#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_১৫
#অধির_রায়
আমি চুপচাপ বসে আছি ইহান ভাইয়ার রুমে৷ বেলকনিতে আনমনে দাঁড়িয়ে আছেন ইহান ভাইয়া৷ বাড়িতে শোকের ছায়া ভরপুর করছে। বাকশক্তি হারাতে বসেছে বাড়ির প্রতিটি মানুষ৷ নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে সমস্ত বাড়িতে৷ নিরবে নিভৃতে চোখের জল মুছে যাচ্ছি আমি৷ আমার চোখের জল ইদানীং একটু বেশিই হচ্ছে৷ নেত্রদ্বয় সব সময় একটু ভালোবাসার পরশ খুঁজে। ইহান ভাইয়া এসে বলল,
“ভারী গহনা শাড়ী চেঞ্জ করে আসো৷ এখন মধ্যরাত৷ সারারাত এভাবে বসে থাকলে শরীর খারাপ করবে৷ আমার জন্য তোমার শরীর খারাপ হলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না৷”
ভাইয়ার কথা আমার কর্ণধারে পৌঁছাল না৷ আমি এক ধ্যানে বিছানায় বসে আছি৷ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা বারংবার চোখে ভেসে উঠছে৷ ইমন ভাইয়ার কথা মনে পড়তেই ইমন ভাইয়াকে খু*ন করতে ইচ্ছা করছে৷ ভদ্র সমাজে ভদ্রতার মুখোশ পড়ে থাকলেই মানুষ আদর্শ মানুষে পরিণত হতে পারে না৷ ইমন ভাইয়া তার জলন্ত প্রমাণ৷ ইমন ভাইয়ার শাস্তি আমি নিজ হাতপ দিব৷ উনাকে পুলিশ কত টুকু শাস্তি দিবেন জানা নেই৷ ইহান ভাইয়া পুনরায় বলল,
“কি হলো শালিক! এক ধ্যানে বসে আছো কেন? আমার কথা তোমার কানে যাচ্ছে না৷ আমি তোমাকে ফ্রেশ হতে বললাম৷ সবার উপর তোমার অভিমান জমেছে৷ তাই বলে তুমি সালাত আদায় করা বন্ধ করে দিবে৷ তুমি তো এমন মানুষ ছিলে না৷ তুমি নিজেকে বিচক্ষণ মানুষ হিসেবে তৈরি করেছো। আজ কেন সালাত আদায় করলে না?”
ভাইয়ার কথা শুনেও না শুনার ভান করে বসে আছি৷ কোন জবাব দিতে ইচ্ছা করছে না৷ আমি উদাস হয়ে ইহান ভাইয়ার দিকে এক পলক তাকালাম৷ ফর্সা মুখটা মলিন হয়ে গেছে৷ আমার থেকে উনার শোকের অংশ বেশি৷ উনার কষ্ট দেখে কষ্ট হলেও নিজেকে সামলিয়ে নিলাম৷ উনার প্রতি দুর্বল হওয়া যাবে না৷ দুর্বলতা মেয়ে মানুষের বড় শত্রু। একবার দুর্বল হলে সেটা পুরুষ মানুষের মস্তিষ্কে গেঁথে যায়৷ ইহান ভাইয়া আমার পাশে বসলেন৷ কোমল কন্ঠে বলল,
“তুমি মা বাবার কথায় রাগ করেছো? উনাদের কথায় রাগ করো না৷ উনারা গুরুজন। মা বাবা ঠিক একদিন এই বিয়ে মেনে নিবেন৷ আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখো।”
তবুও কোন জবাব দিলাম না৷ আমি ইহান ভাইয়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে খালার রুমে চলে আসলাম৷ থ্রি পিচ নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলাম৷ শাড়ি পরিবর্তন করে থ্রি পিচ পড়ে নিলাম৷ এই বিয়ে কেউ মেনে নেয়নি। কিন্তু পরিবারের লোকদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইহান ভাইয়ার রুমে গেলাম৷ ভাইয়া এখনও কপাটের দিকে নজর রেখেছেন৷ আমাকে দেখে একটু মুচকি হাসলেন৷ টাওজার নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলেন৷ আমি সুযোগ বুঝে ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে পড়লাম। ঘুম আসছে না তবুও চোখ বন্ধ করে আছি৷ ঘুমের ভান ধরে শুয়ে আছি৷ আমি ইহান ভাইয়ার সাথে এক বিছানায় থাকতে পারব না৷ ইহান ভাইয়া ওয়াসরুম থেকে এসে বলল,
“এতো বড় বিছানা আমার একার নয়৷ আমার সমস্ত কিছুতে তোমার অর্ধেক অধিকার আছে৷ তুমি এক পাশে ঘুমাতে পারো৷ ফ্লোরে ঘুমালে শরীর খারাপ করবে৷”
ভাইয়ার কথা কর্ণধার পৌঁছালেও আমি ঘুমের ভান ধরে শুয়ে রইলাম৷ ভাইয়া আমার সামনে এসে আমার ঘুম পরীক্ষা করল৷ আমি কিছুতেই নেত্র খুললাম না৷ ভাইয়ার আমাকে পাঁজা কোলা করে বিছানায় শুইয়ে দিলেন৷ ইচ্ছা করল উঠে আসতে৷ ঘুমের ভান ধরে শুয়ে ছিলাম জানতে না পারে সেজন্য চুপচাপ শুয়ে রইলাম৷ কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে অন্য পাশে শুয়ে পড়ল৷ ভাইয়ার স্পর্শে সমস্ত দেহ কেঁপে উঠল৷ অজানা ভালো লাগার অনুভূতি খুঁজে পেলাম৷ শীতল হাওয়া বয়ে গেল সমস্ত দেহে৷ হাত পা কাঁপাছে৷ তবুও নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছি৷ ভাইয়ার স্পর্শে মুগ্ধ হলাম কেন? পিনপিন করে আঁখি মেলে দেখি ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়েছেন৷ আমার ঘুম হলো না৷ আমি উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করলাম৷ ফরজের আজানের দিকে চোখ লেগে আসছিল৷ আজানের শব্দ কানে আসতেই ঘুম ভেঙে গেল৷ সালাত আদায় করে কুরআন শরীফ তেলওয়াত করে নিচে নামলাম৷ অনবরত কলিং বেল বেজে যাচ্ছে৷ মায়া ফুপি এখনও উঠেনি৷ মনে হয় সারারাত চিন্তা করতে করতে শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়েছেন৷ আমি ভয়ে ভয়ে সদর দরজা খুলে দিলাম৷ চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আফসানা চৌধুরী এবং উনার গুনুধর ছেলে ইমন৷ মুহুর্তের মাঝে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল৷ পুলিশ ইমন ভাইয়াকে এতো সহজেই ছেড়ে দিলেন৷ আফসানা চৌধুরী আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন৷ অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হন হন করে চলে যান৷ ইমন ভাইয়া শার্টের কলার উঁচু করে চোখ টিপল দেন৷ সমস্ত দেহে আগুন জ্বলে উঠে। ইমন ভাইয়া শিষ বাজাতে চলে যান৷ সিঁড়ির কাছে থেমে বলল,
“শালিক পাখি আমাকে ছেলে পাঠানো সহজ নয়৷ আমি থানা অব্দিও যায়নি৷ আমি আর মা শ্রুতিদের বাড়িতে ছিলাম৷ একটু পর শ্রুতিও চলে আসবে৷ তোমার জীবনে ইতি টানতে আমি আর শ্রুতিই যথেষ্ট।”
মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম৷ বড়লোক বলেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দিল৷ যত আইন আদালত, জেল সব আমাদের মতো গরিবদের জন্য বানানো৷ টাকার কাছে সবাই বিক্রি হয়ে যায়৷ রান্না ঘরে যাওয়া হলো না৷ ইমন ভাইয়ার কথা চিন্তা করতে করতে ছাঁদে চলে গেলাম। আজ ছাঁদে আসতে ভয় লাগল না৷ ছাঁদের কপাট হাঁক করে খোলা৷ মাথায় ঘুরছে আমার সম্মুখে বিপদ রোদ পেতে বসে আছে৷
দশটার দিকে শ্রুতি ভাবী আসল বাড়িতে৷ আমি ডাইনিং রুম পরিষ্কার করছিলাম৷ কোন কথা না বলে আমার গালে কষিয়ে থা’প্প’ড় বসিয়ে দেন৷ নিজেকে শান্ত রাখতে পারলাম না৷ আমি যদি প্রতিবাদ না করি শ্রুতি ভাবী মাথা চ*ড়ে বসবেন৷ আমি একটা থা’প্প’ড়ের বদল দুইটা থা’প্প’ড় ফিরিয়ে দিলাম৷ রাগী চোখে বললাম,
“আমি মিসেন ইহান শালিক চৌধুরী। এরপর আমার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করলে হাত ভেঙে ফেলব৷ অনেক অন্যায় সহ্য করেছি৷ এখন থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করব৷”
শ্রুতি ভাবীকে এতোটাই জোরে আঘাত করি শ্রুতির ভাবীর ঠোঁট ফেটে রক্ত চলে আসে৷ ছিঁটকে কিছুটা দূরে সরে যান৷ আমার দিকে তেড়ে আসতে নিলেই আমি শ্রুতি ভাবীর সামনে পানি ফেলে দেয়৷ পা স্লিপ করে ফ্লোরে পড়ে যান৷ শ্রুতি ভাবীর চিৎকারে বাড়ির সবাই জড়ো হয়৷ আমি মুচকি হেঁসে বললাম,
“আমাকে দুর্বল ভেবে ভুল করবেন না৷ আমি গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ৷ আমার প্রতি অন্যায় আমি কিছুতেই মেনে নিব না৷ আমাকে যে ভালোবাসবে তাকে মাথায় তুলে রাখব৷ আমার সাথে বা আমার স্বামী ইহানের সাথে কেউ অন্যায় করলে তার জায়গা আমি ভালো করে বুঝিয়ে দিব৷”
ইমন ভাইয়া কর্কশ কন্ঠে বলল,
“শালিক তোকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিব৷ তুই আমাকে চিনিস না৷ তুই শ্রুতির গায়ে হাত তুলে সমস্ত সীমা অতিক্রম করছিস৷”
বাঁকা হাসি দিয়ে বললাম,
আমার গায়ে ফুলের টুকা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ আপনাকে খু’ন করতে না পারলে আমি শালিক নয়৷ এমন অবস্থা করব কোন প্রমাণ থাকবে না৷”
সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের নাটক দেখার ইচ্ছা নেই৷ আমি সাইট কাটিয়ে ইহান ভাইয়ার রুমে চলে আসলাম। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই হয় মেয়েদের নিজের বাড়ি৷ মেয়েদের নিজস্ব কোন বাড়ি নেই৷ নিজস্ব বাড়ি হলো একমাত্র কবর৷
রাগ অভিমানে কেটে গেল এক সপ্তাহ৷ আজ আমার রেজাল্ট বের হয়েছে৷ আমার থেকে ইহান ভাইয়া বেশি খুশি হয়েছেন৷ আমার জিপিএ ৪.৬৭। আমি ভাবতেও পারিনি আমি এতোটা ভালো রেজাল্ট করব৷ ভাইয়া বলেছেন আমাকে নিয়ে আজ ঘুরতে যাবেন৷ আমি রাজি ছিলাম না৷ আমাদের কথার মাঝে আফসানা চৌধুরী চলে আসেন৷ উনাকে দেখে বাধ্য হয়ে রাজি হয়েছি৷ বাসার মায়া ফুপি ছাড়া অন্য কেউ আমার সাথে কথা বলেনি৷
এক রিক্সায় পাশাপাশি বসে অজানা গন্তব্যে যাচ্ছি মোরা৷ আমাদের যাওয়ার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই৷ আমি যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে বসেছি৷ ভাইয়া মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছেন৷ আমি এক ধ্যানে অতিবাহিত হওয়া ল্যামপোস্টের আলো দেখে যাচ্ছি৷ রিক্সা ওয়ালা মামা এক ধ্যানে রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইহান ভাইয়া আমার হাতের উপর হাত রাখেন৷ সমস্ত দেহ কেঁপে উঠে। ভাইয়ার দিকে তাকাতেই আমাকে চোখ টিপল দেয়৷ আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলি৷ ভাবতেই পারছি না আমার পাশে সুদর্শন স্বামী বসে আছেন৷ আমার কোমরে হাত দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে গেলেন৷ আমার মাথা উনার কাঁধে রাখলেন৷ আমার ভিতরে শুরু হলো উ*তা’*ল*পা*তা*ল ভূ*মি*ক*ম্প। আমি ইহান ভাইয়ার শরীরের সাথে মিশে যাচ্ছি৷ ভালো লাগার অনুভূতি কে*টে বের হতে পারছি না৷ রিক্সা থামে একটা মেলার সামনে৷ শহর থেকে কিছুটা দূরে জন মানবের ভিড় অনেক কম৷ আমার হাত ধরে মেলার মাঝে নিয়ে গেলেন৷ আমার জন্য হরেক রকমের কয়েক জোড়া কাঁচের চুড়ি কিনলেন৷ সাদা শাড়ি পড়নে৷ সেজন্য নিজে যত্ন করে আমার হাতে সাদা চুড়ি পড়িয়ে দিলেন৷ ভালোবাসার স্পর্শ পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম৷ আমতা আমতা করে বললাম,
“আমি এতোগুলো চুড়ি নিয়ে কি করব? শুধু টাকা নষ্ট করা৷ কোন চুড়ি কিনতে হবে না৷”
ইহান ভাইয়া আনন্দের সাথে মায়া ভরা কন্ঠে জবাব দিল,
“আমি আমার শ্যামলতাকে একটু নিজের মতো করে সাজাতে চাই৷ আমার ভালোবাসা চুড়িগুলো যখন পড়বে আমার কথা ভেবে মুখে হাসি রেখা ফুটে উঠবে৷ আমি আমার শ্যাম সুন্দরী শ্যামলতার জন্য কিনেছি৷ আমি তোমাকে কোন কিছু গিফট করতে পারব না৷ আমার ভালোবাসা শ্যামলতা এসব পড়বে৷”
আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছেন মেলার ভিতরে৷ বেলি ফুল কিনে আমার কালো ঘন ক্যাশে গুছে দিলেন পরম যত্নে৷ কপালে পড়িয়ে দিলেন লাল রঙের ছোট টিপ৷ ভালোবাসার অন্যরকম অনুভূতি মনের দুয়ারে নাড়া দিচ্ছে৷ এই মানুষটা আমাকে উজাড় করে ভালোবাসেন৷ অথচও ভালোবাসা কখনও প্রকাশ করেন না৷ ফুসকা খেয়ে আবার রিক্সায় করে চৌধুরী ভিলার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলাম৷ উনার কন্ঠে ধ্বনিত্ব হলো
❝আকাশের নীড়ে
নেঘে ঢাকা তাঁরা
খুঁজে পাওয়া
মুখের মিছিলে ধীরে ধীরে
ধরা পড়ে যাওয়া
বল আর…..
কী হলে বেশ হয়
ঠিক মনের মতো।
ওওও..
এই পথ
যদি শেষ না হয়
তবে কেমন হতো৷❞
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হলাম৷ ইহান ভাইয়া আহত কন্ঠে বলল,
“শালিক তুমি আমার সাথে কথা বলো না কেন? আমি তোমার যোগ্য নয় বলে৷ আমি তোমাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে বলতে পারো৷ আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি৷ আমি তোমার বিহনে তিলে তিলে মা*রা যাচ্ছি। আজ আমার প্রশ্নের জবাব তোমাকে দিতে হবে৷”
ইহান ভাইয়ার কথা বুকের মাঝে তীব্র বেগে গেঁথে গেল৷ কথা না বলে থাকতে পারলাম না৷ জবাবে বললাম,
“আপনি মা*রা যাওয়ার কথা বললে আর কোনদিন কথা বলব না৷ আমি আপনার সাথে প্রয়োজনী সকল কথাই বলি৷ আপনি আমার স্বামী৷ আমি এমন কোন কাজ করব না যাতে আপনার সম্মান হয়৷”
আমার কাঁধে হাত রেখে বলল,
“কেন আমাকে এড়িয়ে চল? আমি তোমার বন্ধু হয়ে সারাজীবন পাশে থাকতে চাই৷ আমাকে একটি বার বন্ধু বানিয়ে দেখো৷ কখনও বন্ধুত্বের অসম্মান করব না৷ জীবন দিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করব৷”
“আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে৷ এসব নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না৷ আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করি৷ আপনাকে পৃথিবীর সব থেকে বেশি ভালোবাসি৷ আপনি আমার জীবনে প্রথম অভিমানের ভালোবাসা। আমার প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাস সাক্ষী আমি আপনাকে সম্মান করি। আপনার প্রতি আমার অসীম ভালোবাসা কখনও কমবে না৷”
কথা না বাড়িয়ে বিছানার অন্য পাশে শুয়ে পড়লাম৷ ইহান ভাইয়া আমার কথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনলেন৷ পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি। অনেক আগেই তোমার কোমল মন আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য করেছে৷ তোমার ঠোঁটের সেই মায়া ভরা হাঁসি। সে হাসির কলকল ধ্বনি ঝিলের জলকেও হার মানায়। তোমার সেই বিশুদ্ধ চাহনির প্রেমে পড়ি বারবার৷”
ভাইয়ার কথা কোন কথা কান অব্ধি আসল না৷ তার আগেই আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছি।
চলবে….
আগামী পর্বে প্রতিবাদ করবে আফসানা চৌধুরী আর শরীফ চৌধুরীর সাথে৷ ভদ্রতা বজায় রেখে প্রতিবাদ করবে৷