ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা_2 পর্ব ৭

গল্পর নাম :#ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা (২)
#পর্ব_৭ : #প্রেগন্যান্ট
লেখিকা : #Lucky

এখন কি আমার ডিভোর্সটা হয়েই যাবে! কিন্তু আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলাম কিভাবে?
আমি ভয়ে ভয়ে ইথানের দিকে তাকালাম।
সে ভ্রুকুচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
“আ…আমি সত্যি কিছু করিনি। এ…এসব মিথ্যা কথা। বিশ্বাস করেন।” বলতে বলতে কেদে দিলাম।

আমার কান্না দেখে ডাক্তার ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।
“এরিন, চুপ করো।” বিরক্ত হয়ে বলল ইথান।
আমি কেদেই যেতে লাগলাম।
এক পর্যায়ে ইথান শক্ত মুখ করে তাকিয়ে আমার হাত ধরল আর বলল, “আসো আমার সাথে।”
উনি আমাকে কেবিনের বাহিরে নিয়ে এলেন।
আমি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেই যেতে লাগলাম।
“চুপ করতে বলেছি তোমাকে।”
ওনার কথায় আমি আরোই কান্নার বেগ বেড়ে গেল।
উনি আমাকে একটা ফাঁকা রুমের মধ্যে নিয়ে এসে আমার সামনে দাড়ালেন আর কপাল কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
“আ..আমি সত্যিই জানিনা। আ…আমি… কিছু করিনি। বাচ্চা কিভাবে…।” কাদতে কাদতে বললাম আমি।
“Shut up.” এক ধমক দিলো ইথান।
আমি প্রায় লাফিয়েই উঠলাম। আর অনেক কষ্টে চোখের জল আটকে রাখলাম।
“কি কখন থেকে ভ্যা ভ্যা করে কেদেই যাচ্ছ। সমস্যা কি তোমার?!” চোখ পাকিয়ে বলল ইথান।
উনি এভাবে বকছেন এটা মোটেও ভালো লাগলো না আমার। আমি ছলছল চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম, “আপনি বিশ্বাস করেন আমি সত্যিই জানিনা বাচ্চা কিভাবে এলো।”
“বাচ্চা কিভাবে এলো মানে! বাচ্চা আমাদের। তোমার আর আমার।” ভ্রুকুচকে বলল ইথান।
শোনার সাথে সাথে দ্বিতীয় বারের মত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।
“আ… আমাদের হবে কিভাবে! আপনি ত এখনো আমার…” প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে এটুকু বলেই আমি থেমে গেলাম।
তারপর চোখ বড়সড় করে তাকিয়ে দুই পা পিছিয়ে গেলাম আর মুখের উপর এক হাত দিলাম।
সে সরু চোখে তাকিয়ে বলল, “কি?”
“ওগুলো স্বপ্ন ছিলো না?” থ মেরে দাঁড়িয়ে বললাম আমি।
“কোনগুলো স্বপ্ন ছিল না? কি উল্টোপাল্টা বলছ?” কপাল কুচকে বলল ইথান।
“গ্রামে… ওইদিন রাতে…।” বিড়বিড় করে এতটুকু বলেই আমি চুপ হয়ে গেলাম।
উনি আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার চোখের জল মুছে দিলেন। আমি এখনো ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
“তুমি…” ইথান কথা শেষ করার আগেই একটা নার্স এসে রুমে ঢুকলো আর বলল, “আপনাদের রিপোর্টটা নিয়ে যান। পরবর্তী পেসেন্ট ঢুকবে চেম্বারে।”
|
গাড়িতে বসে আমি হা হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আমি সত্যিই মা হতে চলেছি! এত জলদি! বিষয়টা ঠিক হজম হচ্ছেনা।
কিভাবে কি হয়ে গেল!
ইথান সিট বেল্ট বাধতে বাধতে বলল, “এখন বলো কাদছিলে কিসের জন্য? বাচ্চা কিভাবে এলো ব্লা ব্লা… এসব ফালতু কথা বলছিলা কেনো?”
আমি কি বলব বুঝতে না পেরে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।
“আর কোনগুলো স্বপ্ন ছিলো না?” প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল ইথান।
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলাম।
উনি বুঝতে পেরে আমার এক হাত ধরে টেনে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে বললেন, “Don’t tell me, তোমার মনেই নেই কি হয়েছিল!”
আমি অপ্রস্তুত হয়ে গিয়ে বললাম “আ… আমার…।”
তারপরই নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললাম,”আ…আপনি যে আমার ওই অবস্থার সুযোগ নেবেন এটা আমি জানব কিভাবে!”
“হোয়াট? সুযোগ? আমি?” ভ্রুকুটি করে বলল ইথান।
“ত…তো আর কে?”
ইথান আমাকে নিজের আরো কাছে টেনে নিতেই আমি হকচকিয়ে গেলাম।
“For your kind information, ১৬ ঘন্টা তুমি যা বলবা আমি সেটাই করতে বাধ্য ছিলাম। আর সেদিন রাতে তুমি নিজেই বলেছিলা যে আমি যেন তোমাকে…।”
আমি চমকে ইথানের মুখের উপর এক হাত দিয়ে ওকে থামিয়ে দিলাম।
“আ…আপনাকে এসব বলতে বলেছি?”
ইথান আমার হাতটা মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে ভ্রু উঁচু করে বলল, “By the way, তুমি আবার এই ধরনের স্বপ্নও দেখো!”
“আপনাকে আমি চুপ করতে বললাম না।” চোখ মুখ কুচকে বললাম আমি।
তারপর লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।
উনি আবার আমার এক হাত ধরে ওনার দিকে ঘুরালেন।
কিন্তু আমি ওনার চোখে চোখ মিলাতে পারলাম না।
উনি মৃদু হেসে আমার কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিলেন।
আমি ঠোঁটে আলতো হাসি টেনে ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম।
“সরি। আসলে তুমি এত জলদি প্রেগন্যান্ট হও এটা আমি চাইনি। বাট এখন ত কিছু করারও নেই।” একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল ইথান।
“আমি অনেক খুশি। অনেক অনেক অনেক।” বললাম আমি।
তারপর মুখ তুলে ইথানের দিকে তাকালাম।
“কিন্তু তোমার মা যদি এখন বলে বেবি হওয়া অব্দি তার কাছে থাকতে?” হতাশ চোখে তাকিয়ে বলল ইথান।
ওনার অবস্থা দেখে আমি নিজের হাসি আটকে রাখার চেষ্টা করে বললাম,”তাহলে আর কি! থাকবো আমি। এর আগের বার যেমন পারমিশন দিয়েছেন এবারো দিয়ে দিবেন।”
উনি সরু চোখে আমার দিকে তাকালেন।
আমি ফিক করে হেসে দিলাম।
“তাহলে তোমার মা কে জানানোর দরকার নেই।”
আমি হা হয়ে বললাম, “মাকে জানাবো না!”
“আমি তোমাকে আমার কাছেই রাখবো।” বলল ইথান।

বাসায় এসে নিজের শাশুড়ীকে জানাতে না জানাতেই উনি খুশিতে পুরো বাড়ি মাথায় করে ফেললেন।
তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললেন, “এত ভাল খবরটা তোমার মাকে জানিয়েছ?”
আমি শুধু আড়চোখে ইথানের দিকে তাকালাম।
“এখনি জানাতে হবে না।” হুট করে বলল ইথান।
ইথানের মা হতবাক হয়ে তাকিয়ে বলল, “কেনো? জানাবো না কেনো?”
“আমি জানাবো সেটা বলতে চাচ্ছেন উনি।” মুচকি হেসে বললাম আমি।
“অহ আচ্ছা। জানাও জানাও। আমি অনেক খুশি আজ।” বলতে বলতে ইথানের মা আমাকে এসে জড়িয়ে ধরলো।
.
আমি রুমে এসে বসতে না বসতেই ইথান বলল, “জানাতেই হবে?”
“ত জানাবো না? না জানালে কেমন একটা বিষয় হবে!” ভ্রুকুটি করে বললাম আমি।
উনি কিছু একটা বলতে গিয়েও বললেন না।
আমি হাসি মুখে চেপে রেখে ফোন হাতে নিলাম।
সে আমার দিকে সরু চোখে তাকিয়ে রইল। আমি খুব একটা পাত্তা না দেওয়ার ভান করে মাকে ফোন দিলাম।
মা ফোন ধরে হ্যালো বলার সাথে সাথেই আমি বললাম, “মা আমি প্রেগন্যান্ট কিন্তু আমি ইথানের সাথেই থাকবো।”
ইথান অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো।
“কি?” অবাক হয়ে বলল মা।
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলাম।
“সত্যি?” খুশিতে বলল মা।
“হুম।” মৃদুস্বরে বললাম আমি।
“সবাইকে জানাচ্ছি আমি। আর, কবে আসবি তুই?”
“আসবো মানে?” ঠোঁট উলটে বললাম আমি।
মা হেসে দিল আর বলল, “আচ্ছা নিজের খেয়াল রাখিস বেশি করে। তুই এমনিই দুর্বল। তোকে এখানে নিয়ে এলেই বেশি ভাল হত।”
“উফ তুমি বেশি চিন্তা করো, আমি কি বাচ্চা?”
“হ্যা তাই-ত, তুই ত এখন বাচ্চার মা হতে চলেছিস।” বলতে বলতে মা হেসে দিলো।
“রাখছি আমি।” লজ্জা পেয়ে ফোন কেটে দিলাম আমি।

“কি বলেছে? তোমাকে নিয়ে যাবে?” ফোন কাটার সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে বলল ইথান।
“হ্যা নিয়ে যাবে।” মিথ্যা বললাম আমি।
শুনে ওনার মুখের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে গেল।
“আমি চাই না তুমি যাও। আমি যথেষ্ট খেয়াল রাখতে পারবো তোমার। তাছাড়া আমার মা ত আছেই।” সিরিয়াস হয়ে বলল সে।
আমি চোখ পিটপিট করে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ইথান কোনো উওর না পেয়ে মুখ দিয়ে বিরক্ত সূচক শব্দ বের করে বলল, তোমাকে বলে কি হবে! তুমি ত নিজেই যেতে চাও।
আমি ঠোঁট চিপে হেসে তার এগিয়ে গেলাম আর তাকে জড়িয়ে ধরলাম।
“আমি যাব না। আপনার কাছেই থাকবো।”
উনি একটা সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
.
তবে প্রেগন্যান্ট হবার জন্য আমাকে এখন বেশি বেশি খেতে হচ্ছে। তার উপর বাসায় যেন মা আমাকে ফেরত না নিয়ে যায় তারজন্য তার চেয়েও বেশি খাওয়াতে চায় ইথান।
মাঝখান থেকে আমি এত খেতে খেতে কিনা কুমড়োর মত ফুলে যাই।
তবে তাতে তার কিছু যায় আসে না। তার বক্তব্য হলো খেতে হবে।
গোসল করতে গিয়েও ধমক খেতে হয়। দুই মিনিটে গোসল করে বের হতে হবে।
বৃষ্টি থেকে কয়েকশ মাইল দূরে থাকতে হবে আরো কত কি!
এগুলো সবই শুনছি। কারণ ইথানের সাথে এখন ইথানের মাও উঠে পরে লেগেছে।

.

“রাগ করে আছেন এখনো?” কোমল চাহনির সাথে বললাম আমি।
সে নিজের ফাইল নিয়ে ব্যস্ত রইল। আমার দিকে তাকালোও না।
আমি সামান্য একটা দোষ করেছি সেটা হলো আজ গোসল করতে পাঁচ মিনিটের বেশি লেগেছে। তবে তার কাছে এটা মহাভারত অশুদ্ধ হবার মত।
উনি তিন চার বার নক করেছিলেন। আর বলেছিলেন, জলদি বের হও।
আমি তাও বের হইনি।
বরং ঝাঝালো গলায় বলেছিলাম, “খাওয়ানোর সাথে সাথে এখন গোসলও আপনিই করিয়ে দিয়েন। আর ভাল্লাগে না। আমি শ্যাম্পু করব না, নাকি? মাত্র পাঁচ মিনিটে কে গোসল করে বলেন ত! আমি কালই মায়ের বাসায় যাচ্ছি। বুঝবেন তখন।”
“ওকে ফাইন, যাও।” রেগে এতটুকু বলার পর আর কোনো কথাই বলে নি।
শুক্রবার ছিল আজ। উনি সকালে বাহিরে গিয়েছিলেন বলে আমি মনে করেছি আজও কাজ আছে। কিন্তু না আজ কাজ ছিলো না। গোসলের মধ্যেই এসে হাজির।
এখন কত সময় মুখ ফুলিয়ে রাখবে বলা যায়না। একবার রাগ করলে সহজে তার রাগ ভাঙ্গানো যায় না।
আমি একটা নিঃশ্বাস ফেলে ওনার সোজাসুজি বালিশে হেলান দিয়ে ওনার কোলের উপর পা উঠিয়ে দিলাম। ওনার কোলের উপরেই ওনার ফাইল ছিল। বলতে গেলে এখন তার উপরেই আমার পা আছে।
উনি অবাক হয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন।
“কথা বলছেন না কেনো? এত রাগ ভাল না।” মৃদু হেসে বললাম আমি।
“পা সরাও।” গম্ভীর গলায় বলল সে।
“সরাবো না।”
উনি রাগী চোখে আমার দিকে তাকালেন।
“আমি ভয় পাইনা।” বলতে বলতে আমি পা স্লাইড করে ওনার গলার কাছে নিয়ে গেলাম।
উনি এবার আমার দিকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আমার কাছে চলে এলেন।
সাথে সাথে আমি ঘাবড়ে গেলাম।
“ভয় নাকি পাও না?” মৃদুস্বরে বললেন উনি।
“পাই না ই ত!” বলেই আমি ওনার ঠোঁটে কিস করে দিলাম।
উনি অনেক বেশিই অবাক হয়ে গেলেন।
“এখন সরুন ত, ওয়াসরুমে যাব।” বলেই আমি ওনাকে সরিয়ে উঠে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলাম।
আর দ্রুত দরজা আটকে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম। কারণ মহা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ফেলেছি আজ আমি।
.
এলমার বিয়ের কারণে আজ সারাদিন অনেক ব্যস্ততা গেছে। সব অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। তাছাড়া আমার জন্য উনি গাড়ি যতদূর সম্ভব আস্তে চালিয়েছেন। এজন্য আরোই দেরি হয়েছে।
বাসার সামনে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ইথান আমাকে কড়াভাবে গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে বলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো।
হয়তো ছাতা আনআর জন্য। আমি বাধ্য মেয়ের মত বসে রইলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই তিন মাস হয়ে যাবে।
তারপর আরকিছু মাস। সত্যিই একটা অন্যরকম অনুভূতি।
ইথান গাড়ির দরজা খুলে বলল, সাবধানে আসো।
আমি তার দিকে তাকালাম। অনেকটাই ভিজে গেছে সে। কিন্তু ভিজে গেলে এত সুন্দর লাগে কেনো ওনাকে! আমি হা করে তাকিয়েই রইলাম।
“কি হলো? আসো।” প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল সে।
আমি নিজেকে সামলে গুটিশুটি মেরে বেরিয়ে এলাম। সে আমাকে আগলে বাসার মধ্যে নিয়ে এলো। একটুও ভিজতে দিলো না। পুরোটুকু সময় আমি তাকে দেখে যেতে লাগলাম।
আমাকে বিছানায় বসতে বলে উনি চেঞ্জ করতে চলে গেলেন।
খানিক বাদেই একটা ট্রাউজার পরে মাথা মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন।
ওনাকে দেখেই আমার হার্টবিট অনেক বেড়ে যেতে লাগল। উফ, এত সুন্দর কেউ হয়!
উনি আলমারি খুলে নিজের শার্ট খুজতে লাগলেন।
আমার কি হলো জানিনা আমি এগিয়ে গিয়ে ওনাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম।
উনি একটু অবাক হলেন আর নিজেকে ছাড়িয়ে আমার দিকে ঘুরলেন। তারপর উদ্ধিগ্ন হয়ে বললেন, “খারাপ লাগছে? তাহলে বিছানায় গিয়ে রেস্ট নেও। সারাদিন একটুও রেস্টই নেও নি।”
আমি তার কথায় কান না দিয়ে দুই পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দাড়িয়ে তার কাধে গভীর ভাবে ঠোঁট ছুয়ে দিলাম।
উনি অবাক হয়ে আমার চোখের দিকে তাকালেন আর বললেন, “প্রেগন্যান্ট তুমি এখন।”
“তো?” বলতে বলতে আমি ওনার গলায় ঠোঁট ছুয়ে দিলাম।
উনি হুট করে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতে দিতে বললেন, “এখন না।”
“এখনি।” বলেই আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরে গলায় আলতো করে কামড় বসিয়ে দিলাম।
উনি মৃদু হেসে আমার কাছে চলে আসলেন।

(চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here