শালিক পাখির অভিমান পর্ব -০৯

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_৯
#অধির_রায়

ফাস্ট বেঞ্চে বসে আছি৷ চোখে কালো চশমা৷ এটা ইহান ভাইয়ার চশমা। মানুষটা যেমন সুন্দর চশমাটাও খুব সুন্দর। আমার খুব ভালো লাগে এই চশমা৷ ইহান ভাইয়াকে এক প্রকার কথার মায়াজালে ফাঁসিয়ে চমশা নিজের করে নিয়েছি৷

“ভাইয়া আপনার কালো চশমাটা আমাকে একটু পরতে দিবেন৷”

আমার কথায় ইহান ভাইয়া আকাশ থেকে পড়ল৷ কোনদিন ইহান ভাইয়ার কাছে কিছু চাইনি৷ সন্দেহের চোখে বলল,

“তুমি আমার চশমা নিয়ে কি করবে? তুমি তো চশমা পড়ো না৷”

ঠোঁট ভিজিয়ে ইমোশনাল হয়ে বললাম,

“আমি কোনদিন চশমা পড়িনি৷ আপনি যখন এই চশমা চোখে দিয়ে বের হোন তখন আপনাকে একদম নায়কের মতো লাগে৷ আমি আপনার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি৷ আপনাকে কতোটা সুন্দর লাগে বলে বুঝাতে পারব না৷”

আমার কথা শুনে ইহান ভাইয়ার কাশি উঠে। আমি দৌড়ে পানি এনে দেয়৷ পানি পান করে নিজেকে স্বাভাবিক করে৷ চোখ ছোট করে বলল,

“আমার অনেকগুলো চশমা আছে৷ তোমার যেটা পছন্দ নিতে পারো৷ আমি এ চমশাটা তোমাকে দিতে পারব না৷ আমার পছন্দের চশমা এটা৷”

ইহান ভাইয়া চশমা নিয়ে শার্টের বাটনে গুছে রাখে৷ বুকের উপর রাখাতে ইহার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়৷ আমিও মনে মনে বললাম, ‘আমি যেভাইকে হোক চশমা নিব৷’ মিথ্যা হাসি দিয়ে বললাম,

“আমি আপনার কাছে কোনদিন কিছু চাইনি৷ আজ একটা চশমা চেয়েছি৷ আপনি না হয় আর একটা এমন কিনে দিবেন৷ আমাকে দিলে কোন সমস্যা হবে না৷ বুঝতে পারছি আজ আপনার সমতুল্য নয় বলে আমায় চশমা গিফট করতে পারছেন না৷”

কথা বলার মাঝে এমন ভাব করলাম চোখে জল এসে পড়ল৷ ভাইয়া আমার প্রতি ইমোশনাল হয়ে চশমা আমাকে গিফট করেন৷ আশাও আমার পাশে বসে আছে৷ আজ আমরা দু’জন একটু আগেই ক্লাসে এসেছি৷ একে একে আসতে থাকে সবাই৷ ক্লাস ক্যাপ্টেন নিহা বলল,

“কাক যতই ময়ূরের পাখা ছিঁড়ে গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়ালে কাক কাকই থেকে যায়৷ কা*লা শালিককে কালো চশমাতে কিন্তু কোকিল লাগছে। আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেল রে ম*রা*র কোকিলে।

নিহার কথায় চারিপাশ হেঁসে ঘড়া ঘড়ি খাচ্ছে৷ আমি জানতাম, আজ তোরা এমন কথায় বলবি৷ তোদের ভয় দেখাতেই আমি এটা পড়ে এসেছি৷ আমাকে পিছন বেঞ্চে বসার জন্য একবার বলে দেখ৷ তোর কি অবস্থা করি? নিহা আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। ঘৃণামিশ্রিত ক্ষোভ নিয়ে উঁচু গলায় বলল,

“তোকে আমার সিটে বসার অনুমতি কে দিয়েছে? তুই এখনই পিছন সিটে বসবি৷ কা*লা মেয়ে হয়ে সামনে বসতে আসছে৷

আমি মুচকি হেঁসে বললাম,

“নিহা বেবি এটা তোমার বাবার স্কুল নয়৷ তোমার কথামতো আমি চলবো না৷ আমি এখানে বসেছি আর এখানে বসেই ক্লাস করব৷”

আমার কথার ধরণ দেখে আশার মুখ অ আকৃতির হয়ে যায়৷ আশা ভাবতেই পারেনি আমি এমন কথা বলবো৷ নিহার প্রচন্ড রাগ হয় আমার উপর৷ আমার দিকে একটা ব্যাগ ছুঁ*ড়ে মা*রে৷ আমিও কম নয়। আমি ব্যাগ থেকে বই বের নিহার দিকে ছুঁ*ড়ে মা*রি৷ নিহা রেগে আমার দিকে এগিয়ে আসে৷ আমাকে থা*প্প*ড় মা-রার জন্য হাত তোলার আগে আমি নিহার পেটে বসিয়ে দেয় এক ঘু*শি৷ চশমাতে ফু দিতে দিতে বললাম,

“আজ থেকে নিহার দিন শেষ৷ আবার ক্লাস ক্যাপ্টন নির্বাচন হবে। এবার আমি হবো ক্লাস ক্যাপ্টন৷ আমাকে যে ভোট না দিবি তার অবস্থা নিহার মতো করব৷”

নিহা ক্ষোভ নিয়ে রাগী চোখে বলল,

“তোর কি যোগ্যতা আছে ক্লাস ক্যাপ্টন হওয়ার? তোকে কেউ ভোট দিবে না৷ আমি ছিলাম ক্লাস ক্যাপ্টেন৷ আর এ বছর আমিই হবো ক্লাস ক্যাপ্টন৷ শালিক তুই জানিস মনে হয়, পিপীলিকার পাখা গজায় ম*রি*বা*র কালে। আমার সাথে শ*ত্রু*তা করে তোর বিপদ ডেকে আনলি৷

আমি অভিনয় স্বরে বললাম,

“আহারে আমার ধ*লা বিলায়ের বাচ্চা। এখনও তুই আমার পায়ের কাছে বসে আছিস৷ কাকে ভয় দেখাস? আমি তোকে কোনদিন ভয় পাইনি৷ বরং আমার সাথে লাগতে আসলে তোর অবস্থা এমনই হবে। আমাকে এতদিন দুর্বল ভেবে আমার সাথে যা অন্যায় করেছিস তার শাস্তি হিসেবে আজ থেকে তুই ক্লাসের সব কাজ করবি৷”

সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম,

“আজ থেকে তোরা কাউকে চেহারা নিয়ে অবহেলা করলে তোদের অবস্থা নিহার মতো করবো। আমি চৌধুরী ভিলা থেকে প্রতিদিন আসি৷ ইমন ভাইয়ার বোন৷ কোন কথা বললে ভাইয়াকে বলে তোদের এমন অবস্থা করব, তোরা ভাবতেও পারবি না৷”

আমাদের স্কুলের সামনে ইমন ভাইয়ার ইয়া বড় ছবি টানানো৷ স্কুল এবং কলেজ এক সাথে হওয়ায় এখানে অনেক ছাত্রছাত্রী। কলেজ লাইফে ভাইয়া লিডার ছিল৷ কথায় কথায় সবাইকে মারত। তখন থেকে ইমন ভাইয়া মেয়েদের দেহের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন৷ আমি ইমন ভাইয়ার সামনে সেদিনের পর থেকে আর যায়নি। উনাকে সব সময় এড়িয়ে গেছি৷ তবে তার নাম করে সবাইকে একটু ভয় দেখালাম৷ সবাই নিজ নিজ জায়গায় বসে পড়ল৷ আশা হাত তা*লি দিয়ে বলল,

“আজ থেকে ক্যাপ্টের সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে শালিক। আমাদের নতুন ক্যাপ্টেন শালিক।

নিহা ক্ষোভ নিয়ে আবারও বলল,

“আমি ক্যাপ্টেন থাকতে শালিক কেন দায়িত্ব পালন করবে? আমি ক্যাপ্টেন ক্লাস নাইন থেকে৷ সবাই আমার কথা শুনবে৷”

শালিক মুচকি হেঁসে বলল,

“জীবনের মায়া থাকলে তুই আজই স্যারকে বলবি আমি শালিকের হাতে ক্লাস ক্যাপ্টের দায়িত্ব তুলে দিব৷ নাহলে ইমন ভাইয়াকে বলতে হবে৷”

আমি নিজের জায়গায় বসে পড়লাম৷ ক্লাসের বেল পড়ে গেছে৷ মিনিট দুইয়ের মাঝে স্যার চলে আসল ক্লাসে৷ আমি নিহাকে চোখের ইশারায় বলতে বললাম। নিহা আমার চোখের ইশারা বুঝতে পেরে স্যারকে আমার কথা বলে। নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার হাতেই দায়িত্ব চলে আসে৷ ঢাকার মেয়েরা ভয় কমই পায়। একমাত্র মৃ*ত্যু*র ভয় দেখালেই একটু ভয় পায়৷ আমাদের সেকশনে ছেলে না থাকার নিজেকে অতি সহজেই প্রধান বানিয়ে তুললাম৷ আমি এতোদিনে শিখে গেছি জোরের উপর দুনিয়া চলে৷ অবহেলিত মানুষের উপর নিজের জো*র খাটাতে পারলেই নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করে এসব মানুষ৷ আমিও আজ একটু জো*র দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করলাম৷ আমি ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিব৷ ক্ষমতা দিয়ে ময়নুষের মন জয় করা যায় না৷ ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হয়৷

স্কুল গেইটে ইহান ভাইয়াকে দেখে অবাক হলাম৷ ছুটির পর ভাইয়া আমাকে নিতে আসছে৷ আমাকে দেখে ইহান ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসলেন৷ মুচকি হেঁসে বলল,

“ক্লাস কেমন হলো? মন দিয়ে সব ক্লাস করছো তো?

আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না৷ ইহান ভাইয়া আমার চোখের সামনে৷ আমি কোন স্বপ্ন দেখছি নয়তো৷ নিজ হাতে চিমটি কাটলাম৷ স্বপ্ন নয় ইহান ভাইয়া সত্যি সত্যি আসছে৷ আমতা আমতা করে বললাম,

“আপনি এখানে কেন? স্কুলে আপনার কোন কাজ ছিল?”

“না কোন কাজ ছিল না৷ আমি তোমাকে নিতে আসছি৷”

“আমি একাই চলে যেতে পারি৷ এক বছর থেকে এই স্কুলে৷ কোনদিন আমাকে নিতে আসেন নি তো। বাড়িতে কোন সমস্যা হয়েছে৷”

ইহান ভাইয়া বুঝতে পেরেছেন আমাকে চার ছয় বুঝাতে পারবেন না৷ বুদ্ধি খাঁটিয়ে বলল,

“হ্যাঁ। সেজন্য তোমাকে নিতে আসছি৷ চল তাড়াতাড়ি। বাড়িতে অনেক বড় সমস্যা হয়েছে৷

ইহান ভাইয়া বাইক নিয়ে এসেছেন৷ ইহান ভাইয়ার তো বাইক ছিল না৷ বাইক দেখে মনে হচ্ছে আজই কিনেছে৷ ভাইয়া কি বাইক কিনেছে? আমার ভয় হচ্ছে বাড়িতে মায়া ফুপির কিছু হয়নি তো৷ চিন্তা করতে পারছি না৷ তড়িঘড়ি করে বাইকে চে’পে বসলাম ৷ ভাইয়া দ্রুত গতিতে বাইক ছাড়াতেই ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম৷ ভয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম,

“ভাইয়া আস্তে চালান৷ আমার অনেক ভয় লাগছে৷”

ভাইয়া দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,

“তুই যদি এভাবে জড়িয়ে ধরিস আস্তে আস্তে চালাব৷ আর দূরত্ব বজায় রেখে বসলে তোকে বাইক থেকে ফেলে দিব৷”

বাইকে উঠা হয়নি তেমন। গ্রামের দুই তিনবার কাকার বাইকে উঠেছিলাম৷ ঢাকা এসে প্রথম ভাইয়ার পিছনে উঠলাম৷ ভাইয়া বাড়ির সামনে এসে বাইকের গতি বাড়িয়ে দিলেন। চোখের পলকেই বাড়ির গেইক ছেড়ে আসলাম৷ আমি তাড়াতাড়ি বলে উঠলাম,

“ভাইয়া বাড়িতে যাবেন না৷ বাড়ি তো ছাড়িয়ে আসলাম৷”

ইহান ভাইয়া ধমকের স্বরে বলল,

“কথা না বলে চুপচাপ বসে থাক। আর একটা কথা বললে তোকে ফেলে দিব৷”

আমি ভয়ে কোন কথা বাড়ালাম না৷ ইহান ভাইয়া বাইক থামাল একটা পার্কের সামনে৷ আমি বাইক থেকে নামলাম৷ ভাইয়া বলল,

“আজ বাইকটা নতুন কিনছি৷ সেজন্য তোকে ফুসকার ট্রিট দিতে এখানে নিয়ে আসলাম৷”

খুশির ঠে’লায় চকিত হয়ে বললাম,

“সত্যি ভাইয়া, আপনি বাইক কিনেছেন! খুব সুন্দর হয়েছে৷”

আমি আর ইহান ভাইয়া বেঞ্চে বসে বসে ফুসকা খাচ্ছি৷ আজ খুব ভালো লাগছে৷ ইহান ভাইয়া নিজে থেকে আমাকে ফুসকার ট্রিট দিয়েছেন৷ গ্রামে থাকতে শুধু ফুসকার নাম শুনেছি৷ শুনেছি বাজারে ফুসকা ওয়ালা আসতো৷ কিন্তু কখনও ফুসকা খাওয়া হয়নি৷ নবম শ্রেণিতে উঠতেই বিয়ে হয়ে যায়৷ বিয়ে হতে না হতেই শুরু হয় নির্মম অত্যাচার৷ এতো খুশির মাঝেও নিজের মনটা খারাপ হয়ে গেল। চোখ থেকে টুপ করে জল পড়ল৷ ইহান ভাইয়া ভয়ে পেলে গেল৷ আমার কষ্ট হচ্ছে না৷ আমার থেকে বেশি কষ্ট ইহান ভাইয়ার হচ্ছে৷ উত্তেজিত কন্ঠে বলল,

“কি হয়েছে তোমার? তুমি কান্না করছো কেন?”

আমি ভেজা গলায় বললাম,

“আজ বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে৷ মা, বাবা, ভাই, বোন, ভাবী তারা কেমন আছেন, জানি না?”

না চাওয়া সত্ত্বেও মুখ থেকে সত্য কথা বেরিয়ে আসল৷ সত্য কখনও চাপা থাকেনা৷ তার আরও একটা প্রমাণ পেলাম৷ ইহান ভাইয়া চকিত হয়ে বলল,

“তোমার মা-বাবা, ভাই-বোন বেঁচে আছে! তুমি যে বলছিলে তারা মৃ’ত। স্কুলে তুমি তাদের নামের আগে মৃত লিখছো৷ তার মানে তুমি আমাদের সবাইকে মিথ্যা কথা বলছো?”

আমি চোখের জল মুছে ভেজা গলায় বললাম,

“হ্যাঁ। আমি আজ কিছুই লুকাব না আপনার কাছে৷ আমি আপনাকে সব বলব। আপনি কাউকে কিছু বলবেন না৷”

আমি ভাইয়ার হাত ধরে ফেলি৷ মাথা নাড়িয়ে ভাইয়া সম্মতি জানান৷ ফুসকা ওয়ালাকে টাকা দিয়ে আমরা একটা নির্জন জায়গায় বসি৷ আমি শুকনো ঠোঁট জিহ্ব দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে বললাম,

“আমার মা বাবা, বড় ভাই আরাফ আর ছোট আদরের বোন শাকিলা বেঁচে আছে। আমাকে বড় খালা চো*রের অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন৷ আমার কাছে মা বাবা মৃ*ত৷ কারণ আমার পাশে তারা কেউ বিপদের দিনে এগিয়ে আসেননি৷ আমার বোনের চোখের জলকেও তারা অবহেলা করছে৷ চো*রের অপবাদ নিয়ে বাঁচতে চাইনি বলে আমার ফুপি আর দাদি বি*ষ পান করে মা*রা গেছেন৷ আমার ভালোবাসার মানুষ ছিল আমার দাদী, আর ফুপি৷”

কথা বলতে পারছি না৷ চোখের অবাধ্য নোনা জল বাঁধ মানছে না৷ অনিচ্ছা সত্ত্বেও অঝোর ঝড়ে যাচ্ছে৷ ভাইয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি ভাইয়ার চোখেও অশ্রু টলমল করছে৷ ভাইয়ার চোখের জল দেখে বুকের কোণে সূক্ষ্ম ব্যথা অনুভব করলাম৷ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললাম,

“আমি কালো বলে গ্রামের কেউ আমাকে ভালোবাসাতো না৷ সকাল বেলা আমার মুখ কেউ দেখতো না৷ এখন শ্রুতি ভাবী যেমন সকাল বেলা উনার রুমে যেতে মানা করেছেন৷ আমি অপয়া৷ আমার মুখ দেখলে কারোর দিন ভালো যায়না৷ আমার বিষয়ে সবকিছু জানেন মালী কাকা৷ উনি আমার জীবনে ফেরেশতার মতো এসেছেন৷ আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচিয়ে সুন্দর একটা জীবন দিয়েছেন। আমি সারাজীবন উনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব৷ উনি না থাকলে শালিক নামের কোন মেয়ে আপনাদের বাসায় আসতো না৷ অনেক আগেই আল্লার কাছে চলে যেতাম৷”

আর কিছু বলতে পারলাম না৷ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম৷ ভাইয়ার চোখেও ভিজে উঠল৷

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here