“শুকনো_ঘাস_ফুল🍀 part::13

0
328

#শুকনো_ঘাস_ফুল🍀
#natasa_islam_muntaha
#part::13

🍁🍁🍁

পরের দিন সকাল হতেই আহাধ ছোটে ওদের ফ্যামিলি ডা.মুন্নির কাছে
?
ডা.মুন্নি তার চেম্বারেই ছিলেন

ডা.মুন্নি:আরে আহাধ তুমি
আহাধ:হুম …..আহিবার রিপোর্টটা তুমি দেখেছো

ডা.মুন্নি :দেখো আহাধ তোমায় যে কোনো একটা অপশন বেছে নিতে হতে নয় আহিবাকে নয় তোমার সন্তান কে …সন্তান বাচাতে গেলে বাচবে কি না এটা সিওর দিতে পারবো না ….এটা কেবল আল্লাহর হাতেই …আর আর রিপের্টটা আমি নিজে করেছি …একটা বাচ্চা প্রথম থেকেই মায়ের রক্ত দিয়ে একটু একটু করে নিয়ে তার পর তৈরী হয় আর একটা টিউমার ও ঠিক এমন …মানুষের শরীর থেকে একটু একটু করে রক্ত চুষে নিতে থাকে …আহিবা যতেষ্ট ছোট এই বসয়ে pregnancy টাই অনেক রিক্স এর তার উপর ওর ব্রেন টিউমার ..আহাধ আমি অনেক জন বড় ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি সবাই বলছে বাচ্চাটে এবশন করিয়ে নিতে …তারপর অপারেশনটা যত তারাতারি করা সম্ভব করে নিতে …আর এতে আহিবার মা হওয়ার চান্স কমে যাবে ..হয়তো কখনই মা হতে পারবে না …এখন তুমি ডিসাইড করো তোমরা কি করবে ….বাচ্চা সহ আহিবাকে হরাবে নাকি শুধু বাচ্চা

আহাধ:আর কোনো উপায় নেই
ডা.মুন্নি :থাকলে আমি অবশ্যই তাই করতাম
আহাধ:আমি আহিবাকেই চাই
ডা.মুন্নি :তবে যত তারাতারি সম্ভব এবর্শন করিয়ে ফেলে
আহাধ:কিন্তু আহিবা এতে কখনই রাজি হবে না
ডা.মুন্নি :তুমি একটা কাজ করো আমি একটা মেডিসিন এর নাম লিখে দিচ্চি কারন ওর pregnancy বেশীদিন হয়নি মেডিসিন এই হয়ে যাবে …এটা ওকে যেভাবে পারো খাইয়ে দিয়ো তাহলেই হবে

আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :আচ্ছা …দাও

ডা.মুন্নি আহাধকে মেডিসিন এর নামটা লিখে দিয়ে দেয় ….

আহাধ এর প্রচন্ড রকমের হাত কাপছে যতোই হোক এটা আর পাচটা বাবাদের মতো খুশি হওয়ার সময় না …এটা তার হাড়ানোর সময় …হারানো এটা মনে হয় আহাধ এর ভাগ্যের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ..যাই হোক আহাধ মেডিসিন কিনতে দোকানে যায় …ফার্মেসি ওয়ালা মেডিসিন দিচ্ছে আর আহাধ এর দিকে বার বার তাকাচ্ছে ..চোখ ঘুড়িয়ে …..আহাধ মেডিসিন এর দাম টা দিয়ে কিছু দূর যেতেই সেই লোকটার কথা কানে ভেসে আসে

লোকটা:আরে বুঝতে পারছিা না ..অবৈধ সন্তান তাই নষ্ট করে দিতে চাইছে সমাজের মানুষের কাছে না হলে কি পরিচয় দিবে

আহাধ স্তব্দ হয়ে যায় তার এখন এই সব কথা শোনার মোটেও ইচ্ছা নেই তবুও শুনতে হচ্ছে আহাধ আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে সোজা বাসায় চলে আসে ..আহিবা এখনও ঘুম থেকে উঠে নেই হয়তো শরীর ক্লান্ত এই জন্যই …..

এনি রাহুল এর আজ ফ্যাংশন …সকাল হতেই এনিকে নিয়ে যাওয়া হয় সাজানোর জন্য …রাহুল বেচারা বউ ছারা রুমের বাহিরে পায়চারি দিচ্চে

মা :কি রে এই খানে এই ভাবে হাটছিস কেন
রাহুল:না মা কিছু না এমনি
মা:বউকে মিস করছো বুঝি
রাহুল:আম্মু কি যে বলো না ধূর আমি ছাদে গেলাম

রাহুল এর মা হাসতে হাসতে ওখান থেকে চলে যায়

রাহুল ছাদে গিয়ে চুপ চাপ বাহিরে নীল আকাশের দিকে তাকিয়প আছে ছাদটা এখনও শুকায় নি …রাতে জোর বৃষ্টি হয়েছিল ..তাই ঘাসের উপরে বৃষ্টির পানি গুলো মুক্তোর মতো লাগছে দেখতে

রাহুল:জানি না তুই কোথায় আছিস ..আর কেমন আছিস ….সেদওন আমি তোকে বড্ড কষ্ট দিয়ে কথা গুলো বলে ফেলেছিলাম তাই না …কিন্তু আজ মোন থেকে বলছি খিব সুখি হোস তুই ..খুব সুখি …আমিও আজ সুখি একজন মানুষ …আসলে তোর দোষ ছিলো না তুই তো বড্ড ছোট ছিলি তখন ..নারে বজ কষ্ট হচ্ছে খুব তোকে ওভাবে না বল্লেও পারতাম

এর মধ্যে রাহুল এর দুটে বন্ধু এসে ওকে নিয়ে যায় …

রাহুল কালো একটা পান্জাবী আর কালো ধুতী পরেছে ..রাহুল হঠাৎ ওর রুমে আসে ফোন নিতে ..দেখে এনি রুমেই বসে আছে ..খুব সুন্দর লাগছে তাকে ..কালো শাড়ির উপর সাদা স্টোন বসানো …আজ এনিকে অন্যদিন এর থেকে বড্ড বেশী সুন্দর লাগছে
এনি:কি হলো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছো কেন …নজর লেগে যাবে .
রাহুল:তুম
[রাহুলকে থামিয়ে ]
এনি:আমি জানি আমি খুব সুন্দর আর তোমায় বলতে হবে না ..হুহ
রাহুল:কে বলেছে সুন্দর …তুমি একদম পেত্নির মতো পেত্নি চিনো পেত্নি …না চিনলে গিয়ে আয়নায় দেখো
এনি:কি বল্লা তুমি …

বলই পাশের বালিশ ধরে ছুরে মারে রাহুল এর গায়ে …রাহুল এনির অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে গরা গরি খাওয়া শুরু করে …

আহিবা নিজেকে অনেক সাবধানে সামলে চলছে …তার মধ্যে যে আরো একজন এর অস্তিত্য আছে ..সিরি দিয়ে নামছে যতেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে ..আহাধ সোফায় বসে ঠিকই সব দেখছে আর দীর্ঘস্বাস ফেলছে হয়তো আজ দিনটাই আহিবা তার অস্তিত্যকে পাবে কাল হয়তো পাবে না …

কাকি:কি রে আহু (আহিবাকে ছোট করে সবাই আহু ডাকে )এমন করে হাটছিস কেন কছ্বব এর মতো
আহিবা;আহহহ কাকি কিছু না ..আমি তো ট্রাই করছি মানুষ কিভাবে আস্তে আস্তে হাটে
কাকি:আসলেই কি তাই আমার কিন্তু অন্যকিছু ডাউট হচ্ছে
আহিবা:কি
কাকি:নতুন অতিথী আসবে নাকি

আহিবা খানিকটা লজ্জা পেয়ে :না মানে হ্যা

বলেই সোজা রান্না ঘরের দিকে ছোটে

ওর কাকি কতক্ষন আহিবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে হেসে দেয়

কাকি:কি রে আহাধ মিষ্টি খাওয়াবি না …এতো বড় একটা সুখবরের
আহাধ:কাকিয়া খাওয়াবো তো কিন্তু পরে
কাকি:পরে কেন এখনই যা
রাফি :মা কি শুরু করছো
কাকি:আরে আহিবা অন্তস্বতা তার মিষ্টি খাবো না এটা কি করে হয়
রাফি:মা তোমার সুগার আছে তুমি মিষ্টি খেতে পারবে না
কাকি:আর রাখ তোর সুগার …আগে নাতির মিষ্টি খাই তার পর সুগার এর কথা ভাববো

আহাধ কিছু না বলে ওখান থেকে উঠে সোজা নিজের রুমে চলে যায় ..রাফি আহাধ এর এমন ভাবে চলে যাওয়ার কারনটা ঠিকই বুঝতে পেরেছে ..সে চুপ করে সোফায় বসে পরে

আহাধ এর কাকি কিছুই না বুঝে আহাধ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ..

চলবে,,,,,,,,

[ছোট হয়ে গেছে আজকের পার্টটা …তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ..মাফ করে দিবেন …বাসায় অনেক জামেলা চলছে …তার মধ্যে গল্প লিখতে গিয়ে আম্মুর ইচ্ছা মতো বকা খাইছি 😬😬…তারপর ও লুকিয়ে লুকিয়ে লিখলাম ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here