#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_2_3
.
.
.
.
আবিরের কথা শুনে তিশার মেজেজটা গরম হয়ে যায়……
তিশা রাগে বসা থেকে উঠে দাড়ায়….
তিশা : আমি বলেছি তো এক বার আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না….. আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারছেন না…… নাকি বুঝার চেষ্টা করছেন না……
তিশা এই কথাটা বলে ঘরে ভিতরে যায়….
তিশা : মা বাবা প্লিজ তোমরা আমার কথাটা একটু শুনো প্লিজ….
রেহেনা ইসলাম আর নিসা তিশার কাছে আসে….
তিশা : মা বিশ্বাস করো ওই লোকটা সব মিথ্যা কথা বলছে আমি ওই লোকটাকে বিয়ে করে নি…. আমি তো ওই লোকটাকেও চিনি না…..
রেহেনা ইসলাম : তিশা তুই চলে যা এই বাড়ি থেকে…. তর বাবার শরীরটা ভালো না তকে দেখলে হয়তো আরও অসুস্থ হয়ে যাবে প্লিজ তুই চলে যায় প্লিজ…… আমি তকে হাত জোর করে বলছি তুই চলে যায় আর কোনো দিন এই বাড়িতে আসবি না কোনো দিন না……
তিশা : মা তুমিও আমাকে অবিশ্বাস করছো…
রেহেনা ইসলাম : হে করছি অবিশ্বাস কারণ ওই পেপারগুলো সব সত্যি যেখানে তর নিজের সাইন আছে….. তাই তুই চলে যা এই বাড়ি থেকে আর এই বাড়িতে থেকে তুই অশান্তি বাড়াস না তর বাবার অবস্থাটা একটু বুঝ লোকটা আজকে অনেক আপমানিত হয়েছে তর জন্য আমি আর চাই না তুই এখানে থেকে ওনার আরও শরীর খারাপ হয়ে যাক …. তুই যদি আমাদের ভালো যাস তাহলে চলে যা এই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় …..
তিশা : ঠিক আছে মা আমি চলে যাচ্ছি এই বাড়ি ছেড়ে তোমরা যখন চাও আমি এইবাড়িতে না থাকি তাহলে তাই হবে আমি চলে যাচ্ছি এই বাড়ি ছেড়ে আর কোনো দিন আসবো না কোনো দিন না……
তিশা বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে দেখে আবির দাড়িয়ে আছে আবিরকে দেখে তিশার রাগটা দিগুন বেড়ে যায়…. তিশা দৌড়ে গিয়ে আবিরের কলার চেপে ধরে….
তিশা আবিরের কলার ধরাতে আবির কিছুই বলে নাই বরং ওর ভালোই লাগছে তিশা ওর কাছে আসাতে… অন্য কেউ যদি আবিরের কলার ধরতো তাহলে আবির হয়তো এভাবে দাড়িয়ে থাকতো না রাগে যে দুটো হাত দিয়ে আবিরের কলার ধরেছে সেই দুটো হাত ভেঙ্গে দিতো…
তিশা : কেন আমার সাথে এমনটা করলেন কেন??? কি দুষ করেছি আমি কি দুষ…..
তিশা আর কিছু বলার আগেই আবিরের গায়ের উপর ঢলে পড়ে….
আবির : তিশা তিশা কি হলো তোমার???? প্লিজ কথা বলো
তিশা অজ্ঞান হয়ে যায় আবির তিশাকে তাড়াতাড়ি করে কোলে তুলে নিয়ে গাাড়িতে শুয়ে দেয়…. আবিরের কোলের উপর তিশার মাথাটা রাখে…. আর ড্রাইভার গাড়ি ড্রাইভ করছে…..
প্রায় আধ ঘন্টা পর তিশার জ্ঞান ফিরে নিজেকে অবিষ্কার একটা বড় খাটে তিশা ধপ করে উঠে বসে সামনে তাকিয়ে দেখে আবির ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবিরের এমন ভাবে তাকানো দেখে তিশার রাগ উঠে যায়….
তিশা : আমাকে এখানে কোন সাহসে আনা হয়েছে???
আবির উঠে দাড়ায় কিন্তু কিছু বলছে না….
তিশা : কি হলো কথা বলছেন না কেন?? আর আমি কোথায়… কোথায় নিয়ে এসেছেন আমাকে???
তিশা ভালো করে সারা ঘরে তাকিয়ে দেখে অনেক সুন্দর করে ঘরটা সাজোনো ঘরের চারিদিকে দামি দামি সব জিনিসপএ…….
তিশা : কি হলো বলুন????
আবির : রিলেক্স শান্ত হও তুমি….
তিশা : শান্ত হবো মানে আপনি আমার জীবনটা পুরা ধ্বংস করে বলছেন আমি শান্ত হবো….. আর ওই সব বিয়ের পেপারের আমার সাইন আসলো কোথা থেকে আমি তো এমন কোনো কিছুতে সাইন করে নাই যেটাতে আপনার সাথে আমার বিয়ের কথা ছিলো তাহলে এসব পেপারের সাইন আসলো কোথা থেকে আমার বলুন???
আবির : জানতে চাও তাই না কোথা থেকে আমাদের বিয়ের কাবিন নামাতে তোমার সাইন এসেছে…..
তিশা : হে জানতে চাই…… আর বিয়ে এই ছেলেখেলা বিয়ে আমি মানি না বুঝতে পেরেছেন আপনি….
আবির : তুমি মানো আর না মানো তুমি আইনগত ভাবে আমার স্ত্রী আর সারাজীবন আমার স্ত্রী হয়েই থাকবে বুঝলে…..
তিশা : আপনার স্ত্রী আমি হয়ে থাকবো কোনো দিন না যেখানে আমার অজান্তে আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন সেখানে আপনাকে আমি আমার স্বামী হিসেবে মানি না…. আর আপনি কি করে আমাকে বিয়ে করলেন এ রকম ভাবে কি আপনি সব মেয়েদের বিয়ে করেন আর মেয়েরদের বিয়ের সময় গিয়ে হাজির হয়ে নিজেকে ওই মেয়ের স্বামী দাবি করেন….
আবিরের রাগ উঠে যায় তিশার লাস্ট কথাটা শুনে…. আবির রাগে তিশার দু বাহু চেপে ধরে বলে দাতে দাত চেপে বলে….
আবির : একদম চুপ আর একটা কথা বলবে না আর কি বলছিলে তুমি আমি সব মেয়েদেরকে বিয়ে করে তারপর ওদের বিয়ের সময় গিয়ে ওদের বাড়িতে হাজির হই আরে তুমিই প্রথম মেয়ে যাকে প্রথম দেখাতে ভালোবেসেছি তাই তোমাকে যাতে আমি না হারাই তারজন্য আমি তোমার অজান্তেই আমি তোমাকে বিয়ে করেছি বুঝলে তুমি…..
তিশা আবিরের রাগ দেখে খুব ভয় পায় কারন এত ক্ষন যাবত আবির একটুও রাগ দেখায় নি তিশার সব কথা শান্ত হয়ে শুনেছে…..
তিশা : আমাকে ছাড়ুন প্লিজ আমার খুব লাগছে…..
আবির তিশাকে ছেড়ে দেয়….
আবির : আর শুনো তোমাকে আমি কি করে বিয়ে করেছি….. ওই দিন যখন তুমি নিজেকে গুন্ডাদের হাত থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য আমাকে নিজের স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলি ওই দিনেই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলছিলাম…. তুমিই প্রথম মেয়ে যাকে দেখে আমার বুকের ভিতরে একটা অদ্ভুদ অনুভব হয়েছিলো… তোমার ওই চোখ তোমার ওই হাসি তোমার ওই গোলাপি ঠোট তোমার ওই ঘন কাজল কালো চুল সব কিছু মিলিয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি তোমার জন্য….. শুধু মাএ তোমার ওই মায়াবী মুখটা দেখার জন্য আমি অফিসের সব কাজ ফেলে রেখে তোমাকে এক বার দেখার জন্য তোমার কলেজে আসতাম….. যে আবির রহমান কাজ ছাড়া কোনো কিছু ভাবতে পারতো না সেই আবির রহমানের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলে তুমি তখনেই আমি বুঝতে পেরেছি তুমি সেই মেয়ে যাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো ভেবেছিলাম তোমার বাবা মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো কিন্তু পরে জানতে পারি তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে…. যখন তোমার বিয়ে হয়ে যাবে কথাটা শুনি তখন নিজেকে খুব পাগল পাগল লাগতো…… আর তখন তোমাকে আমি বিয়ে করার প্লেন করি আর তোমার বিয়ের দিনেই হাজির হবো ভেবে রেখেছিলাম….. আর তোমাকে আমি বিয়ে করি কি করে জানো??? মনে আছে তোমার তুমি এক বার নাম করা রহমান রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলে তোমরা সবাই বন্ধু মিলে….. আর তোমাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় নি…. তখন অব্যশ তোমার একটু সন্দেহ হয়েছিল টাকা না নেওয়ার জন্য যেটা তোমার মুখ দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম….
তিশা : তার মানে ওই দিন আপনি টাকা দিয়েছিলেন যার জন্য টাকা নেওয়া হয় নি আমাদের কাছ থেকে….
আবির : হে কারন ওই রেস্টুরেন্টা আমার আর আমার বউ আমার রেস্টুরেন্ট খাবে তাও আবার টাকা দিয়ে তা কি করে …..
তিশা : তার মানে ওই রেস্তোরাটা আপনার….
আবির : হুম যেখানে আমাদের দুজনের বিয়েটা হয়েছিল….
তিশা : কিহ???
আবির : হে ওখানেই আমাদের বিয়ে হয়েছে আমি ভাবতেই পারি নি তুমি নিজেই আমার কাছে এসে ধরা দেবে….. তুমি যেখানে বসে ছিলে ঠিক ওপর সাইডেই আমি বসা ছিলাম কিন্তু তুমি আমার মুখ দেখো নি কিন্তু আমি তোমার গলা শুনেই ঠিকেই তোমাকে চিনতে পেরেছিলাম….. তোমার মনে আছে একজন তোমার কাছে কত গুলো পেপার এনেছিল আর সাইন করে দিতে বলেছিল…..
তিশা : হে মনে আছে……..
আবির : বল তো ওই গুলো কিসের পেপার ছিল….
তিশা : আপনার রেস্টুরেন্টে আর আপনি জানেন না কিসের পেপার …
আবির : না জানি না তুমি বলো শুনি….
তিশা : শুনুন আমি এতটাও ভালো মুডে নেইযে আপনার এসব আজাইরা প্রশ্নের উত্তর দিবো….
আবিরের কথা শুনে তিশার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে……
#চলবে
গল্প কেমন লাগছে আপনাদের প্লিজ বলবেন….
#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_3
.
.
.
.
আবির : ওকে তাহলে শুন ওই পেপার গুলোই আমাদের বিয়ের কাবিন ছিলো যেটাতে সাক্ষী হিসেবে তোমার সব বন্ধুরা সাইন করেছিলো…..
তিশা : হোয়াট??? কিন্তু লোকটা তো বলেছিলো এই রেস্টুরেন্টের নিয়ম নাকি এখানে সাইন করে খাবার অর্ডার করতে হয়…..
আবির : হা হা হা তুমি এতটা বোকা আমি জানতাম না যদি তুমি ভালো করে পেপার গুলো চেক করে দেখতে তাহলে হয়তো তুমি বুঝতে পারতে এগুলো কিসের পেপার ছিলে….. কিন্তু কি আর করার বলো তোমার কপালে লিখা আছে আমি তোমার স্বামী হবো তাই হয়তো এমন কিছু হয়নি…..
তিশার হঠাৎ করে রাগ উঠে যায় আর আবিরের কলার চেপে ধরে…..
তিশা : আপনার সাহস হলো কি করে আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করার….
তিশা রাগের কারণে ভুলেই গেছিলো যে ও আবিরের কলার ধরার কারনে আবিরের অনেক কাছে চলে এসেছে….. আবিরের প্রতিটা নিশ্বাস তিশার মুখে পড়ছে আবির তিশার দিকে মুগ্ধ হয় তাকিয়ে আছে….. আবিরের এমন ভাবে তাকানো দেখে তিশা বুঝতে পারে যে ও আবিরের অনেক কাছে চলে এসেছে তিশা সরে আসতে চাইলে আবির তিশার উনমুক্ত কোমড় চেপে ধরে আবিরের ছোয়া পেয়ে তিশা কেপে উঠে….. আবির তিশাকে আরও কাছে টেনে নেয় নিজের কাছে…..
তিশা : কি করছেন কি আপনি??? ছাডুন আমাকে…
আবির : তুমিই তো প্রথমে আমাকে ধরেছো তাহলে এখন ছাড়তে বলছো কেন???
তিশা : ছাড়ুন বলছি আমাকে….
আবির : যদি না ছাড়ি তাহলে কি করবে??
তিশা : আপনার লজ্জা করে না একটা অচেনা মেয়েকে এভাবে ধরে আছেন ছাড়ুন বলছি….
আবির : কিহ?? অচেনা মেয়ে তুমি কিন্তু আমি তো জানি তুমি আমার বিয়ে করা একটা মাএ বউ.,..
তিশা : আমি আপনাকে আমার স্বামী হিসেবে মানি না বুঝেছেন…… আমাকে ছাড়ুন বলছি না হলে কিন্তু এর ফল ভালো হবে না….
আবির : তোমাকে না ছাড়লে এর ফল ভালো হবে না তুমি বলছো তাই তো….. ওকে দেখে তুমি কি করে আমার হাত থেকে ছাড়া পাও…..
তিশা নিজেকে আবিরের কাছে থেকে ছাড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু একটা ছেলের কাছে তো আর একটা মেয়ের শক্ত কিছুই না…. আবির তিশার দিকে নিজের দু ভ্রু নাচায়…..
তিশা : ভালো হচ্ছে না কিন্তু আমি শেষ বারের মতো বলছি আমাকে ছাড়ুন না হলে কিন্তু আমি…..
আবির তিশাকে নিজের আরও কাছে টেনে ণেয়…..
আবির : না হলে কিন্তু তুমি…. কি করবে??? চিৎকার করবে
তিশা : হে তাই করবো…..
আবির : ওকে করো…
তিশা চিৎকার করতে যাবে সাথে সাথে আবির তিশার গোলাপি ঠোটে নিজের ঠোট বিলিয়ে দেয় তিশার চোখ দুটো তো রাসগোল্লার মতো বড় বড় হয়ে যায় তিশা আবিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে নিজের ঠোট মুজতে থাকে আবির তিশার এমন কান্ডা থেকে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে….. তিশা রাগে বলে ওঠে….
তিশা : আপনার সাহস কি করে হলো আমাকে কিস করার…..
আবির কোনো কথা বলে তিশার সামনে থেকে চলে যায় তিশা আবিরের এমন ভাবে চলে যেতে দেখে তিশার রাগটা আরও বেড়ে যায়….
তিশা : কি হলো??? আমি তো আপনাকে কিছু বলছি…..
আবির প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাড়ায়…
আবির : হুম কি বলছো তুমি???
তিশা : আপনার সাহস কি করে হলো আমার ঠোটে কিস করার…. কোন অধিকারে আপনি আমাকে কিস করেন….
আবির : কেন স্বামীর অধিকারে…..
তিশা : আর কত বার বলবো আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না…..
আবির তিশার দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যায়….
তিশা : কি হলো আপনি আমার দিকে আসছেন না…… একদম এগুবেন না
তিশা পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে লেগে যায়….আবির তিশার চুলের খোপাটা খুলর দিয়ে তিশার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে…..
আবির : তুমি নিজেই একদিন আমাকে সব অধিকার দিবে যেটা একজন স্বামীর কাছে থাকে বুঝেছে আমার সুইটহার্ট…… যাই হোক ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়ো….
আবির তিশার কাছ থেকে সরে আসে….
তিশা : আপনাকে আমি কোনো দিনও আমার স্বামী হিসেবে মানবো না বুঝতে পেরেছেন আপনি মরে গেলেও না…..
আবির কোনো কথা না বলে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়….. আর এই দিক দিয়ে তিশা রাগে সাপের মতো ফুসছে…
তিশা : খুব শখ না আমাকে নিজের বউ করার …. আমাকে তর বউ করার স্বপ্ন যদি না গুজিয়েছি তাহলে আমার নামও তিশা না আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিস তুই তর জীবনটাও আমি নষ্ট করে দিবো তর সাথেই থেকে…..
আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে তিশা আগের জায়গাতে দাড়িয়ে আছে….
আবির : আমাকে বকা যদি তোমার শেষ হয়ে থাকে তাহলে ফ্রেস হয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ো……
তিশা আবিরের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকায়….
আবির : কি হলো এভাবে তাকাছো কেন আমার দিকে????
তিশা : ( এই ব্যাটা বুঝলো কি করে যে আমি তাকে বকছিলাম নিশ্চয়ই ওয়াশরুম থেকে সব শুনেছে আমি কি কি বলছিলাম কিন্তু শুনলো কি করে ওয়াশরুমে তো পানির শব্দ হচ্ছিল)
আবির : জি না ওয়াশরুম থেকে কিছু শুনি নি তুমি কি কি এখন বলতে পারো সব আমার জানা….. যাও এখন ফ্রেস হও গিয়ে…..
তিশা আবিরকে একটা ভেঙ্গচি কেটে ওয়াশরুমে চলে যায়……. তিশা ফ্রেস হয়ে দেখে আবির লেপটপ নিয়ে কাজ করছে……
তিশা : ( কাজ করা হচ্ছে না দাড়া তর কাজ আমি করাছি খুব শখ না আমাকে বিয়ে করে ঘরে তুলার এবার দেখ ঘরে বউ দেখলে কি অবস্থা হয়)
তিশা আবিরের সামনে গিয়ে হাজির হয়….
তিশা : এই যে আমার খুব খিদে পেয়েছে কিছু খাবার নিয়ে আসুন গিয়ে আমার জন্য…..
আবির কোনো কথা বলছে না…..
তিশা : আরে আজব তো আমি আপনাকে কিছু বলছি তো….. ( জোরে চিৎকার করে)
আবির : কি হয়েছে??? এভাবে ষাড়ের মতো চিৎকার করছো কেন???
তিশা : কি আমি ষাড়….
আবির : তা নয় তো কি এভাবে ষাড়ের মতো চিৎকার করছো কেন তাহলে???
তিশা : শুনুন যখন আমাকে বিয়ে করে এখানে এনেছেন তাহলে আপনার উচিত আমাকে খাওয়ানোর তাই আমাকে কিছু খেতে দিন….
আবির : ঘরে খাওয়ার মতো কিছু নেই….
তিশা : মানে…. তাহলে কি আমি সারা রাত না খেয়ে থাকবো…
আবির : হে থাকতে হবে…..
তিশা : না হ আমি পারবো না আমার খুব খিদে পেয়েছে প্লিজ কিছু খাবারেে ব্যবস্থা করেন…
আবির : করবো তবে একটা শর্ত আছে… ( সোফাতে আরাম করে বসে)
তিশা : শর্ত কি শর্ত????
আবির : শর্তটা খুব সহজ তুমি চেষ্টা করলেই হয়ে যাবে…..
তিশা : আগে বলুন কি শর্ত???
আবিরের শর্তের কথা শুনে তিশার মাথায় মনে হচ্ছে যেন কেউ বাড়ি দিছে একে তো পেটের ভিতর ইদুর দৌড়াছে তার উপর আবার এমন শর্ত…..
#চলবে