
আগে গিয়ে আম্মুকে সালাম করে আসি। সবার পর তোমাকে করবো।
.
আরাফের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো আফরান।
মৃদু হেসে সে বললো-
এতোদিন তো এমনি হয়ে আসছে। আজও এর ব্যতিক্রম হবেনা জানতাম।
.
আরাফ চলে যেতেই আফরান দেয়ালে টাঙানো বাবার ছবির পাশে মায়ের ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললো একটা।
বড্ড মনে পড়ছে আজ তার মা বাবাকে।
.
.
.
সায়নীর রুমে এসে আরাফ তাকে সালাম করলো।
সায়নী তাকে জড়িয়ে ধরে বললো-
সুখী হবি তুই ইনশাআল্লাহ।
-হুম বড় আম্মু। আজ আমার কোনো আফসোস নেই, নেই কোনো সংশয়।
.
আরাফের কপালে চুমু দিলো সায়নী।
আরাফ বললো-
এবার ছোট আম্মুকে সালাম করে তারপর আব্বুকে করে আসি।
-হুম তারপরেই মেয়ে আনতে যাবো আমরা।
.
.
.
লাল টকটকে কাতান শাড়ি, মাথায় সোনালী উড়না, গায়ে গহনা আর একেবারেই হালকা সাজে সেজেছে মেহেনুবা।
আজ তার বিয়ে! তবে এমন সাজে বিয়ের কনে কে স্টেজে বসে থাকতে দেখা যায়না।
তাকে দেখে থমকে গিয়েছিলো কিছুক্ষণ আরাফ।
এমন হালকা সাজে কোন বিয়ের কনে কে এতো ভালো লাগে আগে জানা ছিলোনা আরাফের।
.
স্টেজে পাশাপাশি বসে আছে মেহেনুবা ও আরাফ।
হ্যাঁ, ২২দিন কেটে গিয়েছে।
উপমা ফিরেনি। তাই কথানুযায়ী আরাফ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে মেহেনুবার সাথে।
আরাফের মনে কোনো সংশয় আর নেই।
জীবনে চলার পথে আমরা অনেক ভুল মানুষের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি।
হয়তো তাদের মাঝে কাউকে একসময় ভালোওবেসে ফেলি।
কিন্তু ঠিকই একদিন তার আসল রূপটা প্রকাশ পায়।
ভালোবাসাকে সুযোগ দিবোনা এমনটা নয়! তবে ভুল মানুষকে বারবার সুযোগ দেয়ার কোনো মানেই হয়না। এতে বিপরীত হবে।
ভুল মানুষের সাথে জীবন জড়িয়ে একসময় সবই ভুল হয়ে যাবে!
উপমা তার জীবনের ভুল।
সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পায়না। আরাফের টাও নাহয় অপূর্ণ থেকে গেলো!
.
.
পুরো ক্লাব শোরগোলে মেতে আছে।
প্রত্যেকটা মানুষই ভীষণ খুশি।
আরাফও আজ খুশি তার পরিবারের জন্য। তবে মেহেনুবা খুশি তো?
মেহেনুবার উদ্দেশ্যে ফিসফিসিয়ে আরাফ বললো-
ঠিক আছো তুমি?
.
মৃদু হেসে মেহেনুবা জবাব দিলো-
হু।
-ভালো আছো?
-হ্যাঁ।
-ঠিক আছে ভালো থেকো।
.
আরাফের কথা শুনে হেসে দিলো মেহেনুবা।
তার দিকে তাকিয়ে বললো-
আমরা কি এখন ফোনে কথা বলছি?
-কেনো?
-ভালো থেকো কি আবার?
-না মানে…
-ভালো রাখার দায়িত্ব তোমার আজ থেকে। আমি কিন্তু জোর করিনি তোমাকে। তাই ছ্যাকা খেয়ে ব্যর্থ প্রেমিকের মতো বসে থাকলে চলবে না। প্রেমিক থেকে বেরিয়ে আসবে, স্বামীর দায়িত্ব পালন করবে।
.
এ যেনো নতুন মেহেনুবা কে দেখছে আরাফ।
বউ রা বুঝি এমনি হয়!
.
.
রুমানা দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে তার হবু বরের সাথে।
মেহেনুবা ও আরাফকে ফিসফিস করে কথা বলতে দেখে সে হবু বরের উদ্দেশ্যে বললো-
ভালো মানিয়েছে ওদের তাইনা?
-হুম। তবে আরাফ তার ভালোবাসা পায়নি।
-ভালোবেসেছে বলে কি ওই বাজে মেয়েটাকেই বিয়ে করতে হবে?
-না তা নয়। উপমা আরাফের যোগ্য নয়। তুমি আমার সবটা জেনে যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছো, উপমাও পারতো সেভাবে সাপোর্ট করতে আরাফ কে। কিন্তু সে করেনি। উল্টো দিনের পর দিন অপমান করেছে।
তুমি দেখিও, একদিন উপমা বুঝবে তার ভুলটা।
-ওসব বাদ দাও। আমার বিয়েতে কিন্তু আমি এমন নরমাল সাজে সাজবো না। গর্জিয়াস সাজ দিবো। কালই বিয়ের শাড়ি কিনে দিবা আমাকে। আর ৬টা দিন বাকি মাত্র আমাদের বিয়ের।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
.
ঘন্টা খানেক পর…
নতুন বউকে সাদরে ঘরে প্রবেশ করালো সায়নী ও মুনিরা।
আরাফের পাশে মেহেনুবাকে দেখে মুনিরার দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো।
তার কাধে সায়নী হাত দিতেই সে বললো-
খুশির অশ্রু আপু এটা! সঠিক মেয়েকে ছেলের জীবনসঙ্গী করতে পেরেছি। আজকের মতো খুশির দিন আর হতে পারে!
-হুম। তোর আশা পূরণ হয়েছে। আরাফকেও দেখ। সেও আজ সন্তুষ্ট।
-হ্যাঁ। তুমি ঠিকই বলেছিলে আপু। আরাফের মনে কোনো সংশয় না থাকার জন্য এই এক মাস প্রয়োজন ছিলো।
.
.
রুমানা মেহেনুবা কে নিয়ে এগিয়ে গেলো আরাফের রুমে।
-আরাফ হয়তো উপমার শোকে একটু আধটু ডং করবে। তুমি ওসব পাত্তা দিবেনা। নিজের অধিকার আদায় করে নিবা।
.
কথাটি বলেই মুচকি হেসে রুমানা বেরিয়ে গেলো।
বিছানার পাশেই নিজের স্যুটকেস দেখতে পেলো মেহেনুবা।
একটা সুতির শাড়ি বের করে এগিয়ে গেলো সে ওয়াশরুমের দিকে।
একটু পরেই রুমে প্রবেশ করলো আরাফ।
দরজাটা লাগিয়ে চুপচাপ বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সে।
মেহেনুবা ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখা পেলো আরাফের। তার সামনে এসে আচমকা সালাম করে ফেললো আরাফ কে।
আরাফের কি করা উচিত বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে রইলো চুপচাপ সে।
মেহেনুবা মৃদু হেসে বললো-
কিছু বলার দরকার নেই। আমি সম্পর্ক টা ধীরেধীরে আগাতে প্রস্তুত আছি। একটা সম্পর্ক মজবুত করতে বন্ধুত্ব করা খুবই প্রয়োজন। হবে আমার বন্ধু?
.
বউ বলছে বন্ধু হতে!
এতো ভালো কেনো মেহেনুবা টা!
আরাফ কি সত্যিই এই মেয়ের যোগ্য!
-কি হলো?
-হুম হবো।
-আমি কিন্তু বিছানায় শোবো বলে দিলাম৷
.
কথাটি বলে বিছানায় শুয়ে পড়লো মেহেনুবা।
সেরোয়ানি টা খুলে পাঞ্জাবি গায়েই তার পাশে শুয়ে পড়লো আরাফ।
আজ উপমা তার পাশে থাকলে হয়তো রাতটা অন্যরকম হতে পারতো৷ কিন্তু…
আর ভাবলোনা আরাফ।
চোখ জোড়া বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলো সে।
এদিকে মেহেনুবার চোখেও ঘুম নেই। তবে তার বিশ্বাস, তার ভালোবাসা আর বৈধ সম্পর্কের জোরে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আরাফও তাকে ভালোবাসবে।
.
.
.
সকালে মুনিরার ডাকে ডাইনিং রুমে আসতেই বাসার সকলের দেখা পেলো আরাফ।
সায়নী আরাফের উদ্দেশ্যে বললো-
আমরা সকলেই ঘুম ছিলাম। উঠে দেখি মেহেনুবা সকলের জন্য নাস্তা তৈরী করে ফেলেছে।
যেখানে আজ তার সকাল ১২টা পর্যন্ত ঘুমানোর কথা সেখানে দেখ! কি লক্ষি একটা মেয়ে মেহেনুবা।
.
মেহেনুবা হেসে বললো-
তোমরাই তো আমাকে মেয়ে এনেছো বলেছো, তাহলে কেনো আমি পুত্র বধু সেজে থাকবো!
-সেটাই।
-এখন বসো তো তুমিও। আমি সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছি।
.
আফরান বললো-
আমাকে আগে দাও। আমি কর্তা হই কিন্তু।
.
মুনিরা হেসে বললো-
কিসের কর্তা ফর্তা! আমি ওকে শুরু থেকেই বউ বানাতে ইচ্ছুক ছিলাম সো আগে আমাকে দিবে।
.
ওদের কথা শুনে মেহেনুবা চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো।
মুনিরা তার মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে বললো-
কর্তাকেই আগে দাও।
.
.
বাসার সকলের মুখে হাসি দেখে প্রাণ টা জুড়ে গেলো আরাফের।
থাক না সকলে মেহেনুবাকে নিয়েই ভালো, এতে করে উপমার করা অপমান হয়তো ভুলে থাকতে পারবে।
.
.
.
সকাল ১১টা….
রুমানা তার হবু বরের সাথে বিয়ের শপিং করতে এসেছে।
হঠাৎ একটা দোকানে চোখ পড়তেই দেখা পেলো উপমার।
সে লেহেঙ্গা দেখছে। দেখে মনে হচ্ছে সেও বিয়ের জন্যই লেহেঙ্গা দেখছে।
হবু বরকে দাড়াতে বলে রুমানা এগিয়ে গেলো উপমার কাছে।
-উপমা?
.
রুমানাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো উপমা।
তার উদ্দেশ্যে বললো-
আরে রুমানা তুমি! কেমন আছো?
-ভালোই। তুমি?
-অনেক ভালো। একা এসেছো?
-না। হবু বর এসেছে। তুমি?
-আম্মুর সাথে এসেছি৷ অন্য দোকানে সে।
-ওহ।
-আমি অনেক খুশি রুমানা।
-সে তো দেখেই বুঝছি। তা বিয়ের কেনাকাটা করছো নাকি?
-কি করে বুঝলে?
-মনে হলো।
-হুম। আরাফ কে ছাড়া আমি ভালোই আছি। বিয়েটা করে সেটা আরো বেশি ক্লিয়ার করবো।
-কিন্তু আরাফ তোমাকে ছাড়া ভালো ছিলোনা। জানো এই এক মাস সে কতো করে চেয়েছে তুমি ফিরে আসো, নিজের ভুল বুঝতে পেরে। কিন্তু তুমি ফিরোনি। বিয়ে ঠিক হওয়া স্বত্তেও নিজের ভালোবাসার জন্য এক মাস সময় দিয়েছে সে। কিন্তু তুমি ফিরোনি। আর তাই সে….
-কি?
-বিয়েটা করে ফেলেছে।
.
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে উপমা জিজ্ঞাসা করলো-
কোনো বস্তির মেয়েকে?
-বস্তির মেয়েদেরও তোমার মতো মানসিকতা নেই। যাই হোক, আরাফ বিয়ে করেছে মেহেনুবা কে।
.
কথাটি শুনে চুপ হয়ে গেলো উপমা।
রুমানা আবারো বললো-
আমার হবু বরের মা কি করেছে জানো? তার যখন দশ বছর বয়স, তাকে ও তার বাবাকে ছেড়ে তিনি অন্য একজন পুরুষের সাথে পালিয়ে গিয়েছেন।
এটা নিয়ে আমার দাদি ঝামেলা করলেও আমি তার সাথে থেকেছি। মানুষে কথা শোনালেও আমি ভরসা দিয়েছি। কেনো জানো? ও যেমনটা আমাকে ভালোবাসে ঠিক তেমনি আমিও ওকে ভালোবাসি। ওর পরিবারের এসব কারণের জন্য ওকে আমি ছেড়ে দিবো, এমনটা ভাবিনি। আমি ওকেই বিশ্বাস করেছি। সেই জায়গায় তুমি কি করেছো আরাফের সাথে! আরাফ কে কষ্ট দিয়ে নিজে সুখী হতে পারবে তো?
-কেনো নয়! রোমানও আমাকে ভালোবাসে।
-তাহলে আজ তুমি একা কেনো?
রোমান কই?
-ওর এসবের সময় আছে নাকি! ইঞ্জিনিয়ার ছেলে।
-আরাফও কিন্তু বুয়েটের স্টুডেন্ট। তবুও বাবার সাথে ব্যবসায় জয়েন দিয়েছে। মায়েদের কথায় সে মেহেনুবার সাথে কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবকিছুতে সাথে ছিলো। আর তার ভালোবাসার সাথে বিয়ে হলে কি করতো বুঝতে পারছো কি?
শুধু আরাফ না। তোমাকে মাথায় করে রাখতো আন্টিরাও। তাদের একমাত্র ছেলের বউ হতে তুমি। আরাফের ভালোবাসা তুমি। আরাফকে তারা কতোটা ভালোবাসেন আর তার ভালোবাসাকে ভালোবাসবে না এটা কি করে হয়!
.
নিশ্চুপ হয়ে আছে উপমা।
রুমানা বললো-
তোমাকে আমি ব্লক করে দিয়েছিলাম। আজ খুলে দিবো। আরাফ ও মেহেনুবার সাথে পুরো খান পরিবারের ছবি দেখিও।
অবশ্য ভালোই হলো, তুমি আরাফের যোগ্য না। যে যোগ্য সে এসে এসেছে ওর লাইফে।
আমার বিশ্বাস। ধীরেধীরে মেহেনুবার প্রেমে আরাফ পড়বে, বৈধ সম্পর্কের জোরে।
.
.
রুমানা হনহনিয়ে চলে গেলো।
একটু পরে রুপা আক্তার আসলে উপমা বললো-
বাসায় যাবো আম্মু আমি।
-কেনো? আরে লেহেঙ্গা…
-পরে নেবো।
.
.
.
বাসায় এসে নিজের রুমের বিছানায় বসে পড়লো উপমা।
মোবাইল হাতে নিয়ে ফেবুতে রুমানার আইডি সার্চ দিলো সে।
আরাফের বিয়েতে হাসিমাখা সকলের মুখ দেখে দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেললো উপমা।
রুমানার বলা কথাগুলো বড্ড আঘাত দিচ্ছে তাকে।
আরাফ তার জন্য আশা করে ছিলো!
আর সে কিনা বিয়ে করে আরাফ কে কষ্ট দিতে চেয়েছে। অথচ সেই কষ্ট আজ নিজে ভোগ করছে।
এ কি করে ফেললো সে! আরাফের ভালোবাসা কে অবহেলা করলো উপমা।
কিসের জন্য?
জেদ এর জন্য!
.
উঠে পড়লো উপমা। পায়চারী করতে লাগলো সারারুম জুড়ে।
যেখানে মেহেনুবার মতো ভালো পরিবারের মেয়ে আরাফের বউ হতে পেরেছে সে কেনো এমন ভুল করলো!
কেনো সে আরাফের সাথে এমন করলো!
.
মেঝেতে বসে পড়লো উপমা।
চোখ দিয়ে ঝরছে তার অনবরত পানি।
আজ সে বুঝতে পারছে। কতো বড় ভুল সে করেছে!
তবে এখন কি কিছুই করার নেই?
হুট করে মনে পড়লো রুমানার একটা কথা উপমার।
‘আমার বিশ্বাস। ধীরেধীরে মেহেনুবার প্রেমে আরাফ পড়বে, বৈধ সম্পর্কের জোরে।’
তারমানে আরাফ এখনো উপমাকেই ভালোবাসে!
সে ফিরে গেলে গ্রহণ করবে তাকে!
কেনো নয়!
হ্যাঁ সে যাবে। যাবে আরাফের কাছে উপমা।
আরাফ নিশ্চয় এই উপমাকে ফিরিয়ে দিবেনা, যে কিনা ভুল বুঝে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে যাবে!
হঠাৎ মনে পড়লো উপমার মেহেনুবার কথা।
আরাফ কি নিজের ভালোবাসার জন্য ত্যাগ করতে পারবে মেহেনুবাকে!
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here