মায়ায় জড়ানো সেই তুমি পর্ব -৩৩

#মায়ায়_জড়ানো_সেই_তুমি
#পার্ট_৩৩
জাওয়াদ জামী

সাইফ রুমে বসে ল্যাপটপে কিছু করছিল। ওর পাশে তূর্ণা খেলনা নিয়ে খেলছে। তিয়াসা ওর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
” ভেতরে আসব। ” সাইফ দেখল তানিশা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
” এস ভাবি। তুমিও কিসব ফর্মালিটি শুরু করেছ! ভেতরে আসবে তাই জিজ্ঞেস করছ! ”
” এই রুমটা এখন আর শুধু দেবরের নয় আমার বোনেরও। আর ছোট বোনের রুমে জিজ্ঞেস না করে আসতে বলছ! তূর্ণা, মা তোমাকে পাপাই ডাকছে। ” তূর্ণা ছুট লাগিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
” সাইফ, তোমার সাথে কিছু কথা ছিল। কিছু সময় আমাকে দিতে পারবে? ”
” আমার এ বাড়িতে থাকার পেছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্বই তোমার। তাই তুমি আমার থেকে পারমিশন চেয়ে আমাকে ছোট করোনা। তুমি আমাকে অনুরোধ না করে আদেশ করবে৷ ”
” সেই কবেকার একটা বিষয় এখনও মনে রেখে দিয়েছ! বাড়ির বউ হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব ছিল বাড়ির ছেলেকে বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়ে আনা। আমি আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। সেই একটা দ্বায়িত্বের বিনিময়ে সারাজীবন তোমার কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করতে বলছ! ”
” একে সুবিধা ভোগ বলেনা, একে বলে অধিকারবোধ। আর আমার সাথে অধিকারবোধ খাটানোর অধিকার তোমার আছে। ”
” যাইহোক এবার কাজের কথায় আসি। এবার বল, তোমাদের দুজনের সময় কেমন কাটছে? ”
সাইফ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকে উত্তর গুছিয়ে নিতে।
” এইযে যেমন দেখছ তেমনভাবেই কাটছে। অবশ্য তোমার বোনের জন্য মন খারাপ হওয়ার, চুপচাপ থাকার কোন সুযোগ নেই। উঠতে-বসতে আমাকে আঙুলে নাচাচ্ছে। কোথায়, কিভাবে অপ্রস্তুত করবে সেই ছক আগে থেকেই কষে রেখেছে। এগুলোকে বেশ উপভোগ করছি। ”
“শুধুই উপভোগ করছ! তুমি কি ওকে নিয়ে সুখী নও ? ” তানিশার এমন প্রশ্নে সাইফ বেশ অপ্রস্তুত হয়ে যায়।
” আমার কাছে সুখ একটা আপেক্ষিক বিষয়। চাইলেও যেমন সুখ সহজে পাওয়া যায়না আবার একবার হাতের মুঠোয় আসলে দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে হয়। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে আমি সুখী। সবাইকে নিয়েই আমি সুখী। তবে দুনিয়াকে তুচ্ছ করার মত সুখী এখনও আমি হইনি। যেমনটা ভাইয়া হয়েছে। হ্যাঁ,তবে আমি চেষ্টা করছি। ”
” চেষ্টা কর কিন্তু বেশি দেরি করে ফেলনা যেন । যাতে এরজন্য পরে তোমাকে আফসোস করতে হয়। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও পায়ে ঠেলতে নেই। একমুঠো সত্যি ভালোবাসা কে না পেতে চায়। তুমি না চাইতেও পেয়েছ সেই দূর্লভ গুপ্তধন। যে ভালোবাসা আজ তোমার পায়ে এসে মাথা ঠুকছে তাকে ঠেলার মত ভুল কাজ করোনা। তাকে পায়ে না ঠেলে সযতনে বুকে তুলে নাও দেখবে তুমিও দুনিয়াকে তুচ্ছ মনে করবে। পেয়েও হারানোর দলে নিজের নাম লিখনা। আশা করছি এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলতে হবেনা। ”
” ধন্যবাদ ভাবি। এখন বুঝতে পারছি আজকাল তোমাকে দেখলে কেন মা মা ফিল আসে। ” সাইফের কথায় ঠোঁটের কোন প্রসারিত হয় তানিশার। আজ সাইফের এই একটা কথায় মনে হচ্ছে ওর নারীজীবন স্বার্থক। এতটা সম্মানও কি তার প্রাপ্য ছিল!
তানিশা বেরিয়ে গেলে সাইফ বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। আজ ভাবি যা বলে গেল তাতে একবিন্দুও ভুল নেই। তিয়াসাও সহধর্মিণী হিসেবে উপযুক্ত। সাইফের মাঝেমধ্যে মনে হয় ওকে শক্ত বাঁধনে বাঁধতে। পরক্ষণেই আবার নিজের অতীত রোমন্থন করতেই নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
” এই যে গোমড়ামুখে পেঁচা, নিন পেয়ারা খান। ” তিয়াসার ডাকে সাইফের ভাবনায় বিঘ্ন ঘটে।
তিয়াসা সামনে ডানহাত বাড়িয়ে রেখেছে। ওর হাতে ধরে রাখা বাটিতে টুকরো করে কেটে রাখা পেয়ারা। ওর অপর হাতে আরেকটা পেয়ারা যেটা সে খাচ্ছে। তিয়াসার হাতের ডাঁশা পেয়ারা দেখে লোভ হয় সাইফের। সে মুহুর্তের মধ্যে তিয়াসার বাম হাতে থাকা পেয়ারায় কামড় বসায়। তিয়াসা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে সাইফের দিকে।
” এটা কি হল! আমি তো আপনার জন্য এনেছি। তবুও এখান থেকে নিলেন কেন! আচ্ছা ছুঁচো তো আপনি। ”
” দেখলাম তোমার হাতেরটার স্বাদ বেশি না বাটির গুলোর স্বাদ বেশি। তুমি যত চালাক তাতে আমাকে বিস্বাদ পেয়ারা দিতেই পার। ” তিয়াসার হাত থেকে বাটি নিয়ে একটা টুকরো মুখে দিতে দিতে বলে সাইফ।
” একেতো আমার গাছের পেয়ারা । তারউপর খেলেন আমার ভাগেরটা আবার নিজের ভাগেরটাও খাচ্ছেন। তাও আমিই চালাক! আজকাল দিন দুনিয়ায় ভালো মানুষের বড় অভাব। ” তিয়াসার কাঁদোকাঁদো মুখ দেখে সাইফ বেশ মজা পাচ্ছে।
” ভালো মানুষের অভাব জন্যই তো আমার মত ইনোসেন্ট বাচ্চার ঘাড়ে এক অতি চালাক পেত্নী চেপেছে। আসলেই দিন দুনিয়া ভালো নয়। কোথায় আমার মত হ্যান্ডসাম, স্মার্ট, সৎ বাচ্চার কাছে হুর-পরী আসবে কিনা। তা না এসে আসল সেয়ানা পেত্নী। ”
” আমি পেত্নী তাইনা? ঠিক আছে এই পেত্নীকেই আপনার সারাটা জীবন সহ্য করতে হবে বলে দিলাম। একটু এদিক-সেদিক করলেই ঘাড় ম*ট*কা*ব। কত বড় সাহস আমাকে পেত্নী বলে! আজ আমি নিরীহ মানুষ বলে আপনি বেঁচে গেলেন। ” রা*গে প্রায় দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় তিয়াসা। ও যেতেই সাইফ অট্টহাসিতে ফেটে পরে। আচ্ছা জব্দ করেছে মেয়েটাকে।
সারাদিন তিয়াসা সাইফের আশেপাশে আসেনি আর না বলেছে কোন কথা। সাইফ লক্ষ্য করেছে ওকে দেখলেই তিয়াসা মুখ বাঁকাচ্ছে। দুপুরে খাবার সময় ওর প্লেটে মাংসের বদলে হাড়-চর্বি দিয়েছে । যদিও সে সেগুল মজা করেই খেয়েছে। রাতে খাবার সময়ও সেই একই অবস্থা। আবার রাতে ঘুমানোর সময় তিয়াসা বালিশ নিয়ে ডিভানে শুয়েছে। সাইফ এবার চিন্তায় পরে যায়৷ সামান্য পেত্নী বলায় এই অবস্থা! ” আল্লাহ আরও কি কি আমার জন্য অপেক্ষা করছে তুমিই ভালো জানো। ” নিজের সাথে কথা বলছে সাইফ৷
” এই যে মহারানী ক্লিওপেট্রা, ভিক্টোরিয়া, এ্যালিজাবেথ দয়া করে বিছানায় আসুন। আপনার তুলনায় ডিভান বেশ ছোট। ” জোড় গলায় তিয়াসাকে ডাকে সাইফ।
” আপনার বিছানায় আপনিই ঘুমান। আসছে দয়াবান, আমাকে দয়া দেখাতে। যাবনা আমি আপনার বিছানায়। ”
সাইফ দেখল অবস্থা বেগতিক। ‘এইরে পাগল চটেছে। একে আর ঘাঁটানো ঠিক হবেনা। ‘

” এত রাগ করতে নেই। রাগ করলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়। আর ব্লাড প্রেশার বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর একবার স্ট্রোক করলে শরীর প্যারালাইজড হওয়ার ভয় থাকে। আর একবার শরীর প্যারালাইজড হয়ে গেলে সারাজীবন বিছানায় শুয়ে কাটাতে হবে। তখন কোন জামাই তার অসুস্থ বউকে নিয়ে সংসার করতে চাইবেনা। সে বাধ্য হয়েই আরেকটা বিয়ে করবে। আমি আবারও বলছি জামাই বাধ্য হয়েই আরেকটা বিয়ে করবে। আবার ডিভানে শুলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। আর একবার শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধলে সারাজীবন ভুগতে হবে। আর কোন জামাই চাইবেনা তার বউ অসুস্থ থাকুক। তখন বাধ্য হয়েই আরেকটা পথ বাছতে পারে। ” সাইফের উঁচু গলায় কথার মাঝেই তিয়াসা ওর বালিশ বিছানায় ছুঁড়ে দেয়। এরপর সে বিছানায় উঠে খাটের কিনারায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে পরে।
সাইফ আড়চোখে একবার তিয়াসাকে দেখে নেয়। ওর ভিষণ হাসি পাচ্ছে কিন্তু একই খাটের প্রতিবেশির রাগ হতে পারে ভেবে অনেক কষ্টে চাপিয়ে রাখে।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গলে নিজেকে সাইফের খুব কাছে আবিষ্কার করল। ও সাইফের পিঠের সাথে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমাচ্ছিল! একটু ধাতস্থ হবার পর ওর ভিষণ ইচ্ছে হয় সাইফকে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু তখনই মনে পরে সে তো সাইফের উপর রে*গে আছে। সাথে সাথে ছিটকে সরে আসে খাটের কিনারায়।

পরদিন সকালেও তিয়াসার রা*গ নিবারন হয়নি। সকালের নাস্তায় সাইফের প্লেটে পরোটার বদলে রুটি দিয়েছে সাথে করলা ভাজি। শায়লা চৌধুরী জিজ্ঞেস করতেই তিয়াসা বলেছে, সাইফ রাতেই বলে রেখেছিল সকালে রুটি আর করলা ভাজি খাবে। বেচারা সাইফ চিপায় পরেছে। সে না পারছে কিছু বলতে আর না পারছে রুটি,করলা ভাজি খেতে। অনেক কষ্টে দুইটা রুটি খেয়ে অফিসে রওনা দেয় সাইফ।
তিয়াসার রাগের মেয়াদ ছিল দুই দিন। দুইদিন পর সব ঠিক হয়ে গেছে। আবারও সাইফের সাথে চলছে তার ননস্টপ দুষ্টুমি।

আয়েশা খাতুন তানিশা হসপিটাল থেকে আসার একদিন পরেই চলে গেছে। তারপর কেটে গেছে পঁচিশ দিন। কদম তলী থেকে এ কয়দিনে আর কেউই আসেনি। এদিকে তিয়াসাও বিয়ের পর বাবার বাড়ি যায়নি। আয়েশা খাতুন প্রায়ই তানিশাকে ফোন দিয়ে তিয়াসার গ্রামে না যাওয়ায় আফসোস করেন। তানিশাও ভাবে এবার তিয়াসার গ্রামে যাওয়া প্রয়োজন। সকালে খাবার টেবিলে তানিশা ওর বাবা-মা’ র ইচ্ছে জানায় সবাইকে। এখানেও সবাই রাজি হয়। কিন্তু সাইফের অফিসে নতুন প্রজেক্টের কাজ চলছে। আর সেই প্রজেক্ট চলছে সাইফের তত্বাবধানে। তাই তার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারবেনা।
” ছোট বউমা, সাইফের যাওয়া হচ্ছেনা তো কি হয়েছে! তুমি যাও। কয়েকদিন ঘুরেফিরে এস বাবার বাড়ি থেকে। ” জামিল চৌধুরী নিজের মতামত জানালেন। ”
” বাবা আমার ফাইনাল পরিক্ষার আর দেড়মাসের মত আছে। পরিক্ষার আগে আর কোথাও যাবনা। পরিক্ষা শেষ হোক তখন সবাই মিলে যাব। ”
যেখানে তিয়াসা নিজেই আপত্তি জানিয়েছে সেখানে আর কারও কিছু বলার থাকেনা। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নেয় তিয়াসার পরিক্ষার পর ওরা কদম তলী যাবে।
তানিশা রান্নাঘরে এসে টুকটাক কাজ করছে। তিয়াসাও আসে ওকে সাহায্য করতে। ছেলেরা সবাই অফিসে গেছে। জামিল চৌধুরী তূর্ণাকে নিয়ে স্কুলে গেছেন। সাথে শায়লা চৌধুরীও গেছেন। তূর্ণাকে স্কুলে দিয়ে তারা সাইরার বাসায় যাবেন। বেশ কয়েকদিন হয় সাইরাকে দেখেননি। তাই তাদের মন কেমন করছে।
তিয়াসা তানিশার হাতে হাতে কাজ করছে৷
” তিয়ু, তুই তো দেখছি আজকাল খুব চালাক হয়েছিস! ” তানিশা মিটিমিটি হাসছে।
” কি বলছ আপু! আমি আর চালাক! এটা কিন্তু ঘোর অন্যায়। আমি যেখানে চালাক বানানই জানিনা সেখানে নিজে চালাক হব কেমন করে! ”
” এই কথা ঘুরাবিনা একদম। তুই যে পরিক্ষার অযুহাত দিয়ে কদম তলী যেতে চাইলিনা কিন্তু তোর ভেতরে যে কি চলছে তা কিন্তু আমি ধরে ফেলেছি। সাইফ যেতে পারবেনা শুনে তুইও পাল্টি খেলি। আমার বোনটা দেখছি পিওর জামাই পাগলিনী। ”
তিয়াসা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
” ষিহ্ আপু, এভাবে বলতে নেই জানোনা। আমার লজ্জা পায় তো। ভালোই তো বেসেছি। চুরি তো আর করিনি। ” দু’হাতে মুখ ঢেকে জবাব দেয় তিয়াসা।
” থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। আসছে লজ্জাবতী লাজুকলতা। সারাদিন যত অকাজ করেন , তখন তো লজ্জার বালাই দেখিনা আপনার মাঝে। ” কাজের ফাঁকে দুবোন খুনসুটিতে মেতে উঠে।

প্রজেক্টের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে সাইফ। বাসায় ফিরতে একটু দেরি হচ্ছে। আবার বাসায় রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। সাইফ ল্যাপটপ নিয়ে ডিভানে বসেছে। আর তিয়াসা বিছানায় বসে পড়ছে। অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে করতে সাইফের মাথা ধরেছে৷
” তিয়াসা, মাথা ধরেছে। একটা ব্ল্যাক কফি হলে ভালো হত। ”
তিয়াসা কথা না বলে রান্নাঘরে যায়৷
” বেয়াই, এই নিন আপনার কালো কফি। স্পেশাল কফি এনেছি। এক চুমুকেই মাথা ব্যথা গায়েব। ”
বেয়াই ডাক শুনে সাইফের বুক ধক করে উঠে। আবারও শুরু করেছে এই মেয়ে।
” কালো কফি? এটা কি ধরনের ভাষা? আর তুমি আমাকে আবার বেয়াই ডাকছ! ”
” ব্ল্যাক হল কালোর বদলে কিন্তু কফির বাংলা আপাতত জানা নেই। জেনে নিয়ে সেদিন থেকে কফির বাংলা ব্যবহার করব। বুঝেছেন বেয়াই। ”
সাইফ বুঝতে পারে এই মেয়ের কথার উত্তর দিলেই কথা আরও বাড়বে। তাই সে চুপ করে থাকে।
অফিসের কাজ শেষ করতে বেশ রাত হয়ে গেছে। সাইফ সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত থাকায় শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পরে। তিয়াসা তখনও পড়ছে। সাইফের ফোন দুজনের বালিশের মাঝখানে ফাঁকা অংশে রাখা। তিয়াসা লক্ষ্য করল সাইফের ফোনে ম্যাসেঞ্জারে বারবার ম্যাসেজ আসছে। কয়েক সেকেন্ড পরপরই ম্যাসেজ টোন বেজে উঠছে। এত ম্যাসেজ কে দিচ্ছে! একের পর এক ম্যাসেজ আসছেই। তিয়াসা কৌতুহলবশত ফোন হাতে নেয়। কোন লক অথবা পাসওয়ার্ড দেয়া নেই। স্ক্রীনে ৩০+ ম্যাসেজ শো করছে সবগুলোই ম্যাসেঞ্জারে।
ফোন হাতে থাকা অবস্থাতেই আরেকটা ম্যাসেজ আসে। কাঁপা কাঁপা হাতে ম্যাসেজে আঙুল রাখে।
চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে লেখাগুলো। তিয়াসার হাত কাঁপতে থাকে। চোখে জমা হয়েছে অশ্রুকনা। অনেক ম্যাসেজের মাঝ থেকে একটা লেখায় ওর দৃষ্টি আটকে গেছে। সেখানে লেখা আছে It’s me, Linda Anderson.

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here