“অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে আমি কোনদিন বিয়ে করতে পারবো না৷ তোমরা কিভাবে ভাবলে আমি অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বিয়ে করবো?”
তূর্জয় ক্ষোভ নিয়ে ঘৃনার সাথে বলে উঠে তূর্জয়।
.
তূর্জয়ের কথা শুনে সবাই বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে৷ সকলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মিহু অন্তঃসত্ত্বা পরিবারের কেউ জানে না৷ মিহু মাথা নিচু করে বসে আছে৷ সত্য সকলের সামনে আসাতে মিহুর চোখে থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
.
তূর্জয় মিহুকে দাঁড় করিয়ে,
“কি হলো মিহু? কথা বলছো না কেন? তুমি প্রায় দু-মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের কাউকে জানাও নি কেন?”
.
মিহু মাথা নিচু করে কেঁদে যাচ্ছে। কোন কথা নেই মিহুর মুখে৷ মিহুর বাবা-মাকে এমন অপমান সহ্য করতে পারল না৷ মিহুর মা মিহুর হাত ধরে টানতে টানতে সবার সামনে নিয়ে আসেন৷ একের পর মিহুকে কষিয়ে থাপ্পড় মরেই যাচ্ছে৷ তবুও মিহুর মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না৷
.
তূর্জয় মিহুর মায়ের হাত ধরে,
“আরে আন্টি শান্ত হন৷ পাড়া প্রতিবেশীর লোকজন জানতে পারলে আপনাদের সমাজ থেকে বের করে দিবে৷ আপনাদের মান সম্মান সব চলে যাবে৷”
.
মিহুর মা রেগে বলেন,
“মান সম্মানের কি বাকি রেখেছে৷ এই মেয়ে আমাদের মান সম্মান সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আমি আজ এই মেয়ের পাপকে মেরেই ফেলবো৷”
.
আন্টি আপনি শান্ত হন৷ আমি দেখছি, আমি কি করতে পারি?
.
তূর্জয় মিহুকে নিয়ে আলাদা একটা রুমে যায়৷ মিহু বিছানায় বসে কান্না করেই যাচ্ছে৷ তূর্জয় মিহুর পেটে হাত রেখে,
“আমার কথামতো এবোশন করে ফেলো৷ আমি এত তারাতাড়ি বাচ্চার বাবা হতে চাইনা। আমার কথামতো কাজ না করলে তোমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এই সমাজ থেকে বের করে দিব৷”
.
মিহু চোখের জল মুছে তূর্জয়ের গালে কষিয়ে একটা চর বসিয়ে দেয়। ক্ষেপে বলে উঠে,
“আপনাকে বিশ্বাস করে আমি আমার সবটুকু আপনার কাছে অর্পন করেছি৷ আর আপনি আমার সাথে এমন করছেন৷ কেন অস্বীকার করছেন? এই সন্তান আপনার না৷”
.
তূর্জয়ের গালে কষিয়ে চর মারাতে তূর্জয় খুব রেগে যায়৷ মিহুর চুলের মুড়ি ধরে,
“তোমাদের মতো মেয়েদের সাথে এমনই হওয়া উচিত৷ নিজের ভালোবাসা বাঁচাতে এত নিচে নামতে পারো৷ না জানি আরও কত জনের সাথে তোমার রিলেশন ছিল৷”
.
মিহু কান্না করতে করতে,
“প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।”
.
তূর্জয় মিহুকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়৷ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
“আমার গায়ে তুলেও হাত তুলার চেষ্টা করবে না সুইটহার্ট। না হলে তোমাদের জীবন আমি নরক বানিয়ে দিব৷”
.
মিহু অশ্রু ভরা দৃষ্টিতে মিহি কন্ঠে বলে,
“আপনি আমাকে আপনার জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসেন৷ আজ এসব কেন বলেছেন? আপনি নিজেই সন্তানের জন্য আমাকে জোর করতেন৷ আমার গর্ভে সন্তান না আসলে আপনি বিয়ে করতে পারবেন না৷ আমি ধরে নিব সবগুলো আপনার মিথ্যা ভালোবাসা ছিল।”
.
সুইটহার্ট এত হাইপার হওয়ার কোন কারণ নেই৷ সবগুলো আমার প্ল্যানের অংশ ছিল। আর সেই অংশের তুমি ছিলে গুটি। তোমাকে দিতেই প্ল্যানটা শুরু।
.
কেন আপনি আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিলেন? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার?
.
সুইটহার্ট তোমার এই বাচ্চাকে আমি পৃথিবীর মুখ দেখতে দিব না। আমি তোমার বাচ্চাকে মেরে ফেলবো৷ সেজন্য তো তোমার সাথে আমার এত গভীর ভালোবাসা।
.
আমি অন্যায় করেছি৷ কিন্তু আমি আমার সন্তানের সাথে কোন অন্যায় হতে দিব না৷ তাকে আমি এই পৃথিবীতে নিয়ে আসবো৷
.
তূর্জয় মুচকি হেঁসে,
“সুইটহার্ট তোমার এই সন্তানকে মানুষ জারজ সন্তান বলবে৷ যদি জন্ম দাও তাহলে অবৈধভাবে বেঁচে থাকবে এই পৃথিবীতে৷ মানুষের সামনে ছোট হতে হবে এই পরিবারকে।”
.
আমি আমার সন্তানের জন্য সবকিছু করতে পারি৷ আমি এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাব৷ কেউ কোনদিন আমাকে খুঁজে পাবে না৷
.
মিহু দ্বারের দিকে পা বাড়ানোর আগেই তূর্জয় মিহুর হাত ধরে ফেলে৷ মিহু কিছু বলতে নিবে তখনই তূর্জয় মিহুকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। মিহু কপোলে আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে,
“সুইটহার্ট তুমি এই শহর ছেড়ে চলে যেতে পারবে না৷ তারও ব্যবস্থা আমি করে ফেলেছি৷ না পারবে তুমি এগিয়ে যেতে। না পারবে তুমি পিছনে ফেলে রাখা স্মৃতিগুলো ভুলতে।
মিহু ভয়ে ভয়ে তূর্জয়ের দিকে মাথা তুলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
“আপনি আবার কি করতে চান? আমি আপনার হুমকিতে ভয় পেয়ে যাব৷ আর আমি ভয় পাবো না৷ আমার পীঠমর্দ দেয়ালে লেগে গেছে৷”
.
তূর্জয় আহ্লাদী স্বরে,
“সুইটহার্ট এত ভয় পেলে চলে কি? আমি তোমার পাশে আছিই তো৷”
.
তূর্জয়কে দূরে সরিয়ে দিয়ে,
“আমি আর ভয় পাই না৷ আমি ভয়কে জয় করে নিয়েছি৷ আমার মনে আর কোন ভয় নেই৷”
.
তূর্জয় পকেট থেকে ফোন বের করে মিহুর মুখ চেপে ধরে,
“সুইটহার্ট ভয় কাকে বলে? আমি আজ ভয়ের সজ্ঞা উদাহরণসহ তোমাকে দিব৷ একটু ফোনের দিকে তোমার হরিণী চোখ মেলে তাকাও।”
.
তূর্জয় মিহুকে দেখায়, ‘মিহুর সাথে তার অবৈধ কিছু পিক৷’ সেখানে মিহু খুব ঘনিষ্ঠভাবে তূর্জয়কে জড়িয়ে ধরে আছে৷
.
তূর্জয় ফোন পকেটে রেখে,
“সুইটহার্ট এখানে আমার মুখ তেমন দেখা যাচ্ছে না৷ আমাকে চেনা যায় না৷ যদি এই এলাকা ছেড়ে চলে যাও তাহলে তোমার মা বাবার টিকেট হবে স্বর্গে৷”
.
ছি! আপনি এত নিচ! কি করে করতে পারলেন এসব কাজ? আপনাকে আমি দশজনের ভালো মানুষের কাতারে রাখতাম সব সময়৷
.
তোমার নাটক শেষ হলে এখন আমরা বাহিরে যেতে পারি। আর হ্যাঁ তুমি যদি এই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে চাও তাহলে তোমার সব পিক সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিব৷
.
আমি আপনার মতো ভীতু নয়৷ আপনি যে পাপ করেছেন সে পাপের শাস্তি সন্তানকে দিব৷
.
সুইটহার্ট তাহলে আমার খেলা দেখে যাও৷ আমি কি করতে পারি? সবকিছুর জন্য তুমি দায়ী থাকবে৷
_________
ছি! ছি! মেয়েকে শিক্ষা দিতে পারেননি৷ বিয়ের আগেই মা হতে চলছে৷ এমন বাজে কাজ করার আগে একটুও ভাবলো না৷ নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে। (তূর্জয়ের মা)
.
মিহুর মা তূর্জয়ের মায়ের হাত ধরে,
“দেখেন দিদি আমি জানতাম না মিহু এমন কাজ করতে পারে৷ তাকে আমি এমন শিক্ষা কোনদিন দেয়নি৷”
.
হাত ছাড়িয়ে নিয়ে,
“আমার তো মনে হচ্ছে আপনি আপনার মেয়ের মতো নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে ছিলেন৷ আপনি নির্লজ্জ বেহায়া না হলে আপনার মেয়ে এমন হতো না৷”
.
আমাকে যা খুশি তাই বলেন। প্লিজ আমার মেয়ের নামে কোন অপবাদ দিবেন না৷
.
ন্যাকা, যেন কিছুই জানে না৷ অন্যের পাপ পেটে নিয়ে ঘুর ঘুর করছে৷ তবুও বলছে তার মেয়ে সতী।
.
তূর্জয়ের মায়ের এমন কথা শুনে মিহুর মা মাথা নিচু করে ফেলে৷ কি বলবে? বলার মতো কোন ভাষা বাকি রাখেনি৷ মিহুর বাবা মাথায় হাত দিয়ে সদূরে বসে আছেন৷ তাদের মেয়ে এমন কাজ করবে তারা কোনদিন ভাবেনি৷
।
।
তূর্জয় তার মাকে থামিয়ে সবার সামনে বলে উঠে,
“আমি আপনাদের মান সম্মান বাঁচাতে পারি৷ যদি আপনারা আমার শর্তে রাজি হন৷”
.
মিহুর বাবা আশার আলো দেখতে পাই৷ তিনি মুখে কিঞ্চিৎ হাসি নিয়ে,
“তোমার কি শর্ত? আমরা তোমার সব শর্ত মেনে নিতে রাজি৷”
.
তূর্জয় মিহুকে চোখ টিপল দিয়ে,
“মিহুর করা পাপকে মেরে ফেলতে হবে৷ তাকে কিছুতেই দুনিয়ায় আলো দেখাতে দিবেন না৷ আমি অন্যের পাপকে নিজের কাঁধে রাখতে চাইনা।”
.
মিহুর বাবা অশ্রু ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
“তুমি যেমনটা বলবে তাই হবে৷ আমার মেয়ে এই বাচ্চাকে পৃথিবীর আলো দেখাবে না৷ আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি৷”
.
মিহু চিৎকার করে,
“না আমি আমার সন্তানের গায়ে ফুলের টোকাও লাগতে দিব না৷ তাকে আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চাই৷”
.
তূর্জয়ের মা সবার সামনে বলে উঠেন,
“তোমাকে মেনে নিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই৷ তাই বলে আমরা তোমার পাপকে নিজের বাড়ির উত্তরাধিকার বানাবো৷ কিভাবে ভাবতে পারলে?”
.
মিহু কান্না করতে করতে,
“বাবা তুমি তাদের বলে দাও আমি বিয়ে করতে রাজি নয়৷ আমি আমার বাচ্চাকে পৃথিবীর আলো দেখাতে চাই৷ আমি আমার বাচ্চার মা, আমিই তার বাবা৷”
.
মিহুর মা তার গালে কষিয়ে চর বসিয়ে,
“নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে। তোর মুখের লাগাম টান৷ এভাবে কথা বলতে তোর লজ্জা করে না৷”
.
মা প্লিজ আমার সন্তানের সাথে এমন অন্যায় করো না৷ আমি তোমাদের পায়ে পড়ি৷ আমার জন্য আমার সন্তানকে শাস্তি দিও না৷
.
তূর্জয় আগুনে ঘি ঠালার জন্য বলে উঠে,
“আচ্ছা মিহু আমরা তোমার সন্তানের কোন ক্ষতি করবো না৷ কিন্তু এটা বলো তোমার সন্তানের বাবা কে? তোমার কাছে কোন প্রমাণ থাকলে দাও৷”
.
মিহু তূর্জয় কথা শুনে তূর্জয়ের দিকে পিন পিন করে অপলক দৃষ্টিতে তাকয়৷ মায়াভরা কন্ঠে বলে উঠে,
“আপনি কেন অস্বীকার করছেন? কেন আপনার সন্তানকে আপনি মেনে নিচ্ছেন না৷”
.
তূর্জয় আকাশ থেকে পড়ার মতো করে বলে উঠে,
“মিথ্যা কথা বললেও একটা প্রমাণ লাগে৷ মানুষকে কিভাবে ফাঁসাতে চাও৷ আমি দুই মাস দেশের বাহিরে ছিলাম৷ আমার পাসপোর্ট আমার স্বাক্ষী দিচ্ছে৷”
.
তূর্জয় মা বলে উঠেন,
“রেখে দে৷ বাজারের মেয়েরা এমনই হয়৷ কার পাপ জানি তোর উপর চাপাতে চাইছে৷ তো আমি এটা বলতে চাইছি যে, ‘দুই মাস আগে তূর্জয় তোমার সাথে অনলাইনে সহবাস করেছে৷’ বাজে মেয়ে কোথাকার।”
.
মিহুর বুঝতে বাকী রইল না৷ মা, ছেলে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই মাঠে নেমেছেন৷ যেন তাদের উপর কোন আঙ্গুল তুলতে না পারে।
.
মিহুর মা ঘৃণার সাথে বলে উঠেন,
“ঘাট হয়েছে। তুই এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারিস আমার জানা ছিল না৷ একটা নিষ্পাপ ছেলেকে তুই তোমার পাপে জড়িয়ে ফেললি৷ আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না৷ এই মেয়ে আমাকে আর বেঁচে থাকতে দিবে না৷ মান সম্মান হারানোর চেয়ে গলায় দড়ি দেওয়া অনেক ভালো।”
.
“না মা। এমন কিছু তোমরা করবে না৷ আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব৷ তোমাদের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারবে না৷”
কথাগুলো তূর্জয়ের দিকে তাকিয়ে বলে।
.
তূর্জয় মুচকি হেঁসে তার মাকে কি জানি ইশারা করে? তার মা খুশি হয়ে মিহুর চোখের জল মুছে দেয়৷ তিনি খুশি মনে বলে উঠেন,
“আমরা মিহুর সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি৷ আমরা মিহুর পরীক্ষা নিচ্ছিলাম। আমি মিহুর প্রেগন্যান্সির খবর শুনেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসি৷ আমি জানি মিহু যাকে ভালোবাসাতো সে এক্সিডেনে মারা গেছে।”
.
মিহুর বাবা চোখের জল মুছে,
“আপনি এই বিয়েতে আপনি রাজি৷ যতটাকা লাগে আমি দিব৷”
.
তূর্জয় মিহুর কাঁধে হাত রেখে,
“আঙ্কেল আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা আছে৷ আপনার কোন টাকা লাগবে না৷ তবে আমাদের একটা শর্ত আছে৷”
.
কি শর্ত?
.
আমাদের আজই বিয়ে হবে৷ আর মিহুর সাথে আপনাদের সমস্ত সম্পর্ক মাটি চাপা দিতে হবে৷ আপনারা আমাদের সাথে কোন কন্টাক্ট করতে পারবেন না৷ মিহুকে দেখতে মন চাইলে ছয় মাস পর পর হোটেলে দেখা করে নিতে পারেন৷”
.
তূর্জয়ের মায়ের শর্ত হলো,
“মিহুর বাচ্চার নামে মিহুরদের প্রোপার্টির ৪০% লিখে দিতে হবে।”
.
মিহুর বাবা হাসি মুখে জবাব দিল,
“আমি আপনাদের শর্ত মেনে নিতে রাজি। আপনারা যেমন চাইবেন ঠিক তেমনই হবে৷”
.
কোন এক মন্দিরে তাদের বিয়েটা দিয়ে দেন৷
.
মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়ে মিহু তূর্জয়। তাদের ভালোবাসা টিকে থাকে এক চিলতে সিঁধুরে। আটকা পড়ে যায় সাত জন্মের জন্য৷
.
মিহু কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি তূর্জয় তার সাথে এমন খারাপ কাজ করতে পারে৷ কিভাবে করল এমন কাজ৷ মনের বিবেক একটুও বাঁধা দিল না৷
চলবে….
মেঘের ভেলা
সূচনা পর্ব
অধির রায়
নিয়ে আসলাম নতুন গল্প। ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।