#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_১৩ (# Season_02)
#Writer_Tanisha_Esu
★
হানিমুন থেকে এসেছে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো,,তানিশার শরীর খুব একটা ভালো না,,শুভ্রও তানিশাকে নিয়ে অনেক টেনশনে আছে।তানিশা গোপনে চেকআপ করতে গেছিলো আজ তার রিপোর্ট আসবে,,শুভ্র অফিসে চলে যাওয়ার এক ঘন্টা পর তানিশা ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো,মাঝপথে আয়ুশি আর নিতির সাথে দেখা।
নিতিঃ আরে তানিশা দোস্ত কেমন আছিস(জড়িয়ে)
তানিশাঃ আলহামদুলিল্লাহ তোরা
নিতিঃ ভালো না,তোকে ছাড়া একটুও ভালো লাগেনা
আয়ুশিঃ আরে এসব বাদ দে,, দুলাভাই কেমন আছে
তানিশাঃ আলহামদুলিল্লাহ ও ভালোই আছে
নিতিঃ তো দুলাভাইকে নিয়ে মিট কর একদিন ক্যাম্পাসে
তানিশাঃ কবে??
আয়ুশিঃ এই সপ্তাহে
তানিশাঃ ওকে,,তো আকাশ আবির কোথায়??
আয়ুশিঃ ওরা তো ওই রেষ্টুরেন্টে(ইশারা করে দেখিয়ে)
নিতিঃ চল দোস্ত তুই,,অনেক দিন আড্ডা দি নাই একসাথে,,চল প্লিজ
তানিশাঃ আমি??
আয়ুশিঃ হুম চল প্লিজ
তানিশাঃ আচ্ছা চল(খুশি হয়ে)
আমরা তিনজনে মিলে রেষ্টুরেন্টে গেলাম,,,গিয়ে দেখি আকাশ আবির অলরেডি বসে আছে,,,আকাশ আর আবির আমাকে দেখে খুবই খুশি হলো,,,,,,,,,
আকাশঃ আরে এটা কে রে,,তানিশার মতো লাগে
তানিশাঃ হারামজাদা,,,আমি তানিশাই(মাথায় মেরে)
আকাশঃ এতোক্ষণ বিশ্বাস হয়ছিলো না মার খেয়ে জ্ঞান আসলো
সবাই হাসা শুরু করলো,,ওয়েটারকে ওর্ডার দিয়ে আমরা বেশ মজাই করছি,,আবির কয়েকটা পিক তুললো সবাইকে নিয়ে।।
তানিশাঃ তো আবির,,নিতির সাথে সব ঠিক আছে তো
দুইজনই আমার আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকলো,,,
নিতিঃ তা,,,তানিশা এগুলো কি বলছিস
তানিশাঃ আমি অনেক আগে থেকেই জানি,,ট্রিট টা তোলা থাকলো,,আজ আমি সবাইকে খাওয়াবো
আয়ুশিঃ আহহ,,,সবাই প্রেম করে আর আমি সিঙ্গেল মরলাম(ঢং করে)
তানিশাঃ তো আকাশের সাথে বিয়ের ডেট কবে??
আকাশঃ তুই জানলি কেমনে?
তানিশাঃ এখন ভার্সিটিতে যায় না বলে কি তোমাদের খবরও রাখা বন্ধ করে দিছি,,তোরা আপন না ভাবলেও আমি আপন ভাবি(অভিমানি সুরে)
আয়ুশিঃ সরি বেবি এমন আর কখনো হবেনা
নিতিঃ সরি(তানিশাকে জড়িয়ে)
তানিশাঃ হয়ছে হয়ছে
খাবার চলে আসলো,,সবাই খাইতে লাগলো,আর টুকটাক কথা হচ্ছে। এমন সময় আমার চোখ আটকে গেলো,,শুভ্র আর আরেকটা মেয়ে হাতে হাত দিয়ে বসে আছে,,ভালো করে মুখটা দেখে চমকে উঠলাম এতো সেই সাবরিনা মেয়েটা।খাবার খাওয়ার ইচ্ছে ই মরে গেলো
তানিশাঃ শোন আজ আসি রে,,একটা ইমারজেন্সি কাজ মনে পরে গেছে
আবিরঃ আরে একটু খেয়ে তো নে
তানিশাঃ আমি বিল প্রে করে চলে যাচ্ছি,,আবির ট্রিটের কথা মনে রাখিস আসি
আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।।।।
আবিরঃ এই তানিশার কি হলো
আয়ুশিঃ কি জানি কি হলো,,,
নিতিঃ হয়তো কোন ইম্পটেন্ট কাজ মনে পরে গেছে
আকাশঃ হবে হয়তো,,কি বলিস তানিশা বিয়ের পর অনেক সুন্দর হয়ে গেছে তাইনা
আবিরঃ একদম
তানিশা বিল প্রে করে বেড়িয়ে আসলো রেষ্টুরেন্ট থেকে,,,আজ আর হাসপাতালে যাওয়া হলো না তাই বাড়িতে চলে আসলো।তানিশার কেমন জানি অসস্তি হতে শুরু করলো,,চোখের সামনে তার হাজবেন্ড অন্য কোন মেয়ের সাথে হাতে হাত দিয়ে বসা দেখলে এমনি হয়।
রাতে,,
টংটং…. টিং টং….টিং টং….
তানিশা গেট খুলে দেখে শুভ্র দাড়িয়ে আছে,,তানিশা সাইড করলো শুভ্র ভেতরে চলে গেলে,,তানিশা গেটটা অফ করে দিলো।তারপর টেবিলে খাবার বাড়তে লাগলো।
শুভ্রঃ আমি ফ্রেস হয়ে আসছি
তানিশাঃ নিশ্চুপ
শুভ্র গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসলো,,
শুভ্রঃ একটা প্লেট কেনো,,তুমি খাবেনা
তানিশাঃ আমি আগেই খেয়ে নিছি
শুভ্রঃ কি হলো ও কি ঠিক আছে(মনে মনে) তোমার কি শরীর খারাপ হয়ছে পাগলি
তানিশাঃ আচ্ছা,, সারাদিন কই ছিলেন
শুভ্রঃ অফিসে কেনো??
তানিশাঃ ওওও ভালো,,আমি ঘুমাতে গেলাম,,আপনি খেয়ে এসে ঘুমাই পরেন
তানিশা নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো,,,চোখের জল আজ বাধ মানছে না,, তার কাছে শুভ্র মিথ্যা বললো আসলেই খুব কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে তানিশার….
শুভ্রঃ আজ কি হয়ছে ওর,,,শরীর হয়তো বেশিই খারাপ,,, নাহ কাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেই হবে(মনে মনে)
শুভ্র ডিনার করে রুমে এসে লাইট অফ করে শুইয়ে পরলো,,,তানিশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বুঝতে পারলো তানিশা ঘুমাই গেছে,,,তারপর তানিশাকে শক্ত করে চেপে ধরে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলো শুভ্র।
সকালে,,,
হাজার চেষ্টা করেও তানিশাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলো না শুভ্র,,,হার মেনে অফিসে চলে গেলো মুখ ফুলিয়ে। তানিশা আজও একই টাইমে বেড়ালো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে,,খুব টেনশন হচ্ছে তানিশার।
হাসপাতালে পৌছে,,,
১০২ নং রুমে চলে আসলো তানিশা,,,
তানিশাঃ May i coming,,
ডাক্তারঃ জ্বী
তানিশাঃ টেষ্ট এর কাগজ আপনার কাছে ডাক্তার
ডাক্তারঃ দিপু ওই রিপোর্টটা দাও তো মিসেস তানিশা নামে
দিপু নামক ছেলেটা ডাক্তারের হাতে কাগজ গুলো দিয়ে রুম থেকে চলে গেলেন,,,
ডাক্তারঃ congratulation মিসেস তানিশা আপনি মা হতে চলেছেন,,
তানিশাঃ সত্যি
ডাক্তারঃ জ্বী এই নিন টেষ্ট গুলো
সবশেষে তানিশা বেড়িয়ে আসলো হাসপাতাল থেকে,,
তানিশাঃ তুমি আব্বু হতে চলেছো শুভ্র,,আজ তোমার আমার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি মা হবো(অনেক খুশি হয়ে)
এদিকে,,
সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেলো শুভ্র এসে দেখে তানিশা বাড়িতে নেই,,ফোনের উপর ফোন করতে লাগলো কিন্তু,,নো রিস্পন্স,,,আত্নীয়-স্বজন,, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে ফোন দিছে কিন্তু সবারই এক কথা তানিশা আসিনি।শুভ্র খুব টেনশনে পরে গেলো,, অনেক জায়গায় খুঁজলো কিন্তু তানিশাকে পেলো না।বাড়িতে এসে দেখলো তানিশা এখনো বাড়িতে ফিরেনি,,
শুভ্রঃ তানিশা তুমি কোথায়,,, ফোন ও ধরো না কেনো,,খুব টেনশন হচ্ছে আমার,,আর সহ্য করতে পারছিনা(চিৎকার করে)
ঠিক রাত নয়টায় ফোন আসলো,,,
শুভ্র তানিশা ফোন দিছে এই ভেবে ফোনটা হাতে নিলো কিন্তু আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলো,,,শুভ্র রিসিভ করলো একজন মেয়ে ফোন দিছে,,,
শুভ্রঃ হ্যালো,,কে আপনি
মেয়েটিঃ আমি তোমার অতি পরিচিত
শুভ্রঃ মেজাজ গরম করাইয়েন না কি বলতে চান সেটা বলেন
মেয়েটিঃ তানিশাকে খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না তাইতো
শুভ্রঃ তানিশা কোথায় আর আপনি কে??
মেয়েটিঃ এসএমএস এ একটা ঠিকানা দিচ্ছি চলে আসেন নাহলে আর কখনো আপনার ওয়াইফকে দেখতে পাবেননা
শুভ্রঃ আমি আসছি,,কিন্তু তানিশার গায়ে হাত দিলে আপনারা বাঁচতে পারবেননা বলে দিলাম(রেগে)
”
”
”
”
”
সকালে,,,
শুভ্রঃ গুড মরনিং,,পাগলি
তানিশাঃ মরনিং(মাথায় হাত দিয়ে) আমি কোথায়
শুভ্রঃ তুমি বাড়িতে আবার কোথায় থাকবে
তানিশাঃ আমি তো রাস্তায় ছিলাম কাল
শুভ্রঃ তুমি অজ্ঞান হয়ে পরছিলে তাই কিছু মনে নাই,,,আচ্ছা ব্রেকফাস্ট নিচে রাখা আছে তুমি খেয়ে নিও আমি অফিসে যাব
তানিশাঃ আজ একটু তারাতারি আসবা প্লিজ
শুভ্রঃ কেনো??
তানিশাঃ তোমাকে কিছু বলার আছে আমার??
শুভ্রঃ আমারও তোমাকে কিছু বলার আছে,,,আসি তাহলে
তানিশাঃ আচ্ছা সাবধানে যেও
শুভ্র তানিশার কপালে একটা চুমু একে দিলো,,,, তারপর চলে গেলো।তানিশা গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিয়ে রান্না করতে লাগলো।
বিকেলে,,,
তানিশাঃ আজ তোমাকে আমি অনেক বড় সারপ্রাইজ দিবো শুভ্র,,,আমি তোমাকে বলার পর তোমার রিয়েকশনটা দেখার জন্য পাগলের মতো হয়ে আছি,,ইসস কখন যে রাত হবে আর কখন যে শুভ্র আসবে,,একটা ফোন করলে কেমন হয়।নাহহ সে তো এখন বিজি থাকবে,,আর তো কয়েক ঘন্টা
তানিশা বেলকনি থেকে বাইরের পরিবেশ দেখছে আর হাতে রিপোর্টগুলো নিয়ে রেখেছে মুচকি মুচকি হাসছে।
রাতে,,,
শুভ্র এসে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নিলো,,তানিশার কাছে শুভ্রের চোখ মুখ কেমন জানি লাগছে।
তানিশাঃ ওই এবার বলি??
শুভ্রঃ রুমে চলো আগে
শুভ্র আর তানিশা রুমে চলে আসলো,,তানিশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এক বুক সাহস জোগালো,,,
তানিশাঃ এবার বলি?
শুভ্রঃ আগে আমি বলি??
তানিশাঃ আচ্ছা,, বলো(মুচকি হেসে)
শুভ্রঃ আসলে তানিশা,,,আমার
তানিশাঃ কি হলো বলো তোমার কি??।
শুভ্রঃ আমার ডিভোর্স চাই
তানিশাঃ দেখ শুভ্র এখন আমার মজা করার মুড নাই
শুভ্রঃ আমি সিরিয়াস,,এই নাও পেপার আমি সাইন করে দিয়েছি তুমি সাইন করে দিও…..
এই বলে শুভ্র কোথায় যেন চলে গেলো,,আমার শরীর যেন শীতল হয়ে উঠছে,,নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিনা,,এটা কি আমার শুভ্র নাকি অন্য কেও,,,ডিভোর্স কেন চাইছে।
ডিভোর্সের পাতাটা উল্টে দেখি ও অলরেডি সাইন করে দিছে,,বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো,,এ কেমন কষ্ট। টেবিলের উপর রাখা টেষ্টের রিপোর্টগুলো ছিলো ছোট ছোট করে ছিড়ে পুড়িয়ে ফেললাম।সারারাত ফ্লোরে বসেই কান্না করেছি,,সে আর রাতে বাড়ি ফিরেনি,,হয়তো সকালে ফিরবে।
তানিশাঃ কেন এমন করছো শুভ্র,,আমার অন্যায়টা কি,,আমাকে তুমি বলেছিলে কখনো ছেড়ে যাবেনা তাহলে এগুলো কি??আমাকে জানতেই হবে ডিভোর্সের কারণ…
ভোরে,,,
শুভ্র বাড়ি ফিরে আসলো,,
”
”
”
”
”
”
”
”
“#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_১৪ (#Season_02)
#Writer_Tanisha_Esu
★
শুভ্র বাড়ি ফিরে এসে দেখে তানিশার ফ্লোরের উপর বসে আছে।
শুভ্রঃ পেপারে সাইন করেছো
তানিশাঃ আমার দোষটা কি সেটা বলেন আগে তারপর আমি সাইন করে দিবো
শুভ্রঃ আমি একজন কে ভালোবাসি
তানিশাঃ তাহলে আগে বা এখন য আমার প্রতি যে ভালোবাসা ছিলো সেগুলো নকল??
শুভ্রঃ তুমি যা ভাববে বাট আমি আর দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে পারবো না
তানিশা পেপারে সাইন করে শুভ্রের হাতে দিয়ে দিলো,,,
তানিশাঃ এই নিন আপনার পেপার,,, এবার হয়তো আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে পারবেন
শুভ্রঃ তো কোথায় যাবে তুমি
তানিশাঃ যেদিকে দুই চোখ যাই
শুভ্রঃ এখানেই থেকে যাও,,,আমি তোমার কাজে কখনোই বাধা দিবোনা
তানিশাঃ তা আর সম্ভব না,,আর আপনি কিছু টাকা দিয়েছিলেন মনে আছে নিশ্চয়,,সেগুলো আজ রাখলাম সময় মতো ফিরিয়ে দিবো
তানিশা ব্যাগটা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো,,শুভ্রের অনেক টেনশন হচ্ছে তানিশার জন্য,কোথাই যাবে ও এখন।
শুভ্রঃ আমারকে ক্ষমা করে দিও তানিশা এছাড়া আমার কোন উপায় ছিলো না
Flashback……..
শুভ্র সেই ঠিকানায় চলে এসে সামনে একটা বাড়ি দেখতে পেলো,,,ফোনে ম্যাসেজ আসলো বাড়ির মধ্যে চলে আসেন।বাড়ির ভেতরে গিয়ে,, শুভ্র আশেপাশে তাকিয়ে যাকে দেখলো তা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলো না।।।
সাবরিনাঃ চলে এসেছেন তাহলে
শুভ্রঃ আপনি এখানে তার মানে আপনি??
সাবরিনাঃ হ্যাঁ আমিই,,এগুলো করতাম না যদি তুমি রেষ্টুরেন্ট আমার কথায় রাজি হয়ে যেতে
শুভ্রঃ তা কখনোই সম্ভব নয়,,আর তানিশা কোথায়??
সাবরিনাঃ এই রিয়ন পর্দাটা সরা
রিয়ন নামের ছেলেটি পর্দা সরিয়ে দেয়,,তানিশা একটা চেয়ারে বাধা আছে আর আরেকটা ছেলে তানিশার মাথায় বন্দুক ধরে আছে,,,
শুভ্রঃ তানিশাআআআ
সাবরিনাঃ এই এই আগাবে না,,নাহলে গুলিটা তানিশা মাথা ছেদ করবে
শুভ্রঃ আপনি কি চান??
সাবরিনাঃ তানিশাকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে হবে??
শুভ্রঃ তাহলে তানিশাকে ছেড়ে দিবেন তো
সাবরিনাঃ হ্যাঁ
শুভ্রঃ আমি রাজি
সাবরিনাঃ এভাবে হবেনা মি. শুভ্র,,এই কন্টাক্ট পেপারে সাইন করতে হবে
শুভ্রঃ কি আছে এই পেপারে
সাবরিনাঃ এই পেপারে লিখা আছে আপনি স্ব-ইচ্ছায় তানিশাকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করবেন,, আর যদি না করেন তাহলে আমি তানিশাকে মেরে ফেলবো আর যদি নাও সাইন করতে রাজি হন তবুও তানিশা মরবো
শুভ্রের মাথায় আর কোন কাজ করছেনা,,,কি করবে বুঝতে পারছেনা।লক্ষ্য একটাই তা হলো তানিশাকে বাঁচানো,,তাই বেশি কিছু ভাবলো না শুভ্র
শুভ্রঃ এই পেপারে সাইন করতে আমি রাজি বাট আমারও কিছু সর্ত আছে
সাবরিনাঃ আমি সব সর্ত মানতে রাজি
শুভ্রঃ ফাইন,,,আমার আর তানিশার ডিভোর্স এর ব্যাপার আমাদের পরিবার,প্রতিবেশি জানবে না আর ডিভোর্সের পর দুই বছরের জন্য আমাকে সময় দিতে হবে
সাবরিনাঃ আমিও রাজি
শুভ্রঃ কন্টাক্ট পেপারে আগে আপনি সাইন করবেন দেন আমি
শুভ্রের কথা অনুযায়ী আরেকটা কন্টাক্ট পেপার তৈরি করা হলো সেখানে সাবরিনা সাইন করলো,,তারপর শুভ্র সাবরিনার দেওয়া পেপারে সাইন করলো,,,সাবরিনার দেওয়া ডিভোর্স পেপার ও তানিশাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলো তারপর বাকি কাহিনী ঘটতে লাগলো,,
অন্যদিকে,,,
আয়ুশিঃ তুই চলে এসেছিস তানিশা
তানিশাঃ হুম,
আয়ুশিঃ আমরা কাল এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাব
তানিশাঃ হুম,,,
আয়ুশিঃ আগে ফ্রেস হয়ে নে
তানিশা আয়ুশির কথা মতো ফ্রেস হতে গেলো,,
তানিশা আয়ুশিকে সব বলে,,আয়ুশি নিজের কাছে আসতে বলে,,, আয়ুশি এখান থেকে অনেক দূরে চলে আসার প্লান করে কারণ আকাশ,,,আকাশকে খুব ভালোবাসতো এমনকি বিয়ের কথাও হয়ে গেছিলো কিন্তু আকাশ অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকায় আয়ুশি সিন্ধ্যান্ত নেয় চলে যাবে অনেক দূরে,, তানিশার জন্য সঙ্গি পেয়ে গেলো।
তানিশা ফ্রেস হয়ে নিচে চলে আসে,,আয়ুশি টেবিলে খাবার রাখছে।
আয়ুশিঃ খেয়ে নে তানিশা
তানিশাঃ আমার খিদা নেই
আয়ুশিঃ খিদা নেই বললে হবেনা তানিশা,, তোর মধ্যে একটা অস্তিত্ব বড় হয়ে উঠছে,,সে তো কোন অপরাধ করেনি।এখন সব চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেকে শক্ত কর শুধু তোর বেবিটার জন্য
তানিশা আয়ুশিকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো, আর আয়ুশি তানিশা আয়ুশিকে শান্তনা দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এদিকে আয়ুশির ও খুব কষ্ট হচ্ছে। আয়ুশি বুঝিয়ে তানিশাকে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো।তারপর বেলকনিতে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো,,,
আয়ুশিঃ এ কেমন বিচার তোমার,,আমার কথা না হয় বাদ ই দিলাম তানিশার সংসার শেষ হয়ে গেলো,,শুভ্র ভাইয়া এমন কেনো করলো??(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
তার পরের দিন তানিশা আর আয়ুশি কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে আসলো নতুন পরিবেশ নতুন শহর।যেখানে পরিচিত কেউ নেই,,,ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বাস করতে লাগলো।
”
”
”
”
”
”
”
”
পাঁচ মাস পর,,,,,
তানিশা এখন সাত মাসের গর্ভবতী,,,কিছুদিন আগেও একটা জব করতো আয়ুশির বকার কারণে বাদ দিয়ে আপাতত রেষ্টে আছে।শুভ্রের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি তানিশা।
আয়ুশিও এখন জব করে,,আর ওর জীবনেও একজন মনের মতো মানুষ এসেছে যে শুধু আয়ুশিকেই ভালোবাসে।তার নাম আদি,,আদিও তানিশাকে অনেক সম্মান করে।
আয়ুশিঃ তানিশা তোর না আজ চেকআপ আছে,,চল আমিও যাব
তানিশাঃ নো তুই যাবি আদি ভাইয়ার সাথে,,
আয়ুশিঃ কিন্তু
তানিশাঃ তুই যাবি মানে যাবি।আচ্ছা আমি এখন আসি
এই বলে তানিশা বেড়িয়ে পরলো,,,হাসপাতালে এসে সিরিয়াল নিয়ে বসে আছে আর একটা বই পড়ছে।
অন্যদিকে,,,
শুভ্রঃ আন্টি আপনি চিন্তা করবেননা,,আপনার ছেলের কিছু হবেনা, আমি আছি তো
শুভ্রের বন্ধু এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ছে।তার আম্মুকে বুঝাতে বুঝাতে হঠাৎ তানিশার উপর নজর পরলো,,,
শুভ্রঃ তানিশাআআ(অবাক হয়ে)
”
”
”
”
”
”
”
”
”
চলবে….
(পর্ব ছোট করে দিলাম আসলে আমি অসুস্থ প্লিজ কিছু বলবেননা)
”
”
”
”
চলবে…….