রক্তিম রোদ পর্ব ৪+৫

গল্প:রক্তিম রোদ
লেখনীতে:নিয়াজ মুকিত
পর্ব:৪

প্রত্যয় আর একজনকে পুলিশ ধরেছে।প্রত্যয়ের সাথের লোকটাকে দেখে চমকে উঠি আমি।এত আলতাফ স্যার।তিনি আমাদের কলেজের প্রেন্সিপাল।কিন্তু পুলিস তাকে কেন ধরেছে?মন দিয়ে শুনতে শুরু করি খবর পাঠিকার কথা গুলো।তার কথা শুনে অনেকখানি বিস্মিত হই আমি।আলতাফ স্যার এত খারাপ কখনো ভাবিনি।আর একটা বিষয় শুনে মাথাটা প্রায় ঘুরতে শুরু করে।প্রত্যয় আলতাফ স্যারের ছেলে।আর তারা বাবা-ছেলে মিলে একাধিক রেপ করেছে।নানাভাবে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিব্রত করে তারা রেপ করতো।বলতে গেলে তারা ছিল একটা চক্র।আপাতত তাদের সম্পর্কে এটুকুই জানতে পেরেছে পুলিস।জিজ্ঞাসা বাদ চলছে পরবর্তি আপডেটে সব জানানো হবে।
টিভিটা অফ করে দেয় নিহান।দুজনেই তাকিয়ে আছে আমার দিকে।হয়ত অনেক কিছু জানতে চাইছে কিন্তু বলতে পারছে না।

_____________
আমার বাসার সবাই খবরটা দেখেছে।সবার চোখ কপালে উঠে গিয়েছে।বিশেষ করে আয়ানের।হয়ত বিশ্বাস করতে পারছে না।মা-বাবা তো কাঁদো কাঁদো অবস্তার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।তাদের মনে সন্দেহ উঠেছে এই আলতাফ আর তার ছেলেই রাশার ব্যাগে এসব ভুয়া রিপোর্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে যাতে আমরা তাকে বাসা থেকে বের করে দেই আর এই সুযোগে তারা তাদের কাজ করতে পারে।আমরাও তো বোকার মতো মেয়েটাকে বাসা থেকে বের করে দিলাম।তারমানে কি…

৪.
এদিকে নিহান আর নিরাকে বলি আমার সন্দেহের কথা।আমার সন্দেহ এটাই যে আলতাফ আর তার ছেলেই ইচ্ছে করে আমার ব্যাগে এই‌ ফেক রিপোর্ট দিয়েছে।নিহান সাথে সাথে প্রশ্ন করে,
~”কিসের উপর ভিত্তি করে সন্দেহটা করলে?”
তার কথার উত্তর আমাকে দিতে হয় না।নিরাই‌ দিয়ে দেয়,কারন কিছুক্ষন আগে তাকে কাহিনী গুলো বলেছি।নিরা নিহানকে উদ্দেশ্য করে বলে,
~”বুদ্ধুরাম,রাশা বললো না প্রত্যয় তাকে কলেজে প্রপোজ করেছিল ‌কিন্তু সে একসেপ্ট করেনি।আর প্রত্যয় তখন বলেছিল যে,এর প্রতিশোধ নিবে।বুঝলি এইবার”
নিহান এপাশ থেকে ওপাশ মাথা নাড়ায়।মানে সে সব বুঝতে পেরেছে।

এখন রাত ১০টার খবর চলছে।এদিকে নিহান,নিরা ও রাশা টিভির সামনে আগ্রহ নিয়ে বসে আছে।
আর ওদিকে আয়ান,আমার বাবা-মা,দাদু সবাই বসে আছে আগ্রহ নিয়ে।মুহুর্তে টিভির পর্দার সামনে ভেসে ওঠে একটা ভয়াবহ খবর।আলতাফ আর‌ তার ছেলে কাল রাতে এক তরুনীকে রেপ করে মেরে ফেলেছে।তারা মেয়েটার মাথা কেটে ফেলে দিয়েছে তাই মেয়েটাকে চেনা যাচ্ছেনা।খবরটা শুনে বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে আমার বাবা-মায়ের।তারা মনে করেছে তাদের মেয়েই সেই মৃত মেয়েটা।তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে।সবারই চোখে পানি থাকলে শুধু পানি নেই আয়া‌নের চোখে।তার পরিবর্তে মুচকি হাসছে।তবে ভিতরে ভিতরে ভয় বইছে তার মনে।

খবরটা শুনে আমার সন্দেহ আরো বেরে যায় প্রত্যয় ও তার বাবার উপর।তারা নিশ্চয় এই একই পরিকল্পনা করে আমাকেও রেপ করতে চেয়েছিল।কিন্তু বাঁচিয়ে দিয়েছে সেই কুকুর দম্পত্তিরা।সেদিন রাতে আর ঘুম ধরছিল না চোখে।নিরা ঘুমিয়ে পড়েছে।বসে আছি আমি আর নিহান।কাল তার অফিস নেই তাই আজ রাত জাগতেও সমস্যা নেই।হঠাৎ করে নিহান আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
~”ছাঁদে যাবে!”
আমি মাথা নেড়ে হা বোধক সংকেত দেই।এই ভুত-ভুতুরে রাতে খুব ছাদে যাওয়ার ইচ্ছে আমার।কিন্তু বাসায় থাকতে সেটা সম্ভব হয়নি।আজ সেই সুযোগ হাতের নাগালে পেয়ে হাত ছাড়া করতে চাইলাম না।নিহান চলে যায় কফি বানাতে।মুহুর্তেই কফি নিয়ে হাজির হয় আমার সামনে।অবাক হয়ে তাকে দেখছি কিভাবে এত তারাতারি কফি তৈরি করলো সে?এই বিষয় নিয়ে আর না ভেবে তার সাথে ছাঁদের পথে রওনা দেই।দুজনে ছাঁদের এককোনে চলে যাই।ছাঁদটা অনেক সুন্দর।নিহান আমাকে এক কাপ কফি দিয়ে নিজে এক কাপ নেয়।কফিতে চুমুক দিচ্ছে সে।আর এক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছি আমি।এত সুন্দর হয় কি করে একটা ছেলে?নিহান কফি খাচ্ছে আর সামনে তাকাচ্ছে।আমার দিকে তাকাচ্ছে না।হয়তো প্রয়োজন মনে করে না বা আমি দেখতে ততটা সুন্দর নই।কিন্তু আমি‌ কফির মগে চুমুক না দিয়ে এক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছি।উফ,জোস মার্কা ছেলে।

মনের কথাটাও মনে হয় শুনে ফেলেছে সে।তাইতো তাকায় আমার দিকে।চোখাচোখি হয়ে যায় দুজনের মধ্যে।তার চোখ দেখে বুঝতে পারছি তার মনে কিছু চলছে এই প্রেম বিষয়ের।কিন্তু সেটাতো আমাকে না নিয়ে অন্যকে নিয়ে হতে পারে।হঠাৎ আমি তার দিকে মনের প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেই।প্রশ্নটা হলো,

~”আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে কি?”
আমার প্রশ্নটা যেন খানিকটা চমকে দিয়েছে তাকে।হয়তো এই মুহুর্তে এই অবস্তায় এই প্রশ্নটা আশা করেনি।তাই চোখে বিরক্তিভাব নিয়ে বলে,’নাহ!’
তার এই ‘নাহ’কথাটা শুনে আনন্দের এক হিল্লোল বয়ে যায় আমার মনে।খানিকের জন্য মনে হলো এত খুশি জীবনেও হইনি।আবার পরবর্তিতে মনে হয় সে কি আমাকে পছন্দ করে?এতক্ষনে বুঝতে পেরেছি আমি তাকে পছন্দ করে ফেলেছি।আই ক্রাশড।ইচ্ছে করছে এখনি তাকে নিজের মনের কথা বলে দেই।কিন্তু বহু কষ্টে সেই ইচ্ছাটাকে রোধ করি।তার সাথে কথা বলতে শুরু করি।বিভিন্ন গল্প করে কিছুক্ষন পর দুজ‌নে রুমে আসি।সে চলে যায় তার রুমে আর আমি নিরার রুমে।গিয়ে নিরার পাশে শুয়ে পড়ি।নিরার মলম দেয়াতে ব্যাথা অনেকটাই কমে গেছে।বিছানায় হেলান দিতে ঘুম মুহুর্তে চোখদুটো দখল করে নেয়।

ওদিকে নিহান ভেবে চলেছে,সে কি রাশা পছন্দ করে?নাকি করে না?তাহলে বললাম না কেন যে,আমার বিয়ে ছোটবেলা থেকেই ঠিক করা।অবশ্য সেই মেয়েটা অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।এখন সম্পুর্ন সিন্ধান্ত আমার বাবা-মায়ের উপর।তা না বলে কেন বলে দিলাম আমার গার্লফেন্ড নেই।এসব আজগুবি চিন্তা করতে করতে সেও ঘুমিয়ে পড়ে।

ঘুম থেকে জেগে ওঠে ভোরে।চলতে থাকে আগের দিনের মতো করে।দেখতে দেখতে কেটে যায় ২দিন।নিহান আজ নিরা আর আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।সবাই চলছি ঘুরতে।আমরা যে রাস্তা দিয়ে যাবো তা আমাদের বাসার সামন দিয়ে গেছে।সো বাসার সামন দিয়েই যেতে হবে।বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাসার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠি।বাসার ভিতরে কিসের জানি অনুষ্টান হচ্ছে।
আমার মুখ ঢাকা ছিল তাই পাশের একটা লোককে জিজ্ঞাসা করি এই বাসায় কিসের অনুষ্টান চলছে?লোকটা বলে বাসার একটা লোক মারা গেছে তারই ৩দিন করছে।আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করি, কে মারা গেছে?লোকটা বলে,আয়া…
গল্প:রক্তিম রোদ
লেখনীতে:নিয়াজ মুকিত
পর্ব:৫

লোকটাকে জিজ্ঞাসা করি কে মারা গেছে?তখন লোকটা আমার কথার প্রতিউত্তরে বলে,
আয়ানের কাজিন।বুঝতে বাকি রইলো না লোকটা কার কথা বলছে?কিন্তু আমি তো এখনো বেঁচে আছি।তাহলে তারা আমাকে মৃত ভাবতেছে কেন?এর পিছনে কার হাত রয়েছে?নিহান আর নিরা এসে দাঁড়ায় আমার পাশে।তারা জানতে চায় এটা কার বাড়ি।ততক্ষনে লোকটা চলে গেছে।আমি গলা নিচু করে বলি,
“আমার বাড়ি।”
নিহান আর নিরা অবাক হয়ে বাড়িটার দিকে তাকায়।আমাকে বলে তাদের সাথে ভিতরে যেতে।আমি যেতে চাই না।নিহান বার বার বলছে,
“চলো ভিতরে গিয়ে আমরা তাদের বুঝিয়ে বলি ব্যাপারটা।হয়তো মানতে পারে।”
আমি নিহানের কথা শুনে বিদ্রুপের হাসি হেসে বলি,
“কেন তোমাদের নিয়ে যাবো বলো?যারা নিজের মেয়ের কথা শুনলো না তারা কিভাবে তোমাদের মতো বাহিরের দুজনের কথা শুনবে।আর শুনলেও আমি যেতে চাইনা।কারন মনের ভিতরে হাজারো অভিমান আছে যা কখনো ভাঙ্গবে না।কেন তারা পারতো না আমার কথা শুনতে!পারতো না একবার জিজ্ঞাসা করতে যে,কি হয়েছে ভালো করে বল!তো তারাতো জিজ্ঞাসা করলো না।বরং নিজের পরিবর্তে একটা অন্য ছেলেকে লাগিয়ে দিল জানোয়ারের মতো মারতে।জানো তারা নিজে মারলেও এত কষ্ট পেতাম না যতটা কষ্ট পেয়েছি ওই ছেলের মাইরে।তারা মারলে ভাবতাম,বাবা-মা হয়ে মারতেই পারে কিন্তু ওই ছেলেটা আমাকে কেন মারলো?কোন অধিকারে মারলো?কে হয় সে আমার?বের হয়ে যাওয়ার সময় ওয়াদা করে এসেছি আর কখনো এই বাসায় ফিরবো না।আর আমি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করিনা।”

কথাগুলো বলার পর বুঝলাম আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।কিন্তু মুখ ঢাকা থাকার কারনে কেউ দেখতে পেল না।তবে লক্ষ করলাম নিহানের চোখের কোণে পানি।নিহান আমার হাতটা ধরে হাটতে শুরু করে।নিরাও আমাদের সাথে হাটতে শুরু করে।হেটে চলেছি আমরা।লক্ষ একটা পার্ক।হাটতে হাটতে দেখি আয়ান ভাইকে।আমাদের দিকে তাকালো একবার।হয়তো চিনতে পারেনি।আমি নিচু স্বরে নিহান আর নিরাকে বলি,
“ওইযে আয়ান”
তারা দুজন দেখে আয়ান ভাইকে।দুজনেই চমকে ওঠে আয়ানকে দেখে।তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট ভয় দেখছিলাম।এর কারনটা বুঝতে পারলাম না।তাই বাধ্য হয়ে জিজ্ঞাসা করি,
“তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে তোমরা ওকে চেন!”
আমার কথা শুনে দুজনেই চমকে ওঠে ওটা স্পষ্ট বুঝতে পারি।দুজন দুজনের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকে।আমি দুজনের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করছি।নিহান তোতলাতে তোতলাতে বলে,
“ন-ন-নাহ চি-চি-চিনি-না”
আমি ভ্রু-কুঁচকে বলি,”আজব তোতলাচ্ছো কেন?”দেখি নিহান রীতিমতো ঘামতে শুরু করেছে।নিরারও সেম অবস্তা।নিরা প্রস্তাব দেয় আজকে পর ঘুরবে না।নিহানও তাই বলে।সাথে সাথে দুটো রিকশা ডাক দেয়।একটাতে নিরা আর আমি আরেকটাতে নিহান একাই।হঠাৎ তাদের এরকম পরিবর্তন আমার কাছে সন্দেহ হয়।মনে হয় তারা আগে থেকে আয়ানকে চিনতো আর আয়ানও তাদের চিনতো।নাহলে রাস্তায় ওভাবে তাকালো কেন?কিন্তু নিরা আর নিহানতো কিছুই বলছে না।না তাদের থেকে যে করেই হোক কথা বের করতে হবে।

৬.
এদিকে আমার বাসায় সবাই জানে আমি মৃত।কিন্তু ভাগ্যক্রমে যে আমি বেঁচে আছি সেটা তারা জানে না।হয়তো জানবার চেষ্টাও করেনি।বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কান্না করেই চলেছে।বলতে গেলে রীতিমতো কপাল চাপড়াচ্ছে।নিজের মেয়েকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে এখন আর কপাল চাপড়িয়ে কি লাভ?

বাসায় এসে নিহান নিজের রুমে চলে যায়।নিরা তারাতারি করে ওয়াসরুমে ঢুকে পড়ে।তাদের কান্ড কিছুই বুঝতেছি না আমি।কি হলো হঠাৎ তাদের?আমি সোফায় বসে আছি আর ভেবেচলেছি আয়ান সম্পর্কে।আমার জীবনের সবচেয়ে জানোয়ার নামক এক ব্যাক্তি এই আয়ান।তার মধ্যে বিন্দুমাত্র দয়া নেই সেটা আমার অজানা নয়।কেন জানিনা আমার মনে হচ্ছে প্রত্যয়দের সাথে আয়ানে কোনো যোগাযোগ আছে।অদ্ভুত এ কথা কেন জানি মাথায় আসলো বুঝলাম না।অবশ্য একটা কারন আছে সেটা আমি ছাড়া কেউ জানেনা।আয়ানযে একটা রাজনীতিবীদ সেটা আমি ছাড়া বাসার কেউ জানেনা।জানলে হয়তো তাকেও আমার মতো বাসা থেকে বের করে দিত।

নিহান রুম থেকে বের হয়।সোফায় আমাকে বসা দেখে আবার ভিতরে যেতে ধরে।আমি ডাকলে আর ভিতরে না গিয়ে বের হয়ে আসে।আমার সামনের সোফাটায় বসে গিয়ে।তার চোখে আমি এক অদ্ভুত ভয় দেখতে পাই।ততক্ষনে নিরাও এসে নিহানের পাশে বসেছে।আমি তাদের আবারও জিজ্ঞাসা করি,
“তোমরা কি আয়ানকে আগে থেকে চেনো?”
তারা দুজনে উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বসে থাকে।আমি এবার আমার সোফা থেকে উঠে নিহানের হাতটা নিজের মাথার উপর রেখে বলি,
“আমার কসম,যদি এবার সত্য না বলো তাহলে আমি আর বাঁচবো না”
আমার মুখে ‘বাঁচবো না’ কথাটা শুনে আয়ানের মুখটা ভয়ে ভরে উঠে।কেন এরকম হয়েছে সে সেটা নিজেও জানে না।তাহলে কি তার মনেও আমার মতো কিছু চলছে?নিহান এবার বলতে শুরু করে যে,
“আয়ানকে আমরা দুজন আগে থেকে চিনি।তবে সেটা তোমার ভাই হিসেবে নয় একজন খুনি হিসেবে।”তাদের কথাটা শুনে আমি চমকে উঠি।কি বলছে পাগলের মতো?আয়ান ভাই নাকি খুনি।এবার নিরা নিহানের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলে,
“আয়ান আমাদের মামাকে খুন করেছে।সে বিষয়টা আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ জানে না।আমরা দুজন তখন মামার বাসায়।মামাদের বাগানে হাটতেছিলাম।তখন সেখানে আয়ানকে দেখি।চিনতাম না তাকে।দেখি সে মামাকে নিয়ে পুকুরপাড়ের দিকে যাচ্ছে।কেন জানিনা আমরাও পিছু নেই।তারপর পুকুরপারে গিয়ে দেখি আয়ান মামাকে পুকুরের পানিতে চেপে ধরে আছে।কিছুক্ষন পর ছেড়ে দেয়।কিন্তু ততক্ষনে মামা আর পৃথিবীতে নেই।আমরা তারাতারি পালাতে চেয়েও পালাতে পারি না।আমাদের দেখে ফেলে আয়ান।সেই থেকে এখনো বলে যাচ্ছে আমরা যদি এই কথা আর কাউকে বলি তাহলে আমাদের মা-বাবাকে মেরে ফেলবে।তাই আমরা কাউকে বলিনি।আজ তোমাকে বললাম।তুমি কাউকে বলোনা প্লিজ!”

আমি কথাগুলো শুনে থ হয়ে যাই।মনে মনে প্লান করি আয়ানকে পুলিসের হাতে ধরে দিব।হুম আমরা সবাই মিলে প্লান করি আয়ানকে পুলিসে ধরে দেয়ার।আশা করি সফল হবে।হঠাৎ করে সদর দরজায় আঘাত করে কেউ।নিহান খুলতে যায় দরজা।গুলি সমেত ভিতরে প্রবেশ করে আয়ান।হয়তো আমরা আর কেউ বেঁচে থাকবো না।নাকি থাকবো কে জানে?

চলবে..
{গল্পটা কালকে শেষ করার ইচ্ছা আছে।যদি কালকে শেষ না করি তাহলে হয়তো পরের ৮দিন গল্প দিতে পারবো না।কারন বাসায় কাজিনের বিয়ে।অনেক কাজ।তাই কালকে শেষ করবো।তবে চাইলে সিজন ২ আনতে পারি।তবে শেষ পর্বটার মিল রেখেই শেষ করবো ইনশাআল্লাহ।আপনাদের মতামত জানান।}আল্লাহ হাফিজ।নামাজ কায়েম করুন।
চলবে..
{অনেকে বলেছে গল্পটা বেশি দীর্ঘ না করতে।আমার তাই মনে হয়েছে।তাই গল্পটাকে বেশি দীর্ঘ করবো না।আর একটা বিষয় নিয়ে আমার মনটা ভিষন খারাপ।ইদানিং অনেকেই গল্পের কমেন্টে আমাকে আপু বলে সম্মোধন করছে।তাদের উদ্দেশ্যে বলি,আমি‌ মেয়ে নই ছেলে।জলজ্যান্ত পুরুষ।সো আমাকে আপু নয় ভাইয়া বলে ডাকবেন।আর কেমন হয়েছে জানাবেন।}আল্লাহ হাফেজ।নামাজ কায়েম করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here