মেঘের পালক চাঁদের নোলক পর্ব -০৮

#মেঘের_পালক_চাঁদের_নোলক
#পর্ব_০৮
#অধির_রায়

নিধি শাওনের কথা মেনে নিতে পারছে না৷
ভালোবাসা মানে শুধু কষ্ট। যে ভালোবাসায় কষ্টে দগ্ধ হয়েছিল নিধি৷ একটু ভালোবাসায় আশায় সৎমার কাছে গেলে দূরে ঠেলে দিত৷ যার জন্য অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে৷ সমাজের মানুষ দেখেও মুখ ফিরিয়ে দিয়েছে৷ নিধি চিৎকার করে বলে উঠল,

“ছাড়েন আমাকে!”

নিধি দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে শাওনের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল৷ চোখ থেকে অশ্রু কণা গড়িয়ে পড়ছে৷ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ঘৃণার সাথে বলে উঠল,

“ভালোবাসার মানে কি বুঝেন? মা বেঁচে না থাকা যদি জীবনের প্রথম কষ্ট হয়, ভালোবাসা হয় দ্বিতীয় কষ্ট। যা মানুষের মনে আশার আলো জাগাতে পারে না৷ কষ্টের আগুনে দগ্ধ করে৷ আমার কাছে প্রেম ভালোবাসার জন্য কোন অনুভূতি নেই৷ ভালোবাসার সকল অনুভূতি মা-রা গেছে সেদিনই যেদিন আমার জন্মদাত্রী জননী আমায় একা রেখে আল্লাহর কাছে চলে গেছেন৷ ভালোবাসা থেকে আত্মহত্যা করা সহজ সমাধান।”

শাওন বুঝতে পারছে না নিধি কি বলছে? পিচ্চির জীবনে এত কষ্ট কেন? ভালোবাসার অনুভূতি থেকে আস্থা ওঠে গেছে৷ কথাগুলো শুনে বুঝা যাচ্ছে একটা কথাও মিথ্যা নয়৷ সবকিছু যেন নিজের জীবনের উপর প্রয়োগ করেছে৷ শাওন চৌধুরী নিধির সামনে দাঁড়ায়৷ অসহায় মুখ নিয়ে বলল,

“ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীর সবকিছু জয় করা যায়৷ এক চিলতে ভালোবাসার জন্য মানুষ বিশাল সমুদ্র পাড়ি দেয়৷ জীবনকে তুচ্ছ করে সবার সাথে লড়াই করে৷ এমন কি ভালোবাসার জন্য নিজের জীবন দিতে দ্বিতীয়বার দ্বিধাগ্রস্ত হয় না৷ আর তুমি সেই ভালোবাসাকে অসম্মান করছো৷”

নিধি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

“যে ভালোবাসা মানুষকে মৃত্যুর দোয়ারে পাঠিয়ে দেয়৷ যে ভালোবাসার জন্য নিজের সমস্ত কিছু দান করতে হয়৷ যে ভালোবাসার মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে৷ যে ভালোবাসা মায়ের বুক থেকে সন্তানকে কেঁড়ে নেওয়া৷ ভালোবাসার প্রমাণ দেওয়ার জন্য শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া৷ আমার জীবনে ভালোবাসা শুধু অভিশাপ নিয়ে এসেছে৷ নিধির জীবনে নেই কোন ভালোবাসা।”

নিধির দেহ কাঁপতে থাকে৷ শাওন নিধির হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে দিল৷ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে নিধি৷ নেত্রদ্বয় থেকে ঝড়ে যাছে কষ্টের অশ্রু৷ চোখের জল মুছে দেয়। ভাঙা মন নিয়ে উদাস কন্ঠে বলল,

“তোমার কাছে ভালোবাসা শুধু পাওয়া৷ ভালোবাসলেই তাকে পেতে হয় এমন নয়৷ ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখার জন্য দূরে সরে যাওয়া৷ বুকের পাথর চাপা দিয়ে সবকিছু ত্যাগ করাই হলো ভালোবাসা।”

নিধির হাত আলতো করে নিজের হাতের মুঠোয় নিতে নিলে দ্রুত হাত সরিয়ে নেয়৷ ছলছল চোখে ঘৃণা ভরা কন্ঠে বলল,

ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীর জয় করতে পারলেও কোন চরিত্রহীম মানুষ ভালোবাসা দিয়ে মেয়েদের মন জয় করতে পারে না৷ আপনি কি আপনার চরিত্র থেকে কালি মুছতে পারবেন? আপনার চরিত্রে ঝলঝল করছে চরিত্রহীনের কালো কালি৷ আমি কোনদিনও আপনাকে মন থেকে ভালোবাসতে পারব না৷ আপনি এখন আসতে পারেন৷ আমি ঘুমাব৷”

নিধি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল৷ ইচ্ছা করছে না চরিত্রহীনের সাথে কথা বলতে৷ চোখের পাতায় ঘুম বাসা বাঁধায় দ্রুত তন্দ্রা চলে আসে৷ কিন্তু ঘুম আসছে না৷ তবুও ঘুমের ভান ধরে শুয়ে আছে। শাওন এখনও এক দৃষ্টিতে নিধির দিকে তাকিয়ে আছে। নিধির কথাগুলো বুকের মাঝে বিষাক্ত তীরের মতো বিঁধেছে৷ নিজের জীবন উৎসর্গ করতে ইচ্ছা করছে৷ শাওনের মন ব্যথায় জর্জরিত। বিরবির করে বলল,

“আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। আমার পিচ্চি নিধির জন্য আমি সবকিছু করতে পারি৷ আমার পিচ্চিটার জন্য আমি সকল পাপ কাজ থেকে দূরে এসেছি৷ তোমাকে সেদিন দেখার পর থেকে আমি কারো সাথে বিছানা শেয়ার করিনি৷ ড্রিংক্স করিনি৷ আমার পিচ্চি নিধি এসব পছন্দ করে না৷ আমার কাছে তুমিই আমার স্বর্গ। তুমি পাশে থাকলে আমি সকল খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব৷ মৃত্যুর কথা বললে, কোন প্রাণীয় জানে না কখন কোথায় তার মৃত্যু হবে৷ আমার জীবন তোমার আবদ্ধ। আমার মৃত্যুটা তোমার বন্ধনে আন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছে।”

শাওনের চোখে জল৷ নিধির কষ্ট যেন নিজের মনকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে৷ তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে৷ নিধি কান্না করতে করতে অনেক আগেই বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে

শাওন নিধির কপালে আলতো পরে ঠোঁট জোড়া স্পর্শ করতে নিয়েও থেমে যায়৷ নিধির বাচ্চা মন থেকে চরিত্র হীনের কালি কিভাবে লুটে রাখবে? কোনদিন কি নিধি ভালোবাসা বুঝবে না? দৃঢ় গলায় বলল,

“পিচ্ছি তোমার জীবনে কষ্টকে ঘেঁষতেও দিব না৷ আমি সকল কষ্টের সাথে মোকাবেলা করব৷”
_____________________

নিধির আজ স্কুল যাওয়া হলো না৷ মাধবীদের বাসায় যাবে৷ মুগ্ধ যাওয়ার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে৷ নিধির মনে খুটখুট করছে৷ কিভাবে সে যাবে? নিধি তো পরিবারের কেউ নয়৷ নিধি আমতা আমতা করে বলল,

“ম্যাম আমি যাব না৷ আমি গেলে কোন সমস্যা হতে পারে৷ শাওন চৌধুরী আর মুগ্ধ ভাইয়া যাক৷ আপনি সুস্থ হলে কোন একদিন যাব৷”

শাওন নিধির কথায় কিঞ্চিৎ রাগ হয়৷ কিন্তু রাতের ঘটনার কথা ভেবে রাগটা তীব্র হয়৷ শাওনের জন্যই কি যাচ্ছে না? শায়লা চৌধুরী কঠিন স্বরে বললেন,

“তুমি আমাদের পরিবারের সদস্য। আজ থেকে আমাকে ম্যাম নয়৷ আমাকে মা বলে ডাকবে৷ মুগ্ধ আমাকে মা বলে ডাকে তুমিও মা বলে ডাকবে৷ তোমাকে পেয়ে মেয়ের কষ্ট ভুলে গেছি৷ তুমি আমার মেয়ে হয়ে এ বাড়িতে থাকবে৷”

চোখের কোণে জল চিকচিক করছে৷ যেন এখনই কেঁদে দিবে৷ শাওন চক্ষুর আড়ালে ফিসফিস করে বলল,

“তুমি কান্না ছাড়া কিছুই পার না৷ কান্না করলে তোমাকে ন্যাকা ন্যাকা লাগে৷ তোমার জন্য তোমার রুমে শাড়ী রেখে আসছি৷ শাড়ী পড়ে যাবে তুমি৷”

নিধি আনন্দের সাথে শায়লা চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে বলল,

“আমি কোনদিন আপনাদের ঋণ কোনদিন পরিশোধ করতে পারব না৷ আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আল্লাহ আমাকে সুন্দর একটা পরিবার উপহার দিয়েছেন৷”

নিধি শাড়ী নিয়ে আনমনে ভেবে যাচ্ছে৷ শাড়ী পড়বে কি? শাওনের রাতের কথাগুলো মনে পড়ছে৷ সত্যিই শাওন তাকে ভালোবাসে৷ ভালোবাসা না ছাঁই৷ বিষয়টা কেমন জানি সন্দেহ জনক মনে হচ্ছে৷ শাওন চৌধুরীকে সেদিন রাতে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ মুগ্ধ ভাইয়া জানল কিভাবে শাওন চৌধুরী নিষিদ্ধ পল্লীতে ছিল? মুগ্ধ ভাইয়া এসব বাজে কাজে জড়িত নয়তো৷ ছি! ছি! এসব কি ভাবছি? নিজেকে যেন অপরাধী ভাবল৷ বিরবির করে বলল,

“অতীত যেমনই হোক না কেন ভবিষ্যৎ যেন সুন্দর হয়৷ আল্লাহ যেন শাওনকে চৌধুরীকে নেক হেদায়েত দান করেন৷ শাওন চৌধুরীর মাধ্যমে শ্যামলী আপুকে নরক থেকে বের করে নিয়ে আসব৷ তবে জেনে শুনে একজন চরিত্রহীনের সাথে কোন মেয়ে ঘর বাঁধবে না৷ আমিও কখনও উনার জীবনে আসতে পারব না৷ নিয়তি যদি উনার সনে ঘর বাঁধা থাকে সেখানে অন্য বিষয়৷ কিন্তু নিজে থেকে কখনই উনাকে ভালো নজরে দেখতে পারব না৷ হ্যাঁ আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন৷ উনার জন্য আমার মনে কখনও ভালোবাসা জন্ম নিবে না৷”
___________________

সবকিছু থেকেও শূন্যতা অনুভব করছেন শায়লা চৌধুরী। বিয়ের কাজে সব সময় বড়রা কথা বলে৷ এমন একটা সময় যেখানে তিনি কিছুই করতে পারছেন না৷ আজ শাওনের বাবা থাকলে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হতো না৷ দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে নিধি কথাগুলো মনে করার চেষ্টা করল৷ নিজে থেকে চেষ্টা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়৷ নিজে থেকে হাঁটার চেষ্টা করতে হবে৷ সেদিন তো এক পা ফেলতে পেরেছিল৷ আল্লাহ তায়া’লার নাম নিয়ে হুইটচেয়ার থেকে উঠে পড়েন শায়লা চৌধুরী। দুই পা ফেলতেই ব্যাথায় মাটিতে বসে পড়েন৷ শায়লা চৌধুরী দেয়ালে হাত দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছেন৷ পা যেন উপরে তুললে পারছেন না৷ অনেক কষ্টে দেয়ালর পর ভর দিয়ে ১২ থেকে ১৪ কদম ফেলেছেন৷ ক্লান্ত হয়ে আবার হুইটম্যানের মতো স্থান হয় হুইলচেয়ার। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন আজ সারাদিন তিনি হাঁটাহাঁটি করবেন৷ ছেলের বিয়ের আগেই তিনি হাঁটতে চান৷
.
মুগ্ধ ড্রাইভারের সাথে সামনের সিটে বসেছে৷ শাওন আর নিধি পিছনের সিটে। শাওন নেত্র বার বার আটকে যাচ্ছে নিধির দিকে৷ নারীকে শাড়ীতে পরীর মতো লাগে৷ অপরুপ সৌন্দর্য শাওনের পাশে বসে আছে ভাবতেই নিজের মনে শীতল হাওয়া বয়ে গেল। কারো মুখে কোন কথা নেই। নিস্তব্ধ নিরবতা জানান দিচ্ছে শোক দিবস পালিত হচ্ছে৷

শাওন চৌধুরীর বাড়ি থেকে কোন অংশে কম নয়৷ মাধবীর বাবাও অনেক বড়লোক৷ এক্সপোর্টের ব্যবসা আছে উনাদের৷ শাওন চৌধুরী মাধবীর বাবার সাথে কথা বলে বিয়ের তারিখ ঠিক করেন৷ পনেরো দিন পর মুগ্ধ, মাধবীর বিয়ে৷ প্রথমে ভেবেছিলাম মাধবীর বাবা বিয়ে নিয়ে জল ঘোলা করবেন৷ প্রেমের বিয়ে মানি না৷ কিন্তু মেয়ের সুখের জন্য উনার মাথায় এমন চিন্তা আসেনি৷
_________________

সময় এবং স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না৷ চোখের পলকে চলে যাচ্ছে সময়৷ শায়লা ভিলায় চলছে বিয়ের আয়োজন। ধম ফেলার সময় পাচ্ছে না কেউ৷ খুশিতে মেতে উঠেছে চারপাশ৷ এইতো সেদিন নিধির বাড়ি গান বাজনায় মেতে উঠেছিল৷ তিতিরের বিয়েতে নিধি খুব খুশি ছিল৷ সব সময় তিতিরের সাথে সাথে থাকত৷ কিন্তু শেষে বোনের মুখটা দেখা হলো না৷ মিথ্যা বলে সৎমায়ের নির্যাতন থেকে রক্ষা করেছে৷ মাঝে মধ্যে মায়ের ভালোবাসা খুঁজে পেত তিতিরের গা থেকে। নির্মম জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়ে নিধি৷ চোখের কোণা থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল৷ কাঁধে কারো স্পর্শ পেতে পিছনে ঘুরে তাকায়৷ শায়লা চৌধুরী দাঁড়িয়ে। নিধি ডাগর ডাগর আঁখি মেলে শায়লা চৌধুরীর পায়ের দিকে তাকাল৷ হাঁটতে পারেন৷ তবে বেশি হাঁটতে পারেন না৷ অল্পতেই পায়ে ক্লান্তি চলে আসে৷ কিছুদিন থেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন৷ শায়লা চৌধুরী মুচকি হেঁসে বললেন,

“অবাক হতে হবে না৷ আমি আজ ক্লান্ত হব না৷ সারাদিন হাঁটাহাঁটি করব৷ ক্লান্ত হলে তুমি আমায় সাহায্য করবে৷”

“আপনাকে হাঁটাহাঁটি করতে হবে না৷ যেকোনো কাজে নিধি হাজির৷ নিধি এসব কাজ করে অভস্ত্য৷ নিধি আছে তো মুশকিল নেই৷”

“আমার মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন তোমার মুখে সব সময় হাসি রাখে৷”

সেদিনের পর থেকে শাওন চৌধুরীর সাথে নিধির কোন কথা হয়না৷ স্কুলে দিয়ে আসার সময়ও কথা হয়নি৷ দু’জনের মাঝে অদৃশ্য দেয়াল রটে গেছে৷ শাওন চৌধুরী কথা বলতে আসলে নিধি এড়িয়ে গেছে৷ চাইনা নিধি ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে জড়াতে৷ কোন মেয়েই এমন চরিত্রহীন ছেলের সাথে ঘর বাঁধতে চাইবে না৷ চরিত্রের কালো কালী কখনও মুছা যায় না৷ যে পুরুষের খারাপ জায়গায় যাতায়াত থাকে সে পুরুষের চরিত্র মোটেও ভালো নয়৷ সেখানে কোন ভালো মানুষের যাতায়াত থাকে না৷ শাওন চৌধুরী সামনে পড়লেই সে দৃশ্যগুলো চোখের পাতায় প্রতিচ্ছবি হয়৷ আল্লাহ যেন উনাকে আলোর পথে নিয়ে আসেন৷ আর যেন কোন মেয়ের দিকে দিকে খারাপ নজরে না তাকায়৷

বাড়ির ছাঁদে চলছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান৷ মুগ্ধ ভাইয়ার বন্ধু, শাওন চৌধুরীর বন্ধু সবাই হলুদ পাঞ্জাবি পড়েছে৷ সবাইকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে৷ নাচে গানে মেতে উঠেছে। মেয়ে বন্ধুরা হলুদ শাড়ী পড়েছে৷ নিধি এক প্রকার বাধ্য হয়ে হলুদ শাড়ী পড়েছে৷ চুলে বেলী ফুলের মালা৷ মাধবীর জন্য যা কিনা হয়েছে নিধির জন্যও সেসব সামগ্রী কেনা হয়েছে৷ ছাঁদে অনেক ছেলে থাকায় নিধি ছাঁদ থেকে নিচে আসার জন্য সিঁড়িতে পা রেখে৷ কারো ডাকে নিধির ছন্দপতন ঘটে৷ পিছনে ঘুরে তাকাতেই…

চলবে…..

আমি কেন জানি নিধি আর শাওনকে এক করতে পারছি না? আপনাদের মতামত কি? নিধি শাওনকে কি এক করব?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here