#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_০৫
#অধির_রায়
আমি ধীর পায়ে রান্নার ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ ফুপি আমাকে দেখে মিষ্টি মধুর হাসি দিলেন৷ আমার দিকে একটা চায়ের কাপ এগিয়ে দিলেন৷ সাথে গোড়া কয়েক বিস্কুট। মিষ্টি স্বরে বলল,
“খেয়ে নে৷ তোর চায়ে আদার পরিমাণ একটু বেশি৷ সারারাত জার্নি করে এসেছিস৷ আদা চা খেলে ভালো লাগবে৷”
আমি মুচকি হেঁসে হাত বাড়িয়ে চা নিলাম৷ চায়ের কাপে চুমু দিয়ে বুঝতে পারলাম মায়া ফুপি দুর্দান্ত চা বানান৷ চা খাওয়ার মাঝে মাঝে আমি পুরো রান্না ঘর দেখতে লাগলাম। রান্নাঘরটা অনেক বড়৷ সব থেকে বড় অবাক হলাম গ্যাসের চুলা দেখে। গ্যাসে রান্না করেন ফুপি৷ বইয়ে পড়েছি বড়লোকেরা গ্যাসে রান্না করেন৷ প্রথম নিজের চোখে দেখতে পেলাম৷ আমাদের বাড়ির রান্নাঘর ছোট। মাটির চূলায় খড়, ভুসি, নাগরি দিয়ে রান্না করেন৷ এখানে এসব নেই৷
খাওয়ার শেষে ফুপি বলল,
“শালিক মা! ইহানকে চা দিয়ে আয়৷ মনে হয় ঘুম থেকে উঠে গেছে৷”
ইহান কোথা থেকে আসল? অবাক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মিহি কন্ঠে বললাম,
“ফুপি ইহান কে? আমি তো এই বাড়িতে আর কাউকে দেখতে পাচ্ছি না৷”
“ইহান এই বাড়ির ছোট ছেলে৷ বড় ছেলে অফিসে চলে গেছে৷ সকলের খাওয়ার পর চা খায়৷ আর এই ছেলেটা ঘুম থেকে উঠে চা খাবে৷ তুই চা দিয়ে আয়৷ আমরা এক সাথে বসে খাবার খাবো৷”
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম সকাল দশটা বাজে৷ কখন এতো বেলা হয়ে গেল। আমি তো আসলাম সবে মাত্র। এখনই এতো বেলা৷ হাতে চা নিয়ে টিপ টিপ পায়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উড়ছি৷ সিঁড়িতে পা রাখতেই মনে পড়ে গেলে স্কুলের কথা৷ আমাদের স্কুলও তিনতলা ছিল৷ আমাদের ক্লাস হতো তিন তলায়৷ প্রতিদিন বান্ধবীদের সাথে প্রতিযোগিতা হতো৷ কে সিঁড়ি বেয়ে আগে উঠতে পারে? ছুটির ঘন্টা পড়তেই আবারও প্রতিযোগিতা হতো৷ কে সিঁড়ি বেয়ে আগে নামতে পারে৷ আমি ফুপির কথামতো সিঁড়ির পাশের রুমটাকে প্রবেশ করলাম৷ বিছানায় খালি গায়ে উবুড় হয়ে শুয়ে আছে ইহান৷ সাদা ফর্সা দেখে আমার একটু মন খারাপ হলো৷ আমাকে কেন আল্লাহ এখান থেকে একটু ফর্সা দান করল না৷ একটু ফর্সা দান করলে কি এমন ক্ষতি হতো৷ শীত শুরু হয়েছে অথচও এই ছেলে খালি গায়ে৷ এর গায়ে কি শীত নেই? রুমটা তো এমনি অনেক ঠান্ডা। আমাদের দিকে প্রচুর গরম পড়লে ছেলেরা খালি গায়ে পুকুর পাড়ে বড় গাছটার নিচে বসে থাকে৷ সবাই এক সাথে সুর মিলিয়ে অনেক গান গায়৷ আমি পায়ের পাশে রাখা ছোট টেবিলের উপর চা রাখলাম। আস্তে করে বললাম,
“মায়া ফুপি আপনার জন্য চা পাটিয়েছে৷”
আমার কথা শুনে পিছনে ঘুরে তাকালো৷ ভুত দেখার মতো ভয় পেয়ে উঠল৷ আমতা আমতা করে বলল,
“তুমি কে? আমার রুমে আসার তোমাকে পারমিশন কে দিয়েছে? এতো কালো কেন তুমি?”
ইহানের কথা শুনে মাথার ওড়না ঠিক করলাম৷ ভয়ে হাত পা কাঁপতেছে৷ কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
“আমার নাম শালিক৷ আমি আপনাদের বাসার নতুন কাজের লোক৷ আজ থেকে রেগুলার আপনাকে আমি চা দিব। মায়া ফুপির পা নিয়ে সিঁড়ি বাইতে কষ্ট হয়৷”
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এক পলক আমার দিকে তাকায়৷ নরম স্বরে বলল,
“কালো হলে কি হবে? তোমার গলা শালিক পাখির মতোই মিষ্টি মধুর।”
কেউ প্রথম আমার গলার প্রশংসা করল৷ আমি মাথা নিচু করে চলে আসতে নিলেই পিছন থেকে আমাকে ডাক দেন৷ ভয়ে ভয়ে পিছনে ঘুরলাম৷ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“আমার সামনে এসে দাঁড়াও৷”
উনার চোখের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায়।ভয়ে ভয়ে সামনে গেলাম৷ তিনি কর্কশ কন্ঠে বলল,
“তোমার হাতটা দাও!”
ভয়ে দু’হাত পিছনে নিলাম৷ তিনি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছেন৷ কোন কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না৷ আমার হাত ভেঙে দিবে না তো৷ একটু আগেই আমাকে কালো বলে মনে করিয়ে দিল আমি অপয়াদের মাঝে পড়ি৷ তিনি আমারও বলল,
“হাত দিবে নাকি চা মুখে ছুঁড়ে মারব৷”
আমি ভয়ে ভয়ে ডান হাত উনার দিকে বাড়িয়ে দিলাম৷ উনি আমার ডান হাতের একটা আঙ্গুল স্পর্শ করতে সারা দেহ কেপে উঠল৷ আঙুল চায়ের মাঝে চেপে ধরল৷ মান সম্মানের ভয়ে চিৎকার করলাম না৷ একজন যুবক ছেলের ঘরে কোন যুবতী মেয়ে চিৎকার করলে বা*জে কিছু ভাবনা মানুষের মাঝে নাড়া দিবে৷ চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে৷ হুংকার দিয়ে বলল,
“আমার চায়ে তুমি লবণ দিয়েছো কেন? লবণ চা তুমি খাবে?”
আমি হাতটা সরিয়ে থু*থু দিলাম৷ সমস্ত আঙ্গুল জ্বলে যাচ্ছে৷ আমার চায়ে চিনি কম হয়েছিল বলে আমি আলাদাভাবে চিনি নিয়েছি৷ ফুপি লবণকে চিনি ভেবেই চা বানিয়ে দিয়েছে৷ কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
“আমি আবার নতুন করে চা বানিয়ে আনছি৷ লবণ আর চিনির মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারিনি৷”
আমার দিকে বা*জে চাহনি নিক্ষেপ করে বলল,
“আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও৷ তোমার মুখও দেখতে ইচ্ছা করছে না৷ আমি আর চা খাব না৷ সকাল বেলা মেজাজটা খারাপ করে দিল।”
আমি তাড়াতাড়ি কাপ নিয়ে এক প্রকার দৌড়ে রান্নাকরে চলে আসলাম৷ খুব দ্রুত লবণ পানি মিশিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখলাম৷ ফুপি বলল,
“হাত কিভাবে পুড়ল? ফোসকা পড়ে যাবে তো৷”
ফুপিকে কিছুই বললাম না৷ ফুপি দৌড়ে মলম এনে আমার হাতে দিয়ে দেন৷ ফুপির কথা সত্য হলো৷ আঙুলে একটা ফোসকা পড়ে গেছে৷ আমি সাথে সাথে ফোসকা গলিয়ে ফেললাম৷ হাতটা অনেক জ্বলছে৷ চোখের অশ্রুর ধারা বাঁধা মানছে না৷ একটু সুখের আশায় এখানে আসা। শালিকের জীবনে জীবনে সুখ নামের জিনিসটা নেই৷ ইহান আবারও মনে করিয়ে দিল শাকিলের সুখ নেই৷ শালিক সব সময় নরগে থাকে৷ শালিক পাখিকেও মানুষ খাঁচায় বন্ধি করে রাখে৷ শালিক নামের কোন স্বাধীনতা নেই৷
ফুপি নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিলেন৷ আমি যেন আমার নিজের ফুপিকে খুঁজে পেলাম৷ আমার ফুপি কোনদিন নিজ হাতে খাইয়ে দেননি৷ কিন্তু ভালোবাসায় কোন কমতি রাখেনি৷ ফুপির কথা মনে পড়তেই চোখ থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল৷ মায়া ফুপি চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
“খাবারের সময় কান্না করত নেই৷ তোর মা বাবার কথা খুব মনে পড়ছে৷ মন খারাপ করিস না৷ আল্লাহর মা*ল আল্লাহ নিয়ে গেছো৷ জানিস ভালো মানুষ দুনিয়াতে কম থাকেন৷ আল্লাহ তাদেরকে অনেক পছন্দ করেন৷”
আমি ভেজা গলায় বললাম,
“ফুপি আপনার ছেলেমেয়ে নেই৷”
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“নারে মা৷ আমার কোন ছেলেমেয়ে নেই৷ আমার ছেলের মতোই মানুষ করেছি ইহানকে৷ ছোট বেলায় আমি খাইয়ে না দিলে সে খেতো না৷ তোর মতো আমিও অনাথ ছিলাম৷ বিয়ের পর স্বামী আমাকে তালাক দেয়৷ যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে।”
কথাগুলো বলার মাঝে চোখের পানি টলমল করছিল৷ যৌতুক প্রথা মানুষের জীবনে স*’র্ব*’না*শ ডেকে আনছে৷ খাবার শেষে বাড়ির মালকিন আফসানা চৌধুরীর রুমে গেলাম৷ তিনি বসে বসে টিভি দেখছেন৷ ইয়া বড় টিভি৷ আমাদের বাড়িতে টিভি ছিল না৷ কাকাদের বাড়িতে টিভি দেখতে গেলাম৷ আমি দেখতে গেলেই কাকি টিভি বন্ধ করে দিতেন৷ আমি জানালার কপাট ধরে টিভি দেখতাম৷ আমি খালার পিছনে দাঁড়িয়ে আছি৷ আফসানা চৌধুরী আমাকে নিজের কাছে ডাকল। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“তোমার নাম কি?”
আমি ঠোঁট দিয়ে শুকনো ওষ্ঠদ্বয় ভিড়িয়ে নিলাম। নরম কোমল গলায় বললাম,
“আমার নাম শালিক৷ আমার বাবা মা দুজনই মারা গেছেন৷ আমি এতিম৷ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবেন না৷”
উনার চোখের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যাই৷ কিছু জানার আগেই আমি সব বলে দেয়৷ আঙ্কেল বলে দিয়েছেন, ‘আমার মা বাবা বেঁচে আছে বললে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে৷’ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে আমি কোথায় যাব৷ আমি ঢাকা শহরের কিছুই চিনি না৷ ভয়ে হাত কা কাঁপা কাঁপি করছে৷ উনির আমার হাত ধরে নিজের পাশে বসালেন৷ ভালোবাসার কন্ঠে বললেন,
“ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ আমি মানুষ৷ আমি কোন জানোয়ার নয়। যারা মানুষ দেখে ভয় পাই তারা মানসিকভাবে পা*গ*ল৷”
মুচকি হেঁসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম৷ উনি আবার বলতে শুরু করলেন,
“তুমি এখনও বাচ্চা৷ আমরা চাই তুমি লেখাপড়া করো৷ লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির কাজ করবে৷ তুমি কি লেখাপড়া করতে চাও? তোমার স্যারের সাথে এ নিয়ে কথা বলব?”
উনার কথা শুনে চোখ পানিতে ভরে উঠল৷ জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছা করছে’ হ্যাঁ আমি লেখাপড়া করতে চাই৷’ আল্লাহ কি আমাকে প্রমাণ করার সুযোগ দিব? আমি কালো হয়ে জন্ম নিয়ে কোন ভুল করিনি৷ এটা প্রমাণ করতে পারব শুধু লেখাপড়া করে৷ মুখে বলার সাহস হলো না৷ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলাম৷ আমি লেখাপড়া করতে চাই৷ আমি অনেক পড়তে চাই৷ ফুপির দিকে তাকিয়ে দেখি ফুপির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। অল্প সময়ের মাঝে ফুপি আমাকে খুব আপন করে নিয়েছে৷ তিনি আবারও বললেন,
“তুমি কোন ক্লাসে পড়তে চাও৷”
“দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমার বি.(বিয়ের কথা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম৷ বিয়ের কথা আড়ালে রেখে বললাম) আমার বাড়িতে সমস্যা দেখা দেয়৷ তখন লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়৷ তারপর তো একটা ঝড় এসে সবকিছু তছনছ করে দেয়৷ বাঁচিয়ে রাখে আমাকে৷ সমাজে অবহেলিত লাঞ্ছিত কালো মেয়েকে আল্লাহর চোখে পড়ল না৷ কালো বলে সবাই দূর দূর করত৷ বাধ্য হয়ে ঢাকা শহরে আসি কাজের খুঁজে। গ্রামে থাকলে তো না খেয়ে মারা যেতাম৷ জীবন বাঁচানোর তাকিয়ে কাজ খুঁজতেই ঢাকা আসি। আঙ্কেলের সাথে বাবার আগে পরিচয় ছিল সেজন্য তিনিই আমাকে এখানে নিয়ে আসেন৷”
“আমি উনার কাজ থেকেই শুনেছি তুমি অনেক ভালো স্টুডেন্ট। আমি চাই, তুমি লেখাপড়া করে নিজের যোগ্যতা অর্জন করো। যোগ্যতার মাঝে গায়ের রং লেখা থাকেনা৷ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মানুষ৷ নামাজ পড়বে৷ আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে। সব ঠিক হয়ে যাবে একদিন৷”
আফসানা চৌধুরীকে দেখে যতটা গম্ভীর মনে হয়েছিল ততটা গম্ভীর নয়৷ ভালোবাসা দিয়ে পরিপূর্ণ উনার মন৷ একটু কঠোর না হলেও সমস্যা৷ কঠোর আছেন বলেই সব দিকে খেয়াল রাখতে পারেন৷ সবার উপর নজরদারি করতে গেলে কঠোর হতে হয়৷ আমি ড্যাবড্যাব করে উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি৷ উনি পুনরায় বললেন,
“তোমাকে ইহান স্কুলে ভর্তি করে দিবে৷ এখানে থেকে পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নাও আগে৷”
আমাদের কথার মাঝে কম বয়সী একজন মেয়ে প্রবেশ করতে করতে বলল,
“মা কাজের লোকদের প্রতি এতো মায়া ভালো নয়৷ দেখবেন একদিন ঘাড়ে চড়ে বসবে। কালো মেয়েরা লেখাপড়ার কি বুঝে? যার চেহারা কালো তার মনটাও কালো৷ কালো মনে লেখাপড়া ল অক্ষরটাও নেই৷
ছোটলোকরা লেখাপড়া করে কি করবে?”
অগ্নিমূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে৷ এতো সুন্দর মেয়েটা তাও মুখে হালকা মেকআপ। চুলগুলো স্পাইক করা৷ একদম শাকিলার মতো লাগছে৷ শাকিলার সমবয়সী হবে মেবি৷ উনার চোখের দিকে তাকানোর সাহস হলো না৷ উনাকে একবার সবার সাথে বসে চা খেয়ে দেখেছি৷ ম্যাডাম বলল,
“শ্রুতি এসব কি ধরনের কথা? শালিক লেখাপড়ায় অনেক ভালো।আমরা তার কাছ থেকে তার মানবাধিকার কেঁড়ে নিতে পারিনা৷”
আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ক্ষোভ নিয়ে বলল,
“মা আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন৷ একদিন দেখবেন এই ছোটলোক শালিক আপনার জীবন নাজেহাল করে ছাড়বে৷ বেশি কথা বললে বলবেন বাড়ির বউ শ্বাশুড়ির মুখে মুখে কথা বলে৷ মা আমি ভার্সিটিতে যাচ্ছি৷”
রাগ দেখিয়ে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন৷ উনি হলেন ইহানের বড় ভাই ইমনের স্ত্রী৷ ইমন ব্যবসার করেন৷ লেখাপড়া শেষ করে ইমন ভাইয়ার সাথে ব্যবসার হাল ধরবেন৷ ম্যাডাম মলিন কন্ঠে বললেন,
“আমি লেখাপড়া নিয়ে পরে কথা বলব। আমাকে ভেবে দেখতে হবে৷”
আমি মন খারাপ করে রুম থেকে চলে আসলাম। রাতে ঘুমানোর সময় বাবা মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছে৷ দাদীর কারণে অকারণে ডাকা খুব মনে পড়ছে৷ ফুপা, ফুপির কথা মনে পড়ছে৷ মায়া ফুপি ঘুমিয়ে পড়েছেন অনেক আগেই৷ সারাদিন অনেক কাজ করে ক্লান্ত৷ বিছানা গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়েছেন৷ শাকিলার মায়াভরা মুখটা খুব মনে পড়ছে৷ আমাকে আসতে দিবে না বলে বাবার পায়ে পড়া শাকিলা এখন কি করছে?
চলবে…..
শালিক কি লেখাপড়ার সুযোগ পাবে? চোখ উড়ছে, তবুও কষ্ট করে আপনাদের জন্য লিখি৷ প্লিজ সবাই লাইক কমেন্ট করে পাশে থাকবেন৷