শালিক পাখির অভিমান পর্ব -১৬

#শালিক_পাখির_অভিমান
#পর্ব_১৬
#অধির_রায়

অতিবাহিত হচ্ছে এক একটা মুহুর্ত এক একটা দিন৷ শত্রুতার রুপ দৃঢ়তা হচ্ছে৷ চেনা মুশকিল হয়ে পড়ছে কে শত্রু? কে মিত্র? উপরে সবার ভালো৷ ভালোর আড়ালে লুকিয়ে আছে প্রতিটি মানুষের অভদ্রতার মুখোশ। ছাঁদে বসে প্রহর গুনছি কখন একটু শান্তি পাবো? আফসানা চৌধুরী ছাঁদে আসেন৷ দোলনায় বসে আনমনে পা দোলাচ্ছিলাম৷ আমাকে দোলনায় দেখে আফসানা চৌধুরী রেগে যান৷ তেড়ে এসে আমার গালে কষিয়ে থা*প্প*ড় বসান৷ মন খারাপের মাঝে হঠাৎ করেই গালে থা*প্প*ড় খেয়ে রাগী দৃষ্টিতে আফসানা চৌধুরীর দিকে তাকালাম৷ আফসানা চৌধুরী দ্বিগুণ তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে৷ দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম। গম্ভীর কন্ঠে বলল,

“তোর সাহস দেখে আমি সপ্তাম আকাশের চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছি৷ তুই কোন সাহসে দোলনায় বসেছিস? এটা তোর বাপের তৈরি দোলনা নয়৷ তোর মতো মেয়েকে কেন বিশ্বাস করে বাড়িতে তুলছিলাম? আগের জন্মে কোন পাপ কাজ করেছিলাম৷ আল্লাহ সেজন্য আমাকে এমন শাস্তি স্বরুপ তোকে পাঠিয়েছেন।”

চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলাম৷ রাগে দেহের সমস্ত রগ ফুলে গেছে যেন৷ ইচ্ছা করছে কয়েকটা কড়া জবাব দিতে৷ মলিন কন্ঠ বললাম,

“শ্বাশুড়ি মা এটা আমার স্বামীর বাড়ি৷ এই বাড়িতে আপনার যতটুকু আপনার অধিকার আছে আমারও ঠিক ততটুকু অধিকার আছে৷ আমাকে চোখ রাঙাবেন না৷ ভালোবাসার সাথে কথা বলবেন৷”

আফসানা চৌধুরী অট্টহাসি দিয়ে বলল,

“তোর মতো মেয়েকে একবার ভালোবাসে ভুল করেছি৷ আমি জেনে শুনে পঁচা শামুকে পা কা*ট*তে চাইনা৷”

“বাহ বাহ। আপনি বাংলা ছন্দগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করেছেন৷ আপনার প্রশংসা করতে হয়৷ তবে আমার কাছে এসব জারিজুরি খাটবে না৷ এতোদিনে বুঝে গেছেন আমি সহজে হার মানার মেয়ে নয়৷”

“বুঝতে পারছি তুই ভালো কথার মেয়ে না৷ আমি এবার আমার অন্য রুপ তোকে দেখাব৷ তুই যদি বোনু ওল হো’স আমি পাকা তেঁতুল।”

আফসানা চৌধুরী আমার হাত ধরে দোলনা থেকে তুলে দেন৷ নিজে পা তুলে সমস্ত দোলনা দখল করেন৷ রানীর মতো হুকুম দিলেন,

“শালিক আমার পা টিপে দে৷ আমার বাড়িতে খেতে হলে আমার টিপে খেতে হবে৷ এখন আর ইহানের দিকে তাকাবো না৷ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিব৷ আমি আমার বাড়িতে কাকে রাখব? সেটা একান্ত আমার বিষয়।”

আমি পা টিপ দেওয়ার পরিবর্তে দোলনায় অনেক জোরে দোল দিতে লাগলাম৷ নিজের ভর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না৷ ধপাস করে ছাঁদে পড়ে গেলেন৷ মুচকি হেঁসে জবাব দিলাম,

“শ্বাশুড়ি মা আমাকে মেয়ে বলে কাছে টেনে নিলে পা টিপে দিতাম৷ পায়ে তেল মালিশ করে দিতাম৷ প্রতিদিন ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াতাম। কিন্তু আপনি এসবের যোগ্য নয়৷ আপনি এতোটাই নিচ মানের মানুষ হয়ে গেছেন ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না৷ ইহানের দেওয়া সমস্ত কাঁচের চুড়ি ভেঙে ফেলছেন৷ কেন এমন করলেন? আপনি কখনও আপনার ছেলের ভালো চাননা৷ আপনাকে আমি খুব ভালোবাসতাম৷ আপনার জায়গা আমার হৃদয়ে ছিল৷ আপনি নিজেকে ঘৃণার স্থলে কেন নিয়ে আসলেন? আমার স্বামীর দেওয়া প্রথম উপহার আপনার সহ্য হলো না৷ আমি সেদিন কিছুই বলিনি৷ শুধু দেখে গেছি আপনার কর্মকাণ্ড। ইহানকে বলেছি হাত থেকে পড়ে সব ভেঙে গেছে৷ জানেন কতোটা কষ্ট পেয়েছে ইহান৷ কাকে কি বলছি? ভালোবাসার মানে কি বুঝেন? আপনি তো বুঝেন ভালোবাসা মানে টাকা৷ আমাকে পড়ানোর মূল কারণ হলো আমাকে মাসিক বেতন দিতে হবে না৷ গরুর মতো সারা দিন রাত খাটাতে পারবেন৷ আমি আপনাদের কথা শুনেও হজম করে ছিলাম৷ মায়া ফুপি না থাকলে আমি কখনও পড়তে পারতাম না৷ আমার জন্য মায়া ফুপি অনেক কাজ করেছে৷ রাতে আমাকে যে কাজ দিছেন সব কাজ মায়া ফুপি করে দিয়েছেন৷ ইহান ভাইয়ার কাছে পড়তে গেলে কতো কটু কথা বলেছেন৷ ২ ঘন্টার বেশি ভাইয়ার রুমে থাকতে পারিনি৷ আসলেই এটা কর ওটা কর৷”

আর বলতে পারলাম না৷ ইদানীং আমার চোখের জন আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে৷ না চাওয়া সত্ত্বেও চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়বে৷ কথাগুলো টানা বলে রুমে চলে আসলাম৷ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছি না৷ হাত পা অবশ হয়ে গেছে৷ ভাবতেই পারিনি এতো ভালো মানুষের মনেও কুৎসিত লুকিয়ে আছে৷ ভালোবাসার কিছু মুহুর্ত বার বার নাড়া দিচ্ছে৷ ইহান ভাইয়া আমার জন্য খাবার নিয়ে আসলেন। এখন আর নিচে বসে খাওয়া হয়না৷ ইহান ভাইয়ার চোখ চিকচিক করছে৷ ভাইয়া খাবার রেখে বলল,

“শালিক খেয়ে নাও৷ আমার খেতো ইচ্ছা করছে না৷ আমি অফিসে খেয়ে নিব৷ বলেই ফোন নিয়ে বেলকনিতে চলে গেলেন৷ কার সাথে কথা বলছে জানার ইচ্ছা নেই৷”

আমি খাবার যথা স্থানে নিচ তলায় এসে টেবিলে নজর দিলাম৷ সবাই হেঁসে হেঁসে খাবার খাচ্ছে৷ মায়া খালা সবার থালায় যথেষ্ট পরিমাণে খাবার দিচ্ছে৷ রেগুলার খাবার নষ্ট করা এই বংশের নিয়ম হয়ে গেছে৷ অল্প পরিমাণে খাবার দিলে রেগে কটমট করতে থাকে। মূল কথা হলো এদের চোখ ভরে না৷ আমি চেয়ার টেনে বসে বললাম,

“মায়া ফুপি আমাকে খাবার দেন৷ আজ থেকে আমিও এখানেই বসে খাবো৷”

খাবার টেবিলে আমি বসাতে সবার নজর আমার দিকে৷ আমাকে টেবিলে আশা করেনি৷ নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য নিজেকে একটু নিচু হতে হবে৷ শরীফ চৌধুরী গম্ভীর গলায় বলল,

“শত্রুর সাথে এক টেবিলে বসে কখন খাবার খাব না৷ মায়া আমার খাবার ঘরে দিয়ে আসবে।”

ইমম ভাইয়া রাগী গলায় বলল,

“বাবা তোমাকে কোথাও যেতে হবে না৷ এখান থেকে যাবে এই ছোটলোকের বাচ্চা৷ আমি তার জায়গায় বুঝিয়ে দিচ্ছি৷”

শ্রুতি ভাবী রাগে কটমট করে বলল,

“ভিক্ষারীর মুখে খারার ছুঁ*ড়ে মা*রে*ন৷ ভালো ভালো খাবার দেখে লোভ সামলাতে পারছে না৷ এই শয়তান মেয়ে আমার স্বামীর নামে বা’জে কথা বের করতে চেয়েছিল।

মাথা নিচু করে সকলের কথা হজম করে গেলাম৷ এখন আমার জবাবের পালা৷ ইহান ভাইয়া দ্রুত নিচে নামেন৷ কিছু বলার আগেই ইহান ভাইয়া আমার হাত ধরেন৷ ধমকের স্বরে বলল,

“শালিক! আমি কোন অশান্তি চাইনা৷ আমার সাথে চুপচাপ রুমে যাবে। তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে৷”

আজ এদের অপমানের যোগ্য জবাব না দিলে মাথায় উঠে বসবে৷ আমি এখন আর কাউকে ছাড় দিব না৷ আমি আমার অধিকার নিজে ছিনিয়ে নিব৷ আমি ইহানের ভাইয়ার কথা উপেক্ষা করে চোখ রাঙিয়ে বললাম,

“আজ থেকে আমি এই টেবিলে বসেই খাবার খাব৷ আমার সাথে বসে আপনারা খাবার খাবেন৷ আমার কথার অন্যত্র হলে বউ নির্যাতনের মামলায় সবাইকে জেলে যেতে হবে৷”

শ্বাশুড়ি মা এখানে টাকা দিয়ে আপনার আদরের ছেলে ইমনকে ছাড়িয়ে আনতে পারবেন না৷ আফসানা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বললাম। তিনি রাগী চোখে আমার দিকে তাকান৷ উনার দৃষ্টি উপেক্ষা করে শ্রুতি ভাবীর উদ্দেশ্যে বললাম,

” শ্রুতি ভাবী যাকে তুমি অন্ধের মতো ভালোবাসো সে তোমাকে কি ভালোবাসে? যার জন্য তুমি তোমার ছেলে বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে সে কতটা ভালো তুমি যাচাই করে দেখছো? দিয়া বাড়িতে তুমি তোমার ছেলে বন্ধুসহ আরও অনেক মেয়ে বন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলে, সেদিন আমাকে দেখেছো দিয়া বাড়িতে৷ আমি ছাড়া আরও একজন ছিল সেখানে৷ তাকে তোমার নজরে পড়েনি৷ আমাকে নজরে ঠিকই পড়েছিল৷ আমি সেদিন তোমার নামে কোন নালিশ করিনি৷ যা বলার অন্য কেউ বলেছে।

ইমন ভাইয়া হুংকার দিয়ে বলল,

“শালিক তুই আমার সম্পর্কে কতোটুকু জানিস৷ আমার গায়ে ক’ল’ঙ্কে’র কালি লাগাতে চাস৷ ছি! তোর চেহারা যেমন তোর মনোভাবও তেমন৷ শ্রুতি তুমি তার কথা বিশ্বাস করবে না৷ আমাদের মাঝে ভাঙন সৃষ্টি করতে আসছে৷”

শ্রুতি ভাবির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি বেশ চিন্তিত৷ তিনি জানেন আমি মিথ্যা কথা বলিনা৷ শ্রুতি ভাবীর নেত্রদ্বয় চিকচিক করছে৷ ভাঙা গলায় বলল,

“শালিক তুই আমার স্বামীর নামে একটাও বা*জে কথা বলবি না৷ তোর কাছে কি প্রমাণ আছে? তুই অন্যের গায়ে ক*ল*ঙ্কে*র কালি কখনও লাগাতে পারবি না৷”

ইহান ভাইয়া বিরক্ত স্বরে বলল,

“আহ শালিক! কি শুরু করলে৷ তোমার বলা কথা একজনের গায়ে লাগছে৷ সবার মাঝে পড়ল কথা চো*র বলে খাইনি কিছু। চল রুমে তোমার সাথে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে৷”

আমি যেতে না চাইলে ইহান ভাইয়া আমাকে পাঁজা কোলা করে রুমে নিয়ে আসেন৷ আহত কন্ঠে বলল,

“তোমার বাবার অবস্থা খুব খারাপ৷ তোমাকে এক নজর দেখার জন্য হাসফাস করছে৷ মান অভিমান ভুলে একবার তোমার বাবার সাথে দেখা করে আসো৷ মালী কাকার ফোনে প্রতিদিন ফোন দেয়৷ তোমাকে বলার সাহস পাচ্ছে না মালী কাকা৷ তোমার সামনে তোমার বাবা সাদমানের কথা তুলতেই তুমি মালী কাকার উপর রেগে ছিলে৷ তোমার বাবার অবস্থা গুরুত্বর৷ তিনি মা*রাও যেতে পারেন৷”

নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারলাম না৷ বুক ফেটে কান্না চলে আসো৷ সেদিন রাতের ঘটনা খুব মনে পড়ছে৷ ‘মা তুই গ্রাম থেকে পালিশে যা৷ গ্রামের মানুষ তোকে বাঁচতে দিবে না৷ বাবা সেদিন আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন।’ ভেজা গলায় বললাম,

“আমি আজই গ্রামে যাব৷ আমার সাথে আপনিও গ্রামে যাবেন৷ আমি একা কিছুতেই গ্রামে যেতে পারব না৷”
________

গ্রীষ্মের দুপুরে ছুঁ’ড়ে চললাম গ্রামের বাড়িতে৷ আনন্দপুর গ্রামে অনেক দিন পর পা রাখবো। ভাবতেই একটা ভালো লাগা কাজ করল৷ সাথে মনটা ভীষণ ভারী হলো৷ প্রায় আড়াই বছর হলো চো*রের অপবাদ নিয়ে গ্রাম ছেড়েছি। আজও কি আমাকে চো*র বলে সবাই আখ্যায়িত করবে৷ মনে মনে তীব্র প্রতিজ্ঞা নিলাম আমার নামে যে চো*রের অপবাদ দিয়েছেন তাকে চিরতরে শেষ করে দিব৷ হোক আমার বড় খালা৷ মনের মাঝে প্রতিশোধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে৷

আনন্দপুর আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল৷ আকাঁবাকাঁ মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছি আমরা দুইজন৷ ইহান ভাইয়া হাঁটতে পারছেন না৷ বার বার হাঁপিয়ে যাচ্ছেন৷ আমারও পা চলছে না৷ মন বলছে এখানে বসে একটু জিরিয়ে নিতে৷ গ্রামের রাস্তা ভালো না৷ অন্ধকার হওয়ার আগেই বাড়ি যেতে হবে৷ মাগরিবের আযান পড়ে গেল৷ তখন একটা ভ্যান গাড়ি পেলাম৷ ভ্যান গাড়িওয়ালা আমার নাম জানাতে চাইলে নাম বললাম না৷ হিজাবের কারণে শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে৷ মনে হয় আমাকে চিনে ফেলেছেন৷ ভ্যানওয়ালা আমাদের বাড়ির পাশেই থাকে। আবারও প্রশ্ন করল,

“সাদমান আহমেদ তোমার কি হয়? তাদের বাড়িতে তোমরা কেন যাচ্ছো? তোমাদের আগে আনন্দপুর দেখিনি৷”

কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করলাম৷ নরম স্বরে বললাম,

“চাচা আমরা শালিকের মা বাবার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি৷ শালিক আমাদের এই গ্রামে পাঠিয়েছে। তার বাবা মায়ের একটু খোঁজ করতে৷ মেয়েটা ভীষণ ভালো৷ এতো দূরে থেকেও মা বাবাকে ভুলেনি৷

ভ্যানওয়ালা রাগী স্বরে বলল,

“ওই অপয়ার নাম বলবেন না৷ অপয়া মেয়ে আমাদের গ্রাম থেকে যাওয়ার পর আমাদের গ্রামে শান্তি স্থাপিত হয়েছে৷ অপয়ার মুখ দেখলে কারোর ভালো হতো না৷ কি কালার কালা?”

“শালিককে কি গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে? আপনার কথা বলার ধরণ দেখে বুঝা যাচ্ছে।”

“সাদমান সবাইকে বলছে বাড়ির পাশের নদীতে ঝাপ দিয়ে মা*রা গেছে৷ কিন্তু আপনাদের কথা শুনে বুঝলাম অপয়া মেয়েটা এখনও বেঁচে আছে?”

“শালিকের জীবনে কি হয়েছিল?”

“শালিল একটা লোভী মেয়ে ছিল৷ নিজের বোন শাকিলার বিয়ের গহনা চুরি করছে৷ তার ফুপি আর দাদীকে বি*ষ দিয়ে মেরে ফেলেছে৷ এমন খু*নী মেয়ে আমি কোনদিন দেখিনি৷”

শালিক ভ্যানওয়ালার কথা শুনে বুঝতে পারল তার কথা মানুষের মনে এখন গেঁথে আছে৷ তাই সে ঠিক করল এবার নিজেকে নিঃদোষ প্রমাণ করতে৷

চলবে….

ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷ আগামীকাল গল্প নাও দিতে পারি৷ আগামীকাল প্রচুর ব্যস্ততার মাঝে কাটবে৷ আজ তেমন গুছিয়ে উঠতে পারিনি৷ সেজন্য দুঃখিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here