“শুকনো_ঘাস_ফুল🍀 part::18 &last

#শুকনো_ঘাস_ফুল🍀
#natasa_islam_muntaha
#part::18 &last

সেই হাত ওয়ালা :আমি চাই সব সময় এভাবেই থাকতে আহাধ

আহাধ হাতটাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে এই হাতটা তার কাছে খুব চেনা …

রাহুল তখন ওখান এ আসে আর

রাহুল:মিষ্টি ওহ সরি ভুল সময় আসলাম ..আমি আসি কেমন ….পরে না হয় আবার একদিন আসবো
আহিবা:ভাইয়া প্রথম আসলা কিছু খেয়ে যাও
রাহুল:নাহ রে মিষ্টি পাখি পরে একদিন আসবো কেমন
আহিবা:আচ্ছা আপুকেও নিয়া আসবা
রাহুল:আচ্ছা আনবো সাবধানে থাকিস বোন …নিজের খেয়াল রাখিস ..আর কোনো সমস্যা হলেই জানাবি আমায় ..
আহিবা:হুম ভাইয়া

রাহুল চলে যেতেই আহাধ চোখটা পিট পিট করে খোলে …আর মুখে বিশাল একটা হাসি দেয়

আহাধ:আমি জানতাম তুমি আসবে
আহিবা:ওহ হো তাই নাকি ..আপনি কি জ্যোতিষী নাকি যে জানতেন
আহাধ:হুম তো আমি ভালোবাসার জ্যোতিষী
আহিবা:হুম হয়েছে এখন হাতটা ছারুন

আহাধ আহিবাকে টান দিয়ে নিজের কোলের উপরে বসিয়ে দেয় ..

আহাধ:আমার বউ আমার বাড়ি কাকে ছারবো আর না ছারবো সেটা আমি বুঝবো বুঝলা
আহিবা;এইটা কেমন কথা ছারুন তো
আহাদ:ওকে এখন অসুস্থ দেখে ছেরে দিলাম ..সুস্থ হও তারপর আর কোনো ছারা ছারি নেই

আহাধ আহিবার কপাল এ চুমু দিয়ে ছেরে দেয়

দুজনের ঘুনশুটিতেই কাটতে থাকে তাদের সময় আহিবার ১ বছর পর আবার পড়াশুনা শুরু করে ..সাথে আহাধ একদিন নিজের পড়াশুনা অন্যদিকে অফিস সামলায় ..বেশ ভালোই দিন কাটে

বাসায় আসতেই নিছা কে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায় ..নিছা বাসার সবার চোখের মনি …এই ৫ বছরে পাল্টে গেছে অনেক কিছুই ..

এনি আর রাহুল একটা এক্সিডেট এ মারা যায় কপাল গুনে বেচে যায় ছোট নিছা …ডাক্তার আহিবাকে বলেছে সে চাইলেও আর কখনই মা হতে পারবে না …আহিবা ভেগে পরেছিল বড্ডা …..

কিন্তু রাহুল আর এনির মৃত্যুর পর আহিবা নিছাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে ..নিজের মেয়ের মতো তাকে বড় করে তোলে একটু একটু করে নিছার বয়স মাএ দেড় বছর ..তার আদো আদো কথা ভড়িয়ে রাখে সমস্ত বাড়িটাকে …

রাফি বিয়ে করছে ..মিমকে মাশা-আল্লাহ তার যেমন রুপ তেমন ব্যাবহার …নিছাও তার চোখের মনি কেউ কখনও বুঝতে দেয়না ..নিছা এই পরিবারের সদস্য না …

নিছা:মাম্মা আমলা এখানে ক্যান এতেসি
আহিবা:এটা কবর স্থান সোনা ..তোমার আর একটা মাম্মা আর বাবাই

হুম আজ রাহুল আর এনির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকি তাই আহিবা আর আহাধ কবর জিয়ারত করতে এসেছে ছোট নিছা কে নিয়ে ….

নিছা:বাবাই মাম্মা কি বলতে আর এলটা মাম্মা আর বাবাই মানে
আহাধ:মানে তোমার তারাও একটা মাম্মা আর বাবাই হয় সোনা .
নিছা:ওহ আমি বুলতে পেরেচি…
আহিবা :হুম তো এখন চলো
আহাধ:হুম

আহাধ আহিবা আর নিছা কিছুটা দূরে এসে আবার পিছন ফিরে তাকায় আহিবা আর একটা ছোট দীর্ঘস্বাস ফেলে

আহিবা ;আপু তোরা চলে যাওয়ায় যতটা কষ্ট পেয়েছি তা হয়তো তোরা বুঝবি না ..কিন্তু তোদের নিছাকে জড়িয়ে আমি সেই সব কষ্ট ভুলতে থাকতে পেরেছি …আল্লাহ আমার মা হওয়ার ক্ষমতা কেরে নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু আমার কোল অন্ধকার করে দেন নি ….আপু তোরা ভালোথাক …এটাই কামনা করি ….মনে মনে কথা গুলো বলতে বলতেই চোখের কোনা থেকে গড়িয়ে পরেছে কয় এক ফোটা পানি

মানুষের কপাল এ কখন কি আছে কেউ জানে না ….রাহুল এনি মারা গিয়ে আহিবার সংসার পরিপূর্ন করে দিয়েছে ……তাদের জন্য সুখের দিন ছিল সিমীত …..এটাই তাদের ভাগ্যের খেলা ….যাক ভালোথাক এমন ভাবে সব সময় ….আর গল্পটাও আজই শেষ ..কিন্তু কাহিনি চলতে থাকুক সারা জীবন…

সমাপ্ত

গল্পটা আরো বড় করতে চেয়ে ছিলাম …কিন্তু আজকে মামিকে দেখে এসে প্রচন্ড খারাপ লাগছে..সারা দিন মামির মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে ..আল্লাহ এতো কষ্ট …সজ্য করা অসম্ভব ….আমি কয় একটা দিন এখন রেস্ট এ থাকবো ..আাশা করি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো নতুন কেনো কাহিনী নিয়ে …আল্লাহ হাফেজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here