মিশে_আছি_তোমাতে পর্ব ২০+২১

#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_20
.
.
.
.

মায়রা চৌধুরী বাবা মার একমাএ সন্তান….( ডায়রা নামটা অনেকেরই পছন্দ হয়নি তাই ডায়রা থেকে মায়রা দিলাম এবার পছন্দ না হলে কিছু করার নেই) মায়রা ছোট বেলা থেকে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে মায়রা আগে বাবা মা সহ সবাই দেশেই থাকতো কিন্তু পাচ বছর ধরে মায়রা দেশের বাইরে থাকে…. আর এখন মায়রা বিজনেসের কাজে দেশে এসেছে ছোট বেলা থেকে আবিরের সাথে ফ্রেন্ড মায়রার কিন্তু মায়রা আবিরকে বন্ধুর চোখে দেখতো না ও মনে মনে আবিরকে ভালোবাসে কিন্তু এখনও আবিরকে বলে ওঠে নি ওর মনের কথা ‌…. ভেবেছিল এবার দেশে এসে আবিরকে সব বলবে কিন্তু আবিরের বিয়ে হওয়ার কথা শুনে মায়রা খুব কষ্ট পেয়েছে যার জন্য হয়তো মায়রা যা কিছু করতে পারে আবিরকে পাওয়ার জন্য……

আবির আর মায়রা গাড়িতে বসে আছে….

আবির : মায়রা তুমি কোথায় উঠেছো???

মায়রা কোনো কথা বলছে না?? ওর কানে এখন সেই কথাটা ভাসছে তিশা আবিরের স্ত্রী….

আবির : মায়রা….. ( জোরে)

মায়রা : হে….

আবির : বলছি তুমি কোথায় উঠেছো?? এখানে তো কেউ নেই তোমার….

মায়রা : ( আমাকে যে করেই হোক আবিরের বাড়িতেই থাকতে হবে না হলে ওই তিশার নামের কাটাটা আমি সরাতে পারবো না) আবির আসলে আ‌মি একটা হোটেলে উঠেছি আর তুমি তো জানো আমি বেশি দিন হোটেলে থাকতে পারি তাই ভাবছিলাম তোমার‌ বাড়িতে যদি আমি থাকি যত দিন না কাজ শেষ হচ্ছে…..

আবির : হে হে অব্যশই আমরা বাড়িতেই তুমি থাকতে পারো আমার বাড়িটা এতটাও ছোট না যে তুমি থাকতে পারবে না….

মায়রা : ধন্যবাদ আবির…

আবির : আচ্ছা তুমি কি রাগ করেছো আমার উপর!!!!

মায়রা : কি কারনে???

আবির : এই যে আমি তোমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছি….

মায়রা : না না তুমি আমাকে বিয়ে না জানিয়ে করতেই পারো তাতে আমি কেন রাগ করবো বলে….

আবির : আচ্ছা চলো সকালে তো ব্রেকফাস্ট করা হয় নি ব্রেকফাস্ট করি গিয়ে কোথাও…..

মায়রা : হুমমম( তিশা তুমি কাজটা একদম ঠিক করলে না আমার আবিরকে তুমি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবে তা তো কিছুতেই হবে না কিছুতেই না আবিরকে পাওয়ার জন্য যদি তোমাকে রাস্তা থেকে সাড়াতে হয় আমি তাই করবো)

এ দিকে আবির বসে বসে হাতের নখ কামড়াছে মায়রার চিন্তায়….

তিশা : এই মায়রা না কায়রা আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে না ওকে তো আমি ছাড়বো না…. ওর লক্ষ্যন সুবিধার ছিলো না যখন জানতে পারে আমি ওনার স্ত্রী আমার স্বামীটাকে চোখে চোখে রাখতে হবে….. এখন নিশ্চয়ই এই ডায়রিয়াটা আমার স্বামীটার সাথে আছে না জানি আমার স্বামীরটার সাথে কি করছে এখন…. একটা ফোন করি ওই বজ্জাতটাকে….

তিশা আবিরকে ফোন করে কিন্তু আবির ফোনটা ধরে না…. তিশা দুই তিন বার ফোন করে কিন্তু আবির ফোন ধরে না…..

তিশা : এত বড়ো সাহস আমার ফোন ধরে না….. কি এমন কাজ করছে যে নিজের বউয়ের ফোনটা ধরতে পারে না…. ওই ডায়রিয়া কিছু করে নি তো আবার…..না আামকে এখনেই অফিসে যেতে হবে গিয়ে দেখতে হবে

এদিকে আবির মিটিং থেকে বের হয়ে দেখে তিশা ফোন করেছিল আবির তো তিশার ফোন করেছে দেখে ভীষন আবাক হয় কারন আজ পর্যন্ত তিশা কোনো দিনও আবিরকে ফোন করে নি আর আজকে এতো গুলা ফোন আবিশ্বাস….. আবির তাড়াতাড়ি করে তিশাকে ফোন করে….. তিশা ওয়াশরুম থেকে এসে ফোনটা পিক করেই বলতে শুরু করে…..

তিশা : কোথায় ছিলেন এতক্ষন আপনি??? আমি এত বার আপনাকে ফোন করেছি আর আপনি একবারও ফোন ধরতে পারেন নি…. ওই মায়রা না ছায়রা ওর সাথে ছিলেন আপনি তাই না…..

তিশা একদমে কথা গুলো বলে জোরে জোরে শ্বাস নেয়…..

আবির : তিশা তুমি একটু শান্ত….

তিশা : কি শান্ত হবো আমি আপনি যদি ওই‌ ডায়রিয়ার‌ সাথে যদি থাকেন তাহলে কিন্তু খবর আছে আপনার…..

আবির তো পুরাই আবাক তিশার এমন রুপ দেখে….

আবির : তিশা আমি ডায়রিয়া মানে ওই মায়রার সাথে ছিলাম না মিটিংয়ে ছিলাম আমি তাই ফোন ধরতে পারি না….

তিশা : ওও তাই বলুন ওটা আগেই বললেই হতো তাহলে তো আমি এত কষ্ট করে এত গুলো কথা বলতাম না…..

আবির : বলার সুযোগ তুমি দিয়েছো আমাকে ফোন ধরার সাথে সাথেই তুমিই কথা বলা শুরু করলে…..

তিশা : আচ্ছা ওই ডায়রিয়া থুক্কু ওই মায়রা কোথায়??? আপনার সাথে আছে নাকি

আবির তিশার কথা শুনে বুঝতে পারে তিশার খুব জ্বলছে মায়রার জন্য….

আবির : কেন?? মায়রার কথা চানতে চাইছো কেন???

তিশা : এমনি জাস্ট বললাম আর কি….

আবির : আচ্ছা তুমি কি কোনো ভাবে জেলাস ফিল করছো মায়রা আমার সাথে আছে বলে….

তিশা : জেলাস আমি…. আমি আমি কেন জেলাস ফিল করবো আমি অনেক ভালো মেয়ে বুঝলেন তাই কাউকে আমি জেলাস করি না বুঝলেন….

আবির : হুম তা তো বুঝতেই পারছি…. কার কতটুক জেলাস ফিল হচ্ছে…

তিশা : ভালো হয়েছে বুঝতে পেরেছেন এখন সবাইকে দাওয়াত করে এই খুশিতে খাওয়ান….

তিশা ফোনটা কেটে দেয়….

আবির : পাগলি একটা….. আমি বুঝতে পারছি তুমি তো আমার প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছো এখন শুধু আমার তোমাকে ধরার পালা…..

তিশা বুকে হাত দিয়ে বসে আছে আবিরের সাথে তিশা যখনেই কথা বলে কেন জানি তিশার সব কিছু অস্থির হয়ে যায়….

তিশা : তিশারে তুই গেছিস ওই বজ্জাতটার প্রেমে তুই সত্যি পড়ে গেছিস…..

সন্ধ্যার সময় কলিংবেলের আওয়াজ পেতেই তিশা তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেয় দরজা খুলতেই তিশা আবাক হয়ে যায় তিশা একদমই প্রস্তুত ছিলো আবিরের পাশে মায়রাকে দেখার জন্য….. আবির আর মায়রা ভিতের ডুকে….

তিশা : ও এখানে কেন??

মায়রা : আজ থেকে আমি এখানে থাকবো???

তিশা : ( আমি জানতাম তুই এমন কিছু একটা করবি তার জন্য আগে থেকে সব কথা মনের ভিয়ের সাজিয়ে রেখেছি এখন শুধু বলার আপেক্ষা) হে হে তুমি এখানে থাকতে পারো আসলে এত বড়ো বাড়িতে আমরা মাএ কয়েকজন থাকি তাই আমি ভাবছিলাম যদি কোনো আশ্রিতার এখানে এনে রাখতে পারতাম তাহলে খুব ভালো হতো কিন্তু এখন তো তুমিই চলে এসেছো তাই এখব আর কোনো আশ্রিতার প্রয়োজন নেই…..

মায়রা : হোয়াট??? তুমি কি বলতে চাইছো????

আবির : মায়রা প্লিজ কিছু মনে করো না ও এভাবে বলতে চাই নি…….. তিশা কি সব আজে বাজে কথা বলছো তুমি….

তিশা : আজে বাজে কথা আমি কখন বললাম যা বলছি সব ঠিকেই বলছি…..

আবির তাড়াতাড়ি করে একজনকে ডেকে বলে মায়রাকে রুমটা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য….

আবির : তিশা তুমি এসব কি বলছিলে তুমি জানো ও কে বড় লোকের এক মাএ মেয়ে….

তিশা : হুমমমমম বড় লোক না ছাই যদি বড় লোক হতো না তাহলে এখানে এসে উঠতো না কোনো হোটেলে গিয়ে উঠতো কারো বাড়িতে এভাবে উঠতো না বুঝতে পেরেছেন….

আবির : তিশা তুমি পাগল হয়ে গেছো ঘরে চলো…..

মায়রা উপরে দাড়িয়ে থেকে তিশার সব কথা শুনো….

মায়রা : ( এত বড় আপমান করলে আমাকে তুমি তাই তো এই আপমানের প্রতিশোধ তি আমি ঠিকেই তুলবো তিশা তুমি আমাকে চিনো না তোমাকে কিভাবে বারোটা বাজাতে হয় সেটা আমার খুব ভলো করে জানা আছে “Just wait and watch”)
#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_21
.
.
.
.
রাতে সবাই একসাথে বসে ডিনার করছে…..

নিরব : মায়রা আপু তুমি তো আগের যে বেশি কিউট হয়ে গেছো…

মায়রা : তাই বুঝি….

নিরব : হুমমমম…..

তিশা : ( হুমমমম কিউট না ছাই শাকচুন্নি একটা)

নিরব : আচ্ছা মায়রা আপু এবার তাহলে তুমি বিয়েটা করে নাও বুঝলে ভাইয়ার তো বিয়ে হয়ে গেছে এবার তোমার বিয়ে করার পালা…..

মায়রা : হে নিরব আমি তো বিয়ে করবোই তার আগে আমার পথ থেকে একটা বড় কাটা সরাতে হবে…..

আবির : মানে…..

মায়রা : না কিছু না…..

তিশা : ( জানি তো তুই আমাকেই কাটা বলেছিস কোনো সমস্যা নেই আমি যখন তর কাটা তাহলে তুইও আমার কাটা আর এই তিশা জানে কি করে কাটা সরাতে হয় আজ থেকে কাটা সরানো শুরু করলাম…. খা না খা আরও বেশি করে খুব শখ না আমার বরকে বিয়ে করার একটু পরেই মজা টের পাবি নাম তো আমি তকে ডায়রিয়া দিয়েছি এবার তো তর সত্যি সত্যি ডায়রিয়া হবে)

মায়রা : আচ্ছা আমার হয়ে গেছে আমি এবার আসি…..

তিশা : ( ঘরে পা রাখতেই ঔষধের কাজ শুরু হয়ে যাবে…. এই সিনটা মিস করা যাবে না) আচ্ছা আমরাও খাওয়া শেষ আমি আসি…..

মায়রা ঘরে ডুকে বিছানাতে বসতেই পেট মুজোর দিয়ে ওঠে…. মায়রা তাড়াতাড়ি পেটে হাত রাখে…..

মায়রা : আহ….. কি হলো আমার??? পট এতো ব্যাথা করছে কেন হঠাৎ

মায়রা তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে ওয়াশরুমে যায়…. কিছুক্ষন পরেই মায়রা ওয়াশরুম থেকে বের হয়…..

মায়রা : আহহহ একটু শান্তি পেলাম…..

মায়রা আবার বিছানাতে বসতে যাবে সাথে সাথে আবার পেট মুজোর দিয়ে ওঠে…. মায়রা আবার দৌড় দিলো ওয়াশরুমে…. তিশা তো জানলার ফাক দিয়ে মায়রার সব কান্ড দেখছে আর মুখ টিপে হাসছে…..

তিশা : ( পেট খারাপের ঔষধ তাহলে ভালোই কাজে দিয়েছে…. ভাগ্যিস ওনার ফেভারিট সুপে ঔষধটা মিশিয়ে দিয়েছি না হলে হয়তো এমন বিনোদন সত্যিই মিস করতাম…. যাই এখন গিয়ে আমি ঘুমাই সারাদিন অনেক পরিশ্রম গেছে আমার উপর)

আবির সোফাতে বসে কাজ করছে ….. আবির তিশার দিকে তাকিয়ে দেখে তিশা মুচকি মুচকি হাসছে….তা দেখে আবিরের একটু সন্দেহ হয়….

আবির : তিশা কি হয়েছে???

তিশা : কি হবে কিছু হয় নি তো….

আবির : তাহলে তুমি এভাবে হাসছো কেন???

তিশা : আমার ইচ্ছে তাই আমি হাসছি কোনো সমস্যা আপনার….

আবির আর কিছু বলে না তিশাকে….. তিশা গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়ে….

আবির : ( ব্যাপারটা কি এভাবে মহারানী হাসছিলো কেন??? কিছু কি অঘটন কটিয়েছে নাকি?জিঙ্গেস করবো না বাবা যদি পাগলি আবার ক্ষেপে যায়)

অন্য দিকে মায়রা হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে আছে….. মায়রা খুব জোরে জোরে শ্বাস নিছে এসি থাকা শর্তেও মায়রা ঘামছে…..

মায়রা উঠে বসে রাগে মায়রা চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে মায়রা রাগে বালিশটা মেঝেতে ছুড়ে মারে….

মায়রা : কাজটা তুমি ঠিক করলে না তিশা একদম না…… তুমি ইচ্ছে করে আমার এই অবস্থা করেছো তাই না…. এবার তুমি দেখো আমি তোমার কি অবস্থা করি….. আমার সাথে লাগতে এসেছো না এবার দেখো তোমার জন্য কি কি অপেক্ষা করছে….

সকালে মায়রা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে….. মায়রা একটা বাটিতে তেল নিয়ে নিচে নামে আর কিচেনে যায়…. কিচেনে কিছু ক্ষন থেকে মায়রা সিড়ির কাছে এসে সিড়ির উপরে তেল ফেলে দেয়….

মায়রা : এবার দেখি তুমি কি করে বাচো …..

মায়রা তাড়াতাড়ি করে আবার কিচেনে চলে যায় আর আড়াল দেখে সিড়ির দিকে তাকিয়ে আছে তিশা কখন নামে….. প্রায় কিছুক্ষন পড়ে তিশা নামে তিশা প্রথম কয়েক সিড়ি ভালো করেই আসে কিন্তু নিচের সিড়িতে পা রাখতেই তিশা সিড়ি থেকে পড়ে যায় তিশার চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি করে আবির নিচে আসে‌ তিশাকে নিচে পড়ে থাকতে দেখে আবির দৌড়ে তিশার কাছে যায়…. তিশা সিড়ি থেকে পড়ার সাথে সাথেই জ্ঞান হারায়

আবির : তিশা তিশা কথা বলো তিশা…..

আবির সিড়ির কাছে গিয়ে দেখে তেল পড়ে আছে….. সিড়িতে তেল পড়ে থাকতে দেখে আবির রাগে সবাইকে ডাকে…… আবির তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে সোফাতে শুয়েই দেয় আর ডক্টরকে ফোন করে….

আবির : এখানে তেল ফেলে রেখেছে কে??? বাড়িতে এত গুলো কাজের লোক থাকতে সিড়িতে তেল পড়ে থাকে কি করে ??? কি হলো জাবাব দাও…. ( চিৎকার করে)

নিরব : ভাইয়া তুমি শান্ত হও হয়তো কেউ‌ ইচ্ছে করে ফেলে নি ভুলে হয়তো সিড়িতে তেল পড়ে গেছে …..

এমন সময় মায়রা হাতে করে একটা কাপড় নিয়ে এসে বলে….

মায়রা : আবির কি হয়েছে এভাবে চিৎকার করছো কেন????

নিরব : আসলে ভাবি সিড়ি থেকে পড়ে গেছে…..

মায়রা : কি??? তিশা কি তেলের উপরে পা রেখে পড়ে গেছে….. আমি কাপড় আনতে আনতে তিশা সিড়ি থেকে পড়ে গেছে….

আবির : মানে….

মায়রা : আসলে‌ আবির আমি মাথায় তেল দেওয়ার জন্য তেল গরম করে নিয়ে সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় হাত থেকে তেল টা পড়ে যায় গরম থাকার কারনে…. আর তেলটা মুজার জন্য কাপড় আনতে গিয়েছিলাম আর এসে দেখি তিশা সিড়ি থেকে পড়ে গেছে….. আই এম সরি আবির আমি বুঝতে পারি নি আমার এই ভুলটার জন্য তোমার এত বড়ো ক্ষতি হয়ে যাবে……

নিরব : আরে মায়রা আপু তুমি তো আর ইচ্ছে করে ফেলো নি তাই প্লিজ নিজেকে দোষ দিও না এটা একটা এক্সিডেন্ট সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে…..

মায়রা : হুম ( এটা কোনো এক্সিডেন্ট না এটা আমি ইচ্ছে করে করেছি যাতে তিশার হাত পা ভাঙ্গে)

কিছু ক্ষন পরেই ডাক্তার এসে তিশাকে চেকআপ করে…..

আবির : ডক্টর তিশা ঠিক আছে তো….

ডক্টর : হে ওনি ঠিক আছে কিন্তু ওনার হয়তো ডান পাটা ফুলে যেতে পারে আর হাত পা ভাঙ্গে নি তাই আপনারা নিশ্চিন্তা থাকুন…… আর আমি ব্যাথার কিছু ঔষধ দিয়ে যাচ্ছি এগুলো ব্যাথা কমাতে হেল্প করবে…..

আবির তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে শুয়েই দেয়…..

প্রায় আধ ঘন্টা পর তিশার জ্ঞান ফিরে তিশা চোখে খুলে তাকিয়ে দেখে বিছানাতে…. তিশা বিছানা থেকে উঠতে চায় কিন্তু উঠতে পারছে না ব্যাথা থাকার কারনে….. আবির তিশার জ্ঞান ফিরতে দেখে তিশার কাছে যায়….

আবির : তিশা তুমি ঠিক আছো….

তিশা : হুম আমি ঠিক আছি….

আবির : তুমি কি একটু দেখে শুনে হাটা চলা করতে পারো না….. যদি আজকে একটু দেখে হাটতে তাহলে তেলের উপর পা রাখতে না আর সিড়ি থেকেও পড়তে না….. তুমি বুঝতে পারছো যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো তাহলে কি হতো….

তিশা : কিছু হয় নি তো আমার আর সিড়িতে তেল কোথা থেকে আসলো ….

আবির : আসলে মায়রা তেল গরম করে মাথায় দিতে চেয়েছিলো আর সিড়িতে উঠতে গিয়ে গরমের জন্য হাত থেকে তেলটা পড়ে যায়…..

তিশা : ওওওওও

আবির : আচ্ছা শুনো আমি আইস ব্যাগে বরফ রেখে দিয়েছি তুমি আস্তে আস্তে করে‌ ফজলা পা তে বরফটা লাগাবে তাহলে হয়তো পায়ের ফুলাটা কমবে….. আর আমি একটু অফিস থেকে ঘুরে আসি আর তোমার ব্রেকফাস্টটা আমি ঘরে পাঠিয়ে দিছি……

তিশা : আচ্ছা….

আবির : ঠিক আছে এবার তাহলে আমি আসি নিজের খেয়াল রেখো…

আবির চলে যাওয়ার সাথে সাথথ মায়রা তিশার ঘরে আসে…..

মায়রা : কেমন আছো তিশা???

তিশা : দেখতে পারছো না আমি কেমন আছি নাকি তুমি চোখে দেখতে পারি না…..

মায়রা : আসলে আমি চোখে ঠিকেই দেখতে পাই কিন্তু তুমি দেখতে পাও না তার জন্যই তো তেলে পা রেখে পড়ে গিয়েছো…..

তিশা : তুমি এটা ইচ্ছে করে করেছো তাই না যাতে আমি সিড়ি থেকে পড়ে যায়…..

মায়রা : ওয়াও তুমি তো খুব বুদ্ধিমান বুঝে গেলে যে এই কাজটা আমি ইচ্ছে করে করেছি…..

তিশা : তোমার মতো মেয়েরা কি করতে পারে আমার সেটা জানা আছে……

মায়রা : আমারও জানা আছে তুমি কি করতে পারো….. তুমি আমাকে কালকে রাতে ওয়াশরুমে দৌড় করিয়েছো তাই তোমাকে সিড়ি থেকে ফেলে দিলাম…….. আর আমার প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেলো তাই না আর রইল আবির ওকে তো আমি নিজের করবোই আবোর নিজে তোমাকে ওর জীবন থেকে সরে যেতে বলবে……

তিশা : না ওনি আমাকে ভালোবাসেন ওনি আমাকে কোনো দিনও নিজের জীবন থেকে চলে যেতে বলবেন না…..

মায়রা : ওকে দেখা যাবে তুমি তোমার মতো করে চেষ্টা করো আর আমি আমার মতো করে চেষ্টা করি দেখি কার হয় আবির…. এবার আমি আসি আমাকে অফিসে যেতে হবে

তিশা : এই মায়রা ডায়রিয়া কি ভাবে নিজেকে কোনো সিনেমার হিরোহিন আমার স্বামীকে কেড়ে নিবে না ঠিক আছে দেখা যাক তুই কি করে ওনাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারিস….. আবিরকে কেড়ে নেওয়ার আগেই আমি নিজে করে নেবো ওনাকে……

#চলবে

অনকেই অনেক কথা বলতাছে আমাকে মায়রা চরিএটা দেওয়ার জন্য….. আমি ভেবেচিন্তেই মায়রা চরিএটা এনেছি আর যদি মায়রার চরিএটা না আনতাম তাহলে তিশা কি করে আবিরকে ওর ভালোবাসার কথা বলতো…..তাই প্লিজ এমন কিছু বলবেন না যাতে আপনাদের কথায় আমি কষ্ট পাই কারন আমি গল্পটা যখন দেই তখন খিব ভয়ে থাকি না জানি আপনারা কখন কি বলে বসেন…… আর খলনায়ক আর গল্পে আসবে আর দুইটা পর্বেই গল্প শেষ করার চেষ্টা করবো…..
#চলবে………

গল্পটা কার কেমন লাগছে প্লিজ কমেন্ট করে বলবেন,,,,, আর বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here