রক্তিম রোদ 💔 পর্ব ২+৩

গল্প:রক্তিম_রোদ
লেখনীতে:নিয়াজ মুকিত
পর্ব:২

আসতে আসতে আমার দিকে অগ্রসর হচ্ছে প্রত্যয়।নজরটা কোথায় সেটা ঢের বুঝতে পারছি।এই নির্জন রাস্তায় বাঁচানোর মতো কোনো পাবলিককে দেখছি না।একপর্যায়ে প্রত্যয় এসে চেপে ধরে আমার হাতটা।চোখের দৃষ্টি আমার দিকে।আমি চিল্লাতে যাবো এমন সময় সে আমার মুখখানা চিপে ধরে।রাস্তার ওপাশ থেকে আরো ২টা ছেলে এসে যোগ হয় তার সাথে।ভয়ে হাত-পা রীতিমতো কাঁপতে শুরু করে।ছেলেদুটো এসে আমাকে ঘিরে দাঁড়ায়।একজন পকেট থেকে রুমাল বের করে আমার মুখটা বেঁধে করে দেয়।আর একজন আমার হাতটা বেঁধে দেয়।প্রত্যয় এবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে,

~”তোমার পার্ট আজকে শেষ করবো মিস.রাশা।খুব পার্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও তুমি।আজ থেকে আর পারবে না।”
এই বলে সে আমাকে ঘাড়ে তুলে নেয়।তার এক বন্ধু সামনে আর এক বন্ধু পিছনে।রাত ১১টার কাছাকাছি সময়।রাস্তা ফাঁকা,তাই আমাকে নিয়ে যেতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হচ্ছে না তাদের।আমার চোখ দিয়ে ঝর্ণার মতো পানি বেয়ে পড়ছে।আজ নিজের সতীত্বকে রক্ষা করতে পারবো কিনা তা নিয়ে সংশয় উঠছে নিজের মনে।তারা আমাকে নিয়ে আসে একটা ভাঙ্গা বাড়িতে।অবহেলায় ধষে পড়েছে বাসাটা।দেখে মনে হয় দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বাসাটার পরিচর্যা করা হয়নি।তারই‌ একটা ছোট কামড়ায় নিয়ে যায় আমাকে।প্রত্যয় আর তার বন্ধুরা বিভিন্ন অশ্রীল কথা বলাবলি করছে।শেষ বারের মত আমার মনে হলো,নিজের সতীত্বকে রক্ষা করতে পারবো না আজ।নামের সাথে যুক্ত হবে কলঙ্কিনি উপাধিটা।এই ভেবে চোখ দুটো বন্ধ করে নেই।তবুও পানি বাঁধ মানছে না।বেয়েই চলেছে।ভাবছি এই বুঝি তারা হামলে পড়বে আমার উপর।তারপর হয়তো ছিড়ে-ছিড়ে খাবে।চোখ দুটো বন্ধ করে কান্না করেই চলেছে।মুখ বাঁধা থাকায় চিল্লিয়ে কান্নায় করতে পারছি না।

২.
মুহুর্তেই যেন ঘটে যায় সব কিছু।শুনতে পারি প্রত্যয় ও তার বন্ধুদের ভয়ভীতি জড়ানো গলার চিৎকার।মুহুর্তেই চোখ দুটো‌ খুলে নেই।তাদের দিকে তাকিয়ে হা হয়ে যাই।চোখ দিয়ে এখনো ‌পানি পড়ছে।মনের ভিতর এক অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করছে।চোখের সামনে যা দেখছি তা অবিশ্বাস যোগ্য।প্রত্যয় ও তার বন্ধুরা পালিয়ে যাচ্ছে।তাদের পিছনে ধাওয়া করছে কয়েকটা কুকুর।৫ কিংবা ৬টা হবে কুকুরদের সংখ্যা।তারা ধাওয়া করছে প্রত্যয় ও তার বন্ধুদের।দুইটা কুকুরতো কামড়েই দিয়েছে প্রত্যয়কে।তার বন্ধুরা প্রত্যয়ের দিকে তাকাচ্ছে না।পালানোর মতো জরুরি কাজ রেখে পিছনে তাকার কোনো মানেই হয় না।

সত্ত্যি আমি এই কয়েকটা কুকুরের কাছে সারাজীবন ঋণী হয়ে থাকবো।কুকুরগুলো এখনো‌ ধাওয়া করেই চলেছে।বুঝলাম না হঠাৎ করে কুকুরগুলো তাদের ধাওয়া করা শুরু করলো‌ কেন?কিছুক্ষন পরই বুঝতে পারলাম কারন।তারা আমাকে যে কামড়ায় নিয়ে এসেছে তার পাশের কামড়ায় থাকে ৩ কিংবা ৪জোড়া কুকুর দম্পত্তি।তাদের বাচ্চাও রয়েছে।রাত হওয়ার কারনে ঘুমিয়ে পড়েছিল তারা।কিন্তু প্রত্যয় আর তার বন্ধুরা তাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।মুহুর্তেই মাথার তার ছিড়ে যায় কুকুর দম্পতিদের।ধাওয়া করতে শুরু করে তারা।হাত-মুখ বাঁধা থাকার পড়েও এত কিছু বুঝলাম কিভাবে সেটা ভাবার বিষয়?আসলে দেয়ালের কিছু অংশ ফেটে নিচে পড়ে গেছে।তা দিয়ে খুব ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে ওপারের কামড়ার সব।কয়েকটা কুকুরছানা আরাম করে ঘুমাচ্ছে সেখানে।

এখন আমার কি হবে সেটাই ভাবছি?নির্জন একটা জায়গা,কে আসবে এদিকে?আর যদি কেউ না আসে তাহলে কে খুলে দিবে আমার হাত ও মুখের বাঁধন।মুহুর্তের মধ্যে আরেকটা ভয় এসে যোগ হয় অন্তরে।যদি প্রত্যয় আর তার বন্ধুরা আবার ফিরে আসে।পা খোলা আছে ঠিকই কিন্তু আমার ওঠার ক্ষমতা নেই।একে আয়ান ভাইয়ের জানোয়ারের মতো মাইর গুলোর ব্যাথা সেরে উঠতে পারিনি।তার উপর আবার হাত বেধে শুয়ে রেখেছে।কিভাবে উঠবো‌ আমি?সেই শক্তি নেই শরিরে।জানোয়ারের মতো মাইর খাওয়ার পর যে সময় আমার দরকার ছিল‌ একরাশ সেবার।সেখানে সেবার বদলে পাচ্ছি শাস্তি।বারবার চেষ্টা করতে লাগলাম উঠার।কিন্তু প্রত্যকবারই ব্যার্থ নামক কথাটা পাশে এসে দাড়াচ্ছে।কবি বলেছেন,
“একবার না পারিলে দেখ শতবার” কিন্তু আমি শতবার চেষ্টা করার‌ পরও যখন পারলাম না তখন এক মুহুর্তের জন্য হলেও মনে হলো যে,আসলোই ‌ক্লাসগুলোতে পড়া ফাঁকি দিয়ে কি ভুলটাই না করেছি।কবির পরের বাক্যটা যদি জানা থাকতো তাহলে হয়তো আজ সফল হতে পারতাম।কিন্তু কথায় আছে না সময়ের কাজ সময়েই করতে হয় না হলে পড়ে কপাল চাপড়াতে হয়।আমিতো ‌কপাল চাপড়াতে পারছি না হাত বাঁধা থাকার কারনে তবে মন দিয়ে ঠিকই চাপড়াচ্ছি।ভাবলাম শেষ বারের মতো চেষ্টা করি।কিন্তু সে বারও ব্যার্থ নামক কথাটা আমাকে ছাড়ল না।বাধ্য হয়ে সেখানেই মাথা হেলান দিয়ে শুয়ে পড়ি।মনে এখন একটাই চাওয়া যেন প্রত্যয় আর তার বন্ধুরা ফিরে না আসে।কখন যে চোখটা লেগে গেছে বুঝতে পারিনি।

__________________

বিছানায় শুয়ে ছটপট করছে মিসেস.আশা মানে আমার মা।হাজার দোষই করুক নিজের মেয়েতো।কিভাবে ভুলতে পারে?স্ত্রীর ছটফটানি দেখে পাশ থেকে আমার বাবা বলে ওঠেন,
~”কেন ভাবছো সেই কলঙ্কিনি মেয়েটার কথা।ভুলে যাও তাকে।আমি ভাবতেও পারছি না আমার মেয়ে এতটা খারাপ হবে।এতদিন তাকে মানুষ করলাম অথচ চিনতে পারলাম না।”
স্বামীর কথা অন্য সবসময় শুনলেও‌ এখন রেগে ওঠে মিসেস.আশা।খেঁকিয়ে উঠে বলেন,
~”তুমি কি আমার মেয়ের দোষগুলো নিজ চোখে দেখেছো?শুধুমাত্র একটা কাগজের উপর ভিত্তি করে কিভাবে এত বড় একটা কথা বলতে পারলে।আমরা এতদিন তাকে মানুষ করিনি।জানিনা তার চরিত্র সম্পর্কে।কখনো‌ কোনো খারাপি করতে দেখেছো?”
চুপ‌ হয়ে যায় মি.তাসরিফের মুখ।আসলেই তিনিতো কখনো ‌তার মেয়েকে কোনো খারাপি করতে দেখেনি।কিন্তু ওই কাগজটা!যেটা আয়ান আমাদের দেখালো ওটা কিভাবে ওর ব্যাগে আসলো?

এসব বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে তারা।ঘুম ভাঙ্গে পরেরদিন সকালে।

এদিকে পানির ছিটায় ঘুম থেকে জেগে ওঠি আমি।চকিতে মনে করি কালকের সব ঘটনা।সব কিছু‌ সপ্নের মত লাগছে।অবাক হয়ে তাকাই‌ পানির ছিটা দেয়া ব্যাক্তিটার দিকে।একটা সুদর্শন পুরুষ।আমি‌ চোখখুলতেই আমাকে টেনে তুলে বসিয়ে দেয়।পরিচয় হওয়ার আশায় বাড়িয়ে দেয় তার হাত।সাথে বলে,

~”হায় আমি‌ নিহান।”
আমি কিভাবে বলবো কথা।মুখ বাঁধা রয়েছে এখনো।নিহান এবার মুখ এবং হাত দুটাই খুলে দেয়।আমি একপলকে তাকিয়ে আছি তার দিকে।হয়তো‌ ক্রাশ খেয়েছি..
গল্প:রক্তিম রোদ
লেখনীতে:নিয়াজ মুকিত
পর্ব:৩

লজ্জার মাথা খেয়ে সামনে থাকা নিহানকে উদ্দেশ্য করে বলি,
~”আমার কাছে খাওয়ার মতো টাকা নেই আর খুব ক্ষুধাও লেগেছে।আমাকে কি কিছু খাওয়াতে পারবেন?” নিহান আমার হাত ধরে টেনে তুলে বলে,
~”অবশ্যই,চলুন সামনে রেষ্টুয়েন্ট আছে,ওখানে যাই।”এই বলে আমরা দুজনই হাটতে শুরু করি।হাটতে বেশি কষ্ট হচ্ছে না আজ।মনে হয় ঘুমটা অনেক ব্যাথা ছাড়িয়ে দিয়েছে।তবুও ফাটা জায়গা গুলোও ব্যাথা লেগেই রয়েছে।হাটতে হাটতে নিহান জানতে চায়,
~”আমি ওখানে কিভাবে আসলাম?”
বাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো থেকে শুরু করে বলতে শুরু করি আমি।একমনে সব শুনে যাচ্ছে নিহান।আস্তে আস্তে সব বলে ফেলি তাকে।নিহান অবাক হয়ে সব শুনছে।সব শোনার পর মুখ ফুটে বলে,
~”আপনার বাবা-মাও আপনার কথা শুনলো না!”
আমি দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে বলি,
~”কেউ কি প্রমাণের চেয়ে কথাকে বেশি বিশ্বাস করে?”(কথাটা বলে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাই তার দিকে)।সে সরাসরি বলে দেয়,’না’।বাকিটা আর আমাকে বলতে হয়নি সে নিজেই বুঝে নিয়েছে।কিছুক্ষন পরই‌ দেখতে পাই সামনে একটা রেষ্টুয়েন্ট।দুজনে ভিতরে প্রবেশ করি।ভিতরে প্রবেশ করে চমকে উঠি আমি।দাদু আর আয়ান ভাইয়া ভিতরে একটা টেবিলে বসে আসে।দাদু আমাকে দেখে ফেলেছে নিহানের সাথে।আমাকে দেখে ডাকে তার কাছে।মাথা নিচু করে নিহানকে নিয়ে দাদুর সামনে যাই।আমি যেতেই দাদু কর্কশ গলায় বলে,
~”ছি.তুই ভালো হইলি না।আমি ভেবেও পাচ্ছিনা আমাদের পরিবারে তোর মতো একটা কলঙ্কিনি মেয়ে জন্য নিয়েছে।তুই‌ যে রেষ্টুয়েন্টে বসবি সেখানে থাকাও পাপ।”এই বলে আয়ান ভাইয়ার হাত ধরে উঠে দাঁড়ায়।আয়ান ভাইয়ার চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝড়ছে।হয়তো কোনো কারন আছে কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না।তারা দুজ‌ন বের হয়ে যায়।আজকেও চোখদিয়ে পানি পড়া শুরু করে পুনরায়।তারা যেতেই নিহান আমাকে জিজ্ঞাসা করে,
~”কে ইনি?”
আমি কান্নামৃশ্রিত গলায় উত্তর দেই,”আমার দাদু আর সেই আয়ান।”
নিহান আমাকে একটা টেবিলে বসায়।তারপর নিজের ইচ্ছামতো অনেক খাবার অর্ডার করে।শেষ করি খাওয়া দাওয়া।

৩.
খাওয়া শেষ করে প্রশ্ন উঠে,আমি কই যাবো?নিহানতো বলেই দিয়েছে আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাবে।তার বাবা-মা গ্রামে থাকে।নিহান এখানে একটা চাকরি করে আর তার বোন এখানে পড়াশুনা করে।ভাইবোন মিলে একটা ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে এখানে।সে বললেই কি আমি নাচতে নাচতে তার সাথে চলে যাবো ‌নাকি?কিন্তু তা ছাড়া আর উপায়ও নেই।ভাবতে শুরু করি কি করবো?নিহান আমার ভাবা দেখে বলে,
~”অত ভেবে কাজ নেই আপনাকে আমার সাথে যেতেই হবে।”আমি না মত করলেও সে অনেক জোরাজোরি শুরু করে।বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নেই তার সাথে যাবো।সাথে বলেও দিয়েছি যে,বেশিদিন থাকবো‌ না।খুব তারাতারি একটা চাকরি খুঁজে বের করে চলে যাবো।নিহান আমার কথায় রাজি হয়েছে।সো তার সঙ্গে তার বাসার পথে চলছি।

দীর্ঘ ২০মিনিটের মতো হাটার পর পৌছাই তাদের বাসায়।বাহিরে থেকে কলিংবেল বাজায় নিহান।মুহুর্তে খুলে যায় দরজা।দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে আমারই সমবয়সী এক যুবতী।আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে।নিহান তার গালে দেয় একটা মাইর তবে সেটা হালকা করে।মাইর খাওয়ার পর মেয়েটা তাকায় নিহানের দিকে।চোখে সন্দেহভাজন চাহনি নিয়ে বলে,
~”কে ইনি ভাইয়া?”
নিহান আমার হাত আর মেয়েটার হাত টেনে জোর করে হ্যান্ডশেক করে দিয়ে বলে,
~”তোর বান্ধবী।নাম রাশা।আর রাশা এ আমার বোন নিরা।”
দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি।তারপর নিরা আমাকে নিয়ে ভিতরে যায়।সোফায় বসায় আমাকে এবং নিজেও পাশে বসে।অপর দিকের সোফায় আমাদের সামনাসামনি বসেছে নিহান।আমি সকালে তাকে যা যা বলেছি সব বলতে শুরু করে।মন দিয়ে শুনছে ইরা।মাঝে তার মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে এবং সাথে সাথে তা আবার ঠিক হচ্ছে।

মন দিয়ে সব শোনার পর নিরা আমার দিকে তাকায়।আমি তাকে উদ্দেশ্য করে বলি,
~”একটু‌ পানি হবে!”
নিহান সাথে উঠে চলে যায়।হয়তো‌ পানি নিয়ে আসার জন্য।নিরা আমার দিকে এখনো‌ তাকিয়ে আছে।এবার প্রশ্ন করেই ফেলে যে,
“ভাইয়ার সাথে তোমার কিভাবে দেখা হলো‌ আপু?”
তার মুখে আপু ডাকটা আমার তেমন ভালো লাগলো‌ না।তাই তাকে আপু ডাকতে নিষেধ করলাম এবং নাম ধরে ডাকতে বললাম।সে আমার কথায় রাজি হয় এবং নাম ধরে ডাকে।আমি নিহানের সাথে দেখা হওয়ার কাহিনীটা বলি।ততক্ষনে নিহান পানি নিয়ে হাজির হয়েছে।তার কাছ থেকে পানিটা নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নেই।হঠাৎ ক্ষত জায়গা গুলো খুব জোড়ে ব্যাথা করতে শুরু করে।কাহিনী কি বুঝতে পারছি না।নিরাকে উদ্দেশ্য করে বলি,

~”একটু মলম হবে!”নিরা অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে,”হুম,কেন?”
তারপর ব্যাথার কথাটা জানাই তাকে।সে নিজে আমাকে মলম লাগিয়ে দিতে চায়।আমি রাজি না হলেও জোর করে তার রুমে নিয়ে যায় আর যাবার সময় নিহানকে মেডিসিন আনতে বাহিরে পাঠায়।নিরা আমাকে তার ঘরের বিছানায় শুয়ে দেয়।তারপর ক্ষত জায়গা গুলোতে মলম লাগাতে শুরু করে।সে যে ক্ষত গুলো দেখে চমকে উঠেছে এটা ঢেড় বুঝতে পেরেছি আমি।নিরা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
~”কেউ একটা মানুষকে এভাবে মারতে পারে কখনো ‌দেখিনি।তার মধ্যে কি বিন্দুমাত্র দয়ামায়া নেই।ছি.সে মানুষ নাকি জানোয়ার।”
আমি শুধু তার কথাগুলো শুনেই যাচ্ছি।কোনো কথা বলছি‌ না।নিরা খুব ভালোভাবে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে।হয়তো এইভাবে লাগিয়ে দিত আমার মা।এমন সময় নিরার রুমের বাহির থেকে নিহান আওয়াজ করে।বলে,’মেডিসিন এনেছে।’
রেষ্টুয়েন্টে খেয়ে আসার কারনে সাথে সাথে মেডিসিন গুলো খেয়ে নেই।সেদিনটা নানা মজায় কেটে যায়।সন্ধ্যার দিকে সবাই বসেছি টিভি দেখতে।নিরা আমার পাশে।আমি ভেবে পাচ্ছিনা একটা মেয়ে কিভাবে এত তারাতারি কাউকে এত কাছের করে নিতে পারে।সারাদিনটা আমার সাথে সাথে ছিল।টিভির রিমোট নিহানের হাতে।সে খেলা‌ দেখবে আর আমরা দেখব মুভি।জনসংখ্যায় বেশি থাকার কারনে জিতে যাই।রোহিঙ্গাদের মতো চাহনি চলে আসে নিহানের মুখে।আজ জনসংখ্যায় কম বলে।বাধ্য হয়ে চ্যানেল পালটাতে হচ্ছে তাকে।চ্যানেল পালটাতে পালটাতে এক চ্যানেলের খবরে চোখ আটকে যায় আমার।তারাতারি সেখানে রাখতে বলি নিহান।খবরে দেখাচ্ছে প্রত্যয় আর একজনকে পুলিশ ধরেছে।প্রত্যয়ের সাথের লোকটাকে দেখে চমকে উঠে।এত আ…

চলবে..
{জানিনা আপনাদের মনমত হচ্ছে কিনা তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আপনাদের মনমত করার জন্য।আপনারা আমাকে বলতে পারেন কিভাবে দিলে ভালো হয়।গল্পের রিভিউ দেন।}আল্লাহ হাফেজ।নামাজ কায়েম করুন।
চলবে..
{গল্পটা কাল্পনিক হলেও বাস্তবতার ছাঁপ দেয়ার চেষ্টা করছি।কেমন হয়েছে জানাবেন।আপনাদের সাপোর্ট না পেলে খুব তারাতারি ইতি টানবো।}আল্লাহ হাফিজ।নামাজ কায়েম‌ করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here