“ভালোবাসার_ভুল Part-29+last

#ভালোবাসার_ভুল
#Writter_Sp_sanjana_(সাগরিকা)
🍁🍁🍁🍁🍁
Part-29+last
আমরা নিঝুমকে নিচে নিয়ে যাব।কিছুসময় পর সিড়িতে স্পর্ট লাইট পড়লে রাতকে দেখতে পায় সবাই রাত নিচে নেমে এলে তার বাবা মাইক হাতে নিয়ে এনাউনস করল যে-
প্রিয়াঙ্ক:- আজ আমরা সবাই আমার ছেলের জন্মদিন পালন করতে জড়ো হলেও আজ আরো একটা বিশেষ দিন আমার কাছে। আজ আমার ছেলে এঙ্গেজমেন্ট হবে আমার বন্ধু নীলয় এর একমাএ মেয়ে নিঝুমের সাথে।
Let’s present নিঝুম,
বলতেই স্পট লাইট সিরি দিয়ে নেমে আসা নিঝুমের উপর পড়ে। সাদা গ্রাউন আর হাইহিল এ নিঝুমকে রাজকন্যার মতো লাগছে।নিঝুম নিচে নেমে আসলে প্রথমে কেক কেটে তারপর আংটি বদল দিয়ে প্রোগ্রাম শেষ হয়।প্রোগামের শেষে প্রিয়ঙ্ক আর নীলয় এক মাস পর বিয়ে হবে ঘোষনা করে দেয়।সবাই বের হয়ে আজ রাত নিয়ে নিঝুম কে প্রোটেকশন দিয়ে বাসায় পৌছে দিয়ে আসে আর মায়া কে ধরতে বলে দেয়।রাতে বাসায় এসে ই নিঝুমকে ফোন করে।
রাত:- কি করছো?
নিঝুম:- এতো বসে আছি তুমি?
রাত:- আজ আমার জন্য তোমায় অনেক কষ্ট পেতে হল।
নিঝুম:- মায়া এমনটা করবে ভাবতে পারিনি।
রাত:- আমি ওকে ভালো বন্ধু মনে করতাম।ওর জন্য ই আমি ওর থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ধিরে ধিরে।
নিঝুম:-আচ্ছা বাদ দেও এখন বলো হঠাৎ এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন?
রাত:- কারন আমার বউটাকে আমার কাছে‌ এনে রাখতে চাই যাতে কেউ নিয়ে যেতে না পারে।
নিঝুম:- ও তাই।
কিছুদিন পর আজ নিঝুমের বার্থডে আজ সে একান্ত ই রাতের সাথে সময় কাটাতে চায়।আর তার মনের কথাটা বুঝতে পেরে হুট করে ফোন করে একটা পার্কে ডাকে রাত নিঝুম।তাই নিঝুম সুন্দর করে শারি পড়ে রেডি হয়ে নেয় আর কারে করে চলে য়ায়।যেতেই নিঝুম দেখতে পায় সামনে কোনো ছেলে চোখে সানগ্লাস আর মাথায় টুপি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।নিঝুম রাতকে খুঁজতে এগিয়ে গেলে ঐ ছেলেটা নিঝুমের হাত চেপে ধরে পার্কের একটা সাইডে সুন্দর সাজানো জায়গায় নিয়ে আসে।নিঝুম তো রেগে ফিরে বলতে শুরু করে দেয়।
নিঝুম:- আমার হাত ধরার সাহস কোথায় পেলেন আপনি।
রাত:- আমার সেই অধিকার আছে তো বৃষ্টি বিলাসী বলেই সানগ্লাস এর টুপি টা খুলে।
নিঝুম দেখে বলে রাত তুমি এইভাবে কেন?
রাত:- তো কিভাবে আসব? আমার ফ্যান রা নয়তো আমাকে তোমার সাথে একটুও টাইম প্রেন্ড করতে দিবে না ।
তার পর নিঝুমকে নিয়ে পার্কের একটা খোলা জায়গায় নেয় যেখানে একটা টেবিলে কেক রাখা আর তার সামনে বড় করে হার্ট সেইপের মধ্যে হ্যাপি বার্থডে বৃষ্টি বিলাসী লেখা।নিঝুম ধীর ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে যায়।
রাত:- এসো কেক কাটো তারপর তোমার জন্য অনেক সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।
নিঝুম এগিয়ে এসে কেক কেটে রাতকে প্রথম পিস খাওয়ায় রাত ও নিঝুমকে খায়িয়ে দেয়।তারপর দুজনে মিলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুসকা খায় এবং একটা নদীর পাড়ে গিয়ে বসে এইটা রাতের পছন্দের জায়গা যখন মন খারাপ হয় তখন এখানেই এসে বসে। তবে আজ সে একা না সাথে নিঝুমকে ও নিয়ে এসে।দুজনে নদীর জলে পা ভিজিয়ে বসে থাকে।
নিঝুম:- আচ্ছা রাত আমার জন্য কি করতে পারবে তুমি?
রাত:- কি করতে হবে বল?
নিঝুম:- আমার জন্য পুকুরের মাঝের ঐ নীল পদ্ম গুলি এনে দেবে।
রাত:- দোকান থেকে অনেক গুলো এনে দিব এখন জলে নামলে কাঁদায় ভরে যাবো।
নিঝুম:- না আমার এখন ই চাই দেও না এনে।
রাত জলে নেমে নীল পদ্ম নিয়ে আসে তার পর কোনো মতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিজেকে।
তারপর নিঝুম গাড়ি করে বাসায় পৌছে দিয়ে রাত বাসায় যায়।
এইভাবে হাসি আনন্দে ক্যাম্পাসের আড্ডা রাতের সাথে ঘোরা সব মিলিয়ে চলতে থাকে ওদের ভালোবাসা। এখনও মাঝে মাঝে ফুল আর চিরকুট পাঠায় রাত।
রাত আর নিঝুমের বিয়ে হবে Destination weeding রাজস্থানের উদয়পুর এ।উদয়পুরকে ঝিলের শহর ও বলা হয় ওখানেই হবে আমাদের রাত আর নিঝুমের বিয়ে।তাই বিয়ের একসপ্তাহ আগে ই সবাই রওনা হয় রাজস্থান এর উদ্দেশ্যে।এখানে পরো একটা কমিউনিটি হল বুক করা হয়েছে যেখানে রাতের আর নিঝুমের সব আত্মীয় আর বন্ধুরা উঠবে।সেখানেই বিয়ের সব রীতিনীতি সম্পূর্ণ হবে। দিল্লী থেকে সবাই একটা বাস করে যাবে শুধু নিঝুম-রাত ,মৌ-মেঘ, বিথী-অর্নব, ওরা আলাদা কার এ করে যাবে। শুধু তীব্র আজ আসেনি, হয়তো অজুহাত দিয়েছে সে বিদেশে চলে যাচ্ছে। যদিও তার আসল কারন সে তার ভালোবাসাকে নিজের চোখের সামনে অন্য কারো হতে দেখতে পারবে না।আগেরদিন ই মৌ,বিথী নিঝুমের বাসায় চলে আসে আর অর্নব,মেঘ রাতের বাসায় চলে আসে। নিকি আর আকাশ এখন বিদেশে নতুন সংসার পেতেছে তাই এখানে আসা সম্ভব না।
পরদিন সকাল ৮টায়,
সবাই জলখাবার সেরে রেডি হয়ে বড়রা বাসে আর ছোটরা কারে উঠে পরে।অনেক লম্বা জার্নি পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত হয়ে যাবে। ড্রাইভিং সিটে এখন রাত বসেছে আর তারপাশে নিঝুম; পিছনের সিটে বসে বিথী, অর্নব,মেঘ আর মৌ।
নিঝুম:- আচ্ছা রাত মায়া এখন কোথায়?
রাত:- মায়াকে ঐদিনের পর খুঁজে পাইনি এখনও।
মৌ:- ছাড় তো ঐ ডাইনির কথা।
বিথী:- আজ নিঝুম আমাদের গান শোনাবে।
মেঘ:- নিঝুম গান গাইতে পারে?
রাত:- পারে বই কি অনেক ভালো গান গায়।
নিঝুম:- আমি কেন গাইবো রাত গাইবে।
মৌ:- গা না একটা গান গাইতে এমন করিস কেন ? রাত ও গাইবে তোর সাথে।
রাত:- হো তুমি শুরু করো আমি ও গাইবো।

Pyaar tune kya kiya
Chain mera liya

Pyaar tune kya kiya
Chain mera liya
Bepanah ishq se
Vaasta ho gaya

Tera hi chehra
Ab toh dikhe hai
Naam tera hi
Labh pe mere

Pyar tune kya kiya
Khwab dil ko, naya de diya
Pyar tune kya kiya
Khwab dil ko, naya de diya

Hum toh chupke
Tum ko dekha karte hai
Baatein teri
Bas socha karte hai

Hum toh chupke
Tum ko dekha karte hai
Baatein teri
Bas socha karte hai
গান গাইতে গাইতে রাত নিঝুমের হাত চেপে ধরে।

Dil kehta hai
Sun ja tu humnava
Dil ke aangan mein
Aaja na ek dafa

Tera hi chehra ab toh dikha hai
Naam tera hi, lab pe mere

Pyaar tune kya kiya
Khwab dil ko, naya de diya
Pyaar tune kya kiya
Khwab dil ko, naya de diya…
গানটা শেষ করে সবাই আস্তে আস্তে চুপ হয়ে যায়।মেঘ মৌ নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করতে থাকে আর অর্নব বিথী সেলফি তুলছে।এইভাবে কিছু সময় কেটে গেলে সবাই হালকা ঘুমিয়ে পড়ে।বিকেলের দিকে রাত ক্লান্ত হয়ে গেলে মেঘ ড্রাইভ করে।
চলবে…………..
(কালকে গল্প দেই নাই তাই আগেই দুঃখিত বলছি আজকে ও দিতে একটু দেরি হয়ে )

Part-30(last)

রাজস্থানের উদয়পুর এ The Oberoi Udaivilas,
রাত ৮টায় গিয়ে পৌঁছালে কমিউনিটি সেন্টার এ নামল সবাই খুব ক্লান্ত হওযায় রুম নিয়ে যে যার রুমে চলে যায়।
পরদিন সকালে সবাই মিলে রাজস্থানের উদয়পুরটা একটু ঘুরে দেখে। বিয়ের কাজ শুরু হয়ে গেলে আর ঘোরা হবে না তাই দু-তিন ঘোরে নিবে।প্রথমদিন যায় “The city palace” এটা তৈরি করা হয় পিচোলা ঝিলের উওর পাড়ে।এখন এটা মিউজিয়াম এ পরিনত হয়েছে এখানে স্হান পেয়েছে রাজাদের সময় কার ছবি, আর আসবাবপত্র গুলো। তারপর যাওয়া হয় পিচোলা ঝিলের দ্বিপ এ তৈরি “Lake palace “এ।তারপর যাওয়া হয় উদয়পুরের সবচেয়ে বড়ো হিন্দু মন্দিরে “Jagdish Temple”।পরদিন সবাই যায় “Fateh Sagar Lake”।এটা হলএকটা কৃত্রিম লেক যা অবস্হিত উদয়পুরের দক্ষিন পূর্ব সাইডে।“sukhadia circle “হল সবচেয়ে বড়ো ২১ ফুট লম্বা মার্বেলের ফুয়ারা আর দেখা হয় “Gulab Bagh and zoo” একে উদয়পুরের হৃদয় ও বলা হয়।এর মাঝে একদিন বিকেলের দিকে শুধু নিঝুম আর রাত যায় পিচোলা ঝিলের ধারে। সূর্যের অস্তের মূহুর্তে আকাশের লাল আভা ঝিলের জলকে লাল করে তুলে সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে।রাত নিঝুমের হাত ধরে ঝিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে নিঝুম ঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করছে আর রাত করছে তার প্রেমিকার সৌন্দর্য দর্শন।রাত এগিয়ে এসে নিঝুমের কোমর চেপে ধরে গলায় ঠোঁট ছোড়ায় আর নিঝুম হঠাৎ এমন হওয়ায় কেঁপে উঠে।
রাত:- নিঝুম তুমি হ্যাপি তো এসবে?
নিঝুম:- তোমার মতো একজনকে জীবন সাথি রূপে পাচ্ছি আর কি চাই আমার। তারপর কিছুক্ষণ ওখানে ওরা কমিউনিটি হল এ ফিরে আসে।
আজ হলটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়।সবাই সকালে ঘুম থেকে উঠে জলখাবার খেয়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য বানিয়ে রাখা স্থানে একত্রিত হয়। হলুদের জন্য ঝিলের মাঝে স্টেজ বানানো হয়েছে মৌ আর বিথী মিলে নিঝুমকে স্টেজে নিয়ে আসে এবং মেঘ আর অর্নব মিলে নিয়ে আসে রাত কে।আজ নিঝুম গায়ে জড়িয়েছে হলুদ শাড়ি গলায় গাঁদা ফুলের গয়না হাতে গোলাপ আর গাঁদা দিয়ে গয়না পায়ে বেলি ফুলের নুপুর।রাত পড়েছে কচি হলুদ রঙের পাঞ্জাবি চুলগুলি জেল দিয়ে সেট করা।তারপর শুরু হয় হলুদের অনুষ্ঠান সব বড়োরা আগে হলুদ দেয় রাতকে তারপর রাতের ছোঁয়ানো হলুদ দেওয়া হয় নিঝুমকে।মৌ,বিথী,অর্নব,মেঘ ওরাও হলুদ লাগায় নিঝুম আর রাতকে।এরমাঝে মেঘ মৌ কে হলুদ দিয়ে পুরো ভূত বানিয়ে দেয়।
মৌ:- এটা কি করলে তুমি?
মেঘ:- কেন তোমায় হলুদ দিলাম।
মৌ:- এটা শুধু দিয়েছো স্নান করিয়ে দিয়েছো বলে।
বিথী মৌ এর অবস্হা দেখেই ছুটে পালায়।
তারপর সবাই রুমে চলে য়ায় নিঝুমকে ফ্রেশ হতে রুমে দিয়ে আসা হয়।তারপর সবাই দুপুরের খাবার খেয়ে রেস্ট নিতে চলে য়ায় সন্ধ্যায় এখানে ঝিলের পাশে ক্যাম্প ফায়ারের মতো করা হয় সবাই মিলে সেখানে গেম খেলতে বসে।গেমের নিয়ম হল গান বাজার সাথে সাথে কুশান টা প্রত্যেকের হাতে হাতে ঘুরবে আর গান শেষে যার হাতে থাকবে তাকে যা করতে বলা হবে করতে হবে।
প্রথমে ডেয়ার দেওয়া হয় মেঘকে তাকে বলা হয় সবার সামনে মৌ কে প্রোপজ করতে।
মেঘ:- আমি তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি সেদিন থেকে তুমি আমার মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছো ঐদিন থেকে বলতে চাই তোমায় ভালোবাসি মিষ্টি মেয়ে তোমায় আমি বড্ড ভালোবাসি।
মৌ:- অনেক লজ্জা পেয়ে আগের জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে।
তারপর পালা বিথীর তাকে অর্নবের বাজে স্বভাব জিজ্ঞাসা করা হয়।
রাতকে গান গাইতে আর নিঝুমকে রাতের সাথে ডান্স করতে বলা হয় এইভাবে অনেকটা রাত হয়ে এলে যে যার রুমে চলে যায়।
পরদিন মেহেদী আর সঙ্গীত।সন্ধ্যায় মেহেদী অনুষ্ঠানে সব মেয়েরা হাজির হয়।মৌ,বিথী ও বসে পড়ে মেহেদী দেওয়ার জন্য। আজ নিঝুম পড়েছে সবুজ রঙের লেহেঙ্গা আর কানে বড়ো বড়ো কানের দোল আর সিথিতে টিকলি চুলগুলি ছেরে দিয়েছে আজ নিঝুমকে অনেক সুন্দর লাগছে কিন্তু মেহেদী প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার প্রথমেই হলুদ রঙের পাঞ্জাবি তার উপর সবুজ রঙের হাত জ্যাকেট পড়ে হাজির হয় রাত।নিঝুম রাতকে দেখে অনেকটাই অবাক হয় তখনই বিথী বলে- আজ জিজু নিজ হাতে মেহেদী পড়াবে।
নিঝুম ভাবতে থাকে তার ভাগ্যে রাতের মতো একজন লেখা থাকতে কেন প্রহর এল প্রথম ভালোবাসা হয়ে? কেন প্রহরের মতো এমন নোংরা মনের মানুষ কে ভালোবাসার ভুল করল সে।এসব ভেবেই তার চোখ থেকে একফোঁটা জল পড়ল।আর রাত এগিয়ে এলো নিঝুমের দিকে মেহেদী পড়াতে।রাতের সাথে মেঘ আর অর্নব ও আসল।
নাচের কম্পিটিশন হবে মেয়ে পক্ষ আর ছেলে পক্ষের।প্রথমে নীলিমা, নীলয় আর মৌ বিথী আসে স্টেজে-

Mehndi Hai Rachnewaali, Haathon Mein Gehri Laali
Kahe Sakhiyaan, Ab Kaliyaan
Haathon Mein Khilnewaali Hain
Tere Mann Ko, Jeevan Ko
Nayi Khushiyaan Milnewaali Hai
Mehndi Hai Rachnewaali, Haathon Mein Gehri Laali
Kahe Sakhiyaan, Ab Kaliyaan
Haathon Mein Khilnewaali Hain
Tere Mann Ko, Jeevan Ko
Nayi Khushiyaan Milnewaali Hai
O Hariyali Banno
Le Jaana Tujhko Guiyyaan Aane Waale Hai Saiyyaan
Thaamenge Aake Baiyyaan, Goonjegi Shehnaayi
Angnaayi, Angnaayi
Mehndi Hai Rachnewaali, Haathon Mein Gehri Laali

তারপর আসে ছেলের পক্ষ থেকে প্রিয়াঙ্ক,প্রীতি আর মেঘ অর্নব স্টেজে উঠে আসে-

Ye kudiyaan nashe di pudiyaan
Ye munde gali de gunde
Ye kudiyaan nashe di pudiyaan
Ye munde gali de gunde
Nashe di pudiyaan
Gali de gunde..

O.. o..
Mehndi laga rakhna
Doli saja ke rakhna
Mehndi laga rakhna
Doli saja ke rakhna
Lene tujhe o gori
Aayenge tere sajna

Mehndi laga rakhna
Doli saja ke rakhna
Oh.. ho.. oh.. ho..

O.. aa..
Sahra sajake rakhna
Chehra chhupake rakhna
Sahra sajake rakhna
Chehra chhupake rakhna
Yeh dil ki baat apne
Dil mein dabake rakhna

Sahra sajake rakhna
Chehra chhupake rakhna

Mehndi laga rakhna
Doli saja ke rakhna

তারপর এনাউসমেন্ট হয় আমাদের Weeding couple #নিরা (নিঝুম রাত)ডান্সের জন্য-

Tere sang yaara
Khush rang bahara
Tu raat deewani
Main zard sitaara

O karam khudaya hai
Tujhe mujhse milaya hai

Tujhpe marke hi toh
Mujhe jeena aaya hai

O tere sang yaara
Khush rang bahara
Tu raat deewani
Nazar dis taara

O tere sang yaara
Khush rang bahara
Main tera ho jaaun
Jo tu karde ishara

প্রোগ্রাম শেষে সবাই খাওয়া দাওয়া সেরে যে যার মতো ঘুমতে চলে গেল।কিন্তু মাঝ রাতের দিকে হঠাৎ নিঝুমের ফোন বেজে উঠল।ফোন ধরতেই অপর পাশ থেকে-
রাত:-হলো।
নিঝুম:- এতো রাতে ফোন?
রাত:- শোনো না আজ তুমি শেষবার আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে আছ কাল থেকে তো বউ হয়ে যাবে।আমি চাই আজ রাতটা আমরা দুজন সেলিব্রেট করি।
নিঝুম:- আচ্ছা আমি কি নীচে আসব।
রাত:- ১০ মিনিটের মধ্যে এসো আমি ও আসছি।
নিঝুম তাড়াতাড়ি ড্রেস চেঞ্জ করে বের হয়ে গেল।
তারা উদুয়পুর সবচেয়ে বড়ো ঝিলের পাড়ে গেল।সেখানে তাদের জন্য আগে থেকেই একটা ছোট গোল টেবিলে কেক আর মোমবাতি দিয়ে সাজানো‌।রাত নিঝুমের হাত ধরে সামনে নিয়ে য়ায় আর বলে।
রাত:- আজ আমি তোমায় প্রথম দেখেছি পুরো ২বছর পূর্ন হল।
নিঝুম:- আজ আমি ও তোমায় বলেছি তোমায় অনেক ভালবাসি আমি ছেড়ে যাবে না তো কখনো আমায়।
রাত:- যাব না কথা দিলাম।
তারপর দুজনে কেক কাটে সারারাত সেখানে বসে ঝিলের সৌন্দর্য দেখে আর কথা বলে কাটায়।ভোরের দিকে দুজনেই হোটেলে ফিরে আসে। বড়োরা দেখলে ঝামেলা হবে বিয়ের আগেরদিন ঘুরেছে জানলে অশুভ হবে এসব বলবে।
অন্যদিকে মায়া নিঝুম রাতের বিয়ের খবর পেয়ে রাগে পাগলের মতো বিহেভ করতে শুরু করে।সে নিশি প্রহরের গার্লফ্রেন্ডকে দিয়ে প্রহরকে জেল থেকে বের করে আর রাজস্হানের উদয়পুর এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।বিয়ের আগে তাদের এখানে পৌঁছাতে হবে।
প্রহর:- আপনি চিন্তা করবেন না মায়া নিঝুমকে আমি আমার দাসী বানিয়ে ছাড়ব।
মায়া:- রাতকে আমার চায় নিঝুমের সাথে তুমি যা খুশি করতে পারো।
ওদের পৌঁছাতে প্রায় রাত হয়ে যায় কমিউনিটি হল খুঁজতে বেগ পেতে হয় না কারন যেখানে সুপার রকস্টার রাতের বিয়ে হচ্ছে নিউজে আসবে না রিপোর্টার থাকবে না তা কি হয়।
কিছুসময় পূর্বে,
রাত বর সাজে মন্ডবে দাঁড়িয়ে নিঝুমকে পিড়ি করে নিয়ে এসে রাতের সামনে ধরা হয়।নিঝুমের মুখ থেকে পান পাতা সরিয়ে শুভদৃষ্টি হয়।রাতকে বর সাজে দেখে হাজারো মেয়ের আজ মন ভাঙলেও রাতের মন উতলা হয় নিঝুমকে বধূ সাজে দেখে।আজ নিঝুম ছোট পুতুলের মতো লাগছে লাল বেনারসী সোনার গয়না পায়ে আলতা আর নুপুরে নিঝুমের থেকে আজ চোখ ফেরানো সাধ্যের বাইরে।
শুভদৃষ্টি র পর মালাবদল পর্ব শেষে সাত পাক ঘোরা হয় তারপর সিঁদুর দান।নিঝুমের আজ সব কিছুই স্বপ্নের মতো লাগছে যখন প্রহরের ভালোবাসার সত্যতা জেনে সে ভেঙ্গে পড়েছিল তখনও সে ভাবতে পারেনি তার জীবনে রাতের মতো কেউ আসতে পারে।তার শুধু মনে হচ্ছে ঘুম ভাঙলেই যেন সব স্বপ্নের মতো ভেঙে যাবে।নিঝুমের কপালে সিঁদুর পরার পর পরই পিছন থেকে কারো গলা ভেসে উঠে যা শুনে নিঝুমের ভয়ে গলা শুকিয়ে যায়। রাত আর নিঝুম পেছনে ফিরে দেখে প্রহর আর মায়া দাঁড়িয়ে আছে।প্রহরের হাতে রিভলবার সে রাতের দিকে রিভলবার তাক করে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রহর:- নিঝুম তুমি আমার কাছে চলে আসো নয়তো তোমার সদ্য বিয়ে হওয়া স্বামী মরবে নয়তো তুমি।
মায়া:- প্রহর তুমি এটা কি করছ রাতকে তুমি মারতে পারো না রাতের যেন কিছু না হয়।
প্রহর:- তুমি থাক শালি আজ এই রাত মরবে আর নিঝুম হবে আমার।
তখনই প্রহর রাতকে গুলি করলে মায়া সামনে চলে আসে ফলে গুলিটা মায়ার গায়ে লাগে আর মায়া মারা য়ায়।মায়ার করুন অবস্হা দেখে নিঝুম রাতের দিকে আসতে গেলে রাত এগিয়ে প্রহরের দিকে তাকে বাধা দিতে যায় কিন্তু প্রহর রাতের মাথায় আর বুকে গুলি করে।ততক্ষনে পুলিশ ফৌস আসে প্রহরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
প্রহর:- ভাবিস না তুই বেঁচে গেছিস আমি আবার আসব।
রাত প্রহরকে দেখে প্রথমেই মেসেজ করে দিয়েছিল তার টিমকে।নিঝুম সেখানেই পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে আর নীলয় আর পিয়াঙ্ক তাড়াতাড়ি রাতকে হসপিটালে নিয়ে য়ায়।নিঝুমকে ও নিয়ে যাওয়া হয়।নিঝুম একটা বেঞ্চে বসে আছে রাতের আপরেশান চলছে ভেতরে সবাই চিন্তিত।প্রায় একঘন্টা পর একজন ডাক্তার আপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসে।
নীলয়:- রাত কেমন আছে ডাক্তার?
পিয়াঙ্ক:- আমার ছেলে ঠিক আছে তো বলুন না ডাক্তার।
ডাক্তার:- দেখুন আমরা চেষ্টা করেছি ওনার বুকে লাগা গুলিটা বের করা গেলেও মাথার গুলিটা তার বিশেষ ভাবে আহত করেছে।সরি, He is in coma.
নিঝুম:- না ডাক্তার আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে রাত আমাকে কথা দিয়েছে সে সব সময় আমার সাথে থাকবে রাত এটা ভাঙতে পারে না।
অর্নব:- ডাক্তার রাতের কি কখনো ঞ্জান ফিরে আসবে না।
ডাক্তার:- আসতেও পারে আবার না ও আস্তে পারে কবে আসবে কেউ জানে না।
তারপর রাতকে দিল্লী সিফট করা হয় নিঝুমকে তার বাড়ি ফিরে যেতে বলা হলেও রাতের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন এর কটু কথা শুনে ও নিঝুম রাতের পাশেই থাকে।নিঝুমের এখন রোজকার রুটিন সকাল থেকে রাত অবধি সে এখানেই রাতের কেবিনে রাতের হাত ধরে বসে থাকে।একা একা কথা বলে নিঝুম ভাবে হয়তো তার প্রহরের মতো ভুল মানুষকে ভালোবাসার ভুল ই তার জীবনকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে।যদি সে প্রহরকে ভালোই না বাসত তাহলে হয়তো রাতের সাথে এমন হতো না।

(ভালোবাসার ভুল গুলি ছোট হলে একটা মানুষকে চেনার ভুল তা কখনো কখনো তোমার পুরো জীবনকে শেষ করে দিতে যথেষ্ট যেমন আমাদের গল্পের নায়িকার সাথে হল।ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে আমার লেখা প্রথম গল্প এটা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি ফুটিয়ে তোলার।কেমন লাগলো জানাবেন। কেউ যদি চান গল্পটা হ্যাপি এন্ডিং হোক তাহলে কমেন্ট করে জানাও পরের পর্ব লিখব।নয়তো এখানেই শেষ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here