ভালোবাসার_নীল_জোছনা পর্ব ৩
#লেখক_আরিয়ান_অরণ্য
রাহুল আর দিয়া দুজনেই লজ্জা পেয়ে গেলো। রাহুল তাড়াতাড়ি হাসিমুখে বললো- না আমরা জামাই বউ না। বলে আড়চোখে দিয়ার দিকে তাকালো। দেখলো দিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। দিয়াকে দেখে রাহুল অবাক হয়ে গেল। এতোদিন শুধু ওর রাগি মুখ দেখে এসেছে, আজ লাজুক মুখ দেখলো। লজ্জায় পড়লে মেয়েটাকে এতো সুন্দর লাগে। রাহুল ভাবলো- দিয়া এতো সুন্দর, আগে কেন খেয়াল করেনি ও?
এরপর কাজ শেষ করে আবার রিকশায় চড়ে কলেজে এলো ওরা, আসার সময়ও দুজনেই সরে বসেছিলো দুজনের কাছ থেকে। কলেজে গিয়ে ওদের রিপোর্ট জমা দিয়ে বাড়িতে চলে গেলো ওরা। বাড়ি ফিরে রাহুল ওর বই নিয়ে বসলো, কিন্তু কেন যেন ওর মনের ভিতর দিয়ার লাজুক মুখের ছবিটা উঁকি দিতে লাগলো বারবার।
এরপরের তিনদিন আর কিছুই হলো না। ওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেয়, রিকশায় আসা যাওয়া করে, কিন্তু আগের মতোই কেউ কারো সাথে কথা বলে না, রিকশাতেও দূরে দূরে বসে দুজনে।
চতুর্থদিন ওরা কাজ শেষ করে ফিরবে, এমন সময় জোরে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো। ঝড়বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দুজনে একটা আন্ডার কন্সট্রাকশন বিল্ডিংয়ের ভেতর ঢুকে পড়লো।
বিল্ডিংয়ে ঢোকার পর দিয়ার মনে হলো, অনেক বড় ভুল করেছে। আশেপাশে কেউ নেই। খুব নির্জন জায়গা। এখন রাহুল যদি কোনো ক্ষতি করে ওর তাহলে কেউ বাঁচাতে আসবে না।
রাহুল এর মধ্যে স্যারের সাথে কথা বললো মোবাইলে। স্যার বললেন আজ আর কলেজে এসে রিপোর্ট জমা দেবার দরকার নাই, বৃষ্টি কমলেই যেন তাড়াতাড়ি যে যার বাড়ি চলে যায়। রিপোর্ট কালকে সকালে এসে জমা দিলেও হবে।
স্যারের সাথে কথা শেষ করে রাহুল দিয়ার দিকে তাকালো। দেখলো দিয়া এক কোণে গিয়ে বসে আছে। দিয়া ভয় পেয়েছে দেখে একটু অবাক হলো রাহুল। কিসের জন্য ভয় পেয়েছে বুঝতে পারলো। মনে মনে হাসলো একটু, এতো বদমেজাজি মেয়েও তাহলে ভয় পায়।
রাহুল দিয়ার থেকে দূরে এক কোণে গিয়ে বসে মোবাইলে গেমস খেলতে লাগলো। এভাবে অনেকসময় চলে গেল,বৃষ্টি আর কমছে না। রাহুল একমনে বসে গেমস খেলছিলো, হঠাৎ দিয়ার ডাকে উপরে তাকিয়ে দেখলো, দিয়া ওর কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। (চলবে)