“ভালোবাসার_ভুল Part-27+28

0
297

#ভালোবাসার_ভুল
#Writter_Sp_sanjana_(সাগরিকা)
🍁🍁🍁🍁🍁
Part-27+28
ভোরের দিকে রাত যখন ছাদ থেকে নামে তখনই সে দেখে করিডোরে তীব্র নিঝুমকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর নিঝুম তীব্রর বুকে মাথা দিয়ে আছে।রাত‌ এসব দেখেই রুমে চলে য়ায়।রাত ভেবে নেয় কালকে বিয়ে শেষ হলে নিঝুমকে নিয়ে সে কোথায় ঘুরতে যাবে আর জানতে চাইবে সে কেন এমন করল।সারারাত দুজনেরই ঘুম হয় নাই।সকালে সারাবাড়ি মেতে বিয়ের তোরজোড় এ।ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলা হয় পুরো বাড়ি।আর সবাই সকালে জলখাবার খেয়ে কাজে লেগে পড়ে।মেঘ, অনর্ব, রাত সবাই কাজের তদারকি করেছে।এরমাঝে মেঘ রাতকে জিঙ্গেস করে বসে-
মেঘ:- কাল রাতে হঠাৎ কোথায় গায়েব হয়েছিলি রাত?
রাত:- একটু ছাদে ছিলাম।
অনর্ব:- বোঝো না এখন তো আমাদের রাত ও প্রেম করছে নিঝুমের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল।কাল জল খেতে উঠে ড্রয়িং রুমে যেতে দেখি নিঝুম উপর থেকে নামছে তখনই বুঝতে পারি প্রেম চলছে।
রাত:- তুই সিয়র নিঝুমকে দেখে ছিলি?
অনর্ব:- তা নয় তো কি? অন্য কেউ ও ছিল নাকি?
রাত:- এখন তাড়াতাড়ি শেষ করে কাজ দুপুর হয়ে এলো একটু পর সবাই খেয়ে রেডি হতে চলে যাবে।
সবাই নিজেদের কাজে মন দেয়।অন্যদিকে সব মেয়েরা নিকিকে নিয়ে ব্যস্ত তার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে কিছুক্ষন পর ই সবাই দুপুরের খাবার খেয়ে পার্লারে যাবে।কিন্তু শুধু নিঝুম ই একা ব্যালকনিতে বসে আছে ভাবছে কাল কেন রাত মায়ার সাথে দেখা করতে গেছে তাকে জানতে হবে।
কিছুক্ষন পর সবাই খেয়ে মেয়েরা পার্লারে চলে যায়।আর ছেলেরা বর কে সাজাতে যায়।আজ সবাই পড়েছে লেহেঙ্গা শুধু বিয়ের কনে বাদে নিঝুম পড়েছে আকাশী আর পিঙ্ক রং এর লেহেঙ্গা তাকে এতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।আর আমাদের কনে পড়েছে লাল বেনারসি একদম বাঙ্গালী স্টাইলে।মেয়েদের সাজগোজ শেষে বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে য়ায়।নিকি কে আর আকাশ কে দুটি আলাদা রুমে বসানো হয়।প্রথমে মন্ডপে আকাশ কে নিয়ে যাওয়া হয় তার কিছুসময় পর যেহেতু নিকির কোনো ভাই নেই তাই মেঘ,অর্নব আর তীব্র,রাত নিকি কে নিয়ে যায় পিঁড়িতে করে মন্ত্র পড়া শুরু হলে নিকি কে আকাশের চারপাশে ঘুরিয়ে সামনে ধরে।নিকির মুখ পান পাতা দিয়ে ঢাকা পুরোহিতের নির্দেশে পান পাতা সরিয়ে শুভদৃষ্টি হয় তারপর মালাবদল এইভাবে এক এক রিতি মেনে বিয়ে হতে থাকে।এরমাঝে রাত এসে দাঁড়ায় নিঝুমের পাশে।
রাত:- তুমি কাল ছাদে আসো নি কেন? আমাকে ম্যাসেজ করে তুমি নিজেই আসো নি।
নিঝুম:- আমি তোমাকে কোন ম্যাসেজ করিনি এইসব নিয়ে একটুক পর কথা বলবো বিয়েটা শেষ হোক।
সাতপাক শুরু হলে সবাই ফুল ছিটাতে থাকে শুধু রাত ই নিঝুমকে দেখে এতো টাইট মুগ্ধ হয়েছে যে সব ফুল নিঝুমের উপর ছিটায়।বাকিরা ওইসব দেখে মিটি হাসছিল।
অর্নব:- চলো আমরা ও বিয়েটা সেরে নেয়।
বিথী:- কিসব বলছ আমি আর তোমাকে বিয়ে করব 😂😂😂
অর্নব:- মজা না সিরিয়াসলি বলছি বিয়েটা সেরে হানিমুনে য়াই।
বিথী:-সর তো বলে মৌয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।কিন্তু গিয়েও লাভ হয় না মৌ আর মেঘ সব ভুলে একে অপরের দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছে।
বিথী:- হায় কপাল এখানেও ।
এরমধ্যে সিঁদুর দান শুরু হয় নিঝুম গিয়ে নিকির মাঙ্গটিকা সরিয়ে পেছনে কাপড় ধরে। সিঁদুর দান শেষ হলে নিকি আর আকাশ উঠে দাঁড়ায় শুরু হয় খই দান পর্ব। বিয়ে শেষ হতে হতে অনেক রাত হয় তারপর সবাই একসাথে খেতে য়ায়।খেতে গিয়ে সবচেয়ে বড়ো টেবিলে বসে রাত-নিঝুম,মৌ-মেঘ,বিথী-অর্নব,তীব্র-মায়া আর নতুন বিয়ের জুটি আকাশ-নিকি।সবাই সামনা সামনি বসলেও মায়া বসে রাতের পাশে আর তীব্র বসে নিঝুমের পাশে।
মেঘ:- আকাশ আজ কিন্তু তোকে নিকি কে খায়িয়ে দিতে হবে।
নিকি লজ্জা পায় এসব শুনে সবার জোড়াজোরি তে আকাশ নিকিকে একটা মিষ্টি খায়িয়ে দেয়।
এ সুযোগে রাত তাড়াতাড়ি কিছুটা খেয়ে যাওয়ার সময় নিঝুমকে ছাদে আসতে বলে য়ায়।নিঝুম ও কিছু সময় পর উপরে চলে য়ায়।তীব্র র এটা দেখে নিজের ভালোবাসা অন্য কাউকে ভালোবাসে ভেবে খারাপ লাগলেও আবার তার ভালোবাসা ভালো থাকবে ভেবে ভালো লাগে।নিঝুম ছাদে গেলে ই অন্ধকার ছাদে একটা দাঁড়িয়ে থাকা রাতকে দেখে।নিঝুম ধীর পায়ে রাতের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।রাত পিছনে ফিরে নিঝুমকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরে আর বলতে থাকে প্লিজ তুমি আমায় ভুল বুঝো কাল আমি তোমার ম্যাসেজ পেয়ে তোমার সাথেই দেখা করতে এসেছিলাম কিন্তু আসার পর ই মায়া আমায় জড়িয়ে ধরে অন্ধকারে আমি বুঝতে পারিনী যখন বুঝলাম দূরে সরে আসি কিন্তু তুমি হয়তো তার দেখে ভুল বুঝে নীচে চলে গেছ।
নিঝুম:- আমি তো তোমায় কোনো ম্যাসেজ করিনি।
রাত নিজের ফোন বের করে দেখায় তখন নিঝুম অনেক অবাক হয়ে বলে এটাতো আবার নাম্বার না আমার নামে কেন সেইভ করা।একমিনিট এটা কার নাম্বার তাহলে জানতে পারব কে আমাদের মাঝে ভুলবোঝাবুঝি করতে চেয়েছে।কিন্তু তুমি ভোরের দিকে করিডোরে তীব্রর সাথে কি করছিলে।
নিঝুম:- দেখ ভুল বোঝো না আমি তোমাকে মায়ার সাথে দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না তাই করিডোরে তীব্রকে দেখে কেঁদে দিয়।আর তীব্র আমাকে সামলিয়ে নেয়।তীব্র আর আমি শুধু বন্ধু।
নিঝুম:- এখন নিচে চল অনেক সময় হয়ে গেছে আবার আকাশ থেকে টাকা নিয়ে হবে তো বাসর ঘরে ঢুকতে দেওয়ার জন্য।
রাত:- তাইতো চল।
নিচে নামতে দুজনেই দেখতে পায় মৌ বিথী মায়া কেউ আকাশকে রুমে ঢুকতে দিচ্ছে না।
আকাশ:- এখন আমার কাছে এতো টাকা হবে না আমাকে রুমে যেতে দেয় কালকে দিচ্ছি।
বিথী:- এসব বললে হবে না আকাশ তুই আমাদের বন্ধু হলে কি হয়েছে আমারা এখন তোর শালিও।
মেঘ:- আমার ভাই টা এতো করে বলেছে ছেড়ে দেয় না কাল দিয়ে দিবে।
রাত:- আটকিয়ে রেখে লাভ কি হবে ভাইয়ার কাছে এখন কেশ নেই।
নিঝুম:- টাকা না দিয়ে তোকে একদম ভিতরে যেতে দেওয়া হবে না।
মৌ:- আগে পঞ্চাশ হাজার বের কর তারপর যাও ভিতরে।
আকাশ:- আচ্ছা যাও রাত দিয়ে দিবে তোমাদের।রাত বাবা তোকে দিয়ে দিবে কাল।
সবাই রাতের সাথে চলে য়ায় টাকা পেয়ে সব মেয়েরা ভাগ করে নেয়।তারপর যে যার রুমে চলে য়ায়।
পরদিন সকালে উঠে সবাই জলখাবার খেয়ে নিকির বিদায় এর তৈয়ারী করতে থাকে।দুপুরের দিকে নিঝুমের বিদায় অনুষ্ঠান শেষ হলে যে যার বাসায় চলে য়ায়।
চলবে………

Part-28

সন্ধ্যায় নিঝুম আর রাত রেস্টুরেন্ট এ দেখা করে।আর তখন রাত জানায় এ নাম্বার টা মায়ার আসলে পুরো প্ল্যান টা ই হয়তো মায়ার।মায়ার থেকে দূরে থাকার জন্য রাত ভেবে নেয় মায়াকে ম্যানেজার এর পদ থেকে বের করে দেবে।তারপর নিঝুমকে বাড়ি পৌঁছে
রাত য়ায় নিজের বাসায়।আর ঐদিন রাতেই রাত মায়াকে ফোন করে।
মায়া:- তুমি আমাকে ফোন করেছো দেখেই আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
রাত:- আমি তোমাকে এটা শেষ বার ই ফোন করেছি তোমাকে আর জবে আসতে হবে না।
মায়া:- তুমি এরকম টা কেন করছো আমার সাথে ঐ নিঝুমের বলায় তুমি আমার সাথে এমন করছো তাই না আমি তাকে বাঁচাতে দেব না।
রাত:- তুমি নিঝুমকে কিছু করতে পারবে না যতোদিন আমি ওর সাথে আছি।
মায়া:- আমি তোমাকে ভালোবাসি রাত কেন বুঝতে পারছ না নিঝুম থেকে তোমায় আমি বেশি ভালোবাসি।
রাত:- কিন্তু আমি শুধু নিঝুমকে ভালোবাসি আর তাকেই বাসবো। আর শীঘ্র ই আমাদের এঙ্গেজমেন্ট ও হবে।
এই বলে রাত ফোন কেটে দেয়।আর মায়া রাগে ঘরের সব জিনিস ভাঙতে থাকে।
মায়া:- এ আমি কিছুতেই হতে দেব না কিছুতেই হতে পারে না নাহ্।
মায়ার চিৎকার চেঁচামেচিতে মায়ার বাবা আসে ঘরে আর বলে এরকম করছিস কেন ?
কি হয়েছে?
মায়া:- বাবা আমার রাতকে নিঝুম ছিনিয়ে নিয়েছে।আমি চাই ওকে মারতে আর ওদের এঙ্গেজমেন্ট এর দিন ই।
মায়ার বাবা:- আমার মেয়ের ভালোবাসা ছিনিয়ে নিয়েছে তুই চিন্তা করিস না মা তোর জন্য লোক রেডি আছে তুই ওদের যা বলবি ওরা তাই করবে।এখন শান্ত হ্ মা রাত তোর ই হবে।
অন্যদিকে পরদিন সকালেই রাত তার মাকে জানায় তার বার্থডে পৌষু দিন আর তার এবারের বার্থডে তে তার নিজের ভালোবাসা নিঝুমকে চাই।সে এঙ্গেজমেন্ট করতে চায় ঐদিন ই।
প্রীতি:- বাবাহ্ আমাদের ছেলে তো বড়ো হয়ে গেছে। বৌমাকে আমি তাড়াতাড়ি ই ঘরে আনছি তাহলে।
পিয়াঙ্ক:- ঠিক আছে আমি নীলয় এর সাথে কথা বলছি।
পিয়াঙ্ক ফোন করে নীলয় কে।তখন নীলয় ড্রয়িং এ বসেছিল ফোন আসায় ফোন ধরে।
নীলয়:- বন্ধু কি মনে করে ফোন করা হল।
প্রিয়াঙ্ক :- এখন আর বন্ধু বললে হবে না এখন আমরা বেয়াইন হতে যাচ্ছি।
নীলয়:- বুঝলাম না।
প্রিয়াঙ্ক:- আমি পৌষু রাতের জন্মদিনে রাত আর নিঝুমের এঙ্গেজমেন্ট টা সেরে ফেলতে।
নীলয়:- তা ভালো বলেছিস।তাহলে আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দেই।
রাতের জন্মদিনে প্রতিবারের মতো এবারও অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে আর চারিদিকে লাইট ফুল দিয়ে সাজানো আর মিডিয়ার লোকেদের ছড়াছড়ি।কিন্ত সেই কখন থেকে রাত নিঝুমকে ফোন করে যাচ্ছে নিঝুম ফোন ই তুলছে না। এবার রাতের ভয় করতে শুরু করে শেষবার নিঝুম তখনই ফোন ধরে নি যেবার প্রহর তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।আবার তার কোনো বিপদ হলো না তো।এবার রাত নীলয়কে ফোন দেয়।
রাত:- আঙ্কেল নীঝুম কোথায় ফোন ধরছে না কেন?
নীলয়:- বাবা আমি তোমাকে ই ফোন করছিলাম নিঝুম পার্লারে সাজতে গিয়েছে বিকেলে এখনো আসেনি খোঁজ নিয়েছি ও সেখান থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে আর ফোন ও ধরছে না ।
রাত :- আচ্ছা আঙ্কেল তোমারা এখানে চলে এসো আমি দেখছি।আমি নিঝুমকে সুস্হ ভাবে খুঁজে আনব চিন্তা করো না।
ফোন রেখেই রাত তার টিমকে ফোন করে একটা নাম্বার দেয় ট্রেক করার জন্য সে নিঝুমের ফোনে ট্রেকার লাগিয়েছিল।
কিছুক্ষন পর ওরা ম্যাসেজে একটা পুরানো ফ্যাক্টরির এড্রেস পাঠায়।
ঐদিকে নিঝুম আজ গ্রাউন পড়েছে সাদা রঙের আর পার্লার থেকে সেজে বের হতেই নিঝুম গাড়িতে উঠার আগেই অন্য একটা গাড়ি থেকে কিছু লোক নেমে তাকে ঐ গাড়িতে তুলে এই ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসে।তখন থেকে নিঝুম ওদের পাগল করে ছেড়েছে।
নিঝুম:- এই কালা মিয়া দেখ তোমরা খুব ভুল করছ দেইখো তাদের স্যার আসলে বলবে ভুল মানুষকে নিয়া আইসো।
সামনে গুন্ডা:- ভুল কেন হইব তোমারেই করসে স্যারে।
নিঝুম:- মা বাঁচাও আমারে ছাড়ো বলে জুড়ে চিল্লাতে থাকে আর কাঁদতে থাকে।
এইসবে বিরক্ত হয়ে লোকগুলো ও কানে হাত দিয়ে বসে থাকে।আর নিঝুম সে তো বলছে তো বলছেই ঠিক আগের রূপে ফিরে এসেছে।
নিঝুম:- ঐ কাইল্লা জীবনেও তোর ভালা হইবে না তোদের কারো বিয়া হয়তো না আমার এঙ্গেজমেন্ট এর দিন আর তইল্লা লইয়া আইসত তোরা ভে ভে ভে…..
এসব এর মধ্যেই মায়া এসে হাজির হয় আর মায়াকে দেখে নিঝুম অবাক হয়।
নিঝুম:- তুমি এখানে?
মায়া:- আমি নয়তো কে থাকবে তুমি আমার ভালোবাসাকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছ আর আমি কি বসে বসে দেখব।কি ভাবো তুমি নিজেকে রাত শুধু ই আমার শুধু আমার।
নিঝুম:- দেখ রাত আমাকে ভালোবাসে তোমাকে সে কখনো ভালোবাসেনি সে নিজে আমায় বলেছে তাই এসব পাগলামি বাদ দেও আর প্লিজ আমায় যেতে দেও রাত আমার অপেক্ষা করছে।
মায়া:- তুই আজ বেঁচে যেতে পারবি না আজ তুই শুধু ভগবানের কাছে যাবি।এই তোরা এখানে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে আয়।কেউ জানতেও পারবে না নিঝুম এখানে মারা গেছে।
গুন্ডা:- yes boos.
তারপর তারা সবাই সেই জায়গায় পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায় নিঝুমকে একা রেখে গেইটে ও তালা দিয়ে যায় যাতে বের হতে না পারে।
অপরদিকে ফ্যাক্টরির কাছে চলে এসেছে রাত কিন্তু ফ্যাক্টরির দরজায় তালা দেওয়া। তাই তালা ভেঙার চেষ্টা করে আর ভিতরে নিঝুম অনেক কষ্টে হাতের বাঁধন খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করে।তবে চোখ বেঁধে নিয়ে আসায় কোন দিকে দরজা খুঁজে পায় না। হঠাৎ একটা জানলা দেখে চেয়ার দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে।কিন্তু আগুন বেরে যাওয়ায় ধোঁয়ায় চেতনা হারায়।রাত যখন তারা ভেঙ্গে ঢুকে তখন রুমে ধোয়ায় ভরে গেছে অনেক কষ্টে নিঝুমকে খুঁজে পায়।তাকে নিয়ে রাত নিজের বাসায় যায় পিছনের দরজা দিয়ে সামনের দরজায় জার্নালিস্ট এর ভিড়। রুমে নিয়ে জলের ছিটায় নিঝুমের চেতনা ফিরে পেলে ও এতোটা সময় ধোঁয়ায় থাকায় শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল।
রাত:- তুমি ঠিক আছো? তুমি ঐ ফ্যাক্টরিতে কিভাবে গিয়েছিলে?
নিঝুম:- আমাকে মায়া তার লোক দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
রাতের এই কথা শুনেই কপালের রগ ফুলে উঠে আর ফোন করে মায়াকে খুঁজে লকাপে ভরার অর্ডার দেয়। প্রীতি আর নিলীমা রাতকে বলে ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে রাতকে না দেখে রিপোর্টারা হইচই করছে।ওরা নিঝুমকে নিয়ে আসবে।
চলবে……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here