যে বর্ষণে প্রেমের ছোঁয়া পর্ব -০১ |গল্পের লিংক|আনিশা সাবিহা|

“আপনি আমাকে আমার বাচ্চা সহ গ্রহণ করতে পারবেন? তবে আমি রাজি আছি বিয়েতে।”

পাত্রপক্ষের সামনে একেবারে স্পষ্ট ভাষায় কথাটি বলে দিলো মোহ। পাত্রপক্ষ পাত্রীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে হতভম্ব। বিশেষ করে পাত্র বিস্ফোরিত চোখে একবার মোহকে দেখছে আরেকবার মোহের কোলে থাকা ছোট্ট ছেলে বাচ্চাকে। পাত্রের মা চোখ বড়ো বড়ো করে বললেন,
“সে কী! তোমার বাচ্চা আছে? দেখে তো বোঝাই যায় না।”

“আমার যে বাচ্চা আছে এই কথাটা কি আমার মুখে পোস্টার মেরে ঘুরতে হবে? আপনাকে দেখে কিন্তু খুব একটা বয়স্ক মনে হয় না। দেখে কিন্তু বোঝা যায় না আপনার একটা বিবাহযোগ্য ছেলে আছে। এর জন্য কি আপনি মুখে পোস্টার লাগিয়ে ঘুরবেন?”

কিছুটা দূর থেকে মোহের মা মিসেস. সুফিয়া মোহকে বারবার ইশারায় চুপ থাকতে বলেও লাভ হলো না। মোহ নিজের কথা শেষ করেই থামল। পাত্রের মা পাত্রের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালেন। বললেন,
“রাফসান! তুমি এ কেমন মেয়ে পছন্দ করেছ? যার মধ্যে সামান্য কথা বলার ভদ্রতাও নেই। এই ছোটো একটা বাড়িতে পাত্রী দেখতে আসার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু তুমি বললে বলে আসতে হলো। অপমান করাতে নিয়ে এসেছ আমায়? তাও আবার শুনছি মেয়েটার বাচ্চাও আছে।”

মোহ এবার নিজের কোলে থাকা ছোট্ট ছেলে বাচ্চাকে নামিয়ে দিয়ে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াল। রাফসান তখন মিনমিন করে বলল,
“আসলে মা আমি নিজেও বুঝিনি এই মেয়েটার বাচ্চাও থাকতে পারে। আমি তো ওকে সকালে বাজারে দেখেছিলাম তখনি ভালো লেগেছিল। পিছু নিয়ে এই পর্যন্ত আসি। তারপর ঘটক লাগিয়ে জানতে পারি মেয়েটা অবিবাহিতই। কিন্তু বাচ্চা…”

রাফসানকে থামিয়ে দিয়ে তার মা মুখ বাঁকিয়ে বললেন,
“আজকাল এসব মেয়েদের বাচ্চা হওয়ার জন্য আবার বিয়ে হওয়া লাগে নাকি? কোথা থেকে অকাজ কুকাজ করে এসেছে দেখ! তারপর বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। এসব মেয়েদের পরিবার কেমন জানি না বাপু! মেয়েদের ঠিক করে শিক্ষাও দিতে পারে না।”

মিসেস. সুফিয়া এবার বেশ অপমানিত বোধ করলেন। মুখশ্রী কঠোর হলো উনার। কিছু বলতে উদ্যত হতেই মোহ কড়া সুরে বলতে আরম্ভ করল,
“দেখুন বড়োলোক আন্টি! অন্যের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজের শিক্ষা যাচাই করা উচিত। আপনি বরং আপনার ছেলেকে শেখান যে কোনো মেয়ে অনুমতি না নিয়ে তা পিছু নেওয়া উচিত নয়। আমি আপনার ছেলেকে পিছু নিতে দেখেছি। গতকাল মন ভালো ছিল তাই শুকরিয়া আদায় করুন। নয়ত হসপিটালে পাঠাতাম তিনমাসের জন্য। আর পরবর্তীতে আপনাদের মতোই কোনো বড়োলোক আর অহংকারী ঘরে সম্বন্ধ নিয়ে যাবেন প্লিজ!”

মোহের এমন শক্ত জবাব যেন একদমই আশা করেননি পাত্র রাফসানের মা। তিনি দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে মোহের দিকে একবার দৃঢ়ভাবে তাকিয়ে কঠোর সুরে বললেন,
“রাফসান, চলে আয়!”

রাফসান তার মায়ের সাথে সদর দরজা দিয়ে প্রস্থান করল। মিসেস. সুফিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেয়ের দিকে হতাশ চোখে চাইলেন। মোহ তখন নিজের ছেলেকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে চুমু খেতেই মিসেস. সুফিয়া বললেন,
‘উনাদের সাথে এভাবে কথা না বললেও পারতিস মোহ। ওরা তো শুধু তোকে পছন্দই করেছিল। তাই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।”

মোহ দায়সারাভাবে উত্তর দিল,
“হ্যাঁ তো আমি কোথায় মানা করেছিলাম বিয়ের জন্য? আমি তো শুধু বলেছি আমি আমার ছেলে ইথানকে যদি মেনে নেওয়া হয় তবে আমার কোনো আপত্তি ছিল না।”

মিসেস. সুফিয়া এবার মেয়ের কাছে এলেন। চিন্তিত হয়ে বললেন,
“দেখ ইথান তো আমারও নাতি। তাই বলে ওর জন্য চিরজীবন বিয়ে না করে বসে থাকবি? মেয়েদের তো একদিন না একদিন বিয়ে হতেই হয় মোহ। ইথানের বিষয়টা পরে বুঝিয়ে বললে হয়ত রাজি হতেন উনারা কিন্তু তুই যেভাবে বললি…”

ছোট্ট ছেলে ইথান এতক্ষণ ডাগরডাগর আঁখি দুটোতে চেয়ে সকলের কাণ্ড দেখে চুপ থাকলেও যেন নিজের ছোট্ট মনে আর কৌতূহল দমিয়ে রাখতে পারল না। আধো আধো কণ্ঠে শুধাল,
“মা…মাম্মা! একটু আ…আগে ওরা কারা এসেছিল?”

“কেউ না ইথান! এমনি ঘুরতে এসেছিল। তুমি এখন নানুর কাছে থাকো। আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি। নানুর কাছে লক্ষী ছেলে হয়ে থাকবে ঠিক আছে?”

মোহের কথায় ইথান মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। মোহ মিসেস. সুফিয়ার পানে তাকিয়ে কঠিন সুরে বলল,
“মা! ইথান আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি। তাই ওর কথায় আগে উঠবে। আর এটা তুমি জানো যে বাকি মেয়েদের মতো আমি নরমভাবে কথা বলতে পারি না। আর না আমি মাথা নুইয়ে চলতে পারি। আমি অন্যায়কে প্রশয় দিতে জানি না। তাই প্লিজ আমাকে সামান্য বিয়ের জন্য নিজের পরিবর্তন আনতে বলো না।”

“তোর এমন আচরণ যেন তোর বিপদের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় কখনো! তুই চুপ থাকতে পারিস না কেন? তুই ভালো করে জানিস আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারকে গলা উঁচিয়ে কথা বলতে নেই। আর যদি গলা উঁচিয়ে কথা বলা হয় তবে সেটা অন্যায় বলে গণ্য করা হয়। এর জন্য শাস্তি ভোগ করতে হয়।”

মায়ের কথা মোহের মনের সামান্য ভিতও যেন নড়াতে পারল না।
“তুমি জানো আমি শাস্তিতে ভয় পাই না। যদি পেতাম ইথান আমার সঙ্গে থাকত না। এসব কথা বাদ দাও। আমি বাহিরে যাচ্ছি। ইথানকে সামলে রাখো।”

মিসেস. সুফিয়া স্নেহের সাথে ইথানকে নিজের কোলে নিতে নিতে প্রশ্ন করলেন,
“কোথায় যাচ্ছিস এ সময়?”

কথার উত্তর পেলেন না মিসেস. সুফিয়া। মেয়েটা বেয়ারা ভাব নিয়ে বেরিয়ে গেল। মোহের এমন স্বভাবে বেশ বিরক্ত হন তিনি। মনে মনে ভয় হয়! কোথায় কোন বিপদে জড়িয়ে যায় ঠিক নেই। ইথানের মৃদু সুরে মিসেস. সুফিয়া আতঙ্কের মনোভাব কাটিয়ে ইথানের প্রতি মনোযোগী হয়।
“না…নানুমনি আ…আমার খিদে পেয়েছে।”

“তোমার জন্য নুডলস বানিয়েছি সোনা। চলো খেতে দিই।”

ইথানকে কোলে করে নিয়ে ঘরের দিকে অগ্রসর হলেন মিসেস. সুফিয়া।

মোহের পুরো নাম মোহ আনবীর। আজহার আহমেদ এবং তার স্ত্রী মিসেস. সুফিয়ার একমাত্র মেয়ে। ছোট্ট বাচ্চাটি মোহের ছেলে ইথান। যার বাবার কোনো খোঁজ নেই। জন্ম থেকে এই অবধি ইথানের বড়ো হওয়া তার মায়ের বাবার বাড়িতেই। লাগামহীন এই মোহকে সামলাতে খেতে হয় হিমশিম।

মোড়ের রাস্তার পাশের ফুটপাতে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে খোলা চুলের একটি মেয়ে। উজ্জ্বল মুখটা চুপসানো। বর্ষাকালের অবাধ্য হাওয়া তার পরনে ওড়না যখন উড়িয়ে দিতে চাইছে তখনি তা জাপটে ধরে ঘাড় বাঁকিয়ে অদূরে থাকা চায়ের দোকানে কিছু বখাটে ছেলেদের দেখছে। ছেলেগুলো হাসাহাসি করছে ভীষণ। আর হাসাহাসির কেন্দ্রবিন্দু যে মেয়েটিই সেটা বুঝতে বাকি নেই তার। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত মানুষের দেখা পেয়ে হাফ ছাড়ল সে।
“এই তানিয়া! কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছিস? বেশি লেট করে ফেললাম?”

মোহের প্রশ্নে তানিয়া অতিষ্ঠ হয়ে বলল,
“পুরো আধঘণ্টা লেট তুই। কত বিরক্তি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি জানিস?”

“তোকে দাঁড়িয়ে রাখার কোনো ইচ্ছে ছিল না বিশ্বাস কর! হুট করে কোত্থেকে যেন পাত্রপক্ষ দেখতে চলে এলো। আর পাত্র বলে কী! আমাকে নাকি ফলো করে আমার বাড়ির এড্রেস জেনে নিয়েছে। আমাকে নাকি তার খুবই পছন্দ হয়ে গিয়েছে।”

কথাটা শুনে তানিয়া বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে পরক্ষণেই স্বাভাবিকভাবে বলল,
“এবারও নিশ্চয় ইথানের কথা শুনতেই পালিয়েছে ওরা?”

“সে আর বলতে!”

তানিয়া হেসে বলল,
“এই হলো ছেলেদের পছন্দ! কোনো সমস্যা থাকলেই তাদের পছন্দ উবে যায় বুঝলি? তোর কী মনে হয়? জীবনে এমন কোনো ছেলে পাবি? যে তোর সাথে ইথানের দায়িত্বও নিতে রাজি হবে?”

মোহ দায়সারাভাবে জবাবে বলে ওঠে,
“কী জানি! ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। তুই কেন ডাকলি আমায় এই সময়? কী হয়েছে? এখানে দাঁড়িয়ে কথা না বলে চল চা খাই। গলা শুঁকিয়ে গেছে আমার।”

মোহ চায়ের দোকানের দিকে অগ্রসর হতেই তানিয়া তার হাত চেপে ধরে। চাপা সুরে বলল,
“না ওইদিকে যাস না প্লিজ! আসার সময় এমনিতে ওখানে থাকা ছেলেপেলেরা ভীষণ বাজে ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষ করে ওই কালো লেদারের জ্যাকেট পরা ছেলেটার মুখের ভাষা খুবই বিশ্রী। ওসব কথা আর শুনতে চাই না।”

মোহ ভ্রু কুঁচকে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুটা সময়। তারপর বলল,
“,কোন ছেলে বিশ্রী কথা বলেছে? কালো জ্যাকেট পরে অন্যদিকে ফিরে রয়েছে যেই ছেলেটা?”

তানিয়া মাথা ঝাঁকায়। মোহ তানিয়ার হাত ধরে তৎক্ষনাৎ বলল,
“চল ওকে চ/ড় মা/রবি।”

তানিয়া ভয়ে তটস্থ হয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে বলল,
“কী বলিস! কী দরকার এসবের? ছাড় তো!”

মোহ এবার জেদ ধরে বলল,
“তুই মা/রবি না তো? ঠিক আছে আমি মে/রে আসছি।”

মোহ বিলম্ব না করে দ্রুত হাঁটা ধরল। তানিয়ার ইচ্ছে করল নিজের কপাল চাপড়াতে। কী দরকার ছিল মোহকে এসব বলার? মোহ যে কেমন বেপরোয়া সেটা সম্পর্কে বেশ ভালোমতো জানে তানিয়া।

মোহ সরাসরি সেই চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে কালো জ্যাকেট পরিহিত ছেলেটির বরাবর দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র দুটো শব্দ উচ্চারণ করল,
“এক্সকিউজ মি!”

মেয়েলি কণ্ঠ শুনে মোহের দিকে ফিরে তাকাল সেই প্রশস্ত দেহের যুবক। মোহ হাত উঠাতে দেরি করল না। সপাটে থা/প্পড় বসিয়ে দিলো যুবকটির ছোটো দাড়িযুক্ত গালে। মোহ চিল্লিয়ে বলল,
“আপনাকে কি কোনো ছেলে জন্ম দিয়েছে নাকি? মেয়েদের বিশ্রী কথা বলার আগে মায়ের চেহারা চোখের সামনে ভাসে না? অসভ্য লোক!”

সুদর্শন যুবকটির মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না। সে ঘাড় বাঁকা করে একভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তবে মোহ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে লোকটির ঘাড়ের রগ দপদপ করছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকটির সকল বন্ধুও নিশ্চুপ! শুধুমাত্র কিছুটা পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি যুবক হতভম্ব হয়ে বলল,
“ভাই!”

এবার ঘাড় সোজা করে মোহের দিকে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করল পুরুষটি। তার ঘোলাটে বর্ণের নয়নে উপচে পড়তে লাগল ক্রোধের আগুন। তবে মোহও ভয় পায় না। ভয় পেতও না। যদি না পেছন থেকে আরেকটি যুবক একই রকম কালো লেদাটের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় এসে মোহের সামনে দাঁড়াত। হুট করে আগমনী এই যুবকটি মোহ যাকে চড় মে/রেছে তার হাতে বাইকের চাবি তুলে দিয়ে বলল,
“ধর তোর বাইকের চাবি। ভুলে ফেলে এসেছিস ওখানে।”

কথাগুলো বলতে বলতে মোহের দিকে নজর গেল তার। সে মিষ্টি হেসে বলল,
“হেই বিউটিফুল গার্ল! এখানে কী করো?”

মোহের কাছে এবার পরিষ্কার হয়ে গেল যে সে কত বড়ো ভুল করেছে। মাথা নত হলো তার। জড়োসড়ো হয়ে সেই ঘোলাটে নয়নের মানবটির দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল,
“ভুল হয়ে গেছে সরি! ইট ওয়াজ মিস্টেক!”

লোকটি এবার অবাক হওয়ার ভান ধরে বলল,
“ওহ রিয়েলি? একটু আশেপাশে তাকাবেন মিস?”

মোহ মাথা ঘুরিয়ে আশেপাশে দেখল। মোড়ে ভীষণ মানুষজন থাকেই। যাদের সবার দৃষ্টি এখন তাদেরই দিকে। মোহ ঢক গিলে অকপটেই বলে,
“এগেইন সরি। ভুল হয়ে গেছে বললাম তো!”

“তুমি ভুল করে ভুল করে ফেলেছ। আমি এখন ঠিক করে ঠিক পানিশমেন্ট দিতে চাইছি মিস. বিছুটি পাতা।”

মেয়েটার চুলে ঢাকা কপালে পরপর তিনটি ভাঁজ পড়ল। তবে নিজেকে ধাতস্থ করে বলল,
“আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি আপনাকে ভুল ভেবে থাপ্পড় মেরে দিয়েছি আপনিও আমাকে একটা থা/প্পড় মে’রে শোধ তুলে নিতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন আমার একটা নাম আছে। আর আপনার দেওয়া এই অদ্ভুত নামটা আমার কোনো প্রয়োজন নেই।”

“তুনি এমনভাবে আমাকে চ/ড় মারলে যেন আমার গালে বিছুটি পাতা ঠেকিয়ে ধরেছে কেউ। আর আমি নিজের দেওয়া নামে ডাকতে পছন্দ করব তোমায়। আর তোমার কি মনে হয় না? আমি তোমাকে এখন একটা চড় মা’রলে উল্টে আমার গণধোলাই খাওয়ার চান্স আছে? আর তুমি চড়টা ঠিক কাকে মে’রেছ জানো?”

মেয়েটি এবার দৃষ্টিপাত করল তার সামনে থাকা পুরুষটির ঘোলাটে চোখের দিকে। সাহস নিয়ে বলল,
“আপনি যেই হোন! মিনিস্টার, প্রাইম মিনিস্টার তাতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আর আমি নিজে ভুল করলে স্বীকার করতে জানি।”

সেই ঘোলাটে নয়নের মালিকটা এবার মৃদু হাসল। বলল,
“আমার পানিশমেন্ট নেওয়ার ধরণ যে আলাদা মিস. বিছুটি পাতা! ভুল করে অনেক বড়ো অন্যায় করে ফেলেছ তুমি। অন্যায়ের মাশুল আমি গুনে গুনে তুলব।”

লোকটি আর এক মুহূর্ত দাঁড়াল না। হনহনিয়ে সামনে পার্ক করে রাখা কালো বাইকে গিয়ে উঠে বসল। সজোরে বাইক স্টার্ট দিয়ে কিছু সময়ের ব্যবধানেই যেন উধাও হয়ে গেল। তার এমন কাণ্ডে তার ভাই সবাইকে বলল,
“আমি যাচ্ছি। স্বচ্ছ ভাই রেগে গেলে অনেক জোরে বাইক চালায়। ওহ গড! কী যে হয়!”

মোহ বাকরুদ্ধ! সে বুঝতেই পারেনি এভাবে ভুল হয়ে যাবে। ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইল সে সেখানেই। হাতের মুঠো শুক্ত করতেই অনুভব করল বর্ষণের আগমন। ফোঁটা ফোঁটা বর্ষণের উদ্ভব হয়েছে!

#যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১

[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here