সংশয়
পর্ব :২
#লেখক :ঐশি
–আমি এই বিয়ে টা করতে পারবো না আমাকে মাফ করে দিয়ো ,,,
এই কথা বলে ফোন কেটে দেই ।কোনো কিছু জানার আগ্রহ নেই আমার ।আমি তো সকল সত্যি ই জেনে গেছি ।এর থেকে সত্য হয়তো আরো খারাপ হবে ।আমার সাথে আমার প্রিয় মানুষ ওভাবে বেঈমানি করবে তা কখনই ভাবতে পারি নাই ।ফোন এর সুইচ অফ করে রেখেছি ।দরকার নেই এসবের ।আমি তো কোনো অপরাধ করিনি যার করনে এতো শাস্তি পেতে হবে ।দীর্ঘক্ষন ব্রীজ এর উপর দাড়িয়ে ছিলাম ।শুধু চিন্তায় কোনো কিছু করতে ই মন চাচ্ছিলো না ।শুধু ভাবছিলাম এতো বড় প্রতারনা কেনো করলো ?
রাত ১:৩০ মিনিট ,সবে মাত্র ফোনটা অন করে দেখলাম সেই বেঈমানটার মেসেজ ।এখন নিশ্চয় হয়তো ভাবছে জেনে গেছি তার সব প্রতারনার কাজ ।এমন সময় ওই অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো,,,
–আরে কি অবস্থা ভাই ?রিপোর্ট এ কি বললো ?
–আপনি কে বলছেন জানলে খুশি হতাম ।প্লিজ আপনার নাম টা বললে অনেক খুশি হতাম ,,,
–ধৈর্য ধরুন ভাই ।এতো উওেজিত হলে কি চলে বলুন ?শুনুন আমি তাসফিয়ার বাবা ।
–কি ?এটা কি সত্যি ?
–হ্যা,আর ওই মেয়েটা আমার ই ।আর আপনি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন সে আমার স্ত্রী ।
–বিশ্বাস করি না আমি ,,,,
–রিপোর্ট এ তো মনে হয় স্পষ্ট লিখা যে আপনার প্রিয় মানুষ মানে আমার বউ এর ই ওই বাচ্চা ?
–আমি আপনার সাথে দেখা করবো ,,
–হবে না ভাই,,।
–কেনো ?
–এমনি ,,,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এরপর আর কোনো কথা শুনিনি ।আমি অনেক চিন্তিত হয়ে বাসায় ফিরি ।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
বাসার সবাই আমার দিকে ই তাকিয়ে আছে ।কিন্তু কোনো কিছু বলার মন মানুষিকতা নেই ।সকাল এ উঠে ফোন অন করতে ই দেখি মেসেজ,,
–এখন ই পার্কে এসো কথা আছে,,
বুঝলাম সেই বেইমান টা ই ।ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিল এ এলাম ।দেখলাম সবাই বসে আছে অথচ কেউ কোনো কথা বলছে না ।আমিও কথা বলিনি চুপ করে খাওয়া শেষ করে পার্কে গেলাম ।
দুজন ই চুপচাপ বসে আছি ,কোনো কথা নেই আমাদের মাঝে ।হঠাৎ সে বলে উঠলো,,
–আমাকে বিয়ে না করার কারন টা কি জানতে পারি ?কি করেছি আমি বলবে ?এতো বছর প্রেম করে বিয়ে করতে যাচ্ছি আর কেধো এমন করছো শুনি ?ওই মেয়েটা তাই না ?ওকে বাসা থেকে বের করে দিবো ।খুশি হবে তো না ,?
–এই নাও কালকের আগের দিনের চেকআপ এর রিপোর্ট ।
–রিপোর্ট এর জন্য আসিনি আমি ।আমি এসেছি কেনো বিয়ে করবে না আমাকে ?ভালো লাগে না তাই না ? না লাগলে বলে দাও আমি একাই থাকতে পারবো ।আর ওই মেয়েটা অনাথ তাই ওকে নিয়েই থাকতে পারবো ।
স্পষ্ট দেখলাম সে কান্না করতে করতে রিপোর্ট খুলছে ।আমার এতে কোনো আগ্রহ নেই ।
–তোমার রিপোর্ট এ লিখা তুমি ই তাসফিয়ার আসল মা ,,,
–এমন আজে বাজে কথা বলতে মুখে আটকায় না তোমার ?
–তোমাকে চেকআপ করিয়েছি তাই ।মনে সন্দেহ হচ্ছিলো ,তবুও বিশ্বাস করিনি কিন্তু এখন রিপোর্ট এ তো স্পষ্ট তা ই লিখা ।তোমার আগে ই বিয়ে হয়ে ছিলো আমাকে আগে বললে এমন ভুল আমি কখনই করতাম না ।
তখন ই ওই অপরিচিত নাম্বার এ ফোন ।আমি একটু সাইড এ যেয়ে কল রিসিভ করলাম ,,
–আরে ভাই আপনি পার্কে কেনো তাও আবার আমার বউ এর পাশে ,,
—একটা কথা কালকে বলা হয় নি ,,আচ্ছা আপনার আর ওর কি জন্য সম্পর্ক শেষ হয়েছিলো ?
–ভাই মেয়েদের মন তো বুঝেন না কেনো ?আমি তো একটা ছোট চাকরি করি তাই সে থাকতে চাইতো না এমন কি তার পরিবার ও না এক সময় মেয়ে রেখে ই চলে যায় ।তাসফিয়াও পাগলামি শুরু করে তাই তার মা এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ।এখন কি তার বাবার অধিকার আপনি কেড়ে নিবেন ?ওর সৎ বাবা হয়ে থাকবেন ?
–মিথ্যা কেনো বলেন,,,আমি এসব বিশ্বাস করিনা
–বিশ্বাস না করলেও এটাই সত্যি ।তা আমার বউ আমাকে এখানে আসতে বলেছে আপনি চলে গেলে খুশি হতাম ।কারন অধিকার টা আমার ।
এই কথা বলে ফোন কেটে গেলো ।আমি চুপ রয়ে গেলাম ।আমি কিছু না বলেই সেখান থেকে প্রস্থান করলাম ।পিছনে প্রিয় মানুষটির অনেক কথা শুনেছি কিন্তু এই কথার উওর দেওয়ার অধিকার তো আমার নেই । আমি অসহায়। আমি হতাশ হয়ে বাসায় ফিরলাম ।বাসার সবাইকে সব কিছু ই বলে দিলাম ।রাতে জানলাম বিয়ে টা আর হচ্ছে ই না ।মনে শান্তি পেলাম যে একটা বাচ্চা তার বাবাকে হয়তো ফিরে পাবে ।এরপর আমার জন্য আবার পাত্রী দেখা শুরু হয় ।আমি শুধু সেই মানুষের কথা ই ভাবছিলাম যে আমার সাথে প্রতারনা করেছে ।আমি অনেক কষ্টে ছিলাম কিন্তু মনে মনে ভাবতাম বিয়ে করলে আরেক জনের সংসার ভঙে যেতো হয় তো ।কিছুদিন এর মাঝে হঠাৎ একদিন বাসায় ঝিমুচ্ছি ।এমন সময় দড়জায় কলিংবেল ।দরজা খুলতে তাসফিয়া আর সে মানুষটি যার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো সেই প্রতারক ।আমি চুপ করে ঘরে এসে পড়লাম ।কিছুক্ষন পর দেখলাম তাসফিয়া একটা কার্ড নিয়ে রুম এ আসলো পিছনে সেও ।আমি শুধু একটু তাকালাম ,খেয়াল করলাম তার চোখের নিচে কালি জমে আছে ।হয়তো কান্না করতে করতে ।তাসফিয়া বিয়ের কার্ড হাতে দিলো ।আর বললো,,,
–আম্মুর বিয়ে ,তুমি আসবে কিন্তু ,,,তুমি অনেক ভালো ,,
–ঠিক আছে ,,,
পিছনে তাকাতেই দেখি সে নেই ।বুঝলাম কষ্টে হয়তো চলে গেছে ।তাসফিয়ার সাথে কথা বলছি ।মিস্টি একটা মেয়ে হয়তো ওর বাবাও এমন সুন্দর ।যখন চলে যাবে তখন ডাক দিয়ে কাছে এন বললাম
–এই নাও চকলেট তোমার জন্য ,,
–সত্যি তুমি অনেক ভালো ,,
–তুমি অনেক সুন্দর ,,তোমার বাবা তোমাকে অনেক আদর করতো তাই না ?
–হ্যা,বাবা তো মরে গেছে অনেক আগে ই,,
এই কথা শুনা মাত্র ই আমার কেমন জানি লাগলো ।তাহলে ওই লোক কে যে আমাকে কল করে কথা বললো।আমার মনে সংশয় শুরু হলো ।তাসফিয়া চলে যেতেই ওই অপরিচিত নাম্বার হতে কল আসলো,,,
চলবে,,
.
#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।