রঙিন প্রজাপতি পর্ব ৭

#রঙিন_প্রজাপতি
লেখনীতে – Ifra Chowdhury

পর্ব- ৭
.
প্রণবের মতিগতি ঠিক লাগছে না আমার। ওকে অনেকটাই অপ্রস্তুত লাগছে। মনে হচ্ছে, কিছু একটার জন্য বেশ উশখুশ করছে। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। আর আমার মনের আতঙ্কটাও দূর হচ্ছে না। চারপাশটা যেন হঠাৎ থমকে গেছে, বোধ হলো। আমার জবানও আটকে গেছে।

চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা প্রশ্বাস নিলাম আমি। তারপর নিজেই কিছুটা রিলেক্স থাকার চেষ্টা করে, প্রণবের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘দয়া করে সব খুলে বলবেন আমায়? প্লিজ?’
প্রণব কোনো জবাব দিলো না। কিছুক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে পুকুরের টলটল পানির দিকে তাকিয়ে থাকলো। বুঝতে পারলাম, ও হয়তো সময় নিচ্ছে।
আমি ওকে বিরক্ত করলাম না। নিশ্চুপ হয়ে প্রণবের দিকে তাকিয়ে উত্তরের অপেক্ষা করছি।

প্রণব একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমার দিকে তাকালো। বলতে লাগলো,
‘আমি জানি না, একটা মেয়ে কীভাবে অন্য একটা মেয়ের সর্বনাশ করার চেষ্টা করতে পারে। যেখানে সে নিজেও একটা মেয়ে! একটা মেয়ে যখন নিজেই অন্য একটা মেয়েকে সম্মান করতে পারে না, তখন সে নিজে কেমন সম্মানের যোগ্য? সে আদৌ মানুষ? নারী জাতির.. মায়ের জাতের কলঙ্ক সে!’

আমি ওর কথার আগাগোড়া কিছুই বুঝলাম। ভ্রু কুচকে চেয়ে রইলাম আমি ওর দিকে। কপালে বেশ গভীর ভাঁজ পড়েছে আমার। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতেই প্রণবকে প্রশ্ন করলাম,
‘মানে?’
প্রণব চোখ বন্ধ করে ক্রমাগত শ্বাস-প্রশ্বাস নিলো। খেয়াল করলাম, ওর নাকটা ফুলে উঠছে হুটহাট। দাঁতও কিড়মিড় করছে। চোখ দুইটার দৃষ্টি অস্থির!

খানিক বাদে, একটা ঢোক গিলে রাগী কন্ঠে প্রণব বলে উঠলো,
‘আরিশা!’
আমার কিছু বোধগম্য হলো না। আমি বললাম,
‘আরিশা?’

প্রণব বলতে শুরু করলো,
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আরিশা। এই আরিশাই ঐদিন তোমার সাথে ঐ ঘটনা ঘটিয়েছে!’
বলতে বলতেই প্রণব বসা থেকে উঠে গেলো। তারপর বেশ চড়া মেজাজে ফুঁসতে ফুঁসতে আবারও অস্থিরভাবে এদিক সেদিক দৃষ্টিতে বলতে লাগলো,
‘আরিশা এমন একটা কাজ করতে পারে, আমি ভাবতেই পারিনি! ও যে এতোটা নিচে নামতে পারে, একদম আমার কল্পনাতীত ছিলো!’

কথাটা শোনামাত্রই আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। আশ্চর্য হয়ে আমিও উঠে গেলাম। প্রণবের কাছে এগিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
‘আরিশা করেছে এসব? আপনার গার্লফ্রেন্ড? কেন?’
আমার গলার স্বর উঁচু হয়ে গেছে। উত্তেজিত কন্ঠে বলতে প্রণবের শার্টের কলারের দু’দিকে ধরে বলতে লাগলাম,
‘তার মানে আপনিও ওদের সাথে ছিলেন? বলুন! আপনিও ওদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার সাথে…’

আমি কথাটা সম্পূর্ণ করার আগেই কেঁদে উঠলাম। প্রণব বলতে লাগলো,
‘না! তুমি ভুল বুঝছো, দিবা। আমি ওসব ব্যাপারেও ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। ঐদিন দৌড়ে সোহাগকে ধরার পর, ও বলতে লাগলো…’
আমি সাথেসাথেই প্রণব বলতে থাকলাম,
‘কী বললো? জলদি বলুন না? কী দোষ করেছিলাম আমি?’
‘বলছি তো দিবা। শোনো।’

তারপর প্রণব ধীরে ধীরে সব খুলে বলতে লাগলো।

“ঐদিন সোহাগকে চেপে ধরতেই বলতে লাগলো,
‘ভাই, তোরা যা ভাবছিস, তা না ভাই। আমি তো শুধু দিবাকে একটু টাইট দিতে যাচ্ছিলাম।’

নিখিল রাগে জিজ্ঞেস করলো,
‘কিসের টাইট? হ্যাঁ? একটা মেয়েকে ওভাবে আড়ালে নিয়ে কিসের টাইট দিতে চাচ্ছিলি তুই, হ্যাঁ? ছিঃ’
আমি যোগ দিলাম ওর সাথে,
‘তোর থেকে এমনটা আশা করিনি, সোহাগ। এত্তো বছর ধরে আমরা একসাথে আছি, আজ অবধি তোকে নিয়ে এমন কোনো রেকর্ড শুনিনি, বা বেরও হয়নি। কিন্তু আজ তুই যা করলি…’

আমাকে মাঝখানে থামিয়ে দিয়েই সোহাগ বলতে থাকলো,
‘আমি তো কিছু করলামই না, প্রণব।’
আমি হুংকার দিয়ে উঠলাম,
‘চুপ! করিসনি না, বল্ করতে পারিসনি। এখন কেন করতে যাচ্ছিলি, সেটাই বল্! নাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।’
দাঁত কটমট করেই ওর গলা টিপে ধরতে যাচ্ছিলাম আমি। নিখিল ধরে সামলালো আমাকে।

সোহাগ বলতে থাকলো,
‘বলছি। বলছি।’
একটা ঢোক গিলে অপরাধীর মতো জবান দিতে লাগলো,
‘আরিশা বলেছিলো আমাকে। দিবার সাথে এমন করতে।’

আরিশার কথা শুনেই আমার মেজাজ আরও বিগড়ে গেলো। আমি ওর কলার চেপে ধরলাম,
‘শয়তান! তোর কুকীর্তির সাথে এখন আবার আরিশাকে জড়াচ্ছিস? হ্যাঁ? তোর সাহস কী করে হয় আরিশার সম্পর্কে এসব বলার?’
আমার জবাব শুনেই সোহাগ বলতে লাগলো,
‘আমার মরা বাপের কসম ভাই। আরিশাই আমাকে এমন করতে বলেছে আমাকে।’

আমি সোহাগের কথায় স্তব্ধ হয়ে গেলাম। নিখিল বলতে লাগলো,
‘বোকা পেয়েছিস আমাদের, হ্যাঁ? মিথ্যাবাদী কোথাকার!’
সোহাগ এবার তড়িঘড়ি করে ওর ফোন বের করে বলতে লাগলো,
‘দাঁড়া, আমি তোদের প্রমাণ দেখাচ্ছি।’

তারপর সোহাগ ওর চ্যাটলিস্ট থেকে আরিশার সাথের কনভার্সেশনটা ওপেন করলো। মোবাইলটা আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,
‘এই দেখ্ প্রমাণ। একদম লাইভ দেখালাম। এখন তো আর কিছু বলতে পারবি না। মেসেজের মাঝখানে ওর পাঠানো কিছু ভয়েস রেকর্ডও আছে শুনে নিস।’

আমি আর নিখিল হতবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম। দু’জন একে একে ওদের সব কথা ঘাটলাম। তারপর যা বুঝলাম, সবকিছুর মূলে আরিশাই ছিলো। হ্যাঁ আরিশা।

আরিশাই সোহাগকে বলেছিলো তোমার সাথে ওমন ব্যবহার করতে, ফ্লার্ট করতে, তোমাকে শিক্ষা দিতে। আর সেটার কারণ কী জানো? দুর্ভাগ্যবশত, আমিও সেই কারণের সাথে জড়িয়ে আছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি ঐ অপ্রত্যাশিত ঘটনাটার সাথে মোটেও জড়িত নেই। মোটেও না।

আরিশা আমাকে ভালোবাসে ঠিক। কিন্তু সত্যি বলতে, আমার ওর প্রতি কোনো টান। জাস্ট বন্ধুত্বের টানই আছে। যেমনটা নর্মাল আর কি। কিন্তু আরিশার এই জোরাজুরিতে আমি এত্ত বিরক্ত, এত্ত বিরক্ত, যে ওকে মানা করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে, আমি নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু আরিশা ক্লান্ত হয়নি।

আমার কারোর প্রতি তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। আরিশা চায়, আমি যেন ওকেই ভালোবাসি। তাই অলটাইম আমার সাথে সাথে থাকে, আর ফ্রেন্ডশিপের খাতিরে আমি যেমন ওকে দূরে ঠেলে দিতে পারি না, তেমনি ওর প্রতি ঐরকম ভালোবাসা না থাকায় কাছেও টেনে নিতে পারি না। আমাদের সম্পর্কটা ঠিক এমনি। টানাপোড়েনে ভুগছে আর কি।

তো যাই হউক, ঐদিন যখন পুকুরপাড়ে আমার আর আরিশার ঝগড়া হয়েছিলো। তার পেছনে নাকি তোমারই হাত ছিলো? আরিশার বান্ধবী জুহিনা ক্লাসরুমে যাওয়ার পথে তোমাদের সব কথা শুনে ফেলেছিলো, তুমিই যে পেস্ট্রির মধ্যে মরিচ গুজে দিয়েছিলে। ব্যস! আরিশার কানেও কথাটা পৌঁছাতে দেরি হলো না।

তোমার জন্য আরিশা আর আমার মাঝে ঝগড়া হলো, এটা ভেবেই সে রেগেমেগে ক্ষান্ত! তার উপর মনে আছে? তুমি যে ওর উপর ভুলে ধাক্কা আর পানি ফেলে দিয়েছিলে? ওটাও ভুলেনি সে। পরদিন যখন তোমায় শাস্তি দিই আমরা, তখন তুমি নিজেই আঘাত পেয়ে যাও। আর দায়িত্ববোধের কারণে আমি নিজে তোমায় ড্রেসিং করে দিয়েছিলাম, সেটাও আরিশার সহ্য হয়নি। অবশ্য সহ্য হওয়ারও কথা না। তুমি আবার আমার সাথে সেলফি টেলফি তোলার জন্যও পাগল হয়েছিলে, মনে পড়ে? আরিশা তাই ভেবে নেয়, তোমার সাথে আমার হয়তো… কোনো সম্পর্ক আছে। বা তৈরি হচ্ছে।

সব মিলিয়ে আরিশা বেশ ক্ষেপে যায় তোমার উপর। যার পরিণতিতে এমন অধঃপতন ঘটেছে আরিশার। সোহাগ আবার ভালোবাসতো আরিশাকে, কিন্তু আরিশা তো ভালোবাসে। যাক, তো সোহাগের সেই দুর্বলতাটাকেই আরিশা কাজে লাগালো। ও সোহাগকে হাত করে নিয়ে বললো, তোমার সাথে.. এমন করতে! আর তার ফলেই…

বিশ্বাস করো, আরিশাকে এতোদিন অতো ভালো না লাগলেও, খারাপও কিন্তু লাগতো না। কিন্তু ঐদিন… ওসব শোনার পর.. আমি.. আমি আরিশার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছি। সব! সোহাগকেও মেরেছি খুব। জানি না কেন!

আরও অনেক কথা স্কিপ করে যাচ্ছি আমি, যেগুলো বলার মুড বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই আমার।

এত্তো ঘৃণা জন্মেছে ওদের প্রতি, বলার মতো না!

পরিস্থিতি যেমনই হউক, তোমার মানসিকতা যদি একটিবারও বিকৃত হয়, এর অর্থ তোমার মন মানসিকতা মূলত উন্নতও ছিলো না কখনোই। শুধু আড়ালে ছিলো সবকিছু।

আরিশাই ঠিক তেমনি। ওকে আমি কখনোই ক্ষমা করতে পারবো না। আর যেহেতু সব আমাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে, সেহেতু আমিও তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। মাফ করে দিও আমায়। প্লিজ।”

প্রণবের কথাগুলো এতক্ষণ ধরে বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছি। মাঝখানে একটাও কথা বলিনি। এখনও বলার মতো কোনো ভাষা পাচ্ছি না আমি। স্থির ভাস্কর্যের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আমাকে এখনো এভাবে চুপচাপ থাকতে দেখে প্রণব বলে,

‘দিবা, তোমার কি এখনো মনে হচ্ছে আমি এসব করেছি? এসবে আমার হাত আছে? না দিবা। হ্যাঁ আমরা র‍্যাগ ট্যাগ দিই ঠিক, কিন্তু কখনো মেয়ের সম্মানের সাথে খেলতে যাই না। ইন ফ্যাক্ট, ভাবতেও পারি না! র‍্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে, ছেলে মেয়ে সব সমান আমাদের কাছে। নির্দিষ্ট কারোর পিছন লাগার জন্য এমন কখনোই করি না। তোমার বিশ্বাস না হলে আমি আমার বন্ধুদের ডাকি? প্রমাণ দেখাই? দেখো তুমি সব?’

আমি এখনো চুপ। প্রণব একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে এবার শান্তভাবে বলতে লাগলো,
‘আমার নিজের দুইটা ছোট ছোট বোন আছে। একজন বিবাহযোগ্যা, একজন সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে। একটা বড় বোন আছে, সে বিবাহিত। তার এক ছেলে, এক মেয়ে। আমি তাদের নিয়েই অনেক সচেতন। অন্য কোনো মেয়ের দিকে খারাপ নজর দেওয়ার শিক্ষা কখনোই পাইনি আমি। ঐ ঘটনাটাও করাইনি আমি, বিশ্বাস করো।’

ওর কথাগুলো শুনেই আমার হঠাৎ কী হলো, জানি না। আমি ওর গলা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কাঁদতে লাগলাম। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে আমার। কিন্তু পারছি না। প্রণবের কথায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ভাব খুঁজে পাচ্ছি আমি। ওর চোখে মুখে কোনো মিথ্যার ছায়া দেখতে পাইনি আমি। অথচ ওকেই আমি কত্ত খারাপ ভেবেছিলাম। বেশ হালকা লাগছে এখন।

প্রণব অবাক হয়ে আমাকে ছাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘এই কী হয়েছে? ঠিক আছো তুমি?’
আমি মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ-সূচক উত্তর দিলাম। আর চোখের পানিও মুছে নিলাম। প্রণব ওর পকেট থেকে একটা টিস্যুর প্যাকেট এগিয়ে দিলো। আমি টিস্যু বের করতে করতে প্রণব বললো,
‘ইশশ.. কাঁদতে কাঁদতে নাকে কতো সর্দি জমা করেছে দেখো!’

ওর কথাটা শুনেই ফিক করেই হেসে দিলাম আমি। আর সেই সাথে একটুখানি সর্দিও বেরিয়ে এলো। এটা দেখে আমার আর প্রণবের আরও হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি দ্রুত নাকটা মুছে নিলাম। আর সেইসাথে প্রণবকে এলোপাতাড়ি মারতেও লাগলাম পিঠে। প্রণব তখনো আমার সর্দি নিয়ে মজা করেই চলেছে। মার খেয়েও হাসছে, কী শয়তান!

ঐদিনের মতো সবকিছু মিটমাট করে বাসায় ফিরে এলাম। সত্যি বেশ ফুরফুরে লাগছে। হঠাৎ করেই প্রণবের প্রতি কেমন যেন একটা ভালো লাগা শুরু হয়েছে। বুঝতে পারছি না কেন। যাক! ছেলেটাকে যতোটা খারাপ ভেবেছিলাম, ততোটা খারাপ তো মোটেই না। এটাই আসল কথা!

_____________________

পরদিন ভার্সিটিতে যেতেই দেখলাম, একটা খেলনা বন্দুক নিয়ে প্রণবেরা একপাশে একটা বোর্ডে বৃত্ত এঁকে নিশানা চেক করছে। আমাকে ওদের পাশ দিয়ে যেতে দেখেই প্রণব আমার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
‘আরে.. তোমার নাম কী যেন?’
আমি এবার বিরক্তের সহিত কোমরে হাত গুজে বললাম,
‘আজব! এক প্রশ্ন কয়দিন জিজ্ঞেস করবেন? আমার নাম দিবা। দিবা! দিবা। আপনার কি মনে থাকে না?’

প্রণব হাসলো। কিছু বললো না।
তার পরপরই আবার আমার দিকে ওর হাতের বন্দুকটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
‘দিবা নাও তো। একটা নিশানা লাগাও।’
আমি তরতর করে জবাব দিলাম,
‘না, না। আমি পারি না এসব। আপনারাই খেলুন।’

আমার কথাটা শুনেই প্রণব একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো,
‘আরে পারো না কী বলছো? জানালার কাঁচে কত্ত সুন্দর নিশানা লাগাও…’
প্রণবের এই কথাটা শুনেই বেশ চমকে উঠলাম আমি। ওর দিকে হা করে তাকালাম। আরে! সে হঠাৎ এমন কথা কেন বললো? মুহুর্তেই প্রণবের জানালার কাঁচে ঢিল মারার ঘটনাটা মনে পড়ে গেল আমার। ব্যাপারটা ভেবেই বড়সড় একটা ঢোক গিললাম আমি।

.
.
চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here