ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা_2 পর্ব ৪

গল্পর নাম :#ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা (২)
#পর্ব_৪ : #A_kiss
লেখিকা : #Lucky

ইথান এবার বাধ্য হয়ে আমাকে কোলে তুলে নিলো।
আমি চোখ পিটপিট করে তাকালাম।
সে রেগে গেছে।
আমি মুচকি হেসে তার গলা জড়িয়ে ধরলাম।
সে সামনে দাড়িয়ে থাকা মহিলাগুলোকে দেখে একটু অসস্তিতে পরে গেল। কারণ তারা মিটমিটিয়ে হাসছে।
“এই মেয়ের নেশা চড়ে গেছে।” নিজের কপাল চাপড়ে বলল এক মহিলা।
ইথান একটু ইতস্তত করে তাকে বলল, আপনি একটু ওর শাড়িটা চেঞ্জ করিয়ে দিতে পারবেন?
“তোমার বউ, তুমি করাও বাপু। বউয়ের এত্তটুকু সেবাও কত্তে পারবে নাকো? আমার সোয়ামি ত আমার জন্য কত কি করে। ছেলে মানুষ আজকাল অনেক বেহুদ্দা হয়ে যাচ্ছে। বউ তাদের সেবা কব্বে কিন্তু তারা কব্বে না। মানসম্মেন চলে যাবে!”
ইথান থ মেরে রইল। কি বলবে বুঝতে পারল না।
“চুপ ঘষেটি বুড়ি কোথাকার। সে যথেষ্ট করে আমার জন্য। এই শাড়ি সে-ই পড়িয়েছে আমাকে। আর দরকার হলে সে নিজেই চেঞ্জ করে দিবে। কোনো কাউকে লাগবে না আমার।” চোখ রাঙিয়ে বললাম আমি।
ওই মহিলা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। আর ইথান অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো।
অন্যদিকে বাকি সবাই মিটমিটিয়ে হাসছে।
“সত্যিই এখন ঠান্ডা লাগছে।” কাপা গলায় বললাম আমি।
সাথে সাথে ইথান আমাকে নিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বলল,”কেনো যে কথা শোনো না আর উল্টাপাল্টা করো। আমার উচিতই হয়নি তোমার কথায় এখানে আসা।”
ওনার কথা শেষ হতে না হতেই আমি একহাত দিয়ে তার গাল স্পর্শ করে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলাম।
উনি আমার দিকে গম্ভীর চোখে তাকালেন। যদিও কিছু বললেন না তবে তার হৃদ স্পন্দন যে দ্রুত গতিতে চলছে তা বুঝতে পারলাম।
আমি মৃদু হেসে আবার ওনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।
উনি আমাকে কাঠের চেয়ারটার উপর বসিয়ে ওনার গলা থেকে আমার হাত ছাড়িয়ে নিলেন।
হাত ধরে কিছু আন্দাজ করেই উনি আমার কপালে হাত দিলেন।
“তোমার আবার জ্বর আসবে।” মুখ দিয়ে বিরক্তিসূচক শব্দ বের করে বলল ইথান।
আমি অনেক কষ্টে খুলে রাখা চোখে ওনার দিকে তাকালাম। শরীর ঠান্ডায় মৃদু কাপছে আমার।
“তোমাকে চেঞ্জ করিয়ে কি পড়াবো আমি?” ইথান অস্থির চোখে এদিকে ওদিকে ঘুরে তাকিয়ে খুজতে খুজতে বলল।
আমি একপলক তার দিকে তাকিয়ে তারপর হাতের এক আঙুল তার বুকে ঠেকিয়ে দিয়ে বললাম, “এইটা।”
ইথান চোখ কুঞ্চিত করে আমার হাতের দিকে তাকালো।
আমি চেয়ারে গা হেলিয়ে দিলাম। মাথা ঝিম ঝিম করছে।
উনি আর দেরি না করে দরজা বন্ধ করে হেরিকেনের আলো হালকা সীমিত করে নিলেন।
আর সত্যি সত্যিই আমার শাড়ি বদলে দিয়ে নিজের শার্ট পড়িয়ে দিলেন।
তারপর আমাকে কোলে তুলে বিছানায় এনে শুইয়ে দিয়ে উঠে যেতে লাগলেন।
তখনি আমি আলতো করে তার হাত ধরে নিয়ে বললাম, আমাকে রেখে কেনো যাচ্ছেন?
“তোমার গায়ে জ্বর আসছে তাই একটা ব্লাংকেটের আনিয়ে রাখতে হবে।” বলল ইথান।
“না, আপনি এখন আমার কাছে থাকবেন।” সরু চোখে তাকিয়ে বললাম আমি।
“বাট…”
“থাকুন না!”
ইথান আর কথা না বাড়িয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। আমি মৃদু হেসে ইথানের দিকে তাকালাম।
ইথান আমার কপালে হাত দিয়ে জ্বর আছে কিনা দেখল।
আমি তখন ইথানের কাছে এগিয়ে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। এতে সেও একটা নিঃশ্বাস ফেলে মৃদু হাসলো। আর আমাকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিল।
.
সকালে ঝলমলে রোদ চোখে পরতেই চোখ হালকা খুললাম।
খুলেই কপালে ঠান্ডা কাপড়ের মত কিছু আচ করতে পারলাম। এদিকে ঠোঁটও পুরো শুকিয়ে গেছে। অনেক পানি পিপাসাও পেয়েছে।
অল্প সময় নিয়ে পুরোপুরি চোখ খুললাম। তারপর গায়ের চাদরটা হালকা সরিয়ে কপাল থেকে একটা কাপড় হাত দিয়ে নামালাম আর নিজের চোখের সামনে ধরলাম।
‘জ্বর এসেছিলো নাকি কালও?’ নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম।
পরক্ষণেই নিজের লম্বা হাতার মেরুন টি-শার্টের দিকে চোখ পরতেই চোখ গোল হয়ে গেল আমার।
তখনি চোখের সামনে কাল রাতের কিছু মুহুর্ত ভেসে উঠল। উনি নিজে আমার শাড়ি বলদে ছিলেন?
তেমনই ত মনে হয়!
আমি লজ্জায় নুয়ে গেলাম।
আমি কিছু উল্টাপাল্টা বলেছি বা করেছি কি?
যদিও সম্পূর্ণ ভাবে সবটা মনেই পড়ছে না।
ভাবতে ভাবতেই ইথান ঘরে ঢুকলো।
তার গায়ে শার্ট নেই।
ওকে দেখার সাথে সাথে আমি উঠে বসে গায়ের চাদরটা খামচে ধরলাম। আর একটা ঢোক গিলে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম।
অনেক বেশিই লজ্জা লাগছে।

উনি আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার দিকে ঝুকলেন আর এক হাত দিয়ে আমার কপাল স্পর্শ করলেন।
মুর্হুতেই সারা শরীরে শীতল শিহরণ বয়ে গেল।
“জ্বর এখন হালকা আছে।” বলল ইথান।
আমি চোখ তুলে তাকাতে পারলাম না।
ইথান মুচকি হেসে এক হাত দিয়ে আমার মুখটা নিজের দিকে তুলে ধরল।
আমি চোখ বড়সড় করে ইথানের দিকে তাকালাম।
“তোমার গাল লাল হয়ে গেছে।”
আমি সাথে সাথে ওনার হাত সরিয়ে দিয়ে অন্যদিকে তাকালাম। নিঃশ্বাস অতি দ্রুত গতিতে চলতে লাগল।
ইথান সেই মুচকি হাসির সাথেই বলল “রেডি হও। ষোলো ঘন্টা পেরিয়ে উনিশ ঘন্টা বিশ মিনিট চলছে।”
শোনার সাথে সাথে আমি আহত চোখে তাকালাম।
“আপনার ত… তাহলে চলে যেতে হবে! আরো আগে বের হবার কথা ছিলো না?” নীচু আওয়াজে বললাম।
ইথান একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল “কথা ত ছিলো। যাই হোক, তোমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে তারপরই বের হয়ে যাব।”
আমি মন মরা হয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আচমকা ইথান আমার কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিলো।
আমি মুখে হাসির আভা টেনে মাথা নিচু করে নিলাম।
“কাল তোমার এই লজ্জা কোথায় ছিল?” বলল ইথান।
চমকে গেলাম আমি ইথানের কথাটা শুনে।
কাল কি কি করেছি আমি!
ইথান উঠে গিয়ে চেয়ার থেকে ব্লাউজ পেটিকোট আনলো। আর আমার সামনে রেখে বলল, এগুলো পড়ো। তারপর ত শাড়ি আমাকেই পড়াতে হবে।
“আ…আমি একাই পড়ব। আ..আপনি বাহিরে গিয়ে দাড়ান।” এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বললাম আমি।
“কেনো?” দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল ইথান।
আমি দ্বিধায় পরে গেলাম। এমনিই লজ্জা লাগছে তার উপর আরো লজ্জা দিতে চাচ্ছেন উনি।
“আপনি যান ত।”
আমি মাথা নিচু করে নিলাম।
উনি মৃদু হেসে আর কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে দরজা এগিয়ে দিলেন।
আমি দ্রুত কোনো রকমে শাড়ি পরে নিলাম। যদিও কুচিটা হয়নি।
তাও যা হয়েছে তা-ই যথেষ্ট।
আমি দরজা খুলে বাহিরে এলাম। আর সাথে সাথেই মেজাজ বিঘড়ে গেল।
ইথান ওর এক হাত কোমড়ে রেখে অন্যহাতে মোবাইল ধরে কিছু করছে। আর তার থেকে একটু দূরে কতগুলো মেয়ে ইথানের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
এসব মেয়েদের কি লজ্জা শরম নেই! অন্যের বরের দিকে তাকায়!
আমি দ্রুতই ইথানের সামনে গিয়ে দাড়ালাম আর অভিমানী সুরে বললাম, এখনে কি করছেন আপনি? এখনি রুমে ঢুকেন।
সে তার ফোনের দিকেই গভীর মনোযোগ দিয়ে বলল, হ্যা আসছি।
আমি রেগে ঝট করে ফোনটা হাত থেকে নিয়ে নিলাম।
“কি করছ তুমি?” অবাক হয়ে বলল ইথান।
আমি তাকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে পিঠে আমার হাত দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে বললাম, “এখনি রুমে যাবেন।”
তারপর পিছনের মেয়েগুলোর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম।
তারা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে অন্যদিকে তাকালো।
রুমের ভিতরে ওনাকে নিয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম আর তবেই সস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।
তারপর ওনার দিকে ঘুরে চোখ পাকিয়ে বললাম, “আপনাকে বাহিরে ফ্যাশন শো করতে বলেছি?”
ইথান না বুঝে প্রশ্নসূচক চোখে তাকালো।
“অন্য মেয়েরা হা করে ছিলো সেদিকে খেয়াল ছিল? এরপর থেকে আর কোনো দিন অন্য মেয়েদের সামনে এভাবে যাবেন না। শুধুমাত্র আমার সামনে এভাবে থাকবেন। আর কারো না।” ক্ষিপ্ত চোখে তাকিয়ে গড়গড় করে বলে আমি দম নিলাম।
কথা শেষ হতেই উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন।
আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আর পিছাতে লাগলাম।
“ক…কি?”
উনি উত্তর না দিয়ে এগুতেই লাগলেন।
পিছিয়ে যেতে যেতে এক পর্যায়ে দরজাটায় পিঠ ঠেকে গেলো।
উনি আমার দুইপাশে দুই হাত রেখে আমার দিকে ঝুকতেই আমি চোখমুখ শক্ত করে বন্ধ করে নিলাম।
“এভাবে দেখতে চেয়েছো, তাহলে এখন চোখ বন্ধ করে আছ কেনো?” বাকা হাসির সাথে বলল ইথান।
আমি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ খুললাম আর আমতা আমতা করে বললাম, “আমি ত…।”
ইথান আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে একটা মৃদু হাসি দিয়ে সরে দাড়ালো।
আমি আড়চোখে ইথানের দিকে তাকালাম।
ইথান আমার শাড়ির দিকে তাকিয়ে ভ্রুকুটি করে ফেলল।
“কি?” বললাম আমি।
“জানতাম পারবা না।” বলতে বলতে ইথান আমার কাছে এসে দাড়িয়ে কুচিটা খুলে দিল।
আমি লাজুক চোখে ওর দিকে তাকালাম।
সে সুন্দর করে কুচিটা ঠিক করতে লাগল। তবে এবার ইউটিউব ছাড়াই। তবে বেশ ভালই হলো। কিন্তু সে কুচি গুজে দেওয়ার আগেই আমি অপ্রস্তুত হয়ে সেটা তার হাত থেকে নিয়ে নিজে গুজে নিলাম।
তারপর এক মুহুর্ত না থেমে দ্রুত গতিতে বাহিরে বের হয়ে যেতে যেতে বললাম, আপনার শার্ট চেয়ারের উপরে।
বলতে গেলে হালকা লজ্জা সেই সকাল থেকে ভর করে আছে।

“কিরে মুখপুরি, এমন লাল নীল অবস্থা ক্যান তোর?” বলল ঠাকুমা।
আমি আড়চোখে ঠাকুমার দিকে তাকালাম।
তারপর একটু ভাব নিয়ে বললাম, কই না ত!
“তোর লজ্জাশরম অনেক কম ছেমড়ি। ছাইপাঁশ গিলে পোলাডার সাথে কি কি -ই না করছস তুই!” ঠাকুমা কপাল চাপড়ে বলল।
আমি হা হয়ে প্রশ্ন করলাম, কি করেছি?
“কি করস নাই! মধ্যরাত অব্দি ত জালাইছসই। পরে শেষ রাতে বমিও করছস। তারপর শুরু হলো জ্বর। ছেলেটাকে ঘুমোতে আর দিলি কোথায়!”

শুনে আমি থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম।
সারারাত এগুলো করেছেন উনি না ঘুমিয়ে!
এখন এই ক্লান্ত শরীরে চিটাগং যাবেন?
চিন্তা করেই আমার মন কেমন করতে লাগল।

গাড়িতে বসে আমি ইথানের দিকে নিরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
“কি হয়েছে?” ড্রাইভ করতে করতে আমার দিকে একপলক তাকালো সে।
“আপনি কাল আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন তাই না? আমি ঘুমোতেও দিই নি আপনাকে!” চোখ নামিয়ে দোষী গলায় বললাম।
“ঘুমোতে ত তুমি আমাকে সেই দুই রাত দেওনি যেই দুই রাত তুমি আমার থেকে দূরে ছিলে।” সহজ গলায় বলল ইথান।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম।
সে আড়চোখে তাকিয়ে বলল, কি?
আমি লাজুক হেসে না সূচক মাথা নাড়লাম।

উনি আলতো হেসে আমার হাতটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে নিলেন। আর এক হাতে ড্রাইভিং করতে লাগলেন।
আমি হালকা চমকে গেলাম। তবে অনেক বেশিই ভালো লাগা কাজ করছে। কিন্তু আবার ওনার ছেড়ে যাবার কথাও কষ্ট দিচ্ছে।
আমি তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। আর অনুনয় করে বললাম,”আমাকে প্লিজ নিয়ে যান!”
ইথান একটা নিঃশ্বাস ফেলে মৃদু স্বরে বলল, আমি চাইলেও পারবো না। তোমার মা আগেই বলেছে যে তুমি জানলেই জেদ করবা। আর যেহেতু তুমি অসুস্থ তাই আমি নিজেই তোমার মা কে বলেছি যে তোমাকে আমি নিয়ে যাব না। তাই আমাকে রিকুয়েষ্ট করেও লাভ হবে না।
ওনার কথা শেষ হতে না হতেই আমি ভ্যা করে কেদে দিলাম।
সাথে সাথে ইথান চমকে ব্রেক কষে দিলো।
“আপনি অনেক খারাপ। আমাকে না বলে কেনো সিদ্ধান্ত নিলেন?” কাদতে কাদতে বললাম আমি।
ইথান আমার কান্ড দেখে হেসে দিলো।
আমি কান্না থামিয়ে হালকা নাক টেনে নিয়ে মুখ ফুলিয়ে তাকালাম। আর রাগ মিশ্রিত গলায় বললাম, “হাসি পাচ্ছে আপনার?”
ইথান ঠোঁট আলতো করে কামড়ে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলো।
আমি কটমট নজরে তাকিয়ে তারপর মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। আর তার হাতের মুঠোয় থাকা নিজের হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করে যেতে লাগলাম।
যদিও ব্যর্থ চেষ্টা। কারণ সে ছাড়ছেই না।
আমি অভিমানী সুরে বললাম, “এখন ধরে রেখেছেন কেনো? একটু পরে ত ছেড়ে দিয়ে চলেই যাবেন! তখন ত আর ধরে রাখতে ইচ্ছে করবে না।”
আমার কথা শেষ হতেই সে আমার গালে ঠোঁট ছুয়ে দিলো।
আমি হালকা শিউরে উঠে বড়সড় চোখ করে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
এটাও অনেক অপ্রত্যাশিত ছিলো।
ইথান আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল, ফিরে এসে এক সেকেন্ডও ছাড় দেব না তোমাকে। মনে রেখো।
আমি চোখ বন্ধ করে শাড়ি খামচে ধরলাম। ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি এসে থেমেছে।
সে সরে গিয়ে আবার গাড়ি স্টার্ট দিলো।
আমি আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আর ইনিয়েবিনিয়ে তাকে দেখে যেতে লাগলাম।
সে মৃদু হাসির সাথে এক হাতে ড্রাইভিং করছে। আর অন্য হাত দিয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে।

(চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here