#ভালোবাসায়_ভেজা_সন্ধ্যে
#রোকসানা_রাহমান
পর্ব (১)
ঠোঁটে কড়া করে লাল লিপস্টিক মেখে অবাধ্যতায় ছুটছে রিপ্তি। উগ্র ছুটনির বাধা পেলো শরীরে জড়ানো হলুদ শাড়ীর আঁচল টানে। আচমকা টান পড়ায় কাধে ব্লাউজের সাথে সেটে দেওয়া সিপটিপিন ছুটে গিয়েছে। হলদে আভার সাদা নরম চামড়ায় হালকা আচড়ে রিপ্তি থেমে যেতে বাধ্য। ঈষৎ ব্যথা আর বিরক্ত নিয়ে পেছনপানে তাকালো। কপালের চিকন শীর্ণ বিরক্তের ভাজটা গাঢ় হয়ে চোখে মুখে ফুটছে। একগাদা অসস্থি ছেড়ে দরজার সিটকিনিতে হাত দিলো। সময়ের তাড়া সাজের ঘেটে যাওয়া মিলিমিশে রাগের প্রতিফলন পড়লো আটকে যাওয়া শাড়ীর আঁচলে। বেখেয়ালি জোর পড়ার ফলে আঁচলের কোনে চিড়ে যাওয়ার দাগ পড়তেই ভাঙা কন্ঠে মোটা সুরধ্বনি,,,
“” আঁচল ধরে টান দিও না
ছিড়ে যাবে শাড়ী
এই ছেড়া শাড়ী পড়ে তুমি
কেমনে যাবে বাড়ি!!!”” ( মুভি সং)
রিপ্তির বিরক্ত মাখা রাগ উধাও। ঘাড় বাকিয়ে পেছন মুড়লো। চকমে তার চোখ ছানাবড় সাথে অসস্থি। বিয়ে বাড়ীতে চেনা-অচেনা মানুষের ঘুরাঘুরি। কিন্তু চোখের সামনের ছেলেটি শুধু অচেনা নয় অদ্ভুত এমনকি তারছেড়াও মনে হচ্ছে। হলুদের দিনে কেউ সাদা পান্জাবী পড়ে? তাও সাথে লাল প্যান্ট,লাল টুপি। এই ১৮ বছর জীবনে এই প্রথম সে এমন লাল টুপি দেখছে। হাতে লাল বেল্টের মোটা গ্লাসের ঘড়িটা লাইটের আলোয় চিকচিক করছে। মেয়েরাও তো এমন ঘড়ি পড়েনা।
রিপ্তি খুটিয়ে খুটিয়ে ছেলেটির পোষাক পরিচ্ছদ দেখছে। পরিশেষে তার মনে হলো সে কোনো লালের দুনিয়াই ঢুকে পড়েছে। যেখানে শুধু লালের খেলা! এমন নয় তো সে ভুল করে লাল দুনিয়াই চলে এসেছে। রিপ্তি মাথা হেলদুলে লাল দুনিয়ার ভ্রম থেকে বেড়িয়ে এলো। আঁচলের কিছু অংশ সিটকিনিতে ফেলে এসে দুরন্তপনায় পা চালাচ্ছে। শক্ত গড়নের চওড়া বক্ষদ্বয়ের ছেলেটির সামনে এসে দাড়ালো। চোখদুটো সরু করে তীক্ষ্ণ কন্ঠ ছেড়ে বললো,,,
“” আপনার তো বুকের পাঠা খুব বেশি। আমাকে দেখে গান গাওয়া হচ্ছে? তাও এমন কুৎসিত ইঙ্গিতের গান? আমার বাড়ীর চৌকাঠ পেরিয়ে এমন গান গাইতে আপনার সাহস কি করে হলো? আপনি জানেন আমি কার মেয়ে? এই পাড়ায় আমার বাবা কতটা সম্মানীয়? সকলে উনাকে দেখলে কদমবুসি করে। আর তার মেয়েকে নিয়ে এমন বেহায়ামাখা গান? এমন দুঃসাহস কোথা থেকে পেয়েছেন?””
রিপ্তির গলা ফাটানো তেজমাখা ঝাড়িতে ছেলেটির কোনো হেলদোল নেই। না বিরক্ত,না রাগান্বিত। অবাক,বিস্ময়,অসহ্য এমন কি অনুশোচনাবোধও ফুটে উঠছেনা। তবে বিরসভাবে চুপও নেই সে। পুরোমুখভর্তি ঝলমলে হাঁসি। ঠোঁট তার দীর্ঘায়িত হয়ে গাল ফুলে টলমল। এতো হাঁসির কি হলো তাই বুঝতে পারছেনা রিপ্তি। নিজের ঝাড়ির পিঠে এমন ঝলমলে হাঁসি ওর পাকস্থলি হজম করতে পারছেনা। রাগের বোঝা আরো ভারী করে রিপ্তি চেচিয়ে উঠলো,,
“” আপনার মাথার তার কি ছেড়া? হাবভাব দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। মাথায় সমস্যা আছে? গুটিপোকা কামড়াচ্ছে নাকি সুড়সুড়ি দিচ্ছে যে এমন বোকা বোকা হাঁসি ছাড়ছেন?””
এবারও ছেলেটি চুপ। বিরতিহীন হাঁসিতে মশগুল। চোখের পাতা একাধারে থেকে আছে। মনিদুটো মাঝখানে অবস্থান করে আছে। রিপ্তির মেজাজ এবার আকাশ ছুয়ো। ঘনঘন নিশ্বাস ছেড়ে বললো,,
“” আপনি পাত্রীর কি হোন? পাত্রীর তো কোনো ভাই নেই। কাজিন হোন? অথবা অন্যকিছু? এমন অচেনা মানুষ পাত্রীপক্ষই হবে। আমি নিশ্চিত আপনি পাত্রীপক্ষের কিছু হবেন। আপনার মতো কি ঐ বাড়ীর সবাই এমন পাগল? ইশ! আমার সরল বাবাকে এভাবে ধোকা দিলো? আমি এতো করে বললাম পাত্রী দেখতে আমিও যাবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা? আমাকে ফেলেই চলে গেলো? ভালো করে খোঁজ খবরও নিলোনা! এমন পাগল ফ্যামিলিতে আমার ভাইকে আমি কখনোই বিয়ে দিবোনা। শেষে দেখা যাবে আমার ভাইও পাগল হয়ে গিয়েছি।””
রিপ্তি নিজের মতো বকবক করে ঘুরে দাড়ালো। পায়ের প্রথম কদম ফেলতেই উচু হিল বেকে গিয়েছে। উপুত হয়ে পড়বে ভাব হতেই মাঝপথে আটকে গেলো। পেটের মাঝ বরাবর ভারী হাতের চাপে সে ফ্লোর ছুতে পারেনি। চোখ ঘুরিয়ে ছেলেটির দিকে চোখ পড়তেই রিপ্তির চোখ আগুন!
“” ছি! ছি! এগুলা কি হইতাছে? ঐ পোলা আমার নাতনিরে ছাড় কইতাছি। ফাঁকা পাইয়া মাইয়া মানুষের লগে ঢলাঢলি শুরু কইরা দিছস?””
ষাট উর্ধ্বো পরিবানুর ছ্যানছ্যান কন্ঠে ছেলেটি রিপ্তিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। পরিবানু ঘনঘন পা ফেলে রিপ্তির কাছে এসে বললো,,
“” ঐ ছেরি তরে কতবার কইছি বিয়াবাড়ীতে হামলাইয়া চলবি। দিলো তো পেটটা নোংরা কইরা? যা এহনি গতর ধুইয়া আয়।””
রিপ্তি মুখ বাকিয়ে বললো,,
“” পারবোনা৷ নানি তুমি আজকে আমাকে জ্বালাবে নাতো। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার গোসল করেছি। তোমার কি মনে হয় গোসল করলেই মানুষ পবিত্র হয়ে যায়? পবিত্র হওয়া এতো সহজ? তাহলে তো পৃথিবীতে অপবিত্র বলতে কিছুই থাকতো না।””
রিপ্তি একরাশ বিদ্বিষ্ট ছুড়ে দিলো নানির উপর। পায়ের হিলদুটো হাতে নিয়ে হন হন করে হাঁটা ধরেছে।
পরিবানু আপনমনে বকে নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকালো। মুখ কুঁচকিয়ে বললো,,
“” আজকালকার মাইয়া মাইনষের শরীরে কি চুম্বক লাগানো থাকে যে যহন-তহন,যেহানে-সেহানে তোরা আঠার মতো লাইগগা পড়স! কই আমাগো সময় তো এমন ছিলো না৷ ঘরের দরজা টাইননা রাত-দুপুরে জামাই শরীরে হাত দিতেও লজ্জায় মরি মরি অবস্থা। আর এহন দরজা তো দুর রাস্তাঘাটেও তগোমতো চুম্বকধারীর জন্য হাটুন যায়না। গতর কি খালি এহনকার মাইয়াগোই? আমাগো ছিলোনা?””
পরিবানুর কথাতে ছেলেটি উচ্চস্বরে হেঁসে উঠলো। হাঁসির কাঁপুনি নিয়েই পরিবানুর ঝুলে পড়া চিবুকে গভীর চুমু খেয়ে বললো,,
“” তোমার গতরের সাথে তো বিদ্যুৎ ঝলকানি নানি। দেখ এক চুমুতেই আমার চোখে লাইট জ্বলছে।””
এমন আগন্তুককারীর নিকট এতো সহজ সম্বোধন সাথে আকস্মিক চুমু কান্ডে পরিবানু হকচকিত। চোখের পাতার সাথে ঠোঁটদুটো দুদিকে মেলে হা হয়ে যাচ্ছে। মুখের ভেতরে জমে থাকা পানের খন্ডাংশগুলো দলা পেকে মেঝেতে পড়ে গিয়েছে।
~~
রিপ্তি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। আজ তার বড় ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বিয়ের আংটি বদলানো থেকে শুরু করে বৌ-ভাতসহ সকল অনুষ্ঠান এখানেই আয়োজন হবে৷ নিজের পাড়াসহিত আশেপাশের দুর-দুরান্তের মানুষেরও আনাগোনা৷ কয়েক সিড়ি পার হতেই রিপ্তি থমকে গেলো। উপর থেকে একঝাক বাচ্চা-কাচ্চা নামছে। ওদের পাশ কাটিয়ে উপরে উঠবে নাকি নিচে নামবে বুঝে উঠতে পারছেনা। এমনিতেই এক ঝামেলায় শাড়ীর অবস্থা বারোটা। শেষে দেখা যাবে ভাইয়ের গায়ে হলুদ মাখার আগেই শাড়ী খুলে গেছে। কি কান্ডটাই না হবে তখন! রিপ্তি আর কোনো ঝামেলা বয়ে বেড়াতে চায়না। তাই উল্টোঘুরে নিচে নামলো। সাইড কেটে এক কোনায় আড়াল হতেই দিলরুবার আগমন। সে এ বাড়িতে টুকটাক কাজ করে। তাও প্রায় বছর দুই হবে। বয়সে রিপ্তির কাছাকাছি।
“” আপামনি,আপনার আব্বা আপনারে ডাকে!””
“” এখন? আমি তো এখনো ভাইয়াকে হলুদ লাগাইনি। তুই আব্বুকে বল,আমি একটু পরে আসছি।””
“” এহনি যাইতে অইবো। জরুরী তলব।””
রিপ্তি অনিচ্ছাতে পা ফেলে বাবার রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।
~~~
রিপ্তির বাবা কবির হক। একটি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন প্রায় পঁচিশ বছর ধরে। প্রথম দিকে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন। খুব শিঘ্রই রিটায়ার্ডে নাম লিখবেন। রিপ্তি বাবার রুমের দরজা মেলে বললো ,,
“” বাবা,ডেকেছো?””
“” হুম। দরজায় দাড়িয়ে কেন? ভেতরে আয়!””
রিপ্তি রুমের ভেতরে ঢুকতেই মুখে বিরক্তের ছায়া নেমে এসেছে। বাবার রুমে এই তারছেড়া ছেলেটিকে সে আশা করেনি। কবির সাহেব ছেলেটিকে ইশারায় নিজের দিকে ডাকলেন। কাধে হাত রেখে রিপ্তির উদ্দেশ্যে বললেন,,
“” ও অনুভব। আমার সেই পছন্দের ছাত্র। যার গুনগান শুনে তোরা বড় হয়েছিস।””
বাবার মুখের হাসোজ্জল বুলিতে রিপ্তি নির্বাক। তার কাজল রাঙা চোখদুটো দিয়ে আরেকবার ছেলেটির আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করলো। নিজের মনের মধ্যে এঁকে থাকা সেই প্রতিচ্ছবির সাথে সামনের ছেলেটির কোনোকিছুই মিলছেনা। তাহলে কি আমি ভুল রঙে ভুল কালি ব্যবহার করেছি? কিন্তু মনের প্রতিচ্ছবির সাথে নামটা বেশ মানিয়েছে। রিপ্তি মনে মনে বিড়বিড় করলো,অনুভব!
রিপ্তির দিক থেকে নিরবতায় কবির সাহেব আবার নিজের কথার বাক্য জোড়া লাগাতে লাগলেন,,,
“” অনুভব, IBA তে লাস্ট সেমিস্টারে অধ্যয়ন করছে। কিছুদিন বাদেই স্কলারশিপে আমেরিকা পাড়ি দিবে।””
রিপ্তি অনুভবের দিকে তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ভাবলো,অবিশ্বাস্য!
কবির সাহেব ঠোঁটের হাঁসি মিলিয়ে নিয়ে কিছুটা তাচ্ছিল্য ছেড়ে বললো,,
“” তোরা দুই ভাইবোন তো নরসিংদী ছেড়ে ঢাকাতেও পাড়ি দিতে পারলিনা। একজন সাভারে গিয়ে আটকা পড়লো। আর তুই? আমার শিক্ষতার সব সম্মান গ্রামের আকাশে ছুতেই দুর্বল শহরের আকাশ কিভাবে ছুবে? তোদের দিয়ে তো আর সম্ভব হবেনা।””
একটা বাইরের ছেলের সামনে এমন অপমান? রিপ্তির রাগ হচ্ছে,চোখে পানি জমতে চাচ্ছে। কিন্তু সে এখন এগুলোতে মন দিতে চায়না। তার এখনো ভাইয়ার শরীরে হলুদ মাখা বাকি। ফটোশপেরও তো ব্যাপার আছে তাইনা? তবে বাবা তো কখনো তাকে এভাবে কটু কথা শোনায়না তাহলে আজ কেন বলছে? পড়ুয়া স্টুডেন্টের ছোয়া পেয়ে আদুরী মেয়ের আদর গায়েব? ও মাই গড। এই ছেলেকে কিছুতেই এ বাড়িতে থাকতে দেওয়া যাবেনা। কিছুতেই না৷ যেভাবেই হোক একে ঝাটা বিদায় করতে হবে।
রিপ্তি বাবার সামনে আর একটিও বাক্যব্যয় করলোনা। নাক ফুলিয়ে গমগম করে বেড়িয়ে আসলো। মনের সাথে আর চোখের সাথে তার যুদ্ধ চলছে। ছাদের সিড়ির কাছে আসলেও সে ছাদে উঠলোনা। দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। সোজা পড়ার টেবিলে বসে বই নিয়ে টানাটানি। একের পর এক বই পাল্টাচ্ছে। আজ সে জয়কলি,ফুলকলি,আনারকলি সব বই পড়ে ফেলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে চান্স পেতেই হবে। হুহ!
ঘন্টাদুয়েক টানা বই পড়া শেষ করে তার পানি পিপাসা পেলো। কিন্তু সে পানি খাবেনা। আজ সে শুধু পড়বে পড়বে আর পড়বে। পড়তে পড়তে ইন্তেকাল করবে। তবুও পড়া বন্ধ করবেনা। দরকার হলে মাটির নিচে শুয়ে শুয়ে পড়বে। আরো কিছু মিনিট পার হতেই রিপ্তির পড়া থেমে গেলো। হঠাৎ করেই মনে পড়লো পরশুই তো সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। কিছুদিন বাদে রেজাল্ট তাহলে সে এই মরুয়া পড়া কেন পড়লো? কেন? কেন? কেন? জেদের বসে নিজের বোকামী কাজের জন্য নিজের কাছেই লজ্জিতবোধ করছে। বইগুলো আগের মতো গুছিয়ে রাখছে আর কল্পনায় হারাচ্ছে। যেদিন সে পরীক্ষা দিয়ে বের হলো তখন তার মুখের বিষন্নতা দেখে বাবা বলেছিলেন,মন খারাপের কি আছে? তুমি চেষ্টা করেছো আমি এতেই খুশি। বাবার সেদিনের কথার সাথে আজকের কথার কোনো মিল নেই। রিপ্তির আবার চোখ ভরে এলো। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনে সাবধানতাসহিত চোখের কোনে টিস্যু চেপে ধরেছে। চোখের পানি টিস্যু শুষে নিলো। চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়েও ও থমকে গেলো। কলম চেপে ধরে সাদা খাতায় লিখলো,,
**রঙে ডোবা লাল ব্যাঙ
ভাঙা গলায় ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ***
#রোকসানা_রাহমান(গল্পকন্যা)
দুলাইন লিখেই রিপ্তির চোখ ঝলমল। একটু আগের অপমানের সবটা শোধ তুলেছে এমন অনুভব হচ্ছে। প্রাণপুর্ণ অনুভূতি নিয়ে ফোনটা নিতেই দরজার কাছ থেকে আবার ভাঙা গলার সুরধ্বনি,,,
“” তোর আমায় মনে পড়লে
তুই দে না মিসকল
তোর আমায় মনে পড়লে
তুই দে না মিসকল””(মুভি সং)
চলবে
[বিঃদ্রঃ গানকলির শব্দ ভুল হলে ঠিক করে দিও। আমি গান শুনতে পারি বলতে পারিনা🙈]