ভালোবাস কি আমায় পর্ব ৬+৭

#ভালোবাসো কি আমায়🍁
#Part-06
#Writer#Saima Islam Mariam❤
.
🍁
.
– আনিতা আর চুপ করে থাকতে পারেনি, কান্না করে দেয়। মায়া বেশ ভালো মতো বুঝতে পারে আনিতা কেনো কান্না করতেছে।(মায়া যখন চিটাগাং থাকতো, তখন মায়া কোনো কারনে ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দিলে, তখন আনিতা কল করে বা সামনাসামনি দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য কান্না করতো) মায়া এতো দিন আনিতার সাথে কথা বলেনি কোনো খুঁজ খবর ও নেয় নাই
– সরি বেব , আই এম রিয়েলি সরি. প্লিজ কান্না করিস না(দুঃখিত শুরে)
– মায়া তুই কি করে পারলি আমাকে ভুলে যেতে? তুই খুব ভালো করে জানিস আমি তোর সাথে কথা না বলে একদিনও থাকতে পারি না! (অভিমান নিয়ে)
– সরি তো বেব, একচুয়ালি এখানে এসে কলেজ নিয়ে বেশি বিজি হয়ে গেছিলাম।সরি অনেক গুলো সরি!!(মায়া)
– হয়েছে হয়ছে আর সরি বলতে হবে না। এখন কেমন আছিস সেটা বল?(আনিতা)
– বেশ ভালো।তুই কেমন আছিস?(মায়া)
মায়া আনিতা আরো বেশ কিছুক্ষন কথা বলার পর এক পর্যায়ে আনিতা বলে
– মায়া শুন না তোকে অনেক দিন ধরে একটা কথা বলবো বলবো করে বলা হয় না।তুই কি এখন
ফ্রি আছিস?(আনিতা)
– হুম একদম ফ্রি আছি তুই বল(মায়া)
– কথাটা ঠিক কি ভাবে বলবো ঠিক বোঝতে পারতেছি না(আনিতা)
– যে ভাবে ইচ্ছে সে ভাবে বল।(মায়া)
– একচুয়ালি তুই ঢাকা যাওয়ার ৩-৪চার মাস আগে ফেসবুকে একটা ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয়, রোজ ওর সাথে কথা হতো। বেশ কয় একদিন কথা বলার পর ছেলেটা আমাকে প্রপোজ করে ছেলেটা সুন্দর আর অনেক সুন্দর করে কথা বলে। তাই আমিও প্রপোজ টা এ্যাকসেপ্ট করে নি, আমাদের রিলেশন টা খুব ভালোয় চলছিলো, একদিন হঠাৎ করে ও বলে……..(আনিতা)
– কি বলছে??(মায়া)
– তুই ঢাকাই চলে যাওয়ার আগের দিন আমাকে বলে, ও নাকি আমার সাথে টাইম পাস করছে।বাট দোস্ত আমি তো ও-কে সত্যি সত্যি ভালোবাসেছি(কান্না করে)
– ওয়েট, তুই আমাকে এইসব কথা আগে বলিস নি কেনো। ছেলেটার নাম কি এন্ড থাকে কোথায়?(মায়া)
– আসলে তোকে বলার সাহস পায়নি। রাফি! ঢাকাই থাকে
-ওয়াট দ্যা? (মায়া)
– হুম(আনিতা)
– তুই এখন কান্না থামা,তোর কাছে ছেলেটার কোনো পিকচার থাকলে এক্ষুনি সেন্ড কর!(মায়া)
-ওকে
আনিতা কল কেটে দেয়। ২মিনিট পর আনিতা ছেলেটির পিক মায়া কে সেন্ড করে,।মায়া তো ছেলেটে কে দেখে পুরাই শকড! যেনো আকাশ থেকে পড়েছে
!
একি এটা তো রেহান ভাইয়ার ফ্রেন্ড রাফি ভাইয়া।এটা কি করে পসিবল।
!
মায়া আনিতাকে কল দেয়
– আনু তুই কি শিওর যে, এই ছেলেটায় তোকে ধোকা দিয়েছে(মায়া)
-হুম!আই এম ১০০% শিওর(আনিতা)
– ওকে, তুই এখন নিজের কান্না থামা একদম কান্না করবি না। ব্যাপার টা আমি দেখতেছি(মায়া)
-ওকে(আনিতা)
মায়া কল কেটে দিয়ে। নিচে গিয়ে সবার সাথে ডিনার করে নেয়, কারো সাথে কোন কথা না বলে ডিনার শেষ করে নিজের রুমে চলে।ব্যাপারটা রেহান লক্ষ্য করলে ও কিছু বলে না।
পরের দিন সকালে মায়া ঘুম থেকে উঠে কোনো রকম ব্রেকফাস্ট করে তড়িঘড়ি বেঁধে কলেজ চলে। কলেজে এসে দেখে রাফি,মাহিম, লিজা,
মিথিলা ক্যাম্পাসে বসে গল্প করতেছে, রাফিকে দেখে মায়ার আনিতার কথা মনে পরতেই রাফির প্রতি রাগ হয়!
মায়া, নেশা কে নিয়ে ক্লাসে চলে যায়। মন দিয়ে ক্লাস করে।ক্লাস শেষে মায়া মিথিলার কাছে যায়
!
– মিথি আপু আজকে ফাহাদ ভাইয়া আসেনি?( মায়া)
– নারে,,,,, কল করেছিলাম, কলেজ কেনো আসি তা জানতে,বললো ও নাকি একটু
অসুস্থ তাই আসতে পারেনি!(মিথিলা)
-ওহ,আচ্ছা………তোমার তাহলে গল্প করো আমি বরং বাসায় যায়।
!
মায়া ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় পিছন থেকে রাফি ডাক দেয়
– ওই মায়া!! দাঁড়াও তোমার।সাথে কিছু কথা আছে!
মায়া একবার পিছন দিক ফিরে আবার হাটা দেয়, রাফিকে কোনো পাত্তা না দিয়ে।
.
🍁
.
আজ ৩দিন হয়ে গেলো কলেজ যায় না।সারা দিন বাসায় বসে আনিতার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয় গুলো ভাবছে।
– এটা কি করে পসিবল। রাফি ভাইয়া এটা কি পারলো,কি করে আনিতার মতো একটা মেয়ে ঠকিয়েছে। সব বিষয় গুলো জোটপাকানো।
-অন্য দিকে মায়া কেনো কলেজ যাচ্ছে না তা নিয়ে টেনশনে মরছে রাফি।বেশি টেনশন না নিতে পেরে রাফি রেহান কে কল দেয়। কয়এক বার রিং হওয়ার পর রেহান কল রিসিভ করে
-মামা কেমন আছিস? (রাফি)
– ভালো।হঠাৎ কি করণে আমাকে কল দিলি?(রেহান)
– না মানে তেমন কিছু না (রাফি)
– তেমন কিছু না মানে অনেক কিছু। মেয়েলি ডং না করে কি বলবি তাড়াতাড়ি বল আমার কাজ আছে(রেহান)
– মায়া কলেজ আসছে না কেনো,জানিস,ওর কি কিছু হয়েছে?
– জানি না।বাই দ্যা ওয়ে তুই আবার কখন থেকে কল করে মায়ার খুঁজ খবর নেয়া শুরু করেছিস বলতো?(রেহান)
রাফি আর কিছু না বলে কল কেটে দেয়।
মায়া পরী তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে শুধু একবার কলেজ আসো (রাফি) ( বাকা হেসে)
#দুপুর ১টা
– মায়া পরী লাঞ্চ রেডি খাবে আসো।(নিলিমা)
– আসছি খালামনি (মায়া)
মায়া ডাইনিং টেবিলে এসে একটা চেয়ার টেনে রেহানের সমানে বসে।
-কিরে মায়া তুই এই কয়দিন কলেজ যাচ্ছি না কেনো(রেহান)
– এমনি, ভালো লাগছে না তাই(মায়া)
-ওহ…..কাল থেকে কলেজ চলে যাস(রেহান)
– ওকে
মায়া লাঞ্চ শেষ করে নিজের রুমে গিয়ে, ঘুমিয়ে পরে।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে চলে যায়। ছাদে একটু ভালো লাগছে, গত ৫দিন আনিতা আর রাফির ব্যাপার টা নয়ে ভাবতে ভাবতে মাথায় ঝিম ধরে গেছে। মায়া এক ধ্যানে দূরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,সন্ধ্যা নেমে আসছে, সাদা মেঘ গুলো আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে আর কালো মেঘ গুলো সর্বদিক ছড়িয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে সূর্যটা পশ্চিম দিকে ডলে পরছে।মায়া নিরব মনে সূর্য অস্ত দেখছে। একটু পর সব দিক অন্ধকার হয়ে আসছে, মায়া একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে।
!
রুমের দিকে যেতেই মায়ার রেহানের রুমে নজর পরে। রেহান সোফায় বসে ল্যাপটপ নিয়ে কি জেনো করছে।মায়া রেহানের রুমের দরজায় টুকা দেয়
– কে ওখানে(রাহান)
– মায়া।ভাইয়া ভিতরে আসবো?
-হুম আই
মায়া রুমের ভিতরে এসে রেহানের সামনে দাঁড়ায়।
-ভাইয়া তোমার সাথে কিছু কথা আছে?
– হুম বল (ল্যাপটপ এর দিকে তাকিয়ে)
– ভাইয়া, রাফি ভাইয়া কেমন ছেলে?
রেহান মায়ার প্রশ্ন শুনে ল্যাপটপ টা অফ করে মায়ার দিকে তাকায়
-রাফি কেমন ছেলে মানে (ভ্রু কুঁচকে)
– কেমন ছেলে বলতে, ওনার স্বভাব কেমন? প্রেম ট্রেম করে নাকি?
– রাফির ব্যাপারে তোকে এতো কিছু জানতে হবে না,তুই এখন আমার রুম থেকে বেরিয়ে যা।গেট লস্ট। (রেগে)
-নিজের ফ্রেন্ড এর ব্যাপারে আস্ক করলে কেউ এইভাবে রিয়েক্ট করে তা আজ ফার্স্ট দেখলাম, আস্ত হিংসুক একটা। আমি হলে ফট ফট সব বলে ফেলতাম(মনে মনে)
মায় রেহানের রুমে থেকে সোজা ড্রইংরুমে চলে যায়। মায়া চলে যাওয়ার পর রেহান দেওয়ালে সজোরে নিজের সব শক্তি দিয়ে ঘুষি মারে
# পরেরদিন
মায়া কলেজ চলে আসে। ক্যাম্পাসে ডুকতেই, কোথা থেকে আচমা রাফি এসে…… মায়ার সামনে হাটু ঘিরে বসে একগুচ্ছ লাল গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করে।
রাফিঃ I love you Maya.Do you love me?#ভালোবাসো কি আমায়🍁
#Part-07
#Writer#Saima Islam Mariam❤️
.
🍁
.
– মায়া আশে পাশে তাকিয়ে দেখে। তেমন কেউ মায়ার নজরে পরে নি,পুরো কলেজ ফাঁকা তেমন কেউ আসে নি,রেহান ও আসেনি।
– এই মুহূর্তে মায়ার মাথা দুষ্ট বুদ্ধি কাজ করতে।
– বেডা উগান্ডার হাতি আমার বইন রে কান্দায়া এখন আসছে আমারে প্রপোজ করতে দাঁড়া উগান্ডার হাতি তোর প্রেম করার শখ আমি মিটাচ্ছি,,, আমার ফ্রেন্ডরে যত কষ্ট দিয়েছিস তার থেকে হাজার গুন বেশি আম তোকে কষ্ট দিবো।তার আগে তোকে একটু নাচিয়ে নি (মনে মনে)
রাফিঃ Please Maya. Accept my proposal. Please!
মায়াঃ কি বলেছেন ভাইয়া?আমি ঠিক শুনতে পাইনি!
রাফিঃ Maya I love you.Do you love me?
মায়াঃ দুঃখিত ভাইয়া,আমি বাঙালি মেয়ে, ইংরেজি তেমন একটা বুঝি না, দোয়া করে যদি আপনি ওই ইংরেজির অর্থটা বাংলায় বলে তাহলে আমি বুঝতে পারবো!
মায়ার কথা শুনে রাফি দাঁড়িয়ে উঠে বলে।
রাফিঃ মায়া! তুমি কি আমার ফান করতেছো?(মুখ গোমড়া করে)
মায়া- একদমি না, আমি কেনো শুধু শুধু আপনার সাথে মজা করবো বলুন তো, আপনি কি আমার তালতো ভাই হন নাকি?(ভ্রু কুঁচকে)
বেচারা রাফি মায়া কথায় হাসবে না কাঁদবে ঠিক বুঝতে পারতেছে না!
রাফিঃ ওকে আমি বাংলায় বলতেছি।(অসহায় মুখ করে)
মায়াঃ জ্বী বলুন!
রাফি আবার মায়ার সামনে হাঁটু ঘিরে বসে বলে
আমার প্রিয়তমা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তুমি কি এই অধম কে একটু ভালোবাসবে? আমি তোমাকে আমার জীবনের শেষ নিশ্বাস অব্দি নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসাবে আমার পাশে চাই! তুমি কি সারা জীবন আমার পাশে আমার জীবন সঙ্গিনী হিসাবে থাকবে?
মায়া রাফির কথা শুনে পুরো থ হয়ে যায়। এই সুন্দর করে বাঙাল ভাষায় প্রপোজ করলো, এই জন্য মনে হয় শাঁকচুন্নি টা ওর মিথ্যে প্রেমের জালে আটকে পড়ে ছিলো।এই খাটাশ শাঁকচুন্নি টাকে বলে টাইম পাস করেছিলো(মনে মনে)
রাফিঃ কি হলো মায়া? বলো আমাকে তোমার জীবন সঙ্গি হিসাবে গ্রহণ করবে?
মায়াঃ হ্যাঁ…. করতে পারি তবে আমার একটা ছোট শর্ত আছে(মুচকি হেসে)
রাফিঃ বলো কি শর্ত! আমি তোমার সব শর্ত মেনে নিতে রাজি আছি(মায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে)
মায়াঃ তেমন বড় কোন শর্ত না,শুধু আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনো কেউ জানতে না পারে!
রাফিঃ ব্যাস এই টুকু(হেসে)
মায়াঃ হুম এইটুকু, কিন্তু কেউ যদি গুনঅক্ষরে টের পাই তাহলে সেদিনি ব্রেক-আপ
রাফিঃ রেহান,ফাহাদ,লিজা,মিথিলা ওদের কে ও জানানো যাবে না(জিজ্ঞাসু হয়ে)
মায়াঃ উহু,কাউকে না মানে কাউকে না
রাফিঃ ওকে ডান কেউ জানবে না!
মায়াঃ ওকে
ইতি মধ্যে সব কলেজ চলে এসেছে, নেশা ও চলে এসেছে,
নেশ মায়ার সামনে আসতেই মায়া নেশার পিঠে ছাপড় দেয়
– কিরে মারলি কেনো?(কান্না মাখা চোখে)
– ইচ্ছে হয়ছে তাই মারছি! আজকে আসতে এতো দেরি করলি কেনো?(মায়া)
-রাস্তায় জ্যাম ছিলো তাই(নেশা)
-ওহ,আচ্ছা ক্লাসে চল ক্লাসের সময় হয়ে গেছে
তারপর দুই বেস্টু ক্লাস করতে চলে। ক্লাস শেষে মায়া আর নেশা, ক্যাম্পাসে একটা বেঞ্চে বসে তারপর মায়া নেশা আনিতা আর রাফির ব্যাপারে বলে এন্ড মায়া এখন রাফির সাথে কি করবে সেটাও বলে।সব শুনে নেশা বলে।
– এই কাজটা করাটা কি আদৌ ভালো হবে মায়া?
– অভিয়াসলি ঠিক হবে,ও যেটা আমার ফ্রেন্ডের সাথে করছে তার জন্য ও-কে পানিশমেন্ট পেতেই হবে(শয়তানি হেসে)
– ওকে তুই যা ভালো মনে করিস তাই কর
মায়া আর নেশা আরো কিছুক্ষণ গল্প করে যে যার বাসায় চলে যায়
.
🍁
মায়া বাসায় এসে,শাওয়ার নিয়ে লাঞ্চ করে নেই। তারপর ছাদে গিয়ে আনিতাকে কল দেয়।৩বার রিং হওয়ার পর আনিতা কল রিসিভ করে।মায়া আনিতা কে সব খুলে বলে আর রাফিকে ভাবে ছিনে সেটাও বলে। সব শুনে আনিতা বলে
– দোস্ত রাফি কে পানিশমেন্ট দিতে গিয়ে তুই কিছু ভুল করে বসিস না আর প্লিজ রাফির কোনা ক্ষতি করিস না।আমি ও-কে সত্যি খুব ভালোবাসিরে(আনিতা)
– ও তোকে ঠকানোর পরে ও ওর প্রতি তোর এতো ভালোবাসা আসে কোথা থেকে? (মায়া)
-সেটা তুই বোঝবি না,বিকজ তুই এখনো কাউকে ভালোবাসিস নি তাই,যে দিন বাসবি সেদিন ঠিক বোঝতে পারবি!!!(আনিতা)
– ওকে,তোমার মজনুর কোনো ক্ষতি করবো না ডোন্ট ওয়ারি!!(মায়া)
ওরা আরো কিছু সময় কথা বলে,তারপর মায়া কল কেটে দেয়। মায়া ছাদ থেকে নেমে,রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে ঘুমিয়ে পরে।
#কেটে যায় আরো ৫টা মাস। মায়া ঢাকাই এসেছে সব মিলিয়ে ৭মাস হয়ে গেলো।রাফির সাথে মায়া এখনো সম্পর্কটা কন্টিনিউ করে যাচ্ছে, রাফি মায়ার প্রতি সম্পূর্ণ উইক হয়ে পড়েছে
-অন্য দিকে এই গত ৭মাসে রেহানের মায়াকে এক অন্য রকম ভালো লাগা শুরু হয় আর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, রেহান বুঝতেই পারেনি সে কখন মায়াকে নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলে,রেহান ভেবে ছিলো মায়ার ইন্টারমিডিয়েট কমপ্লিট হলে তাকে নিজের ভালোবাসার কথা জানাবে,,,,,,, তাই মায়াকে আর কিছু বলে নি নিজের ভালোবাসা নিজের মনের গহীনে রেখে দিয়েছিলো, কখনও তা মায়ার সামনে প্রকাশ করে নি।
একদিন সন্ধ্যা বেলায় ঘটে এক দূরঘটনা।মায়ার মোবাইলে রাফি ম্যাসেজ!
!
জান আই মিস ইউ!!
ভুল বশত মোবাইলটা রেহানের হাতে থাকায় রেহান ম্যাসেজ টা দেখে ফেলে,ম্যাসেজটা দেখার পরে রেহানের মাথায় আগুন জ্বলে উঠে,রাগে চোখ দুইটা রক্ত লাল হয়ে যায়,দেখে মনে হচ্ছে চোখ থেকে অগ্নি লাভা বের হচ্ছে
রেহান জোরে চিৎকার দিয়ে মায়াকে ডাক দেয়। মায়া দৌড়ে রেহানে কাছে আসে,মায়া রেহানের হাত নিজের মোবাইল দেখে আর রেহান কে দেখে, ভয় পয়ে যায়।
-যা ভেবে ছিলাম মনে হয় তাই হয়ছে (মনে মনে)
রেহান মায়ার হাত ধরে টানতে টানতে ছাদে নিয়ে যায়।
-রাফির সাথে তোর কিসের রিলেশন, ও তোকে জান বলে ডাকলো কেনো,আর ও তোর নাম্বার কোথায় পায়ছে।(দাঁতে দাঁত ছেপে)
মায়া রেহানের রাগ দেখে অনেক ভয় পেয়ে যায়।ভয়ে ছোটে কিছু বলতেও পারছেনা
মায়া- আসলেলললল, মানেননন(আমতা আমতা করে)
মায়ার এইভাবে কথা বলা রেহান মায়া কে থাপ্পড় মেরে দেয়
মায়া কে দেয়ালের সাথে দু হাত চেপে । এই তুই এটা কি করে করলি তুই বুঝিস না আমি তোকে……
রেহান নিজের রাগ না সামলাতে পেরে মায়ার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট জোড়া ডুবিয়ে দেয়।২মিনিট পর মায়া ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিয়ে রেহান ছাদ থেকে চলে যায় মায়া নিচে বসে কান্না করতে থাকে আর দু হাতে নিজের ঠোঁট মুছতে থাকে।অনেকক্ষণ কান্না
করে নিজের রুমে চলে – রাতে সবাই মায়াকে ডিনারের জন্য অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু মায়া যাইনি। না খেয়ে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে
🍁
পরেদিন মায়া রাফি কে কল করে দেখা করতে বলে।
খান ভিলার পাশে একটা পার্কে মায়া রাফিকে আসতে বলে
#বিকাল ৫টা
মায়া মাথা নিচু করে বসে আছে আর রাফি মায়ার দিকে নিজের ছলছল দুচোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে। রাফি বুঝতে পারতেছেনা তার সাথে এটা কি ঘটে গেলো…
চলবে…
(লেখায় ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🙏)
চলবে..
(লেখায় ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here