“শুকনো_ঘাস_ফুল🍀 part::15

#শুকনো_ঘাস_ফুল🍀
#natasa_islam_muntaha
#part::15

🍁🍁🍁

রাহুল:এনি ওকি সত্যি তোমার বোন
এনি:কি যাতা বলছো ও আমার বোন ..
রাহুল:ওহ
এনি:এক মিনিট রাহুল তুমি এটা বল্লে কেন ও আমার বোন কি না
রাহুল:নাহ এমনি মনে হলো কেন জানি
এনি:হুম তুমি ঠিকই বলছো আহাধ তুমি আহিবার সমন্ধে একটা কথা যানো না
আহাধ :মানে
এনি তবে শুনো ..

অতীত

এনি ক্লাস ৩ তে পরে ওর মায়ের সাথে স্কুলে যাচ্ছিল হঠাৎ ওদের সামনেই একটা কার এক্সিডেন্ট হয় ..গাড়ির ভুতরে তিন জন ছিল ..আহিবা আর মেইবি ওর বাবা মা যা ঘটনা স্থল এই মারা যায় ..কিন্তু আহিবাকে গাড়িতে থাকা মহিলা নিজের বুকের মধ্যে জড়িয়ে রেখেছিল তাই বেশি আঘাত ওর অন্য কোথাও না লাগলেও মাথায় লাগে …কওছুক্ষন এর মধ্যেই পুলিশ ওখানে এসে ভরে যায় ..তাদের নিয়ে গেলেও বাচ্চাটাকে কেউ নেয়নি ..

.তখন এনির মা আহিবাকে কোলে তুলে নেয় ..আহিবার অবস্থা তখন মোটেও ভালো ছিল না ..আর এনির মামা মামি ছিলেন নিসনন্তান …আহিবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তারা অপারেশন করাতে বলে ….যেহেতু মামা মামির কোনো সন্তান ছিলনা তাই তারা আহিবাকেই আপন করে নেয় নিজেদের সন্তান এর মতো ট্রিটমেন্ট করাতে থাকে ..আহিবা সুস্থ হয়ে গেলেও ওর সৃতি হাড়িয়ে ফেলে তখন থেকেই ওকে সবাই আহিবা বলেই চিনে …আর আমার মামাতো বোন …..

এনি এই টুকু বলেই থামে

আহাধ:এতো কিছু

রাহুল :accident টা কোন জায়গায় হলেছিল আর গাড়ির রং
এনি :ওটা তো মেইন রোড এ হয়েছিল আর গাড়িটার রং সম্ভাবত কালো ছিল
রাহুল:আহিবা কি একটা লাল জামা পড়া ছিল মাথায় এক ঝাক কোকড়ানো চুল
এনি:হুম আমার যতদূর মনে পরছে এমনই ছিল কিন্তু তুমি জানলে কি করে
রাহুল :কারন ওকে আমি চিনি ও আমার মিষ্টি কলিজা
এনি :কি বলছো

রাহুল:সে দিন এর জন্য আমি দায়ী ছিলাম যার জন্য মিষ্টির আজ এই অবস্থা ওই আমাদের সবার আদরের মিষ্টি ….ওর হাতের জন্মদাগটাই তার প্রমান ঐ আমাদোর মিষ্টি

এনি আহাধ এক সাথে :মানে

রাহুল :হুম ..ও চলো চৌধুরী পরিবারের একমাএ মেয়ে ..আমার চার মামার ৭ টা ছেলে তার মধ্যে ঐ ছিল সবার প্রিয় আর আমাদের বাড়ির সবার চোখের মনি …আমি ছোট থেকেই সব সময় ওর প্রতি বেশী কেয়ার করতাম ..কিন্তু সেদিন আহিবা তখন হালকা হালকা কথা বলতে পারে

রাহুল:তুই আমায় ভালো বাসিস

রাহুল (জানি না সেদিন ও কি বুঝে কি বলেছিল )

আহিবা:নননাাা
রাহুল:কেন বাসিস না
আহিবা:নানননননা

রাহুলের প্রচন্ড রাগ লাগে যে ও মিষ্টি মানে আহিবা ওকে ভালোবাসে না …অনেক কষ্ট হয় ওর ..ও রাগ করে বাসায় নিচে গিয়ে বসে থাকে ..

রাহুল :সেদিন মামিমা সেদিন একটা নতুন গাড়ি কিনে আনিয়েছিল সরম থেকে ঐ দিন মিষ্টির জন্মদিন ছিল এই জন্য ..আমি রাগের মধ্যে গিয়ে গাড়িটার তার কেটে দেই কিন্তু এটা বুঝিনি যে সেই তারটা ছিল ব্রেক এর ..

সেদিন মিষ্টির ২ বছর জন্মদিন …মামিমা মামা আর মিষ্টি ওরা নতুন গাড়ি করে সকালেই coxbazar এ যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পরে আমি মা আর নানাভাই এক গাড়িয়ে অন্য গাড়িতে মামা আর মামিমা রা ..আর আমাদের যে কাজিন গুলো ছিল ওরা বেশীই বাহিয়ে থেকে পরতো আমাদের থেকে ওরা বয়সে বেশ খানিকটা বড় …ওরা কেউই এখানে থাকতো না এখানে শুধু আমি আর মিষ্টিই থাকতাম …

সেদিন আমরা সবাই রওনা দিয়ে বাসা থেকে বার হই তখনই জানতে পারি মিষ্টিদের গাড়িটা এক্সিডেন্ট হয়েছে আমরা সেখানে যাওয়ার আগেই মামিমা আর মামাকে পুলিশ নিয়ে যায় কিন্তু মিষ্টির কোনো খবর আমরা পাইনি ..হাড়িয়ে গিয়েছিল মিষ্টি আর অন্য মামা আর মামিমা রা ও সেদিন তারাহুরা করে পাহাড়ি রাস্তা ধরে ফিরতে গিয়ে তাদের পুরো মাইক্রটাই খাদে পরে যায় …নানাভাই এতো হাড়ানোর শোক কাটিয়ে উঠতে না পেরে সেও সেদিনই চলে যায় ..চৌধুরী বাড়ি মৃত্যু বাড়ি আর শশ্মান এ পরিনত হয়ে যায় …

সেদিন এর পর থেকে মা আর আমি ঐ বাড়িতে থাকিনি ওখানে কি করেই বা থাকতাম এতো গুলো মানুষের ফেলে রাখা সৃতি নিয়ে বড় ভাইয়ারা ও এসেছিল সবাই মিষ্টিকে হন্নে হয়ে খুজেও পাইনি আমরা কেউ

ভাইয়ারা সেদিন চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসে নি বিডিতে ..আর আজো চৌধুরী বাড়ি অন্ধকারের মধ্যে পরে আছে …ছোট থেকে কখনও বাবাকে দেখিনি ..মামুরা কখনও বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি আমায় …আর তারা সবাই এক সাথে এভাবে চলে যাওয়া কারো পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব না …মায়ের অবস্থাও অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল …

তারপরে ওকে আমি চিনি যখন ও ৯ এ পরে …শুধু মুখটাই দেখেছিলাম ..সআ সময় একটা মায়া কাজ করতো কিন্তু কেন সেটা বুঝতাম না ….মাঝে মাঝে বড় ভাইয়ের মতো কথা হতো আমার ফ্রেন্ড এর বোন আহিবার সাথেই পরতো সেই শুবাদে …

একদিন কি কারবেই জানি আমার আহিবার উপর প্রচনৃড রাগ হয় রাগের জন্য ওকে অনেক কিছুই বলে ফেলি ..এমনি ও জানি জীবনে কখনই সুখি হতে না পারে এটাও আমিই বলি …কিন্তু তখন যানতাম না যে এই আহিবাই আমার আমাদের সবার আদরে …মিষ্টি পাখি …আদিয়ানা চৌধুরী মিষ্টি ..

কাকি:আহারে মেয়েটার জীবনটার সাথে কত কিছুই না হয়ে গেলো ….
এনি:এতো কিছু তো তুমি কখনই বলো নি
রাহুল:আমরা তো ভেবেই নিয়েছিলাম মিষ্টি পাখি আর নেই…
আহাধ কিছুই বলছে না সে.চুপ করে আছে আর এক ধ্যানে আহিবার দিকে তাকিয়ে আছে

এর মধ্যে একজন নার্স আসে রাহুল এর মাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হবে

রাহুল :আমমি আসছি মাকে দেখে
কাকি:আমিও জাবো বাবা দারাও
রাহুল:জ্বি চলুন

রাহুল ,এনি আর কাকি ওটির কাছে যায় ..যেখানে রাহুল এর মাকে আনা হয়েছে ..

কাকি রাহুল এর দিকে তাকিয়ে আর একবার ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে কাপাকাপা গলায়

কাকি:এএএককি তততোমমার মা
রাহুল:জ্বি

কাকি:রররুপশাহ

চলবে , ,,,,,,, ,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here