শালিক পাখির অভিমান পর্ব -০৬

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_০৬
#অধির_রায়

সময় ও স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না৷ থেমে থাকে না মানুষের জীবন স্থিতি জড়তার মতো। আবহমান নদীর মতো বয়ে চলে৷ চোখে ভীষণ ঘুম৷ চোখের পলক ফেললেই দুঃখগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে৷ নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে চারিপাশ। প্রকৃতিও ঘুমিয়ে পড়েছে৷ শুধু আমি চোখের পাতা এক করতে পারছি না৷ আমি ওজু করে এসে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে বসলাম৷ সালাত আদায় করলে অস্থিরতা কমে৷ সালাতের মাধ্যমেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়৷ তাহাজ্জুদের সালাত শেষ হতেই কানে ভেসে আসে ফরজের আজান৷ ফজরের সালাত আদায় করে রুমের কপাট খুলে ডাইনিং রুমে আসলাম৷ আমি মায়া ফুপির সাথে নিচ তলায় থাকি৷ তারা সবাই উপরের তালায় থাকেন৷ নিচ তালায় আরও অনেক কাজের লোক থাকেন৷ ডাইনিং রুমের বড় একটা আলমারি রাখা আছে৷ গতকাল দেখেছি এখানে অনেক হাদিস শরিফের বই৷ পাশে কয়েকটা কুরআন শরীফ দেখেছি৷ আমি আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে আছি৷ কেউ আমাকে চো*র ভাববে না তো৷ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগতেছি৷ ঝাপ্সা আলোর মাঝে দেখতো পেলাম স্যার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছেন৷ আমি ওড়না ঠিক করে স্যারের সামনে গেলাম৷ স্যার আমার দিকে তীব্র দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছেন৷ এমন সময় আমাকে আশা করেননি৷ ঘুম ঘুম চোখে বলল,

“এতো সকালে এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”

গম্ভীর কন্ঠের আওয়াজ শুনে কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলেছি৷ আমাকে আবার চো*র ভাবেনি তো৷ হাত কাচুমাচু করছি৷ স্যারের কথার উত্তর না দেয় আমাকে বাড়ি থেকে চো*রের অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে। চো*রের অপবাদ নিয়ে গ্রাম থেকে নিশি রাতে পালিয়ে এসেছি৷ ভয়ে ভয়ে বললাম,

“আমি এখানে ম্যাডামের জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷ ম্যাডাম সালাত আদায় করতে উঠবেন কখন?”

স্যার আমার দিকে সন্দেহের দিকে তাকাল৷ গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“তোমার ম্যাডাম বলেছে এখানে এতো সকালে দাঁড়িয়ে থাকতে৷ আমি ভেবে নিব তুমি অন্য কিছু… ”

স্যারের কথা শেষ না হতেই মুখের উপর বললাম,

“স্যার আমি আলমারি থেকে একটা কুরআন শরীফ নিতে চাই৷ গতকাল দেখেছি এখানে কয়েকটা কুরআন শরীফ আছে৷ ফজরের সালাত আদায়ের পর আমি নিয়মিত কুরআন শরীফ তেলওয়াত করি৷ কুরআন শরীফ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷”

স্যার আমার দিকে তীব্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন৷ আমাকে সন্দেহ করল কিনা জানি না৷ ভয়ে একদম জড়োসড়ো হয়ে আছি৷ জামা খা*ম*চে ধরে আছি। ভদ্রতার সহিত বলে উঠল,

“আলমারি থেকে তোমার যে কুরআন পছন্দ সেটা নিয়ে পড়তে পারো। মায়া ঘুম থেকে উঠনি৷”

“না স্যার৷ চা খাবেন! আমি চা বানিয়ে দেয়৷”

“না আমি চা খাবো না৷ আমি বাগানে হাঁটতে যাচ্ছি৷ আমার ডায়াবেটিস আছে৷ সেজন্য রেগুলার সকাল বেলা হাঁটাহাঁটি করি।”

উনি চলে গেলেন৷ আমি কুরআন শরীফ নিয়ে দরজা খুলে ভোরের আলোতে পড়া শুরু করলাম৷ এতো বড় দরজার একটা কপাট খোলতেই সমস্ত রুম আলোকিত হয়ে গেছে৷ কুরআন শরীফ কিছু অংশ পড়ার পর দোয়া করলাম৷ ঘুরে দাঁড়াতেই ম্যাডাম আর ফুপি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন৷ স্যার দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে আছেন৷ ম্যাডাম বলল,

“বাড়িতে বাল্বের অভাব পড়েছে৷ এভাবে কেউ দরজার সামনে বসে কুরআন শরীফ পড়ে?”

উনার কথার তেমন কিছু বুঝতে পারলাম না৷ এটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কপাট খুলে কুরআন শরীফ পড়াতে কিছুটা ক্ষিপ্ত আমার উপর৷ আমি বাড়িতে সকাল বেলা কপাট খুলে কুরআন শরীফ তেলওয়াত করতাম। আমি ভুল কি করেছি? মাথা নিচু করে বললাম,

“ম্যাডাম বাড়িতে দেখতাম মা, দাদী সবাই দরজার সামনে বসে কুরআন শরীফ তেলওয়াত করতেন৷ তাদের সাথে আমিও কুরআন শরীফ তেলওয়াত করতাম দরজার কাছে বসে৷ ভোরের আলোতে কুরআন শরীফের অক্ষর চকচক করে৷”

“এখন থেকে রুমে বসে কুরআন শরীফ তেলওয়াত করবে৷ এখানে বসে তেলওয়াত করার দরকার নেই৷ এটা তুমি গ্রাম পাওনি৷

আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম৷ কুরআন শরীফ যথাস্থানে রেখে রান্না ঘরে চলে গেলাম৷ মায়া ফুপি সবার জন্য চা বসিয়েছেন৷ কিছুটা অবাক হলাম৷ গতকাল বলল ‘খাওয়ার পর চা খান৷’ আজ কেন আগে চা বসালেন? মিহি কন্ঠে বললাম,

” ফুপি রান্না না বসিয়ে চা কেন বসালেন?”

ফুপি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,

“শালিক! কে কখন চা খাবে কফি খাবে বলা যায়না তো৷ শ্রুতি আর ইমন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে কফি খাবে৷ ইহান চা খাবে৷ বাকী সবাই রান্নার পর চা খাবে৷”

ফুপি কথা বলার মাঝে কফি বানিয়ে ফেলল। আমি উপর থেকে ময়দা নামালাম। আটা ময়দার মাঝে সব সময় গুলিয়ে ফেলতাম৷ করিম চাচার দোকানে গেলে আটা আর ময়দার দাম গুলিয়ে ফেলতাম৷ অনেক কষ্টে ময়দার দাম মনে রাখার উপায় পেয়েছিলাম৷ মেয়ে মানুষ মুখে ময়দা মা*খে। মেয়ে—ময়দা, ময়দার দাম বেশি৷ মনে পড়তে হেঁসে উঠলাম৷ ফুপি বলল,

“শ্রতি আর ইহানের রুমে কফি দিয়ে আয়৷”

আমি কফির ট্রে হাতে নিয়ে ধীর পায়ে তাদের রুমের সামনে গেলাম। মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকলাম৷ শ্রুতির যে পরিমাণ রাগী কিছু করবে না তো৷ যে বান্দা আল্লাহকে ভয় পায় সে বান্দা অন্য কাউকে ভয় পায়না৷ আমি কেন ভয় পাব? মনে সাহস জুগিয়ে রুমে ঢুকলাম৷ শ্রুতি ভাবি ঘুম থেকে উঠে ফোন টিপতেছে৷ দেখে মনে হলো সারারাত ঘুমাইনি৷ সারারাত ফোন টিপছে৷ চুলগুলো উসকো খুশকো। চোখে ভারী ঘুমের আবাস ফুটে ওঠেছে৷ আমাকে দেখেই রেগে যান৷ সকাল বেলা আমাকে তার রুমে আশা করিনি৷ চিৎকার করে বলে উঠল,

“তুই আমার রুমে কেন? সকাল বেলা কালো মেয়ের মুখ দেখা মানে অমঙ্গল ডেকে আনা৷”

আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,

“আপনার কফি। আমি আপনার কফি দিতে আসছি৷”

চিৎকারে ইহান ভাইয়া উড়ে গেল৷ উনিও নিচু চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন৷ শ্রুতি গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“তুই ছাড়া বাকী সব কাজের লোক ম*রে গেছে৷ মায়া খালাকে আমি আজ দেখাচ্ছি৷ এতো ন্যাকামি কোথা থেকে আসে৷”

আমি মুখ ফুটিয়ে বললাম,

“আমি নিজ থেকে কফি নিয়ে এসেছি৷ মায়া খালার কোন দোষ নেই৷”

নিজের কথা বলতেই গালে ঠাস করে কষিয়ে একটা থা*প্প*ড় বসিয়ে দেন। চোখ পাকিয়ে বলল,

“তুই সকাল বেলা কোনদিন আমার সামনে আসবি না৷ তোর কালো মুখ সকাল বেলা আমাকে দেখাবি না৷ অপয়া মেয়ে৷”

গালে হাত দিয়ে চলে আসলাম৷ ভুলেই গেছিলাম ঘুম থেকে উঠে কেউ আমার মুখ দেখতে চাননা৷ শ্রুতি ভাবি লেখাপড়া করেও কুসংস্কার মেনে আসছে। আমাকে দেখলে কারোর দিন ভালো যায়না৷ সাদা চামড়ার লোক মনে করে কালো চামড়ার গায়ে আঘাত লাগে না৷ তাদের কোন অনুভূতি নেই৷ চোখের নোনা জল মুছে রান্না ঘরে চলে আসলাম৷ রান্না শেষ করেই বাগানে গেলাম৷ বাগানে বাহারি রকমের ফুলের গাছ৷ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। প্রাণ খুলে ফুলের সুবাস নিলাম৷ আঙ্কেল ফুল গাছে পানি দিচ্ছে৷ আঙ্কেল ডাকতে কেমন জানি লাগে৷ ঢাকা এসে একটু আঙ্কেল ডাকার চেষ্টা করছিলাম৷ আঙ্কেল মুখে আটকে পড়ে৷ কাকা ডেকে বসলাম,

“মালী কাকা আমি গাছে পানি দিয়ে দেয়৷”

মালী কাকা মুচকি হেঁসে বলল,

“ঠিক আছে৷ সব গাছে ভালো করে পানি দিবে৷”

মালী কালা দোলনায় বসে সিগারেট খাচ্ছেন৷ আমি ফুল গাছে পানি দিলাম৷ গাছে পানি দেওয়ার পর চুপি চুপি রান্না ঘরে গেলাম৷ ফুপিকে বললাম,

“তারা কেউ খেতে আসিনি!”

“না খেতে আসেনি৷ ফুলের বাগান কেমন দেখলি৷”

“খুব সুন্দর ফুলের বাগান৷ বাহারি রকমের ফুলের গাছ। বাহারি রকমের ফুল৷ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে একটা ভিন্ন জগৎ৷”

খাবারগুলো টেবিলে দিয়ে আয়৷ তারা এখনই খেতে আসবে৷ আমি খাবারের বাটি একে একে টেবিলে সাজিয়ে দিলাম৷ আমার খুব ভালো লাগছে৷ আজ ম্যাডাম স্যারকে আমার পড়ার বিষয়ে কথা বলবে৷ একে একে সবাই খেতে আসল৷ বাকি রইল ইহান ভাইয়া৷ তার খাবার ঘরে দিয়ে আসতে হয়৷ নবাবজাদা শুধু রাতে টেবিলে বসে খান৷ যে যার মতো খেয়ে যাচ্ছে৷ ম্যাডাম আমার পড়ার বিষয় নিয়ে স্যারের সাথে কোন কথা বলল না৷ আমার স্বপ্নটা ভে’ঙে চু’র’মা’র হয়ে গেল৷ এক সাগর আশা নিয়ে কান পেতে রয়ে ছিলাম৷ ম্যাডাম এখনই বলবে শালিক পড়ালেখা করতে চায়। কিন্তু মুখ থেকে শালিক নামে কোন শব্দ বের হলো না৷

এভাবে কেটে যাচ্ছে দিন৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল এক সপ্তাহ। বড়লোক মানুষ গরিব মানুষের কথা মনে রাখে না৷ দুনিয়ায় সবকিছু মনে থাকলেও আমার কথা মনে থাকে না৷ শালিক নামে তাদের বাড়িতে কেউ আছে এটা ঠিক মনে আছে৷ কখন কি করছে? কখন কই লোকমা খাবার বেশি খাচ্ছি? সেসব বিষয়ে খেলা আছে৷ সেদিকে নজর দিতে ভুলে যাননি৷ আমিও আশা ছেড়ে দিলাম৷ গরিবের মেয়েকে তারা কোন স্বার্থে পড়াবে? তবুও কিঞ্চিৎ আশা নিয়ে বসে থাকি৷ আজ শুক্রবার। বিকেলে সবাই এক সাথে খেতে বসেছেন। আজ তারা আমাদের সাথে খেতে বসেছেন৷ অন্যান্য দিন তারা নিজেরা আগে খান৷ আমরা খাই কিনা না খাই সেদিকে কোন খেয়াল নেই৷ আজ সবাই ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে খাবার খাচ্ছি৷ আমি সহ বাড়ির সকল কাজের লোক এক সাথে বসে খাচ্ছেন৷ আমাকে দেখে শ্রুতি নাক ছিটকাচ্ছে। শ্রুতির কথা কেউ পাত্তা দেয়নি৷ স্যারের উক্তি, ‘একদিন সবার সাথে বসে খাবার খেলে ভালোবাসার বন্ধন মজবুত হয়৷’ আমার দিকে ম্যাডাম তাকিয়ে বলল,

“আমি আজ সবার সামনে শালিককে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।”

ম্যাডামের কথা শুনে গলায় খাবার আটকে গেল। ফুপি আমার দিকে পানি এগিয়ে দিলেন৷ পানি পান করে নিজেকে শান্ত রাখলাম৷ আমার নামে কি বলতে চান? সকলের দৃষ্টি ম্যাডামের দিকে৷ খাবারের দিকে কারোর নজর নেই৷ ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে৷ ম্যাডাম আনন্দের সাথে বলল,

“আমি চাচ্ছি শালিককে স্কুলে ভর্তি করতে৷ শালিক লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির কাজ করবে৷ দরকার পড়লে আরও একটা কাজের লোক রেখে দিব৷”

শ্রুতি ক্ষোভ নিয়ে বলল,

“মা আপনার দেখছি গরিবের প্রতি দরদ বেশি৷ এই ছোটলোকদের পাত্তা দেওয়া বন্ধ করেন৷ একদিন দেখবেন আমাদের ঘাড়ে বসে নাচবে৷”

শ্রুতি ভাবির সাথে ইহান ভাইয়াও বলে উঠল,

“মা শ্রুতি একদম ঠিক বলেছে৷ কালো মেয়ে লেখাপড়ার করে কি করবে? তার থেকে বরং কোন বৃদ্ধ লোক দেখে কিছু টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়ে দাও৷”

স্যার রাগী গলায় বলল,

“তোমার মা বলেছে শালিক স্কুলে যাবে মানে স্কুলে যাবে৷ আর শ্রুতি মা গরিব ধনী একসাথে বসে খেলে কি মান সম্মান চলে যায়? বরং মান সম্মান আরও বৃদ্ধি পায়৷ তোমার জন্য তাদের চোখে সম্মান বেড়ে যাবে৷ তুমি নিজেকে তাদের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেখো৷”

শ্রুতি ভাবি ক্ষোভ নিয়ে ভারী গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“বাবা আমি সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম নিয়েছে৷ তাদের সাথে আমাকে তুলনা করছেন৷ তাদের না আছে কোন স্ট্যাটাস, না আছে কোন সোসাইটি।”

শ্রুতি ভাবি খাবার রেখে হনহন করে চলে গেল। শ্রুতি ভাবির পিছন পিছন ইমন ভাইয়াও চলে গেল৷ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে স্যার বলল,

“ছেলেমেয়েদের আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলাম না৷ কাজ করলেই যে মানুষ চাকর হয়ে যায় তাদের মনোভাব৷ আমরাও তো কারোর না করোর আন্ডারে কাজ করি৷ আমরাও সেদিন থেকে চাকর হয়ে গেলাম?”

আমার লেখা পড়ার বিষয়ের বাড়ির সকলে সাপোর্ট করল৷ সবাই সাপোর্ট করলে এটার কোন মর্যাদা থাকত না৷ ভালো মন্দ মিলিয়েই দুনিয়া৷ মন আছে বলেই ভালোর এতো দাম৷ রাত আছে বলেই দিনের এতো কদর। চৌধুরী মঞ্জিলে সবাই খুব ভালো৷ সকলে খাবার খেতে মন দিল৷ কিন্তু আমার গলা দিয়ে খাবার নামল না৷ আমার সাথে রাগ করে ইমন ভাইয়া আর শ্রুতি ভাবি চলে গেল৷

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here