#মনের_গহীনে
১১তম পর্ব
লেখনীতে: নাদিয়া হোসাইন
প্রিয় প্রাচুর্যকে নিয়ে একটা ফুলের দোকানে গেলো। প্রাচুর্যকে আজ সার্প্রাইজ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফুল ছাড়া ব্যাপারটা অনেক অসম্পূর্ণ দেখায়। এখন সমস্যা হচ্ছে এই যে, ও জানে না প্রাচুর্যের পছন্দের ফুল কোনটা। তাই প্রাচুর্যের দিকে ভ্রূ কুঁচকিয়ে তাকালো।
প্রাচুর্য প্রথমে বুঝতে পারছিলো না, প্রিয়র ফুলের দোকানে আসার কারন। পরক্ষণেই মাথায় এলো প্রিয় বোধহয় তাকে ফুল উপহার দিতে চাইছে। মুহুর্তেই প্রাচুর্যের ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠলো।
প্রাচুর্য, কোন ফুল তোমার সব চেয়ে পছন্দ? মেয়েদের বেশিরভাগ গোলাপ পছন্দ হয়, কিন্তু তোমার যদি ব্যাতিক্রম কিছু পছন্দ থাকে, তাই জিঙ্গেল করে নিলাম।
প্রাচুর্য দোকান ঘুরে দেখে নিলো এখানে কি কি ফুল আছে। সব ফুলেই দোকানেই কমন ফুল হিসেবে – গাঁদা, গোলাপ, ররজনীগন্ধা ইত্যাদি থাকে। এই দোকানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। প্রাচুর্যের পছন্দ কৃষ্ণচূড়া ফুল। কিন্তু সেটা এখানে নেই। তাই সে প্রিয়কে এতো ফুলের মধ্য থেকে সূর্যমুখী ফুলের কথা বললো। প্রিয়র পছন্দের ফুল সূর্যমুখী । যবে থেকে সে প্রিয়কে ভালোবাসে, তবে থেকে প্রিয়র পছন্দের প্রতি অবগত সে। প্রাচুর্যের কাছে এখন প্রিয়র পছন্দের জিনিসও ভালোলালে। প্রিয়র রুমের বারান্দায় সূর্যমুখীর তিনটে গাছ আছে।প্রিয় স্লান হেসে প্রাচুর্যকে সূর্যমুখী ফুল কিনে দিলো।
সামনেই টিএসসি, প্রিয় প্রথমে ভাবলো প্রাচুর্যকে সেখানে নিয়ে যাবে। পরক্ষনেই হ্যান্ড ঘড়ির কাঁটায় দেখলো বারোটার বেশি বেজে গেছে। সময়টা অনেক দ্রুত চলে গেছে। তাই ঠিক করলো প্রাচুর্যকে বাসায় পৌছে দিবে। নাহলে প্রাচুর্যের বাসায় টেনশন করতে পারে।
প্রিয় প্রাচুর্যকে নিয়ে আবার রমনায় গেলো গাড়ি আনতে। প্রাচুর্যের ইচ্ছে করছে বাসায় না যেতে। সে প্রিয়র সাথে আরো সময় কাটাতে চায়। প্রাচুর্যের অবস্থা এখন “খাইতে পেলে বসতে চায়, বসতে পারলে শুতে চায়” প্রবাদের মতো। সে প্রিয়কে অনুনয়ের সূরে বললো, __আমি এখন বাসায় যেতে চাই না! আপনার সাথে আরো সময় থাকতে চাই।
প্রিয় প্রাচুর্যর আবেগটাকে প্রশ্রয় দিলো না। প্রাচুর্য এখনো ছোট, তাই দিন দুনিয়া ভুলে প্রিয়কে নিয়ে আবেগের সমুদ্রে ভাসছে। কিন্তু তাকে তার ফ্যামেলির কথাও ভাবতে হবে। প্রিয় প্রাচুর্যকে ভালোবাসে না ঠিকই, কিন্তু প্রাচুর্যর মঙ্গল ছাড়াও কিছু চায় না।অধিক ভালোবাসা কোন সময়ই ভালো কিছু দিতে পারে না।
প্রিয় প্রাচুর্যের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো। প্রাচুর্য ছোট বাচ্ছাদের মতো গাল ফুলিয়ে বসে আছে। প্রিয় সেটা বুঝতে পারলো। তাই প্রাচুর্যকে বললো,__ তোমাকে এখন অনেক কিউট লাগছে , পুরো বাচ্ছাদের মতো! সবাই সবার প্রেমিকাকে নানা নামে ডাকে, আমি ভাবছি তোমাকে বাচ্ছা বলে ডাকবো।
প্রাচুর্য কিছু বললো না, কিন্তু মুখে ভেংচি কাটলো। মনে মনে সে খানিকটা খুশিই হলো। প্রিয়র মনে সে এতটুকু যায়গা পেয়েছে, এট কমই বা কি করে হয়। কিন্তু মন বারন না শুনে প্রিয়র থেকে আরোও বেশি কিছুই এক্সপেক্ট করছে।
প্রিয় আবার বললো, এখন বাসায় যাও বাচ্ছা। আন্টিরা টেনশন করবে। কথা দিচ্ছি, এর পর যখন চাইবে আমাকে পাবে। ইনফেক্ট রাতেও যদি দেখা করতে চাও আমি আসবো!
প্রাচুর্য প্রিয়র কথায় খুশি হয়ে গেলো। প্রিয়যে তাকে শান্তনা হলেও এটা বলেছে, তা-ই অনেক বড় ব্যাপার। আধ ঘন্টা পর প্রাচুর্যকে প্রিয় বাসায় পৌছে দিলো। প্রাচুর্য উৎফুল্ল মনে বাসায় চলে গেলো। বাসায় গিয়ে ভাবলো, প্রিয়কে ম্যাসেজ দিবে। পরক্ষণেই আবার ভাবলো, দিনের অনেকটা সময়-ই তো আমার সাথে ছিলো। তাই এখন তাকে কিছুটা স্পেস দেওয়া দরকার।
দুপুর শেষ হয়ে যখন বিকাল হলো তখন প্রাচুর্য সামায়াদের বাসায় এলো। সামায়ার বিয়েটা এইচএসসি পরীক্ষার পরেই হবে। স্কুল জীবন সামায়া ঢাকাতেই শেষ করে, এরপর তার বাবা-মার সাথে সুনামগঞ্জ চলে যায়। সেখানেই সামায়ার কলেজ। তাই কাল দুপুরের দিকে সামায়ারা সুনামগঞ্জ চলে যাবে। পরীক্ষার পর ঢাকা এসে আবার বিয়ে করবে। প্রাচুর্য সামায়ার কাছে গিয়ে দেখলো সামায়া ফোনে কথা বলছে। সামায়া যে ইহানের সাথে কথা বলছে, সেটা প্রাচুর্যের বুঝতে দেরি হলো না। প্রাচুর্য এসেছে, তাই সামায়া দু’মিনিটের মধ্যেই ইহানের থেকে বিদায় নিয়ে নিলো। ইহান ভার্সিটির প্রফেসর । বেশ কম সময়েই দু’জন অনেকটা ক্লোজ হয়ে গেছে। সামায়া বেশ চঞ্চল, তাই কেউর সাথে মিশতে বেশি সময়ের দরকার হয় না।
সামায়া ফোন রাখতেই প্রাচুর্য বললো, __ সামু, আজ আমি অনেক খুশি! তুই ভাবতেও পারবি না, আজ কি হইছে।
সামায়া হেসে ভ্রূ কুঁচকিয়ে প্রাচুর্যকে জিজ্ঞেস করলো, __কি হইছে বল। আ’ম সো এক্সাইটেড!
জানিস, আজ প্রিয় আমাকে প্রপোজ করেছে। সকাল সাতটার দিকে আমাকে ফোন করে বাসা থেকে রমনায় নিয়ে গেলো। বারোটা পর্যন্ত আমরা ঘুরছি। জানিস না, এতো খুশি কখনো হই নি। তিন বছরের ভালোবাসা পূর্নতা পেলো আমার। ইস.. আজ পুরো দিন স্বপ্নের মতো গেছে আমার।
সামায়া বিষ্ময়কর ভাবে তাকালো। সে ভাবতেও পারে নি, প্রিয় এভাবে তার কথাটা শুনবে। সামায়া কথাটা শুনে খুব খুশি হয়ে গেলো। প্রাচুর্যকে বললো, __কি বলছিস, আমার তো বিশ্বাস-ই হচ্ছে না। সত্যি তোর জন্য অনেক বড় পাওয়া এটা। দোয়া করি, বিয়েটাও যেনো দ্রুত হয়ে যায়।
প্রাচুর্য লজ্জা পেয়ে গেলো। ইস.. কবে যে সে প্রিয়কে বিয়ে করবে। একবার যখন প্রিয়কে পেয়েছে, বিয়েও অবশ্যই হবে।
দু’জন মিলে অনেকক্ষণ গল্প করে পাঁচটার দিকে বাসায় চলে এলো প্রাচুর্য । তারপর একে একে সব বন্ধুদের আজকের ব্যাপারটা জানিয়ে দিলো প্রাচুর্য। তার খুশি যেনো আকাশ ছোঁয়া। সবাইকে জানাতে জানাতে রাত আটটা বেজে গেলো। এতক্ষণ খেয়ালই ছিলো না। আটটায় প্রাচুর্যের মা তার রাতের খাবার নিয়ে এলো।তখন তার হুস ফিরলো! প্রাচুর্য সব সময় সাতটা -আটটার মধ্যে ডিনার কবে ফেলে। ছোট থেকেই এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রাচুর্যের মা চলে গেলে সে খেতে খেতে প্রিয়কে ফোন দিলো। তিনবার কল দেওয়ার পরও ফোন না ধরায় প্রাচুর্যের মন খারাপ হয়ে গেলো৷ মন খারাপ নিয়ে খাবারটা খেয়ে নিলো৷
টেবিলের উপর তাকিয়ে দেখলো প্রিয়র দেওয়া সূর্যমুখী ফুল পরে আছে। সেগুলো নিজের কাছে নিয়ে এলো। প্রিয়র কথা ভাবতে লাগলো। তখন মাথায় এলো, অন্যরা যেভাবে তাদের ভালোবাসার মানুষের দেওয়া গিফট কালেক্ট করে, প্রাচুর্যও কি তাই করবে? অনেক ভেবে প্রাচুর্য সিদ্ধান্ত নিলো, সে-ও সব কিছু কালেক্ট করবে। তাই সে একটা বড় বক্স নিয়ে এলো আর ফুল গুলো সেখানে রেখে নিলো। ফুল গুলো শুকিয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু কোন এক ভাবে তার কাছে থাকলেই হয়।
#মনের_গহীনে
১২ তম পর্ব
লেখনীতে :নাদিয়া হোসাইন
নয়টার দিকে প্রিয় কল ব্যাক করলো। প্রাচুর্য তটস্থ গলায় বললো, __ কোথায় ছিলেন আপনি? সেই কখন থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি। চিন্তাও তো হয়, না-কি!
প্রিয় স্লান হেসে জবাব দিলো, __সরি বাচ্ছাটা! বাইরে ছিলাম, ফোনে চার্জ ছিলো না।
সত্যিই কি ফোনে চার্জ ছিলো না? কিছু লুকাচ্ছেন না তো?
প্রিয় এবার কিছুটা বিরক্তের সুরে বললো, আরেহ, সকাল থেকে তো তোমার সাথেই ছিলাম। তাই চার্জ দেই নি। বাসায় এসে আম্মুকে খালামনির বাসায় নিয়ে গিয়েছিলাম। আর খালামনি এতোক্ষণ ছাড়ছিলো -ই না। চাইলে চার্জ দিতে পারতাম, কিন্তু ফোনের কথা মাথায়-ই ছিলো না।
আচ্ছা ব্যাপার না। কি করছেন এখন?
এইতো বসে আছি, আর তোমার সাথে কথা বলছি। তুমি কি করতেছো? বাই দ্য ওয়ে, আগের মতো আমাকে তুমি করেই বলো। এতো সম্মানের দরকার নেই আমার।
প্রাচুর্য খানিকটা লজ্জা পেয়ে গেলো। এখনকার প্রিয়কে সত্যিই অন্য রকম মনে হচ্ছে। সে বুঝতে পারছে না, এতো দ্রুত প্রিয়ের পরিবর্তনের কারন। যা-ই হোক, ভালোই তো হচ্ছে! তাই আর মাথা ঘামালো না।
রাত একটা বাজতে চললো, প্রাচুর্য কথা বলেই যাচ্ছে অনবরত। প্রিয়ও প্রাচুর্যের কথার উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। বেশি কথা প্রিয় কখনো-ই পছন্দ করে না। কিন্তু এখন প্রাচুর্যের খুশির জন্য ওর সব কথা শুনে যাচ্ছে। কথার ফাকে প্রিয় বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে টান দিতে লাগলো। ইদানিং সিগারেট টাও অনেক আপন হয়ে উঠেছে। হয়তো এক সময় চেইন স্মোকারে পরিণত হবে। কিন্তু প্রাচুর্যর কথা গুলো ভালো লাগার জন্য তাকে স্মোক করতেই হবে। প্রাচুর্যকে বলা হয়নি, তার সিগারেট খাওয়ার কথা। মেয়ে মানুষ এই দিক-টা নিতে অনেকটা ওভার রিয়্যাক্ট করে। এটা হয়তো তাদের প্রেমিক পুরুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই করে! কিন্তু প্রিয় বলতে চাইলো না। এখন এই জিনিসটা ছাড়ার মুড নেই প্রিয়র। রাত দু’টায় প্রাচুর্য কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পরলো৷ প্রিয় প্রাচুর্যকে দু, তিন বার ডাক দিলো। এরপর নিশ্চিত হলো, প্রাচুর্য ঘুমিয়ে পরেছে। ফোনটা কেটে বেডের পাশে রেখে আবার বারান্দায় চলে গেলো। তার চোখে ঘুম নামক পাখিরা ধরা দিচ্ছে না। কি করেই বা দিবে। নিজের কষ্ট গুলো কেউর কাছে রপ্ত-ই করতে পারছে না। দিব্যি সবার সাথে মানিয়ে নিচ্ছে। প্রাচুর্যকেও নিজের কষ্টের কথা বলতে পারবে না। কেউ যে তার ভালোবাসার মানুষের মুখে অন্য কেউর নাম শুনতে পছন্দ করে না! প্রাচুর্যও নিশ্চয়ই পছন্দ করবে না। হয়তো মুখ ফুটে বলবে না, নিজের খারাপ লাগার কথা। কিন্তু কি লাভ নিজের কষ্টের ভাগ অন্য জনকে দেওয়া! ভোর রাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো প্রিয়।
দু’দিন পাড় হয়ে গেলো। দু’দিনে প্রাচুর্য সারাক্ষণই প্রিয়কে নিয়ে ভেবে গেছে৷ ক্ষনে ক্ষনে প্রিয়কে কল দিয়ে গেছে। প্রিয়র এতো কেয়ার বিরক্ত লাগছে, তাও মুখ ফুটে কিছু বলে নি। মানুষ যার কাছে এসব কেয়ার আশা করে, তার কাছ থেকে না পেয়ে উন্য কেউর কাছে পেলে বিরক্ত লাগাই স্বাভাবিক। তাও প্রিয় মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন তো নয় যে,প্রাচুর্য জোর জবরদস্তি করে প্রিয়র জীবনে ঢুকেছে! সে নিজেই তো প্রাচুর্যকে তার জীবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এখন খারাপ লাগাকে প্রশ্রয় দিলে বোকামি ছাড়া কিছু হবে না।
রাতের দিকে, প্রাচুর্য তার বাবা সুবহান সালেহ-র কাছে গেলো। তার বাবা – মা বরাবরই বিজি মানুষ। রাত ছাড়া তেমন সময় হয় না। সুবহান সালেহ পেপার পরছিলো। প্রাচুর্য বাবার কাছে গিয়ে পেপারের একটা পেজ বাবার কাছ থেকে নিয়ে নিলো। পেপারে বেশির ভাগই খুন খারাবির কথা লিখা থাকে। প্রাচুর্য রাশিফল দেখতে লাগলো। ছোট বেলা প্রাচুর্য ডেইলি পেপার পরে রাশিফল দেখতো। তখন এই জিনিসটাকে খুব বিশ্বাস করতো। একটু বড় হতেই দেখলো, কিছুই মিলে না। ঘুড়িয়ে পেচিয়ে একেক দিন একেক জনের টায় একই জিনিস লেখা থাকে। যেমন- আজকে মেষ রাশিতে লিখলো, “দূরের যাত্রা শুভ। কর্মব্যস্ত দিন হওয়ার পরও স্বাস্থ সুন্দর থাকবে। হাড়ানো প্রম ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। “এটা আবার ঘুড়িতে টুরিয়ে অন্য রাশিফলেও লিখা থাকে। তাই এখন আর এসব পড়া হয়-না। কিন্তু আজ সুবহান সালেহ কে কিছু কথা বলার জন্য তাকে সঙ্গ দিচ্ছে। পেপারটা রেখেই বাবাকে বললো, __বাবা বাসায় আর ভালো লাগছে না। বলছি যে, শান্তা ফুপির বাসা থেকে ঘুরে আসি!
প্রাচুর্যের বাবা তার দিকে চোখ ছোট করে তাকালো। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,__তুই তো কেউর বাসায় থাকতে পছন্দ করিস না। আজ হঠাৎ আমাকে বলছিস, ওর বাসায় যাওয়ার কথা।
তুমি তো জান-ই, আমি বাচ্ছা অনেক পছন্দ করি। আর জারিফ, যোহরাকে তো আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া , ফুপিকেও এতোদিন পর পেলাম।
আচ্ছা, শান্তাকে বলে রাখবো নি৷ আর কাল সকালের দিকে তোকে নিয়ে রেখে আসবো।
প্রাচুর্য খুশি মনে নিজের রুমে চলে এলো। প্রিয়কে ফোন দিয়ে অনেক কথা বললো, কিন্তু প্রিয়দের বাসায় আসার কথা আর বললো না। সে চায় প্রিয়কে সারপ্রাইজ দিতে। ইদানিং সে প্রিয়কে ছাড়া একদম-ই থাকতে পারে না। সারাক্ষণ-ই মন চায় প্রিয়র সাথে কথা বলতে। আগের তুলনায় স্বভাব আরো খারাপ হয়ে গেছে। ইস.. ভাবতেই অবাক লাগছে, প্রিয়দের বাসায় গেলে প্রিয়কে সারাদিন-ই দেখতে পাবে।
চলবে,
চলবে,