মেঘের ওপর আকাশ উড়ে পর্ব -১০ ও শেষ

#মেঘের_ওপর_আকাশ_উড়ে
#Last_Part
#Writer_NOVA

— রংতুলি!

সিয়ামের কন্ঠস্বর পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তুলি পেছনে তাকালো। তুলি কথা না বলে ভেংচি কেটে বেণী নাচিয়ে নাচিয়ে রাস্তার কিনারা দিয়ে হাঁটতে লাগলো। মাত্রই কোচিং থেকে বের হয়েছে সে। সিয়াম রাস্তার অপরপাশে ফিজিক্স প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলো। সিয়াম দৌড়ে ওর পাশে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,

— কিরে রংতুলি কানে কি শুনতে পাস না? কখন থেকে ডাকছি তোকে?

— কি জন্য ডাকছো তাই বলো?

— ইদানীং আমার সাথে এভাবে কথা বলিস কেন তুই?

— আমি আবার কি করলাম?

— কিছু বললে ছ্যাৎ করে উঠিস।

— একটুও না।

— সত্যি কথা বলছি।

তুলির মাথায় হঠাৎ একটা কথা খেয়াল হলো। প্রথমে বিষয়টা সে মোটেও পাত্তা দেয়নি। কপাল কুঁচকে সিয়ামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

— এই সিয়াম ভাইয়া তুমি আমাকে কি নামে ডাকলে এতখন? সত্যি করে বলবে।

তুলির কথায় সিয়ামের মুখটা শুকিয়ে গেলো।তাড়াহুড়োয় সে এক নামের বদলে আরেক নাম বলে দিয়েছে। আমতাআমতা করে বললো,

— কেন যা বলার তাই বলি। তোকে সবসময় আমি তুলতুলি বলে ডাকি।সেই নামেই ডাকলাম।

— না তুমি আমাকে তুলতুলি বলোনি।

— আরে তুলতুলি বলেছিরে। আচ্ছা বাদ দে এসব। কি পড়লি আজকে?

— একদম কথা ঘুরাবে না সিয়াম ভাইয়া। তুমি আমাকে রংতুলি বলে ডেকেছো। আমার স্পষ্ট মনে আছে। জলদী স্বীকার করো।

সিয়াম মাথা চুলকে অপরাধী ভঙ্গিতে থতমত খেয়ে বললো,

— না মানে হ্যাঁ, আসলে হয়েছে কি!

— কি হয়েছে বলো? নয়তো তোমার সাথে কথা বলবো না কিন্তু।

— হ্যাঁ, আমি তোকে রংতুলি বলে ডেকেছি।

— তুমি প্রতিরাতে আমাকে অননোন নাম্বার দিয়ে কল করো। আর কল করে কোন কথা বলো না। আমি সিউর ঐটা তুমি।

সিয়াম ধরা পরে যাওয়া ভঙ্গিতে চমকে উঠলো। তার অসাবধানতায় এতদিনের সাধনা আজ বিফলে গেলো।তুলি ধরেই ফেললো। সিয়াম মাথা নিচু করে এদিক সেদিক তাকিয়ে মিনমিন সুরে বললো,

— আমি যাচ্ছিরে তুলি। উত্তরের মাঠে আজ আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ আছে। সেদিকে যেতে হবে।

— একদম পালাবে না। যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দিয়ে তারপর যাবো।

— আমার ম্যাচ আছে।

সিয়াম পালাতে নিলে তুলি পেছন থেকে ওর শার্ট খামচে ধরে রেগে বললো,

— উত্তর না দিয়ে কোথায় পালাচ্ছো?

— শার্ট ছাড়, ছিঁড়ে যাবে তো।

— একদম চুপ। উত্তর দাও।

— কিসের উত্তর দিবো?

— প্রতিরাতে তুমি আমাকে আননোন নাম্বার থেকে কল দাও তাই না?

সিয়াম ঝাড়া মেরে তুলির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বললো,

— আমার তো খেয়ে-পরে কাজ নেই যে তোকে কল দিতে যাবো। তুই কি এমন ইম্পরট্যান্ট মানুষরে তোকে আমার কল দিতে হবে? আমি ঘুমিয়ে কুল পাই না। আবার তোকে কল দিবো। অন্য কেউ হলে কথা ছিলো। যা সর, নিজেকে কি ঐশ্বরিয়া ভাবিস নাকি?

তুলি রেগে বললো,
— প্রতি দিন কল দিয়ে এখন আবার গলা পিটানো হচ্ছে? ভালো চাইলে জলদী সত্যি বলো। নয়তো চাচ্চুর কাছে বিচার দিবো।

বিচারের কথা শুনে সিয়ামের গলার স্বর বদলে গেলো। এই তুলিকে দিয়ে বিশ্বাস নেই। সত্যি, সত্যি সিয়ামের বাবার কাছে বিচার দিয়ে দিবে। তারপর বাবার হাতে মারও খেতে পারে। মোলায়েম সুরে তুলিকে বললো,

— তুলি তুই না ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে। তোকে আমি দুটো ললিপপ কিনে দিবোনি। তুই আব্বুকে কিছু বলিস না।

— এই তুমি কাকে বাচ্চা মেয়ে বলো😤? তুমি জানো আমি কতবড় মেয়ে। সামনের বছর কলেজে যাবো। আর তুমি আমাকে বাচ্চা মেয়ে বলছো।

— না তুই পাকা বুড়ি।

— এসব কথা বাদ দাও। এবার স্বীকার করো তুমি আমাকে প্রতিরাতে কল দাও।

— হ্যাঁ, আমিই দেই। তোর কোন সমস্যা?

তুলি রেগে চেচিয়ে বললো,
— তারমানে তুমি সেই ব্যক্তি। আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন।

তুলি সিয়ামকে মারতে লাগলো। সিয়াম ওর চুলে টান দিয়ে দৌড়ে সামনের দিকে গেল। তার পেছন পেছন তুলিও ভৌ দৌড়। কিছুদূর যাওয়ার পর সিয়াম থামলো। সিয়ামকে থামতে দেখে তুলি বললো,

—তোমার আজ খবর আছে।

— শোন না রংতুলি!

— কোন কথা শুনবো না আমি।

— না শুনলেও আমি বলবো।

— আমি কান বন্ধ করে রাখবো।

— রাখ তাহলে।

তুলি দুই হাতে কান বন্ধ করে রাখলো। সিয়াম সামনে এসে মিষ্টি কন্ঠে বললো,

— আই লাভ ইউ রংতুলি।

তুলি চোখ দুটোকে গোল গোল করে সিয়ামের দিকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে রইলো। তুলি হালকা করে কান ধরেছিলো। যার দরুন সিয়াম যে ওকে আই লাভ ইউ বলেছে তা সে শুনতে পেয়েছে। কানের থেকে হাত সরিয়ে চেচিয়ে বললো,

— তোমার ভালোবাসা আমি বের করছি। আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন।

সিয়ামকে কিছু বলতে না দিয়ে রাস্তার পাশ থেকে একটা ছোট লাঠি নিয়ে সিয়ামকে ধাওয়া করলো। সিয়াম আর কি বলবে? সে ইতিমধ্যে বুঝতে পারছে পাগলী চেতে গেছে। তাই পরিমরি করে ছুট লাগালো।

💞💞💞

পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের আলোটাও মিইয়ে আসছে। দূর আকাশে এক ঝাঁক নাম না জানা পাখি উড়ে গেল বহুদূর। সেদিকে তাকিয়ে সাবার বুক চিঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেলো। বিয়ের আগে সে এমন স্বাধীন ছিলো। যেখানে ছিলো না কোন ধরাবাঁধা নিয়ম। কিন্তু যেই সে সংসারে মনোযোগ দিলো। সেখানে সে দেখতে পেলো কত বাঁধা, কত নিয়ম। ছন্নছাড়া মানুষের কি সংসার জীবন ভালো লাগে? একটুও না। গতকাল মৃদুল থাপ্পড় দেওয়ার পর থেকে সাবা পুরো চুপ হয়ে গেছে। ভেতরে একরাশ অভিমান জন্মেছে তার। থাপ্পড় খাওয়ার পর এক মিনিটও দেরী করেনি। ওড়নায় মুখ গুঁজে দৌড়ে নিচে নেমে গেছে। তারপর থেকে এখন অব্দি মৃদুলের সাথে একটা কথাও বলেনি সে।

গতকালের কথা মনে হতেই গাল বেয়ে পানি পরতে লাগলো। নাক টেনে চোখ মুছে নিতেই পেছন থেকে এক জোড়া হাত এসে সাবাকে জড়িয়ে ধরে। আচমকা এমন হওয়ায় সাবা কিছুটা চমকে উঠে।মোচড়ামুচড়ি করতে থাকে। কিন্তু মৃদুলের কন্ঠস্বর পেয়ে থেমে যায়। মৃদুল আরো শক্ত করে ধরে নিচুস্বরে বলে,

— অভিমান হয়েছে আমার ওপর?

—( নিশ্চুপ)

— আমি জানি তো আমার ওপর অভিমান হয়েছে তোর। আসলে আমি অনেক হাইপার হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেছিস। তোকে আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমার অবস্থা পুরো পাগলপ্রায় ছিলো। বিশ্বাস না হলে সিয়ামকে জিজ্ঞেস করে দেখিস। তোকে খুঁজতে খুঁজতে আমি হয়রান হয়ে গিয়েছি। তোকে হারিয়ে ফেলার ভয় আমাকে জেঁকে বসেছিলো। তোকে খুজে পেতে আরোকটু দেরী হলে আমি কান্না করে দিতাম। তোকে আমি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান সেই তুই কিনা ছাদে এসে দাঁড়িয়ে আছিস। তাই ভীষণ রাগ হয়েছিলো। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটা থাপ্পড় মেরে দিয়েছি। সরি তার জন্য।

সাবা অবাক চোখে মৃদুলের দিকে তাকালো। আজ কোন মৃদুলকে দেখছে সে? তার নিজের চোখ আর কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না। সাবা নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলো। তার কাছে মনে হচ্ছে সব স্বপ্ন। ব্যাথা পেয়ে দ্বিগুণ বিস্ময়ে তাকালো। তার মানে সে মৃদুলের জন্য যেরকম টান অনুভব করে, মৃদুলও সেরকম টান অনুভব করে। মনে মনে খুশি হলেও উপরে তা বুঝতে দিলো না। মৃদুলের থেকে নিজেকে সরিয়ে অন্য দিকে চলে গেলো। মৃদুল সেদিকে গিয়ে দুই হাতে কান ধরে অপরাধী সুরে বললো,

— সরি বললাম তো। আর কত অভিমান করে থাকবি? তুই আমার সাথে না লেগে থাকলে আমার ভালো লাগে না।

— কেন লাগে না?

— তুই আমার বউ যে তাই।

— কিন্তু তুই তো বলছিলি আমাকে বউ হিসেবে মানবি না।

— ঐগুলো কথার কথা ছিলো।

— না ঐগুলো সত্যি কথা ছিলো।

— না রে ভাই। তুই যেমন আমায় স্বামী মানিস তেমনি আমিও তোকে স্ত্রী মানি।

— আমি কি তোকে কখনো বলছি যে তোকে স্বামী মানি? বেশি বুঝিস কেন?

— তোর বলতে হবে কেন? আমি বুঝে নিয়েছি।

— বেশি বুঝার তো দরকার নেই।

— আছে নাকি নেই তা আমি বুঝবো। এখন বল মাফ করে দিছিস নাকি।

— একটুও না।মাফ করার প্রশ্নই উঠে না। অনেক জোরে থাপ্পড় মেরেছিস🥺। আমি অনেক ব্যাথা পেয়েছি।

— ব্যাথা পাওয়ার জন্য দিয়েছি। আদর করার জন্য নয়।

— আবার বড় মুখে কথা বলিস।

— হ্যাঁ, বলবোই তো। কি করবি তুই?

— দেখবি কি করবো?

— হুম দেখি।

সাবা এগিয়ে এসে মৃদুলের মাথার চুল টেনে দুম করে এক কিল বসিয়ে দিলো পিঠে। চুলের মুঠ ধরে ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,

— পরেরবার আমাকে মারলে এর থেকে আরো বেশি ডোজ দিবো।

মৃদুল ঝাটকা মেরে সাবার হাত নিজের থেকে ছাড়িয়ে ওর দুই হাত মুচড়ে ধরে বললো,
— কি বললি আবার বল?

— কিছু বলিনি। ছাড় ব্যাথা পাচ্ছি।

— এখন ভয় পাস কেন? সাহস থাকলে বল।

— ছাড় বলছি।

— ছাড়তে পারি এক শর্তে।

— কোন শর্ত মানবো না আমি।

—তাহলে ছাড়বো না আমি।

সাবা তার দাঁতগুলো বের করে মৃদুলের হাতে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিলো। এই কামড়াকামড়ির অভ্যাস ওর ছোট বেলা থেকেই। মৃদুলের সাথে না পারলেই সে দাঁতগুলো ব্যবহার করে। মৃদুল আহ্ করে চিৎকার দিয়েই ওর হাত ছেড়ে দিলো। সাবা অন্য দিকে দৌড় দিলো। ওর পিছু পিছু মৃদুল। দুজন গোল গোল করে বেশ কিছু সময় দৌড়ালো। এক সময় মৃদুল সাবাকে ধরে ফেললো। নিচ থেকে একটা ইটের ভাঙা টুকরো নিয়ে এক হাতে সাবার দুই হাত মুচড়ে ধরলো। তারপর শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,

— এবার তোকে কে বাঁচাবে সাবা?

তুলি কাঁদো কাঁদো ফেস করে ছলছল নয়নে বললো,
— ভাইয়া মারিস না প্লিজ।

মৃদুল রেগে ফোঁস করে বললো,
— আমি তোর কোন জন্মে ভাই হলাম।একদম ভাই বলবি না। আমি তোর জামাই।

সাবা মুখ বাকিয়ে বললো,
— ইস, আসছে আমার জামাই।

— হুম আমি তোর জামাই। কথাটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নে।

— আচ্ছা তুই আমার ভালো জামাই। কিউট একটা পোলা। ভালো একটা ছেলে। তোর মতো ছেলেই হয় না৷ তোকে বিয়ে করে আমি ধন্য।

— হয়েছে আর পাম দিতে হবে না।

সাবা থেমে বিরবির করে বললো,
— আমার জীবন তেজপাতা।তোর মতো জামাই যেন আমার শত্রুরও না পায়।

— এই কি বললি তুই?

— কিছু না।ছেড়ে দে নারে।

— একটুও ছাড়বো না। আজ এই ইট দিয়ে তোর দাঁত ভাঙবো। তারপর দেখবো তুই কামড় দিস কিভাবে?

— না প্লিজ।

— তাহলে একটা চুমু খেতে দে।

মৃদুলের কথা শুনে সাবা চোখ দুটোকে রসগোল্লা করে ওর দিকে তাকালো। মৃদুল এক চোখ মেরে হাতে থাকা ইটের টুকরোটা ফেলে দিলো। সাবার ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট দুটো বাড়িয়ে দিতেই সাবা সারা শরীর খিঁচে চোখ বন্ধ করে বললো,

— আমার মুখ আধোয়া। তুই আধোয়া মুখে চুমু খাবি? আচ্ছা আমার কোন সমস্যা নেই। তুই যদি আধোয়া ঠোঁটে চুমু খেতে পারিস তাহলে আমার সমস্যা নেই।

— আমি আধোয়া ঠোঁটেই চুমু খাবো।

মৃদুলের কথা শুনে সাবা চমকে গেলো। সেদিন আধোয়া ঠোঁট বলে পার পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ মৃদুল তার চালাকি ধরে ফেলেছে। তাই কোন দ্বিধা না করে সাবার ঠোঁটে টুপ করে একটা চুমু খেয়ে বসলো। তারপর লো ভয়েজে সাবার কানের সামনে বললো,

— আই লাভ ইউ পাগলী।

মৃদুলের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে সাবা শর্কড। এতোকিছু সে একসাথে নিতে পারছে না। স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। নিজের কানকে তার বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে সে কিন্তু ভীষণ খুশি এতে। কারণ সেও মৃদুলকে ভালোবেসে ফেলছে। এখন সাবা স্বপ্নের জগতে আছে। মৃদিুলের ধাক্কায় তার ধ্যান ফিরলো।

— আমার কথার উত্তর দিলি না?

— কি উত্তর দিবো?

— তোর যা ইচ্ছা।

— আই….

সাবা আই বলেই থেমে গেলো। মৃদুলের ভেতরটা ঢিপঢিপ শব্দ করছে। যদি সাবা মানা করে দেয়। তাহলে তার কি হবে?সাবা মৃদুলের অবস্থা বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো। তারপর একদমে বললো,

— আই লাভ ইউ টু।

বলেই লজ্জা রাঙা মুখটা দুই হাতে ঢেকে ফেললো। মৃদুল খুশিতে এগিয়ে এসে সাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। খুশিতে তার হাত-পা কাঁপছে। মৃদুল বললো,

— আমি জানতাম তুইও আমাকে ভালোবাসিস। আসলে তোর সাথে ঝগড়া করতে করতে কবে যে তোকে মনের আসনে বসিয়ে দিছি নিজেও জানি না। তোকে তো আমি সেই বিয়ের আগের থেকে পছন্দ করি। তবে তোকে কখনো বুঝতে দিতাম না।
তাই তো বিয়ে ভাঙিনি আমি।তোকেও ভাঙতে দেইনি।

সাবা চোখ রাঙিয়ে বললো,
— তাহলে এই কাহিনি?

— জ্বি ম্যাডাম। এখন এই খুশিতে একটা কিসি হয়ে যাক।

— একটুও না।

— একটুও হ্যাঁ।

— কেউ দেখে ফেলবে।

— আমি ছাদের দরজা বন্ধ করে এসেছি। তাই কারো আসার কোন চান্স নেই।

সাবা একটু একটু করে পিছিয়ে যেতে লাগলো। মৃদুল ধীরপায়ে শয়তানি হাসি দিয়ে এগিয়ে আসছে। ছাদের রেলিঙে এসে সাবা আটকে গেলো। এখন পালানোর উপায় নেই। মৃদুল এগিয়ে এসে সাবার অধর যুগল নিজের অধরের মাঝে বন্দি করে নিলো। সাবা বাঁধা দিতে গেলে তার হাত দুটো এক হাত দিয়ে শক্ত করে পেছনে ধরে রাখলো। আরেক হাত চুলে ডুবিয়ে পরম যত্নে ডুব দিলো ভালোবাসার সাগরে। সাবা কিছু সময় ছটফট করে নিজ থেকে থেমে গেলো। চুপ করে মৃদুলের সাথে রেসপন্স করা শুরু করলো। তাদের ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছে দূর আকাশের ওপর মেঘ, উহু আকাশের ওপর নয় মেঘের ওপর আকাশ উড়ছে।

~~~~~~~~~~~~#সমাপ্ত~~~~~~~~~~~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here