ভালোবাসাময় প্রহর পর্ব -০৩+৪

#গল্পের_নাম_ভালোবাসাময়_প্রহর
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৩

দিবা আজ শাড়ি পরে রক্তিমের বাসায় হাজির হয়েছে কলিংবেল টিপতেই রক্তিমের মা এসে দরজা খুলে দিলো।দিবা তাকে দেখে জড়িয়ে ধরে বললো,

~কেমন আছো মামীমা?

রক্তিমের মা একটু অবাক হলেন দিবার এই রুপ দেখে যে মেয়ে শাড়ি তো দূর সেলোয়াড় কামিজও ঠিক মতো পরে না তার আজ এই রূপ।রক্তিমের মা নিজেকে সামলে বললেন,

~ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?আর তোমার মা-বাবা কোথায়?

দিবা তাকে ছেড়ে দিয়ে কাঁ/দো কাঁ/দো হয়ে বললো,

~মা আর বাবার কী আমার জন্য সময় আছে দুজনই অফিসে।
আচ্ছা মামীমা রক্তিম আর রাত কোথায়?

রক্তিমের মা বললেন,

~রাত তো ভার্সিটি চলে গেছে আর রক্তিম ফ্যাক্টরিতে গিয়েছে অনেক বড় অর্ডার পেয়েছে তারই স্পালাই আজকে।

দিবা মুচকি হেসে বললো,

~মামীমা, আজ তাহলে আমি শুধু তোমার সাথে সময় কাটাবো।
কতদিন তোমার হাতের রান্না খাই/নি।

রক্তিমের মা দিবার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

~এটাতো তোমারও বাসা যখন মন চায় চলে আসবে।

দিবা রক্তিমের মায়ের হাত ধরে বললো,

~আমার তো তোমাদের সাথেই থাকতে মন চায় যদি এমন কিছু হতো তাহলে কতোই না ভালো হতো।

দিবার কথায় রক্তিমের মা মুচকি হেসে বললো,

~তাহলে চলে এসো তুমিও তো আমার মেয়ে রক্তিম আর রাতের বোন কোনো সমস্যা হবে না।

দিবা “রক্তিমের বোন” শব্দটা শুনে তেঁ/তে উঠলো কিন্তু কিছুই বললো না কারণ তাকে এসব হজম করতেই হবে নাহলে সব পরিকল্পনা পানিতে ধু/য়ে যাবে।দিবা হাসি হাসি মুখ করে বললো,

~আর রক্তিমের ফ্রেন্ডও জানো মামীমা রক্তিম আমাকে একটুও সময় দেয় না তুমি একটু ওকে ব/কে দিও।

রক্তিমের মা বললেন,

~মা গো ওতো ব্যস্ত থাকে কারণ ওর বাবা সব ব্যবসার হাল ওকে বুঝিয়ে দিয়েছে তাই হয়তো সময় পায়না।

দিবা রক্তিমের মায়ের কথায় হালকা হেসে ব্যাগটা নিয়ে নিজ রুমে চলে গেলো আজ থেকে সে এখানেই থাকবে যে পর্যন্ত সব ঠিকঠাক না হয়ে যায়।রক্তিমকে তার কথা মানতেই হবে আর না মানলেও সমস্যা নেই মামীমাকে ইমপ্রেস করলেই সব কাজ হয়ে যাবে। রক্তিমকে বিয়ে করলেই তো তার লাভ বাবাও তো তাই চায় দিবা ব্যাগটা বিছানায় রেখে সোফায় পায়ে উপর পা তুলে বললো,

~রক্তিম তুমি তো ছা/ড় পাবে না বাবার স্বপ্ন আমি অবশ্যই পূরণ করবো।

সব ফ্রেন্ডরা মিলে আড্ডা দিচ্ছে ২টা ক্লাস আজ হবে না তাই সব এক জোট হয়েছে।রাত অধরাও সেখানে উপস্থিত আছে তখনই রাতের ফোন বেজে উঠলো রাত ফোন হাতে নিয়ে দেখলো “রক্তিম” নামটা জ্বল/জ্বল করছে।রাত ফোন রিসিভ করতেই রক্তিমের গম্ভীর কন্ঠটা শুনতে পেলো রক্তিম বললো,

~বাসায় দিবা এসেছে ব্যাগপত্র নিয়ে এসেছে এই প্রব/লেম টাকে তাড়াতাড়ি দূর কর সাথে তন্নিকেও নিয়ে নে।

রাত একবার অধরার দিকে তাকালো তারপর উঠে অন্য জায়গায় গিয়ে বললো,

~দিবা এখন লিমিট ক্র/স করছে ভাইয়া ওকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে নাহলে

রাতের কথা শেষ হওয়ার আগেই রক্তিম বললো,

~তোকে যা বলেছি তাই কর বাকিটা আমি দেখে নিবো সব কিছুরই শে/ষ আছে।

রাত আর কিছুু্ না বলে ফোন রেখে দিলো রক্তিম ফোনটা টেবিলের উপর রেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে বললো,

~চলো দিবা প্রেম প্রেম খেলি আমিও দেখতে চাই এই পানি কতদূর গড়ায়।

অধরা একা একা ছাদে দাড়িয়ে আছে তন্নির কী যেন কাজ আছে তাই সে রক্তিমের বাড়িতে গিয়েছে।এই মেয়ের হাবভাব সে বুঝে না একবার রাতের সাথে ঝ/গ/ড়া করবে আরেক বার
গ/লা/য় গ/লা/য় ভাব করবে।তখনই অধরার পিছে কেউ এসো দাড়ালো অধরা কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেলো রক্তিম তার একদম কাছে এসে দাড়িয়েছে।সন্ধ্যার সময় হওয়ার কারণে আকাশ পুরো লাল হয়ে উঠেছে পাখিরা ফিরে যাচ্ছে নীড়ে বাতাসের কারণে অধরার চুলগুলো উড়ছে সূর্যের লাল আভাটা অধরা আর রক্তিমের মুখে প/র/ছে।
অধরা একবার মুখ তুলে রক্তিমের দিকে তাকালো সেই নেশাময় দৃষ্টি দেখে অধরার হৃদপিন্ড চলা বন্ধ করে দিলো সে ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে।অধরার মনে হচ্ছে কেউ তার গ/লা চেপে ধরেছে।রক্তিম এক দৃষ্টিতে তার দিকেই তাকিয়ে আছে অধরার লজ্জা/মাখা মুখটা দেখতে তার প্রচন্ড ভালো লাগছে।অধরা
পি/ছি/য়ে যেতে নিলেই রক্তিম তার কোমড় জ/ড়ি/য়ে ধ/রে তার কাছে টেনে নিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,

~আর মাত্র কিছুদিন এরপর আর পা/লা/তে পারবেনা।

রক্তিমের কথায় অধরার অবস্থা আরো খা/রা/প হতে লাগলো তা বুঝতে পেরে রক্তিম অধরাকে ছেড়ে দিলো।অধরা ছাড়া পেয়ে দৌড়ে সেখান থেকে চলে গেলো তার যাওয়ার পাণে তাকিয়ে রক্তিম বললো,

~বড্ড পু/রা/য় এই দুরত্ব তুমি তা কখন বুঝবে প্রেয়সী।

দিবা শাওয়ার নিতে যাবে তাই নিজ কাপড় গুছাতে লাগলো তখনই তার রুমে প্রবেশ করলো রাত।রাতকে দেখে দিবা বললো,

~আরে রাত যে কেমন আছো?

রাত হাসার চেষ্টা করে বললো,

~ভালো আপু তা তুমি এখন কী করছো?

দিবা বললো,

~এই যে শাওয়ার নিবো অনেক ক্লান্ত আমি।

রাত দরজার আড়ালে থাকা তন্নিকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো তখনই তন্নি রুমে প্রবেশ করে বললো,

~দিবা আপু,তোমার জন্য কী যেন পার্সেল এসেছে?

দিবা একটু অবাক হয়ে বললো,

~পার্সেল আমার?

তন্নি বললো,

~নাহলে কী আমার তাড়াতাড়ি যাও।

দিবা দেরি না করে রুম থেকে বের হয়ে সোজা নিচে চলে গেলো সেই সময়টা কাজে লাগালো এই দুজন চু/ল/কা/নি/র পাউডার দিবার সারা জামায় দিয়ে দিলো।তাদের কাজ শেষ হতেই দিবা পার্সেল নিয়ে রুমে ডুকলো।রাত আর তন্নি শ/য়/তা/নি মার্কা হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো দিবা পার্সেলে তার বাবার নাম দেখে আর কোনো প্রশ্ন করে না।সোজা চলে যায় শাওয়ার নিতে শাওয়ার শেষে কাপড় পরতেই তার পুরো শরীর চু/ল/কা/তে শুরু করে। একপর্যায়ে সে বহু জোড়ে চিৎকার করে উঠে কারণ তার পুরো শরীর লাল হয়ে গেছে।

দিবার কন্ঠ শুনে সবাই তার রুমে যায় গিয়ে দেখে দিবা দেওয়ালের সাথে পিঠ ঘ/ষ/ছে।তা দেখে সবাই হতবাক হলেও রাত,তন্নি আর রক্তিম মিটমিট করে হাসছে।রক্তিমের বাবা ডাক্তারকে ফোন করতে চলে গেলো আর রক্তিমের মা দিবাকে সামলাচ্ছে।তন্নি আফসোস এর সুরে বললো,

~আ/হা দিবা আপু এ কী হয়ে গেলো?তোমার হয়তো এই বাসার পানিতে আ্যর্লাজি আছে।

তন্নির কথা শুনে দিবা কট/মট নজরে তাকালো সে বুঝতে পারলো এসব তাদেরই কাজ তবুও নিজেকে সামলে নিলো।

অধরা নিজ রুমে বসে ছাদে ঘটে যাওয়া কান্ডের কথা ভাবছে আর মনে মনে বলছে,

~ইশশ সে আমার কতো কাছে ছিলো সেই নিশ্বাস আমি ভুলতে পারছিনা।এগুলো স্বপ্ন ছিলো নাকি বাস্তব

ভেবেই সে দুহাত দিয়ে মুখ ডেকে ফেললো তার অনেক ল/জ্জা করছে তাহলে কী অধরার ভালোবাসাময় প্রহর শুরু হয়ে গেলো?
#গল্পের_নাম_ভালোবাসাময়_প্রহর
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্ব:৪

রাত:৮টা অধরা নিজ হাতে খিচুড়ি রান্না করছে সাথে আছে ইলিশ মাছ ভাজা আর গরুর মাংস।সব রান্না শেষে টিফিন বক্সে সব সুন্দর করে ভরে নিলো।এগুলো সে রক্তিমদের বাসায় নিয়ে যাবে আজ অধরা আর তন্নি সেখানেই থাকবে রাতভর চলবে আড্ডা একটু আগেই রাত ফোন করে তাই বলেছে তাকে।
অধরা রেডি হয়ে টিফিন বক্স নিয়ে বেড়িয়ে গেলো বাসা থেকে রক্তিমদের বাসায় গিয়ে কলিংবেল টিপতেই তন্নি দরজা খুলে দিলো।অধরাকে দেখে তন্নি বললো,

~এতক্ষণ লাগলো তোমার আসতে?

অধরা বললো,

~সবার জন্য খিচুড়ি রান্না করে নিয়ে এসেছি।

তন্নি মুচকি হেসে বিড়বিড় করে বললো,

~সবার জন্য নাকি রক্তিম ভাইয়ার জন্য।

তন্নির কথা বুঝতে না পেরে অধরা বললো,

~কী হয়েছে তোর?

তন্নি বললো,

~কিছুনা সাদিয়া আপু(রক্তিমের চাচাতো বোন) এসেছে।

অধরা খুশি হয়ে বললো,

~সত্যি আজকে তো জম্পেস আড্ড হবে।

অধরা টিফিন বক্স টেবিলে রেখে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে রান্নাঘরে চলে গেলো আর দেখলো রক্তিমের মা কাজ করছে।অধরা তার সামনে দাড়িয়ে বললো

~কোনো হেল্প লাগবে আন্টি?

অধরাকে দেখে রক্তিমের মা মুচকি হেসে বললেন,

~সব তৈরি হয়ে গেছে তুমি ছাদে চলে যাও সেখানেই সবাই।

অধরা বললো,

~আন্টি আমি খিচুড়ি রান্না করে নিয়ে এসেছি সবার জন্য।

রক্তিমের মা বললেন,

~বাহ মেয়েতো বড় হয়ে গিয়েছে বিয়ে দিতে হবে দেখছি।তোমার বাসায় ঘটক পাঠাতে হবে আমার যাতে ভালো পাত্র খুজে দিতে পারে।

অধরা মুচকি হেসে বললো,

~সময় মতো সব হবে আন্টি দোয়া করবেন।

তখনই পিছন থেকে রক্তিম বলে উঠলো,

~মা, তুমি এসব কথা নিয়ে বসে পরেছে তোমার ননদ যে সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছে তার কী খেয়াল আছে?

রক্তিমের শাড়ির আচঁলে হাত মুছতে মুছতে বললেন,

~ফোনটা তো রুমে আসলে কাজের চা/পে ভুলেই গেছি আর দিবার অবস্থায়ও বেশি ভালো না।

অধরা অবাক হয়ে বললো,

~দিবা আপু এই বাসায়?আর ওনার কী হয়েছে?

রক্তিম বললো,

~সেসব তোমাকে আমি বলছি মা তুমি যাও।

রক্তিমের মা অধরার হাতে চামচ দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো অধরা চুলোর তাপ কমিয়ে চামচটা সাইডে রেখে মাংসগুলোতে মসলা মাখাতে লাগলো।রক্তিম অধরাকে বললো,

~খিচুড়ি কী আমার জন্য রান্না করেছো?

অধরা কাজ করতে করতে বললো,

~আপনি কী এ বাসায় একা যে শুধু আপনার জন্যই রান্না করবো?

রক্তিম খেয়াল করলো অধরার ক/ষ্ট হচ্ছে কাজ করতে তার চুলগুলোর জন্য তাই রক্তিম অধরার সবগুলো চুল একত্র করে একটা খোঁপা বেঁ/ধে বললো,

~এখন কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।

অধরা অবাক হয়ে গেলো রক্তিমের কান্ডে সে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,

~আপনার এসব করতে হবে না এখান থেকে চলে যান।

রক্তিম দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে অধরার দিকে শা/ন্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

~সত্যি চলে যাবো?

রক্তিমের এমন শা/ন্ত কন্ঠ শুনে অধরার মনে একটা শীতল হাওয়া বয়ে গেলো অধরা কিছু না বলে কাজে মনোযোগ দিলো।
এসব দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করছে দিবা আর মনে মনে বলছে,

~যতো মন চায় উড়ে নেও রক্তিম ব/ন্ধি/তো সেই আমার হাতেই হবে।

ছাদে সবাই বসে আছে দিবা নিজ রুমেই রয়েছে কারণ তার শরীর খা/রা/প তাই।সাদিয়াকে দেখে অধরা তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,

~আপু,কেমন আছো তুমি?

সাদিয়া হেসে বললো,

~ভালো। তুই এতোক্ষন পর আসলি কেন?

অধরা হেসে বললো,

~কাজ ছিল তাই আচ্ছা দুলাভাই আসেননি?

সাদিয়া বললো,

~না রে ব্যস্ত সে আয় একসাথে বসে ডিনার করে নেই।

সবাই একসাথে ছাদেই ডিনারের জন্য বসলো সবাই অধরার রান্না করা খাবার খেয়েছে আর প্রশংসা করেছে কিন্তু রক্তিম সেই খাবার ছু্ঁয়েও দেখেনি অধরার এতে কেন যেন অনেক কষ্ট লাগলো।খাওয়া শেষে সবাই একসাথে বসে আড্ডায় মেতে উঠলো অধরার মুখটা মলিন দেখে রক্তিম মনে মনে হাসে।আড্ডার মাঝেই দিবা এসে উপস্থিত তাকে দেখে রক্তিম বিরক্ত হলো।দিবা এসেই রক্তিমের পাশে বসে পরলো রক্তিম এটা দেখে রাতকে ইশারা করলো রাত গিয়ে ঠিক তাদের মাঝে বসে বললো,

~আমার আবার ভাইয়াকে ছাড়া চলে না।

রক্তিম রাতের কাঁধে হাত রেখে অধরার দিকে তাকালো অধরার চোখে চোখ পরতেই অধরা চোখ সরিয়ে ফেললো।দিবা রাতের দিকে তাকিয়ে বললো,

~বিয়ে হলেও কী ভাইয়ার সাথে এভাবেই চি/প/কে থাকবে?

দিবার প্রশ্নে রাত বললো,

~আমার ভাবি তো ছোট মনের অধিকার হবে না যে আমাকে আমার ভাইয়ার কাছ থেকে ছি/নি/য়ে নিবে।

রাতের কথায় শিস বাজিয়ে উঠলো তন্নি আর বললো,

~সা/ব্বা/স আমাবস্যার রাত কী লাইনটা মা/র/লে আহা।

তন্নির কথায় সবাই হেসে উঠলো শুধু দিবা ছাড়া আড্ডাময় পরিবেশটা বেশ রাত পর্যন্ত চললো। ২.৩০ মিনিটে যে যার রুমে চলে গেলো সাদিয়া,তন্নি আর অধরা একই রুমে থাকবে তারা বিছানায় শুয়ে কথা বলছিলো তখনই অধরার ফোনে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো।অধরা মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো রক্তিমের ম্যাসেজে পাঠিয়েছে তাতে লেখা,

~চুপচাপ রান্নাঘর থেকে খিচুড়ির বাঁটিটা নিয়ে ছাদে চলে আসো।

অধরা অবাক হলো যে ব্যক্তি খিচুরি ছুঁয়েও দেখলো না সে এখন নিজ থেকেই খিচুড়ি চাইছে।অধরা ভাবলো একবার যাবে সে এই ঘটনার শেষ সে দেখতে চায় তাই সে তন্নি আর সাদিয়াকে একটা বাহানা দিয়ে খিচুড়ি নিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলো।সেখান গিয়ে দেখলো রক্তিম দাড়িয়ে আছে অধরা হাতে থাকা বাঁটিটা রক্তিমের মুখের সামনে ধরে বললো,

~খিচুড়ি।

রক্তিম অধরার দিকে তাকিয়ে বললো,

~বাঁটি সহ খাবো নাকি?

অধরা বললো,

~খেতে পারলে খেয়ে নিন।

রক্তিম অধরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

~খাইয়ে দিবে অধরা?

কী যেন ছিলো রক্তিমের আওয়াজে অধরা তাকে মানা করতে পারলোনা।অধরা বাঁটিটা খুলে এক লোকমা নিয়ে রক্তিমের মুখের সামনে ধরতেই রক্তিম তা মুখে পু/রে নেয়।রক্তিমের ঠোঁটের ছোয়া অধরার আঙ্গুলে প/ড়/তেই আলাদা এক শি/হ/র/ণ বয়ে গেলো অধরার মনে।সে মাথা নিচু করে রক্তিমকে খাওয়াতে লাগলো একবারও রক্তিমের দিকে চোখ তুলে তাকালো না।খাওয়ানো শেষে অধরা হাত ধুয়ে বললো,

~আমি নিচে যাচ্ছি।

অধরা যেতে নিবে তখনই রক্তিম তার হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিয়ে ফিসফিস করে বললো,

~অনেক মজা হয়েছে অধরা এই নরম নরম হাত গুলোতে একটা চু/মু খাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে?

অধরা অবাক হয়ে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,

~এসব কী বলছেন আপনি?

রক্তিম অধরাকে ছেড়ে দিয়ে বললো,

~খুব তাড়াতাড়ি এই অনুমতিটা আমি নিয়ে নিবো।

অধরা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে রইলো অধরা মাথায় এখন অনেক কিছু চলছে।

সকালবেলা অধরা আর তন্নি বাসায় চলে আসলো রক্তিমের ওঠার আগেই অধরা বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।অধরা যখন নিজ বাসায় ঢুকতে যাবে তখনই দিবা এসে অধরার সামনে দাড়িয়ে বললো,

~অধরা,আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলতে চাই তুমি কী ১১টার দিকে কফি শপে আসতে পারবে।

অধরা বললো,

~কী এমন জরুরী কথা আপু?

দিবা অধরার হাত ধরে বললো,

~প্লিজ চলে এসো সেখানেই বলবো।

অধরা কোনো কিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দিলো ভার্সিটি থেকে সে সোজা সেখানেই চলে যাবে বলে দিবাকে কথা দিলো।অধরা কথা শেষ করে নিজ বাসায় চলে গেলো দিবা অধরার দিকে তাকিয়ে বললো,

~অনেক মজা হবে বেবি তুমি একবার আসোতো আমার কাছে।

চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here